নিম্ন আয়ের মানুষ
কুড়িগ্রামে শীতের দাপটে জনজীবনে ভোগান্তি, শীতবস্ত্রের দাবি নিম্ন আয়ের মানুষের
কুড়িগ্রামে শীতের তীব্র দাপট ও কুয়াশায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকছে পথঘাট ও প্রকৃতি। এ অবস্থায় শীত বস্ত্রের অভাবে কষ্টে পড়েছে হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের মানুষ।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হিমেল বাতাস ও ঘন কুয়াশায় বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষজন। তীব্র শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হতে হচ্ছে তাদের।
এদিকে দিনের অধিকাংশ সময় সূর্য মেঘের আড়ালেই থাকছে। সূর্যের উত্তাপ না থাকায় হিমেল বাতাসে নিম্নগামী হতে থাকে তাপমাত্রা। এ সময় তীব্র শীত অনুভূত হতে থাকে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, আসছে শৈত্যপ্রবাহ
এছাড়া চরম ভোগান্তিতে পড়েছে জেলার তিন শতাধিক চর ও দ্বীপচরের হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের জগমোহন বলেন, ‘ ঠান্ডায় খুব কষ্টে আছি। কাজও করতে পারছি না সময় মতো। সোমবার থেকে ঠান্ডার কারণে ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। আবার রাতেও বিছানায় খুব কষ্ট হয়। আমরা তো গরিব মানুষ ২ থেকে ১টা কম্বল পাইলে খুব উপকার হতো।’
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘গত ১৫ দিন ধরে এই অঞ্চলের তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠা-নামা করছে। এ মাসের মাঝামাঝি নাগাদ শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ফুটপাতে জমে উঠেছে শীতের পোশাক বিক্রি
১ সপ্তাহ আগে
‘গরিবের কসাইখানায়’ ১০ টাকায় গরুর মাংস!
এক কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। ঈদের দিন এমনি এক বাজারের দেখা মেলে মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলায়।
ঈদের আনন্দকে ভাগ করে নিতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিক্রমপুর মানব সেবা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ‘গরিবের কসাইখানা’ নামের ব্যতিক্রমী এই ঈদ বাজারের আয়োজন করা হয়।
শনিবার (২২ এপ্রিল) সকাল ১১টায় উপজেলার কামারখাড়া স্কুল মাঠে ১০ টাকার বিনিময়ে নিম্ন আয়ের তিন শতাধিক পরিবার এক কেজি গরুর মাংস কিনে নেন।
এমন আয়োজনে হাসি ফুটে অসহায় নিম্ন আয়ের মানুষের মুখে।
এর আগে রমজানের শুরুতে ১০ টাকায় ইফতার বাজারের আয়োজন করে সংগঠনটি।
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘীরপাড় এলাকার রাবিয়া খাতুন (৬৫)। ছেলে-সন্তান নেই। স্বামীকে হারিয়েছেন এক যুগ আগে। একটি ছোট ঘরে একাই বসবাস করেন তিনি। বাজার থেকে গরুর মাংস কেনা হয়নি কখনও। তাই জানেন না বাজারে কত টাকা করে গরুর মাংস বিক্রি হয়। 'গরিবের কসাইখানা' থেকে ১০ টাকায় গরুর মাংস কিনেছেন তিনি। গরুর মাংসের এতো কম দাম জেনে অনেকটাই অবাক হয়েছেন রাবিয়া।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে অশুভ শক্তি প্রতিহত করতে নদী পূজা
তিনি বলেন, 'বাজার থেকে কখনও গরুর মাংস কিনি নাই। এখানে এসে ১০টাকা দিয়ে এক কেজি গরুর মাংস কিনলাম। রোজার ঈদে এ প্রথম দুই টুকরো গরুর মাংস দিয়ে ভাত খামু। একা মানুষ এক কেজি গরুর মাংস চারদিন খেতে পারমু।'
টঙ্গীবাড়ী উপজেলার হাইয়ারপাড় গ্রামের আকলিমা বেগম (৩৫) বলেন, 'গতকাল থেকে বাজারে গরু জবাই করা হচ্ছে। দুই ছেলে মাদরাসায় পড়ে। তারা গরু জবাই দেখে এসে বলে, মা আমাদের গরুর গোস্ত কিনবা না? এমন প্রশ্নে খুব কষ্ট হইছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু তাদের বলছিলাম ঈদের দিন গরুর গোস্ত কিনমু। ঠিকই আল্লাহ আমার সন্তানদের জন্য গরুর মাংসের ব্যবস্থা করে দিলো। এখান থেকে ১০ টাকা দিয়ে এক কেজি গরুর মাংস কিনলাম। এ দামে তো আমার বাপ-দাদারাও কিনে নাই। এখন বাসায় গিয়ে রানমু।'
