মোকাবিলা
আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে: মান্না
তিনি বলেন, পালানোর পর থেকে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। কোনোভাবেই স্বাধীনতা নস্যাৎ করতে দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মান্না
শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে বগুড়া শহরের সাতমাথায় নাগরিক ঐক্য আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার অনেক ভালো কাজ করছে। কিন্তু বেশিদিন ক্ষমতা ধরে রাখা যাবে না। অবিলম্বে নির্বাচন দিয়ে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
মান্না আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষিত নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ক্ষমতায় থেকে তারা লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।
তিনি বলেন, মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা আয়নাঘর বানিয়ে মানুষের ওপর অমানবিক নির্যাতন করেছে। আমরা শেখ হাসিনার মতো আর কোনো স্বৈরাচার সরকার চাই না। সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
স্থানীয় নেতা মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, সদস্য আব্দুর রাজ্জাক শাফি, পিয়ার হোসেন, সাইদুর রহমান, মোহাম্মাদ আলী, আবুল কালাম আজাদ, মামুন, সাত্তার, পপি, শামীম, রফিকুল প্রমুখ।
আরও পড়ুন: রোজিনা ইসলাম ও মান্নার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা হবে: আইন উপদেষ্টা
২ সপ্তাহ আগে
চট্টগ্রামে বন্যাপরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি: উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর অধিকাংশই চট্টগ্রামে। তাই চট্টগ্রামে বন্যাপরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি।
তিনি বলেন, বন্যাপরবর্তী চ্যালেঞ্জও আমাদের মোকাবিলা করতে হবে৷ এছাড়া বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা সক্ষম হয়েছি৷
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় এবং জেলাধীন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল সংস্থার বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: ‘আপনাদের দেখে যেন করদাতারা ভয় না পায়’: কর কর্মকর্তাদের প্রতি অর্থ উপদেষ্টা
চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি সরবরাহ নিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসা নগরের ৯০ ভাগ লোকের জন্য পানি সরবরাহ করছে। বাকি ১০ ভাগ লোককেও পানি সরবরাহের আওতায় দ্রুত নিয়ে আসতে হবে। শুধু পানি সরবরাহ করলেই হবে না, পানির বিশুদ্ধতাও নিশ্চিত করতে হবে। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য যেসব পন্থা অবলম্বন করা দরকার, তা করতে হবে।
সমবায় সমিতিগুলো নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রামসহ দেশের সমবায় সমিতিগুলোর অন্তর্কোন্দল অনেক বেশি। উচ্চ আদালতের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের মামলা হচ্ছে সমবায় সমিতিগুলোর। যে সমিতি তিন বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয়, দেখা যায় এই মামলাগুলোর কারণে তারা ৫ থেকে ১০ বছর মেয়াদ পর্যন্ত থেকে যায়। যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সমবায় সমিতিগুলো প্রতিষ্ঠা হয় এসব দ্বিধাবিভক্তি এবং অন্তর্দ্বন্দ্বের জন্য সেসব থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়।
ঘাটের ইজারা নিয়ে জেলা পরিষদ এবং বিআইওডব্লিউটিএর দ্বন্দ্ব নিরসনকল্পে উপদেষ্টা বলেন, ঘাটের ইজারা নিয়ে জেলা পরিষদ এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের দ্বন্দ্ব প্রায়ই লক্ষ্য করা যায়।
তিনি বলেন, অনেক সময় এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ নিতেও দেখা যায়। ঘাটের ইজারা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি জাতীয়ভাবে পলিসি থাকা দরকার। তাহলে এলাকাভিত্তিক দ্বন্দ্বগুলোও নিরসন হবে।
প্রয়োজনে ঘাট ইজারা প্রদানের ক্ষেত্রে একটি আইনও করা যেতে পারে বলে জানান উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলামের সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আলী আখতার হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম কামরুজ্জামান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিপ্রাপ্তদের তালিকা প্রস্তুত হচ্ছে: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা
দেশে সারের কোনো সংকট নেই: কৃষি উপদেষ্টা
২ মাস আগে
আন্ডার গ্রাউন্ডে গেলে জামায়াত-শিবির মোকাবিলার প্রস্তুতি আছে: আইনমন্ত্রী
নিষিদ্ধের পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও দলটির ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে মোকাবিলার প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তারা আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে যেতে পারে। আন্ডার গ্রাউন্ডে অনেক দল গেছে। অনেক দলের কী হয়েছে, সেটা আপনারা জানেন। তবে সেটাকে মোকাবিলা করার প্রস্তুতি আমাদের আছে।'
আরও পড়ুন: ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তি পেলেন কোটা আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক
এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনও আমরা সংশোধন করার ব্যবস্থা করেছি। নিষিদ্ধ করার পরেও তাকে শাস্তি দেওয়া যাবে না এমনটি নয়। হয়তো নিষিদ্ধ করার বিষয়টি আর সাজার মধ্যে আসবে না।
দলটির সম্পদের বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, সেগুলোরও ব্যবস্থা হবে। সেটা আইনে আছে।
দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই দলের অধীনে তারা রাজনীতি করতে পারবে না। বাংলাদেশের কোনো আইনে তারা অপরাধ করলে সেটার বিচার হবে। আপনারা যদি বলেন গণহারে যারা জামায়াত ইসলামীর নতুন কর্মী রয়েছেন, ১৯৭১ এর পরে যারা জন্ম নিয়েছেন তাদের বিচার করা হবে- এরকম গণহারে বিচার করা হবে না।'
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করল সরকার
৩ মাস আগে
জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ফ্রান্স-বাংলাদেশ অভিযোজন চুক্তি: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তনের জরুরি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য ফ্রান্স-বাংলাদেশ অভিযোজন চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, এ যৌথ উদ্যোগ বাংলাদেশের অভিযোজন কৌশলকে ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি জলবায়ু সহনশীল প্রকল্পগুলোর জন্য অতিরিক্ত তহবিল নিশ্চিত করবে।
আরও পড়ুন: বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিতে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
রবিবার (৭ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুইয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠককালে এসব কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী।
বৈঠকে ফ্রান্স-বাংলাদেশ অভিযোজন চুক্তি চূড়ান্তকরণে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। মন্ত্রণালয়ের পক্ষে জাতীয় অগ্রাধিকারগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বরাদ্দ বিভাজনের অনুরোধ জানানো হয়। বাস্তবায়ন পর্যায়ে বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে ফরাসি প্রতিনিধি দল।
চুক্তির সময়সীমা সেপ্টেম্বর ২০২৩ থেকে আগস্ট ২০২৮ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
আলোচনায় একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যযুক্ত সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রোগ্রামের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
২০২৪ সালের জন্য ৪ মিলিয়ন ইউরোর প্রথম কিস্তি নিশ্চিত করতে ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা মন্ত্রণালয়কে আনুষ্ঠানিক প্রকল্প জমা দেওয়ার অনুরোধ করে। প্রাথমিক তহবিল পেতে ন্যাপের 'ইকোসিস্টেম, ওয়েটল্যান্ড ও জীববৈচিত্র্য' খাতের অধীনে প্রকল্প ধারণা জমা দেবে মন্ত্রণালয়।
বৈঠকে সুন্দরবন পুনরুদ্ধার ও সুরক্ষার লক্ষ্যে প্রকল্পগুলোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে ম্যানগ্রোভ রোপণ এবং কমিউনিটিভিত্তিক বন অগ্নি ব্যবস্থাপনা।
এছাড়াও, ফরাসি উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে ৩০০ মিলিয়ন ইউরোর জলবায়ু নীতি ঋণ সহায়তা দিচ্ছে ফরাসি সরকার।
বৈঠকে ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, যুগ্মসচিব (উন্নয়ন) লুবনা ইয়াসমিন এবং ফরাসি উন্নয়ন সংস্থার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সিসিলিয়া কর্টেজসহ মন্ত্রণালয় ও ফ্রান্সের দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ, জলবায়ু সহযোগিতা জোরদারের আশা
পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে কানাডার হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
৪ মাস আগে
বন্যা মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
দেশে সম্ভাব্য বন্যা মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার(২ জুলাই) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে নতুন ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) প্রথম সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, ‘বন্যা (দেশে) আঘাত হানতে পারে। বন্যা হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: অর্থমন্ত্রীর বাজেটোত্তর নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাসের আলোকে আগামী দিনগুলোতে সম্ভবত আগস্ট মাসে সারা দেশে বন্যা দেখা দিতে পারে- এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
নির্দেশনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশে বৃষ্টিপাতের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা এবং প্রধান নদীগুলোর উজানে পানি বৃদ্ধির কারণে আগস্টে বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বন্যার প্রভাব ও ধ্বংসযজ্ঞ থেকে দেশের জনগণকে রক্ষার লক্ষ্যে বন্যা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে বেসামরিক প্রশাসন ও মাঠ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রকল্পগুলো সম্পর্কে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব বলেন, একনেক ৫ হাজার ৪৫৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে।
