আত্মহত্যার চেষ্টা
গ্রেপ্তারের পর আত্মহত্যার চেষ্টা দ. কোরিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা প্রধানের
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিতর্কিত সামরিক আইন ঘোষণায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর আটক অবস্থায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
আটক কেন্দ্রের কর্মীরা তার আত্মহত্যাচেষ্টা প্রতিরোধ করেছেন এবং সাবেক এই মন্ত্রী এখন স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন কর্মকর্তারা।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
এর আগে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং হিউনকে বিদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি হলেন প্রথম ব্যক্তি যাকে ৩ ডিসেম্বর জারি করা সামরিক আইন আদেশের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আনুষ্ঠানিকভাবে আটক করা হয়।
এই ডিক্রি দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার ও অর্থনীতিকে সাময়িকভাবে অচল করে দিয়েছিল এবং সারা দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে। এ ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ তাদের তদন্ত জোরদার করছে। পুলিশ ইয়ুনের অফিসে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) অভিযান চালিয়েছে। অন্যদিকে দেশটির বিরোধী আইনপ্রণেতারা গত শনিবার ব্যর্থ চেষ্টার পর প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের জন্য পুনরায় একটি প্রস্তাব জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অভিযোগ করেছে, ইউনের সামরিক আইন জারি অসাংবিধানিক ছিল। তিনিসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে বিদ্রোহের জন্য অভিযুক্ত করে দলটি।
সামরিক কমান্ডাররা সাক্ষ্য দিয়েছেন,আইনপ্রণেতারা যাতে আদেশ উল্টাতে না পারে সেজন্য তাদের বাধা দিতে সৈন্যদের সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন ইউন। অন্যদিকে পাল্টা গোয়েন্দা কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, রাজনৈতিক বিরোধীদের আটক করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। সাংবিধানিক ধারাকে পাশ কাটিয়ে এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতি লঙ্ঘনের দায়ে গত ৪ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে বাতিল হওয়া এই আদেশ ব্যাপক নিন্দার মুখে পড়ে।
অভিশংসন প্রক্রিয়া সফল হলে সাংবিধানিক আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত ইয়ুনের ক্ষমতা স্থগিত করা হবে। পদ থেকে বরখাস্ত হলে নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রয়োজন দেখা দেবে।
এই অস্থিরতা আন্তর্জাতিকভাবে মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম অস্থিরতা সম্পর্কে প্রতিবেদন করেছে। এতে বলা হয়, এটি একটি বিরল পদক্ষেপ যা দক্ষিণ কোরিয়ার অস্থিতিশীলতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বিক্ষোভকে নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা।
এদিকে, সমালোচকরা যুক্তি দেখান, চলমান রাজনৈতিক বিরোধের মধ্যে ইউনের সামরিক আইন জারি একটি বাড়াবাড়ি ছিল, যা এশিয়ার অন্যতম শীর্ষস্থানীয় গণতন্ত্রের বিভক্তিকে আরও গভীর করেছিল।
১ সপ্তাহ আগে
আদালত ভবন থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা আসামির
সিলেটে আদালত পাড়ায় ১০ তলা ভবনের চারতলা থেকে শাকিল আহমদ নামে এক আসামি লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। এ ঘটনার পর আদালত পাড়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি শেষে পুলিশ পাহারায় বেরিয়ে আসার পথে চার তলা ভবনের বারান্দা থেকে লাফ দেন শাকিল।
আরও পড়ুন: নারীদের চেয়ে পুরুষদের আত্মহত্যার হার বেশি যে কারণে
পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শাকিল আহমদ সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার নোয়াগ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে। তিনি একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে ছিলেন।
আদালতের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম জানান, জকিগঞ্জ থানায় করা একটি হত্যা মামলায় কারাগারে ছিলেন শাকিল। সোমবার আদালতে হাজিরা দিয়ে বের হওয়ার পর হাতকড়া পরা অবস্থায় পুলিশের হাত ফসকে আদালত ভবনের চার তলা থেকে লাফ দিয়ে পড়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পিপি আরও জানান, শাকিল আহমদ অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন। আদালতে শুনানির সময় তার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তিনি নিজে নিজেই আদালতের কাছে জামিন চাচ্ছিলেন। আদালতের বিচারক ও তার পক্ষে আইনজীবী মনোনীত করার জন্য নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: অবন্তিকার আত্মহত্যা: বিচারের দাবিতে জবি আইন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
অবন্তিকার আত্মহত্যা: রিমান্ডে জবি’র সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠী
৯ মাস আগে
ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার চেষ্টা, ৯৯৯-এ কল পেয়ে উদ্ধার
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে এক ব্যক্তি আত্মহত্যার চেষ্টা করছিলেন।