কামারখাড়া এলাকার সেন্টু বেপারি (৪৮)। তিনি পায়ের রিকশা চালান। তার দুই মেয়ে তাদের বিয়ে হয়ে গেছে। এখন স্বামী-স্ত্রীর সংসার। গতকাল সারাদিন রিকশা চালিয়ে ৩৪০টাকা পেয়েছেন। এই টাকা দিয়ে সেমাই-চিনি কিনেছিলেন।
শনিবার সকালেও রিকশা নিয়ে বের হোন দুপুরে ভালোমন্দ খাবারের ব্যবস্থা করতে। পরে গরিবের কসাইখানায় এসে তিনিও ১০ টাকা দিয়ে গরুর মাংস কিনেছেন।
এ সময় তিনি বলেন, 'এখান থেকে দেখা যায়- বাজারে ৭৫০ টাকা করে গরুর মাংস বিক্রি করতেছে। ওই কসাইখানার সামনে দিয়ে আসলাম কিন্তু কিনার সাহস পাই নাই। এখানে এসে দেখি গরুর মাংস ১০টাকায় বিক্রি করতেছে। কিন্তু আমার কাছে তাদের থেকে কেনার জন্য টোকেন ছিল না। পরে তাদেরকে বলার পর টোকেন দিলো এবং আমি ১০টাকা দিয়ে গরুর মাংস কিনলাম।'
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রিয়াদ হোসাইন বলেন, 'ঈদের দিন সাড়ে তিনশ’ পরিবারের আনন্দকে দ্বিগুণ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। সংগঠনের সদস্যদের মাসিক চাঁদা ও অনুদান দিয়ে আমাদের এ ছোট আয়োজন। তবে আমাদের পরিকল্পনা আরও বড় ছিল। আর্থিক সংকটের কারণে যা পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। আমরা প্রত্যাশা করি, আগামীতে সকলের সহযোগিতায় আরও বেশি সংখ্যক পরিবারের পাশে থাকতে পারব।'
সংগঠনের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক হিরা বলেন, 'বাজারে মাংসের দাম ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। সমাজের নিম্নআয়ের মানুষের পক্ষে এত দামে কেনা সম্ভব নয়। তাই আমরা তাদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগ করে নিতে এমন আয়োজন করেছি। ঈদের দিন আয়োজন করার মূল লক্ষ্য ছিল বিত্তবানদের মতো তারাও যেন এ দিন বাজার থেকে মাংস কেনার অনুভূতি লাভ করেন। তাদের মুখে তৃপ্তির হাসি দেখে এ রকম আয়োজন করতে আমরা আরও উৎসাহ পাই।'
আরও পড়ুন: সিলেটের জৈন্তাপুর-জাফলং ঈদে পর্যটক বরণে প্রস্তুত
৩০ ব্যান্ড নিয়ে চট্টগ্রাম মিউজিক্যাল ব্যান্ড এসোসিয়েশনের নতুন যাত্রা
১ বছর আগে
লকডাউন: খুলনাঞ্চলে নিম্ন আয়ের মানুষ দিশেহারা
খুলনায় করোনার প্রভাব আর দীর্ঘ বিধিনিষেধ ও কঠোর লকডাউনে তৃণমূল পর্যায়ের নিম্ন আয়ের মানুষ বর্তমানে দুর্দিনে কাটাচ্ছে। করোনার ঊর্ধ্বমুখী গতি আর দীর্ঘ লকডাউনের কারণে এ সকল নিন্ম আয়ের মানুষ অধিকাংশ ক্ষেত্রে এখন কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
দেশের চলমান করোনাভাইরাসে প্রকোপ আর দীর্ঘ লকডাউনে অনেকটাই জীবন্ত মৃত্যু ঘটাচ্ছে এসকল নিম্ন আয়ের মানুষদের। যার প্রভাবে চরম কষ্টে দিন নিপতিত করছেন তারা। এই তালিকায় আছেন ফুটপাতের ব্যবসায়ী, শ্রমিক, দিন মুজুর, রিকশা-ভ্যান ইজিবাইক, মাহেন্দ্র চালকেরা।
রিকশাচালক মকবুল হোসেন জানান, করোনাভাইরাসের শুরু হতে আজ পর্যন্ত অনেক কষ্টে আছি। তারপর বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনের চাপের মুখে রিকশা চালাতে পেরেছি। এক বেলা রিকশা চালিয়ে যে টাকা উপার্জন হয়েছে তাই দিয়ে গোটা পরিবারের ভরণ-পোষন চালিয়েছি। আর বর্তমান সময়ে কঠোর লকডাউনের কারণে রিকশা রাস্তায় উঠতে দিচ্ছে না। যদি প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাস্তায় উঠছি সাথে সাথে হাওয়া ছেড়ে দিচ্ছে প্রশাসনের লোকজন। তাছাড়া কঠোর লকডাউনের কারণে প্রশাসনের লোক বেশি রাত পর্যন্ত রিকশা চালাতে দেয় না।
সোনাডাঙ্গার রাজমিস্ত্রির হেলপার মহিদুল বলেন, ‘করোনার কারণে কেউ বাড়ির তৈরি বা মেরামতের কাজ করাচ্ছে না। তারপর আবার মরার উপর খাড়ার ঘাঁ। একেই তো করোনার বিস্তার বেড়েছে অন্যদিকে কঠোর লকডাউনের কারণে প্রশাসন রাস্তায় নামলেই কেন রাস্তায় নেমেছি জিজ্ঞাসা করছে। কিন্তু কেউ দু’কেজি চাল কিনে দেয় না। লকডাউনের কারণে সম্পূর্ণ বেকার হয়ে পড়েছি।’
