বেনজীর
বেনজীরের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুদক, হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
রবিবার (২৮ জুলাই) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেছে সংস্থাটি।
এখন বিষয়টি আদালতের কার্যতালিকায় এলে শুনানি হবে।
আরও পড়ুন: বেনজীর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা আরও জমি-ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ
এ ব্যাপারে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির ব্যাপারে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশ ছাড়ার আগে বেনজীর আহমেদ যে টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। এখন কমিশনের তদন্ত কর্মকর্তা এসব খতিয়ে দেখছেন। বিষয়টি আদালতের কার্যতালিকায় এলে শিগগিরই শুনানি হবে।
‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে গত ৩১ মার্চ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক।
গত ২১ এপ্রিল পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের অনিয়ম-দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান।
এই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২৩ এপ্রিল পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম-দুর্নীতি, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগের অনুসন্ধান বিষয়ে অগ্রগতির প্রতিবেদন আগামী দুই মাসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই আদেশ অনুযায়ী রবিবার প্রতিবেদন দাখিল করে দুদক।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে বেনজীরের ১০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ
এদিকে বেনজীরের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে গত ২২ এপ্রিল কমিটি গঠন করে দুদক। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে গত ২৩ এপ্রিল থেকে টাকা সরাতে থাকেন সাবেক এই আইজিপি।
৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কয়েকটি অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১৩ কোটি টাকা তোলেন বেনজীর, তার স্ত্রী জিসান মির্জা ও মেয়ে ফারহিন রিসতা।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছেন, অনুসন্ধান শুরুর পর বেনজীরের টাকা সরিয়ে নেওয়া এবং টাকা তোলার তৎপরতা প্রমাণ করে তার অপরাধপ্রবণ মানসিকতা।
তিন দফায় সাবেক আইজিপির প্রায় ৭০০ বিঘা জমি ক্রোক করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে জব্দ রয়েছে, ১২টি ফ্ল্যাট, ৩৩টি ব্যাংক হিসাবসহ বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি।
সংস্থাটির আইনজীবী বলছেন, এ বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত আসবে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে বেনজীরের ২৫ একর সম্পত্তি জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে
৩ মাস আগে
রূপগঞ্জে বেনজীরের ১০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ডুপ্লেক্স বিলাসবহুল বাড়িটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সরকার।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও জেলার সমন্বিত দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম আদালতের নির্দেশে প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের বাড়িটি জব্দ করে।
আরও পড়ুন: বেনজীর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা আরও জমি-ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ
অভিযানে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. শফিকুল আলম, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আহসান মাহমুদ রাসেল, দুর্নীতি দমন কমিশনের নারায়ণগঞ্জ সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক মঈনুল হাসান রওশানীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দুদক কর্মকর্তা মঈনুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাড়িটি ২০২২ সালে নির্মিত। সাবেক এই আইজিপি দেশে থাকাকালে এখানে রাত্রীযাপন করতেন।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে বেনজীরের ২৫ একর সম্পত্তি জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে
তিনি জানান, সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য বাংলোয় একজন তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে দুটি কুকুর রাখা হয়েছিল।
এর আগে গত ১২ জুন দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক আইজিপির ডুপ্লেক্স বাড়িসহ আরও অনেক সম্পত্তি জব্দের আদেশ দেন আদালত।
পরবর্তীকালে আদালত বাড়িটি তদারকির জন্য জেলা প্রশাসকের ওপর দায়িত্ব দেন।
আরও পড়ুন: বেনজীর-মতিউরের সম্পদের বিবরণী চেয়ে দুদকের নোটিশ
৩ মাস আগে
