৩১ দফা
প্রতিশোধ নয়, ৩১ দফার মাধ্যমে সংস্কার চায় বিএনপি: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমরা জুলুম করব না, প্রতিশোধ নেব না। আমরা প্রতিশোধ নিতে চাই ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটি আয়োজিত নীলফামারী, রংপুর ও সৈয়দপুর জেলায় রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃত্তি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় লন্ডন থেকে তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য ভাতা প্রদানের উদ্যোগ নেবে। এছাড়া কৃষিকে আধুনিকায়ন ও কৃষকদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হবে। উদ্যোক্তা তৈরির জন্য বিএনপি যুবকদের পাশে থাকবে এবং উদ্যোক্তাদের পণ্য বিদেশি রপ্তানি করা হবে। এরফলে দেশের চাহিদা যেমন মিটবে তেমনি আর্ন্তজাতিক ভাবেও বাংলাদেশ সুনাম অর্জন করবে।’
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের সফলতা অর্জন করতে হলে এখনও অনেক পরিশ্রম করতে হবে। রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হবে। এ দায়িত্ব নিতে হবে জেলা ও উপজেলা বিএনপি নেতাকর্মীদের।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠনে সক্ষম হলে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবো। কেন না আমরা দেশের ২০ কোটি মানুষের সঙ্গে কমিটমেন্ট করেছি। দেশের মানুষের কাছে নেতাকর্মীরা নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে ৩১ দফার কর্মশালার আলোচনা পৌঁছে দিবেন।’
আরও পড়ুন: আ.লীগ কীভাবে রাজনীতি করবে, সেটা নির্ধারণের দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের: রিজভী
১/১১ সময়ের পর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মামলা জুলুম হয়েছে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা জুলুম করবনা, প্রতিশোধ নেবো না। আমরা প্রতিশোধ নিতে চাই ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে। আমরা দেশের জনগণের কাছে রাষ্ট্রের আগামী কাঠামো তুলে ধরব। জনগণ যাতে আগামী দিনে বিএনপির উপর আস্থা রাখতে পারে। তাই জনগণের আস্থা ধরে রাখতে বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।’
জনগনকে সাথে নিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এক কাতারে কাজ করতে নেতাকর্মীদের শপথ নিতে বলেন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, জনগণ আমাদের নির্বাচিত করলে আমরা জনগনের উন্নয়নে ৩১ দফা বান্তবায়ন করতে সক্ষম হবো।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সফলতা অর্জন করতে হলে এখনও অনেক পরিশ্রম করতে হবে। আপনাদের অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। যেকোনো মূল্যে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যারা জনসমর্থনবিরোধী কাজ করবেন, তাদের সরিয়ে দিতে হবে। তা না হলে আমাদের অর্জন বৃথা হয়ে যাবে।’
এর আগে তিনি ভার্চুয়ালি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেওয়া নেতাকর্মী প্রশ্ন ও প্রস্তাবনা শুনে উত্তর দেন। এসময় তারেক রহমান কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়নের পরিকল্পনাগুলো তুলে ধরেন। বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি লোক বেকার। তাই কারিগরি প্রশিক্ষণ, উদ্যোক্তা তৈরি ও বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে প্রাধান্য দিয়ে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকলের নিরাপত্তা দেওয়া হবে।’
এ দিকে সকাল সাড়ে ১০টায় নীলফামারী শিল্পকলা একাডেমিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
এ সময় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জবি উল্লাহ, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদা বেগম হিরা, কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা, স্থানীয় সরকারবিষয়ক সহসম্পাদক শাম্মী আক্তার, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সংস্কৃতি ও খেলাধুলাকে প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে: তারেক রহমান
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন নীলফামারী জেলা বিএনপির সভাপতি আ. খ. ম আলমগীর সরকার ও সঞ্চাললনা করেন সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম। কর্মশালায় অংশ নেন জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের প্রায় ৬ শতাধিক নেতা।
১১ দিন আগে
৩১ দফা বাস্তবায়নেই হবে জুলুম-নির্যাতনের প্রতিশোধ: তারেক রহমান
৩১ দফা পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সব জুলুম-নির্যাতনের প্রতিশোধ হবে বলে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেছেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধ গ্রহণ করা যাবে না। আমরা বাংলাদেশের মানুষের জন্য ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সব প্রতিশোধ নেব। আমি মনে করি, ৩১ দফার বাস্তবায়নই বড় প্রতিশোধ। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সবচেয়ে বড় দল বিএনপি। এজন্য আমাদের দায়িত্ব অন্য দলগুলোর চেয়েও বেশি।’
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ, যশোর ও নড়াইল জেলা বিএনপি আয়োজিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক কর্মশালায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেওয়া বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা স্থানীয় জোহান ড্রিম ভ্যালি মিলনায়তনে কর্মশালায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: তারেক রহমানের চার মামলা বাতিলের রায় বহাল
তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপির ৩১ দফা কেবল দেশ ও দেশের মানুষের জন্য। ৩১ দফার মাধ্যমে দেশের মানুষের শুভ পরিবর্তন ঘটাতে চাই, যেটি মানুষ প্রত্যাশা করে। এজন্য জনগণের আস্থা ধরে রাখার জন্য নিজেদের পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের মন-মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। তাই আমাদের ভাবনায় শুধুই জনগণ, জনগণ ও জনগণ। শুধু তাই নয়, এই ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা সব জুলুম-নির্যাতনের প্রতিশোধ নেব।’
তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের আমলে ১৬ বছরে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা খুন-গুম, হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। দেশ ও দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কর্মীরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। জনগণের একটি বিশাল অংশ বিশ্বাস করে—আগামীতে দেশের যদি ভালো কিছু হয়, সেটা বিএনপিকে দিয়েই হবে।’
‘শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশ গঠনে নিজেই মাঠঘাটে হেঁটে হেঁটে কাজ করেছেন। আমরা শহিদ জিয়ার সেই নীতি নিয়ে কাজ করতে চাই।’
আগামী নির্বাচনে রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে হলে বিএনপির সব নেতা-কর্মীকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে জানিয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘সামনের পথ মোটেও মসৃণ নয়। পলাতক স্বৈরাচার চুরি, দুর্নীতি, লুটপাট করে সব সাফ করে দিয়ে গেছে। বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসন, পুলিশসহ রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান ভেঙেচুরে ধ্বংস করে দিয়েছে। আগামীতে যে দল দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাবে তাদের অনেক কষ্ট করতে হবে।’
‘দেশের মানুষ যদি আমাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়, এই কষ্টকে আমরা হাসিমুখে সহজ করে নিতে পারব, যদি আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি। বড় দল হিসেবে বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীকে যেমন ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, তেমনি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে একসঙ্গে সংগ্রাম করা, নির্যাতন, জেল, জুলুম সহ্য করা রাজনৈতিক দলগুলোকেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
৩১ দফার মাধ্যমে দেশের শুভ পরিবর্তন ঘটাতে হবে। কোনো জাদু বা ম্যাজিকের মাধ্যমে এই পরিবর্তন হবে না মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, ‘এই পরিবর্তনের জন্য বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীকে প্রস্তুত হতে হবে, মন-মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।’
দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহল প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। দেশের ভিতরে ও বাইরে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। কারণ, বিএনপি জনগণের দল। নিজেদের জনগণের আস্থায় নিয়ে যেতে হবে। নিজেদের শুধরাতে হবে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘হাসিনা সরকারের প্রশ্রয়ে কিছু মানুষ ঋণের নামে ব্যাংকগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। বর্তমান সরকার কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। বড় চ্যালেঞ্জ জনগণ ও গ্রাহকের আস্থা অর্জন করা। আমরা বিশ্বাস করি, ব্যাংকিং খাতে আস্থা ফেরাতে সরকার কাজ করবে। আমরাও এটা নিয়ে কাজ করব।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে প্রতিটি পরিবারে একটি করে ফ্যামিলি কার্ড দেব। যে কার্ডের মাধ্যমে দেশে উৎপাদিত পণ্য প্রতিটি পরিবারের মাঝে যেন পৌঁছে দিতে পারি।’
আরও পড়ুন: ৩১ দফা শুধু বিএনপির নয়, এটা সব দলের: তারেক রহমান
‘আমাদের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ নারী। নারীদের সুরক্ষার জন্য দলীয়ভাবে আমরা সর্বোচ্চ উদ্যোগ নেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘পলাতক স্বৈরাচার ইচ্ছাকৃতভাবে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। এর পেছনে পার্শ্ববর্তী একটি দেশের স্বার্থ জড়িত ছিল। আমরা স্বাস্থ্য খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেব।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির আয়োজনে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু।
এছাড়া ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মুন্সি কামাল আজাদ পান্নুর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক ড. মোরশেদ হাসান খান, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য ব্যারিস্টার মীর মো. হেলাল উদ্দিন, মো. আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, ফারজানা শারমিন পুতুল, বিএনপির সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ঝিনাইদহ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৯৫ দিন আগে
৩১ দফা শুধু বিএনপির নয়, এটা সব দলের: তারেক রহমান