তিনি বলেন, মোট ব্যয়ের মধ্যে ৫ হাজার ২১৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে, ১৪০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে প্রকল্প সাহায্য হিসেবে এবং বাকি ১০৫ কোটি ৯ লাখ টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থায়ন করা হবে।
সচিব বলেন, ১১টি প্রকল্পের মধ্যে সাতটি নতুন প্রকল্প এবং চারটি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বচ্ছতার সঙ্গে বাজেট বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশে সব সম্প্রদায় সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে : প্রধানমন্ত্রী
৪ মাস আগে
প্রতিটি দেশই ইন্টারনেটের নেতিবাচক দিক মোকাবিলা করছে : ইইউ রাষ্ট্রদূত
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বৈধ বাকস্বাধীনতা এবং সহিংসতা ও ঘৃণ্য অপরাধ বন্ধে বিধিবিধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
সোমবার (১০ জুন) রাজধানীতে ‘ডিক্যাব-টক’ এ অংশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
হোয়াইটলি বলেন, ‘আমরা আমাদের ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্টের মাধ্যমে ইউরোপে এটি নিয়ন্ত্রণ করেছি। যেটি মেটার মতো প্রতিষ্ঠানের ওপর দায় চাপিয়ে দেয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, তারা যদি ইন্টারনেট থেকে খুব দ্রুত ঘৃণামূলক বক্তব্য সরিয়ে না নেয়, তবে ইউরোপের বাজারে এর প্রভাব পড়বে।’
সহিংসতার বিস্তার রোধে প্ল্যাটফর্মগুলোর নিষ্ক্রিয়তার কথা উল্লেখ করে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘প্রতিটি দেশই ইন্টারনেটের নেতিবাচকতা মোকাবিলা করছে এবং সমাজে এটি প্রভাব ফেলছে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, আরও কীভাবে পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নিয়েও আলোচনা চলছে এবং বাংলাদেশেও একই বিতর্ক চলছে।
হোয়াইটলি বলেন, ‘সুতরাং, অবশ্যই, আপনাদের ডিজিটাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট (ডিএসএ) রয়েছে। আপনারা কীভাবে মিথ্যা তথ্য মোকাবিলা করবেন তা নিয়ে কথা বলছেন। তবে সবকিছুর মূল বিষয় হলো, আপনাদেরকে এমনভাবে এটি করতে হবে- যাতে বাকস্বাধীনতার অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারকে সংরক্ষণ ও সম্মান করা হয়।’
আরও পড়ুন: তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির শপথ অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, একটি দায়িত্বশীল সরকারকে সহিংসতা ও ঘৃণ্য অপরাধ বন্ধ করা এবং বৈধ বাকস্বাধীনতার সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে এরকম খুব সূক্ষ্ম ব্যবস্থাপনাটি পরিচালনা করতে হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা সবাই একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারি। আর আমরা সেটাই করছি। আমাদের কিছু সদস্য রাষ্ট্রের ইউরোপীয় ইউনিয়নে এই ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন ঐতিহ্য রয়েছে। নিঃসন্দেহে আমেরিকার দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন। আপনারা জানেন, ইউরোপীয় আইনে আপনারা যা দেখেন তার চেয়ে নির্দিষ্ট ধরণের বক্তব্যের জন্য সহনশীলতার বিভিন্ন স্তর রয়েছে। সুতরাং আমাদের ঐতিহ্য আছে, কিন্তু মূল কথা হলো আমাদের সবারই বাক স্বাধীনতা থাকা দরকার। আমাদের সমাজে নিরাপত্তা ও সুরক্ষারও প্রয়োজন রয়েছে। এটি একটি জটিল ধাঁধা।’
সংখ্যালঘু নেতা, সুশীল সমাজের সদস্য, যুদ্ধাপরাধবিরোধী প্রচারণাকারী, যুদ্ধের নায়ক ও শহীদদের পরিবারের কাছ থেকে প্রায়ই অভিযোগ উঠে থাকে যে ফেসবুক বাংলাদেশে ঘৃণামূলক বক্তব্য বা সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার প্রবণতা বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
বাংলাদেশ নিয়ে ফেসবুকের সর্বশেষ প্রতিবেদনটিও একই সম্প্রদায়ের সদস্যদের কাছে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে।
মেটার সর্বশেষ প্রতিবেদনটিকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট এবং ত্রুটিপূর্ণ’ বলে অভিহিত করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ওয়েব টিম।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু।আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পর্যটন খাতে শ্রীলঙ্কার বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
৫ মাস আগে
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং এ সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো জলবায়ু অর্থায়নের অভাবে রয়েছে। প্রতিবার উন্নত দেশগুলো প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু প্রতিশ্রুতি পূরণ করে না।
আরও পড়ুন: হিমালয়সহ পাহাড়-পর্বত রক্ষায় বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