দৌলতপুর আমতলার কাঠ মিস্ত্রি লিটন, করোনা শুরু হতে ধরতে গেলে সম্পূর্ণ বেকার। তারপর আবার ঘাড়ের উপর সমিতির কিস্তির ভারী বোঝা। দোকানে কোন ক্রেতা নেই, নেই কোন কাজের অর্ডার।
আরও পড়ুন: নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য নির্দিষ্ট কোনো বরাদ্দ নেই, অভিযোগ বিএনপির
তিনি বলেন, ‘একেই কাজ নেই তারপরও দোকান খুলে বসে থাকতাম। মাঝে মাঝে দু’একটি কাস্টমার আসতো। কিন্তু লকডাউনের কারণে বর্তমানে দোকান খুললেই প্রশাসনের লোক বন্ধ করে দেয়।’
খালিশপুরের ফুটপাতের কাপড় ব্যবসায়ী রফিক, খালিশপুর পিপলস্ জুট মিলে বন্ধ হওয়ার পর কাটা সিট কাপড় কিনে এনে ফুটপাথে বসে বিক্রি করছিল।
তিনি জানান, লকডাউনের কারণে দোকান সম্পূর্ণ বন্ধ। পরিবারের ভরণ-পোষন জোগাড়ে হিমশিম খাচ্ছি। জানিনা সামনের দিনগুলো কেমন যাবে?
সব মিলিয়ে বর্তমানে কঠোর লকডাউনের প্রভাবে খুলনার নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষগুলো চরম উৎকন্ঠা আর দুর্দিনে দিন নিপতিত করছে। করোনা প্রভাবে দীর্ঘ লকডাউন ব্যবসায়ীদের করে তুলেছে সর্বশান্ত, তারা নিজ পরিবারের ভরণ-পোষন যোগাতে বর্তমানে হিমহিম খাচ্ছে।
চলমান লকডাউনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহলের কারণে খুলনা শহরের প্রধান সড়কগুলো অনেকটাই ফাঁকা। কিন্তু অলিগলি ও পাড়া-মহল্লার সড়ক লোকে লোকারণ্য।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে রাস্তার ওপারে খাবারের হোটেল। সেখানে ক্রেতাদের বসেই খাবার খেতে দেখা যায়। এর সামনে গলির মধ্যে কয়েকটি চায়ের দোকান। সেখানেই মানুষের আড্ডাস্থল।
নগরীর গোবরচাকা মধ্যপাড়ায় গলির রাস্তায় দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছেন উঠতি বয়সী যুবকের পাশাপাশি বয়স্করাও। কেউ দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছেন, কেউ বা গলির মধ্যে খোশগল্পে মেতে আছেন। অধিকাংশরই মুখে মাস্ক নেই।
নগরীর সদর হাসপাতালের গলির ভেতরে চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছেন কয়েকজন যুবক। জানতে চাইলে বলেন, ঘরে আর কতক্ষণ। চা খেয়ে বন্ধুদের সাথে একটু আড্ডা দেবো। তারপর বাসায় চলে যাবো।
নগরীর মৌলভী পাড়ায় গলির রাস্তায় দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছিলো চার কিশোর। তাদের সবাই এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। কিন্তু করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় স্থগিত হয়ে যাওয়া পরীক্ষা নিয়ে চলছিলো তাদের আড্ডা।
এদের একজন সাব্বির বললো আসলে ঘরে বসে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে গেছি। এ সময় পরীক্ষার পড়াও পড়তে ইচ্ছা করছে না। কারণ, পরীক্ষা কবে হবে তার কোনো ঠিক নেই।
আরও পড়ুন: করোনায় খুলনাতে আরও ১১ জনের মৃত্যু
প্রশ্ন তুলে আমিরুল ইসলাম নামের একজন বলেন, লকডাউন কি শুধু দিনের জন্য, রাতের জন্য না? অফিস বন্ধ, গাড়ি চলাচল বন্ধ। কেউই খুলনার বাইরে যেতে পারবে না, আর শহরের বাইরে থেকেও কেউ আসতে পারবে না। কিন্তু এখন গণপরিবহন বন্ধ আর অফিস খোলা।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি না হলে লকডাউন কার্যকর করা কঠিন। তারপরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবিরাম পরিশ্রম করছেন, জেল-জরিমানাও করা হচ্ছে। তারপরও লোকজন ঠেকানো যাচ্ছে না। পুলিশ চলে গেলেই তারা আবার আড্ডায় মেতে উঠছেন। তবে, এ বিষয়ে প্রশাসন কঠোর ভূমিকায় রয়েছে বলেও জানান তিনি।
৩ বছর আগে
নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য নির্দিষ্ট কোনো বরাদ্দ নেই, অভিযোগ বিএনপির
