আত্মগোপন
আত্মগোপনে থাকা পুলিশ সদস্যদের খুঁজে বের করতে জনসাধারণের সহায়তা চাইলেন ডিএমপি কমিশনার
জুলাই ও আগস্টে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমনে জড়িত থাকার পর আত্মগোপনে থাকা বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে খুঁজে বের করতে জনসাধারণকে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মাইনুল হাসান।
তিনি বলেন, কিছু কর্মকর্তা ৫ আগস্ট থেকে নিখোঁজ রয়েছেন এবং এখনও কর্মে ফিরে আসেননি।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকালে ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন শেষে ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কিছু কর্মকর্তা হয়তো পালিয়ে গেছেন। 'আমাদের ধারণা কিছু কর্মকর্তা আত্মগোপনে আছেন।’
তিনি এই কর্মকর্তাদের খুঁজে বের করতে জনসাধারণের সহযোগিতা চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৫ দিনের রিমান্ডে সাবের হোসেন চৌধুরী
হাসান বলেন, ‘আমরা আশা করি, সমাজের সর্বস্তরের মানুষ তাদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিয়ে আমাদের সহায়তা করবেন। যদিও আমরা তাদের খুঁজে বের করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, তবুও আপনাদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
ডিএমপি কমিশনার হাসান ৫ আগস্ট বিভিন্ন থানায় ঘটে যাওয়া ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত আইনি পদক্ষেপের বিষয়টিও তুলে ধরেন, যার ফলে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। তিনি বিশেষভাবে যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা পূর্ব থানায় দায়ের করা মামলার কথা উল্লেখ করেন, যেখানে আরও মামলা ঝুলে আছে।
তিনি বলেন, ‘রাজধানীর বিভিন্ন স্টেশনে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি।’
পুলিশের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরার সক্ষমতা সম্পর্কে জানতে চাইলে হাসান স্বীকার করেন, সাময়িক কাজে বিঘ্ন ঘটেছে তবে জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন যে, পুলিশি পরিষেবা পুনরায় শুরু হয়েছে। তিনি জনসাধারণকে আশ্বাস দেন পুলিশ দৃঢ় সংকল্প নিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করবে, বিশেষত দুর্গাপূজা উৎসবের আগে, পরিষেবায় কোনো বিঘ্ন ছাড়াই।
কমিশনারের মন্দির পরিদর্শনের সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৮ দিনের রিমান্ডে সাবেক সংসদ সদস্য শিউলি আজাদ
১ মাস আগে
১৬ বছর আত্মগোপনে থেকে অবশেষে গ্রেপ্তার!
১৬ বছর আত্মগোপনে থেকেও শেষ রক্ষা হলো না চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর এলাকার একাধিক মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি মো. মোস্তফা মিয়ার।
অবশেষে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে র্যাবের হাতে ধরা পড়লেন তিনি। মোস্তফা মিয়া ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানার উত্তর মাদ্রাজ গ্রামের মৃত আবু বক্কর মুন্সীর ছেলে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সাজাপ্রাপ্ত ২৭ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্ততিতে এ তথ্য জানায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব-৭) সিনিয়র সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. নুরুল আবছার।
তিনি জানান, ২০০৮ সালে হত্যার হুমকিসহ আঘাতের অভিযোগে ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানায় একটি মামলা রুজু হয়। মামলার বিচার কার্যক্রম চলাকালে বিজ্ঞ আদালত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন, গ্রেপ্তার ২