৩১ দফা শুধু বিএনপির নয়, এটা সব দলের জন্য বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ জাতীয়তাবাদী দলের ওপর আস্থা রাখতে চাচ্ছে। মানুষের এই আস্থা কেউ নষ্ট করলে, তাকে দলে রাখা সম্ভব হবে না।’
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বাগেরহাট শহরের জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘সমাজে ভালো-খারাপ দুই ধরনের মানুষই আছে। যে খারাপ, তার সঙ্গে আমরা সম্পর্ক রাখতে চাই না।’
৩১ দফা জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে হলে, দুটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে—রাজনৈতিক অধিকার ও সব শ্রেণির মানুষের অর্থনৈতিক অধিকার। আর এসব অধিকার বাস্তবায়নে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে কাজ করছে বিএনপি। ফলে জনগণের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।’
৯৬ দিন আগে
রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা নিয়ে বিএনপির উঠান বৈঠক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি-ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি কর্মসূচি নিয়ে তারেক রহমানের নির্দেশে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় উঠান বৈঠক হয়েছে।
গত ২৮ ডিসেম্বর (শনিবার) উপজেলার ৭ নম্বর মুছাপুর ইউনিয়নে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে এই কর্মসূচি শুরু হয়। ওইদিন ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রমজান সারেংয়ের বাড়িতে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এসব বৈঠকে দেশ গঠনে বিএনপির আগামী দিনের কর্মসূচি এবং দলের নেতৃত্বে কীভাবে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে তার একটি চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে।
একইসঙ্গে বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও নোয়াখালী-৫ আসনে বিএনপির সাংগঠনিক সমন্বয়ক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ উপজেলার শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র করেন।
সপ্তাহব্যাপী এই কর্মসূচিতে অন্তত ৩০টি স্থানে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয় বলে স্থানীয় নেতারা জানান।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে শরিকদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ বলেন, ‘তারেক রহমানের নির্দেশে প্রান্তিক জনগণকে বিএনপির কর্মসূচি সম্পর্কে অবহিত ও জনমত গঠনের লক্ষ্যে এই কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। গ্রামের সাধারণ মানুষের বাড়ির উঠানে গিয়ে এই বৈঠক করা হচ্ছে। এতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারীও অংশ নিচ্ছেন।’
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উঠান বৈঠকের কার্যক্রম অন্যান্য নির্বাচনি এলাকায়ও শুরু হবে।
১২০ দিন আগে
রাষ্ট্র পুনর্গঠনে বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখা ঘোষণা
বিএনপি তাদের এক দফা দাবি ঘোষণার একদিন পর সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার ‘সংস্কার’ এবং অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৩১ দফা রূপরেখা উন্মোচন ঘোষণা করেছে।
বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ৩১ দফা রূপরেখা তুলে ধরেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে যেসব দল আমাদের সঙ্গে আন্দোলন করছে তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই রূপরেখা প্রণয়ন করেছি। বিএনপির পক্ষ থেকে আমি এটা জাতির সামনে তুলে ধরতে চাই।’
বিএনপি নেতা বলেন, ঐতিহাসিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য তারা বুধবার রাজধানীতে তাদের সমাবেশ থেকে এক দফা দাবি ঘোষণা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধুমাত্র নির্বাচন ও শাসন পরিবর্তনের জন্য নয় বরং রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সামগ্রিক গুণগত পরিবর্তন এবং দেশকে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য আমরা এখন ৩১-দফা রূপরেখা ঘোষণা করছি।’
আরও পড়ুন: সমাবেশ স্থলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঢল
ফখরুল বলেন, এই রূপরেখা জাতির জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ,’ কারণ, এতে দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে তাদের দলের প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ গঠিত হয়েছিল। ‘তারা (জনগণ) এখন দেশের মালিকানা হারিয়েছে।’
আরও পড়ুন: সরকার পতনে ‘এক দফা’ দাবি ঘোষণা ফখরুলের
তিনি বলেন, ‘বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংস করে দিয়েছে।এই রাষ্ট্রটি মেরামত এবং পুনর্নির্মাণ করা দরকার।’
ফখরুল বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে জয়লাভের পর দেশের জনগণের মালিকানা পুনরুদ্ধারের জন্য চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যমতের একটি জনকল্যাণমুখী সরকার গঠন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অতীতের নৈরাজ্যের জন্য বিএনপি দায়ী: তথ্যমন্ত্রী
৬৬১ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রীর ৩১ দফা মেনে চলতে কাদেরের আহ্বান
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শুক্রবার করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দলীয় নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩১ দফা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
১৮৫৭ দিন আগে