পলিথিন
পলিথিন বা প্লাস্টিক শপিং ব্যাগ কেন নিষিদ্ধ করা উচিত
শহুরে এলাকার বর্জ্য পদার্থের একটা বিরাট অংশ হচ্ছে পলিথিন বা প্লাস্টিক। উপাদানগত দিক থেকে এই পলিব্যাগগুলো মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী, পরিবেশ ও আবহাওয়ার জন্য ক্ষতিকর। তাই পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে যাবতীয় প্লাস্টিক শপিং ব্যাগ ও পলিথিনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এর আগে সুপারশপগুলোতে পলিথিন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কাঁচাবাজারগুলোতে এই নিয়ম শুরু হবে নভেম্বর থেকে। এই নিষেধাজ্ঞা কেন জরুরি, পলিথিন নিষিদ্ধ হলে এর বিকল্প কি, বর্তমান প্রেক্ষাপটে তার উপযোগিতাই বা কতটুকু, চলুন, তা নিয়ে বিশ্লেষণ করা যাক।
প্লাস্টিকের ব্যাগ বা পলিথিন নিষিদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা
.
জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি
পরিত্যক্ত প্লাস্টিক মাইক্রোপ্লাস্টিকে পরিণত হয়ে বাতাস, পানি ও খাবারের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে। এই অনুপ্রবেশের ফলে দীর্ঘমেয়াদে ফুসফুস ও কিডনিজনিত রোগের উপক্রম ঘটে।
প্লাস্টিকের ব্যাগ তৈরির উপকরণগুলোর মধ্যে বিসফেনল এ (বিপিএ) ও ফ্যালেট্সের মতো রাসায়নিক পদার্থ থাকে। এগুলো হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, শ্বাসকষ্ট, প্রজনন সমস্যা ও ক্যান্সারের মতো ঝুঁকিপূর্ণ স্বাস্থ্য জটিলতার সৃষ্টি করে।
এই ব্যাগগুলো যখন পোড়ানো হয় তখন ডাইঅক্সিন ও ফুরানের মতো অত্যন্ত বিষাক্ত ধোঁয়া নির্গত হয়। এগুলো বায়ু দূষণের মধ্য দিয়ে শ্বাসযন্ত্রকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
ফেনীতে প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে তেল উৎপাদন!
অন্যান্য প্রাণীদের জন্য হুমকি
মাইক্রোপ্লাস্টিক যে কোনো উভচর প্রাণীর পরিপাকতন্ত্রকে বিনষ্ট করে দেয়, যার ফলে অপুষ্টি, অনাহার ও শেষ পর্যন্ত মৃত্যুও ঘটতে পারে।
বিশেষত সামুদ্রিক কচ্ছপগুলো প্রায়ই ভাসমান প্লাস্টিকের ব্যাগগুলোকে জেলিফিশ ভেবে ভুল করে, যেটি তাদের প্রধান খাদ্যগুলোর একটি। গরু ও হাতির মতো বড় বড় প্রাণীদের পাকস্থলীও প্লাস্টিকের কারণে কার্যকারিতা হারায়।
সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের বিনাশ
বেশিরভাগ প্লাস্টিক বর্জ্যের চূড়ান্ত গন্তব্য সাগর। প্লাস্টিক ব্যাগের ক্ষয়ে যাওয়া অংশগুলো পানিতে দীর্ঘদিন ধরে ভাসমান অবস্থায় থাকে। এভাবে সময় যত যায় জলাশয়ের ওপর আবর্জনাযুক্ত বিশাল এলাকা সৃষ্টি করে। এই আবর্জনা স্রোতের সঙ্গে সাগরের খাদ্য-শৃঙ্খলে প্রবেশ করে ক্ষুদ্রতম প্লাঙ্কটন থেকে শুরু করে বৃহাদাকার তিমিরও মৃত্যুর কারণ হয়।
মাছ, সামুদ্রিক পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণীসহ গোটা সামুদ্রিক প্রজাতি প্লাস্টিক দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে। প্লাস্টিক বর্জ্যগুলো সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জন্য প্রয়োজনীয় প্রবাল প্রাচীরগুলোকে ঢেকে দেয়। ফলে সেগুলোতে সূর্যালোক পৌঁছাতে পারে না ও সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।
জলবায়ুর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব
প্লাস্টিক ব্যাগ পেট্রোলিয়ামভিত্তিক পণ্য থেকে তৈরি করা হয়, আর এই উৎপাদনে প্রয়োজন হয় প্রচুর পরিমাণে জীবাশ্ম জ্বালানি। অপরদিকে, নির্গত হয় কার্বন ডাই অক্সাইড ও মিথেনের মতো গ্রিনহাউস গ্যাস। এছাড়া উৎপাদনের উদ্বৃত্ত অংশগুলো যেখানে ফেলে দেওয়া হয়, সেখান থেকেও এ ধরনের বিষাক্ত গ্যাসগুলো বায়ুমণ্ডলে উন্মুক্ত হয়।
পুনর্ব্যবহারের অযোগ্য বলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যবহারের পর পলিব্যাগগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়। তখনও ধোঁয়ার মাধ্যমে নির্গত হয় ক্ষতিকারক গ্যাস। এভাবে সামগ্রিকভাবে পুরো বায়ুমণ্ডলকে বিষাক্ত করে ফেলে প্লাস্টিক।
'রিকশা বিন': ঢাকাকে প্লাস্টিক বর্জ্যের ঝুঁকিমুক্ত করতে বিদ্যানন্দের নতুন পদক্ষেপ
প্লাস্টিক ব্যাগ বা পলিথিনের কয়েকটি উৎকৃষ্ট বিকল্প
.
