প্রত্যাবাসন
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বেইজিংয়ের আরও সক্রিয় ভূমিকা চায় ঢাকা
বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীনের আরও সক্রিয় ভূমিকা চেয়েছে কারণ ঢাকা মনে করে মিয়ানমারের ওপর চীনের অনেক প্রভাব রয়েছে।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘মিয়ানমারের ওপর চীনের অনেক প্রভাব রয়েছে। এই বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমরা চীনের আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করছি।’
রোহিঙ্গা সংকটকে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকায় এক সেমিনারে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা জানি একটিই সমাধান আছে- আর তা হলো তাদের (রোহিঙ্গাদের) নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে- মিয়ানমার।’আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোই একমাত্র সমাধান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন কামনা করে হোসেন বলেন, অনেক সময় অন্য সমাধানের পরামর্শ দেওয়া হয়, কিন্তু সেসব সমাধানের কোনোটিই কার্যকর নয়।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের পুনরাবৃত্তি যেন না হয় এবং তাদের অধিকার ও নিরাপত্তা দিয়ে তাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হবে।
হোসেন জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও চীন সবসময় একে অপরের সঙ্গে সমতার সঙ্গে আচরণ করে এবং একে অপরকে সমর্থন দিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান ও লাভজনক সহযোগিতার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ সৃষ্টি করে।
চীনা দূতাবাস সেন্টার ফর চাইনিজ স্টাডিজ (এসআইআইএস-ডিইউ) এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) -এর সহযোগিতায় 'বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক: একটি ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গি' শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: জরুরি সংস্কারের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির পথে ফিরতে পারে বাংলাদেশ: বিশ্ব ব্যাংক
এসআইআইএসের একাডেমিক অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইয়াং জিমিয়ান, বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা সম্পর্কিত শ্বেতপত্র কমিটির সভাপতি ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, বিআইআইএসএস’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত ও আন্তর্জাতিক সমাধানের গুরুত্ব তুলে ধরে সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ সমস্যার সমাধান বাংলাদেশের একার পক্ষে সম্ভব নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হাতেও রয়েছে।
ঢাকার একটি হোটেলে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইউএনবির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা বিষয়টি উত্থাপন অব্যাহত রাখব। মালয়েশিয়া আমাদের এ কাজে সহযোগিতা করবে। আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য অপেক্ষা করতে পারি না। এটি এমন একটি বিষয় যযা আমাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমাধান করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। এবং আমরা আসিয়ানের মাধ্যমে, মালয়েশিয়ার সরকারের মাধ্যমে এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করি।’
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে আসিয়ানের পরবর্তী সভাপতি হতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া।
সাত বছর আগে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
বাংলাদেশ এখন কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে।
২০২৪ সালে মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলো রোহিঙ্গা শরণার্থী ও আশপাশের সম্প্রদায়ের বাংলাদেশিসহ ১৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে সহায়তার জন্য ৮৫ কোটি ২০ লাখ ডলারের আবেদন করে।
ইউএনএইচসিআর’র মতে, এই আবেদনটির পরিপ্রেক্ষিতে এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত অর্থায়ন করা হয়নি।
আরও পড়ুন: সহযোগিতার গভীর সম্পর্কের 'ঐতিহাসিক সুযোগের' সম্মুখে ঢাকা-বেইজিং: রাষ্ট্রদূত
১ মাস আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে ইতিবাচক মিয়ানমার
মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে বিমসটেক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বিতীয় রিট্রিটে যোগদানের পাশাপাশি ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার এ মনোভাব ব্যক্ত করেন।
রিট্রিটের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ড. হাছান মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাদের পূর্বের আলোচনাগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, মিয়ানমার দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে, তারা তাদের দেশ থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা নাগরিকদের ফেরত নিতে সম্মত আছে। কিন্তু এটি কার্যকরের কোনো চিহ্ন এখনো দেখা যাচ্ছে না।
'প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হলেই কেবল মিয়ানমার তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষার নজির রাখতে পারে' উল্লেখ করে বিষয়টির ওপর গভীর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুই এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দেন এবং তার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরুর অভিপ্রায় পুণর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: সবার সঙ্গে দেশের সুসম্পর্ক দেখে গাত্রদাহ হচ্ছে বিএনপির : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এদিকে রিট্রিটের শেষ দিন শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বিমসটেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
