শামীম ওসমান
ওসমান পরিবারের ‘অভাবনীয় জালিয়াতি’ তদন্তের নির্দেশ
আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানের পরিবারের প্রতিষ্ঠান কে টেলিকমের ‘অভাবনীয় জালিয়াতি’ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ৯০ দিনের মধ্যে তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
সাখাওয়াত হোসেন নামে এক ভুক্তভোগীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। রিট আবেদনকারীর চাহিত পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষনা করা হবে না রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
চার সপ্তাহের মধ্যে ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব,, চেয়ারম্যান বিটিআরসি, রেজিস্ট্রার জয়েন স্টক কোম্পানি, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর, দুদকের চেয়ারম্যান, সিআইডিপ্রধান, আইজিপি, ওসি বনানী থানাসহ শামীম ওসমানের পরিবারের ৫জন সদস্যকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। একটি জাতীয় দৈনিকে ১৪ জানুয়ারি ‘সরকারের পাওনা ১২৬ কোটি টাকা, ফাঁকি দিতে ‘অভাবনীয় জালিয়াতি ওসমান পরিবারের’ শীর্ষক প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট করা হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর ফকিরারপুলের ডিআইটি রোডের একটি ভবনে ছোট একটি কক্ষে সাখাওয়াত হোসেনের ট্রাভেল এজেন্সির কার্যালয়। সেখানে আসবাবপত্র বলতে শুধু একটি টেবিল ও তিনটি চেয়ার আছে। ভাড়া ছয় হাজার টাকা। সাখাওয়াত ফকিরাপুলেই একটি মেসে থাকেন।
যদিও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নথিপত্রে সাখাওয়াত কে টেলিকম নামের (পরে ইন্টারন্যাশনাল ভয়েস টেল লিমিটেড নামকরণ হয়) একটি ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে বা আইজিডব্লিউ কোম্পানির অংশীদার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। আইজিডব্লিউ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিদেশ থেকে টেলিফোন কল বাংলাদেশে আসে।
কে টেলিকমের কাছে বিটিআরসির পাওনা ১২৬ কোটি টাকার বেশি। পাওনা আদায়ে বিটিআরসি কোম্পানিটির মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। প্রশ্ন হলো, সাখাওয়াত কীভাবে এত বড় প্রতিষ্ঠানের মালিক হলেন? গত ১৭ ডিসেম্বর ফকিরাপুলে সাখাওয়াতের কার্যালয়ে গিয়ে তার কাছে এই প্রশ্নই করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, আমি নিজেই তো জানতাম না, আমি মালিক। ১৮ অক্টোবর বিটিআরসির কর্মকর্তারা রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) থানার পুলিশ নিয়ে আমার গ্রামের বাড়িতে যান। তখনই আমি এই কোম্পানি ও নিজের মালিকানার কথা জানতে পারি। কে টেলিকমের মালিক ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শামীম ওসমানের পরিবার। শামীম ওসমানের স্ত্রী সালমা ওসমান ও ছেলে ইমতিনান ওসমানের নামে ২০১২ সালে ১৫ বছরের জন্য কে টেলিকমের লাইসেন্স নেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটিতে শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ এবং তার (শামীম ওসমান) ঘনিষ্ঠ জয়নাল আবেদীন মোল্লা ও জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লার মালিকানাও ছিল।
নথিপত্রে দেখা যায়, ২০১৩ সালের ৪ আগস্ট ওসমান পরিবার কে টেলিকমের মালিকানা সাখাওয়াত হোসেন, সিলেটের স্কুলশিক্ষক দেবব্রত চৌধুরী ও বগুড়ার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী রাকিবুল ইসলামের নামে হস্তান্তর করে। তারা তিনজন বলেছেন, তারা কেউই এ বিষয়ে জানতেন না। জালিয়াতি করে তাদের মালিক দেখানো হয়েছে।
এদিকে বিটিআরসি ও সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সরকারের পাওনা টাকার দায় এড়াতে তড়িঘড়ি করে ওসমান পরিবার কে টেলিকমের মালিকানা ওই তিন ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করে। এ ক্ষেত্রে জালিয়াতি করা হয়েছে। ভুয়া ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা ওসমান পরিবারের এই কারসাজির সহযোগী ছিল। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শামীম ওসমান পরিবারসহ আত্মগোপনে রয়েছেন। তার (শামীম ওসমান) বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর টেলিযোগাযোগ খাতে বেশ কিছু লাইসেন্স দেওয়া হয়। তখন বিদেশ থেকে কল আনা ছিল লাভজনক ব্যবসা। জাহাঙ্গীর কবির নানক, শামসুল হক টুকু, শামীম ওসমানসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা তখন আইজিডব্লিউ লাইসেন্স নেন। লাইসেন্স নিতে ফি দিতে হয় এবং বিদেশ থেকে আনা কল থেকে আয়ের একটি অংশ বিটিআরসিকে দিতে হয়।
