হোটেল
চট্টগ্রামে হোটেল থেকে পোল্যান্ডের নাগরিকের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের হোটেল ‘পেনিনসুলা’ থেকে জজলো মাইকেল সিজারবেয়া নামে এক বিদেশি নাগরিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (৪ মার্চ) সকালে নগরীর জিইসি মোড়ের পেনিনসুলা হোটেলের ৯১৫ নম্বর কক্ষের বিছানা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি পোল্যান্ডের নাগরিক। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে খাল থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার
পুলিশ জানায়, মৃত জজলো মাইকেল সিজারবেয়া ঢাকার বিগস্টার বায়িং হাউজের কোয়ালিটি কন্ট্রোলারের দায়িত্ব পালন করতেন। তবে তিনি চট্টগ্রামের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) ক্যানপার্কের কোয়ালিটি চেক করতে এসেছিলেন। কীভাবে তার মৃত্যু হলো তা তদন্ত করছে পুলিশ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) নোবেল চাকমা বলেন, নিহত বিদেশি নাগরিক জজলো মাইকেল গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পেনিংসুলা হোটেলের ৯১৫ নম্বর কক্ষে উঠেন। তবে রবিবার (৩ মার্চ) থেকে তার কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে বিষয়টি হোটেল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়। পরে পোলিশ নাগরিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা জানা যায়নি। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে পুলিশ।
সিএমপির উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান (পিপিএম) জানান, নিহত ওই পোলিশ নাগরিকের মাথার পেছনে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। খাটে ও ফ্লোরে রক্তের দাগও পাওয়া গেছে। এ ছাড়া রুম ছিল এলোমেলো। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যাকাণ্ড। আমরা তদন্ত করছি।
আরও পড়ুন: ফুলবাড়ীতে দুবাই প্রবাসীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পল্লবীতে নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামী গ্রেপ্তার
৮ মাস আগে
কক্সবাজারের হোটেল থেকে পর্যটকের লাশ উদ্ধার
কক্সবাজার শহরের আবাসিক হোটেল সিগালের তৃতীয় তলায় থেকে পুলিশ এক পর্যটকের লাশ উদ্ধার করেছে।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ৮টার দিকে কক্সবাজার কলাতলী সুগন্ধা হোটেল সিগালের ৩০৮ নম্বর রুম থেকে লাশটি উদ্ধার করে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
তার নাম মো. গাজী এম শওকত হাসান (৫০)। তিনি কুমিল্লা দুর্গাপুর অশোক তলার মৃত গাজী মোস্তফার ছেলে। এছাড়া তিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সিটি ব্যাংকের কর্মচারী বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বন্ধ ঘর থেকে মা-বাবা-মেয়ের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ জানান, হোটেল সিগালের তৃতীয় তলায় তার রুমে গাজী এম শওকত হাসান অসুস্থ অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে ছিলেন।
এ সময় তার সহকর্মী ও হোটেল স্টাফদের সহায়তায় চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি গত ৩০ জানুয়ারি গ্রুপ ট্যুরে কক্সবাজার আসেন।
প্রথামিকভেবে জানা গেছে হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুজ্জামান, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আবুধাবিতে প্রবাসী বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার
হবিগঞ্জে একদিনে শিশুসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
৯ মাস আগে
সিলেটে হোটেলের বাথরুম থেকে লাশ উদ্ধার
সিলেট নগরীর বন্দরবাজারের একটি হোটেলের বাথরুম থেকে মো. জইন উদ্দিন খান (৩৯) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বন্দরবাজারের লালবাজার এলাকার বনগাও হোটেল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিলেটে ভাড়া বাসা থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
মারা যাওয়া জইন উদ্দিন খান হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থানার নাদামপুর গ্রামের মো. মইজ উদ্দিন খানের ছেলে।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ জানান, শনিবার (১১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রুমের ভেতর কোনো সাড়াশব্দ না শুনে হোটেলের কর্মচারীরা পুলিশকে জানায়।
পরে পুলিশ এসে হোটেলের চতুর্থ তলার ৪০১ নম্বর রুমের দরজা ভেঙে বাথরুমের ফ্লোরে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এরপর তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন তিনি। এছাড়া মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে এবং এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ড্রেন থেকে বিকাশ এজেন্টের লাশ উদ্ধার
বিশ্বনাথে খাল থেকে লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
