ছাতক
অবশেষে শুরু হতে চলেছে সিলেট-ছাতক রেলপথ সংস্কার কাজ
চার বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই সিলেট-ছাতক রেলপথের সংস্কার কাজ শুরু হচ্ছে। গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন ছাতক বাজার স্টেশন পরিদর্শন শেষে এই তথ্য জানান।
এই রেলপথের সংস্কার কাজ শুরুর খবরে স্থানীয়দের মাঝে আশার আলো জেগেছে।
বিগত সরকারের সময় একনেকে সিলেট-ছাতক রেলপথ সংস্কার কাজের প্রস্তাবনা পাস হলেও তা শুরু করা যায়নি। এবার সেই কাজে গতি দিতে তৎপর হয়ে উঠেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে চলতি সপ্তাহে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সেই সভায় এই প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, সিলেট থেকে ছাতক হয়ে সুনামগঞ্জ জেলা সদর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের বিষয়ে সমীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন হলেও এরপর অজ্ঞাত কারণে সেই কাজে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
আরও পড়ুন: সংকটে জর্জরিত আলমডাঙ্গার রেলস্টেশন, নেই সংস্কারের উদ্যোগ
১৯৫৪ সালে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে পশ্চিম-উত্তরে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক বাজার রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ৩৪ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হয়। ওই সময় জেলার রেলপথের সর্বশেষ স্টেশন হিসেবে ছাতক বাজার রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণ করা হয়। তার আগে এটি আখাউড়া-কুলাউড়া-সিলেট পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাথর, বালু, চুনাপাথর, কমলালেবু, তেজপাতাসহ বিভিন্ন মালপত্র আনা-নেওয়ার জন্যই মূলত ছাতক-সিলেট রেলপথটি নির্মিত হয়। পরবর্তী সময়ে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল পরিবহনে ছাতক-দোয়ারাবাজার অঞ্চলসহ সুনামগঞ্জ জেলার মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে প্রতিদিন এই রুটে সকাল-বিকাল যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করত। সিলেট যাতায়াতে ট্রেনই ছিল এই অঞ্চলের মানুষের একমাত্র ভরসা।
১৯৭৯ সালে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের রাজস্ব আয়ে ছাতক বাজার স্টেশন শ্রেষ্ঠ স্থান দখল করে নেয়। এরপর নানা অজুহাতে কমিয়ে দেওয়া হয় এই রেলপথে ট্রেন ও বগির সংখ্যা।
ছাতক থেকে ট্রেনে যাতায়াতে প্রায় ৪৫ মিনিটে সিলেট পৌঁছানো যায়। পথিমধ্যে খাজাঞ্চীগাঁও, সৎপুর ও আফজালাবাদ স্টেশনে ট্রেনগুলো যাত্রা বিরতি করে। শিল্পনগরী হিসেবে পরিচিত ছাতক থেকে চুনাপাথর, সিমেন্ট, স্লিপার, বালু, বোল্ডার পাথরসহ বিভিন্ন মালপত্র দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করতে রেলপথে সড়ক পথের চেয়ে পরিবহন খরচ কয়েক গুণ কম হতো।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২২ সালে ভয়াবহ বন্যায় ছাতক বাজার স্টেশন থেকে সিলেট পর্যন্ত ৩৪ কিলোমিটার রেললাইনের মধ্যে ১২ কিলোমিটার রেল রোড এমব্যাংকমেন্ট ও রেলপথ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপরই রেলপথটি পুনর্বাসন করে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করার জন্য প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়।
ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ রেলওয়ের সিলেট থেকে ছাতক বাজার সেকশন (মিটার গেজ ট্র্যাক) পুনর্বাসন প্রকল্পের একটি প্যাকেজের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে সম্প্রতি অনুমোদনও দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রকল্পের কাজে ক্রয়ের দরপত্র আহ্বান করা হলে চারটি দরপত্র জমা পড়ে। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মীর আখতার হোসেন লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায়। এই প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২১৭ কোটি ৩৪ লাখ ৪ হাজার ৩৬৯ টাকা।
প্রকল্পটি একনেক থেকে ২০২৩ সালের ১১ এপ্রিল অনুমোদিত হয়। এই প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। প্রকল্প-ব্যয়ের ৮০ শতাংশ ডলার এবং ২০ শতাংশ বাংলাদেশি টাকায় পরিশোধ করা হবে।
শুরুর দিকে সিলেট থেকে ছাতক হয়ে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনে দুটি পথের বিষয়ে সমীক্ষা চালানো হয়।
