কিশোরী
ফরিদপুরে মদ্যপানে আরও এক কিশোরীর মৃত্যু
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে মদ্যপানে স্বপ্না বাওয়ালি নামে আরও এক কিশোরীর মৃত্যু ঘটেছে। এনিয়ে গত দুই দিনে মদপানে ৩ নারীর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
স্বপ্না বাওয়ালি (১৭) গাজীরটেকের চর অযোধ্যা গ্রামের পঞ্চানন বাওয়ালির মেয়ে এবং চরঅযোধ্যা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মদ্যপানে ২ কলেজছাত্রীর মৃত্যু
পুলিশ জানায়, রবিবার বিকাল ৫টার দিকে স্বপ্নার অসুস্থতার বিষয়টি জানতে পেরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মদ্যপানের কথা স্বীকার করে।
তবে কখন কাদের সঙ্গে সে মদ্যপান করেছে তা জানায়নি। পরে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আবিদ হোসেন বলেন, মদ্যপানে স্বপ্না নামে এক কিশোরীর মৃত্যু ঘটেছে। এছাড়া ভর্তির সঙ্গে সঙ্গে তার ইসিজি করা হলে তাকে মৃত পাওয়া যায়।
স্বপ্নার বোন সুস্মিতা বাওয়ালির বলেন, রবিবার বিকাল থেকে ঘন ঘন পায়খানা ও বমি হওয়ার পর স্বপ্নাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল গফফার বলেন, মদ্যপানে স্বপ্নার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ফরিদপুর মেডিকেল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে রিদপুরে মদ্যপানে পূজা বিশ্বাস ও রত্না সাহা নামে দুই কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়।
পূজা (২০) মাগুরার শালিকা উপজেলার দেবিলা গ্রামের সাধন বিশ্বাসের মেয়ে এবং রত্না (২৬) উপজেলার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আমগ্রামের রতন কুমারের মেয়ে। সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে পড়ুয়া ওই দুই শিক্ষার্থী আলিপুরের কানাই মাতবার মোড় এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
মদ্যপানে তিন নারীর মৃত্যু প্রসঙ্গে ফরিদপুর সচেতন নাগরিক কমিটির সহসভাপতি আইনজীবী শ্রীপ্রা গোস্বামী বলেন, কোনো অপমৃত্যু কাম্য নয়। যদি নিয়ন্ত্রিতভাবে সরকারি ব্যবস্থাপনায় অ্যালকোহল বিক্রয় হতো তাহলে এসব দুর্ঘটনা ঘটত না।
যেকোনো উৎসবের সময় বাজারে কেন এসব বিষাক্ত অ্যালকোহল সহজলভ্য হয় সেটি খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে অতিরিক্ত মদ্যপানে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
২ মাস আগে
কুমিল্লায় কিশোরীকে হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজলায় রাবেয়া আক্তার (১৫) নামে এক কিশোরীকে বিবস্ত্র করে হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দিবাগত রাতে নিজ ঘরে ঘটনাটি ঘটে।
রাবেয়া ইউছুফনগরের দক্ষিণ পাড়ার প্রবাসী জাকির হোসেনের মেয়ে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা
নিহতের বাবা জাকির হোসেন এরশাদ বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে দুইটি ঘর। একটি ঘর বড় ও আরেকটি ঘর ছোট। রাবেয়া আমাদের সঙ্গে বড় ঘরে ঘুমায়। শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠে তাকে দেখতে না পেয়ে ছোট ঘরে দেখি হাত-পা বাঁধা ও গলা কাটা অবস্থায় পড়ে আছে।’
আমাদের কান্নাকাটির আওয়াজ শুনে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়। পরে পুলিশকে ফোন দিলে তার এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চদ্র ধর বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রেমঘটিত কারণে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। হত্যাকারীকে আটকে পুলিশের অনুসন্ধান চলছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে পরবর্তী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকতে পারে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে প্রবাসীর স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, ছেলের বউকে ছুরিকাঘাত
নরসিংদীতে ইউপি সদস্যকে গুলি করে ও গলা কেটে হত্যা
৩ মাস আগে
অভিমানে বাড়ি ছেড়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী
সিলেটে অভিমান করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কিশোরী।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে সিলেট শহরতলীর পরগনা বাজার সংলগ্ন খুনীরচক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে ভিকটিমকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরাণ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সিলেট শহরতলীর পীরের বাজারে বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে ওই কিশোরী। সেখান থেকে পার্শ্ববর্তী পরগনা বাজার সংলগ্ন খুনীরচক এলাকায় পৌঁছামাত্র চার যুবকের খপ্পরে পড়ে। সেখানে যুবকরা তাকে তুলে নিয়ে নির্জন স্থানে রাতভর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন। সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করেন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমকে ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ভিকটিমের পরিবার মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পুলিশ অভিযুক্তদের শনাক্ত করেছে।
খুব দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
কক্সবাজারে ২ নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
যাত্রাবাড়ী থেকে যুবক ও কিশোরীর লাশ উদ্ধার
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অফিস থেকে এক যুবক ও এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
প্রতিষ্ঠানটির তত্ত্বাবধায়ক মিশেলকে (২৬) অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আরও পড়ুন: মূল চ্যালেঞ্জ হলো ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনা: জাপা মহাসচিব চুন্নু
