সাবেক এমপি
গাংনীর সাবেক এমপি ও সাবেক মেয়রসহ ২০০ আ.লীগ নেতার নামে মামলা
মেহেরপুর-২ গাংনী আসনের সাবেক এমপি ও গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকনকে প্রধান আসামি করে দ্রুত বিচার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রেজানুল হক ইমন এ মামলা করেন। ইমন গাংনী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড চৌগাছা গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
মামলায় সাবেক মো. সাহিদুজ্জামান খোকন এমপিকে প্রধান আসামি করে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও গাংনী পৌরসভার সাবেক মেয়র আহমেদ আলীকে দ্বিতীয় আসামি করে এজাহারনামীয় ৫০ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১ ও ২ নম্বর আসামিরা গাংনী থানা এলাকার অনলাইন জুয়াড়ীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা। এছাড়া স্থানীয় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মদদদাতা ও অর্থায়নকারী হিসেবে পরিচিত।
তাদের নির্দেশনায় ও অর্থায়নে অন্য আসামিরা খুন, চাঁদাবাজি, লুটপাট, জমি, বিল দখল ও জুয়াসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত। স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থায় বসবাস করছিলেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় ১৬ বছর পর ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
এছাড়া ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর ১ থেকে ৩ নম্বর আসামির নির্দেশে ৩৬ থেকে ৪০ নম্বর আসামিরা বিএনপির গাংনী উপজেলা কার্যালয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন।
এতে কার্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, আসবাবপত্র ও বৈদ্যুতিক মিটার পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে এজাহারে দাবি করা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে অ্যাডভোকেট (আইনজীবী) সেলিম রেজা গাজী বলেন, ‘দ্রুত বিচার আদালত মামলাটি গ্রহণ করে গাংনী থানাকে নথিভুক্তের (এফআইআর) নির্দেশ দিয়েছেন।’
৯ দিন আগে
সাবেক এমপি ফজলকে জিজ্ঞাসাবাদ ও ফিরোজকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে একদিনের (১৬ এপ্রিল) জিজ্ঞাসাবাদ এবং যুবলীগ কর্মী মো. ফিরোজকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এই আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন— বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালকে বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে চট্টগ্রামে ৯ জন শহীদ এবং ৪৫৯ জন আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এ মামলায় আরও অনেকের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সবাইকে চিহ্নিত করার তৎপরতা চলমান আছে।‘
‘সে কারণে আদালত আরও তিন মাসের সময় দিয়েছেন এবং আগামী ৭ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন বলে জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: জামিন মেলেনি আওয়ামী লীগ নেতা মহীউদ্দিনের, কারাগারে প্রেরণ
তিন পুলিশ সদস্যকে হাজিরের নির্দেশ
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় সাভারের আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলায় আরও তিন পুলিশ সদস্যকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। তারা হলেন— ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, বরখাস্ত ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফী ও ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।
ট্রাইব্যুনালকে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই তিন আসামি অন্য মামলায় ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার আছেন।’
১১ দিন আগে
আ.লীগের সাবেক এমপি নাসিম ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং আইনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ও তার স্ত্রী ডা. জাহানারা আরজুর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৯ মার্চ) দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান বাদী হয়ে ফেনীর বিশেষ জজ আদালতে মামলাদুটি করেছেন বলে নিশ্চিত করেন ওই কার্যালয়ের আদালত পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) মো. ইদ্রিস।
