এলপি গ্যাস
খুলনায় এলপি গ্যাস সংকট, বিপাকে ক্রেতারা
খুলনার বাজারে হঠাৎ করে এলপি (লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম) গ্যাসের সংকট দেখা দিয়েছে। খুচরা বিক্রেতারা টাকা দিয়েও গ্যাস কিনতে পারছেন না।
গ্যাস নিয়ে লুকোচুরির কারণে খুচরা পর্যায়ে দাম বেড়ে গেছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। কৃত্রিম সংকট তৈরি হওয়ায় বেশি দাম দিয়েই গ্যাস কিনতে বাধ্য হচ্ছেন জানিয়েছেন গ্রাহকরা।
আরও পড়ুন: এলপি গ্যাসের দাম কেজি প্রতি কমল ৮.৬৮ টাকা
গত কয়েকদিন নগরীর শেখপাড়া, ময়লাপোতা মোড়, সঙ্গিতা সিনেমা হলের মোড়, শেখপাড়া বাজার, মিস্ত্রিপাড়া বাজারসহ ১০টির বেশি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পরিবেশক ও খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে দু-একটি কোম্পানির বাইরে কোনো এলপি গ্যাস সিলিন্ডার নেই। আগে যেখানে তারা ছয়-সাতটি কোম্পানির এলপি গ্যাস রাখতেন, এখন তারা দু-তিনটি কোম্পানির কাছ থেকে সিলিন্ডার গ্যাস পাচ্ছেন। খালি সিলিন্ডার পড়ে আছে অনেক বিক্রেতার দোকানে।
নগরীর শামসুর রহমান সড়কের এলপি গ্যাস বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতি মাসে ছয়টি অপারেটরের প্রায় ২০০টি এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি করেন তিনি। অপারেটরদের কাছ থেকে সরবরাহ না পাওয়ায় গত মাসে তার ৪০ শতাংশ ব্যবসা কমেছে।
তিনি জানান, বেশি দাম দিয়েও এলপি গ্যাস দোকানে তুলতে পারছেন না তিনি। স্বাভাবিক সরবরাহ দেয়া কোম্পানিগুলো এখন সরবরাহ করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। অগ্রিম টাকা দিয়েও পাবেন কিনা সে আশা পাচ্ছেন না তিনি।
একই কথা জানান গোবরচাকা বউ বাজারের মুদি ব্যবসায়ী সবুজ। তিনি জানান, প্রতি মাসে দুটি এলপিজি কোম্পানি অন্তত ৫০টি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করলেও এখন ঠিকমতো পণ্য পাচ্ছেন না। গ্যাসের সংকট জানিয়ে সরবরাহকারীরা পণ্য ডেলিভারি দিচ্ছেন না। তবে বেশি দাম অফার করলে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সরবরাহ কমার বিষয়ে কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাড়া পাওয়া যায়নি। এছাড়া গণমাধ্যমে তাদের বক্তব্য দিতে নিষেধ রয়েছে বলে জানান কয়েকজন।
তাদের ভাষ্য মতে, ডলার সংকটে পণ্য আমদানিতে চাহিদা অনুযায়ী ব্যাংকে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে না পারায় বেশির ভাগ কোম্পানি ব্যবসায়িকভাবে লোকসানে পড়েছে। এরই মধ্যে সব কোম্পানির বিপণন ৪০-৫০ শতাংশ কমে গেছে।
নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনে (২ জানুয়ারি) এলপি গ্যামের দাম কমিয়ে দেয় সরকার। ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৬৫ টাকা কমিয়ে এক হাজার ২৩২ টাকা নির্ধারণ করে সরকার।
দাম কমানোর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান আবদুল জলিল জানান, ডিসেম্বর মাসের জন্য সৌদি আরামকোর প্রোপেন ও বিউটেনের ঘোষিত সৌদি কন্ট্রাক্ট প্রাইস প্রতি মেট্রিক টন ৬৫০ মার্কিন ডলার ছিল। জানুয়ারি মাসে যা কমে যায় ৫৯০ ও ৬০৯ ডলারে।
কিন্তু বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক হাজার ৩৫০ টাকার নিচে কোনো গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। বসন্ধুরা গ্যাসের সরবরাহ কম থাকায় ওই গ্যাস বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৪৫০ টাকায়। আবার কোনো কোনো বিক্রেতা ১৫০০ টাকায়ও গ্যাস বিক্রি করছেন।
