কাঁচাবাজার
পলিথিন বা প্লাস্টিক শপিং ব্যাগ কেন নিষিদ্ধ করা উচিত
শহুরে এলাকার বর্জ্য পদার্থের একটা বিরাট অংশ হচ্ছে পলিথিন বা প্লাস্টিক। উপাদানগত দিক থেকে এই পলিব্যাগগুলো মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী, পরিবেশ ও আবহাওয়ার জন্য ক্ষতিকর। তাই পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে যাবতীয় প্লাস্টিক শপিং ব্যাগ ও পলিথিনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এর আগে সুপারশপগুলোতে পলিথিন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কাঁচাবাজারগুলোতে এই নিয়ম শুরু হবে নভেম্বর থেকে। এই নিষেধাজ্ঞা কেন জরুরি, পলিথিন নিষিদ্ধ হলে এর বিকল্প কি, বর্তমান প্রেক্ষাপটে তার উপযোগিতাই বা কতটুকু, চলুন, তা নিয়ে বিশ্লেষণ করা যাক।
প্লাস্টিকের ব্যাগ বা পলিথিন নিষিদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা
.
জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি
পরিত্যক্ত প্লাস্টিক মাইক্রোপ্লাস্টিকে পরিণত হয়ে বাতাস, পানি ও খাবারের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে। এই অনুপ্রবেশের ফলে দীর্ঘমেয়াদে ফুসফুস ও কিডনিজনিত রোগের উপক্রম ঘটে।
প্লাস্টিকের ব্যাগ তৈরির উপকরণগুলোর মধ্যে বিসফেনল এ (বিপিএ) ও ফ্যালেট্সের মতো রাসায়নিক পদার্থ থাকে। এগুলো হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, শ্বাসকষ্ট, প্রজনন সমস্যা ও ক্যান্সারের মতো ঝুঁকিপূর্ণ স্বাস্থ্য জটিলতার সৃষ্টি করে।
এই ব্যাগগুলো যখন পোড়ানো হয় তখন ডাইঅক্সিন ও ফুরানের মতো অত্যন্ত বিষাক্ত ধোঁয়া নির্গত হয়। এগুলো বায়ু দূষণের মধ্য দিয়ে শ্বাসযন্ত্রকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
ফেনীতে প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে তেল উৎপাদন!
অন্যান্য প্রাণীদের জন্য হুমকি
মাইক্রোপ্লাস্টিক যে কোনো উভচর প্রাণীর পরিপাকতন্ত্রকে বিনষ্ট করে দেয়, যার ফলে অপুষ্টি, অনাহার ও শেষ পর্যন্ত মৃত্যুও ঘটতে পারে।
বিশেষত সামুদ্রিক কচ্ছপগুলো প্রায়ই ভাসমান প্লাস্টিকের ব্যাগগুলোকে জেলিফিশ ভেবে ভুল করে, যেটি তাদের প্রধান খাদ্যগুলোর একটি। গরু ও হাতির মতো বড় বড় প্রাণীদের পাকস্থলীও প্লাস্টিকের কারণে কার্যকারিতা হারায়।
সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের বিনাশ
বেশিরভাগ প্লাস্টিক বর্জ্যের চূড়ান্ত গন্তব্য সাগর। প্লাস্টিক ব্যাগের ক্ষয়ে যাওয়া অংশগুলো পানিতে দীর্ঘদিন ধরে ভাসমান অবস্থায় থাকে। এভাবে সময় যত যায় জলাশয়ের ওপর আবর্জনাযুক্ত বিশাল এলাকা সৃষ্টি করে। এই আবর্জনা স্রোতের সঙ্গে সাগরের খাদ্য-শৃঙ্খলে প্রবেশ করে ক্ষুদ্রতম প্লাঙ্কটন থেকে শুরু করে বৃহাদাকার তিমিরও মৃত্যুর কারণ হয়।
মাছ, সামুদ্রিক পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণীসহ গোটা সামুদ্রিক প্রজাতি প্লাস্টিক দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে। প্লাস্টিক বর্জ্যগুলো সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জন্য প্রয়োজনীয় প্রবাল প্রাচীরগুলোকে ঢেকে দেয়। ফলে সেগুলোতে সূর্যালোক পৌঁছাতে পারে না ও সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।
জলবায়ুর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব
প্লাস্টিক ব্যাগ পেট্রোলিয়ামভিত্তিক পণ্য থেকে তৈরি করা হয়, আর এই উৎপাদনে প্রয়োজন হয় প্রচুর পরিমাণে জীবাশ্ম জ্বালানি। অপরদিকে, নির্গত হয় কার্বন ডাই অক্সাইড ও মিথেনের মতো গ্রিনহাউস গ্যাস। এছাড়া উৎপাদনের উদ্বৃত্ত অংশগুলো যেখানে ফেলে দেওয়া হয়, সেখান থেকেও এ ধরনের বিষাক্ত গ্যাসগুলো বায়ুমণ্ডলে উন্মুক্ত হয়।
পুনর্ব্যবহারের অযোগ্য বলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যবহারের পর পলিব্যাগগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়। তখনও ধোঁয়ার মাধ্যমে নির্গত হয় ক্ষতিকারক গ্যাস। এভাবে সামগ্রিকভাবে পুরো বায়ুমণ্ডলকে বিষাক্ত করে ফেলে প্লাস্টিক।
'রিকশা বিন': ঢাকাকে প্লাস্টিক বর্জ্যের ঝুঁকিমুক্ত করতে বিদ্যানন্দের নতুন পদক্ষেপ
প্লাস্টিক ব্যাগ বা পলিথিনের কয়েকটি উৎকৃষ্ট বিকল্প
.
