পরিস্থিতি
অন্য রাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মতো পরিস্থিতি দেশে তৈরি হয়নি: রিজওয়ানা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশে এমন কোনো পরিস্থিতি নেই যাতে কোনো বিদেশি রাষ্ট্র বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, অন্য কোনো বিদেশি রাষ্ট্র এধরনের বিধিনিষেধমূলক ব্যবস্থা নেয়নি।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, 'আমি মনে করি না বাংলাদেশে এমন কোনো পরিস্থিতি আছে যেখানে কোনো বিদেশি রাষ্ট্র বাংলাদেশিদের জন্য তাদের ভিসা দেওয়া আটকাবে, কোনো দেশ তা করেনি।’
আরও পড়ুন: কানাডার সঙ্গে সেনাপ্রধানের বৈঠকে ভিসা সহজীকরণ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় গুরুত্ব
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার অবশ্যই ভারতের সঙ্গে ভালো ও দৃঢ় সম্পর্ক চায়, তবে যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটা গুরুত্বপূর্ণ যে উভয় পক্ষ একে অপরের কথা শোনে এবং একে অপরকে 'বোঝে'।
উপদেষ্টা বলেন, প্রকৃত সত্য হলো বাংলাদেশের জনগণ ভারতে ভিসা সংক্রান্ত সীমিত নীতি অনুসরণ করায় ভারতের প্রতি 'অসন্তুষ্ট' এবং এটি অবশ্যই ভারত সরকার শুনেছে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ভারত স্পষ্টভাবে যা বলে আসছে তা তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, 'আমি মনে করি না বাংলাদেশে এমন কোনো পরিস্থিতি আছে যেখানে অন্য কোনো দেশ বাংলাদেশিদের জন্য তাদের ভিসা আটকাতে পারবে, কারণ অন্য কোনো দেশ তা করেনি।’
তবে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন শুধু জরুরি চিকিৎসা ভিসা দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইতালির ভিসা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে, আশা উপদেষ্টা তৌহিদের
রিজওয়ানা বলেন, বাংলাদেশ সরকারের জন্যও এটা লক্ষ্য করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, যারা শিক্ষার্থী ও জনগণের ওপর নৃশংসতা চালিয়েছে তাদের অনেকেই ভারতে রয়েছেন বলে জানা গেছে। ‘তারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে।’
ভারত পুনর্বিবেচনা বা পুনরায় ভাবতে পারেন উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘সম্ভবত,পরিস্থিতি বদল বলতে ভারত হয়তো এটাই বোঝাতে চাইছে। আমরা জানি না। কারণ অন্য কোনো দেশ- সেটা যুক্তরাষ্ট্র, জাপান বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন যেই হোক না কেন- বাংলাদেশের জন্য ভিসা নীতিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেনি।’
সংখ্যালঘু ইস্যু সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সরকার তাদের দাবি শুনেছে এবং দুর্গাপূজায় দুই দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে।
রিজওয়ানা বলেন, 'আমরা সুস্পষ্টভাবে বলেছি, বিভিন্ন বিষয়ে সংলাপ ও আলোচনার জন্য আমাদের দরজা সব সময় খোলা।’
তিনি বলেন, তারা যদি রাজপথে আন্দোলনের পথ বেছে নেয় তবে এটি ইঙ্গিত দেয় যে এখনও আরও সংলাপ এবং আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো কিছুর সুরাহা করা সম্ভব।
রিজওয়ানা বলেন, তিনি মনে করেন না যে রাস্তায় বিক্ষোভের প্রয়োজন আছে এবং যদি কোনো সমাধান আসতে হয় তবে তা বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে আসতে হবে এবং অন্য কোনো সরকার এটি করতে সক্ষম হবে না। 'আমাদের দরজা সব সময় খোলা'
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম ও প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিকে আইনি নয়, রাজনৈতিক হিসেবে দেখছে সরকার: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
৪ সপ্তাহ আগে
শ্রমিক অসন্তোষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে: সচিব
শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ‘শ্রমিক অসন্তোষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আশা করছি সবাই শান্ত হবে।’
সচিব বলেন, ‘মালিক ও শ্রমিকপক্ষ সবাইকে অন বোড করে আমরা এটা নিরসন করব।’
আরও পড়ুন: ডিসি নিয়োগে হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলা করায় ১৭ উপসচিবকে শাস্তির সুপারিশ
বুধবার (২ অক্টোবর) সচিবালয়ে শিশুশ্রম প্রতিরোধ নিয়ে আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ কথা বলেন।
তিন দিন ধরে আশুলিয়ায় শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ প্রসঙ্গে সচিব বলেন, ‘আমরা প্রতিটি জিনিসই অ্যাড্রেস করছি। সেখাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সবাই আমরা মনিটর করছি।’
