কাঁচাবাজার
সবজি-ফলের দাম কমলেও বেড়েছে মাছ-মাংসের দাম
ঈদ সামনে রেখে ঢাকার কাঁচাবাজারে চাল, ভোজ্যতেল, চিনি, গম ও আটার দাম অপরিবর্তিত থাকলেও গরু ও মুরগির মাংস এবং মাছের দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে।
ঈদে ঘরমুখো মানুষ রাজধানী ছাড়তে শুরু করায় চাহিদা কমে গেছে শাকসবজি, পেঁয়াজ ও ফলমূলসহ স্থানীয় মৌসুমি ফলের। তাই তরমুজ, আনারস ও আমদানি করা ফলের দাম কিছুটা কমেছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী, মালিবাগ, হাতিরপুলসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবার (৫ এপ্রিল) গরুর মাংস, মুরগি ও মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে।
এসব পণ্যের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানান, ঈদ সামনে রেখে মাংসের দাম বেড়েছে। এছাড়া বাজারে মাছের সরবরাহ কমে যাওয়ায় মাছের দামও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: সবজির মূল্য স্থিতিশীল হলেও সব ধরনের মাংসের দাম ঊর্ধ্বমুখী
কারওয়ান বাজারের কসাই আবু বকর ইউএনবিকে জানান, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস বা ছাগলের মাংস যথাক্রমে ১০০০ ও ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজার পরিদর্শন করেছেন, তাই হঠাৎ করে দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।
তবে গত ঈদের চেয়ে এবার পশুর সরবরাহ কিছুটা কমে যাওয়ায় মাংস ব্যবসায়ীদের মুনাফা কমেছে বলে জানান তিনি।
তবে শুক্রবার কারওয়ান বাজারের বাইরে মান ভেদে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে এবং সপ্তাহের অন্যান্য দিনের চেয়ে কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে। মান ভেদে খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১১৮০ টাকায়, যা কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে।
দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগিরও। গত সপ্তাহে ছিল ২২০ টাকা তা বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায়। এছাড়া সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে। এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে।
একইভাবে প্রতি কেজি কক মুরগি ৩৭০ থেকে ৩৯০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০ থেকে ৩৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, মুরগির খাবার ও ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম বাড়ায় মুরগির দাম বেড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: মধুখালীতে ন্যায্য মূল্যে দুধ-ডিম-গরুর মাংস বিক্রি উদ্বোধন
এদিকে চাহিদা কমে যাওয়ায় শুক্রবার প্রায় সব সবজির দাম কমলেও ঢেঁড়স, সজিনা, মটরশুঁটি ও করলার মতো নতুন সবজি কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এগুলোর দামের কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। মৌসুম শেষ হওয়ায় বেড়েছে টমেটোর দাম। ভালো মানের টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে।
বেগুনসহ অন্যান্য সবজি ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাউ, চালকুমড়া ও ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মান ভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৬০ টাকা, রসুন ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, আদা ২০০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের দাম কিছুটা কমিয়ে প্রতি ডজন বাদামি ডিম ১৩০ টাকা, হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৭০ টাকা এবং গৃহপালিত মুরগির ডিম প্রতি হালি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে ব্যাপকভাবে কমে গেছে তরমুজের দাম। সবচেয়ে ভালো মানের তরমুজ প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকার এবং মানের ভিত্তিতে প্রতি পিস আনারস ২০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পেয়ারা ৫০ থেকে ৭০ টাকা, পাকা পেঁপে যা রমজানের প্রথম সপ্তাহে ২০০ টাকা বা তার বেশি দরে বিক্রি হচ্ছিল, তা ১০০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সেহরি ও ইফতারে খেতে পারেন যেসব স্বাস্থ্যকর দেশি ফল
আপেল, মাল্টা, কমলা ও নাশপাতি ২৬০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চলতি রমজানের প্রথম ২ সপ্তাহে এই ফলগুলো ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো।
এ সপ্তাহে কাঁচাবাজারের অন্যান্য পণ্যের দামে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: মাংস-মুরগি-ডিমের দাম বাড়লেও কমেছে সবজি-পেঁয়াজের দাম
উত্তরার কাঁচাবাজারের আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে
রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের একটি কাঁচাবাজারে লাগা আগুন নেভানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের স্টেশন অফিসার তালহা বিন জসিম বলেন, সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে আগুন লাগে। এরপর উত্তরা, টঙ্গী, কুর্মিটোলা ও পল্লবী ফায়ার স্টেশনের ৯টি ইউনিট রাত পৌনে ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
রাত ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, কাঁচাবাজারের বেশ কয়েকটি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: পুরান ঢাকায় জুতা কারখানায় আগুন
বঙ্গবন্ধু টানেলের পরিত্যক্ত ওয়্যার হাউজে আগুন নিয়ন্ত্রণে
বিক্রেতাদের সঙ্গে দর কষাকষিতে হতাশ ক্রেতারা
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা এবং মাছের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৫০ টাকা।
অনেক ভোক্তা, বিশেষ করে যারা নির্দিষ্ট বেতনের উপর নির্ভর করে তারা বাজারে গিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে এবং বর্ধিত দাম নিয়ে বিক্রেতাদের সঙ্গে দর কষাকষি করতে দেখা গেছে।
কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, মহাখালী কাঁচা বাজারসহ বিভিন্ন কাঁচা বাজার পরিদর্শন করে এই প্রতিবেদক দেখেন, কোনো সবজির কেজিই ৬০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে না। এসব সবজির দাম আগে বিক্রি হতো ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা কেজি।
পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ী ও সবজি সরবরাহকারীরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি ও বন্যায় সবজির ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াকে দায়ী করছেন। তাই বাজারে সরবরাহ কমে গেছে।
তারা শাকসবজি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধির জন্য উচ্চ পরিবহন ও শ্রম ব্যয়কেও দায়ী করেছে।তবে মানের ভিত্তিতে কাঁচামরিচ কেজিপ্রতি ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, শিম কেজিপ্রতি ২০০ টাকা, তাল বেগুন ৮০ থেকে ৯০ টাকা, লম্বা বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো ১২০ থেকে ১৮০ টাকা, গাজর ৮০ থেকে ১৪০ টাকা, আলু ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে কমেছে কাঁচা মরিচের দাম
এ ছাড়া, উচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি ধুন্দল ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, কচু ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি, মুলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি, কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা কেজি, বরবটি ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি, কুমড়া (মাঝারি আকারের) প্রতি পিস ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ফুলকপি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা পিস, লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকা পিস, চালকুমড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা পিস, ধনে পাতা ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ক্যাপসিকাম (লাল) ৬০০ টাকা কেজি এবং ক্যাপসিকাম (সবুজ) ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি।
অন্যদিকে, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি, আমদানি করা পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, আমদানি করা রসুনের দাম প্রতি কেজি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা এবং দেশি রসুন ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা আদা কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায়, দেশি আদা মানের ভিত্তিতে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।
লাল মসুর ডাল প্রতি কেজি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যেখানে আমদানি করা মসুর ডাল প্রতি কেজি ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, রূপচাঁদা ব্র্যান্ডের পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের বোতল ৮৬০ টাকা, খোলা সুপার পাম অয়েল ১৬০ টাকা কেজি, চিনি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি, গুড় ১৭০ থেকে ২০০ টাকা এবং চিড়া ১২০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মানভেদে চিনি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি, গুড় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা এবং চিড়া ৯০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৬ টাকা কেজি, পাইজাম ৬০ থেকে ৬৪ টাকা কেজি, নাজিরশাইল ব্র্যান্ডের চাল ৭২ থেকে ৮০ টাকা কেজি, মিনিকেট ৬৬ থেকে ৬৮ টাকা কেজি, কাটারি ভোগ ৯০ টাকা কেজি দরে, পোলাও চাল (বাদশাভোগ) প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৫৫ টাকা এবং কালিজিরা ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি।