বান্দরবানে বেনজীরের ২৫ একর সম্পত্তি জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে
বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বান্দরবান জেলায় থাকা ৩০ কোটি টাকা মূল্যের ২৫ একর সম্পত্তি তত্ত্বাবধানে নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিনের নেতৃত্বে প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তাদের একটি দল সম্পত্তি তত্ত্বাবধানে নিয়ে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়।
একই সঙ্গে বেনজীরের বাগানবাড়িতেও তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বেনজীর-মতিউরের সম্পদের বিবরণী চেয়ে দুদকের নোটিশ
জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, আদালতের নির্দেশনার পর বেনজির আহমেদের সম্পত্তিগুলো তত্ত্বাবধানে নেওয়া হয়েছে এবং এসব সম্পত্তি থেকে যা আয় হবে তা সরকারের কোষাগারে জমা হবে।
উল্লেখ্য, দুদক সারাদেশে সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদের সম্পত্তির পরিমাণ খুঁজে বের করার পর বান্দরবানেও বিপুল পরিমাণে সম্পত্তির তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়াও স্থানীয় সূত্র জানায়, বান্দরবানের সুয়ালকে ৫০ একর ও লামা উপজেলাতে প্রায় ১০০ একর সম্পত্তি রয়েছে।
এর আগে ওই অঞ্চলের প্রায় কোটি টাকার গাছ কেটে ফেলা হয়। এছাড়াও গত কোরবানির ঈদের আগে ৩৬টি গরু সরিয়ে ফেলা হয়।
বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে দুদক সুয়ালকে ২৫ একর সম্পত্তির নথি খুঁজে পায়। এসব সম্পত্তি তত্ত্বাবধানে নিয়েছে বান্দরবানের জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: আজিজ-বেনজীরের মতো অনেক দুর্নীতিবাজকে আশ্রয় দিয়েছে আ. লীগ সরকার: ফারুক
৩ মাস আগে
আজিজ-বেনজীরের মতো অনেক দুর্নীতিবাজকে আশ্রয় দিয়েছে আ. লীগ সরকার: ফারুক
আওয়ামী লীগ সরকার আজিজ আহমেদ ও বেনজীর আহমেদের মতো অসংখ্য দুর্নীতিবাজকে আশ্রয় দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক।
শুক্রবার (২৮ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এ অভিযোগ করেন তিনি।
ভারতের সঙ্গে 'অবৈধ সরকারের অবৈধ চুক্তির' প্রতিবাদে এ বিক্ষোভের আয়োজন করে বিরোধীদলীয় মঞ্চ প্রজন্ম বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: বারবার একতরফা নির্বাচন করে নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্ন করছে আওয়ামী লীগ: ফারুক
বিক্ষোভে ফারুক প্রশ্ন করেন, ‘এখন কোথায় বেনজির (সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ), আজিজ (সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ), মতিউর (রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান)?’
তিনি আরও বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব (ট্যাক্স, লিগ্যাল অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের মতো নতুন দুর্নীতিবাজ ব্যক্তির আবির্ভাব হয়েছে।
ফারুক বলেন, ‘বাংলাদেশে সরকারের আশ্রয়ে অসংখ্য ব্যক্তি লুটপাট করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, বিদেশে ঘরবাড়ি বানিয়েছেন। তারা রাতে সাঁতার কাটার জন্য সুইমিং পুলসহ প্রাসাদও তৈরি করেছিল। এই মানুষগুলোর মুখোশ উন্মোচন করে দিতে হবে, তা না হলে বাংলাদেশের জনগণ আপনাদের কখনো ক্ষমা করবে না।’
সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যে সরকারকে সমর্থন করায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সমালোচনা করেন সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ খুবই সচেতন। গুটিকয়েক আমলার সমর্থন নিয়ে আপনি ক্ষমতায় আছেন। আপনারা একদিনের জন্যও বাংলাদেশের মানুষের মন জয় করতে পারেননি।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী দিল্লি থেকে এবার কী নিয়ে আসেন তা দেখার অপেক্ষায় মানুষ: ফারুক
ফারুক বলেন, দেশের জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে প্রহসন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নেতাদের আত্মীয়দের যুক্ত করে উপজেলা নির্বাচনেও একই প্রক্রিয়া চালিয়েছে।
তিনি বলেন, যে আওয়ামী লীগ পাঁচ মিনিট সংসদে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে এবং হেলিকপ্টারে ব্যালট বাক্স এনে এমপি বানিয়েছে, তারা আবারও ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছে।
বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বাকি অংশের সঙ্গে যুক্ত করতে রেললাইন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার ভারত সরকারের পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে এই অসম চুক্তি আমরা মেনে নেব না। দেশের মানুষ তাদের মেনে নিতে পারছে না। এসব অন্যায্য চুক্তি প্রত্যাহার করুন।’