মো. নুরুল আবছার জানান, ১৬ বছর ধরে পলাতক থাকা পরোয়ানাভুক্ত আসামি মোস্তফা মিয়া নগরীর হালিশহরে অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তার বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ আইনের ৩২(২)/৪০ ধারায় একটি মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে। তাকে ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাসের ধাক্কায় ৬ পুলিশ সদস্য আহত: চালক-হেলপার-সুপারভাইজার গ্রেপ্তার
৮ মাস আগে
নেতারা আত্মগোপনে থেকে কর্মীদের দিয়ে গাড়ি পোড়ানোই বিএনপির অবরোধ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি নেতারা নিজেরা আত্মগোপনে থেকে কর্মী ও সন্ত্রাসীদের টাকা দিয়ে গাড়ি পোড়ানো, মানুষের উপর হামলা চালানোই বিএনপির অবরোধ কর্মসূচি। এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ না, সন্ত্রাসী সংগঠনের কাজ।’
তিনি বলেন, ‘সরকার সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের ধরতে সরকার বদ্ধপরিকর। পাশাপাশি জনগণকেও আহবান জানাব এদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে।’
আরও পড়ুন: শেষ সন্ত্রাসী নির্মূল হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে: তথ্যমন্ত্রী
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে সরকারি বাসভবনে অনলাইন নিউজপোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ওনাব) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রবিবার থেকে বিএনপির ডাকা চতুর্থ দফার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ নিয়ে প্রশ্নে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘দুনিয়ার অন্য কোথাও কেউ হরতাল-অবরোধের নামে গাড়ি পোড়ায় না। আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, কখনো গাড়ি পোড়াইনি, বড়জোর রিকশার চাকার হাওয়া ছেড়ে দিতাম। তবে বিএনপির অবরোধ কর্মসূচি ইতিমধ্যেই ব্যর্থ হয়েছে। গতকালও (বৃহস্পতিবার) রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম হয়েছে। মানুষ অবরোধ পালন করছে না, বরং ভয়ের ভাবটাও কেটে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: পাড়া-মহল্লায় আগুনসন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলুন: তথ্যমন্ত্রী
গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধির পরও বহিরাগতদের চক্রান্ত
এ সময় পোশাকশ্রমিকদের বেতন ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি করে মাসিক ১২ হাজার ৫০০ টাকা করার পরও বহিরাগতদের দিয়ে এই খাতে অস্থিরতা তৈরির অপচেষ্টা চলছে উল্লেখ মন্ত্রী বলেন, “২৮ অক্টোবর দেশে চূড়ান্ত অস্থিরতা তৈরি করতে না পেরে সেই একই মহল এখন গার্মেন্টসে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যারা শ্রমিক নয়, কোনো ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে না, যাদের গাড়ি-ঘোড়া আছে, বড় ব্যাংক ব্যালান্স আছে, ঢাকায় সুন্দর ফ্ল্যাট আছে, তারাই ‘শ্রমিক নেতা’ এবং অস্থিরতার পাঁয়তারার হোতা।”
তিনি বলেন, ‘এদের কেউ কেউ শ্রমিকদের বেতন ২৫ হাজার টাকা দাবি করেছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে সরকারি বা ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যারা চাকরিতে ঢুকে তারাও ২০ হাজার টাকার মতো বেতন পায়। অর্থাৎ বাস্তবতার নিরিখে এই দাবি আসলে গ্রহণযোগ্য নয়।’
গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিকেও তো বাঁচিয়ে রাখতে হবে, নাহলে বেতন কোথা থেকে দেবে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সে কারণে মালিক, শ্রমিক সবপক্ষের বসার পর প্রধানমন্ত্রী ১২,৫০০ টাকা এবং প্রতি বছর ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এরপর বেশিরভাগ শ্রমিকই সন্তুষ্ট হয়ে কাজে ফিরে গেছেন। কিন্তু কিছুকিছু জায়গায় বাইরের লোক গিয়ে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে। পুলিশ ভিডিও ফুটেজ দেখে অনেককে শনাক্ত করছে। সাংবাদিকদের অনুরোধ জানাই, শ্রমিকের বাইরে যারা আছে তাদের নিয়ে অনুসন্ধানী রিপোর্ট করার জন্য, কারণ এই বহিরাগতদের নাশকতারও পরিকল্পনা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা নেতা-কর্মীদের পয়সা দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা করাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