এ সময় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে জানালার গ্রিল ভেঙে তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে চিলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুল রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রবিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী সেই ব্যবসায়ীর মৃত্যু
আত্মহত্যার চেষ্টা করা বাবুল সিদ্দিকী (৪২) চিলমারী উপজেলার সবুজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় মোবাইল মেকানিক।
পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে বাবুল সিদ্দিকী ফেসবুক লাইভে এসে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে কল পেয়ে চিলমারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং জানালার গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া বাবুল এর আগেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানান স্বজনরা।
তার পরিবারের লোকজন জানায়, রবিবার তিনি তার পরিবারের অজান্তে সাতটি ঘুমের ওষুধ সেবন করেন।
পরবর্তী ঘটনাস্থলে চিলমারী মডেল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মাহবুবুর রহমান উপস্থিত হয়ে বাবুলের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং আত্মহত্যা থেকে বিরত থাকার কাউন্সিলিং করান।
চিলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুল রহমান বলেন, বাবুল সিদ্দিকী নামের এক ব্যক্তি ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যা করবেন বলে বিভিন্ন কথা বলতে থাকেন।
৯৯৯ লাইনে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তার স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ইউএনএইচসিআর অফিসের সামনে রোহিঙ্গা যুবকের আত্মহত্যার চেষ্টা
ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা, মা ও শিশু গুরুতর আহত
২ বছর আগে
ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা, মা ও শিশু গুরুতর আহত
পারিবারিক কলহের জেরে শিশু সন্তানসহ ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী এক নারী ও তার শিশু গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার সকাল ৮টার দিকে কুষ্টিয়া পৌরসভার হরিশংকরপুর ধোপাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত সুমি খাতুন (৩০)কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এস্টেট এলাকার সি ব্লকের সাপ্পীরুল ইসলাম (সাপ্পী)র স্ত্রী। আহত শিশু সুরভী ওই দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান। এছাড়াও তাদের ৮ বছর বয়সী আরও একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
আহতের স্বজনরা জানায়, প্রায় এক যুগ আগে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার দহকুলা গ্রামের সুমির সঙ্গে সাপ্পীর বিয়ে হয়। স্বামীর সঙ্গে সুমির মাঝে মধ্যেই পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো। শনিবার সকালে পারিবারিক কলহের জেরে সুমি তার চার বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে বাড়ী থেকে বেরিয়ে যান। পরে শহরের ধোপাপাড়া বড়স্টেশন এলাকায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হরিশংকরপুর ধোপাপাড়া এলাকায় একটি মালবাহী ট্রেন ফরিদপুর থেকে দর্শনার উদ্দেশে যাচ্ছিল। এসময় হঠাৎ করে একটি শিশু সন্তানকে কোলে নিয়েই এক নারী ওই ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন। তবে ভাগ্যক্রমে ওই নারী ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে একপাশে পড়ে যান। এতে শিশুটির এক হাত ট্রেনের চাকার নিচে পড়ে দেহ থেকে বিছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়াও মা ও মেয়ের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে দ্রুত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শিশুটির বিচ্ছিন্ন হওয়া বাম হাতের ক্ষত স্থানে ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। শিশুটি ও তার মায়ের হাত, পা ও মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যান্ডেজ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:ডুমুরিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূর বিষপানে আত্মহত্যার অভিযোগ
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশরাফুল আলম জানান, আশঙ্কাজনক অবস্থায় শনিবার সকাল ৯ টার দিকে মা ও মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত শিশুর বাম হাত কনুইয়ের নিচের অংশ শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মা ও মেয়ে দুজনকেই প্রয়োজনীয় সকল চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পোড়াদহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
মো. মনজের আলী বলেন, সকাল ৮টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের হরিশংকরপুর এলাকায় ফরিদপুর থেকে ছেড়ে আসা দর্শনাগামী মালবাহী ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন:বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় বাবা গ্রেপ্তার
সিলেট এমসি কলেজের শিক্ষার্থী আত্মহত্যার নেপথ্যে ‘ব্ল্যাকমেইল’
২ বছর আগে
প্রেসক্লাবের সামনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা!