সোমবার (২৮ মে) রাতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত ক্লাইমেট অ্যান্ড হেলথ ফাইন্যান্স ডায়লগের ‘কান্ট্রিড্রাইভেন ক্লাইমেট হেলথ অ্যাকশনস অ্যান্ড ফাইন্যান্সিং নিডস’ শীর্ষক ২ সেশনে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পর্যাপ্ত অর্থায়ন ছাড়া জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা করা বাংলাদেশের জন্য কষ্টসাধ্য। এই অর্থবছরে বাংলাদেশ সরকার অভিযোজনের জন্য ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে, যার মধ্যে স্বাস্থ্যও অন্তর্ভুক্ত। আমাদের বার্ষিক প্রয়োজন প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার। বাকি অর্থের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন প্রয়োজন।
বিশ্বব্যাপী সংহতির গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, আমরা একে অপরকে বিশ্বাস করতে পারছি না কারণ প্রতিশ্রুতি এবং অঙ্গীকারগুলো সবসময় অপূর্ণ থাকছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনকে আরও খারাপ হতে দিতে পারি না। এজন্য বায়ুতে কার্বন নির্গমন কমাতেই হবে। এছাড়া অভিযোজনের সীমা রয়েছে। যদি আমরা আমাদের নির্গমন নিয়ন্ত্রণ না করি, তবে আমরা আরও গভীর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হব।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, তাপপ্রবাহ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করছে। উত্তরে হিন্দুকুশ হিমালয় ও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে আমরা গলিত হিমবাহ এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির চাপে রয়েছি।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন স্বাস্থ্য ছাড়াও পানিসম্পদ, পুষ্টি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং নারীর স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলছে। লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ নারীদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করছে, যার মধ্যে রয়েছে কিডনির সমস্যা, শ্বাসকষ্ট ও উচ্চ রক্তচাপ।
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান করতে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিরলসভাবে কাজ করতে আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হলে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে: পরিবেশমন্ত্রী
৫ মাস আগে
জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম (বিসিজেএফ) ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের (নিমকো) যৌথ উদ্যোগে ‘জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় গণমাধ্যম’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) সকালে নিমকোর সভাকক্ষে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
সাবেক সচিব সত্যব্রত সাহা বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কোনো বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। দুর্যোগ হলো জলবায়ু পরিবর্তনের অনেকগুলো অনুষঙ্গের ফলাফল। বিভিন্ন কারণে দুর্যোগ বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, খরা-বন্যা ও বিভিন্ন প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার খবরগুলো আমরা সাংবাদিকরা প্রতিনিয়ত করছি ও দেখছি। আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে আরও বেশি অনুসন্ধানী ও পর্যালোচনাধর্মী প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম ভালো ভূমিকা রাখতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে খাদ্য মজুত পরিস্থিতি সন্তোষজনক: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, এখন যেভাবে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হচ্ছে, সেভাবে চলতে থাকলে আগামী ১০ বছরের মধ্যেই আমাদের কার্বন বাজেট শেষ হয়ে যাবে। অর্থাৎ, প্রাক-শিল্পায়ন সময়ের তুলনায় বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য আমাদের কাছে ১০ বছরেরও কম সময় আছে। তার মানে, বিশ্বজুড়ে কার্বন-ডাই অক্সাইড নির্গমন কমিয়ে আনার জন্য আগামী ১০ বছরের মধ্যেই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ইতিহাসের এমন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে নির্ধারিত হবে আগামী ৫০ বছরে পৃথিবীর চেহারা কেমন হতে যাচ্ছে। আমাদের হাতে সময় নেই। আমাদের এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। সাংবাদিকদের বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। তাহলে এ বিষয়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখা সম্ভব।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তন্ময় সাহা বলেন, সুকান্ত ভট্টাচার্য বলেছিলেন, পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে রেখে যেতে হবে, আগামী প্রজন্মের কাছে এই হোক অঙ্গীকার। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে উন্নয়নের একটি সংযোগ রয়েছে। যেসব দেশ উন্নতি করেছে, তারা জলবায়ুর ক্ষতি করেই উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করেছে, সুতরাং সেসব দেশের এখন দ্বায়বদ্ধতা খুব বেশি।
তন্ময় সাহা বলেন, আগে গ্রামের কৃষকরা বাংলা সনের তারিখ দেখে ফসল বুনতো, এখন ঋতু পরিবর্তন হয়ে গেছে, কৃষকরা এখন আর আকাশের দিকে তাকিয়ে চাষাবাদ করে না।