মূলধারার গণমাধ্যমকে গুজবের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার আহ্বান
এর আগে ‘ওনাব’ নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় নিবন্ধিত অনলাইনসহ মূলধারার গণমাধ্যমকে গুজব ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে, সমালোচনাকে সমাদৃত করার সংস্কৃতি লালন করে। এ কারণেই আমাদের সরকারের সময় গণমাধ্যমের অভূতপূর্ব বিকাশ বা ‘এক্সপোনেন্সিয়াল গ্রোথ’ হয়েছে।
দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আছে কিন্তু গণমাধ্যমের কোনো কোনো ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার ঘাটতি রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশে-বিদেশ থেকে পরিচালিত কিছু ভুঁইফোড় অনলাইনই এখন গুজব ছড়ানোর মাধ্যম।
তিনি আরও বলেন, পদ্মাসেতু তৈরির সময়, রামু ও নাসিরনগরের ঘটনাতেও তাই দেখা গেছে। মূলধারার গণমাধ্যমের অংশ হিসেবে নিবন্ধিত অনলাইন নিউজপোর্টালগুলোর দায়িত্ব গুজব ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকা।
‘ওনাব’ সভাপতি মোল্লাহ এম আমজাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহিন চৌধুরী, সহসভাপতি সৌমিত্র দেব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান ও আশরাফুল কবির আসিফ, নির্বাহী সদস্যদের মধ্যে অধ্যাপক অপু উকিল, নজরুল ইসলাম মিঠু, অয়ন আহমেদ মতবিনিময়ে অংশ নেন। তারা ‘অনলাইন বিজ্ঞাপন নীতিমালা’ প্রণয়নের দাবি উত্থাপন করলে মন্ত্রী হাছান সেটি সুবিবেচনার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
নিজেই আত্মগোপনে ছিলেন রহিমা বেগম, আদালতে ছেলের জবানবন্দি
খুলনার রহিমা বেগম আত্মগোপনে থেকে নিজেই অপহরণের নাটক সাজিয়েছেন দাবি করে জবানবন্দি দিয়েছেন তার ছেলে মোহাম্মদ মিরাজ আল শাদী।
খুলনা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, সোমবার রহিমা বেগমের ছেলে কার্যালয়ে এসে স্বেচ্ছায় একটি জবানবন্দি দিতে চাইলেন। তিনি বলেন, তার মা যাদেরকে জড়িয়েছেন বা জমিজমা সংক্রান্ত যে বিরোধ মায়ের আত্মগোপনের পেছনে তাদের কোনো হাত নেই। তারা নির্দোষ। আমরা তখন তাকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠিয়ে দেই। সংশ্লিষ্ট আদালতে তিনি জবানবন্দি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: খুলনার রহিমা খাতুনের খোঁজ ১৫ দিনেও মেলেনি
সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, মিরাজ আমাদের জানিয়েছেন যে তার মা এর আগেও একাধিকবার আত্মগোপন করেছিলেন। পারিবারিক বিষয় নিয়ে তার বাবার সঙ্গে ঝগড়া করে। আর এবার জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধীদেরকে ফাঁসানোর জন্য।
মিরাজ বলেন, মায়ের আত্মগোপনের সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি যখন মহেশ্বরপাশায় যেয়ে দেখি যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তারা সবাই নিজ বাসায় আছেন। পরে তাদেরকে নিয়ে আমি আমার মাকে খুঁজি। এর মানে তিনি স্বেচ্ছায় গেছেন। তার জবানবন্দি আইনানুযায়ী আদালতে রেকর্ড হয়েছে।
পিবিআই পুলিশ সুপার বলেন, চলতি মাসে মামলার প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। কিছু প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছি। যার মধ্যে নিখোঁজের আধাঘণ্টা আগে রহিমা বেগমের বিকাশে টাকা এসেছিল। এই টাকা কোথা থেকে এসেছিল আর কেনই এসেছিল, এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মিরাজ বলেন, আমার সঙ্গে মায়ের কোনো যোগাযোগ নেই। পিবিআই প্রতিবেদন দেয়ার পরই তার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করার আইনি প্রক্রিয়ায় যাবো।