সিঙ্গাপুরে হোটেল থেকে দাপ্তরিক কাজ করছেন রাষ্ট্রপতি: প্রেস সচিব
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন হোটেল থেকে এখন দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পন্ন করছেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেছেন, সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে বাইপাস সার্জারির পর রাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে আরও উন্নতি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি এখন হাঁটাচলা ও স্বাভাবিক কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে হোটেলে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি
এদিকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট থারমান শানমুগারাতনাম।
রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো এক চিঠিতে সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট তার সুস্থতা ও আশু আরোগ্য কামনা করেন।
শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে রাষ্ট্রপতিকে ফুল ও ফলের ঝুড়ি পাঠান সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি বুধবার হাসপাতাল থেকে হোটেলে ফিরবেন
রাষ্ট্রপতি এখন কেবিনে সীমিত আকারে চলাফেরা করতে পারছেন: প্রেস সচিব
১ বছর আগে
সেন্টমার্টিনের সব হোটেল-মোটেল-রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মোখা অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত মোখা শক্তিশালী হয়ে কক্সবাজারের দিকে এগিয়ে আসছে।
এ অবস্থায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের সব হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এরমধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য টেকনাফে এসেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ মিয়ানমারের উপকূল এবং এর আশেপাশের ওপর দিয়ে বয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: বৈরী আবহাওয়ায় সেন্টমার্টিনে আটকা তিন শতাধিক পর্যটক
সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে ট্রলারযোগে দ্বীপ ছেড়ে টেকনাফ আসতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত অনন্ত ২০০ পরিবারের দেড় হাজারের কাছাকাছি মানুষ দ্বীপ ছেড়েছেন বলে জানা গেছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের সব হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে এর মধ্যে কত সংখ্যক মানুষ দ্বীপ ছেড়ে টেকনাফ চলে এসেছেন তার সঠিক পরিসংখ্যান বলা যাচ্ছে না। তবে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। দ্বীপে ১৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্র নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবকরা একযোগে কাজ করছেন।
সেন্টমার্টিনের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, মোখা আসছে, সেন্টমার্টিন দ্বীপের মানুষ সবচেয়ে বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। কারণ, সেন্টমার্টিনে নেই পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র। দ্বীপের চারপাশে টেকসই বেড়িবাঁধ নেই। খাদ্য গুদাম নেই। চিকিৎসাসেবা নেই। সি অ্যাম্বুলেন্স নেই। আবহাওয়া অফিসের কার্যক্রম নেই।
তাই সেন্টমার্টিন দ্বীপের মানুষ নিজে ও নিজের পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্বীপ ছেড়ে নিরাপদ স্থলে ছুটে যাচ্ছে।
এদিকে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করছে। শুক্রবার (১২ মে) সকাল থেকেই কক্সবাজারের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। এছাড়া দুপুর ২ টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন থেকে ৭ লাখ ইয়াবা উদ্ধার: কোস্টগার্ড
স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, মোখা কক্সবাজার উপকূলের কাছাকাছি। সাগর কিছুটা উত্তাল হয়েছে। মোখার প্রভাবে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। বাতাসের তীব্রতা বাড়বে। ফলে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং পাহাড়ে বসতিগুলো ঝুঁকিতে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, সিডর ছাড়া গেল ১৫ বছরে বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়নি কক্সবাজারে। এবার মোখা কক্সবাজার অভিমুখী হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
মোখার প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে আগে থেকেই পাহাড় ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা জরুরি বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, মোখার কারণে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সব উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
জেলার উপকূলীয় এলাকার সাইক্লোন শেল্টার ও বিদ্যালয়সহ ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
