কঠোর ব্যবস্থা
বাজার কারসাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনি ইশতেহারে আমরা বলেছিলাম, দ্রব্যমূল্য যেন মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে সেটি আমাদের অগ্রাধিকার।
তিনি বলেন, সেই অগ্রাধিকার নিয়ে আমরা কাজ করছি এবং বাজারের অসাধু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার সব রকম ব্যবস্থা নেবে।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে এলডি হল চত্বরে রাঙ্গুনিয়া সমিতি, ঢাকা আয়োজিত সংবর্ধনা, মেজবান ও মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি রোজা-রমজান, ঈদ কোনোটাই মানে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ দেশে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোজার আগেই কিছু পেঁয়াজ বাজারে ঢুকবে, কাজেই বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল আছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাজারের অসাধু লোভাতুর সিন্ডিকেট কারণে-অকারণে নানা অজুহাতে বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বাড়ায়। আমরা দেখেছি, একটি কোল্ড স্টোরেজের ভেতর থেকে দেড় লাখ ডিম উদ্ধার করা হয়েছে। অতীতে পেঁয়াজের সংকট তৈরি করা হয়েছিল।’
স্বাস্থ্যখাতের অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য খাতের অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেছেন, এখন থেকে বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম চালাতে হলে সরকারি নিয়ম মেনে চলতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, 'আমরা লক্ষ্য করছি যে, কিছু অসাধু ব্যক্তি সরকারি বিধি-বিধানের তোয়াক্কা না করে ব্যবসায়িক স্বার্থে সর্বত্র হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুলে মানুষের জীবন নিয়ে ব্যবসা করছে।’
বৃহস্পতিবার(২২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এক বিশেষ বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে আগ্রহী ব্রিটিশ সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সামন্ত বলেন, ১ হাজার ২০০ অনিবন্ধিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দক্ষ চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ান নেই। অথচ তারা কীভাবে চলছে এবং রোগীরা কীভাবে সেবা পাচ্ছেন তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
তিনি জানান, তারা ইতোমধ্যে দেশের এক হাজার অনিবন্ধিত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছেন এবং বাকিগুলো বন্ধ করার চেষ্টা চলছে।
বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য ১০ দফা গাইডলাইন নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নির্দেশনা উপেক্ষা করলে লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ভয়ভীতি মুক্ত ও নিরপেক্ষ থেকে মানুষের সেবায় কাজ করে যাব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এখানে নির্দেশিকাগুলো হলো-
১. প্রাইভেট ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিকের লাইসেন্সের কপি প্রতিষ্ঠানের মূল ফটকের সামনে দৃশ্যমান স্থানে স্থায়ীভাবে প্রদর্শন করতে হবে।
২. সকল বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সকল তথ্য সংরক্ষণ ও সরবরাহের জন্য একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা বা কর্মচারী থাকতে হবে এবং তার ছবি ও মোবাইল নম্বর দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করতে হবে।
৩. যেসব প্রতিষ্ঠান ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতাল নামে আছে কিন্তু তাদের কেবল ডায়াগনস্টিক বা হাসপাতালের লাইসেন্স আছে তারা লাইসেন্স ছাড়া নামে উল্লেখিত সেবা কোনোভাবেই প্রদান করতে পারবে না।
৪. ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির ক্ষেত্রে যে ক্যাটাগরিতে লাইসেন্স গ্রহণ করা হয়েছে সে ক্যাটাগরিতে নির্ধারিত পরীক্ষা ব্যতীত অন্য কোনো পরীক্ষা করা যাবে না এবং ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্যাথলজি বা মাইক্রোবায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ও রেডিওলজি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিতে হবে।
৫. বেসরকারি ক্লিনিক বা হাসপাতালের ক্ষেত্রে লাইসেন্সের ধরন ও শয্যা সংখ্যা অনুযায়ী সব শর্ত বাধ্যতামূলকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
৬. হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়োজিত সব চিকিৎসককে অবশ্যই পেশাদার ডিগ্রির সনদের কপি, বিএমডিসির হালনাগাদ নিবন্ধন ও নিয়োগপত্রের কপি সংরক্ষণ করতে হবে।