শিশুশ্রম শূন্যে নামিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘এটার জন্য আমরা সংলাপ করছি। প্রধান উপদেষ্টার একজন বিশেষ দূত আমার এখানে আসবেন। এটা কীভাবে দ্রুত নিরসন করা যায়, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: জনগণের অর্থের সঠিক ব্যবহারে গতিশীলতা বৃদ্ধি ও ব্যয় সংকোচনে মনোযোগী হতে হবে: সচিব
গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় চীনের মেডিকেল টিম সন্তুষ্ট: সচিব
১ মাস আগে
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে দিনরাত পরিশ্রম করছি: প্রধান উপদেষ্টা
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দিনরাত পরিশ্রম করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছরের বেদনা জানিয়ে তার প্রতিকার পেতে কিছু মানুষ প্রতিদিন ঘেরাও কর্মসূচি দিচ্ছেন। তারা আমার আহ্বানে সাড়া দিলেও আবারও তাদের কর্মসূচি দিয়ে যাতায়াতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছেন। ব্যাঘাত সৃষ্টি থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি।
ইউনূস বলেন, ‘আমি কথা দিচ্ছি আপনাদের ন্যায্য আবেদনের কথা ভুলে যাব না। আমরা সব অন্যায়ের প্রতিকারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আমাদের দায়িত্বকালে যথাসম্ভব সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’
আরও পড়ুন: গণ-অভ্যুথানে সব শহীদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে: অধ্যাপক ইউনূস
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, তৈরি পোশাক, ওষুধ শিল্প এসব এলাকায় শ্রমিক ভাইবোনেরা তাদের অভিযোগ জানানোর জন্য ক্রমাগতভাবে এই শিল্পের কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধ রাখতে বাধ্য করছেন। এটা আমাদের অর্থনীতিতে যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে সেটা মোটেই কাম্য নয়।
তিনি বলেন, ‘এমনিতেই ছাত্র-শ্রমিক জনতার বিপ্লবের পর যে অর্থনীতি আমরা পেয়েছি সেটা নিয়ম নীতিবিহীন দ্রুত ক্ষীয়মাণ একটা অর্থনীতি। প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। আমরা এই অর্থনীতিতে প্রাণ সঞ্চারের চেষ্টা করছি।’
এই সময়ে আমাদের শিল্প কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে গেলে, অকার্যকর হয়ে গেলে দেশের অর্থনীতিতে বিরাট আঘাত পড়বে বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, শ্রমিক ভাইবোনদের দুঃখ প্রকাশ করতে গিয়ে আপনাদের মূল জীবিকাই বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে সেটা ঠিক হবে না। দেশের অর্থনীতি ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে সেটা ঠিক হবে না। মালিক-শ্রমিক উভয় পক্ষের সঙ্গে আলাপ করে এসব সমস্যার সমাধান আমরা অবশ্যই বের করব।
শ্রমিকদের উদ্দেশে ইউনূস বলেন, আপনারা কারখানা খোলা রাখুন। অর্থনীতির চাকা সচল রাখুন। দেশের অর্থনীতিকে সোজা হয়ে দাঁড়াতে দিন। আমরা আপনাদের সমস্যার স্থায়ী সমাধান বের করার জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করব। অর্থনীতির দুর্বল স্বাস্থ্যকে সবল করে তুলতে মালিক পক্ষকে শ্রমিকদের সঙ্গে বোঝাপড়া করে কারখানা সচল রাখার আহ্বান জানান তিনি।
ওষুধ শিল্প ও তৈরি পোশাক শিল্প দেশের গৗরব উল্লেখ করে এই দুই শিল্পকে তাদের সম্ভাব্য শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার আশা প্রকাশ করেন ড. ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘এই দুই শিল্পের কোথায় কোথায় বাধা আছে, সমস্যা আছে সেগুলো চিহ্নিত করে তাকে বাধা মুক্ত করতে চাই। আমরা বিদেশি ক্রেতাদের একত্রিত করে তাদের সহযোগিতা চাইব যেন বাংলাদেশের এই শিল্প দুটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের চাইতে বেশি আস্থাশীল হয়ে উঠতে পারে।’
আরও পড়ুন: দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে: ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূতকে অধ্যাপক ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সরকারের প্রথম মাস কাটল। দ্বিতীয় মাস থেকে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার ভিত্তি হিসেবে নতুন শ্রমিক-মালিক সম্পর্কের সূচনা করতে চাই। এটা দেশের সবার কাম্য। দেশের নতুন প্রজন্ম নির্ভয়ে যেন তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।
ড. ইউনূস বলেন, ন্যায়ভিত্তিক একটি সমাজ গড়ে তুলতে একসঙ্গে অনেকগুলো কাজে আমাদের হাত দিতে হবে। ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনকে দমন করতে যেসব ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছিল এরমধ্যে হত্যা মামলা ছাড়া বাকি প্রায় সব মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার সবাই মুক্তি পেয়েছেন।