অভিযুক্ত নাসিম ফেনী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একসময়ের প্রটোকল কর্মকর্তা ছিলেন। তার স্ত্রী বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক।
মামলায় নাসিমের বিরুদ্ধে ৭৪ কোটি ৫২ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৭ টাকা এবং তার স্ত্রী ডা. জাহানারা আরজুর বিরুদ্ধে ১২ কোটি ৪৭ লাখ ২৬ হাজার ১৮৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আরেক মামলা থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান
আদালত পরিদর্শক মো. ইদ্রিস বলেন, ‘দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ফারুক আহমেদ ও সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান অনুসন্ধান করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে মামলা দুটি করেছেন।’
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ১৯৮৬ সালে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। ২৩ বছর পর ২০০৯ সালে যুগ্ম সচিবের পদ থেকে তিনি স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দিয়ে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন তিনি। গত বছর ফেনী-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হন নাসিম।
তিনি ফেনী, চট্টগ্রাম, পিরোজপুর, কক্সবাজার, মৌলভীবাজার, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মোট ১২৬টি দলিলের মাধ্যমে পাঁচটি ফ্ল্যাট ও দুটি প্লটসহ মোট ৩৯ কোটি ৮ লাখ ৪৪ হাজার ৬০৫ টাকার স্থাবর সম্পত্তি ক্রয় করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া তার নামে ১৪টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৮ কোটি ২৫ লাখ ৪৮ হাজার ১০৮ টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে বলে মামলা সূত্রে জানা যায়।
আরও পড়ুন: অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন বাবর
এ ছাড়াও, ১৫টি কোম্পানিতে ৩৪ কোটি ৬২ লাখ ৩৯ হাজার ৯৫৪ টাকার শেয়ারসহ তার নামে ঢাকা-চট্টগ্রামে ২৭ লাখ ৩৩ হাজার ৪৬ টাকায় ১০টি ক্লাবের সদস্যসহ স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে মোট ৮৪ কোটি ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৭১৩ টাকার সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়। পারিবারিক ব্যয়সহ এ হিসাবের পরিমাণ ১০২ কোটি ৩৮ লাখ ৭ হাজার ৪৯১ টাকা।
অন্যদিকে, তার স্ত্রী ডা. জাহানারা আরজুর নামে ফ্ল্যাট, প্লট ও জমিসহ মোট ১২ কোটি ৪৭ লাখ ২৬ হাজার ১৮৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করায় দুদক আইনসহ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হয়েছে।
৩১ দিন আগে
হবিগঞ্জের সাবেক এমপি মজিদ ২ দিনের রিমান্ডে
হবিগঞ্জ-২ আসনের (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মজিদ খানকে দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) হবিগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. দেলোয়ার হোসাইন শুনানির পর এই আদেশ দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হবিগঞ্জ জেলা সদরে রিপনশীল হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে তাকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা থেকে মজিদ খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল ৫ দিনের রিমান্ডে
৫ আগস্ট বানিয়াচংয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালে বানিয়াচং উপজেলা সদরে গুলিতে ৯ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় তিনি দুই নম্বর আসামি। এছাড়া হবিগঞ্জ জেলা সদরে রিপনশীল হত্যা মামলায় ৩ নম্বরে রয়েছে তার নাম।
মজিদ খান ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ওই আসনে এমপি নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আওয়ামী প্রার্থীর কাছে হেরে যান। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
৫৪ দিন আগে
ফেনীতে সাবেক এমপিদের বাড়ি ও আ.লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