সমীক্ষায় বলা হয়, ৪৫ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার অ্যালাইনমেন্টে টপোগ্রাফিক (ভূমি) জরিপের কাজ করা হয়েছে। এই রুটে আছে ৬৬টি ছোটবড় জলাভূমি। দক্ষিণ খুরমা ও শান্তিগঞ্জে দুটি স্টেশন নির্মাণ করতে হবে। রেলপথ নির্মাণের জন্য সরাতে হবে ১২৮টি বসতবাড়ি ও অবকাঠামো। এজন্য কাটতে হবে সাড়ে ১৩ হাজার গাছ। পাঁচটি স্টেশনের জন্য ৫০ একরসহ মোট ৬১৩ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে।
এমন জটিল হিসাব-নিকাশের মুখে প্রকল্পটির কাজ আর সামনে এগোয়নি।
ছাতক বাজার ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সভাপতি আফসার উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, ছাতক-সিলেট রেলপথ বন্ধ থাকায় প্রতিদিন এই অঞ্চলের শত শত মানুষকে ভোগান্তি নিয়ে সিলেটে যাতায়াত করতে হচ্ছে। সুনামগঞ্জ রেলপথ স্থাপিত হলে জেলার ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রসার ঘটবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে বড় পরিসরে পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে ঝিনুক আকৃতির রেলস্টেশন
গুরুত্ব বিবেচনায় অতিদ্রুত রেলপথের কাজ শুরু করার দাবি জানান তিনি।
এদিকে, ছাতক-সিলেট রেলপথ সংস্কারের অনুমোদনের পর শুক্রবার বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন ছাতক বাজার স্টেশন পরিদর্শন করেন।
তিনি জানান, ফেব্রুয়ারি নাগাদ সংস্কার কাজ শুরু হবে। তবে সুনামগঞ্জে রেলপথ স্থাপনের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান এ কর্মকর্তা।
৯০ দিন আগে
ছাতকের আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর গ্রেপ্তার
সুনামগঞ্জে নাশকতা মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা ও দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল দিকে ছাতক উপজেলা পরিষদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার’
তিনি উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের সেনপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে খানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সাত্তার বলেন, সুনামগঞ্জ সদর থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কিবরিয়া হাসান বলেন, গ্রেপ্তার ইউপি চেয়ারম্যানকে সুনামগঞ্জ সদর থানায় পাঠানো হয়েছে।
তিনি একাধিক মামলার পলাতক আসামি বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
১৩১ দিন আগে
সুনামগঞ্জের ছাতকে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পিকআপের ৩ জন নিহত
সুনামগঞ্জের ছাতকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাছবাহী পিকআপের ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ২ জন।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) ১১টায় সকালে উপজেলার জাউয়া বাজার ইউনিয়নের বড়কাপন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- আব্দুল করিম, নুরুল হক, আসাদ উদ্দিন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের দুর্বৃত্তদের গুলিতে বাংলাদেশি গবেষক নিহত
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ থেকে পিকআপে করে মাছ বিক্রি করার জন্য সিলেট যাচ্ছিলেন কয়েকজন ব্যবসায়ী। পথে ছাতক উপজেলার বড়কাপন এলাকায় পৌঁছালে পিকআপটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলে ৩ জন নিহত হন। এ সময় আরও ২ জন আহত হয়েছেন।
জয়কলস হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কবির বলেন, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাছবাহী পিকআপের ৩ জন নিহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাভারে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
৪৬১ দিন আগে
ছাতকে ছাগলে ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত শতাধিক
সুনামগঞ্জের ছাতকে ছাগলের ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের খাঁন গোষ্ঠী ও শেখ গোষ্ঠীর সংঘর্ষে দু’পক্ষের শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার উপজেলার জাউয়া ইউনিয়নের সাউদেরগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাউয়া ইউনিয়নের সাউদেরগাঁও জামে মসজিদের জায়গা মাপামাপি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে খাঁন গোষ্ঠী ও শেখ গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকালে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত বসলেও উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে।
আরও পড়ুন : সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের ১৭টি সেতুর উদ্বোধন সোমবার