ভারতের সঙ্গে এসব অসম চুক্তির বিরুদ্ধে জনগণকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে বিএনপিকে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার আহ্বান জানান ফারুক।
আরও পড়ুন: সরকারের সহায়তায় দেশ ছেড়েছেন বেনজীর: ফারুক
৪ মাস আগে
সরকারের সহায়তায় দেশ ছেড়েছেন বেনজীর: ফারুক
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ সরকারের সহায়তায় দেশ ছেড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক।
তিনি প্রশ্ন করেন, 'চোর ও দুর্নীতির রাজা বেনজীর সরকারি সহায়তা ছাড়া কীভাবে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পার হলেন?’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, বর্তমান সরকার যদি গণতান্ত্রিক হতো এবং বাংলাদেশের জনগণের নির্বাচিত হতো তাহলে বেনজীরকে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পার হতে সাহায্য করত না।
ফারুক বলেন, ‘এ কারণেই মানুষ বলতে শুরু করেছে এই সরকার চোরের রাজা, এই সরকার দুর্নীতির রাজা। এটা জনগণের সরকার নয়।’
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আজিজ আহমেদ ও বেনজীর আহমেদসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে গণতন্ত্র ফোরাম।
মানববন্ধনে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনের জন্য সরকারের সমালোচনা করেন ফারুক।
তিনি বলেন, দলের অনেক নেতা-কর্মী জীবিকার তাগিদে রিকশা চালাতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেক আবার রাজনৈতিক মামলার হাজিরা দিতে রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার আদালতে ছুটতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের খেসারত আ. লীগকে দিতে হবে: ফারুক
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘আমাদের সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জেলে আটকে রাখা হয়েছে এবং আমাদের প্রিয় নেত্রী তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। এই সরকারের এদেশের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই।’
জনসমর্থন না থাকায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল করেছে অভিযোগ করে ফারুক বলেন, ‘জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই।’
সরকারকে হুঁশিয়ার করে সংসদে সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক বলেন, কোনো কৌশলেই কাজ হবে না এবং শেষ পর্যন্ত দেশের জনগণই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করবে।
সাবেক আইজিপি বেনজীর ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের মতো আরও অনেক দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি রয়েছে যাদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'জনগণ জানতে চায় আজিজ-বেনজীরের মতো দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সরকার কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: বারবার একতরফা নির্বাচন করে নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্ন করছে আওয়ামী লীগ: ফারুক
৪ মাস আগে
বেনজীর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা আরও জমি-ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা আরও জমি ও ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনে বুধবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
আরও পড়ুন: সাবেক আইজিপি বেনজীরের ব্যাপক দুর্নীতির জবাবদিহিতা দাবি করেছে টিআইবি
মামলার অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম সম্পত্তি জব্দের আবেদন করেন।
এসব সম্পত্তি ও ফ্ল্যাটের মধ্যে আছে, রূপগঞ্জে ২৪ কাঠা জমি, উত্তরায় তিন কাঠা জমি, বাড্ডায় দুটি ফ্ল্যাট, বান্দরবান জেলায় ২৫ একর জমি, বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জিসান মীর্জার নামে আদাবরের ছয়টি ফ্ল্যাট, গুলশানে বাবার কাছ থেকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি মূলে পাওয়া ছয় তলা ভবন, সিটিজেন টিভির শেয়ার ও টাইগার অ্যাপারেলসের শেয়ার।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ নামে, স্ত্রী জিসান মীর্জা ও কন্যাদের নামে দেশে-বিদেশে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যাচ্ছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাদের মালিকানাধীন ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। তা করতে পারলে মামলার অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা দায়ের, অভিযোগ দাখিল, আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় থেকে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সব উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে।