ফেনী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ও ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মাসুদ চৌধুরীর বাড়িসহ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ফেনীর পৌরসভার বারাহীপুরের বাড়ি ও শহরের স্টেশন রোড এলাকায় হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম, ফেসবুক গ্রুপ ও ব্যক্তিগত আইডি থেকে হামলার ঘোষণা দেয়। ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় তারা ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমবেত হয়ে নাসিমের বাড়ির দিকে রওনা দেন। সেখানে হামলা ও ভাঙচুর চালানোর পরে ফেনী রেলস্টেশন রোডের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর চালায়। এ সময় তাদের সঙ্গে স্থানীয়রাও অংশ নেয়। এছাড়া মাসুদ চৌধুরীর সোনাগাজী গ্রামের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে তারা। এ সময় বাড়িতে কেউ ছিল না। তবে সব জিনিসপত্র পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে শেখ মুজিব টাওয়ারের ম্যুরাল ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
ছাত্র প্রতিনিধি সোহরাব হোসেন শাকিল বলেন, ‘বুলডোজার কর্মসূচির অংশ হিসেবে ধানমন্ডি-৩২ গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সন্ধ্যায় প্রোগ্রাম দেওয়া হয়েছে। তাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিপ্লবী ছাত্র সমাজ ও আহত ভাইরা মিলে আজকে এখানে কর্মসূচি পালন করি।’
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, ‘পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।’
এর আগে, গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবরে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা নাসিমের ফেনীর বাসভবন ও স্টেশন রোডের জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
৭২ দিন আগে
সাবেক এমপি আলাউদ্দিনের হাজার কোটি টাকা পাচারের শাস্তি চেয়ে দুদকে আবেদন
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জন ও বিদেশে পাচারের ঘটনায় ফেনী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করা হয়েছে।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ফেনীর পরশুরামের আলী হোসেন নামে এক ব্যক্তি দুদক চেয়ারম্যান বরাবর এই অভিযোগ পত্র দিয়েছেন।
আবেদনে বলা হয়, ফেনী-১ আসনের সাবেক এমপি আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম এক সময় ছিলেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার প্রটোকল। নাসিমের বাড়ি সীমান্তবর্তী উপজেলা পরশুরাম পৌরসভার গুথুমা গ্রামে। যার তিন পাশে সীমান্ত। তার নেতৃত্বে এই সীমান্ত দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা থেকে অবৈধভাবে মাদক, ফেন্সিডিল, গরু, শাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক আসে বাংলাদেশে। আর বাংলাদেশ থেকে পাচার হয় স্বর্ণ। ২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনার প্রটোকল অফিসার পদবি ব্যবহার করে প্রশাসনে বদলি, পদায়ন থেকে শুরু বিনা টেন্ডারে কাজ পাইয়ে দেওয়া, বিদ্যুৎ কোম্পানির লাইসেন্স করে দেওয়া কাজ শুরু করে আলাউদ্দিন নাসিম।
এতে আরও বলা হয়, আলাউদ্দিন নাসিম দেশটিকে বানিয়েছিলেন অনিয়ম ও দুর্নীতির ‘স্বর্গরাজ্য’। বালুমহাল, টেন্ডারবাণিজ্য, সালিশিবাণিজ্য, নিয়োগবাণিজ্য ও সীমান্ত থেকে চোরাকারবারী চলত তার নির্দেশে। তিনি মিস্টার টোয়েন্টি পার্সেন্ট হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন দেশব্যাপী। তাকে ২০ পার্সেন্ট কমিশন না দিলে কোনো টেন্ডারই পেতো না ব্যবসায়ীরা। প্রকল্পের কাজ শুরুর আগেই তিনি বুঝে নিতেন তার কমিশনের টাকা। বিভিন্ন সময় দুর্নীতির কারণে অনেকেই ধরা পড়লেও সব সময় অন্তরালে থেকে গেছেন দুর্নীতির বরপুত্র খ্যাত আলাউদ্দিন নাসিম।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বিদ্যুৎ খাতে মাফিয়া সিন্ডিকেটের গডফাদার আলাউদ্দিন নাসিমের হাত ধরে দেশে গত সাড়ে ১৫ বছরে বেসরকারি বিদ্যুৎ খাতে মহালুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পতিত শেখ হাসিনার ঘনিষ্টজন হওয়ায় বিনা পুঁজিতে ব্যবসায়িক পার্টনার হয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের প্রকল্প থেকে বিদেশে পাচার করেছেন হাজার হাজার কোটি টাকা।
