স্থানীয় সরকার
আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: জয়নুল আবেদীন
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন, ‘কোনো অবস্থাতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। আমরা অবিলম্বে টালবাহানা বন্ধ করে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইন-শৃঙ্খলার উন্নয়ন ও দ্রুত সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
জামায়াতে ইসলামীর ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের’ দাবির উল্লেখ করে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘একদিকে তারা নির্বাচন পেছানোর কথা বলছে, অন্যদিকে আবার সারা দেশে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা দিচ্ছে। ফ্যাসিবাদি সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিল, কিন্তু তাতেও তাদের হুঁশ হয়নি। জামায়াতের কাজই হচ্ছে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা।’
তিনি বলেন, ‘মোদি সরকার এখন শেখ হাসিনার হাত ছেড়ে দিয়েছে। তিনি বাংলাদেশের জনগণের মনোভাব বুঝতে পেরেছেন।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছে। আমরা অবিলম্বে তাদের এই টালবাহানা বন্ধ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: রাজপথে যাদের দেখা যায়নি, তারাই এখন সংস্কারের কথা বলছে: তারেক
ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান ও মাহাবুবুল হক নান্নু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হায়দার আলী লেলিন ও জীবা আমিনা আল গাজী, ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইশরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টোসহ স্থানীয় বিএনপির নেতারা।
এদিন সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন দলটির নেতা-কর্মীরা। জেলা ও উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের হাজার হাজার নেতা কমীর্র উপস্থিতিতে সমাবেশস্থল জনসমূদ্রে পরিণত হয়।
৩১ দিন আগে
স্থানীয় নয়, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভাবছে ইসি: মাছউদ
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেছেন, স্থানীয় সরকার নয়, আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভাবছে নির্বাচন কমিশন।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ উপলক্ষে জেলার নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ইসি মাছউদ এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সন্দেহ দূর করতে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে: সিইসি
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ। এতদিন ভোট নিয়ে মানুষের যে অনীহা ছিল, ভোটের গ্রহণযোগ্যতাও প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। সে জায়গা থেকে সরে সুন্দর গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জনগণকে উপহার দেওয়ার জন্য কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সে লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।’
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদের বিষয়ে দেশজুড়ে ৩৫ হাজার তথ্য সংগ্রহকারী কাজ করছেন। যারা তথ্য সংগ্রহ করছেন, তাদেরকে আরও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতা চাই।’
আরও পড়ুন: যেকোনো মূল্যে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হবে: সিইসি
বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আরিচুর রহমানে সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামানসহ বরিশালের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তারা।
৬৩ দিন আগে
স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করে তুলতে পারিনি: উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, উপমহাদেশে ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে স্থানীয় সরকারের কাঠামো চালু থাকলেও আমরা এটিকে শক্তিশালী করে তুলতে পারিনি। আইনে অনেক কিছু থাকলেও সেসব কার্যকর করতে পারিনি।