এ থেকেই ছাগলে খাঁন গোষ্ঠীর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র দু’পক্ষ মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়ায়। এতে দু’পক্ষের শতাধিক মানুষ আহত হন।
আহতদের কৈতক হাসপাতাল এবং গুরুতর আহতদের সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদেরমধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের কারোর নাম- পরিচয় পাওয়া সম্ভব হয়নি।
জাউয়াবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আহাম্মেদ উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, সংঘর্ষে গুরুতর আহতদের সিলেটে পাঠানো হয়েছে, অন্যানদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছে। এ ব্যাপারে এখনো কোনো মামলা হয়নি।
আরও পড়ুন : সুনামগঞ্জে ৪ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট
সুনামগঞ্জে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুনের অভিযোগ
৭০৪ দিন আগে
ছাতকে টিকটক ভিডিও ধারণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, নিহত ১
সুনামগঞ্জের ছাতকে টিকটক ভিডিও ধারণকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছে। এ সময় দুই পক্ষের অন্তত আরও শতাধিক লোক আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ছাতকের সুরমা ব্রিজের গোলচত্বর এলাকায় ভাসখলা ও মুক্তিরগাঁও গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এ সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের ১৭টি সেতুর উদ্বোধন সোমবার
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহত যুবকের নাম সাইফুল ইসলাম ছাতক উপজেলার মুক্তিরগাঁও গ্রামের মৃত চমক আলীর ছেলে। এছাড়া সংঘর্ষে গুরুতর আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাতকের সুরমা নদীর ওপর নির্মিত সুরমা ব্রিজে দুই তরুণী ঘুরতে যান। এ সময় দুই তরুণী ব্রিজের ওপর টিকটক ভিডিও ধারণ করতে গেলে ভাসখলা গ্রামের কয়েকজন তাতে বাধা দেন। এর মধ্যে মুক্তিরগাঁও গ্রামের কয়েকজন তরুণও সেখানে উপস্থিত হন। একপর্যায়ে দুই গ্রামের তরুণরা বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতিতে জড়ান।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যা সাতটার দিকে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। সন্ধ্যা সাতটা থেকে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে সুরমা ব্রিজের গোলচত্বর এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে। এ সময় দুই পক্ষের শতাধিক লোক আহত হন।
এর মধ্যে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত সাইফুল ইসলামকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়।
ছাতক সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রনজয় চন্দ্র মল্লিক সাইফুল ইসলামের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানান, ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহারের পরিসংখ্যান এই মুহূর্তে সঠিক বলা যাচ্ছেনা। এ ঘটনায় ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রিসে ২ ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত ২৯, আহত ৮৫
চবিতে ছাত্রলীগের উপগ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষে ৮ কক্ষ ভাঙচুর, আহত ৩
৭৬৭ দিন আগে
সুনামগঞ্জে সাময়িক বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়ে নসরুল হামিদের সতর্কবার্তা
ছাতক ও সুনামগঞ্জ গ্রিড সাবস্টেশন বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে সুনামগঞ্জ জেলা ও এর আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে জনগণের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লিখেছেন, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে।
কুমারগাঁও গ্রিড সাবস্টেশনের সুইচ ইয়ার্ডও প্লাবিত হওয়ায় সিলেট অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ইঙ্গিতও দেন তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হওয়ার শঙ্কা
ছাতকে বন্যায় ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি
১০২৫ দিন আগে
ছাতকে বন্যায় ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি
সুনামগঞ্জের ছাতকে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বুধবার পর্যন্ত ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভাসহ নতুন-নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বন্যায় তলিয়ে গেছে বহু পাকা রাস্তাঘাট, প্লাবিত হয়েছে হাজারও ঘরবাড়ি, দুই শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শতাধিক মৎস্য খামার।