৭. হাসপাতাল বা ক্লিনিকের ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের অপারেশন বা অস্ত্রোপচার বা পদ্ধতির জন্য নিবন্ধিত চিকিৎসককে সার্জনের সহকারী হিসেবে রাখতে হবে।
৮. লাইসেন্সপ্রাপ্ত বা নিবন্ধিত হাসপাতাল ও ক্লিনিক ব্যতীত কোন অবস্থাতেই চেম্বার বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এনেসথেসিয়া প্রদান করা যাবে না। বিএমডিসি স্বীকৃত বিশেষজ্ঞ অ্যানেসথেটিস্ট ছাড়া কোনো অপারেশন বা সার্জারি বা ইন্টারভেনশনাল অপারেশন করা যাবে না।
৯. সকল বেসরকারি নিবন্ধিত বা লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল বা ক্লিনিককে অবশ্যই লেবার রুম প্রটোকল মেনে চলতে হবে।
১০. নিবন্ধিত বা লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল বা ক্লিনিকে অপারেশন থিয়েটার অবশ্যই অপারেশন থিয়েটার শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে।
আরও পড়ুন: কোটি টাকার অপারেশন দেশে বিনামূল্যে হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
কাজে অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
ভাঙন ঠেকাতে যমুনা নদীর বাম তীর বরাবর ৬ কিলোমিটার পর্যন্ত জিও ব্যাগ দিয়ে নদী তীর প্রতিরক্ষামূলক কাজের উদ্বোধন করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
দীর্ঘদিন টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ, বলরামপুর ও নিশ্চিন্তপুর এলাকা এবং মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারি এলাকা ভাঙন ঝুঁকিতে ছিল।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, এই এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন অনেক কষ্ট করেছেন। নিশ্চিন্তপুর একটি গ্রাম ছিল সেই গ্রাম এখন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অনেক মানুষ নিজের বাড়ি-ঘর, জমি হারিয়েছে। প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে আছেন। আজ তাদের খুশির দিন।
এসময় বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে শুরু করে আরিচা ঘাট পর্যন্ত একটি রিংরোড করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) যমুনা পাড়ে জিও ব্যাগ দ্বারা নদী তীর প্রতিরক্ষামূলক কাজের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: পাট ও চামড়া খাতে বিনিয়োগে ইইউ ও যুক্তরাজ্যের প্রতি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাস্তবায়িত এই প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্টদের নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই কাজে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না। কেউ অনিয়ময়ে জড়িত থাকলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আহসানুল ইসলাম টিটু জানান, আজকে স্থায়ী বাঁধের কার্যক্রম শুরু হলো নদীতে জিও ব্যাগ ফেলার মাধ্যমে। এরপর সিসি ব্লক দেওয়া হবে। এই প্রকল্পের শুরু হতে সম্পৃক্ত থেকে কাজ করার জন্য পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এবং সাবেক পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীমকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান।
দেলদুয়ার ও নাগরপুর উপজেলায় রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণসহ অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চলমান উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই বাঁধের কাজ শুরু করতে না পারা আমার একটা অপূর্ণতা ছিল। আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে স্থায়ী বাঁধের কাজটা শুরু করতে পারলাম। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দুঃখ মোচন হতে চলেছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, নদীর পাশে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে গিয়ে হয়তো অনেকের জমি লাগতে পারে। যাদের জমি সরকারি কাজে লাগবে ইউএনও'র মাধ্যমে তাদের তালিকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কাউকে বাধা না দেওয়ার অনুরোধ করে সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
এর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তার নির্দেশনা অনুযায়ী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনার ও রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
তিনি জানান, করোনা মহাসংকটের পর ইউক্রেন-রাশিয়া এবং ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণে পণ্য পরিবহনে জাহাজ চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় সারাবিশ্বে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরও জানান, যার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছে। সরকার সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা বিবেচনা করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নাগালে রাখার চেষ্টা করছে।