ঢাকার কাঁচা বাজারে শুক্রবার ময়দা ৭০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি এবং দুই কেজির প্যাকেট ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।শুক্রবার কারওয়ান বাজার মাছের বাজারে প্রায় ৪৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতিটি ৩৫০ টাকা এবং ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকায়। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায়।
আরও পড়ুন: শাকসবজি ও ডিমের দাম কিছুটা কমলেও সন্তুষ্ট নয় ভোক্তারা: ইউএনবি’র বাজার সমীক্ষা
অন্যান্য মাছের মধ্যে পুঁটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, জীবন্ত পুঁটি ৪০০ টাকা কেজি, খলিসা ৪০০ টাকা কেজি, চাপিলা ৪০০ টাকা কেজি, চাষের কই ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি, ফলি চান্দা (রূপচাদা) প্রতি কেজি ১২০০ টাকা, চান্দা ছোট ৪০০ টাকা কেজি, শৈল মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি, বাইম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি, মেনি ৪০০ টাকা কেজি, বোয়াল ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি।
এ ছাড়া, কাইট্টা মাছ ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি, কোরাল মাছ ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি, নদীর পাঙ্গাস ৭০০ টাকা কেজি, চাষের পাঙ্গাস ২০০ টাকা কেজি, রাজপুঁটি ৪৫০ টাকা কেজি, তেলাপিয়া ২২০ টাকা কেজি, রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি, মাঝারি সাইজের কাতল প্রতি কেজি ২৫০-৩০০ টাকা, বড় সাইজের কাতল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি, দেশি শিং মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি, বারবেল ৮০০ টাকা কেজি, গলদা চিংড়ি ৮০০-১০০০ টাকা কেজি এবং বাগদা চিংড়ি ৬০০-৬০০ টাকা কেজি।
গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি, খাসির মাংস ১১৫০ থেকে ১১৮০ টাকায়, মাঝারি আকারের দেশি মোরগ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা এবং মুরগি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, ফার্মের মুরগি ১৭০ থেকে ১৯০ টাকা প্রতি কেজি, ডিম (ফার্ম) প্রতি হালি (৪ পিস) ৫০ টাকা, ডিম (দেশি) ৭০ টাকা এবং ডিম (হাঁস) ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়।
এছাড়া, প্রতি জোড়া কবুতর বিক্রি হয় ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়।
আরও পড়ুন: বাজারে মসলার দামের ঊর্ধ্বগতি, ঈদুল আজহার আগে বিপাকে ক্রেতারা
রাজধানীতে পাইকারি ও খুচরা কাঁচাবাজার নির্ধারিত স্থানে বসাতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীতে জনদুর্ভোগ ও যানজট কমাতে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে পাইকারি ও খুচরা কাঁচাবাজার বসাতে হবে।
মানুষের চলাচলের রাস্তা দখল করে কেউ দোকান বসালে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারের কাঁচাবাজার স্থানান্তরের লক্ষ্যে গাবতলী কাঁচাবাজার এলাকা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, কারওয়ানবাজার অনেক আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখান থেকে সারা ঢাকা শহরের খুচরা বাজারগুলোতে পণ্য ডিস্ট্রিবিউশন হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যারা শাক-সবজি-মাছসহ অন্যান্য পণ্য কারওয়ান বাজারে নিয়ে আসেন তাদের জন্য যেমন কষ্টকর হয়। ঢাকা অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় আবার খুচরা বাজারে পৌঁছাতে অনেক যানজট ও সমস্যা হয়। কারওয়ানবাজার থেকে ঢাকার ভিন্ন পয়েন্টে সুবিধাজনক স্থানে কিভাবে স্থানান্তর করা যায় সেটা নিয়ে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। সকলের প্রচেষ্টায় এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য থাকবে যে সকল ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে চলে আসবেন তারা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং মানুষেরও ভোগান্তি না হয়। তা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কাউকে হঠাৎ করে চলে যেতে বললে সে চলে যাবে না। আরে গেলে কোথায় যাবে। কিন্তু তাদের জন্য জায়গা দেয়া ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেয়া হয় তাহলে তারা অবশ্যই যাবে। কাঁচাবাজার তিনতলা বা পাঁচতলা করা যৌক্তিক না। কিন্তু এখানে এধরনের ভবন করার কারণ ওপরে ইলেক্ট্রিকসহ অন্যান্য পণ্য বিক্রি করা হয়। পরিকল্পিত এবং দৃষ্টিনন্দন ঢাকা গড়া-ই আমাদের মূল লক্ষ্য।
মো. তাজুল ইসলাম জানান, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পাইকারি ও খুচরা কাঁচাবাজার এক জায়গায় হওয়া উচিত নয়। এতে করে একদিকে যেমন জনদুর্ভোগ তৈরি হবে অন্যদিকে যানজটও সৃষ্টি হবে। আমরা চাই পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলো একটি নির্দিষ্ট জায়গায় হোক। পাইকারি কাঁচাবাজারগুলো শহরের বাইরে হলেই বেশি ভালো হবে। মন্ত্রণালয়, ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্ট সকলে মিলে এলক্ষ্যে কাজ করছে। সবাইকে নিয়ে বসে করণীয় ঠিক করা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যত্রতত্র পাইকারি খুচরা বাজার না রেখে কোন এলাকায় কতটি বাজার লাগবে মেয়র এবং কাউন্সিলর বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস্তবায়ন করবে। জায়গা চিহ্নিত করে যদি নতুন করে আরও কাঁচা বাজার প্রয়োজন হলে তা করা হবে।