পাওনা টাকা না পেয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন এক ঠিকাদার ব্যবসায়ী।
দগ্ধ ব্যবসায়ী কাজী আনিস (৪৫) কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ঠিকাদারি ব্যবসা করেন।
উদ্ধারকারী স্বদেশ বিচিত্রা'র রিপোর্টার জানান, বিকাল আনুমানিক ৫ টার সময়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে পুলিশের সহযোগিতায় দ্রুত তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়।
তিনি বলেন, নিয়ে আসার সময় কিছুক্ষণ তার সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানিয়েছেন, তিনি হেনোলাক্স কোম্পানি কাছে এক কোটি ২৬ লাখ টাকা পাবেন। ওই কোম্পানি পাওনা টাকা দিচ্ছেন না। এ নিয়ে এর আগে মানববন্ধন করেছেন তিনি, কিন্তু কোন লাভ হয়নি। সোমবার গায়ে আগুন দিয়েছেন।
হাসপাতালে ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।
চিকিৎসকের বরাদ দিয়ে তিনি জানান, তার শরীরের মুখ মন্ডলসহ শরীরের বেশির ভাগ অংশ অর্থাৎ ৮৫% দগ্ধ হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে গায়ে আগুন দেয়া চিকিৎসকের মৃত্যু
রান্নার চুলা থেকে গায়ে আগুন, দগ্ধ নারীর মৃত্যু
২ বছর আগে
প্রেমিকার আত্মহত্যার খবরে ভবন থেকে লাফ দিলেন প্রেমিক
বগুড়ায় প্রেমিকের সাথে ঝগড়া করে প্রেমিকা আত্মহত্যা পর হাসপাতালে চতুর্থতলা থেকে লাফিয়ে প্রেমিকও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে জানা গেছে।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত প্রেমিকা নাহিদা খাতুন (১৮) জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানার রায়কালী গ্রামের আক্তার হোসেন বাবুর মেয়ে ও বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তিনি বগুড়া শহরের বৃন্দাবন পাড়ায় সানজিদা ছাত্রী নিবাসে থেকে লেখাপড়া করতেন।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: আত্মহত্যা চেষ্টাকারী তরুণী উদ্ধার
আহত প্রেমিক জাকারিয়া হাসান (২০) কুষ্টিয়া জেলা সদরের দহকুলা গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ, বেশ কিছুদিন আগে ফেসবুকে তাদের দু’জনের পরিচয় হয়। একপর্যায় তা প্রেমের সস্পর্কে রুপ নেয়। প্রেমিক জাকারিয়া হাসান রবিবার কুষ্টিয়া থেকে বগুড়ায় এসে প্রেমিকা নাহিদার সাথে দেখা করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে নাহিদা ছাত্রী নিবাসে ফিরে গিয়ে মনের ক্ষোভে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে এবং অসুস্থ হয়ে পড়লে বান্ধবীরা তাকে শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে যান। এই খবরে প্রেমিক জাকারিয়া হাসপাতালে ছুটে যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নাহিদা মারা যান। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালের চতুর্থতলা থেকে জাকারিয়া লাফ দেন। খবর পেয়ে মেডিকেল ফাঁড়ি পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ বন্ধুর ফোন: আত্মহত্যা চেষ্টাকারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি
তিনি জানান, জাকারিয়া দুই পায়ের হাঁটু ভেঙে যাওয়া ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে।
৩ বছর আগে
শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা, আটক মা
পারিবারিক কলহের জের ধরে লক্ষ্মীপুর সদরের লাহারকান্দি গ্রামে রবিবার চার বছরের শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টার খবর পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতে রাত ১২টার দিকে অভিযুক্ত মা সাবিনা ইয়াসমিনকে আটক করে থানা হেফাজতে ও শিশুটির লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ।
নিহত আয়ান রহমান স্থানীয় তেওয়ারীগঞ্জ এলাকার সৌদি প্রবাসী আজিমুর রহমান আজীমের ছেলে।
আরও পড়ুন: তিস্তা ব্যারাজ দোয়ানীতে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা
স্থানীয় ইউপি সদস্য মহব্বতের বরাতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দিন জানান, সৌদি প্রবাসী আজগর রহমানের স্ত্রী সাবিনা ও তার ৪ বছরের শিশু আয়ানসহ যৌথ পরিবার সদর উপজেলার লাহারকান্দি এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের সংসারে আর্থিক সঙ্কট দেখা দেয়। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কেও বিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরে রবিবার সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে শিশু আয়ানকে গলা কেটে হত্যার পর নিজে সিলিং ফ্যানের সাথে উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাবিনাকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে। শিশুটির লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় শিশু সন্তানকে হত্যার পর মায়ের ‘আত্মহত্যা’
৩ বছর আগে
খুলনায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ধর্ষণের শিকার সেই নারীর আত্মহত্যার চেষ্টা
খুলনা পিটিআই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ধর্ষণের শিকার সেই নারী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
৩ বছর আগে
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে বাধ্য করায় কাউন্সিলর প্রার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা
ফেনীতে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে বাধ্য করায় ফেসবুকে লাইভে এসে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়ে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন সোনাগাজী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. শাহজাহান। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক।
সোনাগাজী পৌরসভার তুলাতলী এলাকায় নিজ বাড়িতে বুধবার সন্ধ্যায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
আত্মহত্যা চেষ্টার আগে শাহজাহান salman sayed নামে ফেসবুক আইডিতে লাইভে এসে জানান, তার মাকে জিম্মি করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়েছে। নিজেকে রক্ষা করার জন্য কারো সহযোগিতা না পেয়ে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। তার মৃত্যুর জন্য আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, চরচান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিলন, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আজিজুল হক হিরন, মেয়র খোকনের ভাই মিজান দায়ী থাকবে। ফেসবুক লাইভ শেষে শাহজাহান ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান।
আরও পড়ুন: চসিক নির্বাচন: আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত ১
প্রার্থী শাহ জাহানের অভিযোগ, নিজ দলের আরও কয়েকজন নেতা জোর করে তাকে কাউন্সিলর পদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছেন।
ফেসবুক লাইভে এসে শাহ জাহান প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আপনি বলেছেন, পৌরসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে গুরুত্ব দিতে। আপনার কথায় আশ্বস্ত হয়ে আমি সোনাগাজী পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করি। আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতা আমাকে সকাল থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে চাপ দিতে থাকেন। আমি তাদের চাপে পড়ে আত্মগোপনে চলে যাই। বিকালে তারা আমার বাড়ি গিয়ে আমার বৃদ্ধ মাকে চাপ প্রয়োগ শুরু করেন। খবর পেয়ে বাড়িতে গেলে তারা আমাকে জোর করে ধরে নির্বাচন কার্যালয়ে নিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বাধ্য করে। আর যারা জোর করে আমাকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছেন, আমার মৃত্যুর জন্য তারাই দায়ী থাকবেন।’
শাহ জাহানের স্বজনেরা জানান, পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন বুধবার শাহ জাহানসহ সোনাগাজীতে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে ১২ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এর মধ্যে মেয়র পদে দুজন, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৯ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে একজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।
তারা জানান, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে বাধ্য করায় সন্ধ্যায় তিনি ঘরের ভেতরে দরজা বন্ধ করে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে দরজা খুলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন মানেই আওয়ামী লীগ: নানক
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. সাদেকুল করিম বলেন, ঘুমের ওষুধ জাতীয় বিষপানে অসুস্থ অবস্থায় শাহ জাহান নামে একজনকে হাসপাতালে আনা হয়। দ্রুত তার পাকস্থলী পরিষ্কার করা হয়। বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, একাধিক প্রার্থীর অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার আগ পর্যন্ত স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা নানাভাবে হুমকি-ধমকি ও চাপ প্রয়োগ করেন।
৩ বছর আগে
গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা: ৯৯৯ এ ফোন কলে উদ্ধার
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে এক কলারের ফোন কলে আত্মহত্যার প্রচেষ্টায় গায়ে আগুন লাগিয়ে রাস্তায় পড়ে থাকা এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে ঢাকার পল্লবী থানার পুলিশ।
৩ বছর আগে