তিনি বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের রাজনৈতিক সদিচ্ছা দৃঢ় হতে হবে। সংলাপ একটি চলমান প্রক্রিয়া ও জন আকাঙ্ক্ষা প্রকাশের একটি প্লাটফরম। এখানে বহুমত থাকবে। এ আলোচনাকে ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে দিতে হবে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সিরডাপ মিলনায়তনে দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় গভার্নেন্স অ্যাডভোকেসি ফোরামের আয়োজনে ‘গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণ ও জন আকাঙ্ক্ষার আলোকে স্থানীয় সরকার সংস্কার’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে এসব বলেন উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
আরও পড়ুন: সাশ্রয়ী মূল্যে ডিম ও মুরগি ভোক্তার কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে হবে: উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, স্থানীয় সরকারের সংস্কারের দাবিগুলো উত্থাপন করা দরকার নির্বাচিত সরকারের কাছে। অন্তর্বর্তী সরকার একটি সংস্কার করলে পরবর্তীতে তারা তা অব্যাহত রাখবেন কি-না সে নিশ্চয়তা নেই। তাই যারা জন প্রতিনিধি হবেন, ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবেন যেসব রাজনৈতিক দল, তাদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করতে হবে। জাতীয় থেকে স্থানীয় সরকার- সকল পর্যায়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে যথাযথভাবে কার্যকর করতে হবে। দলীয় নিয়ন্ত্রণ থেকে এসব প্রতিষ্ঠানকে মুক্ত করতে হবে।
হাসান আরিফ বলেন, বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো যথাযথ কর্তৃত্ব, জনবল, আর্থিক সামর্থ্য ও ব্যবস্থাপনার ঘাটতির কারণে স্থানীয় জনগণকে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যার মুখোমুখি হয়। ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেত্রে এ সমস্যাগুলো অত্যন্ত প্রকট। তাই সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউএনও-ত্রিমুখী টানাপোড়েনে উপজেলা পরিষদের যথাযথ ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারছে না।
তিনি আরও বলেন, আইনে উল্লেখ থাকলেও হস্তান্তরিত কার্যক্রমগুলো উপজেলা পরিষদের কাছে ন্যস্ত করা হয়নি। জেলা পরিষদের কাজ কী, জেলার মানুষের কোনো উপকারে তারা পাশে থাকেন- এ সম্পর্কে কারোরই কোনো ধারণা নেই। আইনগত বাধ্যবাধকতা না থাকলেও পৌরসভায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডেও সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্যের পরামর্শ উপেক্ষা করা যায় না। সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে নগর সরকার গঠনের দিকে অগ্রসর হতে হবে।
উপস্থিত ছিলেন দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ কাজী ফয়সাল বিন সেরাজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আরফিনা ওসমান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও লীড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী আব্দুল্লাহ আল নোমানসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: ঢাকার খালগুলো দিয়ে ব্লু নেটওয়ার্ক করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের: পানিসম্পদ উপদেষ্টা
১৭৮ দিন আগে
স্থানীয় সরকারের ৮৭৬ জনপ্রতিনিধি অপসারণ
স্থানীয় সরকারের ৮৭৬ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ৩২৩ জন পৌর মেয়র রয়েছেন।
রবিবার (১৮ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত তিনটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তাপস-আতিকসহ সব সিটি করপোরেশনের মেয়র অপসারণ, প্রশাসক নিয়োগ
এর মধ্যে মৃত্যুজনিত কারণে নাটোর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। সবমিলিয়ে খালি হওয়া ৬১টি জেলা পরিষদে প্রশাসকও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, ৪৯৫ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) উপজেলা পরিষদের প্রশাসক পদে নিয়োগ দিয়ে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এছাড়া দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে ৭টি পৌরসভার প্রশাসককে।
আরও পড়ুন: প্রশাসনে শুদ্ধি অভিযান: দলীয় কর্মকর্তাদের অপসারণ, অবহেলিতদের অগ্রাধিকার
২১৯ দিন আগে