সার্বিক বিষয় নিয়ে খুলনা এলপি গ্যাস দোকান মালিক সমিতির সভাপতি তোবারক হোসেন তপু বলেন, কোম্পানিগুলো গ্যাস দিচ্ছে না। ৫০ সিলিন্ডার চাইলে ১০টি দিচ্ছে। তারা আমাদের বলছে, এলসি খোলা যাচ্ছে না, ডলার সংকট। সত্য-মিথ্যা তারাই জানে।
তিনি বলেন, খুচরা বিক্রেতাদের হাতে কিছু নেই। গ্যাস বিক্রি নিয়ন্ত্রণ করে ৮/১০টি কোম্পানি। তারা যা বলবেন, সেটাই মেনে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় এলপি গ্যাস ক্রস ফিলিং চক্রের ৩ সদস্য আটক
খুলনায় এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ঊর্ধ্বমুখী
১ বছর আগে
এলপি গ্যাসের দাম কেজি প্রতি কমল ৮.৬৮ টাকা
তিন মাস ধরে দামের ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
বিইআরসির ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতি কেজি এলপি গ্যাসের দাম ৮ দশমিক ৬৮ টাকা কমে উপভোগ করবেন গ্রাহকরা। পূর্বের ১১৯ দশমিক ৯৪ টাকার পরিবর্তে ১১১ দশমিক ২৬ টাকা নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
১২ কেজি এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ভ্যাটসহ এক হাজার ৩৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে যা গত মাসে ছিল এক হাজার ৪৩৯ টাকা। এর ফলে এতে দাম কমেছে ১০৪ টাকা।
বৃহস্পতিবার বিকালে এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল।
তিনি বলেন, এলপিজির নতুন মূল্য যুক্তিসঙ্গতভাবে পাঁচ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত অন্যান্য সিলিন্ডারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
আরও পড়ুন: ২০ নয়, এক জায়গায় সব সুবিধা পাবে এলপিজি ব্যবসায়ীরা
এছাড়া মোটরগাড়িতে ব্যবহৃত অটো গ্যাসের লিটার প্রতি দাম ৬৭ দশমিক ০২ টাকা থেকে কমিয়ে ৬২ দশমিক ২১ টাকা নির্ধারণ করেছে বিইআরসি।
আব্দুল জলিল বলেন, বিশ্বব্যাপী সৌদি সিপির (চুক্তি মূল্য) দাম কমায় স্থানীয় গ্রাহকরা এ সুবিধা পাচ্ছেন। কেননা বাংলাদেশি বেসরকারি এলপিজি অপারেটররা মূলত সৌদি সিপির ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার থেকে গ্যাস আমদানি করে।
তবে তিনি বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত এলপি গ্যাস কোম্পানির বাজারজাত এলপিজির দামে কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ এটি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১২ কেজি এলপিজির দাম সর্বনিম্ন এক হাজার ২২৫ টাকা ছিল এবং তা ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসে ক্রমাগত বৃদ্ধি পায়।
২ বছর আগে
খুলনায় এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ঊর্ধ্বমুখী
খুলনায় লিকুইফাইড বা তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম (এলপি) গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ঊর্ধ্বমুখী।
৪ বছর আগে
পরিত্যক্ত পলিথিন পুড়িয়ে জ্বালানি তেলসহ এলপি গ্যাস উদ্ভাবন
কুড়িগ্রাম ০৭ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- কুড়িগ্রামে পরিত্যক্ত পলিথিন পুড়িয়ে অকটেন, পেট্রোল, ডিজেল ও এলপি গ্যাস উৎপন্ন করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন রোস্তম আলী নামে এক শিক্ষার্থী।
৫ বছর আগে