কঠোর ব্যবস্থা
আইনশৃঙ্খলার অবনতি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: রাঙ্গামাটিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ভবিষ্যতে যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘যারা ভবিষ্যতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করবে, তাদের হাত ভেঙে দেওয়া হবে।’
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাঙ্গামাটির রিজিয়নের প্রান্তিক হলে বিগত দুই দিনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এইসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার সুফল ভোগ করবে জনগণ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে তার জন্য আমরা একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করব। আইনশৃঙ্খলা কোনো অবস্থায় অবনতি হতে দেওয়া যাবে না। এর জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি। কেউ যদি আইনশৃঙ্খলার অবনতি করে, তাদের কোনো অবস্থায় ছাড় দেওয়া হবে না।’
আইনশৃঙ্খলা উন্নতির জন্য সব সম্প্রদায়কে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি। পাহাড়ে যাতে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকে, সেজন্য তিনি জনগণদের বোঝানোর জন্যও বলেন।
এসময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, পাহাড়ে সবাই সম্প্রীতি চাই কিন্তু সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তারা যাতে পাহাড়কে নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে না পারে তার জন্য সবাইকে সজাগ থাকে হবে।
আরও পড়ুন: মাদকের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
সভায় পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ, জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাইনুর রহমান, রাঙ্গমাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খানসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।
এদিকে, খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাঙ্গামাটিতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যাতে না হয় তার জন্য প্রশাসনের ১৪৪ ধারা বলবৎ আছে। অপর দিকে তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড়ি ছাত্র-জনতার ডাকে ৭২ ঘণ্টার অবরোধ চলমান। সড়ক ও নৌপথ অবরোধ ও যানবাহনের ধর্মঘটের কারণে রাঙ্গামাটিতে সবকটি সড়ক ও নৌ পথে সব ধরনের যানবাহন ও নৌ পথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। শহরে এখনও পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে। শহরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অনুপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১ মাস আগে
ভাঙচুরের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস, রবিবার থেকে সব পোশাক কারখানা খুলছে
সরকারকে অস্থিতিশীল করতে এবং অর্থনীতির ক্ষতি করতে কেউ কারখানা বন্ধ করার চেষ্টা করলে তাদের কথা মনে রাখা হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
শনিবার উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে 'তৈরি পোশাক কারখানায় চলমান সংকট ও সম্ভাব্য সমাধান' শীর্ষক মত বিনিময় সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
আদিলুর রহমান বলেন, 'তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ মোকাবিলায় সরকার বিশেষ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করবে।’
আরও পড়ুন: নিরাপত্তার আশ্বাসের পরও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ, ২২টি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়, আগামীকাল রবিবার থেকে দেশের সব পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া হবে।
তবে কোনো কারখানার শ্রমিকরা কাজ না করলে, কাজ না করে কারখানা ত্যাগ করলে বা কারখানায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলেই কেবল দেশ ও শিল্পের স্বার্থে এবং চাকরি রক্ষার্থে ওই কারখানার মালিক শ্রম আইন ১৩(১) অনুযায়ী বা কাজ না করলে বেতন নাই (নো ওয়ার্ক নো পে) ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, মেজর জেনারেল মঈন খান, শিল্প পুলিশের প্রধান সিগাত উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিকেএমইএ সভাপতি, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এবং বিজিএমইএর সাধারণ সদস্যরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: শনিবার আশুলিয়ায় অধিকাংশ পোশাক কারখানা খুলেছে
শ্রমিকদের পক্ষে মত বিনিময় সভায় অংশ নেন জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আখতার, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মন্টু ঘোষ, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোসরেফা মিশুসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।