সোনালী ব্যাগসহ অন্যান্য পাটের তৈরি ব্যাগ
বাংলাদেশে উদ্ভাবিত পাটের সেলুলোজ থেকে তৈরি সোনালী ব্যাগ। এগুলো শুধুমাত্র বায়োডিগ্রেডেবল নয় বরং টেকসই ও জল-প্রতিরোধীও। প্লাস্টিক বা পলিব্যাগের তুলনায় এগুলো ভারী বোঝা বহন করতে সক্ষম। এই ব্যাগ ফেলে দেওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে এর উপাদানগুলো সম্পূর্ণরূপে ভেঙে যায়। কোনো কিছুই আর অবশিষ্ট থাকে না।
এরকম পাটজাত ব্যাগগুলো পলিথিনের একটি সেরা বিকল্প। পাটের ব্যাগের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এগুলোকে বছরের পর বছর ধরে বারবার ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া পাট চাষে ঝামেলাও কম, পানি ও সার ও কীটনাশকও অল্প প্রয়োজন হয়।
তুলার ব্যাগ
দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের জন্য আরও একটি দারুণ বিকল্প হচ্ছে তুলার ব্যাগ। এই ব্যাগগুলো হালকা ওজনের, ধোয়া যায় ও সহজেই ভাঁজ করা যায়। তবে চাষের ক্ষেত্রে তুলা বৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট পরিমাণে পানির প্রয়োজন হয়। জৈব তুলার ব্যাগ সিন্থেটিক কীটনাশক বা সার ছাড়াই জন্মায়। এগুলো বায়োডিগ্রেডেবল ও অপরসারণ করা হলে দ্রুত সম্পূর্ণরূপে ক্ষয়ে যায়।
অবৈধ ইটভাটা বন্ধ: সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে ডিসিদের নির্দেশ
কাগজের ব্যাগ
উপাদানগত দিক থেকে কাগজের ব্যাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য ও প্রাকৃতিকভাবে দ্রুত নিঃশেষযোগ্য। এই ব্যাগগুলোর সঠিকভাবে নিষ্পত্তি করা হলে তা মাটির পুষ্টি ফিরিয়ে দিতে পারে। পাট বা তুলার মতো শক্তিশালী না হলেও, কাগজের ব্যাগ হালকা ওজনের জিনিস বহন করার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য বিকল্প।
কাপড়ের তৈরি ব্যাগ
লিনেন, মসলিন বা অন্যান্য ফেব্রিক মিশ্রণের উপাদান থেকে তৈরি কাপড়ের ব্যাগ যথেষ্ট টেকসই হয়ে থাকে। এগুলো পানিতে ধুয়ে নিয়ে অসংখ্যবার ব্যবহার করা যেতে পারে। ইতোমধ্যে সুপরিচিতি পেয়েছে ক্যানভাস ব্যাগগুলো, যেগুলো মূলত তুলা বা লিনেন থেকে তৈরি।
বৈশিষ্ট্যগত ভাবেই এগুলো হালকা ওজনের ও ভাঁজ করা সহজ। উপকরণের একদম শেষ অংশগুলো চূড়ান্তভাবে প্রকৃতিতে মিশে যেতে খুব সময় নেয় না। তাই পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলার আশঙ্কা থাকে না।
উলের ব্যাগ
এই প্রাকৃতিক ফাইবার যথেষ্ট মজবুত, পুনর্ব্যবহারযোগ্য ও বায়োডিগ্রেডেবল। উল প্রাকৃতিকভাবে জলপ্রতিরোধী হওয়ার যে কোনো আবহাওয়াতেই এগুলো ব্যবহারের উপযোগী। ওপরন্তু, উলের উৎপাদনে প্রয়োজনীয় উপকরণ পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না। উলের ব্যাগ বছরের পর বছর স্থায়ী হওয়ার কারণে এগুলোর ঘন ঘন প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন পড়ে না। প্রাকৃতিকভাবে নিঃশেষ হওয়ার সময় মাটিকে দূষিত করার পরিবর্তে সমৃদ্ধ করে।
বাংলাদেশে ১৫ বছরে প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়েছে ৫ গুণ: বিশ্বব্যাংক
বেতের ব্যাগ
দ্রুত বর্ধনশীল ও রিনিউয়েবল হওয়ায় ব্যাগের জন্য উৎকৃষ্ট একটি উপকরণ হতে পারে বেত। ভারী জিনিস বহনের জন্য বেতের ব্যাগ সেরা। স্থায়িত্বের দিক থেকে প্রসিদ্ধ হওয়ায় বেত অল্প ব্যবহারেই অপসারণের প্রয়োজন হয় না। তাই ঘন ঘন বর্জ্য সামলানোর ঝামেলা নেই।
শণের ব্যাগ
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে টেকসই ফাইবারগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে শণ। এর চাষের জন্য অল্প পরিমাণে পানি প্রয়োজন হয়। দ্রুত বেড়ে উঠার জন্য কোনো কীটনাশকের দরকার পড়ে না। শণের ব্যাগ তুলা বা পাটের থেকেও অনেক শক্তিশালী ও পর্যাপ্ত ভারী ওজন নিতে পারে। এছাড়া শণের মধ্যে দূষিত মাটি পরিষ্কার করার গুণ রয়েছে।
কচুরিপানা থেকে তৈরি ব্যাগ
পলিব্যাগের সৃজনশীল বিকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কচুরিপানার ব্যাগ। দ্রুত বর্ধনশীল এই জলজ উদ্ভিদকে ব্যাগের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে বায়োডিগ্রেডেবল বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা যেতে পারে। এই ব্যাগগুলোর ঘন ঘন উৎপাদন বিভিন্ন জলাধারগুলোতে কচুরিপানার ঘনত্ব কমাবে। এতে করে স্থানীয় বাস্তুতন্ত্র ব্যাহত হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।
মাইক্রো প্লাস্টিক কী? কীভাবে এটি মানবদেহে প্রবেশ করে? কী কী প্রভাব ফেলে?
