উখিয়া
কক্সবাজার ইনানী সমুদ্রসৈকত ভ্রমণ: ঘুরে আসুন প্রবাল পাথুরে সৈকতে
বিশ্ব পর্যটনের বিস্তৃত পরিমণ্ডলে এক টুকরো বাংলাদেশ কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত পৃথিবীর দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন সমুদ্রসৈকত হিসেবে কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকত বিশ্বজুড়ে পরিচিত। এটি শুধু বাংলাদেশ নয় বরং পৃথিবীর অসংখ্য সমুদ্র প্রেমীদের প্রিয় গন্তব্যস্থল। শুধু বঙ্গোপসাগরের প্যানোরামাকে চোখে ধারণ করেই কাটিয়ে দেওয়া যায় পুরো একটি বিকেল। এমন প্রশান্ত দৃশ্যকল্পের সবটুকুই দৃষ্টিগোচর হয় ইনানী সৈকতে। কক্সবাজারের দীর্ঘ সৈকতেরই এই অংশ দর্শনার্থীদের দেয় প্রকৃতির সঙ্গে একান্তে কিছু সময় কাটানোর অভাবনীয় সুযোগ। চলুন, বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান কক্সবাজার ইনানী বীচে ভ্রমণ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক।
ইনানী সমুদ্রসৈকতের অবস্থান
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের জেলা কক্সবাজারের অন্তর্গত উখিয়া উপজেলায় অবস্থিত সৈকত ইনানী। কক্সবাজার সদর থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দক্ষিণের এই প্রবাল সৈকতটিতে পৌঁছাতে হিমছড়ি ছাড়িয়ে আরও ১৫ কিলোমিটার যেতে হবে।
১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সৈকতের আরও একটি নাম পাথুরে সৈকত। বিংশ শতকের একদম শেষ দিকে ধীরে ধীরে এটি পর্যটকদের নজরে আসতে শুরু করে।
আরো পড়ুন: কক্সবাজার থেকে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক ভ্রমণ গাইড
ঢাকা থেকে কক্সবাজার ইনানী সমুদ্রসৈকত যাওয়ার উপায়
বাসযাত্রার ক্ষেত্রে সরাসরি কক্সবাজারের বাস পাওয়া যাবে ঢাকার গাবতলী, কল্যাণপুর,যাত্রাবাড়ী,ফকিরাপুল অথবা কলাবাগান থেকে। বাস কোম্পানি এবং ধরণ (এসি/নন-এসি) ভেদে প্রতি জনের জন্য ভাড়া পড়তে পারে ৯০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। এভাবে কক্সবাজার যেতে সময় লাগতে পারে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা।
যারা ট্রেনে যেতে ইচ্ছুক তাদের বিমানবন্দর বা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে কক্সবাজারের ট্রেন ধরতে হবে। বিভিন্ন ধরনের সিটে যাত্রীপ্রতি ভাড়া পড়বে ন্যূনতম ৬৯৫ থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩৮০ টাকা। রেলপথে কক্সবাজার পর্যন্ত যেতে প্রায় ৯ ঘণ্টা সময় লাগবে।
এছাড়া কক্সবাজারের সরাসরি বিমানও রয়েছে, যেগুলো গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় নেয় মাত্র ১ ঘণ্টা।
কক্সবাজার থেকে ইনানী যেতে হয় মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে। এর জন্য চাঁদের গাড়ি, ছাদ খোলা জিপ, ট্যুরিস্ট জিপ ও মাইক্রোবাসের মতো বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় পরিবহন রয়েছে। এগুলো সবই সুগন্ধা পয়েন্টে ভিড় করে থাকে। ১০ থেকে ১২ জনের বড় গ্রুপ হলে ইনানী যাওয়ার জন্য পুরো একটি চান্দের গাড়ি রিজার্ভ নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে খরচ হতে পারে ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। একটানা ভ্রমণে ইনানী বিচ পর্যন্ত যেয়ে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে ঘুরে আসা সম্ভব।
আরো পড়ুন: থাইল্যান্ডের কোহ সামুই দ্বীপ ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
এছাড়া রয়েছে অ্যাকোয়াহলিক ট্যুরিস্ট ক্যারাভান নামে ছাদ খোলা ডাবল ডেকার বাস। শুধু মেরিন ড্রাইভে যাতায়াতের উদ্দেশ্যে বানানো এই পরিবহনে করে বেশ আরামদায়কভাবে ইনানী পর্যন্ত যাওয়া যায়।
ইনানী সৈকতের প্রধান পর্যটন আকর্ষণ
৮০ কিলোমিটারের মেরিন ড্রাইভ সড়কে সর্বাধিক সুন্দর দর্শনীয় স্থান হচ্ছে ইনানী বিচ। এখানকার বিশেষত্ব হচ্ছে ভাটার সময় সৈকত জুড়ে প্রবাল পাথর এবং শান্ত সাগর। জোয়ারের সময় এই পাথরগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। পাথরগুলোর সর্বাঙ্গ জুড়ে থাকে ধারালো ঝিনুক আর শামুক।