তিনি বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের শুরুতেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিচার বিভাগের বড় সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছে। যোগ্যতম ব্যক্তিকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়াতে মানুষের মনে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। আপিল বিভাগের বিচারপতি নিয়োগ, অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগসহ অনেকগুলো অতি গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ এবং অন্যান্য নিয়োগ সবকটাই সম্পন্ন হয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সন্ত্রাস দমন আইন ও ডিজিটাল/সাইবার নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হচ্ছে। সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ বাংলাদেশে বিদ্যমান সব কালো আইন বাতিল ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধন করা হবে। সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডসহ বহুল আলোচিত ৫টি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও বিচার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ও দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তির জন্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: 'মর্যাদাপূর্ণ ও অনন্য' বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান ইউনূসের
২ মাস আগে
বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে বাইডেন-মোদির আলোচনা, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় গুরুত্বারোপ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
দুই নেতা দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
সোমবার (২৬ আগস্ট) ফোনালাপে মোদী ও বাইডেন ইউক্রেন ও কোয়াড ইস্যু নিয়েও আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ফারাক্কা বাঁধের গেট খুলে দেওয়ার গুজব ও ভুয়া ভিডিও প্রত্যাখান দিল্লির
তারা ইউক্রেন পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে বিস্তারিত মতবিনিময় করেন।
মোদি বলেন, 'আমি শান্তি ও স্থিতিশীলতা দ্রুত ফিরিয়ে আনতে ভারতের পূর্ণ সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছি।’
আরও পড়ুন: ভারতীয় ভিসা সেন্টারে বিক্ষোভ: নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি ভারতের
২ মাস আগে
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির মধ্যেই কারফিউ আরোপ: আইএসপিআর
দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির হওয়ায় রবিবার (৪ আগস্ট) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। রবিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
জনসাধারণের নিরাপত্তা এবং গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোর সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাংলাদেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে।
এই সময়ে জনসাধারণকে কারফিউ মেনে চলতে এবং কর্তৃপক্ষকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছে আইএসপিআর।
৩ মাস আগে
এই মূহুর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো পরিস্থিতি নেই: শিক্ষামন্ত্রী
এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো পরিস্থিতি নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
সোমবার (২৯ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম ইস্যুতে শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী একথা বলেন।
এদিনও কিছু শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমেছে, এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।’
আরও পড়ুন: আগামী বছর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা এগিয়ে নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
‘এই মহূর্তে সেই পরিস্থিতি তো নেই। আর আপনারা যেমনটি বলছেন- কয়েকজন নেমেছে। কয়জন নেমেছে বা কী হয়েছে- সে ব্যাপারে এই মুহূর্তে আমাদের কাছে তথ্য নেই। তথ্য পেলে আমরা জানাতে পারব।’
প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে মন্ত্রিসভায় কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে সাংবাদিকদের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এটা নিয়ে আমি এখন কোনো মন্তব্য করব না। মন্ত্রিসভায় কী আলোচনা হয়েছে, সেটি নিয়ে বাইরে আলোচনা করা যায় না।’