আরও পড়ুন: গুম তদন্ত কমিশনের মেয়াদ বাড়ল আরও সাড়ে ৩ মাস
‘রাজনৈতিক বিবেচনায় লাইসেন্স পাওয়া ব্যক্তিরা বিটিআরসির পাওনা না দিয়ে একপর্যায়ে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন। ছয়টি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিটিআরসি এখনো ৯২১ কোটি টাকার বেশি পাবে। বিটিআরসি নথিপত্র অনুযায়ী, কে টেলিকমের কাছ থেকে পাওনা আদায়ে বিটিআরসি ২০১৪ সালের ২২ জুন মামলা করে। ২০২৩ ও ২০২৪ সালে বিটিআরসি ও পুলিশ যায় নতুন ‘মালিকদের’ বাড়িতে।
শেয়ার হস্তান্তরের মাধ্যমে নতুন ‘মালিক’ হওয়া বগুড়ার আদমদীঘির বাসিন্দা রাকিবুল ইসলাম বলেন, তিনি কীভাবে এই কোম্পানির মালিক হয়েছেন, তা তিনি জানেন না। তিনি ২০০৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ঢাকার সাভারে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেছেন। এখন বগুড়ায় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে সামান্য বেতনে অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করেন।
২০২৪ সালের মে মাসে বিটিআরসি কর্মকর্তারা বগুড়ায় তার বাড়িতে গিয়েছিলেন উল্লেখ করে রাকিবুল বলেন, বিটিআরসির স্যাররা দেখে গেছে আমি কী অবস্থায় থাকি।
তিনি বলেন, তার ধারণা তার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করে এই জালিয়াতি হয়েছে। শুধু এ ঘটনা নয়, তার এনআইডি ব্যবহার করে স্মার্টফোনে আর্থিক সেবার (এমএফএস) হিসাবও খোলা হয়েছিল। সিলেটের গোলাপগঞ্জের সরকারি এমসি অ্যাকাডেমির ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক দেবব্রত চৌধুরীর খোঁজ পেয়ে বিটিআরসি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করায়।
দেবব্রত বলেন, তাকে গ্রেপ্তারের খবরে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে এবং পরদিন তাকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ। তিনি ২০০৩ সাল থেকে এমসি অ্যাকাডেমিতে কর্মরত। সিলেট নগরে দুই কক্ষের একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করেন বলে পত্রিকাটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী সরকারের জুলুমে গোলাম আযম মারা গেছেন: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেছেন, পতিত আওয়ামী সরকারের জুলুমের শিকার হয়ে গোলাম আযম সাহেব মারা গেছেন।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামের জেলা ও মহানগর জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি শামীম ওসমানের উদ্দেশে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের তৎকালীন জামায়াতের আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা করে শহরের এক গডফাদার নারায়ণগঞ্জের সড়কে ৭২ ফুট লম্বা ব্যানার টানিয়েছিলেন।’
‘ডিসি, এসপির উপস্থিতিতে গডফাদার শামীম ওসমান বলেছিলেন আমার বিরুদ্ধে খুনের অগ্রিম মামলা করে রাখেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পতিত আওয়ামী সরকারের জুলুমের শিকার হয়ে গোলাম আযম সাহেব মারা যান।’
তিনি বলেন, ‘গডফাদার আজ কোথায়? নারায়ণগঞ্জে নেই। এতো অহংকার, দাম্ভিকতা ভালো না। সন্ত্রাসকে কখনও প্রশ্রয় দিতে হয় না, না হলে দুনিয়াতেই তার করুণ পরিণতি ভোগ করতে হয়।’
নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমির মুহাম্মদ আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, ঢাকা অঞ্চল দক্ষিণের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসাইন প্রমুখ।
৩৯ দিন আগে
শামীম ওসমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা
দুর্নীতির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা করা হয়েছে।
জালাল উদ্দিন আহাম্মদ বাদী হয়ে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন- শামীম ওসমানে স্ত্রীকে টেলিকমিউনিকেশন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান সালমা ওসমান ও প্রতিষ্ঠানটির এমডি তানভীর আহমেদ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২ কোটি ৫১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৫৮ মার্কিন ডলার (বাংলা টাকায় ১৯৩ কোটি ৯১ লাখ ১৮ হাজার ৬০৩ টাকা) পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