আহসানুল ইসলাম বলেন, সরকার ব্যবসায়ীদের সবধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে কিন্তু কেউ অন্যায়ভাবে অতি মুনাফার লোভে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
আসন্ন রমজান মাসে চিনি-তেল এবং খেজুরসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, পবিত্র এই মাসে বিশ্বের সব মুসলিম দেশ পণ্যের দাম কমিয়ে দেয় আর আমরা বাড়িয়ে দেই।
এই প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসার জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানান।
টিটু বলেন, চক্রান্ত এখনো শেষ হয়নি। দেশি-বিদেশি চক্রান্ত চলমান রয়েছে। আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চাইলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
দৃষ্টিনন্দন স্ট্রিট আর্টে পোস্টার লাগালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি ডিএনসিসি মেয়রের
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে যেসব দৃষ্টিনন্দন শিল্পকর্ম (স্ট্রিট আর্ট) বা গ্রাফিতি আঁকা করা হয়েছে, সেগুলোর উপর পোস্টার লাগালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, 'আমরা শহরকে দৃষ্টিনন্দন করার অনেক কাজই করি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সে কাজগুলো কিছুদিন পরেই পোস্টারের আড়ালে ঢেকে যায়। মহাখালীতে যে দৃষ্টিনন্দন স্ট্রিট আর্ট করা হয়েছে, তার ওপর আমি কোনো পোস্টার দেখতে চাই না। যে পোস্টার লাগাবে তাকে সবাই মিলে প্রত্যাখান করব। এত সুন্দর চিত্রকর্মে পোস্টার লাগালে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব। পোস্টার লাগিয়ে এই শহরকে নোংরা করার অধিকার কারো নেই। যারা পরিবেশ নষ্ট করে, তাদের ধিক্কার জানাতে হবে।'
আরও পড়ুন: উন্নয়নকৃত মাঠ ও পার্ক রক্ষায় ডিএনসিসি মেয়রের আহ্বান
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভারে দৃষ্টিনন্দন স্ট্রিট আর্ট পরিদর্শন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএনসিসি মেয়র এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য, ডিএনসিসির উদ্যোগে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের সহযোগিতায় বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে মহাখালী ফ্লাইওভারে স্ট্রিট আর্ট শুরু হয়েছে। স্বাধীনতার মাস মার্চের মধ্যে পুরো মহাখালী ফ্লাইওভারের স্ট্রিট আর্ট সম্পন্ন করা হবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'আমরা এই শহরে কীভাবে সুস্থ থাকতে পারি সেই চেষ্টা করি। অনেকে দেখেছেন মগবাজার ফ্লাইওভারের পিলারগুলো পোস্টারে ছেয়ে থাকত। আমরা সেখানে দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতি এঁকে দিয়েছি। ঈদের সময় দেখলাম একজন বাবা তার ছোট মেয়েকে নিয়ে সেই গ্রাফিতির সামনে ছবি তুলছে। এটাই আমাদের স্বার্থকতা।’
ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, 'আমরা একটি সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা চাই। বিজয়ের মাসে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে বলতে চাই ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশ দেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব আমাদের। নির্বাচন এলেই ঢাকা শহর পোস্টারে ঢেকে যায়। স্মার্ট বাংলাদেশে আমরা কেন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন করতে পারছি না? নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে। আমি সবাইকে অনুরোধ করতে চাই—নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া পোস্টার লাগানো যাবে না।'
তিনি বলেন, 'মুক্তিযোদ্ধারা চেয়েছিলেন লাল সবুজের পতাকা। তাঁরা চেয়েছিলেন বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হবে। আমরা পরাধীন থাকব না। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে স্বাধীনতা মানেই রাস্তায় ময়লা ফেলে দেওয়া না। স্বাধীনতা মানেই আইন ভঙ্গ করা না। স্বাধীনতা মানেই লাল লাইট জ্বলার পরেও গাড়ি চালানো না। দেশটাকে ও শহরটাকে রক্ষার দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে।'
মহাখালী ফ্লাইওভারের স্ট্রিট আর্ট রক্ষায় জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, এতো কষ্ট করে, এতো খরচ করে নান্দনিকভাবে সাজানো হচ্ছে। এটি রক্ষা করতে নগরবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে, কাউন্সিলরদের এগিয়ে আসতে হবে।