তাই, অনুসন্ধান শেষে মামলা দায়ের, তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিল এরপর আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের সুবিধার্থে তথা সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে স্থাবর সম্পত্তিসমূহ ক্রোক ও অস্থাবর সম্পত্তি ফ্রিজ করা একান্ত প্রয়োজন।
এর আগে গত ২৩ ও ২৬ মে দুই দফায় বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ৬২১ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দেন আদালত। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জমির মালিক বেনজীরের স্ত্রী জিসান মীর্জা। তার নামে প্রায় ৫২১ বিঘা জমির খোঁজ পেয়েছে দুদক। বাকি ১০০ বিঘার মতো জমি রয়েছে বেনজীর, তার তিন মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর, তাহসিন রাইশা বিনতে বেনজীর ও জারা জেরিন বিনতে বেনজীর এবং স্বজন আবু সাঈদ মো. খালেদের নামে।
বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জিসান মীর্জার নামে মাদারীপুরের সাতপাড় ডুমুরিয়া মৌজায় ২৭৬ বিঘা জমি পাওয়া গেছে। ২০২১ ও ২০২২ সালের বিভিন্ন সময় ১১৩টি দলিলে এসব জমি কেনা হয়। দলিলমূল্য দেখানো হয় মোট ১০ কোটি ২২ লাখ টাকা। ৮৩টি দলিলে ৩৪৫ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দেন আদালত। যার দলিলমূল্য দেখানো হয়েছিল ১৬ কোটি ১৫ টাকার কিছু বেশি। এছাড়া, বেনজীর আহমেদের পরিবারের সদস্যদের নামে গুলশানে যে চারটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন আদালত, তার মধ্যে তিনটি তার স্ত্রীর নামে এবং একটি ছোট মেয়ের নামে। দুটি ফ্ল্যাটের আয়তন ২ হাজার ৩৫৩ বর্গফুট, দাম ৫৬ লাখ টাকা করে। বাকি দুই ফ্ল্যাটের আয়তন ২ হাজার ২৪৩ বর্গফুট করে, দাম সাড়ে ৫৩ লাখ টাকা করে। চারটি ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে একই দিনে।
আরও পড়ুন: বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানের সম্পদ দেখভালে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দিল আদালত
আওয়ামী লীগকে রক্ষা করতে, ক্ষমতায় রাখতে সব প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন বেনজীর: ফখরুল
৪ মাস আগে
আওয়ামী লীগকে রক্ষা করতে, ক্ষমতায় রাখতে সব প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন বেনজীর: ফখরুল
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ সব ধরনের চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমরা যখনই রাস্তায় নামি, তারা (সরকার) আমাদের ওপর হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং পুলিশ ও র্যাব আমাদের ওপর হামলা চালায়। বেনজীর ছিলেন পুলিশ ও র্যাবের প্রধান।’
বুধবার (৫ জুন) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বেনজীর রহমানের অপকর্ম, চুরি, দুর্নীতি নিয়ে পত্রিকায় যখন সংবাদ প্রকাশ শুরু হয়, তখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দাবি করেন, সাবেক আইজিপি ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন।
তিনি বলেন, 'তিনি (বেনজির) আওয়ামী লীগে নাম লিখিয়েছিলেন কি না আমি জানি না। কিন্তু আওয়ামী লীগকে রক্ষা ও ক্ষমতায় টিকিয়ে থাকার জন্য তিনি সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করেছেন।’
বেনজীর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় র্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন। সে সময় তিনি প্রকাশ্যে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আওয়ামী লীগকে ভোট দিতে বলেছিলেন বলে স্মরণ করিয়ে দেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বেনজীর র্যাব ও পুলিশ প্রধান থাকাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন-পীড়ন, হত্যা ও গুম করার চেষ্টা করেছিলেন।
এছাড়াও বেনজীর র্যাবের মহাপরিচালক থাকাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের বানোয়াট ও ভুতুড়ে মামলায় জড়ানোর প্রচলন শুরু হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, আজিজ আহমেদের দুই ভাই চিহ্নিত সন্ত্রাসী জেনেও অনেক কর্মকর্তাকে সরিয়ে তাকে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার।
পরে ২০১৮ সালে নির্বাচনি প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে ক্ষমতাসীন দল আজিজকে ব্যবহার করেছিল বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
ফখরুল আরও অভিযোগ করেন, দেশে তিনটি প্রহসনের নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকেও ধ্বংস করেছে।
তিনি বলেন, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে, যাতে জনগণ ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কারণ সেখানকার জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
৪ মাস আগে
সাবেক আইজিপি বেনজীরের ব্যাপক দুর্নীতির জবাবদিহিতা দাবি করেছে টিআইবি