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যান দেশের ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ডাকে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
এর আগে, এই ইস্যুতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে তাদের বৈঠকও হয়। কিন্তু সে বৈঠকে সমাধান না আসায় আন্দোলন চালু রাখেন তারা।
আরও পড়ুন: পেনশন ইস্যুতে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষকরা
নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
৩ মাস আগে
আবারও বাড়ছে যমুনার পানি, সিরাজগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি অবনতি
উজানের ঢল ও বর্ষণে আবারও যমুনার পানি বাড়তে শুরু করেছে। ফলে সিরাজগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি ১২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে রাতভর দফায় দফায় বৃষ্টি ও উজানের ঢলে যমুনার পানি আবারও বাড়ছে। এতে নদীর তীরবর্তী চৌহালী, বেলকুচি, শাহজাদপুর, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল আবারও বন্যার কবলে পড়েছে। বন্যার পানিতে লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলের অনেক পরিবার স্থানীয় ওয়াপদা বাঁধ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। পানি বাড়তে থাকায় বন্যাকবলিত মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে তৃতীয় দফায় বন্যা, লাখো মানুষ পানিবন্দি
স্থানীয়রা জানান, নদীর তীরবর্তী চৌহালী, বেলকুচি, শাহজাদপুর, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে বহু ঘরবাড়ি, গাছপালা ও জায়গাজমি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। বিশেষ করে চৌহালী উপজেলার ভূতের মোড় থেকে ময়নাল সরকারের কবরস্থান পর্যন্ত তীব্র ভাঙনে কবলে পড়েছে।
এছাড়া কাজিপুর উপজেলার খাসরাজবাড়ি, তেকানী, নিশ্চিন্তপুর, চরগিরিস, শাহজাদপুর উপজেলার হাটপাচিল, জালালপুর, কৈজুড়ী ও সদর উপজেলার চরাঞ্চলে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এদিকে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ও বিষয়টি স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (হেডকোর্য়াটার) নাজমুল হাসান বলেন, ‘যমুনায় পানি আবারও বাড়ছে। এতে নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই এ ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নজর রাখছেন।’
জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান বলেন, ‘যমুনায় আবারও পানি বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১২ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে স্থানীয় এমপি, ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যাকবলিত এলাকার বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন।’
আরও পড়ুন: যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বৃদ্ধি, বন্যার আশঙ্কা
৪ মাস আগে
গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি
বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে গাইবান্ধা সদর উপজেলাসহ ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ২৯টি ইউনিয়নের ৬৭ হাজার ৭২৯ পরিবার।
বন্যার পানিতে ডুবে গেছে পাট, আউশ ধান ও আমন বীজতলাসহ আড়াই হাজার হেক্টরের অধিক জমির ফসল। ভেসে গেছে পুকুর ও মাছের ঘের।
পানি ওঠায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ৭০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি অর্ধলক্ষেরও বেশি মানুষ
গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, শনিবার ৬টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৮৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অন্যদিকে করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালি পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ সেন্টিমিটার বাড়লেও বিপৎসীমার ১৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গাইবান্ধার যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি অস্বাভাবিক হারে বেড়ে চার উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী নতুন-নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
পানিবন্দি এসব এলাকার মানুষ শিশু, বৃদ্ধ ও গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। বড় আকার ধারণ করেছে গো-খাদ্যসহ বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: চলমান বন্যায় ১৫টি জেলার ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত: দুর্যোগমন্ত্রী
জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, গাইবান্ধার সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন, সুন্দরগঞ্জের ৯টি, সাঘাটার ৮টি ও ফুলছড়ি উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে গেছে।
এই ২৯ ইউনিয়নে পানিবন্দি রয়েছে ৬৭ হাজার ৭২৯টি পরিবার।
তবে স্থানীয়দের দাবি বাস্তবে পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা আরও বেশি। পানিবন্দি এসব মানুষের জন্য স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে মোট ১৮১টি আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে সাঘাটা উপজেলায় রয়েছে ৩৬টি, সুন্দরগঞ্জে ৪৮টি, ফুলছড়িতে ২৩টি, সদরে ২৪টি, সাদুল্যাপুরে ৩৩টি, পলাশবাড়ীতে ৬টি ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ১১টি আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা রয়েছে।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, ‘চলমান বন্যায় ৪ উপজেলায় ২ হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমির আউশ ধান, পাট, ভুট্টা, বীজতলা ও শাকসবজি পানিতে ডুবে গেছে। দ্রুত পানি নেমে গেলে ক্ষতি কম হবে। অন্যথায় ফসল পচে নষ্ট হয়ে যাবে।’
গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, ‘টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে জেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল বলেন, ‘এ পর্যন্ত সদরসহ চার উপজেলার বন্যার্ত মানুষের মাঝে ৩ হাজার ৫০ প্যাকেট শুকনা খাবার, ১৬৫ টন জিআর চাল (প্রাকৃতিক দুর্যোগ), ১০ লাখ টাকা জিআর নগদ চারটি উপজেলায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২৬৫ টন জিআর চাল মজুদ রয়েছে।
৪ মাস আগে
উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে: এফএফডব্লিউসি
বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি)।
এতে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ জেলায় যমুনা নদীর পানি কিছুটা বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
এছাড়া কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির সামান্য অবনতি হতে পারে।আরও পড়ুন: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ১৬
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকতে পারে। একই সঙ্গে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, ভূগাই ও কংশ নদীতে পানি কমছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা কুশিয়ারা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও এর উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত এবং আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।আরও পড়ুন: সিলেটে তৃতীয় দফা বন্যায় পানিবন্দি ৭ লাখ মানুষ
৪ মাস আগে
লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও ভোগান্তি এখনো কমেনি তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের মানুষের।
কয়েক দিন ধরে তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় শনিবার সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার এবং সকাল ৯টায় আরও কমে তা ৫৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় বিদ্যুৎহীন সিলেটের ১২ হাজার গ্রাহক
গত বুধবার সকালে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়ে তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে স্বল্প বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে শুক্রবার সকাল থেকে পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।
সদর উপজেলার গোকুন্ডা, কালমাটি, আদিতমারী উপজেলার গোবর্ধন, চর এলাকা ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের অনেক বাড়ি-ঘরে এখনো পানি রয়েছে। পানিতে ডুবে আছে আমন ধানের বীজতলাসহ অনেক ফসলি জমি।
এদিকে নদীর চর ও নিম্নাঞ্চলে পানিতে তলিয়ে যাওয়া রাস্তা জেগে উঠলেও জমে আছে কাদামাটি। ফলে এখনো যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি।
কিছুটা উঁচু বাড়িঘর থেকে পানি নেমে গেলেও ঘরে বাইরে জমে আছে কাদামাটি। ফলে তাদের চলাচলে কষ্ট হচ্ছে। এখনো অনেক বাড়িতে নলকূপ, টয়লেট পানিতে তলিয়ে আছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের নদীসমূহের পানি সমতলে হ্রাস পেতে পারে।
এছাড়া আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় পানি বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানান লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী।
আরও পড়ুন: সিলেট-সুনামগঞ্জ-হবিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
সিলেটের বন্যায় সাড়ে ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দি
৪ মাস আগে