সভায় পোশাক খাতে চলমান শ্রম পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান উৎস ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা আগামীকাল থেকে সব পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার আহ্বান জানান। তারা নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে বলেন, কোনো কারখানায় অশান্তি হলে সরকার বিশেষ ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় অস্থিরতার কারণে বন্ধ শতাধিক পোশাক কারখানা
২ মাস আগে
‘গ্রেপ্তার বাণিজ্যের’ বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা ডিএমপির
সহকর্মীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার বলেছেন, কোনো পুলিশ সদস্য যদি ‘গ্রেপ্তার বাণিজ্যের’ দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি ভোগ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘যেদিন থেকে ব্লক রেইডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেদিন থেকেই গ্রেপ্তার বাণিজ্য বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।’
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ডিএমপি সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
গ্রেপ্তার বাণিজ্য হলো এক প্রকার দুর্নীতি, যেখানে টাকার বিনিময়ে কাউকে গ্রেপ্তার কিংবা ছেড়ে দেয় পুলিশ।
বিপ্লব কুমার বলেন, ‘এ ধরনের (গ্রেপ্তার বাণিজ্য) অভিযোগ পেলে শুধু দায়ী পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারই করা হবে না, তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’
সাম্প্রতিক সহিংসতা চলাকালে গোলাগুলির ভিডিও ফুটেজ নিয়ে পুলিশ বিব্রত কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘প্রতিটি ঘটনার বিচার করতে হবে। যদি আমাদের কোনো সদস্য গুলি করে থাকেন, তবে তিনি যে প্রেক্ষাপটে গুলি করেছেন তা পর্যালোচনা করা হবে। প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করা হবে। যাতে পুলিশ পক্ষপাতদুষ্ট- এমন প্রশ্ন না ওঠে।’
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলনের ১৫ দিনে ঢাকায় গ্রেপ্তার ২৫৩৬: ডিএমপি
সাধারণ শিক্ষার্থীদের আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থী, জনগণ ও নিরীহ মানুষকে গ্রেপ্তারের কোনো সুযোগ নেই।’
‘ব্লক অভিযানে ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে নিরীহ মানুষ পুলিশের দ্বারা হয়রানির শিকার না হয়। তাই বলে অপরাধের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়ারও সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, মেট্রোরেল, সেতু ভবন, টোল প্লাজায় হামলাকারী এবং জামায়াত-শিবির সিন্ডিকেট ও বিএনপির অপরাধীদের টার্গেট করে শনাক্ত করেছে পুলিশ। ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ ব্যবহার করে এসব কাজ করা হচ্ছে।
তিনি জানান, ঢাকা মহানগরীতে সাম্প্রতিক সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৫০টি থানায় ২৬৮টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোট ২ হাজার ৮৫০ জনকে।
আইনশৃংখলা রক্ষায় পুলিশ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে এবং ডিএমপি কমিশনার তা মনিটরিং করবেন বলেও এসময় আশ্বাস দেন তিনি।
আরও পড়ুন: সাম্প্রতিক সহিংসতায় আরও ১৪ মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার ২৪৩: ডিএমপি
৩ মাস আগে
দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার র্যাবের নতুন ডিজির
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক হারুন অর রশীদ দুর্নীতিতে জড়িত না হতে কর্মীদের সতর্ক করে বলেছেন, আইন অমান্য করলে সর্বোচ্চ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে নতুন মহাপরিচালক জোর দিয়ে বলেন, র্যাব সদস্যদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
আরও পড়ুন: আরসার 'অপরাধীদের' বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত: র্যাব
দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স ঘোষণার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, 'নমনীয়তার কোনো সুযোগ নেই। যেকোনো অপরাধীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা এই ঘোষণার ফলাফল দেখতে চাই।’
ব্যারিস্টার রশিদ র্যাব সদস্যদের যেকোনো ধরনের বেআইনি ও অপেশাদার আচরণ পরিহার করার আহ্বান জানান। ‘এলিট ফোর্সের সদস্যদের অবশ্যই দক্ষ, মেধাবী ও অভিজ্ঞ হতে হবে। আইন মেনে চলাই পেশাদারিত্ব।’
মহাপরিচালক র্যাবের ওপর জনগণের আস্থা ও নির্ভরতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি র্যাবের সব সদস্যকে এ লক্ষ্যে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, পেশাদারিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তরুণ প্রজন্মের ওপর মাদকাসক্তির ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরে র্যাবের নতুন ডিজি সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে প্রচেষ্টা জোরদার করার অঙ্গীকার করেন। সারাদেশে কিশোর গ্যাং কার্যক্রম নির্মূলেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তিনি।
আরও পড়ুন: দায়িত্ব নিলেন র্যাবের নতুন ডিজি
র্যাবের নতুন ডিজি হারুন-অর-রশিদ
৪ মাস আগে
কৃষকদের হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কৃষকদের হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া এবার থেকে কৃষকরা ফোনে অভিযোগ জানাতে পারবেন।
তিনি বলেন, বোরো ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ও দাম নির্ধারণ করা হয়। বোরোতে এবার ১৭ লাখ টন ধান ও চাল কিনবে সরকার।
এরমধ্যে- ৫ লাখ টন ধান, ১১ লাখ টন সিদ্ধ চাল, এক লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ধান ৩২ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৫ টাকা এবং আতপ চাল ৪৪ টাকা। একইসঙ্গে ৩৪ টাকা দরে ৫০ হাজার টন গম কেনারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: আম রপ্তানি বাড়াতে এফএও’র সহায়তা চান খাদ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার (৭ মে) সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ অফিস কক্ষে ভার্চুয়ালি বিভিন্ন জেলার সঙ্গে যুক্ত হয়ে ধান-চাল ও গম কেনা কর্মসূচি উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চললেও জুনের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৭০ শতাংশ অর্জনের নির্দেশন দিয়েছেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা বোরো মৌসুমে ধান, চাল ও গম কেনার উদ্বোধন করেছি। এর আগে (২১ এপ্রিল) আমরা খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় লক্ষ্যমাত্রা ও দাম নির্ধারণ করেছি।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিভিন্ন পয়েন্টে জেলা প্রশাসকরা উপস্থিত ছিলেন। আরসি ফুড (আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক), ডিসি ফুড (জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক), কৃষি উপপরিচালক, কৃষক, চালকল মালিকরা ছিলেন। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের নির্দেশনা দিয়েছি।
তিনি বলেন, নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে সঠিক সময়ে সংগ্রহ (ধান, চাল ও গম) করতে হবে। আমরা জুন মাসের মধ্যে ৭০ শতাংশ সংগ্রহ করার জন্য বলেছি। হাওরের ধানকে প্রাধান্য দিয়ে হাওয়ের বরাদ্দ বেশি দিয়েছি। কৃষক যাতে হয়রানিরি শিকার না হয়, সেজন্য প্রতি ইউনিয়নে তিনজন কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তার কাছে একটি করে ময়েশ্চার মিটার (ধানের আর্দ্রতা মাপার যন্ত্র) দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারি খাদ্য গুদামে হয়রানি করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, যে কৃষকরা ধান দেবেন বলে আবেদন করেছেন, তালিকা পাঠিয়েছেন, তাদের বাড়ি গিয়ে মিটার দিয়ে ধান পরীক্ষা করে আসবেন। আর্দ্রতা ১৪ শতাংশের বেশি থাকলে তাদের বলবেন আরও শুকিয়ে ১৪ শতাংশে নিয়ে আসেন। যাতে কৃষক হয়রানি না হয় সেজন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়েছি এডিবি ফান্ডের কৃষির অংশ থেকে আরও ময়েশ্চার মিটার কিনে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দেওয়ার জন্য।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, গোডাউনে ধান দিতে এসে কোনো শ্রমিক যেন কৃষকদের হয়রানি না করেন, সেজন্য ডিসি ও আমাদের কর্মকর্তাদের নজর রাখতে বলেছি। কোনো কৃষক যেন কোনোভাবে অপমানিত ও হয়রানি না হয়, সেই বিষয়ে আমরা সদা সচেষ্ট থাকব। যদি সেটা (কৃষককে হয়রানি) করে তবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
অভিযোগ জানাতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দুটি নম্বর দিয়ে দেওয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যাতে ওই নম্বরে কৃষক বা কোনো ব্যক্তি ফোন করে হয়রানির কথা জানাতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি ধান ও চালের গুণগত মান যাতে ভালো হয়, কোয়ালিটির সঙ্গে যাতে কোনো আপস না হয় সেটাই আমরাদের নির্দেশনা।
তিনি বলেন, গত বছর আমরা লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছি, এবারও লক্ষ্যমাত্রা পার হবে। চালের বস্তার গায়ে ধানের জাত ও দাম লেখার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন সর্বদা: খাদ্যমন্ত্রী
৬ মাস আগে
বাজার কারসাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনি ইশতেহারে আমরা বলেছিলাম, দ্রব্যমূল্য যেন মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে সেটি আমাদের অগ্রাধিকার।
তিনি বলেন, সেই অগ্রাধিকার নিয়ে আমরা কাজ করছি এবং বাজারের অসাধু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার সব রকম ব্যবস্থা নেবে।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে এলডি হল চত্বরে রাঙ্গুনিয়া সমিতি, ঢাকা আয়োজিত সংবর্ধনা, মেজবান ও মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি রোজা-রমজান, ঈদ কোনোটাই মানে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ দেশে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোজার আগেই কিছু পেঁয়াজ বাজারে ঢুকবে, কাজেই বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল আছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাজারের অসাধু লোভাতুর সিন্ডিকেট কারণে-অকারণে নানা অজুহাতে বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বাড়ায়। আমরা দেখেছি, একটি কোল্ড স্টোরেজের ভেতর থেকে দেড় লাখ ডিম উদ্ধার করা হয়েছে। অতীতে পেঁয়াজের সংকট তৈরি করা হয়েছিল।’
৮ মাস আগে
স্বাস্থ্যখাতের অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য খাতের অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেছেন, এখন থেকে বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম চালাতে হলে সরকারি নিয়ম মেনে চলতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, 'আমরা লক্ষ্য করছি যে, কিছু অসাধু ব্যক্তি সরকারি বিধি-বিধানের তোয়াক্কা না করে ব্যবসায়িক স্বার্থে সর্বত্র হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুলে মানুষের জীবন নিয়ে ব্যবসা করছে।’
বৃহস্পতিবার(২২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এক বিশেষ বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে আগ্রহী ব্রিটিশ সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সামন্ত বলেন, ১ হাজার ২০০ অনিবন্ধিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দক্ষ চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ান নেই। অথচ তারা কীভাবে চলছে এবং রোগীরা কীভাবে সেবা পাচ্ছেন তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
তিনি জানান, তারা ইতোমধ্যে দেশের এক হাজার অনিবন্ধিত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছেন এবং বাকিগুলো বন্ধ করার চেষ্টা চলছে।
বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য ১০ দফা গাইডলাইন নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নির্দেশনা উপেক্ষা করলে লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ভয়ভীতি মুক্ত ও নিরপেক্ষ থেকে মানুষের সেবায় কাজ করে যাব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এখানে নির্দেশিকাগুলো হলো-
১. প্রাইভেট ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিকের লাইসেন্সের কপি প্রতিষ্ঠানের মূল ফটকের সামনে দৃশ্যমান স্থানে স্থায়ীভাবে প্রদর্শন করতে হবে।
২. সকল বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সকল তথ্য সংরক্ষণ ও সরবরাহের জন্য একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা বা কর্মচারী থাকতে হবে এবং তার ছবি ও মোবাইল নম্বর দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করতে হবে।
৩. যেসব প্রতিষ্ঠান ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতাল নামে আছে কিন্তু তাদের কেবল ডায়াগনস্টিক বা হাসপাতালের লাইসেন্স আছে তারা লাইসেন্স ছাড়া নামে উল্লেখিত সেবা কোনোভাবেই প্রদান করতে পারবে না।
৪. ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির ক্ষেত্রে যে ক্যাটাগরিতে লাইসেন্স গ্রহণ করা হয়েছে সে ক্যাটাগরিতে নির্ধারিত পরীক্ষা ব্যতীত অন্য কোনো পরীক্ষা করা যাবে না এবং ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্যাথলজি বা মাইক্রোবায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ও রেডিওলজি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিতে হবে।
৫. বেসরকারি ক্লিনিক বা হাসপাতালের ক্ষেত্রে লাইসেন্সের ধরন ও শয্যা সংখ্যা অনুযায়ী সব শর্ত বাধ্যতামূলকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
৬. হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়োজিত সব চিকিৎসককে অবশ্যই পেশাদার ডিগ্রির সনদের কপি, বিএমডিসির হালনাগাদ নিবন্ধন ও নিয়োগপত্রের কপি সংরক্ষণ করতে হবে।
৭. হাসপাতাল বা ক্লিনিকের ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের অপারেশন বা অস্ত্রোপচার বা পদ্ধতির জন্য নিবন্ধিত চিকিৎসককে সার্জনের সহকারী হিসেবে রাখতে হবে।
৮. লাইসেন্সপ্রাপ্ত বা নিবন্ধিত হাসপাতাল ও ক্লিনিক ব্যতীত কোন অবস্থাতেই চেম্বার বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এনেসথেসিয়া প্রদান করা যাবে না। বিএমডিসি স্বীকৃত বিশেষজ্ঞ অ্যানেসথেটিস্ট ছাড়া কোনো অপারেশন বা সার্জারি বা ইন্টারভেনশনাল অপারেশন করা যাবে না।
৯. সকল বেসরকারি নিবন্ধিত বা লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল বা ক্লিনিককে অবশ্যই লেবার রুম প্রটোকল মেনে চলতে হবে।
১০. নিবন্ধিত বা লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল বা ক্লিনিকে অপারেশন থিয়েটার অবশ্যই অপারেশন থিয়েটার শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে।
আরও পড়ুন: কোটি টাকার অপারেশন দেশে বিনামূল্যে হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৮ মাস আগে
কাজে অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
ভাঙন ঠেকাতে যমুনা নদীর বাম তীর বরাবর ৬ কিলোমিটার পর্যন্ত জিও ব্যাগ দিয়ে নদী তীর প্রতিরক্ষামূলক কাজের উদ্বোধন করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
দীর্ঘদিন টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ, বলরামপুর ও নিশ্চিন্তপুর এলাকা এবং মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারি এলাকা ভাঙন ঝুঁকিতে ছিল।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, এই এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন অনেক কষ্ট করেছেন। নিশ্চিন্তপুর একটি গ্রাম ছিল সেই গ্রাম এখন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অনেক মানুষ নিজের বাড়ি-ঘর, জমি হারিয়েছে। প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে আছেন। আজ তাদের খুশির দিন।
এসময় বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে শুরু করে আরিচা ঘাট পর্যন্ত একটি রিংরোড করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) যমুনা পাড়ে জিও ব্যাগ দ্বারা নদী তীর প্রতিরক্ষামূলক কাজের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: পাট ও চামড়া খাতে বিনিয়োগে ইইউ ও যুক্তরাজ্যের প্রতি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাস্তবায়িত এই প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্টদের নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই কাজে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না। কেউ অনিয়ময়ে জড়িত থাকলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আহসানুল ইসলাম টিটু জানান, আজকে স্থায়ী বাঁধের কার্যক্রম শুরু হলো নদীতে জিও ব্যাগ ফেলার মাধ্যমে। এরপর সিসি ব্লক দেওয়া হবে। এই প্রকল্পের শুরু হতে সম্পৃক্ত থেকে কাজ করার জন্য পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এবং সাবেক পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীমকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান।
দেলদুয়ার ও নাগরপুর উপজেলায় রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণসহ অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চলমান উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই বাঁধের কাজ শুরু করতে না পারা আমার একটা অপূর্ণতা ছিল। আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে স্থায়ী বাঁধের কাজটা শুরু করতে পারলাম। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দুঃখ মোচন হতে চলেছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, নদীর পাশে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে গিয়ে হয়তো অনেকের জমি লাগতে পারে। যাদের জমি সরকারি কাজে লাগবে ইউএনও'র মাধ্যমে তাদের তালিকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কাউকে বাধা না দেওয়ার অনুরোধ করে সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
এর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তার নির্দেশনা অনুযায়ী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনার ও রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
তিনি জানান, করোনা মহাসংকটের পর ইউক্রেন-রাশিয়া এবং ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণে পণ্য পরিবহনে জাহাজ চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় সারাবিশ্বে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরও জানান, যার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছে। সরকার সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা বিবেচনা করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নাগালে রাখার চেষ্টা করছে।
আহসানুল ইসলাম বলেন, সরকার ব্যবসায়ীদের সবধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে কিন্তু কেউ অন্যায়ভাবে অতি মুনাফার লোভে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
আসন্ন রমজান মাসে চিনি-তেল এবং খেজুরসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, পবিত্র এই মাসে বিশ্বের সব মুসলিম দেশ পণ্যের দাম কমিয়ে দেয় আর আমরা বাড়িয়ে দেই।
এই প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসার জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানান।
টিটু বলেন, চক্রান্ত এখনো শেষ হয়নি। দেশি-বিদেশি চক্রান্ত চলমান রয়েছে। আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চাইলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
৯ মাস আগে
দৃষ্টিনন্দন স্ট্রিট আর্টে পোস্টার লাগালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি ডিএনসিসি মেয়রের
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে যেসব দৃষ্টিনন্দন শিল্পকর্ম (স্ট্রিট আর্ট) বা গ্রাফিতি আঁকা করা হয়েছে, সেগুলোর উপর পোস্টার লাগালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, 'আমরা শহরকে দৃষ্টিনন্দন করার অনেক কাজই করি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সে কাজগুলো কিছুদিন পরেই পোস্টারের আড়ালে ঢেকে যায়। মহাখালীতে যে দৃষ্টিনন্দন স্ট্রিট আর্ট করা হয়েছে, তার ওপর আমি কোনো পোস্টার দেখতে চাই না। যে পোস্টার লাগাবে তাকে সবাই মিলে প্রত্যাখান করব। এত সুন্দর চিত্রকর্মে পোস্টার লাগালে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব। পোস্টার লাগিয়ে এই শহরকে নোংরা করার অধিকার কারো নেই। যারা পরিবেশ নষ্ট করে, তাদের ধিক্কার জানাতে হবে।'
আরও পড়ুন: উন্নয়নকৃত মাঠ ও পার্ক রক্ষায় ডিএনসিসি মেয়রের আহ্বান
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভারে দৃষ্টিনন্দন স্ট্রিট আর্ট পরিদর্শন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএনসিসি মেয়র এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য, ডিএনসিসির উদ্যোগে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের সহযোগিতায় বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে মহাখালী ফ্লাইওভারে স্ট্রিট আর্ট শুরু হয়েছে। স্বাধীনতার মাস মার্চের মধ্যে পুরো মহাখালী ফ্লাইওভারের স্ট্রিট আর্ট সম্পন্ন করা হবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'আমরা এই শহরে কীভাবে সুস্থ থাকতে পারি সেই চেষ্টা করি। অনেকে দেখেছেন মগবাজার ফ্লাইওভারের পিলারগুলো পোস্টারে ছেয়ে থাকত। আমরা সেখানে দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতি এঁকে দিয়েছি। ঈদের সময় দেখলাম একজন বাবা তার ছোট মেয়েকে নিয়ে সেই গ্রাফিতির সামনে ছবি তুলছে। এটাই আমাদের স্বার্থকতা।’
ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, 'আমরা একটি সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা চাই। বিজয়ের মাসে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে বলতে চাই ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশ দেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব আমাদের। নির্বাচন এলেই ঢাকা শহর পোস্টারে ঢেকে যায়। স্মার্ট বাংলাদেশে আমরা কেন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন করতে পারছি না? নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে। আমি সবাইকে অনুরোধ করতে চাই—নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া পোস্টার লাগানো যাবে না।'
তিনি বলেন, 'মুক্তিযোদ্ধারা চেয়েছিলেন লাল সবুজের পতাকা। তাঁরা চেয়েছিলেন বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হবে। আমরা পরাধীন থাকব না। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে স্বাধীনতা মানেই রাস্তায় ময়লা ফেলে দেওয়া না। স্বাধীনতা মানেই আইন ভঙ্গ করা না। স্বাধীনতা মানেই লাল লাইট জ্বলার পরেও গাড়ি চালানো না। দেশটাকে ও শহরটাকে রক্ষার দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে।'
মহাখালী ফ্লাইওভারের স্ট্রিট আর্ট রক্ষায় জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, এতো কষ্ট করে, এতো খরচ করে নান্দনিকভাবে সাজানো হচ্ছে। এটি রক্ষা করতে নগরবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে, কাউন্সিলরদের এগিয়ে আসতে হবে।
বলেন, 'কাউলা এক্সপ্রেসওয়ের নিচের প্লে জোন শিগগিরই চালু করে দেওয়া হবে। মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচে ফাকা জায়গায় টেবিল টেনিস বোর্ড এবং দাবা খেলার বোর্ডের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।’
বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি মেয়র নিজে রঙ তুলির মাধ্যমে আর্ট করে চিত্রশিল্পীদের উৎসাহিত করেন।
পরিদর্শনকালে ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুলকার নায়ন, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মাকসুদ হাসেম, চিত্রশিল্পী মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বস্তিতে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ঘোষণা ডিএনসিসি মেয়রের
শহর গড়তে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান ডিএনসিসি মেয়রের
১১ মাস আগে
ফিলিং স্টেশন মালিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার না হলে সোমবার থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: বিপিসি
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) পরিচালক অনুপম বড়ুয়া বলেছেন, সংগঠনটি দেশের পেট্রোলিয়াম জ্বালানি সরবরাহ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং পেট্রোল পাম্প মালিকরা চলমান ধর্মঘট প্রত্যাহার না করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ফিলিং স্টেশন মালিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার না হলে এবং সারাদেশে জ্বালানি সরবরাহ ব্যাহত হলে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) নগরীর বিপিসির অঙ্গ প্রতিষ্ঠান যমুনা অয়েল কোম্পানির বোর্ডরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পেট্রোল পাম্প মালিকদের কিছু দাবি পূরণ হয়েছে এবং বাকিগুলো বিবেচনাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিপিসি’র বর্ধিত কার্যক্রম পরিচালনায় জনবল বাড়ানোর তাগিদ
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সরকার ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় নিয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে কোনো আন্দোলন গ্রহণযোগ্য নয়।
এদিকে, বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিপিওএ) একটি অংশের নেতারা দাবি করেছেন, অন্য উপদলের নেতারা যারা ধর্মঘট ডেকেছে তারা সংগঠনের কেউ নয়।
ধর্মঘটের বিরোধিতাকারী বিপিপিওএ-এর সভাপতি নাজমুল হক বলেন, তহবিলের অপব্যবহার করার জন্য ওই নেতাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
নগরীর যমুনা অয়েলের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যেহেতু সরকার ইতোমধ্যে আমাদের তিনটি দাবির একটি পূরণ করেছে এবং ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাকি দুটি পূরণের আশ্বাস দিয়েছে তাই আমরা এই ধর্মঘটকে সমর্থন করি না।
এর আগে ২৭ আগস্ট ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল ও সভাপতি ও মহাসচিব মিজানুর রহমান রতনের নেতৃত্বে বিপিপিওএ’র উপদল হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করে।
তারা জানান, ৩১ আগস্টের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আগামী ২ সেপ্টেম্বর থেকে পেট্রোল পাম্পে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করবে সংগঠনের সদস্যরা।
ফলে জ্বালানি বিক্রির কমিশন বাড়ানোসহ তাদের তিন দফা দাবি আদায়ে রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩) সকাল থেকে খুলনায় জ্বালানি ব্যবসায়ীদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে।
সকাল ৮টা থেকে পদ্মা, যমুনা ও মেঘনা তেল ডিপো থেকে জ্বালানি চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ ট্যাঙ্ক-লরি মালিক সমিতি, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাঙ্ক-লরি শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ট্যাঙ্ক-লরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতি ধর্মঘট পালন করছে।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-
জ্বালানি বিক্রির কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করা, ট্যাঙ্ক-লরির অর্থনৈতিক জীবনকাল ৫০ বছর নির্ধারণ করা এবং পূর্বের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জ্বালানি ব্যবসায়ীদের কমিশন এজেন্ট হিসেবে উল্লেখ করে গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করা।
আরও পড়ুন: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিপিসি কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বিপিসির দুর্নীতি-অব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির দরকার হতো না: সিপিডি
১ বছর আগে