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র্যাব প্রধান বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সোমবার (৩ জুন ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি এই উদ্বেগ প্রকাশ করে।
টিআইবি জোর দিয়ে বলেছে, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের লাগামহীন ক্ষমতার অপব্যবহার 'ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের মতো ব্যক্তিত্ব' তৈরি করে এবং রাষ্ট্রীয় জবাবদিহিতাকে ক্ষুণ্ন করে। সংস্থাটি এ ধরনের নির্যাতনে সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে সাবেক পুলিশ প্রধান যাদেরকে নিজেদের জমি বিক্রি করতে বাধ্য করেছিল- সেইসব লোকদের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে।
খবরে বলা হয়েছে, সাবেক আইজিপি ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে জমি বিক্রি করতে মানুষকে বাধ্য করেছিলেন। মূলত তিনি প্রথমত সংখ্যালঘুদের বেছে নিয়েছিলেন। আর এই কাজগুলো করার জন্য তিনি নিজের এবং অন্যান্য রাষ্ট্রীয় সংস্থার কর্মীদের নিয়োগ করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারি বাহিনীর সঙ্গে যোগসাজশের মাধ্যমে জোরপূর্বক সম্পত্তি অর্জন করা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচারের সম্ভাবনা কৌশলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যার ফলে মূল অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন:অনলাইনে জুয়া-বেটিংয়ের মাধ্যমে অর্থপাচারের মহোৎসবে টিআইবির উদ্বেগ
সাবেক আইজিপির দুর্নীতি নিয়ে চলমান তদন্তে তার অবৈধ সম্পদ সম্পর্কে নতুন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এসব গুরুতর অভিযোগের পরও কীভাবে বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ইফতেখারুজ্জামান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিদেশে অর্থ পাচারে ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশ বা সহায়তায় সাবেক পুলিশ প্রধান দেশ ছাড়ার আগে ব্যাংক থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করেছেন বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ন্যায়বিচার হলে শুধু সাবেক আইজিপি নয়, যারা তাকে সহযোগিতা করেছেন তাদেরও বিচার করতে হবে।
তিনি সাবেক পুলিশ প্রধানের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য সরকারের সমালোচনা করেন। এটি সরকারের সম্পৃক্ততা বা তার দুর্নীতির সক্রিয় উৎসাহের ইঙ্গিত দেয়।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি প্রদর্শনের জন্য সকল দুর্নীতিবাজ ব্যক্তির নাম প্রকাশ এবং জড়িত সকলের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানিয়েছে ডিইউজে-ডিআরইউ ও টিআইবি
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে সরকারের দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টাকে নিছক নাটকীয়তা হিসেবে গণ্য করা হবে।
এতে আরও বলা হয়, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারের কাছে সব দুর্নীতিবাজের তথ্য আছে। এ ধরনের স্বীকৃতি বিরল হওয়া সত্ত্বেও একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা কীভাবে দুর্নীতির এমন সুস্পষ্ট সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে পারেন, তা সরকারকে অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে।’
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি প্রদর্শনের জন্য দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ ও এর সঙ্গে জড়িত সবার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। এটি করতে ব্যর্থ হলে নাগরিকদের মধ্যে নিছক নাটকীয়তা হিসাবে এই ধারণাটি আরও দৃঢ় হবে।’
আরও পড়ুন: সবুজ জলবায়ু তহবিলের ব্যর্থতায় বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে বঞ্চিত: টিআইবি
৪ মাস আগে
বেনজীরের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে কোনো আদালত বা দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে কোনো বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি।’
অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে ফেরার পর সোমবার (৩ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী গত ৪ মে রাতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়েন বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাবেক এই পুলিশ প্রধান ৬ জুন দুদকে হাজির হন কিনা তা দেখার বিষয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বলছে, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ৬ জুন বেনজীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়।
এছাড়া ৯ জুন তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে কমিশন।