বলেন, 'কাউলা এক্সপ্রেসওয়ের নিচের প্লে জোন শিগগিরই চালু করে দেওয়া হবে। মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচে ফাকা জায়গায় টেবিল টেনিস বোর্ড এবং দাবা খেলার বোর্ডের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।’
বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি মেয়র নিজে রঙ তুলির মাধ্যমে আর্ট করে চিত্রশিল্পীদের উৎসাহিত করেন।
পরিদর্শনকালে ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুলকার নায়ন, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মাকসুদ হাসেম, চিত্রশিল্পী মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বস্তিতে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ঘোষণা ডিএনসিসি মেয়রের
শহর গড়তে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান ডিএনসিসি মেয়রের
ফিলিং স্টেশন মালিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার না হলে সোমবার থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: বিপিসি
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) পরিচালক অনুপম বড়ুয়া বলেছেন, সংগঠনটি দেশের পেট্রোলিয়াম জ্বালানি সরবরাহ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং পেট্রোল পাম্প মালিকরা চলমান ধর্মঘট প্রত্যাহার না করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ফিলিং স্টেশন মালিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার না হলে এবং সারাদেশে জ্বালানি সরবরাহ ব্যাহত হলে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) নগরীর বিপিসির অঙ্গ প্রতিষ্ঠান যমুনা অয়েল কোম্পানির বোর্ডরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পেট্রোল পাম্প মালিকদের কিছু দাবি পূরণ হয়েছে এবং বাকিগুলো বিবেচনাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিপিসি’র বর্ধিত কার্যক্রম পরিচালনায় জনবল বাড়ানোর তাগিদ
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সরকার ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় নিয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে কোনো আন্দোলন গ্রহণযোগ্য নয়।
এদিকে, বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিপিওএ) একটি অংশের নেতারা দাবি করেছেন, অন্য উপদলের নেতারা যারা ধর্মঘট ডেকেছে তারা সংগঠনের কেউ নয়।
ধর্মঘটের বিরোধিতাকারী বিপিপিওএ-এর সভাপতি নাজমুল হক বলেন, তহবিলের অপব্যবহার করার জন্য ওই নেতাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
নগরীর যমুনা অয়েলের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যেহেতু সরকার ইতোমধ্যে আমাদের তিনটি দাবির একটি পূরণ করেছে এবং ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাকি দুটি পূরণের আশ্বাস দিয়েছে তাই আমরা এই ধর্মঘটকে সমর্থন করি না।
এর আগে ২৭ আগস্ট ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল ও সভাপতি ও মহাসচিব মিজানুর রহমান রতনের নেতৃত্বে বিপিপিওএ’র উপদল হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করে।
তারা জানান, ৩১ আগস্টের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আগামী ২ সেপ্টেম্বর থেকে পেট্রোল পাম্পে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করবে সংগঠনের সদস্যরা।
ফলে জ্বালানি বিক্রির কমিশন বাড়ানোসহ তাদের তিন দফা দাবি আদায়ে রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩) সকাল থেকে খুলনায় জ্বালানি ব্যবসায়ীদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে।
সকাল ৮টা থেকে পদ্মা, যমুনা ও মেঘনা তেল ডিপো থেকে জ্বালানি চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ ট্যাঙ্ক-লরি মালিক সমিতি, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাঙ্ক-লরি শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ট্যাঙ্ক-লরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতি ধর্মঘট পালন করছে।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-
জ্বালানি বিক্রির কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করা, ট্যাঙ্ক-লরির অর্থনৈতিক জীবনকাল ৫০ বছর নির্ধারণ করা এবং পূর্বের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জ্বালানি ব্যবসায়ীদের কমিশন এজেন্ট হিসেবে উল্লেখ করে গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করা।
আরও পড়ুন: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিপিসি কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বিপিসির দুর্নীতি-অব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির দরকার হতো না: সিপিডি