পরিদর্শনকালে স্থানীয় সরকার বিভাগ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কাউন্সিলর অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর প্রত্যেক বাসা-বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক থাকতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
পানির অপচয় রোধে রিসাইক্লিং করার উদ্যোগ নিতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
সোমবার থেকে রাত ৮টার পর দোকান বন্ধ থাকবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
বিশ্বব্যাপী জ্বালানির অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিজনিত পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে সারাদেশে দোকান, শপিংমল, মার্কেট, বিপণি বিতান সোমবার রাত ৮টার পর থেকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
রবিবার বিকালে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিদিন রাত ৮টার পর দোকান বন্ধের নির্দেশনা ইতোমধ্যে দিয়েছেন। সেটা আগামীকাল সোমবার থেকে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাত ৮টার পর দোকান-শপিংমল বন্ধ রাখার নির্দেশ
এর আগে গত ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ শ্রম আইন,২০০৬ এর ১৪৪ ধারার বিধান কঠোরভাবে প্রতিপালন করে রাত ৮টার পরে দোকান, শপিংমল, মার্কেট, বিপণি বিতান ও কাঁচাবাজার যাতে খোলা না থাকে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে বাণিজ্য, বিদ্যুৎ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তর/দক্ষিণ, এমপ্লোয়ার্স ফেডারেশন, এফবিসিসিআই, এমসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, ঢাকা চেম্বারসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিউমার্কেটে সংঘর্ষ: আরও দুই দোকানকর্মী গ্রেপ্তার
খুলনায় আগুনে পুড়ল ২১ দোকান ও ৫ ঘর
খুলনার রূপসায় একটি কাঁচাবাজারে আগুন লেগে ২৫টি দোকান ও পাঁচটি ঘর পুড়ে গেছে। শনিবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
টুটপাড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা শামসুর রহমান জানান, শনিবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে কাঁচাবাজারের ককশিটের গুদামে আগুন লাগে এবং মুহূর্তে তা আরও ২৫টি দোকান ও ঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট পৌনে এক ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানান তিনি।
দমকলকর্মীরা একটি জ্বলন্ত সিগারেটের টুকরো থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করছেন।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে
আশুলিয়ায় জুতার কারখানায় আগুন, নিহত ৩
হালিশহরে কাঁচাবাজারে আগুন
চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানা এলাকার একটি কাঁচাবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক নিউটন দাশ বলেন, 'সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটের দিকে হালিশহরের গোডাউন বাজারে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিটের ১০টি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এখনও আগুন নির্বাপণ করা যায়নি। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে এবং নির্বাপণ শেষ পর্যায়ে।'
তিনি বলেন, আগুনে একটি বিপণিকেন্দ্রের সেমিপাকা বেশ কিছু দোকানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত ও হিসাব করে জানাতে পারব।
পড়ুন: পেট্রাপোল বন্দরে আগুনে পুড়ল তুলাবোঝাই ১২ ট্রাক
গাজীপুরে কেমিকেল কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ছয় ইউনিট
ঢাকার বাসিন্দারের শীতেও ঘাম ঝরাচ্ছে সবজির দাম
শাক-সবজির দামের ক্ষেত্রে সাধারণ নিয়ম হলো আপনাকে গরমের সময়ের তুলনায় শীতকালে ব্যয় করতে হয় কম অর্থ। তবে এবার, শীতের আমেজ রাজধানীর কাঁচাবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঠাণ্ডা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ে মরিচের কেজি ২০০ টাকা, সবজিও আকাশচুম্বি
ঠাকুরগাঁও শহরের বাজারগুলোতে গত ৩-৪ দিন থেকে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির দামও আকাশচুম্বি। ধান, গম, আলু, ভুট্টা ও সবজির উদ্বৃত্ত এই জেলার মানুষ কম দামেই সবজি কিনতে পারতেন। কিন্তু এখন সেই অবস্থা নেই।
কারওয়ান বাজারে খুচরা বিক্রেতারা বসতে পারবেন না
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে রাজধানীর বৃহত্তম কাঁচাবাজার কারওয়ান বাজারে বসতে পারবেন না খুচরা বিক্রেতারা।