বিএনপির সন্ত্রাস প্রতিরোধে কমিটি গঠন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপির নৈরাজ্য ও অরাজকতা প্রতিরোধে লাকসামের প্রতিটি ওয়ার্ডে সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে লাকসামে হত্যার রাজনীতি শুরু হয়েছে। যার ফলে লাকসাম পৌরসভা ছাত্রলীগের সহসভাপতি অনিককে নির্মমভাবে ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে।
তাই শান্তিপ্রিয় লাকসামের জনগণের জীবনে যাতে কোনো প্রকার সন্ত্রাসের কালো ছায়া না পড়ে সেজন্য প্রতিটি ওয়ার্ডেই আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে।
আরও পড়ুন: বাঙালির অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু কখনও আপোষ করেননি: তাজুল ইসলাম
শুক্রবার (২১ জুলাই) লাকসাম পৌরসভার সম্মেলনকক্ষে লাকসাম আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি প্রথমে সকালে লাকসাম পৌরসভা ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাদের সঙ্গে ও বিকালে লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভায় মিলিত হন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বর্তমান সরকারের আমলে লাকসাম উপজেলার উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাদের প্রতি নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, বিএনপি আমলের কর্মকাণ্ড ও বর্তমান সরকারের সময় লাকসামের উন্নয়নের ফলে যে আমূল পরিবর্তন হয়েছে তা মানুষের সামনে তুলে ধরার প্রয়োজন রয়েছে। তা না হলে বিএনপি-জামায়াত মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ভুল পথে পরিচালিত করার সুযোগ পাবে।
এ সময় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি সরকারের কারণে হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের সব জায়গায় মূল্যস্ফীতির ফলে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের সব অঞ্চলে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং দ্রব্যমূল্য বেড়েছে।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সাধারণ মানুষের কাছে এ বাস্তবতা তুলে ধরতে হবে।
লাকসাম উপজেলায় বিভিন্ন অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ অতি দ্রুতই সমাপ্ত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নির্মাণসামগ্রীর (রড, সিমেন্ট, ইটা ও বালু) দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক ঠিকাদার কাজ শেষ করতে পারেনি। বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কাজের রেট রিশিডিউল করার ফলে এখন ঠিকাদাররা উন্নয়ন কাজ শেষ করতে পারবেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় জাতীয় নির্বাচনের আগে দলের মধ্যে বহিরাগতরা অনুপ্রবেশ করে যাতে কোনো প্রকার অনাসৃষ্টি বা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করতে না পারে সেজন্য লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
এ সময় তিনি বলেন, লাকসাম-মনোহরগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ থাকলে এবারও জাতীয় সংসদের এ আসনটি আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারব।
আরও পড়ুন: কোরবানির বর্জ্য দ্রুততম সময়ে অপসারণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: তাজুল ইসলাম
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
৬১৩ দিন আগে
আ.লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা শুক্রবার
আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে বিকাল ৪টায় এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ৩ নভেম্বরকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়: কাদের
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে আ.লীগের দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি
বিএনপিকে নিয়ে বিপদে আছে দেশের মানুষ: ওবায়দুল কাদের
৮৭৪ দিন আগে
ট্রেড লাইসেন্স করার পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও সময়
প্রতিটি উদ্যোক্তার জন্য তার পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের সাপেক্ষে সর্বপ্রথম করণীয় হচ্ছে ট্রেড লাইসেন্স করা। ট্রেড লাইসেন্স ব্যবসায়ীকে দেশের যে কোন স্থানে তার ব্যবসাটি পরিচালনা করার স্বাধীনতা দেয়। ব্যবসায়ের অনুকূলে যে কোন কার্যক্রমের জন্য ট্রেড লাইসেন্স একটি অবধারিত নথি। কেননা এর মাধ্যমেই যে কোন ব্যক্তি পরিপূর্ণভাবে একজন ব্যবসায়ী হওয়ার পাশাপাশি ব্যাংক থেকে ঋণ এবং ব্যবসায়িক সংগঠনের সদস্যতা পেয়ে থাকেন। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানের পরিব্যপ্তি বৃদ্ধির নেপথ্যে একটি মোক্ষম বাহক হিসেবে কাজ করে এই অনুমতি পত্রটি। তাই চলুন, জেনে নিই ট্রেড লাইসেন্স করার পদ্ধতি।
ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য কোথায় যেতে হয়
ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য আবেদনকারীকে প্রথমেই ঠিক করতে হবে যে তার ব্যবসাটি আসলে কোন স্থানীয় সরকারের অধীনে পরিচালিত হবে। স্থানীয় সরকার বলতে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা বা উপজেলা পরিষদকে বোঝায়। একটি অফিসের নিমিত্তে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে দেশব্যাপী ব্যবসা করা যায়। তবে ব্যবসা প্রসারের স্বার্থে অন্য স্থানীয় সরকারের অধীনে শাখা অফিস করতে হলে সেখানকার জন্য পৃথক ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে।
ঢাকা শহরের ক্ষেত্রে কোন অঞ্চল ভিত্তিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালিত হবে তা নির্বাচন করতে হবে। ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রত্যেকটিতে অঞ্চল রয়েছে দশটি করে। অঞ্চলের অফিস থেকেই ট্রেড লাইসেন্স-এর জন্য আবেদন ফর্ম পাওয়া যাবে এবং সেখান থেকেই চূড়ান্তভাবে ট্রেড লাইসেন্সটি প্রদান করা হবে।
আরও পড়ুন: মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স করার পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
ট্রেড লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ব্যবসার ধরনের উপর ভিত্তি করে ট্রেড লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রেও ভিন্নতা আসে।
স্বত্বাধিকারী ব্যবসার ক্ষেত্রে
→ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের অফিস বা দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি
অফিস বা দোকান ব্যবসায়ির নিজের জায়গা হলে ইউটিলিটি বিল এবং হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের ফটোকপি। এই অফিস বা দোকানটি অবশ্যই বাণিজ্যিক স্থাপনায় হতে হবে। সাধারণত কোন এলাকায় ভবন দুইভাবে নির্মিত হয়- এক. আবাসিক ও দুই. বাণিজ্যিক। যে কোন ধরনের ব্যবসার অফিস অবশ্যই বাণিজ্যিক ভবনে নিতে হবে, নতুবা ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করা হয় না।
→ স্বত্বাধিকারীর তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
→ স্বত্বাধিকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে হজের জন্য নিবন্ধন করবেন যেভাবে
অংশীদারী ব্যবসার ক্ষেত্রে
→ অফিস বা দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি
জায়গাটি অংশীদারদের কারোর নিজের হলে ইউটিলিটি বিল এবং হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের ফটোকপি।
→ ৩০০ টাকার দলিলে অংশীদারী ব্যবসার চুক্তিপত্র
→ ম্যানেজিং পার্টনারের তিন কপি ছবি
→ ম্যানেজিং পার্টনারের জাতীয় পরিচয়পত্র
কোম্পানির ক্ষেত্রে
→ অফিস বা দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি
জায়গাটি অংশীদারদের কারোর নিজের হলে ইউটিলিটি বিল এবং হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের ফটোকপি।
→ কোম্পানির সার্টিফিকেট অফ ইন-কর্পোরেশন
→ কোম্পানির মেমরেন্ডাম ও আর্টিকেল অফ এসোসিয়েশন
→ ম্যানেজিং ডিরেক্টরের তিন কপি ছবি
→ ম্যানেজিং ডিরেক্টরের জাতীয় পরিচয়পত্র
ট্রেড লাইসেন্স করতে প্রয়োজনীয় খরচ ও সময়
ব্যবসার ধরনের উপর ভিত্তি করে যেভাবে লাইসেন্স পরিবর্তিত হয় ঠিক সেভাবেই বিভিন্ন ব্যবসার লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় খরচের মধ্যেও বেশ তারতাম্য ঘটে।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে এই অঙ্কটি নিম্নে এক থেকে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এক নামে একাধিক ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যবসার ধরণ অনুযায়ী খরচ আরও বৃদ্ধি পাবে। তবে কোম্পানির ক্ষেত্রে সকল ধরনের ব্যবসা এক লাইসেন্স দিয়ে স্বল্প খরচে করা যাবে। সিটি কর্পোরেশন আদর্শ কর তফসিল, ২০১৬-এর বিধিমালা অনুযায়ী ট্রেড লাইসেন্সের এই খরচ-এর হার সমূহ নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া এর সাথে আকৃতি অনুসারে সাইনবোর্ড ফি, লাইসেন্স বই-এর খরচ ও এগুলোর উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট-এর খরচ আছে।