সোনালী ব্যাগসহ অন্যান্য পাটের তৈরি ব্যাগ
বাংলাদেশে উদ্ভাবিত পাটের সেলুলোজ থেকে তৈরি সোনালী ব্যাগ। এগুলো শুধুমাত্র বায়োডিগ্রেডেবল নয় বরং টেকসই ও জল-প্রতিরোধীও। প্লাস্টিক বা পলিব্যাগের তুলনায় এগুলো ভারী বোঝা বহন করতে সক্ষম। এই ব্যাগ ফেলে দেওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে এর উপাদানগুলো সম্পূর্ণরূপে ভেঙে যায়। কোনো কিছুই আর অবশিষ্ট থাকে না।
এরকম পাটজাত ব্যাগগুলো পলিথিনের একটি সেরা বিকল্প। পাটের ব্যাগের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এগুলোকে বছরের পর বছর ধরে বারবার ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া পাট চাষে ঝামেলাও কম, পানি ও সার ও কীটনাশকও অল্প প্রয়োজন হয়।
তুলার ব্যাগ
দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের জন্য আরও একটি দারুণ বিকল্প হচ্ছে তুলার ব্যাগ। এই ব্যাগগুলো হালকা ওজনের, ধোয়া যায় ও সহজেই ভাঁজ করা যায়। তবে চাষের ক্ষেত্রে তুলা বৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট পরিমাণে পানির প্রয়োজন হয়। জৈব তুলার ব্যাগ সিন্থেটিক কীটনাশক বা সার ছাড়াই জন্মায়। এগুলো বায়োডিগ্রেডেবল ও অপরসারণ করা হলে দ্রুত সম্পূর্ণরূপে ক্ষয়ে যায়।
অবৈধ ইটভাটা বন্ধ: সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে ডিসিদের নির্দেশ
কাগজের ব্যাগ
উপাদানগত দিক থেকে কাগজের ব্যাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য ও প্রাকৃতিকভাবে দ্রুত নিঃশেষযোগ্য। এই ব্যাগগুলোর সঠিকভাবে নিষ্পত্তি করা হলে তা মাটির পুষ্টি ফিরিয়ে দিতে পারে। পাট বা তুলার মতো শক্তিশালী না হলেও, কাগজের ব্যাগ হালকা ওজনের জিনিস বহন করার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য বিকল্প।
কাপড়ের তৈরি ব্যাগ
লিনেন, মসলিন বা অন্যান্য ফেব্রিক মিশ্রণের উপাদান থেকে তৈরি কাপড়ের ব্যাগ যথেষ্ট টেকসই হয়ে থাকে। এগুলো পানিতে ধুয়ে নিয়ে অসংখ্যবার ব্যবহার করা যেতে পারে। ইতোমধ্যে সুপরিচিতি পেয়েছে ক্যানভাস ব্যাগগুলো, যেগুলো মূলত তুলা বা লিনেন থেকে তৈরি।
বৈশিষ্ট্যগত ভাবেই এগুলো হালকা ওজনের ও ভাঁজ করা সহজ। উপকরণের একদম শেষ অংশগুলো চূড়ান্তভাবে প্রকৃতিতে মিশে যেতে খুব সময় নেয় না। তাই পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলার আশঙ্কা থাকে না।
উলের ব্যাগ
এই প্রাকৃতিক ফাইবার যথেষ্ট মজবুত, পুনর্ব্যবহারযোগ্য ও বায়োডিগ্রেডেবল। উল প্রাকৃতিকভাবে জলপ্রতিরোধী হওয়ার যে কোনো আবহাওয়াতেই এগুলো ব্যবহারের উপযোগী। ওপরন্তু, উলের উৎপাদনে প্রয়োজনীয় উপকরণ পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না। উলের ব্যাগ বছরের পর বছর স্থায়ী হওয়ার কারণে এগুলোর ঘন ঘন প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন পড়ে না। প্রাকৃতিকভাবে নিঃশেষ হওয়ার সময় মাটিকে দূষিত করার পরিবর্তে সমৃদ্ধ করে।
বাংলাদেশে ১৫ বছরে প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়েছে ৫ গুণ: বিশ্বব্যাংক
বেতের ব্যাগ
দ্রুত বর্ধনশীল ও রিনিউয়েবল হওয়ায় ব্যাগের জন্য উৎকৃষ্ট একটি উপকরণ হতে পারে বেত। ভারী জিনিস বহনের জন্য বেতের ব্যাগ সেরা। স্থায়িত্বের দিক থেকে প্রসিদ্ধ হওয়ায় বেত অল্প ব্যবহারেই অপসারণের প্রয়োজন হয় না। তাই ঘন ঘন বর্জ্য সামলানোর ঝামেলা নেই।
শণের ব্যাগ
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে টেকসই ফাইবারগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে শণ। এর চাষের জন্য অল্প পরিমাণে পানি প্রয়োজন হয়। দ্রুত বেড়ে উঠার জন্য কোনো কীটনাশকের দরকার পড়ে না। শণের ব্যাগ তুলা বা পাটের থেকেও অনেক শক্তিশালী ও পর্যাপ্ত ভারী ওজন নিতে পারে। এছাড়া শণের মধ্যে দূষিত মাটি পরিষ্কার করার গুণ রয়েছে।
কচুরিপানা থেকে তৈরি ব্যাগ
পলিব্যাগের সৃজনশীল বিকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কচুরিপানার ব্যাগ। দ্রুত বর্ধনশীল এই জলজ উদ্ভিদকে ব্যাগের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে বায়োডিগ্রেডেবল বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা যেতে পারে। এই ব্যাগগুলোর ঘন ঘন উৎপাদন বিভিন্ন জলাধারগুলোতে কচুরিপানার ঘনত্ব কমাবে। এতে করে স্থানীয় বাস্তুতন্ত্র ব্যাহত হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।
মাইক্রো প্লাস্টিক কী? কীভাবে এটি মানবদেহে প্রবেশ করে? কী কী প্রভাব ফেলে?
পলিথিনের বিকল্পগুলোর প্রসারে সীমাবদ্ধতা
.
উচ্চ ক্রয়মূল্য