৬২ দিন আগে
শামীম ওসমানসহ ৫৩ জনের নামে হত্যাচেষ্টা মামলা
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে। একই মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে ২০০ থেকে ৩০০ জন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীকে রাখা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামিদের মধ্যে অন্যতম— নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান। এছাড়া মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক শাহ নিজাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি নিক্সন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, মো. আবুল হোসেন তালুকদার নামের এক ব্যক্তি মামলার জন্য নারায়ণগঞ্জ আদালতে আবেদন করেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট রাত ৮টার সময় চিটাগাং রোডের ডাচ বাংলা ব্যাংকের সামনে ছাত্র-জনতা একত্রিত হয়ে আন্দোলন করছিল। তখন ওই আন্দোলনস্থলে বাদী আবুল হোসেন তালুকদারের ছেলেও উপস্থিতি ছিলেন। সেসময় আন্দোলন দমাতে উক্ত মামলার আসামিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করলে বাদীর ছেলে পিঠের বাঁ পাশ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হন।
৬৭ দিন আগে
সিদ্ধিরগঞ্জে জিএম কাদের ও শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা
নারায়ণগঞ্জে সিদ্ধিরগঞ্জে সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুসহ আওয়ামী লীগের ১৪৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়েছে।
এছাড়া মামলায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী আরিফ মিয়া গত শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
অন্য আসামিরা হলেন- সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সাবেক সভাপতি আসিব হাসান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৯ জুলাই সিদ্ধিরগঞ্জের প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালের সামনে ছাত্র-জনতা একত্রিত হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: দুই দিনের অভিযানে ১৭৯৯ মামলা দিল ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ
এ সময় আসামিরা আন্দোলনকারীদের গুলিবর্ষণ শুরু করেন। তখন আরিফ গুলিবিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে ইসলামিয়া হাসপাতালে নিয়ে যান।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, আদালতের নির্দেশ মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
৯৪ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানের নামে হত্যা মামলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কিশোর আদিল হত্যা ও ও তার চাচাতো ভাই আপন আহতের ঘটনায় শেখ হাসিনা, শামীম ওসমান ও অয়ন ওসমানসহ ১৮২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে নিহত কিশোর আদিলের চাচা ও আহত আপনের বাবা নুরুজ্জামান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করে। এসময় অজ্ঞাতনামা ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে টিপু মুনশি
এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ফতুল্লায় ৪ যুবক গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৩০০/৪০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) রাতে এনায়েতনগর মুসলীমনগর এলাকার সুলতান খানের ছেলে রহমান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করে।
চার যুবক হলেন- মানিক (২২), রিপন (৪০), বাঁধন (২০) ও ইমন (১৯)। এদিকে এই দুই মামলায় ৯৭২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত ৪ আগস্ট পঞ্চবটি মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃত্বে শর্টগান, পিস্তল, চাপাতি রাম দা, হকি স্টিকসহ অতর্কিত হামলা চালায় ছাত্রজনতার ওপরে।
সে সময় মামলার এজাহারের ৩ নম্বর আসামি শর্টগান হতে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে এতে ৪ যুবক গুলিবিদ্ধ হয়।
এছাড়াও আসামিদের অস্ত্রের আঘাতে সেখানে আরও ৪০/৫০ জন গুরুতর আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। ঘটনায় ৪ নম্বর আসামি তার অবৈধ পিস্তল দিয়ে গুলি করে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় মির্জা আব্বাসসহ ৫ জন খালাস
গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর মামলায় আরও ৪ জন গ্রেপ্তার
২০০ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে শেখ হাসিনা-শামীম ওসমানসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
রবিবার (১৮ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন নিহত মিলনের স্ত্রী শাহনাজ বেগম।
আরও পড়ুন: জাহিদ মালেক ও কম্পিউটার ওয়ার্ল্ড বিডির চেয়ারম্যান আলী শিকদারের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
নিহত মিলন সিদ্ধিরগঞ্জপুল এলাকায় মাছের ব্যবসা করতেন। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর দুমকী থানার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ঝাটকা গ্রামে।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আমীর খসরু মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় আসামি হিসেবে শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমান ছাড়াও সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৬২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও অনেককে আসামি করা হয় হত্যা মামলাটিতে।
মামলার অন্যতম আসামিরা হলেন- শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমীরে ওসমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, (নাসিক) ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও থানা যুবলীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতি, ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শাহজালাল বাদল, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুর উদ্দিন মিয়া, ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন, ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকনসহ মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজন, আওয়ামী লীগ নেতা জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি খোকন সাহা ও নাররায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ নিজাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মিরপুরে হত্যা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৪৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
২১১ দিন আগে
২০১৪ সালেই জিয়ার ম্যুরাল ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়েছিল: শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ শহরের জিয়া হলে জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভাঙা নিয়ে বিতর্কের প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, ২০১৪ সালেই এটা ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাজউক এটাকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এ কারণেই এটা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘চার তারিখে মিটিং হবে সেখানে এমনি এটা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিন তারিখ কেন ভাঙতে যাব! ওরাই হয়ত এটাকে ভেঙেছে অথবা ভেঙে পড়েছে। ওরা এটা নিয়ে ইস্যু তৈরি করতে চায়।’
শুক্রবার জুমার নামাজের পর নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে এখন আর আমি রাজনৈতিক দল মনে করি না: শামীম ওসমান
শামীম ওসমান বলেন, ‘গতকাল সাংবাদিকের ফোন পেয়ে আমি জেনেছি জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেখানে বিএনপির কিছু নেতা আমাকে দায়ী করেছে। আমি তাদের জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না।’
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙতে চাইলে বহু আগেই ভাঙতাম। দিনের বেলা ভাঙতাম। এর আগেও তো ১৯৮৯ সালে জিয়াউর রহমানকে আটকে দিয়েছি। জীবিত অবস্থায়ই তাকে আটকে দিয়েছি। সুতরাং রাতের বেলা ভাঙার প্রশ্ন আসে না। ওরা এটা করে একটা ইস্যু তৈরি করতে চায় যেন এ কাজটা না হয়।’
বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা বলেছি এখানে একটি মঞ্চ হবে। এখানে ১৯৪৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সব ইতিহাস ধারণ করা হবে।
এ সংসদ সদস্য বলেন, এটা আমাদের কর্তব্য স্মৃতি রক্ষা করা। এখানে কেউ বাধা দিলে আমরা তাদের প্রতিহত করব, মানুষ প্রতিহত করবে।