নির্বাচনের আগে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি আইজিপির
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার (২৭ আগস্ট) বরিশাল পুলিশ লাইন্সে বরিশাল ইউনিট পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন:নির্বাচনে বাংলাদেশ পুলিশ ইসির অধীনে কাজ করবে: আইজিপি
তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা থাকায় একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করেছে এবং নির্বাচনের আগে ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।
হবিগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে তাকে দেখতে গিয়েছিলেন এবং ভুক্তভোগীদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, দায়িত্ব পালনকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য আহত হলে বিশ্বের সর্বাধুনিক চিকিৎসা দেওয়া হবে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে এনেছে এবং পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।
আরও পড়ুন:কেউ আইনশৃঙ্খলা ব্যাহত করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইজিপি
আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের যেকোনো চেষ্টা দমনের প্রতিশ্রুতি দিলেন আইজিপি
ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন,সম্প্রতি একটি গোয়েন্দা সংস্থা কক্সবাজারের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের নিয়ে যে তালিকা প্রকাশ করেছে তা যাচাই-বাছাই করে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রবিববার কক্সবাজারে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২৬তম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকার সোশ্যাল মিডিয়া পর্যবেক্ষণের জন্য ‘আইএলআইএস’ চালু করবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সম্প্রতি কক্সবাজারে বিভিন্ন অপরাধের কথা শুনেছি। ঘটনাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কেউ ডাকাতি, চুরি ও অপহরণ করার সুযোগ পাবে না।’
ইয়াবা পাচারকারীদের তালিকায় সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন নামের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আগে তাদের যাচাই-বাছাই করব, কেউ দোষী হলে সে যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বৈঠকের আগে মন্ত্রী শনিবার টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ পরিদর্শন করেন যা মানব ও মাদক পাচারের বিপজ্জনক এলাকা হিসেবে পরিচিত।
এছাড়া সংসদীয় কমিটির সদস্যরা বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বিতর্কিত ঘুমধুম সীমান্ত ও কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
র্যাবের সংস্কার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি যদি জনগণের জীবনযাত্রার ব্যত্যয় সৃষ্টি করে, ঢাকা শহরে ব্যস্ততম সড়ক বন্ধ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়, সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
তিনি বলেন, আমরা জানি ঢাকা শহরে আগুন সন্ত্রাসীরা লুকিয়ে আছে, ঘাপটি মেরে বসে আছে। সভা উপলক্ষে তারা ধীরে ধীরে আবার বের হওয়ার চেষ্টা করছে। বিএনপির যে সমস্ত নেতা বড় গলায় কথা বলছেন, তারা এই অগ্নিসন্ত্রাসের অর্থদাতা, মদদদাতা, হুকুমদাতা। প্রয়োজনে সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
রবিবার রাজধানীতে সিরডাপ মিলনায়তনে বিএনপি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শনিবার বিএনপি কুমিল্লায় সমাবেশ করেছে। আপনারা হয়তো জানেন, শতাধিক গরু জবাই করে তারা একটি বড় পিকনিক করেছে কুমিল্লায়। পিকনিকের আয়োজন এমন যে, আগের রাত্রে অনেক মানুষ ছিলো পরের দিন অনেকেই চলে গেছে। কুমিল্লার জনসভায় মির্জা ফখরুল সাহেব অনেক কথা বলেছেন, তিনি এই কথাও বলেছেন যে, সরকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেয়ার কথা বলেছে কিন্তু তারা না কি নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার নিয়ে বিএনপির অপপ্রচার মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, সরকার কাউকে জনজীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার এবং গন্ডগোল করার সুযোগ দিতে পারে না। সৎ উদ্দেশ্যেই সরকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেয়ার কথা জানিয়েছে। কিন্তু বিএনপি একটি হীন ও অসৎ উদ্দেশ্যে নয়াপল্টনে সভা করতে চায়। নয়াপল্টনের সামনে কোনো মাঠ নেই, সেটি ঢাকা শহরের ব্যস্ততম বড় রাস্তা। সেই রাস্তা বন্ধ করে জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে কেন তারা সেখানে সভা করতে চায়!