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুল ইসলাম জানান, তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির নাম রহিম (২৫) এবং তিনি ‘বন্ধন এন্টারপ্রাইজের’ কর্মী। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহত মেয়েটির পরিচয় জানা যায়নি। মেয়েটির বয়স ছিল আনুমানিক ১৪ বছর।
তিনি আরও জানান, দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টার মধ্যে যে কোনো সময় তাদের মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, পুলিশের তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে, তারা ওই কক্ষে মদ পান করেছেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে ভাঙ্গা-যশোর রেলপথ নির্মাণ শেষ হবে: মন্ত্রী
রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব সম্পন্ন
১ বছর আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে এক কিশোরীর ফাঁস দেওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার লাউর ফতেপুর ইউনিয়নের বাশারুক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত সামিয়া আক্তার (১৫) উপজেলার লাউর ফতেপুর ইউনিয়নের বাশারুক গ্রামের বিল্লাল মাস্টার বাড়ির আবুল হোসেনের মেয়ে।
আরও পড়ুন: সিলেট নগরীতে রাস্তার পাশ থেকে লাশ উদ্ধার
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাশারুক গ্রামের পাশ্ববর্তী গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে সামিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারপর তারা পারিবারিকভাবে বিয়ে করে। বিয়ের পর তারা জানতে পারেন সামিয়ার স্বামী একজন মাদকসেবি।
তারা আরও জানান, পরে সামিয়া স্বামীর সঙ্গে রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। স্বামী মাদকাসক্ত ও বাবা-মায়ের কটাক্ষ কথা সহ্য না করতে পেরে সামিয়া আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব আলম বলেন, 'আজকে (বৃহস্পতিবার) সকালে এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।'
আরও পড়ুন: যশোরে অন্তঃসত্ত্বা নারীর ঝুলান্ত লাশ উদ্ধার
সাতক্ষীরায় পুলিশের উপপরিদর্শকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
বিয়ের ভয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইতালিয় কিশোরীর আত্মহত্যা
ইতালির মার্চে অঞ্চলের রাজধানী অ্যানকোনায় বাড়ির জানালা থেকে লাফিয়ে পড়ার তিন দিন পর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক ইতালিয় কিশোরীর (১৫) মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার অ্যানকোনার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়।
শুক্রবার পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের বাবা ছুটিতে তাকে গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল। নিহত কিশোরী জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ার কারণ হলো সে ভয় পেয়েছিল ‘তার পরিবার হয়তো বাংলাদেশে তার চেয়ে বয়স্ক এক ব্যক্তির সঙ্গে তাকে বিয়ে দিতে পারে।’
পুলিশ আরও জানায়, এই আত্মহত্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য তার বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইহুদি বিরোধী ছবি না আঁকার অভিযোগে দীর্ঘদিনের কার্টুনিস্টকে বরখাস্ত করল গার্ডিয়ান
স্পেনের একটি নাইটক্লাবে আগুনে ১৩ জনের মৃত্যু
১ বছর আগে
রানীরবন্দরে কিশোরীর হাত বাঁধা লাশ উদ্ধার
দিনাজপুরের রানীরবন্দরে এক কিশোরীর হাত বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার চিরিরবন্দরের ১নম্বর নশরতপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের পূর্ব পাশে ওয়েসিস স্কুলের পিছন থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত কিশোরী আইরিন আক্তার আলো (২০) চিরিরবন্দরে রানীরবন্দরের নদী পাড়ের বাসিন্দা আলম হোসেন কসাইয়ের মেয়ে।
পরিবার ও স্বজনরা জানান, রবিবার রাতে মায়ের সঙ্গে একই কক্ষে ঘুমিয়ে ছিল আইরিন। কিন্ত্র মধ্যরাত থেকে সে ঘরে ছিল না। এ সময় তার মোবাইল নম্বরে কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়। রাত আড়াইটা থেকে সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে সকালে খবর আসে বাড়ির পাশে পাকা ড্রেনে আইরিনের লাশটি পরে আছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ধানখেত থেকে যুবকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
চিরিরবন্দর থানার উপপরিদর্শক নুর আলম বাবু জানান, চিরিরবন্দরের ১ নম্বর নশরতপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের পূর্বপাশে ওয়েসিস স্কুলের পিছনে ড্রেনের মধ্যে হাত বাঁধা অবস্থায় আইরিনের লাশটি উদ্ধার করেছেন তারা। লাশ পড়ে ছিল বাড়ি হতে প্রায় একশ’ গজ পূর্বে বাঁশ ঝাড়ের ড্রেনে।
তিনি জানান, সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে ময়নাতদন্তে লাশ আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ধারণা করা করা হচ্ছে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয় আইরিন।
চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশিদ জানান, সম্ভাব্য কারণ আমলে নিয়ে হত্যার কারণ এবং হত্যায় জড়িতকে চিহ্নিত করতে তদন্ত শুরু করেছেন তারা।
দ্রুতই অপরাধী ধরা পড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে বরেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে গৃহ পরিচারিকার লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ
১ বছর আগে
মুন্সীগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড
মুন্সীগঞ্জে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া একই সঙ্গে কিশোরীর লাশ লুকিয়ে রাখার দায়ে তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) মুন্সীগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফয়জুন্নেসা এ রায় ঘোষণা করেন।