তুলা বা পাটের ব্যাগের মতো পরিবেশ-বান্ধব বিকল্পগুলো পলিথিনের চেয়ে বেশি দামি হতে পারে। এই উচ্চ মূল্য ভোক্তাদের নিরুৎসাহিত করতে পারে। এখানে উৎপাদন মূল্যের কারণে চূড়ান্ত বিক্রয়মূল্য কমানোটা কঠিন হবে। ওপরন্তু, এই ব্যাগগুলো নিয়ে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক বিনিয়োগটিও একটি আর্থিক বোঝা হতে পারে।
সাপ্লাই চেইন ও প্রাপ্যতা সমস্যা
বিভিন্ন সাপ্লাই চেইন অতিক্রম করে বিক্রয়যোগ্য পণ্যের পর্যায় পর্যন্ত আসার প্রক্রিয়াটা জটিল হতে পারে। এতে শুধু যে খরচই বাড়বে তা নয়, সঠিক আউটলেটটি পর্যন্ত আসতে অতিরিক্ত সময়েরও প্রয়োজন হতে পারে। যেমন যে অঞ্চলগুলোতে পাট বা তুলা চাষ হয় না সে জায়গাগুলোতে বেশি পরিমাণে ব্যাগ সরবরাহ করাটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। ওপরন্তু, দোকানে পর্যাপ্ত পরিমাণে পণ্য আসতে কাল বিলম্ব হলে তা ভোক্তাদের আবার পলিব্যাগ ব্যবহারের দিকে ধাবিত করতে পারে।
পরিবেশগত প্রভাব
চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদনের স্বার্থে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। এই সতর্কতাটি তুলার ব্যাগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কচুরিপানা ব্যাগ ব্যবহারের পর তার সঠিক নিষ্কাশন না করা হলে তা জলজ বাস্তুসংস্থানকে বিনষ্ট করবে। তাই প্রতিটি বিকল্পের জীবনচক্র বিশ্লেষণ করে একটি ফিজিবিলিটি স্টাডি প্রয়োজন। বৃহৎ পরিসরে উৎপাদন, পরিবহন ও নিষ্পত্তিতে প্লাস্টিকের মতোই কার্বন নিঃসরণ হচ্ছে কিনা তা যাচাই করা অতীব জরুরি।
শেষাংশ
পলিথিন বা প্লাস্টিক শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হলে পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য, বন্যপ্রাণী ও আবহাওয়া সুরক্ষিত হবে। তাই বিগত কয়েক দশক ধরে প্রলম্বিত হওয়া এই নিষেধাজ্ঞার অনতিবিলম্বে বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। এই পরিপ্রেক্ষিতে সদাই বহনের জন্য পাট, তুলা, উল, শণ, বেত, কাগজ, ও কাপড়ের মতো পরিবেশ-বান্ধব ব্যাগগুলো হতে পারে উৎকৃষ্ট বিকল্প। তবে এই পরিবর্তন রাতারাতি সম্ভব নয়। কেননা নতুন ব্যাগগুলো প্রসারের পূর্বে এর শিল্প, অর্থনৈতিক, ও পরিবেশগত প্রভাবগুলো বিবেচনায় আনতে হবে। এর জন্য ভোক্তা স্তরের পাশাপাশি প্রস্তুতকারক পর্যায়েও ফিজিবিলিটি স্টাডি প্রয়োজন।
প্লাস্টিক ও নদী দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ: পরিবেশ উপদেষ্টা
২ মাস আগে
১ অক্টোবর থেকে সুপারমার্কেট, ১ নভেম্বর থেকে কাঁচাবাজারে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ: পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ১ অক্টোবর থেকে সুপারমার্কেটে এবং ১ নভেম্বর থেকে সব কাঁচাবাজারে পলিথিন ও পলিপ্রপিলিন ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে।
তিনি জোর দেন এই পদক্ষেপের লক্ষ্য পলিথিন এবং পলিপ্রোপলিন ব্যাগের উপর বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা এবং মেনে চলা নিশ্চিত করতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: নদী রক্ষায় কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মোহাম্মদপুরের টাউন হলে এক আলোচনা সভায় রিজওয়ানা বলেন, 'আমরা ১ অক্টোবর থেকে সুপারমার্কেটে এবং ১ নভেম্বর থেকে কাঁচাবাজারে এই আইন বাস্তবায়ন করব। এছাড়া ১ নভেম্বর থেকে আমরা পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করব। সবাইকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হচ্ছে এবং আমরা বিকল্প সরবরাহ করার জন্যও কাজ করছি।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি আয়োজিত সভায় পলিথিন শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ করার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোকপাত করা হয়।
আলোচনার আগে পরিবেশ উপদেষ্টা টাউন হল কাঁচাবাজারে পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধন করেন এবং পলিথিন প্রতিস্থাপনের বিকল্প উপকরণ বিতরণ করেন। তিনি বাজার থেকে বিদ্যমান পলিথিন প্যাকেজিং সংগ্রহের জন্য বিন ও স্থায়ী নোটিশ বোর্ড স্থাপনের উদ্বোধন করেন।
উপদেষ্টা আরও ব্যাখ্যা করেছেন পাট, ফ্যাব্রিক এবং কাগজের ব্যাগ প্লাস্টিক এবং পলিপ্রোপিলিন ব্যাগের বিকল্প হিসাবে কাজ করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পাটকল সমিতি ২০-২৫টি কোম্পানিকে সঙ্গে নিয়ে পাট, কাপড় ও কাগজের ব্যাগ সরবরাহ করবে। সুপারমার্কেটগুলো ইতোমধ্যে অর্ডার দিয়েছে এবং তাদের চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পলিথিন নিয়ে সরকারের দীর্ঘদিনের অবস্থানের কথা তুলে ধরে রিজওয়ানা বলেন, 'এই নিষেধাজ্ঞায় নতুন করে বলার কিছু নেই। ২০০২ সাল থেকে এটি আইনগতভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। আমরা বিভিন্ন পলিথিন উৎপাদন কারখানায় অভিযান পরিচালনা করলেও পলিথিন ব্যাগের অনিয়ন্ত্রিত প্রবাহের সুযোগ করে দিয়ে বাজারগুলোকে কখনোই লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি।’