তাদেরকে পুলিশের পক্ষ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেয়ার কথা প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছে, এরপরও মির্জা ফখরুল সাহেব অসৎ উদ্দেশ্যে এই সমস্ত কথাবার্তা বলছেন।
তামাকপণ্য নিয়ন্ত্রণে ৬ প্রস্তাব
এর আগে সিরডাপ মিলনায়তনে ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুয়র (ডরপ) এনজিও আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের আগেই তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের অঙ্গীকার’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী।
ধুমপানের নির্ধারিত এলাকা বিলুপ্তি, বিক্রয়স্থলে তামাকপণ্য প্রদর্শন বন্ধ, তামাকজাত কোম্পানির সিএসআর বন্ধ, তামাকপণ্য প্যাকেটে সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধি, খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধ ও ই-সিগারেট ও হিটেড তামাকপণ্য নিষিদ্ধ করা-ডরপ উত্থাপিত এই ছয়টি প্রস্তাব সেমিনারে আলোচিত হয়।
আজীবন অধুমপায়ী ড. হাছান বিষয়গুলোর সঙ্গে একমত পোষণ করেন এবং তামাক ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন পরিমার্জন করে সময়োপযোগী করার উদ্যোগের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান। প্রস্তাবনাগুলো পরিমার্জিত আইনের খসড়ায় অন্তর্ভূক্তির জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে প্রদানের পরামর্শ দেন তথ্যমন্ত্রী।
ডরপ প্রেসিডেন্ট মো. আজাহার আলী তালুকদারের সভাপতিত্বে ও উপ-নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ যোবায়ের হাসানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল সমন্বয়ক অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খোন্দকার, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজুল হক, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস, বাংলাদেশ এর গ্র্যান্টস ম্যানেজার মো. আব্দুস সালাম মিঞা প্রমুখ। সাংবাদিক, সুশীল সমাজ, বিড়ি শ্রমিক ও যুব ফোরামের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: তথ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
দিনের বেলায় বিদ্যুৎ বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার: তথ্যমন্ত্রী
প্রশ্নফাঁসের চেষ্টা করলেই কঠোর ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নফাঁসের অপচেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রবিবার রাজধানীর বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
এসময় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো আবু বকর ছিদ্দীক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ,ঢাকা বোর্ডের চেয়ার ও আন্তঃবোর্ড সমন্বয়ক অধ্যাপক তপন কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পাঠ্যবই ছাপার কাজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে অভিনব কায়দায় প্রশ্নফাঁসের চেষ্টা হয়েছিল। ওই পরীক্ষায় যেসব ছোটখাটো ঘটনা ঘটেছে, তা বিশ্লেষণ করে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। কেউ যদি কোথাও প্রশ্ন ফাসের অপচেষ্টা করে তাহলে আমরা সবাই মিলে তা প্রতিরোধ করব। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
পরীক্ষার কেন্দ্রের বাহিরে ভিড় প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র ঘুরে দেখলাম বাইরে অভিভাবকদের অনেক ভিড়। যারা আগে এসেছেন তারা সন্তানকে ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছেন। তাদের এতো ভিড় যে, বাকি পরীক্ষার্থীদের ঢুকতে সমস্যা হচ্ছে। অভিভাবকদের আমি অনুরোধ জানাব, সন্তানকে কেন্দ্রে দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্র ত্যাগ করবেন। তাহলে কোনও পরীক্ষার্থীর কেন্দ্রে ঢুকতে সমস্যা হবে না।'