এখানকার শান্ত পরিবেশে সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের দৃশ্য দেখার অভিজ্ঞতা আর কোনো সৈকতে পাওয়া যায় না। এছাড়াও দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য এখানে নানান ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে।
আরো পড়ুন: বান্দরবানের মিরিঞ্জা ভ্যালি ভ্রমণ: ঘুরে আসুন দ্বিতীয় সাজেক
সেগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে বালুকাময় তীর ধরে ঘোড়ায় চড়া সঙ্গে দক্ষ গাইড থাকায় নতুন বা অভিজ্ঞ যেকোনো রাইডারের জন্যই এই অভিজ্ঞতা বেশ উপভোগ্য হয়ে ওঠে।
এর থেকে আনন্দটা আরও একধাপ বেড়ে যায় জেট স্কিইং-এর সময়। কেননা এখানে যুক্ত হয় বঙ্গোপসাগরে ছুটে বেড়ানোর দুঃসাহস আর রোমাঞ্চের উত্তেজনা। সাধারণত স্কিইং করার সময় জেটে রাইডারের সঙ্গে একজন দক্ষ প্রশিক্ষক থাকেন। তবে দর্শনার্থীদের যারা অভিজ্ঞ তারা একা একাও স্কিইং করতে পারেন।
ইনানী পর্যন্ত যাওয়ার সময়টাও বেশ চিত্তাকর্ষক। কেননা যাত্রাপথে একে একে পেরিয়ে যায় হিমছড়ি পাহাড়,পথের ধারে সাম্পান নৌকা আর নারিকেল বা ঝাউ গাছের ফাঁক দিয়ে দীর্ঘতম উপকূলরেখার দৃশ্য।
ইনানী সৈকত ভ্রমণের সেরা সময়
নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত আকাশ পরিষ্কার এবং রৌদ্রোজ্জ্বল থাকায় এই মৌসুম ইনানী ঘুরতে যাওয়ার জন্য উৎকৃষ্ট সময়। ভারি বৃষ্টিপাত বা ঝড়ের আশঙ্কা না থাকায় রৌদ্র ও সমুদ্রস্নান এবং জেট স্কিইংয়ের জন্য এই আবহাওয়াটি সবচেয়ে উপযুক্ত।
আরো পড়ুন: ভিয়েতনামের হা লং বে দ্বীপপুঞ্জ ভ্রমণ: ঘুরে আসুন ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান
এই অনুকূল আবহাওয়ার জন্য বিশেষত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় থাকে। অবকাশ যাপনের বিভিন্ন সেবা বিশেষ করে হোটেল ভাড়া থাকে সবচেয়ে বেশি।
তাই বাজেট ভ্রমণপিপাসুরা আরামদায়ক উষ্ণতার পাশাপাশি কম খরচে ভ্রমণ করতে বেছে নিতে পারেন নভেম্বরের শেষ বা মার্চের প্রথম দিকটা।
এখানে খেয়াল রাখতে হবে যে, বিকেলের দিকে জোয়ারের কারণে পিক টাইমেও মানুষের ভিড় হাল্কা থাকে।
অপরদিকে, প্রবাল দেখার জন্য ভাটা পর্যন্ত অপেক্ষার বিষয় আছে। তাই ইনানী ভ্রমণের জন্য নিদেনপক্ষে একটি দিন থাকার পরিকল্পনা নিয়ে আসা উচিত। এতে ভোরে সূর্যোদয় আর সন্ধ্যায় সূর্যাস্ত দেখারও সুযোগ থাকে।
আরো পড়ুন: থাইল্যান্ডের পাতায়া ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও যাবতীয় খরচ
৩ সপ্তাহ আগে
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিতে নিহত একই পরিবারের ৩ জন
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) ভোর ৫টায় উখিয়া ১৭ নম্বর ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উখিয়ার ১৭ নম্বর ক্যাম্পের (এক্স) ১০৪ নম্বর ব্লকের আহাম্মদ হোসেন (৬৫), তার ছেলে সৈয়দুল আমিন (২৮) ও মেয়ে আসমা বেগম (১৫)।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কী কারণে, কে বা কারা এ হামলা চালিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৫
২ মাস আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বিদেশি অস্ত্র ও গুলিসহ আরসার কমান্ডার আটক
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে একটি জি থ্রি রাইফেল ও ১০টি গুলিসহ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) কমান্ডারকে আটক করেছে আমর্ড পুলিশ এপিবিএন।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে উখিয়া পালংখালী ক্যাম্প-১৩ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার নুরুল ইসলাম (৪৫) ১৩ নম্বর ক্যাম্পের গুলা হোসেনের ছেলে।
৮ আমর্ড পুলিশ এপিবিএনের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর জানান, নুরুল দীর্ঘদিন ধরে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) কমান্ডার হিসাবে ক্যাম্পে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমর্ড পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সূত্রে ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে অস্ত্র আসার গোপন খবরে বৃহস্পতিবার ভোরে অভিযান চালানো হয়। এসময় নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি জি থ্রি রাইফেল ও ১০টি গুলি জব্দ করা হয়।
অতিরিক্ত ডিআইজি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরসার কমান্ডার হিসেবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন নুরুল ইসলাম। তাকে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
৩ মাস আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টার দিকে উখিয়া ১৪ নম্বর হাকিমপাড়ায় ক্যাম্পে এই পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-২ ব্লকের কবির আহমেদের ছেলে আব্দুর রহিম, আব্দুল হাফেজ ও আব্দুল ওয়াহেদ।
কক্সবাজার ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ দৌজা নয়ন জানান, ক্যাম্পে পাহাড় ধসে একই পরিবারের তিন জন নিহত হয়েছেন। তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী বলেন, জেলায় পাহাড় ধসে মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ৩ জন বাংলাদেশি ও ৩ জন রোহিঙ্গা।
৩ মাস আগে
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, দোকানসহ ৫ শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই
কক্সবাজারের উখিয়া বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লেগে পাঁচ শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
শুক্রবার (২৪ মে) সকালে এই আগুন লাগে। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন: বসতঘরে লাগা আগুনে পুড়ে নারীর মৃত্যু
রফিক নামে এক বাসিন্দা বলেন, আমাদের ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে। এখন খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছি।
উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক কামাল হোসেন বলেন, প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে দোকানসহ পাঁচ শতাধিক ঘর পুড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, জরিপের পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত করা যাবে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট।
আরও পড়ুন: দিল্লির কার্নিভাল রিসোর্টে আগুন লেগেছে
ব্যাটারিচালিত রিকশা নিষিদ্ধ: মিরপুরে পুলিশবক্সে আগুন দিয়েছে চালকরা
৬ মাস আগে
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে সুইডেনের রাজকুমারী
কক্সবাজার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছেছেন সুইডেনের রাজকুমারী ভিক্টোরিয়া।
বুধবার (২০ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে নোয়াখালী ভাসানচর থেকে সরাসরি সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে উখিয়ায় পৌঁছান তিনি।
এ সময় রাজকুমারীকে অভ্যর্থনা জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহিন ইমরান, কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমানসহ ঢাকাস্থ সুইডেনের দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব
জানা গেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তিনি বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করবেন। ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে বিকালে কক্সবাজারের খুরুস্কুলের জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য নির্মিত বিশ্বের বৃহত্তম আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করবেন। এরপর আকাশ পথে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে সুইডেনের রাজকুমারী ভিক্টোরিয়ার।
গত ১৮ মার্চ ৫ দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন তিনি। ঢাকায় সুইডেন দূতাবাস ও ইউএনডিপির তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়ার এটি প্রথম বাংলাদেশ সফর।
এর আগে ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: উখিয়া ক্যাম্পে ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা যুবক নিহত
৯ মাস আগে
উখিয়ায় ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা খুন
কক্সবাজারের উখিয়ায় ছুরিকাঘাতে এক রোহিঙ্গাকে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে উখিয়ার জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত বাদসা মিয়া (৩৮) উখিয়ার জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা সিরাজুল মিয়ার ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন।
তিনি জানান, অজ্ঞাতনামা ৪ থেকে ৫ জন বাদসা মিয়াকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে প্রথমে মারধর করে। পরে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে বাদসাকে উদ্ধার করে এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে কী কারণে হত্যা করা হয়েছে তা জানা যায়নি।
১০ মাস আগে
কক্সবাজারে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
কক্সবাজারের উখিয়ায় জোয়ারের পানির সঙ্গে নাফ নদী হয়ে খালের ঝিরি দিয়ে মিয়ানমার থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ ভেসে এসেছে। রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বালুখালী কাস্টমস এলাকায় লাশটি দেখতে পায় স্থানীয়রা।
বালুখালী স্থানীয় যুবক কায়সার বলেন, লাশটির মুখে কালি রয়েছে। মাথায় হেলমেট ও গায়ে খাকি পোশাক। দেখে মনে হচ্ছে, এটা মিয়ানমার বাহিনীর কোনো সদস্যের লাশ। লাশটি খালের ঝিরির চলন্ত পানিতে মিয়ানমারের ঢেকিবুনিয়া থেকে ভেসে এসেছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বলেন, খালের ঝিরি দিয়ে লাশ ভেসে আসার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা ফিরে এলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে হাত-পা বাঁধা অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
শরীয়তপুরে ছাত্রলীগ নেত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১০ মাস আগে
উখিয়ায় ঘর থেকে ডেকে নিয়ে রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জলিল নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৭টার দিকে উখিয়া কুতুপালং ৪নং ক্যাম্পে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত রোহিঙ্গা যুবক ৪নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফ-১২ ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ কামাল হোসেনের পুত্র।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে ২ ইউপিডিএফ সদস্যকে গুলি করে হত্যা
তিনি জানান, রাত ৭টার দিকে উখিয়ার ৪নং ক্যাম্পেরএফ-১২ ব্লকের জলিল নামে এক যুবকে অজ্ঞত কয়েকজন ঘর থেকে ডেকে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায়। পরে মারধর করে গুলি করে পালিয়ে যায়।
ওসি বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ক্যাম্পের ভেতরের গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা
যশোরে যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
১০ মাস আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, পুড়েছে ৮টি শেড
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুড়েছে ৮ টি শেড। বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে ক্যাম্প-৫ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে, হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
উখিয়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৬ জানুয়ারি ক্যাম্প-৫ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কিন্তু সপ্তাহ না যেতেই একই স্থানের পাশে আবারও আগুন লাগে। খবর পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তার আগেই ৮টি শেড আগুনে পুড়ে যায়।’
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বলেন, ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে।
এ ঘটনায় কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
১১ মাস আগে