পলিথিনের বিকল্পগুলোর প্রসারে সীমাবদ্ধতা
.
উচ্চ ক্রয়মূল্য
তুলা বা পাটের ব্যাগের মতো পরিবেশ-বান্ধব বিকল্পগুলো পলিথিনের চেয়ে বেশি দামি হতে পারে। এই উচ্চ মূল্য ভোক্তাদের নিরুৎসাহিত করতে পারে। এখানে উৎপাদন মূল্যের কারণে চূড়ান্ত বিক্রয়মূল্য কমানোটা কঠিন হবে। ওপরন্তু, এই ব্যাগগুলো নিয়ে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক বিনিয়োগটিও একটি আর্থিক বোঝা হতে পারে।
সাপ্লাই চেইন ও প্রাপ্যতা সমস্যা
বিভিন্ন সাপ্লাই চেইন অতিক্রম করে বিক্রয়যোগ্য পণ্যের পর্যায় পর্যন্ত আসার প্রক্রিয়াটা জটিল হতে পারে। এতে শুধু যে খরচই বাড়বে তা নয়, সঠিক আউটলেটটি পর্যন্ত আসতে অতিরিক্ত সময়েরও প্রয়োজন হতে পারে। যেমন যে অঞ্চলগুলোতে পাট বা তুলা চাষ হয় না সে জায়গাগুলোতে বেশি পরিমাণে ব্যাগ সরবরাহ করাটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। ওপরন্তু, দোকানে পর্যাপ্ত পরিমাণে পণ্য আসতে কাল বিলম্ব হলে তা ভোক্তাদের আবার পলিব্যাগ ব্যবহারের দিকে ধাবিত করতে পারে।
পরিবেশগত প্রভাব
চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদনের স্বার্থে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। এই সতর্কতাটি তুলার ব্যাগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কচুরিপানা ব্যাগ ব্যবহারের পর তার সঠিক নিষ্কাশন না করা হলে তা জলজ বাস্তুসংস্থানকে বিনষ্ট করবে। তাই প্রতিটি বিকল্পের জীবনচক্র বিশ্লেষণ করে একটি ফিজিবিলিটি স্টাডি প্রয়োজন। বৃহৎ পরিসরে উৎপাদন, পরিবহন ও নিষ্পত্তিতে প্লাস্টিকের মতোই কার্বন নিঃসরণ হচ্ছে কিনা তা যাচাই করা অতীব জরুরি।
শেষাংশ
পলিথিন বা প্লাস্টিক শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হলে পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য, বন্যপ্রাণী ও আবহাওয়া সুরক্ষিত হবে। তাই বিগত কয়েক দশক ধরে প্রলম্বিত হওয়া এই নিষেধাজ্ঞার অনতিবিলম্বে বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। এই পরিপ্রেক্ষিতে সদাই বহনের জন্য পাট, তুলা, উল, শণ, বেত, কাগজ, ও কাপড়ের মতো পরিবেশ-বান্ধব ব্যাগগুলো হতে পারে উৎকৃষ্ট বিকল্প। তবে এই পরিবর্তন রাতারাতি সম্ভব নয়। কেননা নতুন ব্যাগগুলো প্রসারের পূর্বে এর শিল্প, অর্থনৈতিক, ও পরিবেশগত প্রভাবগুলো বিবেচনায় আনতে হবে। এর জন্য ভোক্তা স্তরের পাশাপাশি প্রস্তুতকারক পর্যায়েও ফিজিবিলিটি স্টাডি প্রয়োজন।
প্লাস্টিক ও নদী দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ: পরিবেশ উপদেষ্টা
১ মাস আগে
প্লাস্টিক পণ্য বর্জনের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক পদ্ধতি অনুসরণের আহ্বান সংশ্লিষ্টদের
রাজধানীর নিউ ইস্কাটনের বাসিন্দা গোলাম রাব্বি তার এলাকায় স্বপ্ন সুপার শপের আউটলেটে কেনাকাটা করতে যান। প্রয়োজনীয় পণ্য নেওয়ার পর সেগুলোর মূল্য পরিশোধ করতে গিয়ে পণ্য বহনের পাটের ব্যাগের জন্য বাড়তি ১১ টাকা দেওয়া নিয়ে ক্যাশ কাউন্টারে দায়িত্বরত কর্মীর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে যান তিনি।
গত ১ অক্টোবর থেকে সরকার সুপার শপে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ করার পর থেকে এ ধরনের বিবাদ প্রায়ই দেখা যাচ্ছে।
শেষ পর্যন্ত ১১ টাকা দিয়ে পাটের ব্যাগ কেনা নিয়ে বিরক্ত হয়ে প্রায় ১৩০০ টাকা মূল্যের সামগ্রী না কিনেই আউটলেট ছেড়ে চলে যান রাব্বি।
বিক্রয়কর্মীরা সুপার শপগুলোতে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী পলিথিনের ব্যাগ নিষিদ্ধ করার বিষয়টি তাকে বুঝানোর চেষ্টা করলেও তিনি এ ব্যাখ্যা মানতে রাজি হননি।
সরকারি নিষেধাজ্ঞার পর থেকে সুপার শপগুলোয় পলিব্যাগের পরিবর্তে কাগজের ব্যাগে মাছ, মাংস ও অন্যান্য হিমায়িত পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। যা নিয়ে ক্রেতা-বিক্রয়কর্মীদের মধ্যে এমন ভুল বুঝাবুঝির ঘটনা অহরহ ঘটছে।
আরও পড়ুন: মাইক্রো প্লাস্টিক কী? কীভাবে এটি মানবদেহে প্রবেশ করে? কী কী প্রভাব ফেলে?