ট্রেড লাইসেন্স-এর আনুষঙ্গিক খরচাদি আবেদন ফর্মে উল্লেখিত ব্যাংক সমূহে জমা দেয়ার মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়।
ট্রেড লাইসেন্স প্রক্রিয়ায় সময় লাগতে পারে আবেদন ফর্ম জমা দেয়ার দিন থেকে পাঁচ অথবা সাত কর্মদিবস।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা মুক্ত দেশের তালিকা ২০২১
ধাপে ধাপে ট্রেড লাইসেন্স করার পদ্ধতি
ধাপ-১/ সর্বপ্রথম কাজ হচ্ছে ব্যবসায়িক কেন্দ্রের জন্য সঠিক অঞ্চল নির্ধারণ করা।
ধাপ-২/ আই ফর্ম ও কে ফর্ম নামে ট্রেড লাইসেন্স আবেদনের দুটি ভিন্ন ধরনের ফরম আছে। ছোট কিংবা সাধারণ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য আই ফর্ম এবং বড় ব্যবসার ক্ষেত্রে কে ফর্ম সংগ্রহ করতে হয়। প্রতিষ্ঠানটি যে অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত সেই অঞ্চলের অফিস থেকেই এই ফর্মগুলো সংগ্রহ করা যাবে, যেগুলোর প্রতিটির দাম ১০ টাকা।
ধাপ-৩/ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে ট্রেড লাইসেন্স-এর ফি ভ্যাটসহ জমা দিয়ে রশিদ সংগ্রহ করতে হবে।
ধাপ-৪/ ব্যবসার ধরন অনুযায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন ফর্মটির সাথে ব্যাংকে ফি জমা রশিদটি সংযুক্ত করে স্থানীয় সরকারের অফিসে জমা দিতে হবে।
ধাপ-৫/ স্থানীয় সরকারের অধীভূক্ত আঞ্চলিক অফিস থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তা ব্যবসায়িক কেন্দ্রটি পরিদর্শন করে অফিসে রিপোর্ট করবেন।
ধাপ-৬/ পূর্ববর্তী প্রতিটি ধাপ সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে এই চূড়ান্ত পর্যায়ে ট্রেড লাইসেন্স পাওয়া যাবে সেই আঞ্চলিক অফিস থেকে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন
প্রতিটি নতুন ট্রেড লাইসেন্স-এর মেয়াদ থাকে এক বছর। স্বভাবতই ট্রেড লাইসেন্স এর কার্যকারিতা বহাল রাখতে হলে প্রতি বছরই ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়।
ট্রেড লাইসেন্স নতুন করার সময় যে সরকারি ফিগুলো প্রদান করা হয় তা হলো, ট্রেড লাইসেন্স ফি, সাইন বোর্ড ফি এবং এই দুটো মিলে যত টাকা হয় তার উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট। আর ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের সময় এই খরচগুলোর সাথে যোগ হয় উৎসকর, যেটি সিটি করপারেশনের ক্ষেত্রে ৩,০০০ টাকা। ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার ক্ষেত্রে এটি কিছুটা কম হয়।
শেষাংশ
ব্যবসাকে বৈধকরণের জন্য ট্রেড লাইসেন্স একটি অপরিহার্য সনদ। ট্রেড লাইসেন্স দেয়া এবং এর নবায়ন স্থানীয় সরকারের কর আদায়ের একটি মাধ্যম। এটি ছাড়া যে কোন ব্যবসা প্রতারণার সামিল হবে। এ অপরাধে এমনকি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রতারণার হিসেবে দেওয়ানী বা ফৌজদারি মামলাও হতে পারে। তাই সঠিক ও বৈধ ভাবে ব্যবসা পরিচালনায় ট্রেড লাইসেন্স-এর কোন বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: স্মার্ট আইডি কার্ড: জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল থাকলে যেভাবে সংশোধন করবেন
১১৫৬ দিন আগে
১৫ গ্রামে হবে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ পাইলট প্রকল্প: এলজিআরডিমন্ত্রী
খুব শিগগিরই ১৫ গ্রামে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ পাইলট প্রকল্প শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
১৫২৬ দিন আগে
স্থানীয় সরকারের দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠানের ভোট মঙ্গলবার
সারা দেশে জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদসহ দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন ও উপনির্বাচন মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে।
১৬১৮ দিন আগে
কোভিড-১৯: গরিব নগরবাসীর জন্য ১৫ লাখ ডলারের খাদ্য সহায়তা
মহামারি কোভিড-১৯ এর সম্ভাব্য আর্থসামাজিক প্রভাব এবং সৃষ্ট তাৎক্ষণিক দুর্দশা মোকাবিলায় ১৫ লাখ ডলারের জরুরি খাদ্য সহায়তা দেবে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।
১৮১৩ দিন আগে