এ দিন সকালে নয়া দিল্লির কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন পঞ্চবটিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ রিট্রিটে যোগদানকারী ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ও নেপালের পররাষ্ট্র সচিব ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ৭টি দেশের আঞ্চলিক জোট 'বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক)' সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এই রিট্রিটে বিমসটেক প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কার্যকর অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও সংক্ষিপ্ত পার্শ্ববৈঠকে নিত্যপণ্য আমদানি সুবিধা অব্যাহত রাখা ও তিস্তা প্রকল্পের জন্য কারিগরি দল পাঠানোর বিষয়সহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: নয়াদিল্লিতে বিমসটেক রিট্রিটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান
৪ মাস আগে
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে চীনকে সহায়তা করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে চীনের সহায়তা কামনা করেছেন।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) চীনে সফরকালে দেশটির নেতার সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান ওয়াং হানিংয়ের নেতৃত্বাধীন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শাখা ন্যাশনাল কমিটি অব দ্য পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্বৃত করে বলেন 'রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে আমাদের সহায়তা করুন।’
গত জানুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের পর চীনে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি সফরের দ্বিতীয় দিনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয়, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য ব্যবধান কমানো, আগামী বছর দু'দেশের মধ্যে অর্থবহ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের পদক্ষেপ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে যোগাযোগের বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনা প্রতিনিধিদলকে বলেছেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গারা সাড়ে ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাস করছে এবং তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য এখনও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: বুধবার রাতে ঢাকার উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, 'এই বিষয়টি বৈঠকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
সিপিপিসিসি চেয়ারম্যান বলেন, তারা বিষয়টি নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করবেন এবং এ বিষয়ে সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করবেন।
তিনি বলেন, 'আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাব।’
মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা চীন রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান এবং বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঋণের সুদের হার কমাতে এআইআইবির প্রতি শেখ হাসিনার আহ্বান
৪ মাস আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের সহযোগিতা চাইলেন ওবায়দুল কাদের
মানবিক কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে চীনের সহযোগিতা চেয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই সহযোগিতার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল টঙ্গী পর্যন্ত সম্প্রসারণে জরিপ চলছে: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি একটি অতিরিক্ত বোঝা এবং তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে চীন ভূমিকা রাখতে পারে।
বৈঠকে উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা বিশেষ করে সড়ক, পরিবহন ও সেতু এলাকা এবং মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এছাড়া বাংলাদেশের নতুন সরকারকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা একটি চ্যালেঞ্জ: ওবায়দুল কাদের
সরকার কারো স্বীকৃতির অপেক্ষায় নেই: ওবায়দুল কাদের
৯ মাস আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সরকার জোড়ালোভাবে কাজ করছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকার মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়টি নিয়ে জোড়ালোভাবে কাজ করছে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইমার্জেন্সি মাল্টিসেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স (ইএমআসিআর) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির বাস্তবায়িত কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে অভিজ্ঞতা শিখন শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গৃহহীনদের ঘর নির্মাণে কাজ করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, রোহিঙ্গা যুবক যুবতীদের প্রশিক্ষিত করা, হোম গার্ডেনিং প্রভৃতি বিষয় নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, জোড়পূর্বক বাস্তচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদেরকে তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের বিষয়টি নিয়ে সরকার জোড়ালোভাবে কাজ করছে।
প্রতিমন্ত্রী এ প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক অনুদানের জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানান। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির পক্ষে নামিকো মোতোকাওয়া এ প্রকল্পের সার্বিক বিষয় নিয়ে একটি উপস্থাপনা দেন।