আরও পড়ুন: নিখোঁজ মাকে ফিরে পেতে ৬ সন্তানের আকুতি
রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নান বলেন, আমি ঢাকায় রয়েছি। ফের মা নিখোঁজের বিষয়ে কিছু জানি না। এ বিষয়ে আমার ভাই মিরাজ অথবা বোন আদুরীর সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট রাত আনুমানিক ১০টার দিকে খুলনা মহানগরীর মহেশ্বরপাশার উত্তর বণিকপাড়ার নিজ বাসা থেকে টিউবওয়েলে পানি আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন রহিমা বেগম। এরপর আর ঘরে ফেরেননি তিনি। স্বামী ও ভাড়াটিয়ারা নলকূপের পাশে ঝোপঝাড়ে তার ব্যবহৃত ওড়না, স্যান্ডেল ও বালতি দেখতে পান। সেই রাতে মাকে খুঁজতে আত্মীয়-স্বজন, আশপাশসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেন সন্তানরা।
রহিমার ছয় সন্তান কখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কখনো মাইকিং, কখনো আত্মীয়-স্বজনদের দ্বারস্থ হয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলন ও মানববন্ধনও করেছেন। পুলিশ জানায়, গত ২৭ আগস্ট নগরীর মহেশ্বরপাশা এলাকার বাড়ির সামনে থেকে রহিমা বেগম নিখোঁজ হন- এ অভিযোগ তুলে তার মেয়ে আদরী খাতুন বাদী হয়ে পরদিন দৌলতপুর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় ৫৫ বছর বয়সী এক নারী নিখোঁজ
পরে ২৪ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ১১টার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারীর সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুসের বাড়ি থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশের একটি টিম দিবাগত রাত ২টার দিকে তাকে নিয়ে দৌলতপুর থানায় পৌঁছায়। পরদিন বেলা ১১টার দিকে পুলিশ রহিমা বেগমকে পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করে। ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে রহিমা বেগমকে (৫২) তার ছোট মেয়ে আদরী খাতুনের জিম্মায় দেন আদালত। রাতে খুলনা মহানগরীর বয়রা এলাকায় আদরীর বাসায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। ওইদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে খুলনা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক আল আমিনের কাছে জবানবন্দি দেন রহিমা বেগম।
২ বছর আগে
নির্যাতন থেকে বাঁচতেই ৫ বছর আত্মগোপনে ছিল আসমানী!
শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতন থেকে বাঁচতেই পাঁচ বছর আত্মগোপনে ছিল আসমানী খাতুন। পিবিআই এর জিজ্ঞাসাবাদে গাজীপুর থেকে উদ্ধার হওয়া নাটোরের গৃহবধূ আসমানী এ তথ্য জানিয়েছেন।
আসমানী নাটোর সদর উপজেলার কৃষক দুলাল ফকিরের স্ত্রী।
বুধবার দুপুরে নাটোর পিবিআই কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দিন জানান, আসমানী খাতুন ২০১৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় আসমানীর বাবা আকবর আলী বাদি হয়ে জামাই দুলালসহ ওই পরিবারের পাঁচজনের বিরুদ্ধে মেয়েকে হত্যা করে গুম করার অভিযোগ এনে মামলা করেন। মামলায় আসমানীর শ্বশুর নুরুল ইসলাম জেলও খাটেন।
পরে মামলাটি পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তথ্য প্রযুক্তি ও পরিবারের ওপর নজরদারির মাধ্যমে সন্ধান মেলে আসমানীর। সে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থেকে গার্মেন্টেসে কাজ করতো।
জিজ্ঞাসাবাদে আসমানী জানিয়েছে, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতন থেকে বাঁচতেই সে আত্মগোপনে করেছিল।
আরও পড়ুন: ফেসবুক লাইভে স্বামীর নির্যাতনের বর্ণনার দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যার চেষ্টা!
