ইউরিয়া সার
নরসিংদীতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ ইউরিয়া সার কারখানার উদ্বোধন
রবিবার (১২ নভেম্বর) নবনির্মিত ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি (জিপিইউএফএফ) উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ ইউরিয়া সার কারখানা।
আশা করা হচ্ছে, এই কারখানা দেশের সার আমদানি নির্ভরতা হ্রাস করতে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
নরসিংদীতে পরিবেশবান্ধব ও আধুনিক সার কারখানাটির বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১ মিলিয়ন মেট্রিক টন। সে হিসেবে কারখানাটি দৈনিক ২৮০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদন করতে সক্ষম।
ইউরিয়া সারের স্থানীয় চাহিদা বার্ষিক প্রায় ২৬ লাখ মেট্রিক টন। নবনির্মিত এই কারখানাটি পুরোদমে উৎপাদনে গেলে দেশে বছরে প্রায় ২০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদন করা যাবে।
তাই ইউরিয়া সারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে, কৃষকদের সাশ্রয়ী মূল্যে সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে, আমদানি কমিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করতে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কারখানাটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) প্রায় ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১০ একর জমিতে 'ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার প্রকল্প' বাস্তবায়ন করেছে। প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ ২০২০ সালের ১০ মার্চ শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী নরসিংদীতে ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধন করবেন রবিবার
মোট প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে ৪ হাজার ৫৮০ দশমিক ২১ কোটি টাকা সরকারি তহবিল থেকে এবং ১০ হাজার ৯২০ কোটি টাকা জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (জেবিআইসি), ব্যাংক অব টোকিও-মিতসুবিশি ইউএফজি লিমিটেড (এমইউএফজি) এবং হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন লিমিটেড (এইচএসবিসি) থেকে বাণিজ্যিক ঋণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসারে, শিল্প মন্ত্রণালয় বিদ্যমান দুটি সার কারখানা- ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিমিটেড (ইউএফএফএল) এবং পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিমিটেডের (পিইউএফএফএল) বদলে নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে একটি নতুন দানাদার ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নেয়।
মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (এমএইচআই) এবং চায়না ন্যাশনাল কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং নম্বর সেভেন কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসি-সেভেন) যৌথভাবে কারখানাটি নির্মাণ করেছে। যার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা হবে ৯ দশমিক ২৪ লাখ মেট্রিক টন।
নতুন কারখানার দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা আগের দুটি সার কারখানার তুলনায় প্রায় তিন গুণ বেশি।
জিপিইএফএফ বাংলাদেশের প্রথম সার কারখানা, যেখানে প্রাথমিক সংস্কারক ফ্লু গ্যাস থেকে পরিবেশ দূষণকারী কার্বন-ডাই-অক্সাইড (সিও২) ধারণ করা হবে এবং ক্যাপচার করা সিও২ ব্যবহার করে ইউরিয়া সারের উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে (প্রায় ১০ শতাংশ)।
প্রধানমন্ত্রী কারখানার উদ্বোধন উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারখানা পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: অসম্পূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প শেষ করতে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন: শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের অগ্রগতি এখন সবার কাছে দৃশ্যমান: শেখ হাসিনা
১ বছর আগে
ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়ল: কৃষি মন্ত্রণালয়
প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের জন্য কৃষকদের আরও ছয় টাকা বেশি খরচ করতে হবে। সোমবার থেকে এ নতুন দাম কার্যকর হবে। বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে এ নতুন দাম ঘোষণা করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের এক হ্যান্ডআউটে বলা হয়েছে, ইউরিয়া সার এখন থেকে কৃষক পর্যায়ে কেজি প্রতি ১৬ টাকার পরিবর্তে ২২ টাকায় বিক্রি হবে এবং ডিলার পর্যায়ে কেজি প্রতি ১৪ টাকা থেকে ২০ টাকায় দাম পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।
হ্যান্ডআউট অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের দাম বর্তমানে ৮১ টাকা। স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি ৬ টাকা বাড়ানো সত্ত্বেও সরকারকে প্রতি কেজিতে ৫৯ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী
২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে সরকার প্রতি কেজি ইউরিয়া সারে ১৫ টাকা ভর্তুকি দিয়েছিল।
আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম তিন থেকে চার গুণ বেড়েছে এবং এর ফলে প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণে সরকারের ভর্তুকি চার গুণ বেড়েছে।
২০২০-২০২১ অর্থবছরে সরকার যেখানে সারের জন্য সাত হাজার ৭১৭ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে সেখানে ২০২১-২২ অর্থবছরে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ২৮ হাজার কোটি টাকা।
২ বছর আগে
দেশে ৯ লাখ ৩৫ হাজার টন ইউরিয়া মজুদ আছে: মন্ত্রণালয়
দেশে বর্তমানে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইউরিয়া সার মজুদ আছে উল্লেখ করে সোমবার শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিসিআইসির নিয়ন্ত্রাধীন সব সার কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে উৎপাদন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
৪ বছর আগে