এ সময় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ডিএনসিসি মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যসহ পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে পলিথিন ও পলিপ্রপিলিন ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ: পরিবেশ উপদেষ্টা
২ মাস আগে
খুলনার কাঁচাবাজারে দাম বেড়েছে সবজি-মাছের, কমেছে মাংসের
এক সপ্তাহ ধরে খুলনা মহানগরীর কাঁচাবাজারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। বাজার ভেদে একই পণ্য বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। ফলে ক্রেতারা বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা বাজার করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে।
খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর, গললামারী, খালিশপুর, নতুনবাজার, সন্ধ্যাবাজার, বয়রাবাজার, মিস্ত্রীপাড়া বাজার, বানরগাতী বাজার সরেজমিনে দেখা গেছে, মাছের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি পেঁয়াজ, আলু, রসুন, আদাসহ সব রকম মসলার দাম বেশি।
গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে চালের দাম কেজি প্রতি ৪ থেকে ৫ টাকা বেশি। চিনি, সয়াবিন, তেল আগের দামে বিক্রি হচ্ছে।
তবে মাংসের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ১০০ টাকা কমেছে। গরুর মাংস গত সপ্তাহে যেখানে সাড়ে ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে, এখন গরুর মাংসের কেজি ৬৫০ টাকা। খাসির মাংস ৯৫০ টাকা। গত সপ্তাহের তুলনায় সবরকম মুরগি ও হাঁসের দাম কেজিপ্রতি ৫০ টাকা কমেছে।
আরও পড়ুন: বাজারে চাপ কমাতে যতটুকু সম্ভব অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানি করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা
৪ মাস আগে
‘বাজারের এই মাথা-ওই মাথা ঘুরছি, কিছু কিনতে পারছি না’
খুলনার কাঁচাবাজারে আবারও বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। ঈদুল আজহার ছুটি শেষে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোনো কোনো সবজিতে দুই গুণ আবার কোনোটিতে দাম বেড়েছে দেড় গুণ। এছাড়াও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ ও মুরগি। এতে চরম অস্বস্তির মধ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষ।
রবিবার (২৪ জুন) খুলনার নতুনবাজার, দৌলতপুর বাজার, গললামারী বাজার, শেখপাড়া বাজার, মিস্ত্রীপাড়া বাজার ঘুরে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আবদুল্লাহ আবু নাসের নামে একজন ক্রেতা বলেন, ‘বাজারে এসে এই মাথা থেকে ওই মাথা ঘুরছি। কিছু কিনতে পারছি না। বাজার নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা নেই।’
দৌলতপুর বাজারের রহমান শেখ ইউএনবিকে বলেন, ‘বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, আলু ৭০ টাকা, পেঁয়াজ ১০০ টাকা, রসুন ২৪০ থেকে ৩০০ টাকা ঢেঁড়শ ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, মিষ্টি আলু ৫০ টাকা, আদা ৩০০ টাকা, ডাটাশাক ৩০ টাকা কজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: রাজধানীর কাঁচাবাজারে চড়া দাম, হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা
৫ মাস আগে
চট্টগ্রামের কাঁচাবাজারে পেঁয়াজ-কাঁচা মরিচসহ সব সবজির দাম বাড়তি
কোরবানি ঈদের ছুটি শেষে বাড়ি থেকে এখনও বন্দর নগরীতে ফেরেননি অনেক মানুষ। ফলে বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ। বাজারে ক্রেতাও কম। তবুও চড়া ব্রয়লার মুরগি, ডিম, আলু, কাঁচামরিচ, শসা, টমেটোসহ কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম।
ব্যবসায়ীদের দাবি, ঈদের ছুটির কারণে কৃষকরা খেত থেকে সবজি তুলছেন না। ব্রয়লারের চাহিদা থাকলেও সরবরাহ কম। সেজন্য পণ্যগুলোর দাম বাড়তি। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম কমে আসবে।
আরও পড়ুন: তীব্র গরমে পানিশূন্যতা প্রতিরোধে উপকারী শাকসবজি
শুক্রবার (২১ জুন) নগরীর রেয়াজুদ্দিন বাজার, চকবাজার, বহদ্দারহাট, কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। তবে এসব বাজারে সবজি, মুরগিসহ অন্যান্য পণ্যের বেশিরভাগ দোকান বন্ধ দেখা গেছে। ক্রেতাদের আনাগোনাও কম। যে কয়টি খুচরা দোকান খোলা রয়েছে, সেগুলোতেও পণ্যের সরবরাহ কম দেখা গেছে।