আরও পড়ুন: সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এবাদুর মারা গেছেন
ডব্লিউএফপির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর শিমন প্যারেজ বলেন, তারা প্রকল্পের সহযোগী হিসেবে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ৫ টি কম্পোনেন্ট নিয়ে কাজ করছে। ভবিষ্যতেও কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, শরণার্থী সেলের প্রধান ও অতিরিক্ত সচিব মো. হাসান সারওয়ার উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত
৯ মাস আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আশাবাদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি একই রকম নাও থাকতে পারে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানান, শিগগিরই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৃথকভাবে তিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের পরিস্থিতি কখনোই ভালো ছিল না। সেখানে সবসময় অস্থিরতা বিরাজ করে- কখনো ভালো, কখনো খারাপ। মিয়ানমার এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, বর্তমানে রোহিঙ্গাদের তাদের জন্মস্থান রাখাইনে প্রত্যাবাসনের জন্য প্রতিকূল পরিবেশ।
আরও পড়ুন: গণহত্যার নায়ককে পুরস্কৃত করেছিল এরশাদ-খালেদা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, এই মুহূর্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা পরিস্থিতি খুবই কঠিন এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য এটি ভালো সময় নয়।
ইউএনআরসি বলেছে, প্রত্যাবাসন বাংলাদেশের জন্য অগ্রাধিকার এবং রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি বাংলাদেশ তাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের প্রয়োজনীয় মৌলিক সেবাগুলোর জন্য অর্থায়নের ঘাটতি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা সেই অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যাব।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছানের সঙ্গে বৈঠকে তারা রোহিঙ্গাদের অর্থায়ন এবং মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে সতর্ক রয়েছে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউএনআরসি মন্ত্রীকে জানান, মিয়ানমারে মানবিক সহায়তা দিতে তাদের সাধ্যমতো করছে। ‘মানবিক সহায়তার ব্যাপারে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।’
এর আগে রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারে তাদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য সংহতি ও তহবিল বাড়ানোর আহ্বান জানায় জাতিসংঘ।
সম্প্রতি নিউইয়র্কে নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘শরণার্থী ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের প্রয়োজন আমাদের সংহতি। এ সবের জন্য আমাদের তহবিল বাড়াতে হবে।’
মুখপাত্র বলেন, ‘কোনো শরণার্থীকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রত্যাবাসন করা উচিত নয়।’ এটি স্বেচ্ছায় ও এমনভাবে করা দরকার যাতে তাদের মর্যাদা ও সুরক্ষা রক্ষা হয়।
দুজারিক বলেন, 'আমাদের কাছে এটা স্পষ্ট যে, মিয়ানমারের পরিস্থিতি বর্তমানে তাদের দাবি পূরণ করে না। আমাদের যা প্রয়োজন তা হলো, যারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উদারভাবে আশ্রয় দিচ্ছে তাদের জন্য বৈশ্বিক সংহতি বাড়ানো দরকার, যেমন কক্সবাজারের স্থানীয় সম্প্রদায়। এর আগে ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন মহাসচিব।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগের চমৎকার সুযোগ রয়েছে: জার্মান রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৯ মাস আগে
ন্যাম সম্মেলন: ফিলিস্তিনিদের সমর্থন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং বিশ্বব্যাপী শান্তির সংস্কৃতি সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) উগান্ডার কাম্পালায় ১৯তম ন্যাম সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
১৯তম ন্যাম সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: ইইউ রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে ন্যাম সম্মেলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্যের কথা উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর শান্তি, উন্নয়ন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার কাজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহস ও দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
মাহমুদ ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অকুণ্ঠ সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং তাদের বিচার দাবি করেন।
তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর ও সমর্থন করতে সব ধরনের চেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ন্যাম ও সাউথ সামিটে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে উগান্ডায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দ্বিগুণ প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান।
শান্তিপূর্ণ, ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তুলতে গঠনমূলক ও সংঘাতহীন সংলাপ পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
শুক্রবার উগান্ডার রাষ্ট্রপতি ইয়োয়েরি মুসেভেনি আন্দোলনের নতুন সভাপতি হিসেবে শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। দুই দিন আলোচনার পর 'কাম্পালা ঘোষণা' ও ফিলিস্তিনের বিষয়ে একটি ঘোষণা গৃহীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ন্যাম সম্মেলনের ফাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সোয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।
তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ন্যাম সামিট: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও জাতিসংঘে দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে সম্মেলন ও বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন।
১০ মাস আগে
মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: ইইউ রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান বলে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলিকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক, তাদের নিজ দেশে পূর্ণ নাগরিক অধিকার ও মর্যাদার সঙ্গে ফিরিয়ে নেওয়াই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান।
আরও পড়ুন: ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে আসুন একসঙ্গে কাজ করি: চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ও ডেলিগেশন প্রধানকে এটি পুণর্ব্যক্ত করে এ বিষয়ে তাদের সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসলে তিনি এই কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে বাণিজ্য বিস্তৃতিতে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বৈঠক শেষে মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের হাতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকাসহ ঐতিহ্যবাহী উপহার সামগ্রী তুলে দেন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ ও ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচারে মানুষ হত্যার কারণে রোহিঙ্গা সমস্যা থেকে বিশ্বের নজর অনেকটা অন্য দিকে সরে গেছে।
আরও পড়ুন: আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন পিটার হাস ও চার্লস হোয়াইটলি
সে কারণে আমি ইইউ রাষ্ট্রদূতকে বলেছি, বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। এখানে আরও ১৫ লাখ অতিরিক্ত মানুষ একটি বিশাল চাপ।
আর রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক। দুই দশক আগেও মিয়ানমারের মন্ত্রিসভায় রোহিঙ্গা মন্ত্রী ছিল। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে পূর্ণ নাগরিক অধিকার ও মর্যাদার সঙ্গে ফিরিয়ে নেওয়াই এ সমস্যার একমাত্র সমাধান।
আরও পড়ুন: পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে চীনের প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি নতুন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে ইউরোপীয় উদ্যোক্তা এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং তাদের সঙ্গে পার্টনারশিপ অ্যান্ড কোঅপারেশন এগ্রিমেন্টের (পিসিএ) বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
১০ মাস আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে আসিয়ান আরও কাজ করুক: বাংলাদেশ
মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনোয়ার হোসেন বলেছেন, বাস্তুচ্যুত ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে আসিয়ান চেয়ার আরও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের দমন-পীড়ন থেকে বাঁচতে রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে রোহিঙ্গা নারীদের জন্য চীনের অনুদানে ইউএনএইচসিআরের ধন্যবাদ
আসিয়ান চেয়ারম্যানের বিশেষ দূত আলাউনকিও কিতিখোন শুক্রবার ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
লাও পিডিআর ১ জানুয়ারি থেকে আসিয়ানের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করায় কিতিখোনকে মিয়ানমারে বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। মিয়ানমারে বিশেষ দূতের এটাই প্রথম সফর।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, পুড়েছে ৮টি শেড
সাক্ষাৎকালে বিশেষ দূত মিয়ানমারের এসএসি চেয়ারম্যান, সরকারি কর্মকর্তা ও অন্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে তার বৈঠকের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে জানান।
পাঁচ দফা ঐকমত্য বাস্তবায়ন, বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন সম্পর্কিত বিষয়ে আসিয়ান চেয়ারম্যানের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন আলাউনকিও।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের প্রয়োজনকে অবহেলা করতে পারি না: ইউএসএইড
রাষ্ট্রদূত ও বিশেষ দূত ২০২৪ সাল জুড়ে এ বিষয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।
কিতিখোন একজন লাওসীয় কূটনীতিক যিনি ২০১৬-২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রী এবং ১৯৯৩-২০০৭ সালে নিউইয়র্কে জাতিসংঘে লাও রাষ্ট্রদূত এবং স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আরও ৮৭ মিলিয়ন ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র
১০ মাস আগে
রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি অব্যাহত থাকবে: পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে স্থায়ী ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি অব্যাহত থাকবে।
বুধবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক বিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের ৪৩তম বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, রোহিঙ্গা সংকটে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণের প্রচেষ্টা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়।
ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক লুইস গুইন, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতির কোনো সুযোগ নেই: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা সংকটে ‘নিজেদের সমর্থন অব্যাহত রাখছে’ ইইউ: রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি
১ বছর আগে