আসামি খোকন (৩৫) সিরাজদিখান উপজেলার বাবুল মিয়ার ছেলে ও একটি দর্জির দোকানের মালিক।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী লাবলু মোল্লা জানান, খোকন কৌশলে মেয়েটিকে তার দোকানে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। এরপর মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ইছামতি নদীতে ফেলে দেন।
২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট চাঁন সুপার মার্কেটে পোশাক তৈরি করতে খোকনের দোকানে যায় ওই কিশোরী। এ সময় তাকে দোকানে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন খোকন। পরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লদীতে লাশ ফেলে দেন।
গত ৩১ আগস্ট স্থানীয়রা কিশোরীর লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধারের পর সন্দেহজনকভাবে খোকনকে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা আব্দুল মতিন বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় একটি মামলা করে।
আরও পড়ুন: নাটোরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
রাবির অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল আবেদন খারিজ
১ বছর আগে
মাগুরায় কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
মাগুরার মহম্মদপুরে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের ঈদগার পাশে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত চারজরনের মধ্যে বাকি তিনজন পালিয়ে গেছে।
অভিযুক্তেরা হলো- উপজেলার মৌলভী জোকা গ্রামের আকবরের ছেলে আসকার (২৫) এবং ওই গ্রামের শামস শেখের ছেলে খাইরুল শেখ (৩৫), জাহিদ মোল্লার ছেলে আলআমিন (৩২) এবং অজ্ঞাত একজন।
ভুক্তভোগী জানায়, দীর্ঘদিন নানা-রকম প্রলোভন দেখিয়ে আশরাফুল নাম নিয়ে এলাকার একটি যুবক তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। রবিবার রাতে আশরাফুল ওরফে আশরাফের খালাতো ভাই পরিচয়ে খাইরুল নাম করে একজন ওই কিশোরীকে ভ্যানে করে পলাশবাড়িয়া বাজার সংলগ্ন ঈদগার কাছে নিয়ে যায়। এরপরে আসকার, খাইরুল শেখ, আলআমিনসহ আরও একজন তাকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ৮ বছরের শিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও হত্যা
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসিত কুমার রায় জানান, ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হলে তিনজন পালিয়ে গেলেও একজনকে আটক করতে সক্ষম হয় মহম্মদপুর থানা পুলিশ।
ওসি জানান, এ ঘটনায় মহম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানে হয়েছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
ফরিদগঞ্জে কিশোরীসহ ৩ জনের ‘আত্মহত্যা’
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথকভাবে কিশোরীসহ তিনজনের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। রবিবার (১১ জুন) ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) প্রদীপ মণ্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতেরা হলেন-উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম লাড়ুয়া গ্রামের রণি বেপারীর স্ত্রী তাসলিমা আক্তার (২২), উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সেকদি গ্রামের বারেক রেজার ছেলে প্রবাসফেরত তোফাজ্জল (৩০) এবং উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের নদনা গ্রামের আবদুর রবের মেয়ে ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী রূপা আক্তার (১২)।
আরও পড়ুন: চবির হলে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ছাত্রীর ‘আত্মহত্যা’
জানা যায়, স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা ধার করে আনতে চাপ দেয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম লাড়ুয়া গ্রামের রণি বেপারীর সঙ্গে তার স্ত্রী তাসলিমা আক্তারের বিবাদ হয়। এতে রাগে ও ক্ষোভে তাসলিমা আক্তার শনিবার (১ জুন) সকালে নিজ বসতঘরে থাকা কীটনাশক পান করেন।
পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করলে পথিমধ্যেই তিনি মারা যান। খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্বার করে থানায় নিয়ে আসে।
অন্যদিকে, উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সেকদি গ্রামের বারেক রেজার ছেলে প্রবাসফেরত তোফাজ্জল মিয়া পারিবারিক কলহের জের ধরে শনিবার নিজ বসতবাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পুলিশ শনিবার দুপুরে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
অন্যদিকে, মায়ের সঙ্গে অভিমান করে রূপা আক্তার নামের এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। রবিবার বিকালে উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের নদনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) প্রদীপ মণ্ডল জানান, ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ আত্মহত্যাকারী তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে।
তিনি জানান, শনিবার উপজেলার পশ্চিম লাড়ুয়া, সেকদি ও নদনা গ্রাম থেকে এসব লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. মান্নান জানান, সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ তিনটি লাশই উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিকালে চাঁদপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। তিনটি পৃথক অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা, এরপর স্বামীর ‘আত্মহত্যা’
মাগুরায় মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় স্কুলছাত্রের ‘আত্মহত্যা’
১ বছর আগে