বাংলাদেশে বছরে প্রায় ৮৭ হাজার টন একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক উৎপাদিত হয়, যার বেশিরভাগই বর্জ্যে পরিণত হয়। এ কারণে সরকার মুদি ব্যাগ থেকে শুরু করে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবহার কমানোর চেষ্টার অংশ হিসেবে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে শুরু করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্লাস্টিক দূষণ বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ সমস্যায় পরিণত হচ্ছে। দেশের দ্রুত শিল্পায়ন ও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কারণে প্লাস্টিক পণ্যের চাহিদা বেড়েছে।
এছাড়াও অপর্যাপ্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অবকাঠামোও এর জন্য দায়ী। বিশেষ করে শহরাঞ্চল ও নৌপথে ব্যাপক প্লাস্টিক দূষণের কারণ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ঠিকমতো না হওয়া।
এই সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক আদেশ অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৭টি খাতে 'সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক' (এসইউপি) অর্থাৎ এক বার ব্যবহার ব্যবহারের প্লাস্টিক পণ্য পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার জন্য গত ২৭ আগস্ট একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
প্রজ্ঞাপনে পরিবেশ সুরক্ষা ও দূষণ কমাতে অবিলম্বে এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যা ভাবছেন সংশ্লিষ্টরা
বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) সভাপতি শামীম আহমেদ ইউএনবিকে বলেন, ১৭টি খাতে এসইউপি নিষিদ্ধ করার আদেশ জারির আগে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা প্রয়োজন। না হলে প্রায় ৬ হাজার শিল্প ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে।
দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, 'সরকারি কর্মকর্তারা এর আগেও এ ধরনের বৈঠকে অংশ নিয়েছেন কিন্তু কোনো মাঠ পর্যায়ের গবেষণা ছাড়াই। ফলে তারা (কর্মকর্তারা) বুঝতে পারছেন না এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্তটি ফলপ্রসূ হবে এবং প্লাস্টিক পণ্যের বিকল্প হিসেবে কি ব্যবহার করা যায়।’
সম্প্রতি জাপানে প্লাস্টিক পণ্যের একটি কর্মশালায় যোগ দিয়ে সিঙ্গাপুর সফর করেন শামীম আহমেদ।
তিনি বলেন, এশিয়ার উন্নত দেশগুলোও বাংলাদেশের মতো প্রতিটি ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের ব্যবহার করছে। কিন্তু তারা (জাপান ও সিঙ্গাপুর) শতভাগ প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করে তা পুনর্ব্যবহার করে।
শামীম আহমেদ বলেন, অপর্যাপ্ত সরবরাহ, উচ্চমূল্য এবং প্লাস্টিকের বিকল্প উৎস পাওয়ার সক্ষমতার অভাবে জাপান ও সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত দেশগুলোও এখন পর্যন্ত প্লাস্টিকের বিকল্প ব্যবহারে সফল হতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার দিকে মনোনিবেশ করছে, যা এখন পর্যন্ত একটি ভালো বিকল্প।
আরও পড়ুন: সরকারি অফিসে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের বিকল্প ব্যবহারের নির্দেশনা
রপ্তানিমুখী ও দেশীয় ভোগ্যপণ্যে প্লাস্টিক প্যাকেজিংয়ের উদাহরণ দিয়ে শামীম আহমেদ বলেন, আয়োডিনযুক্ত লবণ, ভোজ্যতেল ও তরল দুধের প্যাকেজিং প্লাস্টিক ছাড়া করা অসম্ভব।
২০২২ সালের ২ মার্চ জাতিসংঘের পরিবেশ পরিষদে গৃহীত প্রস্তাবে বিশ্বব্যাপী সার্কুলার ইকোনমিতে প্লাস্টিকের অনুপাত বিবেচনায় কার্যকর পুনর্ব্যবহারের ব্যবস্থা তৈরির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ
প্লাস্টিক পণ্যের উপযুক্ত বিকল্প উদ্ভাবনের আগে পরিবেশ ও শিল্পকারখানা রক্ষায় প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ)। সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার মাধ্যমে প্লাস্টিক বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
এছাড়াও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়টি পাঠ্যপুস্তকে যুক্ত করা, বাস-রেল স্টেশন, পার্ক, ওয়াকওয়েসহ বিভিন্ন স্থানে প্লাস্টিক বর্জ্যের জন্য পর্যাপ্ত 'বিন' স্থাপনসহ একটি নির্দিষ্ট স্থানে প্লাস্টিক ফেলার বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে পরামর্শ দিয়েছে বিপিজিএমইএ।
শহরাঞ্চলে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট স্থাপনের বিষয়ে জানতে এবং ভর্তুকি হারে সরঞ্জাম পেতে স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটে (এলজিআই) যোগাযোগের কথা বলা হয়েছে।
টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য প্লাস্টিক সার্কুলারিটি চালু করা হবে যার মাধ্যমে অন্যান্য উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশেও পরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা হবে। এর জন্য সরকারকে প্রযুক্তি সরবরাহ এবং কম হারে সুদে ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে।
প্লাস্টিক ব্যবহৃত হয় এমন শিল্পখাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্লাস্টিক উৎপাদন নিষিদ্ধ করা কোনো সমাধান নয়। তাই বাংলাদেশকে এই পদ্ধতিই অনুসরণ করতে হবে, নাহলে শিল্প ব্যবস্থা পরিচালনা করা একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়বে। যেমন- খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, ফার্মাসিউটিক্যালস প্যাকেজ, হাসপাতালের সরঞ্জাম, কৃষি আধুনিকায়ন ও রপ্তানি প্যাকেজিং খাতগুলো প্লাস্টিক পণ্য ছাড়া চলবে না। প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করলে এসব শিল্পে ব্যাপক প্রভাব পড়বে।
প্লাস্টিকসংশ্লিষ্ট শিল্পের পরিসংখ্যান
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী,
সিরিয়াল নং
শিল্পের ধরন
শিল্পের সংখ্যা
উৎপাদন মূল্য (টাকা)
১
খাদ্যপণ্য
৯৩৯৭
১২৬৩৭৪৭ মিলিয়ন টাকা
২
পানীয়
৩৭
১২৩৩৩০ মিলিয়ন টাকা
৩
তামাকজাত দ্রব্য
১৮১
২৮৬১৭১ মিলিয়ন টাকা
৪
রাসায়নিক ও রাসায়নিক পণ্য
২৫১
১২১৫২৬ মিলিয়ন টাকা
৫
ফার্মাসিউটিক্যালস, ঔষধি রাসায়নিক ও বোটানিক্যাল পণ্য
১৪৯
২৬৮৬২৪ মিলিয়ন টাকা
৬
রাবার ও প্লাস্টিক পণ্য
৯৪৩
৬৬১৪৬৯ মিলিয়ন টাকা
যা বলছেন পলিথিন বা প্লাস্টিক পণ্যের গ্রাহকরা
শীর্ষস্থানীয় ভোগ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার বাংলাদেশ এসইউপি পণ্যের বড় ক্রেতা। কোম্পানিটি বাংলাদেশে ও বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক প্যাকেজিংয়ের মাধ্যমেই পণ্য বাজারজাত করে থাকে।
ইউনিলিভার প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানি না হলেও তাদের পণ্যগুলো একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের প্যাকেট বা বোতলে বাজারজাতকরণ করে থাকে তারা।
ইউনিলিভারের ডিরেক্টর অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স শামীমা আক্তার ইউএনবিকে বলেন, প্লাস্টিক পণ্য বর্জনের প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
আরও পড়ুন: পলিথিন নিষিদ্ধের পক্ষে ক্রেতারা, বিকল্প নিয়ে শঙ্কা
এই ফেজ-আউট পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পণ্যের সচেতনতা ও অগ্রাধিকারের জন্য এ খাতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তিমূলক সংলাপের ওপর জোর দেন তিনি।
শামীমা আক্তার বলেন, ইউনিলিভার বাংলাদেশে প্রায় ১৩ লাখ দোকান মালিকের কাছে পণ্য বিক্রয় করে থাকে। পণ্যের গুণমান নিশ্চিত করার কথা বিবেচনা করে প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার করে তাদের বিপুল সংখ্যক পণ্য বাজারজাত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে সাশ্রয়ী ভালো মানের কোনো প্যাকেজিং সিস্টেম তৈরি করা হয় তাহলে ইউনিলিভার সেটি ব্যবহার করতে আগ্রহী। সে পর্যন্ত প্লাস্টিক প্যাকেজিংয়ের ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে গবেষণার ওপর জোর দিয়ে শামীমা আক্তার বলেন, এর কোনো বিকল্প বিবেচনা করার বদলে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার ওপর মনোনিবেশ করা উচিত।
আরও পড়ুন: পরিবেশ রক্ষায় পলিথিন ও এসইউপির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সরে আসা সময়ের দাবি: উপদেষ্টা
১ মাস আগে
পলিথিন নিষিদ্ধের পক্ষে ক্রেতারা, বিকল্প নিয়ে শঙ্কা
পলিথিন ব্যাগের ওপর সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞায় সমর্থন জানিয়েছেন সুপারমার্কেটের গ্রাহকরা। তবে এর বিকল্প হিসেবে যেসব শপিং ব্যাগ ব্যবহার করতে হয় সেগুলোর জন্য তাদের ব্যয় বেড়েছে বলে জানালেন ক্রেতারা।
তারা মনে করেন, সুপারমার্কেটগুলোতে ছোট পণ্যের জন্য স্বল্পমূল্যের পরিবেশবান্ধব শপিং ব্যাগ বা বিনামূল্যের শপিং ব্যাগ সরবরাহ করা উচিত।
সুপারমার্কেটের কর্মীরাও জানান, তাদের বেশিরভাগ ভোক্তা পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করার পদক্ষেপকে প্রশংসা করেছেন। তবে স্বল্পসংখ্যক ক্রেতা শপিং ব্যাগের জন্য বাড়তি অর্থ দেওয়ার ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, দেশে পর্যায়ক্রমে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে ১ অক্টোবর থেকে সুপার শপগুলোতে 'নো মোর পলিথিন ব্যাগ' নীতিমালা চালু করেছে সরকার।
এই নিষেধাজ্ঞা চালুর পর দিন ২ অক্টোবর শেওড়াপাড়ায় স্বপ্নের আউটলেটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতাদের বিভিন্ন দামে বিভিন্ন ধরনের পরিবেশবান্ধব শপিং ব্যাগ দিচ্ছেন তারা।