তিনি এসময় ডেল্টা প্ল্যান নিয়ে সাংবাদিকদের স্টাডি করার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৪০ জন সংবাদকর্মী অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তন্ময় সাহা, দৈনিক কালবেলার সম্পাদক ও প্রকাশক সন্তোষ শর্মা, ডিবিসি নিউজের সম্পাদক প্রণব সাহা।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) সুফী জাকির হোসেন।
এছাড়াও আরও ছিলেন বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের (বিসিজেএফ) সভাপতি কাওসার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন।
আরও পড়ুন: দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের
পুনরায় সিএফসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় শেখ মুহম্মদ বেলালকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
৫ মাস আগে
জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে ডিএসসিসির ৯১ দল
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবজনিত বৃষ্টিপাতের ফলে জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মাঠ পর্যায়ে পাঁচ সদস্যের ৯১টি দল কাজ করছে এবং একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে।
সোমবার(২৭ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় ডিএসসিসি।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বৃষ্টিপাতের ফলে করপোরেশন এলাকায় কোথাও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে নগরবাসীকে ০১৭০৯৯০০৮৮৮ নম্বরে ফোন করার অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গু রোগ থেকে সুরক্ষায় এডিসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে চাই: ডিএসসিসি মেয়র
নগরবাসীর এ সংক্রান্ত ফোন পেলে করপোরেশন দ্রুততম সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে ডিএসসিসি।
ডিএসসিসি জানিয়েছে, মাঠ পর্যায়ে করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৮০টি এবং প্রকৌশল বিভাগের ১১টি দল কাজ করছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের একটি করে এবং কয়েকটি ওয়ার্ডে দুই থেকে তিনটি করে দল কাজ করছে। পাশাপাশি করপোরেশনের ১০টি অঞ্চলে প্রকৌশল বিভাগেরও ১১টি দল কাজ করছে।
করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা এবং প্রকৌশল ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ের এসব দলের কার্যক্রম তদারকি ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছেন।
একইসঙ্গে করপোরেশনের কাউন্সিলরাও বৃষ্টির পানি যাতে জমে থাকতে না পারে, সেজন্য মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।
উল্লেখ, অনেক জায়গায় নর্দমাগুলোর ক্যাচপিটে (যেদিক দিয়ে পানি সড়ক হতে নর্দমায় প্রবেশ করে) পলিথিন ও প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্যাদির জন্য পানি প্রবাহ স্বাভাবিক হতে বাধা সৃষ্টি করছে।
জলাবদ্ধতা নিরসন কার্যক্রমের সুফল পেতে ঢাকাবাসীকে যত্রতত্র বর্জ্য না ফেলার অনুরোধ জানিয়েছে ডিএসসিসি।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসির ৪ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী
জনঘনত্ব ও ঢাকামুখী অভিবাসন রোধ করলে সুফল পাওয়া যাবে: ডিএসসিসি মেয়র
৫ মাস আগে
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিরলসভাবে কাজ করতে আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
দেশের পরিবেশ সুরক্ষায় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সরকারের প্রচেষ্টা সফল করতে নিরলসভাবে কাজ করতে আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
রবিবার (২৬ মে) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপিভুক্ত প্রকল্পগুলোর এপ্রিল পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
সভায় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা প্রকল্প বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনের গুরুত্ব বিবেচনায় মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যথাসময়ে ও সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করার কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হলে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে: পরিবেশমন্ত্রী
এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও কর্মসম্পাদনে সফলতা বিবেচনা করে যোগ্য কর্মকর্তাদের স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে জানান পরিবেশমন্ত্রী।
প্রকল্পগুলোর বর্তমান অবস্থা, অর্জন ও চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও দায়িত্বশীল ও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান সাবের হোসেন চৌধুরী।
মন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে সফলতার হার পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে ভালো করতে হবে।
সভায় আরও ছিলেন- মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, প্রকল্প পরিচালক ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: হিমালয়সহ পাহাড়-পর্বত রক্ষায় বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
৫ মাস আগে