কোরবানি ঈদের পর সাধারণত বাজারে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা কম থাকে। দামও থাকে পড়তির দিকে। কিন্তু এবার বাজারের চিত্র পুরোপুরি আলাদা। চট্টগ্রামের কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। কোথাও ১৯৫ টাকাও রাখছেন ছোট ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া মানভেদে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩৪০ টাকায়। গত সপ্তাহেও মুরগির এ দর ছিল।
ডিমের বাজারে দেখা গেছে বিশৃঙ্খলা। বাজার আর মহল্লায় বড় ব্যবধান থাকলেও বড় বাজারে ফার্মের বাদামি রঙের এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। কিন্তু মহল্লার দোকানে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে। কোথাও এর চেয়েও বেশি।
জামাল খানের খুচরা বিক্রেতা আব্দুল মান্নান বলেন, ঈদের আগে পাইকারি বাজারে ডিমের দর বেশি ছিল। এ ডিমগুলো সে সময় কিনে রাখা। তাই লোকসান দিয়ে বিক্রি করা যাবে না। নতুন করে কম দামের ডিম এলে সে অনুযায়ী বিক্রি হবে।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর বাজারে কাঁচা মরিচ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দরে। এছাড়া আলু ৬০, পেঁয়াজ ৯০ টাকা, বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, শসা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেও কাঁকরোল বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি সেটি বর্তমানে ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চাহিদা কমলেও মাংস, মুরগি, কাঁচা মরিচ ও সবজির দাম এখনো চড়া
৬ মাস আগে
সবজি-ফলের দাম কমলেও বেড়েছে মাছ-মাংসের দাম
ঈদ সামনে রেখে ঢাকার কাঁচাবাজারে চাল, ভোজ্যতেল, চিনি, গম ও আটার দাম অপরিবর্তিত থাকলেও গরু ও মুরগির মাংস এবং মাছের দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে।
ঈদে ঘরমুখো মানুষ রাজধানী ছাড়তে শুরু করায় চাহিদা কমে গেছে শাকসবজি, পেঁয়াজ ও ফলমূলসহ স্থানীয় মৌসুমি ফলের। তাই তরমুজ, আনারস ও আমদানি করা ফলের দাম কিছুটা কমেছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী, মালিবাগ, হাতিরপুলসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবার (৫ এপ্রিল) গরুর মাংস, মুরগি ও মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে।
এসব পণ্যের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানান, ঈদ সামনে রেখে মাংসের দাম বেড়েছে। এছাড়া বাজারে মাছের সরবরাহ কমে যাওয়ায় মাছের দামও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: সবজির মূল্য স্থিতিশীল হলেও সব ধরনের মাংসের দাম ঊর্ধ্বমুখী
কারওয়ান বাজারের কসাই আবু বকর ইউএনবিকে জানান, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস বা ছাগলের মাংস যথাক্রমে ১০০০ ও ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজার পরিদর্শন করেছেন, তাই হঠাৎ করে দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।
তবে গত ঈদের চেয়ে এবার পশুর সরবরাহ কিছুটা কমে যাওয়ায় মাংস ব্যবসায়ীদের মুনাফা কমেছে বলে জানান তিনি।
তবে শুক্রবার কারওয়ান বাজারের বাইরে মান ভেদে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে এবং সপ্তাহের অন্যান্য দিনের চেয়ে কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে। মান ভেদে খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১১৮০ টাকায়, যা কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে।
দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগিরও। গত সপ্তাহে ছিল ২২০ টাকা তা বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায়। এছাড়া সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে। এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে।
একইভাবে প্রতি কেজি কক মুরগি ৩৭০ থেকে ৩৯০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০ থেকে ৩৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, মুরগির খাবার ও ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম বাড়ায় মুরগির দাম বেড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: মধুখালীতে ন্যায্য মূল্যে দুধ-ডিম-গরুর মাংস বিক্রি উদ্বোধন
এদিকে চাহিদা কমে যাওয়ায় শুক্রবার প্রায় সব সবজির দাম কমলেও ঢেঁড়স, সজিনা, মটরশুঁটি ও করলার মতো নতুন সবজি কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এগুলোর দামের কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। মৌসুম শেষ হওয়ায় বেড়েছে টমেটোর দাম। ভালো মানের টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে।