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার বলেছেন, এই মহামারিতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ এবং দিন মজুরদের, তবে এই ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দিষ্ট বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
ভার্চুয়াল এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে করোনা মহামারির শিকার জনগোষ্ঠীর জন্য যে বরাদ্দ সুবিধা দেয়া হচ্ছে তা সরকার পক্ষের লোকজন ভোগ করে নিচ্ছে।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা বারবার বলছি সরকারের উচিত করোনাকালীন সময়ে বিশেষ করে যারা দিনে আনে দিনে খায় এবং ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পে কাজ করে তাদের সাহায্য করা। আমাদের দরিদ্র ভাই বোনেরা করোনার এই প্রকোপে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো প্রণোদনার ঘোষণা দেয়া হয়নি৷’
আরও পড়ুন: বিএনপিকে ক্ষমা চেয়ে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
তিনি বলেন, তাদের দলের পক্ষ থেকে সরকারকে প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তিনমাসে এককালীন ১৫ হাজার টাকা করে প্রণোদনা দেয়ার কথা বলা হলেও সরকার সে ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তাদের জন্য যে সুবিধা ঘোষণা করা হচ্ছে তা সরকারি এবং আওয়ামী লীগ নেতারা ভোগ করছে।
বিএনপির শ্রমিক সংগঠন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ৪২তম প্রতিষ্টাবার্ষিকী এবং মে দিবস উপলক্ষে এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দরিদ্র, দিনমজুর এবং শ্রমিকদের ভোগান্তি কমাতে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে লকডাউন বাড়ানোয় সরকারের সমালোচনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সরকার দেশকে ‘নরকে’ পরিণত করেছে: ফখরুল
তিনি বলেন, দিনমজুর, দরিদ্র এবং নিম্ন আয়ের মানুষের ভোগান্তি কমাতে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে সরকার এই লকডাউন জারি করেছে। রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য লকডাউনের নামে এই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘লকডাউনের সুবিধ নিয়ে সরকার বিভিন্ন ধর্মীয় এবং ছাত্রসংগঠনের নেতাদের গ্রেপ্তার করছে। সরকারের বিরুদ্ধে যার কথা বলছে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, পুরো জাতি এখন তাদের হাতে জিম্মি।’
জনগণের আনুকূল্যে সরকার প্রতিষ্ঠা এবং মৌলিক অধিকার রক্ষার আন্দোলনে শ্রমিক এবং ছাত্রসমাজকে একত্রিত হয়ে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হেফাজত নেতাদের মুক্তির দাবি জানাল বিএনপি
খালেদার অবস্থা
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে সোমবার খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে (করোনা কেয়ার ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তিনি এখনো সিসিইউতে আছেন এবং তাকে অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
ফখরুল বলেন, খালেদ জিয়া দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন চিকিৎসকরা। তার দ্রুত সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
গত ১০ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা পজিটিভের ফল আসে। তিনি ছাড়াও তার বাসার আট সদস্য করোনায় আক্রান্ত। ২৪ এপ্রিল খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় দফা করোনা পরীক্ষাতেও ফলাফল পজিটিভ আসে।
৩ বছর আগে
বাড়িভাড়া মওকুফ চান নিম্ন আয়ের মানুষজন
করোনাভাইরাসের কারণে রাজধানীর কয়েক হাজার দিনমজুর এবং নিম্ন আয়ের মানুষ বাড়িভাড়া দিতে পারছেন না বলে বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
৪ বছর আগে