কোচিং সেন্টার বন্ধ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'কোচিং বন্ধের নির্দেশনা রয়েছে। আর একই কোচিং সেন্টারে অনেক ধরনের কোচিং চলে। এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা শিক্ষা বোর্ডের পক্ষে একা বন্ধ করা সম্ভব নয়। স্থানীয় প্রশাসনেরও সহযোগিতা প্রয়োজন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোচিংয়ের প্রয়োজন আছে। ক্লাসে এত শিক্ষার্থী, সকলের প্রতি শিক্ষকদের আলাদা নজর দেয়া সম্ভব নয়। তবে নতুন যে শিক্ষাক্রম,তাতে কোচিংয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না বলে আশা করি। '
২০২৩ সালের পরীক্ষা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী বছরের পরীক্ষা এগিয়ে আনা হবে। এবার আমরা চেষ্টা করেছিলাম জুলাই-আগস্টে পরীক্ষা নিয়ে আসতে। কিন্তু দেশের একটি অঞ্চলে বন্যার কারণে পরীক্ষা নিতে দেরি হয়ে গেল। আগামী বছর আরও এগিয়ে আনার চেষ্টা করবো। আর আগামীতে যদি কোনও অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় তাহলে সেই বোর্ডের পরীক্ষা সাময়িক বন্ধ রেখে অন্য বোর্ডের পরীক্ষা নেয়ার চেষ্টা করব। যত দ্রুত সম্ভব ঐ বোর্ডের পরীক্ষাও নেব।'
আরও পড়ুন: জানুয়ারির ১ তারিখেই নতুন বই পাবে শিক্ষার্থীরা: দীপু মনি
৩ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে: দীপু মনি
আইন ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি আইজিপি’র
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
তিনি বলেছেন, পুলিশ ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকসহ যেকোনো অপরাধ মোকাবিলা করছে। কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার সিলেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইজিপি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: থানাকে জনগণের আস্থার জায়গা পরিণত করার অঙ্গীকার নতুন আইজিপি’র
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করা পুলিশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় পুলিশ নির্বাচন কমিশনের বিধি-বিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে।
মাদক সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, মাদক একটি সামাজিক সমস্যা। এছাড়া মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কারাগারে বন্দিদের বেশিরভাগই মাদকের মামলায়।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাদক সমস্যা সমাধান হবে।
প্রবাসীদের সমস্যা প্রসঙ্গে আইজিপি উল্লেখ করেন, প্রবাসীদের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স আসে।
তিনি বলেন, প্রবাসীদের কল্যাণে পুলিশ সদর দপ্তরে ইতোমধ্যে একটি ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে, যার হটলাইন নম্বরগুলি চব্বিশ ঘন্টা খোলা থাকে।
তিনি বলেন, প্রবাসীরা যে কোনো সমস্যায় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা তাদের সহায়তা দিয়ে আসছি। এছাড়াও, প্রবাসীদের আত্মীয়রা জাতীয় জরুরি পরিষেবা নম্বর ৯৯৯-এর মাধ্যমে যোগাযোগ করলেও পরিষেবা দেয়া হয়।
পরে আইজিপি প্রধান অতিথি হিসেবে সিলেট রেঞ্জ, সিলেট জেলা পুলিশ, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং সিলেট ভিত্তিক সকল পুলিশ ইউনিটের সদস্যদের নিয়ে বিশেষ কল্যাণ সভায় বসেন।
এসময় আইজিপি সিলেট বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলা এবং শহীদ পুলিশ পরিদর্শক চৌধুরী মোহাম্মদ আবু কাইছার বিপিএম ভবনের উদ্বোধন করেন।
তিনি সিলেট পুলিশ লাইনে কৃষ্ণচূড়া ও সাতকরা গাছের চারা রোপণ করেন।
আরও পড়ুন: আইজিপি র্যাঙ্ক ব্যাজ পরানো হলো চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে