মন্ত্রণালয়
অনিশ্চয়তায় প্রশাসনে স্থবিরতা, দায়িত্ব বণ্টনের জটিলতা কাটছেই না
আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কিন্তু এখনও স্বাভাবিক হয়ে উঠেনি প্রশাসনিক কার্যক্রম। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি অত্যন্ত ধীর এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পেরও প্রায় একই দশা।
সচিবালয়ে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন পদে কর্মকর্তাদের মধ্যে বদলি নিয়ে আতঙ্ক কাজ করছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যারা নিয়োগ ও পদোন্নতি পেয়েছে, তাদের মধ্যে এই আতঙ্ক বেশি দেখা যাচ্ছে। ফলে মন্ত্রণালয়ের কাজে এসেছে ধীর গতি।
এছাড়াও বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে এখনও সাবেক সরকারের সময়কালে নিযুক্ত সচিব রয়েছেন। ওএসডি বা অবসরে যেতে হয় কি না- এ নিয়ে তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই মাস পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি সচিব-জেলা প্রশাসক নিয়োগ
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বঞ্চিত চুক্তিতে নিয়োগ পাওয়া ৮ জন সচিব বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কাজ শুরু করলেও সবার সঙ্গে মিলিয়ে কাজ করতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সচিব পদ না পেয়ে বঞ্চিত অবস্থায় অবসরে গিয়েছেন তারা। দীর্ঘদিন পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়ে তাদের আবার চুক্তিতে সচিব পদে নিয়োগ দেওয়ায় সাবেক সরকারের আমলের বর্তমান কর্মকর্তারা তাদের স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে পারছেন না। যে কারণে কাজের গতি কমে গিয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত সরকারের আমলে নেওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে চলমান প্রকল্পগুলোর অর্থ কাটছাঁট করতে বলেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের চলমান প্রকল্পগুলো বুঝতেও সময় নিচ্ছেন উপদেষ্টারা। আবার কিছু প্রকল্পের চলমান কাজ বন্ধ রয়েছে। নতুন করেও প্রকল্প নেওয়ার কোন পরিকল্পনা নেই এই সরকারের।
এর বাহিরেও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে মাঠ লেভেলের ছোটখাটো উন্নয়নমূলক কাজ ঠিকমতো হচ্ছে না। এমনকি বিভিন্ন ভাতাও সঠিকভাবে দেওয়া হচ্ছে না। অভিযোগ উঠেছে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বেশকিছু সরকারি ভাতা যথাসময়ে দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে গ্রামে কাবিটা ও কাবিখার কাজও বন্ধ রয়েছে।
বিদ্যমান সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অসহযোগিতার কারণে দ্রুতগতিতে কাজ করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।
চলতি সপ্তাহে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘যেকোনো সরকার যখন দায়িত্ব নেবে, তার নিজস্ব টিম (দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী) লাগবে। তাহলে পুরোনো টিমকে তো সরে যেতেই হবে।’
আরও পড়ুন: ‘দ্রুত সংস্কারের পর নির্বাচনই দেশের রাজনৈতিক সমাধান’
শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমাদের দেশে একটা বিপ্লব হয়েছে। বিপ্লবের পরে কোনোকিছু আগের সিস্টেমে চলে না, কিন্তু আমরা এখনও আগের সিস্টেম ধরে রেখেছি। প্রশাসনের কারো কারো অসহযোগিতার কারণে দেশে স্থবিরতার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে সিস্টেম ভাঙার প্রয়োজন হলে সিস্টেম ভাঙা হবে, প্রয়োজন দেখা দিলে প্রশাসনে অসহযোগীদের স্থলে নতুন নিয়োগ নিয়েও সরকার ভাববে।’
এর আগে গত মাসে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে, প্রশাসনে স্থবিরতা বিরাজ করছে স্বীকার করে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘প্রশাসনে স্থবিরতা তো আছে। এটা আমরা লক্ষ্য করছি। আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে অসহযোগিতা পাচ্ছি। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থবিরতা কেটে যাবে।’
এছাড়াও প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ অন্তত ৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে বর্তমানে সচিব নেই। এসব দপ্তরে দায়িত্ব পাওয়া অতিরিক্ত সচিবরা তাদের রুটিন কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। তারা কোনো নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত দিতে পারছেন না। এর ফলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি অত্যন্ত ধীর।
এমন পরিস্থিতিতে সব ব্যাচের বঞ্চিত যোগ্য কর্মকর্তাদের উপযুক্ত পদে পদায়নের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন ব্যাচের বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অনেকে।
শেখ হাসিনার সময় চুক্তিতে নিয়োগ পাওয়া অন্তত ১০০ কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল হয়েছে। পাশাপাশি অবসরে থাকা হাসিনার সরকারের আমলে বঞ্চিত ৮ কর্মকর্তাকে সচিব পদে চুক্তিতে নিয়োগের পর তাদের সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যোগ হতে পারে নতুন মুখ
তাদের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদে নিয়োগ পেয়েছেন বিসিএস ১৯৮২ নিয়মিত ব্যাচের মেধাতালিকায় প্রথম হওয়া ড. শেখ আবদুর রশিদ, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব মো. সিরাজ উদ্দিন মিয়া, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. এম এ মোমেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব এহছানুল হক ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনি। মূলত তারাই এখন প্রশাসন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে জানা গেছে।
এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব পদে নিয়োগ পেয়েছেন বিসিএস ১৯৮৪ ব্যাচের সিদ্দিক যোবায়ের এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হয়েছেন ১৯৮৫ ব্যাচের এ এস এম সালেহ আহমেদ।
হাসিনা সরকারের সাড়ে ১৫ বছর পর আগস্টে পদোন্নতি পেয়ে অবসরে গেছেন বেশ কয়েকজন অতিরিক্ত সচিব। বঞ্চিত ২০৬ অতিরিক্ত সচিবের মধ্য থেকে যে চারজনকে সচিব করা হয়েছে তারা হলেন- তথ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিসংখ্যান বিভাগের সচিব ড. আনোয়ার উল্লাহ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের মো. ফাহিমুল ইসলাম এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বেগম মাহবুবা ফারজানা।
এখন পর্যন্ত এর বাইরে অন্য ব্যাচের বঞ্চিত কর্মকর্তাকে সচিব পদে নিয়োগের খবর পাওয়া যায়নি। তবে শুধু একটি ব্যাচের বঞ্চিতদের মূল্যায়ন ভালো চোখে দেখছেন না বিসিএস ১৯৮২ (বিশেষ) ব্যাচ, ১৯৮৪ ব্যাচ, ১৯৮৫ ব্যাচ, ১৯৮৬ ব্যাচ, নবম, দশম, একাদশ ও ত্রয়োদশ ব্যাচের বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অনেকে।
তাদের দাবি, বিসিএস ১৯৮২ নিয়মিত ব্যাচের কর্মকর্তারা অন্তত এক যুগ আগেই অবসরে গেছেন। অথচ বর্তমানে সচিব হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন বিসিএস ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তারা। এর মধ্যে এই ব্যাচের পাঁচ-ছয়জন সচিবও হয়েছেন। প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে তাদের ব্যাচের বঞ্চিত কর্মকর্তাদেরও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: প্রশাসনে স্বচ্ছতার জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দ্রুত সংস্কারের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
দীর্ঘ বঞ্চনার পর যুগ্ম সচিব হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া ১৩৩ জনের মধ্যে ৬৫ জনকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করা হয়েছে। ৪৫ জন পূর্বের পদে রয়েছেন। এসব দপ্তরে দায়িত্ব পাওয়া অতিরিক্ত সচিবরা তাদের রুটিন কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। তারা কোনো নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত দিতে পারছেন না। বাকিদের পদায়নের ফাইল ঘুরছে।
হাসিনার সরকারের আমলে বঞ্চিত বিসিএস ১৯৮৫ ব্যাচের কর্মকর্তা মো. সলিমুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘শুধু নিয়মিত নামাজ পড়ি বলে বিএনপি-জামায়াত তকমা দিয়ে আমাকে পাঁচ-ছয়বার পদোন্নতি বঞ্চিত করা হয়েছে। যোগ্যতা থাকার পরও আমাকে সচিব বানানো হয়নি। যুগ্ম সচিব হিসেবে ২০২০ সালের ১৭ মে অবসরে যেতে হয়েছে। অথচ আমার ব্যাচের হেলালুদ্দীন আহম্মদ, ফয়েজ আহমদ, আনিছুর রহমান, সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, সত্যব্রত সাহা, আক্তার হোসেন, শহীদুজ্জামান, আকরাম আল হোসেনসহ অনেকে সচিব হয়েছেন। এমনকি আমার সিরিয়ালের বহু পরের কর্মকর্তা কবীর বিন আনোয়ার ক্যাবিনেট সচিব হয়েছেন। সুতরাং সব ব্যাচেই বঞ্চিত কর্মকর্তা আছেন। তাদেরও মূল্যায়ন করা দরকার।’
বিসিএস ১৯৮৪ ব্যাচের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব আবু মোহাম্মদ ইউসুফ ইউএনবিকে জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতি চেয়ে আবেদন করেছিলাম। বিএনপি-জামায়াত তকমা দিয়ে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আমাকে সচিব বানানো হয়নি। ব্যাচের মেধাতালিকায় আমার পরের জন সুবীর কিশোর চৌধুরীকেও সচিব বানানো হয়েছিল। আমার ব্যাচসহ প্রশাসনে তার জুনিয়র অন্তত দেড়শ কর্মকর্তাকে সচিব বানানো হয়েছে। সুতরাং অন্যান্য ব্যাচেও যারা যোগ্যতা থাকার পরও বঞ্চিত হয়েছেন তাদের এখন মূল্যায়ন করা উচিত।’
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস-উর রহমান ইউএনবিকে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছেন দুই মাসেরও বেশি হয়েছে। তারপর আমি নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই প্রশাসনকে একটা সিস্টেমে দাঁড় করাতে কাজ করছি। গত ১৫-১৬ বছরের সমস্যা এই অল্প সময়ে সমাধান করা সম্ভব না। কোন মন্ত্রণালয়ে কাকে কোন দায়িত্ব দেওয়া হবে এবং মন্ত্রণালয়গুলোর দপ্তর বা সংস্থাপ্রধান কাকে বানানো হবে- এসব বিষয় বিবেচনা করে, কে ভালো ও দক্ষ তাকে খুঁজে বের করতে একটা তো সময় লাগবেই। তবে আমরা আশা করছি খুব দ্রুত সময়েই সব মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে যোগ্য লোক পদায়নের কাজ শেষ হবে। তখন কাজের গতি আরও বাড়বে।’
আরও পড়ুন: প্রশাসনিক শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
৩ সপ্তাহ আগে
মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষক দল চলে যাওয়ার পরপরই বনানীর বাজারে বাড়ল পণ্যের দাম!
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার পর্যবেক্ষক দল পর্যক্ষেণ শেষে চলে যাওয়ার পরই বনানী কাঁচাবাজারে আবারও বেড়েছে সবজি, মুরগি, গরুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।
পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন কাঁচা পণ্যের দাম ১৫ থেকে ৫০ টাকা কমে যায়, কিন্তু পর্যবেক্ষক দল বাজার ছাড়ার পর আবারও আগের বাড়তি দামে পণ্য বিক্রি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সুলতানা আক্তারের নেতৃত্বে বাজার পরিদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কাচাঁবাজারে অভিযান, দোকানিকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা
বাজার পর্যবেক্ষণের সময় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাগফুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাজার পরিদর্শনকালে দেখা যায়, বিভিন্ন দোকানে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার টাকা, ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা, সোনালী মুরগি ২৮০ টাকা, ডিম প্রতি ডজন ১৬০ টাকা, আলু ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ ২৮০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১১৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কর্মকর্তারা বাজার ছাড়ার পরপরই গরুর মাংসের দাম বেড়ে ৭৮০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ২২০ টাকা, সোনালী মুরগি ৩০০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি করতে থাকেন ব্যবসায়ীরা।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে এক ব্যবসায়ী বলেন, জরিমানা এড়াতে পরিদর্শনের সময় তারা মন্ত্রণালয়ের মূল্য তালিকা মেনে চলতে বাধ্য হন।
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে নির্ধারিত দাম মেনে চলার জন্য আমাদের সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু এই দামে বিক্রি করা মানে আমরা কেবল আমাদের খরচ মেটাতে পারি।’
জয়নাল আরও বলেন, ‘পাইকারি মূল্য বাধ্যতামূলকতার চেয়ে বেশি এবং এখানে আমাদের কোনও দোষ নেই। পাইকারি সিন্ডিকেট আগে ভাঙতে হবে। তা না হলে এ ধরনের পরিদর্শনে আমাদের মতো খুচরা ব্যবসায়ীদের অসুবিধায় পড়তে হবে।’
জয়নাল আবেদীন বলেন, বনানী কাঁচাবাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ী পর্যবেক্ষক দলের পরিদর্শনের বিষয়টি আগে থেকেই জানতেন, পরিদর্শনকালে 'উপযুক্ত' মূল্য প্রস্তুত ও প্রদর্শনের সুযোগ করে দেন তারা।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৬ দিন বন্ধ কুমিল্লার বিবির বাজার স্থলবন্দর
বাজার স্থিতিশীল করতে সাড়ে ৪ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার
১ মাস আগে
মন্ত্রণালয় পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে পলিসি সহায়তা দেবে: রিজওয়ানা হাসান
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয় পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে পলিসি সহায়তা দেবে। ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
তিনি বলেন, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ২০১০ এর যথাযথ বাস্তবায়নে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাড়ানো হবে।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত শীর্ষক মত বিনিময় সভায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অভিন্ন নদীর পানি ছাড়ার আগে আগাম বার্তা দেয়নি ভারত: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
উপদেষ্টা বলেন, পাট খাত দেশের পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ। পাট শিল্পের সংকট মোকাবিলায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। পাট শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ দরকার।
তিনি আরও বলেন, ধান, চাল ও গমের বস্তায় পাটজাত মোড়কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাটজাত পণ্যের বিস্তারে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
সভায় বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন সভাপতিত্ব করেন। দেশের বিভিন্ন পাট মিলের প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞরা পাট শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি ও সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সাবেক এমপি ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ ৯০০ জনের বিরুদ্ধে তিন মামলা
ঠাকুরগাঁওয়ে ৭৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, সাবেক মন্ত্রী রমেশ কারাগারে
২ মাস আগে
মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কোনো স্থান হবে না: নাহিদ ইসলাম
মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কোনো স্থান হবে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর/প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুততম সময়ে গতিশীল এবং আধুনিকায়ন করার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
রবিবার (১৮ আগস্ট) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম নতুন করে স্বপ্ন দেখছে, নতুন করে আশা-আকাঙ্ক্ষা তৈরি করছে। আমরা সেই আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে এই সরকারে এসেছি।’
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশকে পুনর্গঠন ও নতুন বাংলাদেশ তৈরির যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হচ্ছে, সেখানে যেন এই ধরনের স্বৈরতন্ত্র আর কোনো দিন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেদিকে আপনাদের দৃষ্টি রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন: ইন্টারনেট বন্ধে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: উপদেষ্টা নাহিদ
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি বাংলাদেশের সাংবাদিকতা, গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর কী ধরনের নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। সামনের বাংলাদেশে এই ধরনের ঘটনা ঘটুক সেটা আমরা চাই না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে। ফ্রিডম অব প্রেস যদি না থাকে ফ্রিডম অব স্পিচ নিশ্চিত হয় না।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আমাদের কাজ করতে হবে সেজন্য বিভিন্ন আইন ও বিধিনিষেধ যেগুলো নিয়ে সমালোচনা রয়েছে সেগুলো পুর্নবিবেচনা করতে হবে। যাতে বাকস্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত না হয়। আমরা চাই গণমাধ্যম যেন তার স্বাধীনতা নিয়ে জনগণের পাশে থেকে কাজ করতে পারে।’
সাংবাদিকদের বেতন নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘সাংবাদিকদের বেতন নিয়ে অনেক অসন্তোষ রয়েছে। আমরা যদি মেধাবীদের উৎসাহিত করতে না পারি তবে সাংবাদিকতা এগোবে না। যারা রিপোর্টার ও জুনিয়র লেভেলে কাজ করে তাদের বেতন অত্যন্ত কম, অনেক ক্ষেত্রে বেতন মানাও হয় না, এ বিষয়ে নীতিমালা প্রয়োজন।’
সাগর রুনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি খুবই বেদনাদায়ক ও নির্মম। এর বিচার নিয়ে কী ধরনের প্রহসন করা হয়েছে তা আমরা সবাই জানি। এ হত্যাকাণ্ডসহ সাংবাদিকদের ওপর যত রকম নির্যাতন নিপীড়ন করা হয়েছে সেগুলো তদন্ত করে বিচারের ব্যবস্থা করতে সরকার ও মন্ত্রণালয়ের পক্ষে যা যা করণীয় তা আমরা করব।’
স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশন গঠন করার কথা ভাবা হচ্ছে জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, সাংবাদিকদের সাথে আলোচনা করেই এ বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পাশাপাশি সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টও পুর্নবিবেচনা করা হবে।
তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, গণহত্যার ছবি এবং ভিডিও প্রকাশে সহযোগিতা করা হবে যাতে করে হতাহতদের প্রকৃত সংখ্যা ও পরিচয় জানা যায়।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘যারা অপরাধে জড়িত ছিলেন না তাদের প্রতি যেন কোনো অন্যায় না হয় সে বিষয়ে আমাদের নির্দেশনা রয়েছে, মামলা হলে সুস্পষ্ট তদন্তের ভিত্তিতে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া আছে।’
বিশেষ কারণ ছাড়া তাদের ছবি প্রচার না করার অনুরোধ করেন উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকদের মধ্যে দলীয়করণ দেখতে চাই না।’
সেন্সর বোর্ডের কমিটিগুলো দ্রুততম সময়ে পূর্ণগঠন করা হবে জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অনেকগুলো চলচ্চিত্র সেন্সর অবস্থায় আছে যদি কোনো নীতিমালা ভঙ্গ না হয়, তাহলে দ্রুততম সময় চলচ্চিত্রগুলো প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। একেবারে নীতিমালা এবং যৌক্তিকতার ভিত্তিতে যেন বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।’
কোনো ধরনের স্বজনপ্রীতি ও ব্যক্তিগত পরিচয় যেন বিবেচনায় না নেওয়া হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, আওতাধীন দপ্তর সংস্থার প্রধানগণ ও গণমাধ্যম কর্মীরা।
মতবিনিময় সভার শুরুতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ছাত্র, জনতা এবং সাংবাদিকদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: আন্দোলনের সময় যারা ছাত্র-মানুষ হত্যা করেছে তাদের শাস্তি হবে: উপদেষ্টা নাহিদ
স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশন করার কথা ভাবা হচ্ছে: তথ্য উপদেষ্টা
৩ মাস আগে
মন্ত্রণালয়ের কোনো কার্যক্রম যেন থেমে না থাকে নিশ্চিত করতে হবে: শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা
শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘যার যে দায়িত্ব সেই বিভাগ কিংবা ডিপার্টমেন্টকে সক্রিয় করুন। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে আমাদের কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো কার্যক্রম যেন স্থবির অবস্থার মধ্যে না থাকে সেটা আগে নিশ্চিত করুন। আশা করি বর্তমান সংকটময় মুহূর্তে আমরা দেশের মানুষ ও দেশের জন্য ভালো কিছু উদ্যোগ নিতে পারব।’
আরও পড়ুন: বাজারে চাপ কমাতে যতটুকু সম্ভব অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানি করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা
রবিবার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এই উপদেষ্টা।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘দেশের মানুষ ও দেশের জন্য ভালো উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নে আপনাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা চাই। অনেক কিছুই স্থবির হয়ে আছে। সবকিছু আবার সক্রিয় করতে হবে।’
এসময় মন্ত্রণালয়ের ভিশন, মিশন ও কার্যাবলি উপদেষ্টার সামনে তুলে ধরেন কর্মকর্তারা। এছাড়াও, চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেন ও দপ্তরের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: দক্ষ ক্রীড়াবিদ তৈরি করতে বাংলাদেশে নির্মিত হবে স্পোর্টস ইনস্টিটিউট: আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
৭ দিনের মধ্যে মেট্রোরেল চালু হবে: উপদেষ্টা ফাওজুল
৩ মাস আগে
বাংলাদেশ শ্রমিককল্যাণ ফাউন্ডেশনের সহায়তার চেক বিতরণ
বাংলাদেশ শ্রমিককল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে শ্রমিকদের চিকিৎসা ও শিক্ষা সহায়তার চেক বিতরণ করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
রবিবার (১৯ মে) রাজধানীর শ্রম ভবনের সম্মেলনকক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ শ্রমিককল্যাণ ফাউন্ডেশনের পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী ৩০ জন শ্রমিক ও শ্রমিকের মেধাবী সন্তানদের মাঝে চেক হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে চাল বিতরণ নিয়ে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২০
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিককল্যাণ ফাউন্ডেশনের ৩০তম পরিচালনা বোর্ড সভায় মোট ৪ কোটি ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান অনুমোদন করা হয়।
এর মধ্যে আজ ১৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়েছে। সারাদেশে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শকের কার্যালয়সমূহের মাধ্যমে শ্রমিকদের কাছে অর্থ সহায়তার চেক পৌঁছে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত শ্রমিকদের ৩১ কোটি ৫৫ লাখ ১০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে।
এ পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে সর্বমোট ৩০ হাজার ২৮৫ জন শ্রমিককে ১৪১ কোটি ৬৬ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫৫ টাকার আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ শ্রমিককল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. আবদুর রহিম খান, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. তরিকুল আলম, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. নূর কুতুব আলম মান্নান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সিইউসিএজেএএর উদ্যোগে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ
ভোটকেন্দ্রে প্রকাশ্যে টাকা বিতরণ, ভিডিও ভাইরাল
৬ মাস আগে
মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি না: শ্রমপ্রতিমন্ত্রী
মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন না বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী।
রবিবার (৩ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে রাত ৮টার পর দোকান বন্ধ থাকবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘শ্রম ও কর্মসংস্থান সম্পর্কে অভিজ্ঞতা আছে এবং পাঁচ বছর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য হয়ে দায়িত্ব পালন করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই মন্ত্রণালয়ের কাজ সম্পর্কে আগে থেকেই আমার অভিজ্ঞতা আছে। তাই এত বড় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি না।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে বিশ্বাস নিয়ে আমাকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন, সেটা আমি পালন করতে পারব, সে আত্মবিশ্বাস আছে আমার।’
আরও পড়ুন: শ্রম প্রতিমন্ত্রী মনোনয়ন না পাওয়ায় খুলনায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
ঈদের ছুটির আগেই বোনাস ও জুন মাসের ১৫ দিনের বেতন দিতে হবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
৮ মাস আগে
‘শরিফার গল্প’ পর্যালোচনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৫ সদস্যের কমিটি
নতুন কারিকুলামে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা ভিন্নতা বিষয়ে ‘শরিফা’র গল্প নিয়ে উদ্ভূত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে আরও গভীরভাবে পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে (এনসিটিবি) সহায়তা করার জন্য পাঁচ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: সংশোধিত শ্রম আইন আগামী অধিবেশনে পাস হবে: আইনমন্ত্রী
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আব্দুর রশীদকে এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মুফতি মাওলানা কফিল উদ্দীন সরকার, এনসিটিবির সদস্য মশিউজ্জামান, ঢাকা আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআরের পরিচালক মো. আবদুল হালিম।
আরও পড়ুন: ৬ প্রকল্পে চীনের কাছে এক বিলিয়ন ডলার চায় বাংলাদেশ: পলক
ময়মনসিংহ-কুমিল্লা সিটি উপনির্বাচন ৯ মার্চ: ইসি
৯ মাস আগে
কূটনীতিকরা স্টেশন ছাড়ার বিষয়ে কোনো তথ্য জনসম্মখে প্রকাশ করা হয় না: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন বলেছেন, কোনো রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার স্টেশন ছেড়ে গেলে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে আয়োজক দেশকে জানানো একটি কূটনৈতিক প্রক্রিয়া; তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তথ্য জনসম্মখে প্রকাশ করে না।
তিনি বলেন, ‘এটি প্রকাশ্যে জানানোর কথা ছিল না।’
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের ছুটির বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যখন কোনো রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার স্টেশন ছেড়ে যান, তখন তারা একটি কূটনৈতিক নোটের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেন এবং সেই বিশেষ কূটনীতিকের অনুপস্থিতিতে কে মিশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হবেন তাও উল্লেখ থাকে।
আরও পড়ুন: ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার বিষয়বস্তু কী হবে তা তাদের ব্যাপার: মুখপাত্র
মুখপাত্র বলেন, তাদের নিজ নিজ সদর দপ্তরেও এ তথ্য জানাতে হবে।