গোবিন্দগঞ্জ-ছাতক সড়কের বিভিন্ন অংশ বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীতে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ।
প্রবল বৃষ্টি বর্ষণ মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফের বন্যায় ছাতকে ১৩টি ইউপি ও একটি পৌরসভাসহ মোট তিন শতাধিক গ্রাম, দুইশতাধিক প্রাথমিক ও শতাধিক মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসায় বন্যার পানি ঢুকেছে।
বুধবার দুপুর থেকে ছাতক উপজেলার সঙ্গে সারাদেশে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, চারটি আশ্রয় কেন্দ্রে শতাধিক মানুষ অবস্থান নিয়েছেন।
বেরাজপুর, নোয়াপাড়া, আলমপুর, বিলপার, দশঘর, কৃঞ্চনগর, আনন্দনগর, বাগইন, লক্ষীপুর, গোবিন্দনগর, মোহনপুর, তকিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে বলে শিক্ষকেরা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ ও ছাতক তিন কিলোমিটার সড়ক এলাকায় তিন ফুট ও চার ফুট পর্যন্ত বন্যার পানি জমেছে। উপজেলা সদরের সঙ্গে ইসলামপুর, চরমহল্লা, ভাতগাও, সিংচাপইড়, উত্তরখুরমা, গোবিন্দগঞ্জ, সৈদেরগাও, ছৈলাআফজলাবাদ, কালারুকা, নোয়ারাই, জাউয়াবাজার, দোলারবাজারসহ ১৩টি ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দফা বন্যার কবলে সুনামগঞ্জ
১০২৭ দিন আগে
তরমুজ চাষে সফল হওয়ার প্রত্যাশা পাঁচ তরুণের
কৃষিকে ঘিরেই সন্তুষ্টি পাঁচ তরুণের। পড়াশোনার পাশাপাশি কৃষি নিয়েই মেতেছেন তারা। দিনের পর দিন যত্ন করে লালন করছেন প্রিয় ফসল। প্রত্যাশা সফল হওয়ার।
সুনামগঞ্জের ছাতকের কালারুকা ইউনিয়নের গোবিন্দগঞ্জ-ছাতক সড়কের তাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় সোয়া একর অনাবাদি জমিতে পাঁচ জাতের উচ্চ ফলনশীল জাতের তরমুজ চাষ করেছেন এ পাঁচ তরুণ।
এ তরমুজ চাষের মূল উদ্যোক্তা গড়গাঁও গ্রামের আশরাফুর রহমান। এ কাজে তার সঙ্গে যুক্ত করেন স্থানীয় রামপুর গ্রামের আব্দুর রহমান, শেখকান্দি গ্রামের নজরুল ইসলাম, রায়সন্তোষপুর গ্রামের নাঈম আহমদ ও একই গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান সাকিবকে। তারা পাঁচজনই পড়াশোনার পাশাশাশি এ কাজ করছেন।
জানা যায়, তারা একই মাঠে পাঁচ রঙের তরমুজ চাষাবাদ করেছেন। এতে রয়েছে গোন্ডেন ত্রুাউন (গোল), বাইরে হলুদ ভেতর লাল; ডায়না (লম্বা) ইয়েলো হানি, বাইরে কালো ভেতর হলুদ; থাই সুইট ব্লাক ২, বাইরে কালো ভেতর লাল, বাংলালিং নামে পরিচিত বাইরে ডোরাকাটা ভেতর লাল, কালো, হলুদ এবং সবুজ ডোরাকাটাসহ পাঁচ রঙের তরমুজ।
গত অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে বীজ রোপন করেন তারা। উন্নত জাতের এসব তরমুজের চাষাবাদে খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা। বাগানের তরমুজ বিক্রি করে প্রায় ছয় লাখ টাকা আয় হবে বলে আশা করছেন উদ্যোক্তা পাঁচ যুবক।
আরও পড়ুন: পান চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন অভয়নগরের চাষিরা!
১২১১ দিন আগে
ছাতকে মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১
সুনামগঞ্জ ছাতকের ডোবায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। উপজেলার ভাতগাও ইউনিয়নের জহিরপুর গ্রামে শনিবার রাতে এই সংঘর্ষের ঘটনায় আরও ১২ জন আহত হয়েছেন।
নিহত খসরু মিয়া (৪০) জহিরপুর গ্রামের আলতাব আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আ’লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, জহিরপুর গ্রামের মজু মিয়া ও খসরু মিয়া আপন চাচাতো ভাই। বাড়ির পাশেই ডোবার দখল ও মাছ ধরা নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। শনিবার রাতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে তাদের দু’পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় খসরু মিয়াসহ ১৩ জন আহত হলে তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে রবিবার ভোরে খসরু মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের সাথে বিএনপির সংঘর্ষ, আটক ৭
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দীন জানান, মাছ ধরা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় দু’জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে দু’পক্ষের সংঘর্ষে কৃষক নিহত
১২৮৯ দিন আগে
ছাতকে ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে ধীরগতি, শঙ্কিত কৃষক
সুনামগঞ্জের ছাতকে ধীরগতিতে চলছে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ। কাজের মেয়াদ বাড়ানো হলেও বাঁধ নির্মাণের কাজ এখনও শেষ হয়নি। যার ফলে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন হাওরপাড়ের কৃষকরা।
১৪৮৫ দিন আগে