বেগুনসহ অন্যান্য সবজি ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাউ, চালকুমড়া ও ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মান ভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৬০ টাকা, রসুন ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, আদা ২০০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের দাম কিছুটা কমিয়ে প্রতি ডজন বাদামি ডিম ১৩০ টাকা, হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৭০ টাকা এবং গৃহপালিত মুরগির ডিম প্রতি হালি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে ব্যাপকভাবে কমে গেছে তরমুজের দাম। সবচেয়ে ভালো মানের তরমুজ প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকার এবং মানের ভিত্তিতে প্রতি পিস আনারস ২০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পেয়ারা ৫০ থেকে ৭০ টাকা, পাকা পেঁপে যা রমজানের প্রথম সপ্তাহে ২০০ টাকা বা তার বেশি দরে বিক্রি হচ্ছিল, তা ১০০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সেহরি ও ইফতারে খেতে পারেন যেসব স্বাস্থ্যকর দেশি ফল
আপেল, মাল্টা, কমলা ও নাশপাতি ২৬০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চলতি রমজানের প্রথম ২ সপ্তাহে এই ফলগুলো ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো।
এ সপ্তাহে কাঁচাবাজারের অন্যান্য পণ্যের দামে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: মাংস-মুরগি-ডিমের দাম বাড়লেও কমেছে সবজি-পেঁয়াজের দাম
৮ মাস আগে
উত্তরার কাঁচাবাজারের আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে
রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের একটি কাঁচাবাজারে লাগা আগুন নেভানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের স্টেশন অফিসার তালহা বিন জসিম বলেন, সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে আগুন লাগে। এরপর উত্তরা, টঙ্গী, কুর্মিটোলা ও পল্লবী ফায়ার স্টেশনের ৯টি ইউনিট রাত পৌনে ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
রাত ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, কাঁচাবাজারের বেশ কয়েকটি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: পুরান ঢাকায় জুতা কারখানায় আগুন
বঙ্গবন্ধু টানেলের পরিত্যক্ত ওয়্যার হাউজে আগুন নিয়ন্ত্রণে
৯ মাস আগে
বিক্রেতাদের সঙ্গে দর কষাকষিতে হতাশ ক্রেতারা
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা এবং মাছের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৫০ টাকা।
অনেক ভোক্তা, বিশেষ করে যারা নির্দিষ্ট বেতনের উপর নির্ভর করে তারা বাজারে গিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে এবং বর্ধিত দাম নিয়ে বিক্রেতাদের সঙ্গে দর কষাকষি করতে দেখা গেছে।
কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, মহাখালী কাঁচা বাজারসহ বিভিন্ন কাঁচা বাজার পরিদর্শন করে এই প্রতিবেদক দেখেন, কোনো সবজির কেজিই ৬০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে না। এসব সবজির দাম আগে বিক্রি হতো ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা কেজি।
পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ী ও সবজি সরবরাহকারীরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি ও বন্যায় সবজির ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াকে দায়ী করছেন। তাই বাজারে সরবরাহ কমে গেছে।
তারা শাকসবজি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধির জন্য উচ্চ পরিবহন ও শ্রম ব্যয়কেও দায়ী করেছে।তবে মানের ভিত্তিতে কাঁচামরিচ কেজিপ্রতি ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, শিম কেজিপ্রতি ২০০ টাকা, তাল বেগুন ৮০ থেকে ৯০ টাকা, লম্বা বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো ১২০ থেকে ১৮০ টাকা, গাজর ৮০ থেকে ১৪০ টাকা, আলু ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে কমেছে কাঁচা মরিচের দাম
এ ছাড়া, উচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি ধুন্দল ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, কচু ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি, মুলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি, কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা কেজি, বরবটি ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি, কুমড়া (মাঝারি আকারের) প্রতি পিস ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ফুলকপি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা পিস, লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকা পিস, চালকুমড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা পিস, ধনে পাতা ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ক্যাপসিকাম (লাল) ৬০০ টাকা কেজি এবং ক্যাপসিকাম (সবুজ) ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি।