সেখানে কেনাকাটা করতে আসা শাহিনা সুলতানা বলেন, 'সুপারমার্কেটে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি কিন্তু নন-পলিথিন ব্যাগের দাম কিছুটা বেশি, যে কারণে আমাদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে।’
বেসরকারি সংস্থা আরটিএম ইন্টারন্যাশনালের কর্মরত শাহিনা মনে করেন, সুপারমার্কেটগুলোতে ছোট পণ্যের জন্য স্বল্পমূল্যের শপিং ব্যাগ বা বিনামূল্যে শপিং ব্যাগ সরবরাহ করা উচিত, না হলে ক্রেতারা মুদি দোকান থেকেই কেনাকাটা করবে।
আউটলেটে আসা আরেক ক্রেতা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পীযূষ চন্দ্র শীল বলেন, পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করা সঠিক সিদ্ধান্ত। পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে আমরা এটাকে স্বাগত জানাচ্ছি।
স্বপ্ন আউটলেটের ব্যবস্থাপক শাওন ইসলাম জানান, তারা ৬ টাকা থেকে ১৬ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন দামে শপিং ব্যাগগুলো দিচ্ছেন। বেশিরভাগ ক্রেতা স্বেচ্ছায় পরিবেশবান্ধব ব্যাগ কিনলেও কেউ কেউ বলছেন, শপিং ব্যাগের জন্য বাড়তি অর্থ দিতে রাজি নন তারা।
তিনি আরও বলেন, ‘আউটলেটে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধের নীতিমালা বাস্তবায়নের পর আমরা বড় ধরনের কোনো সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি না। এখন আমাদের গ্রাহকদের ছোট একটি অংশকে পরিবেশবান্ধব শপিং ব্যাগ কেনার ব্যাপারে রাজি করাতে হবে।’
চাল, মাছ ও ডালসহ বেশকিছু পণ্যের সঙ্গে তারা বিনামূল্যে কাগজের ব্যাগ সরবরাহ করেন বলে জানান শাওন ইসলাম।
শেওড়াপাড়ার আগোরার আউটলেটে কেনাকাটা করতে আসা সাদাত রাসেল বলেন, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় পলিথিন ব্যাগ ২০-২৫ বছর আগেই নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল।
এই বেসরকারি চাকরিজীবী আরও বলেন, ‘এটি একটি ভালো উদ্যোগ। আমরা শপিং ব্যাগের জন্য অর্থ দিতে রাজি। পরিবেশ রক্ষায় আমাদের নন-ডিসপোজেবল পলিথিন ও প্লাস্টিক পরিষ্কার করতে হবে। তাছাড়া এসব জিনিস স্বাস্থ্যসম্মত নয়।’
আগোরা আউটলেটের ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন জীবন বলেন, টাকা দিয়ে শপিং ব্যাগ কেনায় অভ্যস্ত হতে ক্রেতাদের আরও সময় লাগবে। সবক্ষেত্রে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হলে পরিবেশবান্ধব শপিং ব্যাগের মূল্য পরিশোধে জনগণের মধ্যে ইতিবাচক মানসিকতা গড়ে উঠবে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, ১ অক্টোবর থেকে দেশের সব সুপারশপে পলিথিন ও পলি-প্রোপিলিন শপিং ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে।
পরে গত মঙ্গলবার পরিবেশ উপদেষ্টা জানান, দেশে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করতে সরকার পলিথিনের উৎপাদন, মজুদ, পরিবহন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে।
আগামী ১ নভেম্বর থেকে দেশের সব কাঁচাবাজারে দেশব্যাপী পলিথিনবিরোধী অভিযান শুরু হবে।
১ মাস আগে
পরিবেশ রক্ষায় পলিথিন ও এসইউপির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সরে আসা সময়ের দাবি: উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, টেকসই পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পলিথিন ও এসইউপির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সরে আসা এখন সময়ের দাবি।
তিনি আরও বলেন, একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক পরিত্যাগ করে পৃথিবীকে সবার জন্য নিরাপদ করতে হবে। নিষিদ্ধ পলিথিন বর্জন করতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রাণী রক্ষায় আরও মানবিক হতে হওয়ার আহ্বান প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বৃক্ষরোপণ, পলিথিন ও এসইউপি বর্জন বিষয়ক আলোচনা এবং প্রকৃতি চিত্রাঙ্কন অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘গাছ প্রকৃতি প্রদত্ত সুরক্ষা কবচ। তাই গাছের পরিমাণ বাড়াতে হবে। বিদেশি প্রজাতির গাছ আর প্রমোট করা যাবে না।’
আলোচনা সভা ও চিত্রাঙ্কনের আয়োজনের কথা উল্লেখ করে রিজওয়ানা হাসান বলেন, এ ধরনের কর্মসূচি সচেতনতা বাড়াতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। এই উদ্যোগ প্রকৃতি সংরক্ষণের পথকে আরও সুদৃঢ় করবে।
অনুষ্ঠানে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা (প্রশাসন), প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ (শিক্ষা), কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: শিগগিরই সাইবার নিরাপত্তা আইন সংশোধন বা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা
১ মাস আগে