ডাচ-বাংলা পাওয়ার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের ৩০ শতাংশ শেয়ারের মালিক ফেনী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। এস আলমের মালিকানাধীন এসএস পাওয়ার ওয়ান লিমিটেডের মালিকানাও রয়েছে নাসিমের। প্রতিমাসে ব্যাংকে এসএস পাওয়ার থেকে মোটা অঙ্কের চেক নাসিমের এবং তার ওয়াইফ অধ্যাপক ডা. জাহানারা আরজুর নামে জমা হয়। শুধু এই দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নয়, আরও কয়েকটি বিদ্যুৎ প্রকল্পের নামে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোন নিয়ে বিদেশে পাচার করেন তিনি। জালিয়াতি ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ঋণ নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ‘কারচুপি’ তদন্ত করবে দুদক
২০২৪ এর নির্বাচনী হলফনামায় স্থাবর সম্পদ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, কৃষি জমি ১০ কোটি ১৩ লাখ ৪৫ হাজার ১৪৭ টাকা, তার স্ত্রীর ৪৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৬ টাকা, অকৃষি জমি ২৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা, স্ত্রীর ৭৭ লাখ ৩২ হাজার টাকা।
তার রয়েছে ৮ কোটি ৫২ লাখ ৯৩ হাজার ৪৬৬ টাকা মূল্যের তিনটি দালান (আবাসিক ও বাণিজ্যিক) রয়েছে। ১২ কোটি ৩১ লাখ ৪৬ হাজার ৯২০ টাকা মূল্যের ৬টি ও তার স্ত্রীর ২ কোটি ২৫ লাখ ৯৪ হাজার ২০১ টাকা মূল্যের ৪টি বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্ট।
২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে আলাউদ্দিন নাসিম, রাজধানীর অভিজাত গুলশান এলাকায় এনই(কে) ব্লকের ৮৩ নং সড়কের ১৩/বি প্লটটি জমি ও ভবনসহ কিনে নেন। জমির পরিমাণ ১২ কাঠা। গুলশানে জমির সর্বনিম্ন মূল্য কাঠা প্রতি ১০ কোটি টাকা, সেই হিসেবে হাসিনার এই সাবেক এপিএস গুলশানে ১২ কাঠা জমি ক্রয় করেন ১২০ কোটি টাকায়। যদিও তার হলফ নামায় এই জমির বিস্তারিত উল্লেখ নেই।
নাসিম বিসিএস প্রশাসন সার্ভিসে ১৯৮৬ সালে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে তিনি সেসময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রটোকল অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হয়ে ২০০১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের পর সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার এপিএস হিসেবে তিনি কাজ শুরু করেন। এই দায়িত্বে তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচন পর্যন্ত ছিলেন। ২০০৯ সালে উপসচিব হিসেবে তিনি প্রশাসন ক্যাডার থেকে পদত্যাগ করে অবসরে যান।
আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ২০২৪ সালের নির্বাচনী হলফনামায় তার ও স্ত্রীর মোট ১০৮ কোটি ৩৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৪৫ টাকার সম্পদ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
রাজধানীর অভিজাত গুলশান এলাকায় আলাউদ্দিন নাসিমের মদের গুদাম আছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, এমপি ও তার পরিবারের সদস্যদের দেশ-বিদেশে নামে-বেনামে রয়েছে হাজার কোটি টাকার অর্থ-সম্পদ। এ ছাড়াও কানাডায় রয়েছে বাড়ি-গাড়ি।
২০১৪ সালের ২০ মে সকালে ফেনী শহরের একাডেমি এলাকায় গাড়িতে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একরামুল হককে প্রকাশ্যে পিটিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আর এই পুরো ঘটনাটি ঘটে আলাউদ্দিন নাসিমের পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় অভিযোগে।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আলাউদ্দিন নাসিম আত্মগোপনে চলে যান।
ফেনীর পরশুরামে ৩০ একর জায়গায় ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত করা হয় আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম কলেজ। জোরপূর্বক ও ভয় দেখিয়ে নামমাত্র মূল্য পরিশোধ করে কলেজের জন্য কৃষিজমির জায়গা দখল করে নেওয়া হয়। ফিল্মিস্টাইলে লাল কাপড় লাগিয়ে এস্কেভেটর দিয়ে শুরু করেন মাটি কাটা। লাল পতাকা টাঙানোর পর বলা হতো, এই জমিগুলো অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। পরে দেখা যায়, অধিগ্রহণ নয়, মানুষ জানতে পারেন দখল করা হয়েছে। নাসিম কলেজের নামে কয়েক বিঘা জমি জোর করে দখল করে নেন।
আরও পড়ুন: হাসিনার সামরিক উপদেষ্টাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আলাউদ্দিন নাসিমের বাবা একাত্তরের রাজাকার ছিল। ২০১৩ সালে তার নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় ঢোকানো হয়। ২০২০ সালের ২৬ জুলাই মুক্তিযোদ্ধা নামধারী রাজাকার সালেহ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী মারা গেলে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দিয়ে দাফন করা হয়! পজির উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর ছেলে সালেহ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি ফেনীর পশুরাম উপজেলা উত্তর গুথুমা গ্রামে। ১৯৭১ সালের ২০ আগস্ট ফেনী মহকুমা পিস কমিটির চেয়ারম্যান প্রকাশিত ০৯ সদস্য বিশিষ্ট পাকিস্তান বাহিনীর সহযোগীদের তালিকায় ৭ নম্বর নামটি ছিল আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী নাসিমের বাবা সালেহ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর। কালের বিবর্তনে ৪২ বছরের ব্যবধানে এই রাজাকার ২০১৩ সালের ৮ এপ্রিল সরকারের গেজেটে মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত হয়ে যায়।
সালেহ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দিতে ২০১৯ সালের ২০ জুলাই জাতীয় সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের মহাসচিব তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন। যা এখনও আলোর মুখ দেখেনি।
৭৬ দিন আগে
হবিগঞ্জের সাবেক এমপি ও তার পরিবারের সম্পত্তি জব্দের আদেশ
হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু জাহির ও তার পরিবারের নামে সাড়ে ১০ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই সম্পদ ক্রোক (জব্দ) ও হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসককে রিসিভার নিয়োগের আদেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সিনিয়র স্পেশাল জজ জেসমিন আরা বেগম এ আদেশ দেন।
আদালতে দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, আবু জাহির ও তার পরিবারের সদস্যরা নামে-বেনামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ভূমি দস্যুতা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া দুদক হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয় অনুসন্ধান করেছে বলে আবেদনে বলা হয়।
আবু জাহিরের নামে ঢাকার গুলশানে অ্যাপার্টমেন্ট ও হবিগঞ্জ শহরে টাউন হল এলাকায় বাসাসহ ৯টি স্থাবর সম্পত্তির অর্জন মূল্য দেখানো হয়েছে তিন কোটি ১১ লাখ ২৩ হাজার ৮০০ টাকা। স্ত্রী আলেয়া আক্তারের নামে ৯৯ লাখ ১০ হাজার ১০০ টাকা, ছেলে ইফাত জামিলের নামে ৫৯ লাখ ৭৭ হাজার ৩০০ ও মেয়ে আরিফা আক্তার মুক্তির ৬ লাখ ৫০ হাজার ১০০ টাকার সম্পদ রয়েছে। এছাড়া ভাই বদরুল আলমের নামে রয়েছে ২ কোটি ৪৫ লাখ ৫৬ হাজার ২২১ টাকার সম্পদ। এছাড়া আবু জাহিরের ১ কোটি ৩৯ লাখ ২ হাজার ৭০৬ টাকা মূল্যের একটি জিপ ও একটি প্রাইভেট কার রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংক হিসেবে মেয়ে মুক্তির নামে ১৪ লাখ ৫৯ হাজার ৬৬২ টাকা, আবু জাহির ও ভাই আল আমিনের যৌথ নামে ২৬ লাখ ১১ হাজার ১১৪ টাকা ও আল আমিনের নামে ২৫ লাখ টাকা জমা রয়েছে।
শেয়ার বাজারে ছেলে ইফাত জামিলের ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৩৩ টাকা, মেয়ে মুক্তির ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮২৩ টাকার বিনিয়োগ রয়েছে।
আমেরিকান লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে (বর্তমান মেট লাইফ) আবু জাহিরের ১৯ লাখ ২০ হাজার, স্ত্রী আলেয়া আক্তারের ১৮ লাখ ৯৩ হাজার ৮৮ টাকা, ছেলে ইফাত জামিলের ৩৩ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৪ টাকা ও ভাই বদরুলের নামে ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৫৮৮ টাকার বিমা রয়েছে।
আরও পড়ুন: এস আলমের ৬৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ, ১৬টি সম্পত্তি জব্দের আদেশ
দুদক আদালতকে জানিয়েছে যে, আবু জাহির ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ১৯ স্থাবর ২টি যানবাহন ৪টি ব্যাংক হিসাব, ২টি শেয়ার একাউন্ট ৯টি বীমা পলিসি ১৭টি অস্থাবর সম্পতি অন্যত্র বিক্রি, হস্তান্তর বা বেহাত করার অপচেষ্টয় লিপ্ত বলে গোপন সূত্রে খবর পেয়েছে। অভিযোগ নিস্পত্তির আগে বর্ণিত সম্পত্তি হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় জেলা প্রশাসককে রিসিভার নিয়োগ করা জরুরি।
দুদকের হবিগঞ্জের পিপি শামসুল হক আবু জাহিরের সম্পদ ক্রোক ও জেলা প্রশাসককে রিসিভার নিয়োগের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।
৮৭ দিন আগে
সাবেক এমপি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন গ্রেপ্তার