অন্যদিকে, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি, আমদানি করা পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, আমদানি করা রসুনের দাম প্রতি কেজি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা এবং দেশি রসুন ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা আদা কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায়, দেশি আদা মানের ভিত্তিতে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।
লাল মসুর ডাল প্রতি কেজি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যেখানে আমদানি করা মসুর ডাল প্রতি কেজি ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, রূপচাঁদা ব্র্যান্ডের পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের বোতল ৮৬০ টাকা, খোলা সুপার পাম অয়েল ১৬০ টাকা কেজি, চিনি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি, গুড় ১৭০ থেকে ২০০ টাকা এবং চিড়া ১২০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মানভেদে চিনি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি, গুড় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা এবং চিড়া ৯০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৬ টাকা কেজি, পাইজাম ৬০ থেকে ৬৪ টাকা কেজি, নাজিরশাইল ব্র্যান্ডের চাল ৭২ থেকে ৮০ টাকা কেজি, মিনিকেট ৬৬ থেকে ৬৮ টাকা কেজি, কাটারি ভোগ ৯০ টাকা কেজি দরে, পোলাও চাল (বাদশাভোগ) প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৫৫ টাকা এবং কালিজিরা ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি।
ঢাকার কাঁচা বাজারে শুক্রবার ময়দা ৭০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি এবং দুই কেজির প্যাকেট ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।শুক্রবার কারওয়ান বাজার মাছের বাজারে প্রায় ৪৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতিটি ৩৫০ টাকা এবং ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকায়। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায়।
আরও পড়ুন: শাকসবজি ও ডিমের দাম কিছুটা কমলেও সন্তুষ্ট নয় ভোক্তারা: ইউএনবি’র বাজার সমীক্ষা
অন্যান্য মাছের মধ্যে পুঁটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, জীবন্ত পুঁটি ৪০০ টাকা কেজি, খলিসা ৪০০ টাকা কেজি, চাপিলা ৪০০ টাকা কেজি, চাষের কই ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি, ফলি চান্দা (রূপচাদা) প্রতি কেজি ১২০০ টাকা, চান্দা ছোট ৪০০ টাকা কেজি, শৈল মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি, বাইম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি, মেনি ৪০০ টাকা কেজি, বোয়াল ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি।
এ ছাড়া, কাইট্টা মাছ ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি, কোরাল মাছ ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি, নদীর পাঙ্গাস ৭০০ টাকা কেজি, চাষের পাঙ্গাস ২০০ টাকা কেজি, রাজপুঁটি ৪৫০ টাকা কেজি, তেলাপিয়া ২২০ টাকা কেজি, রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি, মাঝারি সাইজের কাতল প্রতি কেজি ২৫০-৩০০ টাকা, বড় সাইজের কাতল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি, দেশি শিং মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি, বারবেল ৮০০ টাকা কেজি, গলদা চিংড়ি ৮০০-১০০০ টাকা কেজি এবং বাগদা চিংড়ি ৬০০-৬০০ টাকা কেজি।
গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি, খাসির মাংস ১১৫০ থেকে ১১৮০ টাকায়, মাঝারি আকারের দেশি মোরগ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা এবং মুরগি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, ফার্মের মুরগি ১৭০ থেকে ১৯০ টাকা প্রতি কেজি, ডিম (ফার্ম) প্রতি হালি (৪ পিস) ৫০ টাকা, ডিম (দেশি) ৭০ টাকা এবং ডিম (হাঁস) ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়।
এছাড়া, প্রতি জোড়া কবুতর বিক্রি হয় ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়।
আরও পড়ুন: বাজারে মসলার দামের ঊর্ধ্বগতি, ঈদুল আজহার আগে বিপাকে ক্রেতারা
১ বছর আগে