তরুণ-তরুণীকে নির্যাতন: গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পর আসামিদের জামিন
২ বছর আগে
করোনা টেস্টের আড়াই কোটি টাকা নিয়ে আত্মগোপনে টেকনোলজিস্ট
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাস (৪৫) বিদেশগামীদের করোনা টেস্টের আড়াই কোটি টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করে আত্মগোপন করেছেন বলে জানা গেছে।
খুলনা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় খুলনা সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে আত্মগোপনে থাকা প্রবাসীদের পাসপোর্ট বাতিলের ঘোষণা
সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, খুলনা জেনারেল হাসপাতালে বিদেশগামীদের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাশ নমুনা পরীক্ষার ফি নেয়া ও ল্যাব ইনচার্জেরও দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু তিনি ২০২০ সালে ২ জুলাই থেকে প্রতিদিন যতজন পরীক্ষা করাতেন, তার চেয়ে কম সংখ্যক মানুষের নাম খাতায় লিপিবদ্ধ করতেন। বাকি টাকা আত্মসাৎ করতেন।
এ বিষয়ে তাদের সন্দেহ হওয়ার পর চলতি বছরের এপ্রিল মাসে চিঠি দিয়ে প্রকাশের কাছে লিখিত হিসাব চাওয়া হলে প্রকাশ কুমার বিভিন্ন তালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। এরপর চলতি বছরের ২২ আগস্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে তদন্ত কমিটি ১৬ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, যে পরিমাণ টাকা জমা হওয়ার কথা ছিল তার চেয়ে প্রায় ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা কম জমা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘জামায়াত নেতার’ বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন যুবলীগ নেতা সম্রাট
তদন্ত কমিটি মৌখিকভাবে তাকে জিজ্ঞাসা করলে প্রকাশ কুমার হিসাবে গড়মিল রয়েছে বলে স্বীকার করেন। এরপর তাকে শোকজ করা হয় এবং লিখিতভাবে হিসাব জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার তার হিসাব ও টাকা জমা দেয়ার শেষ দিন ধার্য্য ছিল। ওই দিন দুপুরে অফিসে বসে হিসাব করার একপর্যায়ে প্রকাশ কুমার কাউকে কিছু না জানিয়ে অফিস থেকে বের হয়ে যান। এরপর থেকে তিনি আর অফিসে আসেনি।
আরও পড়ুন: স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন আবু ত্ব-হা : পুলিশ
সিভিল সার্জন জানান, আত্মসাত করা টাকার পরিমাণ প্রায় ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আইনজীবীকে দিয়ে মামলার এজাহার লেখানো হচ্ছে, লেখা শেষ হলে খুলনা সদর থানায় মামলা দায়ের করা হবে।
ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, প্রকাশ কুমার দাশ যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
৩ বছর আগে
বিয়ে বাড়ি থেকে বর উধাও: অপহরণ নাকি আত্মগোপন!
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা মিতাপাড়া গ্রামে বর ফুলবাবু চন্দ্র বর্মনের বাড়িতে বৌ-ভাতের আয়োজন হলেও বরের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় বরকে অপহরণ করা হয়েছে, নাকি বর আত্মগোপন করেছেন এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
শনিবার বরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বৌ-ভাতের আয়োজনে আমন্ত্রিত অতিথিরা এসে ঘুরে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বিয়ের ৮ মাসের মাথায় গৃহবধূকে ‘হত্যার’ অভিযোগ
এলাকাবাসী জানান, ওই গ্রামের প্রভাত চন্দ্র বর্মনের ছেলে ফুলবাবু চন্দ্র বর্মন। তার দীর্ঘদিন ধরে সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের হরিনারায়নপুর গ্রামের দালালপাড়া গ্রামের হরি বর্মনের মেয়ে প্রতিমা রানী ওরফে শেফালীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
কিন্তু পরে ফুলবাবু বিয়েতে টালবাহানা শুরু করে। এ অবস্থায় ১৫ দিন পূর্বে শেফালী বিয়ের দাবিতে ফুলবাবুর বাড়িতে অনশন শুরু করে। পরে বাড়ির লোকজন শেফালীকে নিয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে সালিশ বৈঠক বসেন। সেখানে উভয় পরিবারের লোকজন আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে উভয়ের হিন্দু ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিয়ে রেজিস্ট্রি করার ও বিদায় আনুষ্ঠানের দিন ধার্য করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার গায়ে হলুদ, শুক্রবার বরযাত্রা ও শনিবার বৌ-ভাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বর ফুলবাবু বিয়ের বাজার করার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। বিয়ের দিন শুক্রবার দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর কনে প্রতিমা রানী শেফালীর পরিবারের লোকজন তাকে মাইক্রোবাসে করে পরিবারের ১৫/২০ জন মানুষ বরের বাড়িতে দিয়ে আসেন। শনিবার বরের বাড়িতে বৌভাত অনুষ্ঠানের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আমন্ত্রীতরা ও আত্মীয়-স্বজন এসে ফিরে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় বর ফুলবাবুকে কেউ অপহরণ করেছেন নাকি তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন এ নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: আখাউড়ায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে পণ্ড
সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহাগ হোসেন ও আকচা ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মন জানান, মেয়েটি বর্তমানে ফুলবাবুর বাড়িতে অবস্থান করছেন বলে জেনেছি।
৩ বছর আগে
হবু বউ পছন্দ না হওয়ায় ব্যাংক কর্মকর্তার আত্মগোপন, ৭ দিন পর উদ্ধার
এক সপ্তাহ রহস্যজনকভাবে আত্মগাপন করে থাকা গাইবান্ধার পলাশবাড়ির ব্যাংক কর্মকর্তাকে ৩০ জুন রাতে ঢাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বউ পছন্দ হয়নি বলে স্ব-ইচ্ছায় আত্মগোপন করেছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ গাইবান্ধায় এক টাকায় ঈদ বাজার
ব্যাংক কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান পলাশবাড়ি উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপার তৌহিদুর রহমান প্রেস ব্রিফিং করে ঘটনার বর্ণনা দেন এবং আবু সুফিয়ানকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।
পুলিশ সুপার জানান, আবু সুফিয়ানের পারিবারিকভাবে গাইবান্ধায় এক মেয়ের সাথে বিবাহের দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু তার হবু স্ত্রী পছন্দ না হওয়ায় বিয়ের শপিং করার কথা বলে তিনি ঢাকার আদাবরের ৩১ নম্বর বাড়ি ভাড়া নিয়ে স্ব-ইচ্ছায় আত্মগোপন করেন।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে নিখোঁজের স্বজনরা পলাশবাড়ি থানায় জিডি করলে গাইবান্ধার পুলিশ মোবাইল ট্রেকিং করে তার সন্ধান বের করেন এবং গাইবান্ধায় নিয়ে আসেন।
৩ বছর আগে
স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন আবু ত্ব-হা : পুলিশ
গাইবান্ধায় বন্ধু বাসায় ব্যক্তিগত কারণে আত্মগোপনে ছিলেন আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনানসহ নিখোঁজ চারজন। বন্ধু বাসায় না থাকলেও তার মায়ের কাছে ছিলেন তারা। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে ত্ব-হা আত্মগোপনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
শুক্রবার বিকেলে রংপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস বিফিংয়ে এসব কথা জানান উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন।
আরও পড়ুন: আবু ত্ব হা আদনানের ক্লু বের করবো: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এর আগে বেলা ৩টার দিকে ত্ব-হাকে তার প্রথম স্ত্রীর বাবার বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
আবু মারুফ হোসেন জানান, ত্ব-হা ও তার সফরসঙ্গীরা ১০ জুন রাতে ঢাকার গাবতলী থেকে রংপুরের পথে রওনা হয়। এরপর গাইবান্ধা ত্রিমোহনীতে তাদের পূর্ব পরিচিত বন্ধু সিয়ামের বাড়িতে অব¯’ান করেন। সেখানে তার সঙ্গে আবদুল মুহিত, ফিরোজ আলম ও গাড়িচালক আমির উদ্দিন ছিলেন। সেখানে অব¯’ানকালে সকলেই তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ করে ত্ব-হার কাছে রেখে দেন।
মূলত পারিবারিক ও ব্যক্তিগত বিভিন্ন সমস্যার কারণেই তারা স্বে”ছায় আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, রংপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার সময় ত্ব-হা তার সফরসঙ্গীদের জানান, তিনি ব্যক্তিগত সমস্যায় ভুগছেন। এরপর তাদের সাথে পরামর্শ করে আত্মগোপনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে তাদের এই আত্মগোপনে থাকার দাবি রাষ্ট্র বা সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য কোনো ষড়যন্ত্র কিনা তাও খতিয়ে দেখবে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে মারুফ হোসেন বলেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি বর্তমানে আমাদের হেফাজতে রয়েছেন।
ত্ব-হার উদ্ধৃতি দিয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, ত্ব-হা আমাদেরকে তার ব্যক্তিগত কিছু সমস্যার কথা জানিয়েছেন। আমরা সেগুলো যাচাই-বাছাই করছি। আমরা তাকে রাতে রংপুর কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করব। খানা কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে তাকে আদালতে নেয়া প্রয়োজন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৩ বছর আগে
করোনায় মৃত ব্যক্তির বাড়ি থেকে পালিয়ে আত্মগোপন, ৯ ঘর লকডাউন
নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির বাড়ি থেকে পালিয়ে এক যুবক ভোলার লালমোহন উপজেলায় এসে আত্মগোপন করেছেন।
৪ বছর আগে