১০ লাখ ৩০ হাজার নগদ টাকা, ৪৯০ মেট্টিক টন চাল, সাত মেট্টিক টন শুকনো খাবার ও ১৯৪ বান্ডিল ঢেউটিন মজুদ রাখা হয়েছে। দ্বীপ অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তায় আমরা সব সময় সজাগ আছি। আতঙ্কের কোন কারণ নেই ।
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মোখা আরও উত্তর দিকে অগ্রসর এবং ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
১ বছর আগে
ময়মনসিংহে হোটেল থেকে তরুণীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
ময়মনসিংহ নগরীর বড় বাজার এলাকার ‘নিরালা রেস্ট হাউজ’ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় বিশ বছরের এক তরুণীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
শনিবার (১৮ মার্চ) বিকালে নগরীর বড় বাজার এলাকার নিরালা রেস্ট হাউজ থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রেস্ট হাউজ মালিক মো. মূসাকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রাক্ষাকারী বাহিনীটি।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বাড়ির উঠান থেকে যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. কামাল আকন্দ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত ১৪ মার্চ অজ্ঞাত এক তরুণ-তরুণী ভুয়া নাম ঠিকানা ও পরিচয় দিয়ে নিরালা রেষ্ট হাউজে উঠে। এরপর ওই তরুণীটিকে গলাকেটে হত্যা করে লাশ বাথরুমে রেখে পালিয়ে যায় তরুণ।
তিনি জানান, শনিবার গেস্ট হাউজের এক কর্মী ওই কক্ষটি পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখে বাথরুমে গলাকাটা অবস্থায় ওই তরুণীর লাশ পড়ে রয়েছে। এমন ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও জানান, ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে। তবে যে নাম-পরিচয় ও ঠিকানা ব্যবহার করে তারা রেস্ট হাউজে উঠেছিল, তা যাচাই-বাছাঁই করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চিরিরবন্দরে স্কুলছাত্রের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামে গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
১ বছর আগে
ভোলায় হোটেল থেকে ভারতীয় নাগরিকের লাশ উদ্ধার, ৫ সঙ্গীকে জিজ্ঞাসাবাদ
ভোলাভোলা শহরের জাহান আবাসিক হোটেল থেকে মনোজ ভাট (৩৫) নামে ভারতীয় এক নাগরিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এঘটনায় তার সঙ্গী অপর পাঁচ ভারতীয় নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে ৬২ জনের একটি টিম ভারত থেকে এসেছে। তাদের মধ্যে ৬ জন ভোলায় আসেন।
পুলিশ ও হোটেল কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, গত ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের রাজস্থানের পলি জেলার মোজত রোডের বাসিন্দা মনোজ ভাট, রায় কিশান, ভুশন রাম,জয়পাল, নরেশ কুমার ও বাথ রাডি কুমারসহ ৬ জন ভোলা সদর উপজেলার জাহান হোটেলের ২টি ঘর ভাড়া নেন। হোটেলের ২০৬ নং ঘরে সোমবার রাতে মনোজ ভাট, জয় ও ভুশন ঘুমিয়েছিলেন। সকালে ওই ঘরে মনোজ ভাটের লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল তার লাশ উদ্ধার করে।
জানা যায়, গত রাতে ঘুমানোর আগে মনোজ ভাট তার সঙ্গীদের তার বুকে ব্যাথার কথা বলেছিলেন, পরে ঘুমিয়ে যান। সকালে জয় ও ভুশন মনোজকে ডাকাডাকি করলে তারা তাকে মৃত দেখতে পায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে তালাবদ্ধ ঘর থেকে লাশ উদ্ধার
জাহান হোটেলে ব্যবস্থাপক মো. ইকবাল জানান, গত ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় ৬ জন তাদের হোটেলে আসেন। মঙ্গলবার সকালে তাদের একজন মারা গেছে বলে জানান। তারা বাংলা ভাষা বুঝে না। গত রাতে মৃত ব্যক্তির পেটে ব্যাথা হয়। সঙ্গে তার এক ভাই রয়েছেন। তারা বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে বাচ্চাদের ছবি আকাঁ শেখাতেন বলে তিনি জানান।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, তারা ভোলার বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে বাচ্চাদের ফেনসি আর্ট শিখাতেন এবং ৩০ টাকা করে বই বিক্রি করতেন।
ভোলা আবদুল মান্নান মিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এম ছিদ্দিকুল্লাহ জানান, সোমবার ভারতীয় কিসান নামে এক ব্যক্তি ওই স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাগজ দিয়ে কিভাবে ফুল বানানো হয় তা দেখান। তিনি নিজেকে ভারতের গুজরাট কলেজের আর্ট এবং সংস্কৃতির শিক্ষক পরিচয় দেন।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন ফকির জানান, তারা ভারতীয় নাগরিকের লাশ উদ্ধার করেছে। লাশের সুরতহাল করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এছাড়াও ভারতীয় ৫ নাগরিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। তারা এজেন্সি বা কোন প্রক্রিয়ায় এখানে কাজ করেছে তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে ভারতীয় দূতাবাসের কথা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত হলে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
সিলেটে ৫ দিনে হোটেল থেকে এক নারীসহ ৩ লাশ উদ্ধার
সিলেটে পৃথক তিনটি আবাসিক হোটেল থেকে পাঁচ দিনে দুই ভিক্ষুক ও এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সিলেট নগরীর বন্দরবাজারের হোটেল আল ফয়েজের একটি রুম থেকে রবিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে নাজিম নামে এক ভিক্ষুকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ধারণা করছে, স্বাভাবিকভাবেই তার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ভিক্ষাবৃত্তিই ছিল যার পেশা।
প্রতিদিন সিলেট নগরীর আনাচে-কানাচে ভিক্ষা করেই চালাতেন জীবন সংসার।
তার পুরো নাম নাজিম উদ্দিন নাজির (৬০)। তিনি সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজলার হরিনগর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় তিনি ভিক্ষা শেষ করে শনিবার রাতে হোটেলে ঘুমিয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: নাটোরে নিজ ঘর থেকে আরেক বৃদ্ধের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার
রবিবার সকালে ডাকাডাকি করে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। পরে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
এর দুইদিন আগে গত শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) অপর একটি আবাসিক হোটেল থেকে শাহেদ মোশারফ (৩৫) নামে আরও একজন ভিক্ষুকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এছাড়াও তারও দু’দিন পূর্বে গত বুধবার (১৮ জানুয়ারি) নগরীর শাপলা আবাসিক হোটেল থেকে হোটেলের পরিচালক জহির মিয়ার সাবেক স্ত্রী নিলীমা বেগম লিলি (১৯) এর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে সিলেট নগরী থেকে তিনটি লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নগরজুড়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। আর তিনটি লাশই আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার করায় আলোচনার সুর আরও ঘনিভূত হচ্ছে। এ সুর এখন নগর পেরিয়ে পুরো জেলায়।
তবে তিনটি ঘটনার মধ্যে দুটি মৃত্যুই স্বাভাবিক বলে ধরে নিচ্ছে পুলিশ।
তবে সাবেক স্বামীর হোটেল থেকে নিলীমা বেগম লিলি (১৯) এর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য রয়েই গেছে।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তার সাবেক স্বামীকে খুঁজছে।
জানা যায়, গত বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ১১টার দিকে দক্ষিণ সুরমার বাইপাস রোডের মোমিনখলা এলাকায় শাপলা আবাসিক হোটেল থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়।
হোটেল কর্মচারীদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হোটেলের দ্বিতীয় তলার ১০৫ নং কক্ষের দরজা ভেঙে লিলি নামের ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত নিলীমা বেগম লিলি সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার দুলিয়ারবন্দ গ্রামের নুরুল হকের মেয়ে এবং ওই আবাসিক হোটেলের পরিচালক জহির মিয়ার সাবেক স্ত্রী।
লিলি অনেকদিন আগে ছাড়াছাড়ি হলেও জহিরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বা মেলামেশা ছিল।
এছাড়া লাশ উদ্ধারের সময় তার শরীরে কোনা আঘাতের চিহ্ন পায়নি পুলিশ।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল হাসান তালুকদার বলেন, এঘটনার পর থেকে হোটেল পরিচালক জহির পলাতক রয়েছে। তিনি সিলেটের বাইরে অবস্থান করছে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
এদিকে এ ঘটনায় নিলীমা বেগম লিলির বাবা বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান তিনি।
অপরদিকে গত শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে বন্দরবাজারের লালবাজারে অবস্থিত লাভলী হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট থেকে অপর ভিক্ষুক শাহেদ মোশারফ (৩৫) এর লাশ উদ্ধার করা হয়।
মোশারফ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও মিয়াপাড়া এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে।
সে লালবাজারে অবস্থিত লাভলী হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিল। শুক্রবার সকাল থেকে তিনি শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করেন। রুমের মধ্যেই বিশ্রামে ছিলেন। কিন্তু এইদিন দুপুরের দিকে খবর পেয়ে পুলিশ হোটেলের ২৫ নম্বর কক্ষ থেকে লাশ উদ্ধার করে।
লাশ উদ্ধারের সময় তার কাছ থেকে যক্ষা রোগের চিকিৎসার বিভিন্ন কাগজ পাওয়া যায়।
পুলিশ ধারণা করছে তিনি যক্ষা রোগী ছিলেন ও শারীরিক অসুস্থতার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্কুল শিক্ষিকা, গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার নিয়ে রহস্য!
লক্ষ্মীপুরে অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
আবাসিক হোটেল থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরে শহরের একটি আবাসিক হোটেলের তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাত ৮টার দিকে শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত পথিক নামের একটি আবাসিক হোটেলের তৃতীয় তলার ৩১৭ নম্বর কক্ষে লাশটি পাওয়া যায়।
মারা যাওয়া বৃদ্ধের নাম সালাম খাঁন (৬০)।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ২ দিন পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
তিনি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার কুরসী কদমদী গ্রামের বাসিন্দা এবং আ. রহমান খানের ছেলে।
তবে, তার মৃত্যুর সঠিক কারণ কেউ জানাতে পারেনি।
জানা যায়, রবিবার সন্ধ্যায় সালাম খান ও মো. আনিচ (৪০) নামের দুই ব্যক্তি হোটেলটির তৃতীয় তলার ৩১৭ নম্বর কক্ষ ভাড়া নেন।
সেখানে তাঁরা রাতযাপন করেন।
সোমবার সারাদিন ওই কক্ষটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ দেখে হোটেলের কর্মচারীদের সন্দেহ হয়।
রাত আটটার দিকে এক কর্মচারী তালা খুলে ওই বৃদ্ধকে পড়ে থাকতে দেখেন। কক্ষে আর কেউ ছিলেন না। পরে হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে হোটেলের কক্ষ থেকে ওই বৃদ্ধের বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে।
কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সনাতন কুমার মন্ডল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মঙ্গলবার সকালে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলের নবগঙ্গায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ আরও ১ জনের লাশ উদ্ধার
খুলনায় ড্রেন থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
টানা তিনদিনের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল
সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবার সঙ্গে যোগ হয়েছে খ্রিষ্টানদের বড়দিনের ছুটি। সব মিলিয়ে তিনদিনের টানা ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে কক্সবাজারে।
আর তাদের নিরাপত্তায় কাজ করছে টুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসকের বিচ কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশ্বের দীর্ঘতম এই সমুদ্র সৈকতসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে চলে এসেছেন হাজার হাজার মানুষ। টানা ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুদের ভালো সাড়া পেয়েছেন কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা। ইতোপূর্বেই শতকরা ৯০ ভাগ হোটেল কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর সাপ্তাহিক ছুটি এবং ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনের ছুটিতে অগ্রিম হোটেলের কক্ষ বুকিং দিয়েছেন পর্যটকরা।
হোটেল মালিকরা জানান, বৃহস্পতিবার থেকে সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা তিন দিন সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে। তাই বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই পর্যটকরা কক্সবাজার পৌঁছেছেন।
কয়েকটি হোটেল ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ হোটেল পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। কক্ষ পেতে ব্যাগপত্র নিয়ে এক হোটেল থেকে অন্য হোটেলে ছোটাছুটি করতেও দেখা যায় বেশকিছু পর্যটককে।
অন্যদিকে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে হাজারো পর্যটককে ভীর করতে দেখা গেছে। কেউ বালিয়াড়িতে দৌঁড়ঝাপ, কেউ সমুদ্রস্নানে ব্যস্ত। পর্যটকরা যে যার মতো করে আনন্দে মেতেছেন।
আরও পড়ুন:কক্সবাজার সৈকতে মাছ কুড়ানোর উৎসব!
১ বছর আগে