আরও পড়ুন: ই-জিপি সম্পর্কে জানতে ৩ দিনের সফরে শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধি দল ঢাকায়
গত ২৩ এপ্রিল বেনজীর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
এরপর বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের বিষয়ে লেনদেনের তথ্য সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটসহ (বিএফআইইউ) বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ জানায় দুর্নীতি দমন কমিশন।
এর আগে গত ২৩ মে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৩৪৫ বিঘা জমি এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকে তাদের নামে ৩৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত রবিবার আদালত কয়েক কোটি টাকা মূল্যের আরও বেশ কয়েকটি স্থাবর সম্পত্তি এবং ১১৯টি নথিতে অতিরিক্ত অস্থাবর সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দেয়।
পৃথক এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার স্বচ্ছভাবে দেশ পরিচালনা করে এবং দুদকের ওপর সরকারের কোনো প্রভাব নেই।‘দুদক স্বাধীন ও স্বচ্ছভাবে কাজ করছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য পরবর্তী বিমসটেক সম্মেলনে কিছু উল্লেখযোগ্য ফলাফল আসতে যাচ্ছে: মহাসচিব
৪ মাস আগে
আজিজ-বেনজীরের অপকর্মের দায় সরকারকে নিতে হবে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ও সাবেক আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের কথিত দুর্নীতি ও অপকর্মের জন্য সরকার দায়ী।
এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, সরকার দেশকে এমন ভয়াবহ অবস্থায় নিয়ে গেছে যে, গণমাধ্যমে একজন সাবেক পুলিশ প্রধানের দুর্নীতির অসংখ্য চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে।
ফখরুল বলেন, 'আপনি (প্রধানমন্ত্রী) তাকে (বেনজির) লালন-পালন করেছেন। 'অনেক আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পরও আপনারা তাকে আইজিপি বানিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাংক ধ্বংস করছেন আ. লীগ নেতারা: বিএনপি নেতা নজরুল
ফখরুল আরও বলেন, বাংলাদেশে লুটপাট, চুরি ও নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগে একজন সাবেক সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন,এটা কি শুধু তাদের (আজিজ ও বেনজির) দায়? এ দায় জোর করে ক্ষমতায় থাকা এই সরকারের।
সাবেক সেনাপ্রধান ও আইজিপির অপকর্মের দায় নিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু একজন আজিজ আর একজন বেনজির নয়। আপনারা আজিজ, বেনজিরের মতো অসংখ্য মানুষকে লালন-পালন করেছেন, যারা জনগণের অর্থ লুটপাট করছে।’
ফখরুল আরও অভিযোগ করে বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও অনুসারীরা কুখ্যাত বর্গিদের (সপ্তদশ শতাব্দীতে বাংলা অঞ্চলে ব্যাপক লুটপাটে লিপ্ত মারাঠা সাম্রাজ্যের ঘোড়সওয়ার) মতো জনগণের অর্থ লুটপাট করছে। তাদের একমাত্র কাজ বাংলাদেশের সম্পদ লুণ্ঠন এবং বিদেশে অর্থ পাচারের মাধ্যমে বিদেশে সম্পদ গড়ে তোলা।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটি। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের জন্য দলটি ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে জনগণ বিরক্ত: ফখরুল
মির্জা ফখরুল বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করার দাবিতে বিএনপিসহ ৬৩টি বিরোধী দল দীর্ঘদিন ধরে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করছে।
তিনি বলেন, সরকার নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে নির্বাচন করতে অনিচ্ছুক, কারণ তারা খুব ভালো করেই জানে যে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনে তারা ১০ শতাংশ আসনও পাবে না।
এমন পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে চলমান আন্দোলন বেগবান করতে সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জেগে ওঠার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
আন্দোলনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ত্যাগের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, এটা বৃথা যাবে না।
স্মরণসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, জিয়াউর রহমান স্বৈরশাসন বাতিল করে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা এখন জিয়াউর রহমান ও তার বিধবা স্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি করছেন।
আব্বাস বলেন, অনেকেই ভেবেছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াকে হত্যার মধ্য দিয়ে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। এ‘ই দলকে কেউ ধ্বংস করতে পারবে না। এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বিএনপিকে হাজার বছর টিকে থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার
৫ মাস আগে