১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে পলিথিন ও পলিপ্রপিলিন ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ: পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে কোনো ধরনের পলিথিন বা পলিপ্রপিলিনের ব্যাগ রাখা যাবে না এবং ক্রেতাদের দেওয়া যাবে না। বিকল্প হিসেবে সব সুপারশপে বা শপের সামনে পাট ও কাপড়ের ব্যাগ ক্রেতাদের জন্য রাখা হবে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পলিথিন শপিং ব্যাগের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
এ কাজে তরুণ বা শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করা হবে বলে জানান পরিবেশ উপদেষ্টা।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে ১ অক্টোবরের শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধের বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচার হবে। পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এক সপ্তাহের মধ্যে সব সুপারশপের সঙ্গে সভা করে পাটের শপিং ব্যাগের সরবরাহ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইএসডিওর সঙ্গে বিকল্প পরিবেশবান্ধব উপাদানে তৈরি, পাট বা কাপড়ের ব্যাগের উৎপাদনকারীদের নিয়ে একটি মেলার আয়োজন করবে। মেলায় সুপার শপের কর্তৃপক্ষ ও উৎপাদনকারীরা নিজেদের চাহিদা এবং সরবরাহর বিষয়ে আলোচনা করতে পারবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে সভায় আরও ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবরা, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অন্যান্য মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন সুপার শপের প্রতিনিধিরা।
২ মাস আগে
সুস্থভাবে বাঁচতে ক্ষতিকর প্লাস্টিক-পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হলে ক্ষতিকর প্লাস্টিক ও পলিথিনের পণ্যের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, পলিথিন ব্যাগের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুন: সবুজ ভবিষ্যৎ নির্মাণে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ ও নর্ডিক দেশগুলো: পরিবেশমন্ত্রী
বুধবার (২০ মার্চ) পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে প্রায় পাঁচ হাজার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে ঈদ উপহার বিতরণের পর পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বায়ুদূষণের উৎসগুলো চিহ্নিত করেছে সরকার। বায়ুদূষণে এককভাবে নয় যৌথভাবে কাজ করা হলে আগামী বছর কিছুটা উন্নতি দেখতে পাওয়া যাবে।
ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে পরিবেশবান্ধব আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান পরিবেশমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় জনগণের পাশে দাঁড়ায়।
তিনি আরও বলেন, ঈদ উল ফিতর একটি আনন্দের উৎসব। এই সময়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।
আরও পড়ুন: বর্জ্য থেকে সার উৎপাদনে কর্মসূচি গ্রহণ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
৮ মাস আগে
অবশেষে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে স্থান পাচ্ছে পরিবেশবান্ধব ‘সোনালি ব্যাগ’!
উদ্ভাবনের ছয় বছর পরও পলিথিন ব্যাগের বিকল্প পাটের তৈরি পরিবেশবান্ধব ‘সোনালি ব্যাগ’ বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না।
পলিথিনের বিকল্প হিসেবে বাণিজ্যিকভাবে কার্যকারিতা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার পর পণ্যটির প্রকল্পের অভ্যন্তরীণ ব্যক্তি এবং উদ্ভাবকরা হতাশ। কারখানা পরিচালনার জন্য অর্থ বরাদ্দ না থাকায় প্রকল্পটি এখন মৃত্যুর অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
পাট থেকে তৈরি পলিব্যাগ বাজারজাত করার জন্য ২০১৮ সালে একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিল। তবে পঞ্চম বছরেও ব্যাগটি বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আনা সম্ভব হয়নি।
সোনালি ব্যাগের উদ্ভাবক মোবারক আহমেদ বলেন, সোনালি ব্যাগ বাজারজাত করতে আরও ৩৫০ থেকে ৪০০ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে।
শুধু সীমিত আকারে ব্যাগ উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।
পলিব্যাগের বিকল্প সোনালি ব্যাগ বাণিজ্যিক উৎপাদনের প্রকল্প কবে বাস্তবায়িত হবে তা বলতে পারেননি বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের কর্মকর্তারা।
নির্ভরযোগ্য বিকল্পের অভাবে বাজারে এখনও রাজত্ব করছে নিষিদ্ধ পলিথিন। সবজির বাজার, মুদি দোকান, শপিংমল, চেইন শপে পলিথিনের ব্যবহার বাড়ছে। পরিবেশ ক্ষতিকর এসব পণ্য নিয়ন্ত্রণে মাঝেমধ্যে অভিযান চালানো হলেও বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় পলিথিনের ব্যবহার কমেনি।
আরও পড়ুন: ‘সোনালি ব্যাগ’ উৎপাদনে যুক্তরাজ্যের সাথে বিজেএমসি’র সমঝোতা স্মারক