সেহেলী আরও বলেন, ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের একজন মুখপাত্র থাকায় ভুল তথ্য বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, একইভাবে যদি কোনো বাংলাদেশি কূটনীতিক স্টেশন ত্যাগ করেন, তাহলে তিনি তা আয়োজক দেশ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে পৌঁছে দেন।
রাষ্ট্রদূত হাসের বাংলাদেশের বাইরে যাওয়া নিয়ে সকাল থেকে অনেক আলোচনা চলছে, যদিও ঠিক কী ঘটেছে তা জানতে মার্কিন দূতাবাসের কাছে যোগাযোগ করা হলে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সংবাদমাধ্যমের একাংশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছুটি কাটাতে শ্রীলঙ্কার কলম্বোর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর তারিখ এখনো ঠিক হয়নি: সেহেলী সাবরীন
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র
১ বছর আগে
ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার বিষয়বস্তু কী হবে তা তাদের ব্যাপার: মুখপাত্র
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনার বিষয়বস্তু কী হবে তা ওই দু’দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।
তিনি বলেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অনুষ্ঠিত এই সংলাপে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট নানান বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। সে আলোচনায় বৃহত্তর বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও উপআঞ্চলিক নিরাপত্তা ও ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার নানান দিক উঠে আসা স্বাভাবিক। আলোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে কী আসবে, না আসবে তা এই দু’দেশের নিজস্ব ব্যাপার।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ভারত- যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের 'টু প্লাস টু' সংলাপের ধারণাগত সূত্রপাত ২০১৭ সালে। পরে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয় ভারতের নয়াদিল্লিতে। 'টু প্লাস টু' সংলাপটি মূলত ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সার্বিক দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াবলি আলোচনার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিত।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর তারিখ এখনো ঠিক হয়নি: সেহেলী সাবরীন
তিস্তা চুক্তি বিষয়ে বাংলাদেশ ভারত থেকে কোনো বার্তা পেয়েছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে সেহেলী সাবরীন বলেন, আপনারা জানেন তিস্তা নদীর পানি বণ্টনসংক্রান্ত চুক্তির ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছাতে বাংলাদেশ তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে কোনো অগ্রগতি হলে তা যথাসময়ে আমরা আপনাদের জানাব।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি আছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ-মিয়ানমার-চীনের একটি ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুত রাখাইনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে আশা করা যায়।
উল্লেখ্য, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, টেকসই ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য রাখাইনে প্রত্যাবাসনের পরে রোহিঙ্গারা কী কী সুযোগ সুবিধা পাবে সে সম্পর্কে ব্রিফ করা এবং অসমাপ্ত ভেরিফিকেশন কার্যাবলী সম্পন্ন করার জন্য গত ৩১ অক্টোবর-১ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে কক্সবাজারের টেকনাফে দ্বিতীয় কাম অ্যান্ড টক ভিজিটের আয়োজন করা হয়েছিল।
এ সময় মিয়ানমারের প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং যেসব প্রশ্নের তাৎক্ষণিক উত্তর দিতে পারেননি; যেমন নিজ গ্রামে ফিরে যাওয়ার নিশ্চয়তা দান, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় রাখাইনে জাতিসংঘের সরাসরি সম্পৃক্ততা ইত্যাদি। সেসব বিষয়ে পরে তাদের অবস্থান জানাবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
ইতোপূর্বে মিয়ানমারের আরেকটি প্রতিনিধিদল কক্সবাজার ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের ব্রিফ করেন এবং রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধিদল প্রত্যাবাসনের আয়োজন সম্পর্কে সরাসরি ধারণা নেওয়ার জন্য রাখাইন ভ্রমণ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র
অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেয় না: মুখপাত্র
১ বছর আগে