৬ দফা মঞ্চ তৈরির বিষয়ে শামীম ওসমান বলেন, এ কাজটা হলে নারায়ণগঞ্জে একটা খোলামেলা জায়গা হবে। আশা করি আগামী ১৫ আগস্ট এ মঞ্চ আমরা ওপেনিং করব। আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য নেতা-কর্মীদের নিয়েই এটা ওপেনিং করব।
আরও পড়ুন: ওরা আমাদের দেশকে গাজার মতো বানাতে চায়: শামীম ওসমান
৩৪৭ দিন আগে
বিএনপিকে এখন আর আমি রাজনৈতিক দল মনে করি না: শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, বিএনপিকে এখন আর আমি রাজনৈতিক দল মনে করি না। জামায়াত ১৯৭১ সালে সময় আমাদের মা-বোনের সম্মান নিয়েছে এবং স্বাধীনতার যুদ্ধের বিরোধিতা করেছে। বিএনপি এবার জনগনের বিপরীতে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৩/১৪ সালে বিএনপি মানুষ পুড়িয়েছে, যানবাহন পুড়িয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুড়িয়েছে; ওরা এখনো সংশোধন হয়নি। বিএনপিকে একটা সন্ত্রাসী সংগঠন বলা যেতে পারে। অলরেডি কানাডিয়ান আদালতসহ বিভিন্ন জায়গায় বলা হয়েছে। আমার মনে হয় না এই সন্ত্রাসীদের ডাকে কেউ সাড়া দেবে।
আরও পড়ুন: ওরা আমাদের দেশকে গাজার মতো বানাতে চায়: শামীম ওসমান
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকালে ফতুল্লায় নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালীন সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, নির্বাচন কমিশন বলেছে- কেউ কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারবে না। তবে, আমরা দেখছি বিএনপি নারায়ণগঞ্জে কর্মসূচি পালন করছে। যদি এর চেয়ে বাড়াবাড়ি তারা করার চেষ্টা করে, তাহলে মানুষ কিন্তু জবাব দিয়ে দেবে। বিশেষ করে ট্রেনে আগুন দিয়ে বাচ্চাটাকে মেরে ফেলাটাকে মানুষ স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারেনি। মানুষের মাঝে একটা ঘৃণা জমে গেছে। এই ঘৃণার যদি বহিঃপ্রকাশ ঘটে যায়, বিএনপির জন্য খুব ভয়ানক হবে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে: শামীম ওসমান
তিনি আরও বলেন, বিএনপি যে বাচ্চা-বাচ্চা ছেলেদের দিয়ে এই কাজ করাচ্ছে, আমাদের এদের জন্য মায়া হচ্ছে। কিছুদিন পর তাদের আদালতে গিয়ে দাঁড়াতে হবে। তখন কাঁদবে কিন্তু তার পরিবারের লোকরা, লন্ডনে বসে তারেক রহমান কাদবে না। আমরা কারো সঙ্গে প্রতিহিংসা করতে চাই না, আমরা চাই সবাই ভালো থাকুক।
এসময় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, এমপি শামীম ওসমানের ব্যক্তিগত সহকারী হাফিজুর রহমান মান্নাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হয়তো এটা আমার শেষ নির্বাচন: শামীম ওসমান
৪৫১ দিন আগে
ওরা আমাদের দেশকে গাজার মতো বানাতে চায়: শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, দেশে অনেক ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অনেকে আখড়া করতে চাচ্ছে। যেমনটা ফিলিস্তিনে আখড়া করেছিল। ওরা আমাদের দেশের জায়গা চায়।
তিনি বলেন, আমাদের দেশকে গাজার মতো বানাতে চায়। শেখ হাসিনা একা এগুলোকে মোকাবিলা করছেন। আমাদের সবাইকে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। নয়তো এর আগে ব্রিটিশদের গোলামি করেছি ২০০ বছর। এবার গোলামি থেকে মুক্তি পাবেন না, দেশ ঝাঁঝরা হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: নাসিক নির্বাচন: শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়ায় প্রশংসা শামীম ওসমানের
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের আগে সিদ্ধিরগঞ্জের সাহেবপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তিনি এসব কথা বলেন। পরে তিনি গণসংযোগে অংশ নেন।
তিনি বলেন, আমি গতবারও ভোট চাইনি, এবারও চাইব না। আমি মনে করি আপনার জ্ঞান আমার চেয়ে বেশি। কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ আপনি জানেন। আমার কাজ আমি করে যাব, কবুল করবেন আল্লাহ। পৃথিবীর সব মানুষ আমার পক্ষে থাকলেও আল্লাহ বিপক্ষে থাকলে আমি কিছুই করতে পারব না।
তিনি আরও বলেন, আমরা ১২ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকার কাজ করেছি এই এলাকায়। আমি কিছু করিনি। আল্লাহর হুকুমে শেখ হাসিনার উসিলায় আমরা এগুলো করতে পেরেছি।
আরও পড়ুন: হয়তো এটা আমার শেষ নির্বাচন: শামীম ওসমান
স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে: শামীম ওসমান
৪৫২ দিন আগে