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপির উপ-কমিশনার (ডিসি-মিডিয়া) তালেবুর রহমান জানান, সোমবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকার মনসুরাবাদ হাউজিং সোসাইটি থেকে ড. মহিউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি বলেও জানান ডিএমপির উপ-কমিশনার তালেবুর রহমান।
৯০ দিন আগে
সাবেক এমপিদের গাড়িসহ শতাধিক গাড়ি নিলামে তুলছে চট্টগ্রাম কাস্টম
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সংসদ সদস্যদের (এমপি) শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা ৩১টি বিলাসবহুল গাড়িসহ শতাধিক গাড়ি নিলামে তুলছে চট্টগ্রাম কাস্টম। আগামী ২১ জানুয়ারি দরপত্র প্রকাশের প্রস্তুতি রয়েছে।
তবে নিয়ম অনুযায়ী নিলামের আগে শুল্কসহ গাড়ি ছাড়িয়ে নিতে তাদের নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সাড়া পাওয়া যায়নি।
আওয়ামী লীগ আমলের এমপিরা শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়িগুলো আমদানি করেছিলেন। সংসদ ভেঙে যাওয়ায় সেই সুবিধা আদায় করা যায়নি।
মামলাসহ সব জটিলতার অবসান ঘটিয়ে ১০০ গাড়ি অবশেষে নিলামে বিক্রি করছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ। এর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে সংসদ সদস্য কোটায় শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা ৩১টি ল্যান্ড ক্রুজারও রয়েছে।
আরও পড়ুন: ছুটির দিন শনিবারেও চালু থাকবে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ
ইতোমধ্যে এসব গাড়ির ইনভেন্ট্রিও শেষ হয়েছে। কাস্টমস এই গাড়ি নিলাম থেকে অন্তত ৪০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
৬০ শতাংশ হিসেবে ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা রিজার্ভ ভ্যালু নির্ধারণ করে নিলামে তোলা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে সংসদ সদস্যদের নামে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা ৩১টি ল্যান্ড ক্রুজার। তার সঙ্গে যুক্ত হবে ২৫ শতাংশ ভ্যাট ও ট্যাক্স। ৩১টি গাড়ি থেকেই রাজস্ব আদায় হবে অন্তত ২২১ কোটি টাকা।
নিলামে আরও তোলা হয়েছে ৫টি হ্যারিয়ার, ১৩টি হাবাল, ৩টি করে স্কয়ার, প্রিমিও ও নোয়া, ১টি করে র্যাভ-ফোর ও ওসাকা ব্র্যান্ডের গাড়ি।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের সহকারী কমিশনার মো. সাকিব হোসেন ইউএনবিকে জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের কার শেডসহ বিভিন্ন পয়েন্টে বর্তমানে ৯০০ বেশি আমদানি করা গাড়ি রয়েছে, যেগুলো নানা জটিলতার কারণে আমদানিকারক ছাড় করছেন না। এমনকি মামলার কারণে গাড়িগুলোও নিলামে তোলা যাচ্ছিলো না। এতে বন্দরের শেডগুলোতে বাড়ছিলো গাড়ির জট। শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ কঠোরতার মধ্যে নিলাম প্রক্রিয়া শুরু করার পরপরই ৩১টি গাড়ি জরিমানা দিয়ে আমদানিকারক ছাড় করিয়ে নিয়েছেন। তবে সাবেক কোনো সংসদ সদস্য গাড়ি ছাড় করেননি।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের উপকমিশনার মো. সাইদুল ইসলাম জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর নিলামে তোলা ১০০টি গাড়ির ইনভেন্ট্রি শেষ করার পর অন্তত ৫০টির ভ্যালু নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পোশাক শিল্পের রপ্তানি-আমদানিতে কাস্টমস হাউজের সহযোগিতার আহ্বান বিজিএমইএর
তবে, বন্দরের খোলা শেডে পড়ে থাকা ৩০০ গাড়ি ইতোমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে। এই গাড়িগুলো নিলামের সিদ্ধান্ত না হওয়ায় দেখা দিয়েছে জটিলতা।
চট্টগ্রাম কাস্টম বিডার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বন্দরের কার শেডে পড়ে থাকা ৩০টি সিমেন্ট মিক্সার মেশিন ও ১০টি ডাম্প ট্রাকও নিলামে বিক্রি করবে কাস্টম হাউজ।
৯৪ দিন আগে
সাবেক এমপি নিক্সন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
দুর্নীতির অভিযোগে ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে এই তথ্য জানানো হয়।
দুদকের মহাপরিচালক আখতার হোসেন (প্রতিরোধ) সাংবাদিকদের বলেন, তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেছে কমিশন।
তাদের বিরুদ্ধে ৩ হাজার ১৬২ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন এবং ১৯ কোটি ২৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: কৃষি যন্ত্রপাতি ও মেশিন আমদানির চেয়ে বেশি বিতরণ দেখানো হয়েছে: দুদক
১০০ দিন আগে