২০০২ সালে বাংলাদেশে পলিথিন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরিবেশবাদীরা বলছেন, আইন প্রয়োগে ব্যর্থতাই বাজারে পলিথিনের আধিপত্যের প্রধান কারণ। পলিথিন নিয়ে শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্ব চিন্তিত। প্রতিদিন লাখ লাখ টন পলিব্যাগ ব্যবহার করে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা মোবারক আহমেদ খান ২০১৬ সালে ‘সোনালি ব্যাগ’ নামে পাটের পলিথিন ব্যাগ উদ্ভাবন করেন।
এটি একটি সেলুলোজ-ভিত্তিক বায়োডিগ্রেডেবল বায়োপ্লাস্টিক, প্লাস্টিকের ব্যাগের বিকল্প। পাট থেকে সেলুলোজ সংগ্রহ করে এই ব্যাগ তৈরি করা হয়। এটি দেখতে সাধারণ পলিথিনের মতো হলেও এটি পচনশীল।
বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসার আগে ‘সোনালি ব্যাগ’ দেশে-বিদেশে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছিল। ব্যাগ বাজারজাত করার জন্য ২০১৬ সালে একটি পাইলট প্রকল্প নেয়া হয়েছিল। তবে ছয় বছরেও ব্যাগটি বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আনা সম্ভব হয়নি।
ঢাকার ডেমরায় শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন লতিফ বাওয়ানী জুটমিলে সোনালী ব্যাগ তৈরির কারখানা রয়েছে। এই ব্যাগ উৎপাদনের জন্য ২০১৯ সালের ৭ মার্চ বাংলাদেশ জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল।
সেই টাকা দিয়ে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও কেমিকেল কেনা হয়েছে। শুধু মতিঝিলের বিজেএমসি অফিস থেকে ব্যাগ বিক্রি হয়।
এ প্রেক্ষাপটে ‘সোনালি আঁশের সোনার দেশ, পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে রবিবার বাংলাদেশ পাট দিবস-২০২২ উদযাপিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: পরিবেশ সুরক্ষায় পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পলিথিনের বিকল্প পাটের ব্যাগ উদ্ভাবনে সহায়তা করবে সরকার: মন্ত্রী
২ বছর আগে
পলিথিনে মোড়ানো অপরিপক্ক নবজাতকের লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরে পলিথিনে মোড়ানো অপরিপক্ক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পুলিশ আসার আগেই স্থানীয়রা লাশটি মাটিচাপা দিয়ে দেয়। রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে শহরের গঙ্গাবর্দী এলাকার বিএডিসি অফিস সংলগ্ন সানি ফিলিং স্টেশনের সামনে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ঢালে লাশটিকে মাটিচাপা দেয়া হয়।
স্থানীয় কালাম মোল্লা বলেন, ঘটনাস্থলের পাশেই মুদি দোকানদার ভোরে দোকান খুলতে আসার সময় পলিথিনে মোড়ানো কিছু দেখতে পায়। তিনি আমাকে খবর দিলে আমিসহ অনেকেই একটি নবজাতকের লাশ দেখতে পাই। পরে ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে জানাই। কিন্তু পুলিশ না আসায় স্থানীয়রা সকাল ৮টার কিছু আগে লাশটি মাটিচাপা দিয়ে দেয়। শিশুটি অপরিপক্ক ছিল।
আরও পড়ুন: সাভারে ড্রেনে মিললো নবজাতকের লাশ
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, সকাল ৯৯৯ এর অভিযোগ থেকে জানতে পারি গঙ্গাবর্দী এলাকায় মহাসড়কের পাশে একটি নবজাতকের লাশ পরে আছে। আমাদের একটি টিমকে সেখানে পাঠানো হয়। তারা যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা শিশুটিকে সেখানেই মাটিচাপা দিয়ে দেয়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সদর সার্কেল আরও বলেন, শিশুটি মূলত প্রি ম্যাচিউড বেবি ছিল। এটি সম্ভবত গর্ভপাতের বিষয়। রাতের কোন এক সময় শিশুটিকে ফেলে রেখে গেছে এমনটই ধারণা করা হচ্ছে।
মাটিচাপা দেয়ার বিষয়ে পুলিশের আর কোন হস্তক্ষেপ করেনি। এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কামরাঙ্গীচরে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
হাতিরঝিলে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার
২ বছর আগে
পলিথিন ও ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য বন্ধে ১ বছর সময়
দেশের হোটেল, মোটেল, রেস্তোরাঁ ও উপকূলীয় অঞ্চলে পলিথিন এবং একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক (ওয়ান টাইম) পণ্যের ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নিতে এক বছর সময় বেঁধে দিয়েছে উচ্চ আদালত।
৪ বছর আগে
রোহিঙ্গা শিবিরে পলিথিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাও একটি অগ্রাধিকার
ঢাকা, ০৫ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- প্লাস্টিক ও পলিথিনের বর্জ্য যথাযথভাবে ব্যবস্থাপনা করা একুশ শতাংশের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। সমুদ্রের গভীরতম খাদ থেকে পাহাড়ের চূড়া সর্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে এ বর্জ্য।
৫ বছর আগে