রাজধানীতে পাইকারি ও খুচরা কাঁচাবাজার নির্ধারিত স্থানে বসাতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীতে জনদুর্ভোগ ও যানজট কমাতে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে পাইকারি ও খুচরা কাঁচাবাজার বসাতে হবে।
মানুষের চলাচলের রাস্তা দখল করে কেউ দোকান বসালে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারের কাঁচাবাজার স্থানান্তরের লক্ষ্যে গাবতলী কাঁচাবাজার এলাকা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, কারওয়ানবাজার অনেক আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখান থেকে সারা ঢাকা শহরের খুচরা বাজারগুলোতে পণ্য ডিস্ট্রিবিউশন হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যারা শাক-সবজি-মাছসহ অন্যান্য পণ্য কারওয়ান বাজারে নিয়ে আসেন তাদের জন্য যেমন কষ্টকর হয়। ঢাকা অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় আবার খুচরা বাজারে পৌঁছাতে অনেক যানজট ও সমস্যা হয়। কারওয়ানবাজার থেকে ঢাকার ভিন্ন পয়েন্টে সুবিধাজনক স্থানে কিভাবে স্থানান্তর করা যায় সেটা নিয়ে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। সকলের প্রচেষ্টায় এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য থাকবে যে সকল ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে চলে আসবেন তারা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং মানুষেরও ভোগান্তি না হয়। তা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কাউকে হঠাৎ করে চলে যেতে বললে সে চলে যাবে না। আরে গেলে কোথায় যাবে। কিন্তু তাদের জন্য জায়গা দেয়া ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেয়া হয় তাহলে তারা অবশ্যই যাবে। কাঁচাবাজার তিনতলা বা পাঁচতলা করা যৌক্তিক না। কিন্তু এখানে এধরনের ভবন করার কারণ ওপরে ইলেক্ট্রিকসহ অন্যান্য পণ্য বিক্রি করা হয়। পরিকল্পিত এবং দৃষ্টিনন্দন ঢাকা গড়া-ই আমাদের মূল লক্ষ্য।
মো. তাজুল ইসলাম জানান, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পাইকারি ও খুচরা কাঁচাবাজার এক জায়গায় হওয়া উচিত নয়। এতে করে একদিকে যেমন জনদুর্ভোগ তৈরি হবে অন্যদিকে যানজটও সৃষ্টি হবে। আমরা চাই পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলো একটি নির্দিষ্ট জায়গায় হোক। পাইকারি কাঁচাবাজারগুলো শহরের বাইরে হলেই বেশি ভালো হবে। মন্ত্রণালয়, ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্ট সকলে মিলে এলক্ষ্যে কাজ করছে। সবাইকে নিয়ে বসে করণীয় ঠিক করা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যত্রতত্র পাইকারি খুচরা বাজার না রেখে কোন এলাকায় কতটি বাজার লাগবে মেয়র এবং কাউন্সিলর বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস্তবায়ন করবে। জায়গা চিহ্নিত করে যদি নতুন করে আরও কাঁচা বাজার প্রয়োজন হলে তা করা হবে।
পরিদর্শনকালে স্থানীয় সরকার বিভাগ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কাউন্সিলর অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর প্রত্যেক বাসা-বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক থাকতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
পানির অপচয় রোধে রিসাইক্লিং করার উদ্যোগ নিতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
২ বছর আগে
সোমবার থেকে রাত ৮টার পর দোকান বন্ধ থাকবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
বিশ্বব্যাপী জ্বালানির অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিজনিত পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে সারাদেশে দোকান, শপিংমল, মার্কেট, বিপণি বিতান সোমবার রাত ৮টার পর থেকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
রবিবার বিকালে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিদিন রাত ৮টার পর দোকান বন্ধের নির্দেশনা ইতোমধ্যে দিয়েছেন। সেটা আগামীকাল সোমবার থেকে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাত ৮টার পর দোকান-শপিংমল বন্ধ রাখার নির্দেশ
এর আগে গত ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ শ্রম আইন,২০০৬ এর ১৪৪ ধারার বিধান কঠোরভাবে প্রতিপালন করে রাত ৮টার পরে দোকান, শপিংমল, মার্কেট, বিপণি বিতান ও কাঁচাবাজার যাতে খোলা না থাকে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে বাণিজ্য, বিদ্যুৎ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তর/দক্ষিণ, এমপ্লোয়ার্স ফেডারেশন, এফবিসিসিআই, এমসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, ঢাকা চেম্বারসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিউমার্কেটে সংঘর্ষ: আরও দুই দোকানকর্মী গ্রেপ্তার
২ বছর আগে