সংশোধন
চট্টগ্রামের খাল খনন প্রকল্পে আবারও সংশোধন, খরচ কমল ১৯.৪০ কোটি টাকা
বছরের পর বছর দেরি আর একের পর এক সংশোধনের পরও এখনো আলোর মুখ দেখেনি চট্টগ্রামের ভয়াবহ জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রত্যাশিত বহদ্দারহাট-বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্প। তৃতীয়বারের মতো আবারও প্রকল্পটিতে সংশোধন করা হয়েছে। তবে এবার ব্যয় কমিয়ে আনা হয়েছে ১৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
পরিকল্পনা কমিশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে (সিসিসি) বাস্তবায়িত এ প্রকল্পের খরচ এখন দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৪৩ কোটি ২১ লাখ টাকা। দ্বিতীয় সংশোধনে এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৩৬২ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
২০১৪ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই প্রকল্পটি প্রথম অনুমোদন পায়। সে সময় ব্যয় ধরা হয় ৩২৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এরপর একাধিকবার সংশোধনের কারণে প্রকল্পটি বিলম্বের শিকার হয়। সর্বশেষ সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত।
প্রকল্পটির লক্ষ্য হলো খাল খননের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসন, খালের দুই পাশে সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত করা, যানজট কমানো এবং হাঁটার পথ তৈরির মাধ্যমে নগরবাসীর জন্য বিনোদনের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিতে ব্যাপক জলাবদ্ধতা, জনদুর্ভোগ চরমে
কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেও গত এক দশকের বেশি সময় ধরে নানা ড্রেনেজ প্রকল্প হাতে নিলেও বর্ষাকালে চট্টগ্রাম নগরীতে এখনও ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ১৯৯৫ সালের ড্রেনেজ মাস্টার প্ল্যানে খালটির সুপারিশ করা হলেও গত ৩০ বছরে তা বাস্তবায়িত হয়নি। অসামঞ্জস্যপূর্ণ উদ্যোগ, প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি, দুর্বল নগর পরিকল্পনা এবং জনসচেতনতার অভাবে জলাবদ্ধতার এই সমস্যা শহরবাসীর জন্য দীর্ঘমেয়াদি ভোগান্তিতে পরিণত হয়েছে।
মাস্টার প্ল্যানে বৃষ্টির পানি দ্রুত অপসারণে বিদ্যমান প্রাকৃতিক খাল সংস্কার, নতুন খাল খনন এবং পানি ধরে রাখার জন্য পুকুর খননের সুপারিশ করা হয়েছিল।
পরবর্তীতে ২০১৮ সালের নভেম্বরে একনেক সভায় প্রকল্পটির প্রথম সংশোধন অনুমোদিত হয়। সংশোধনে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। এ সময় এক লাফে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে হয়ে যায় ১ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। পরে করোনা মহামারির কারণে সময়সীমা ফের ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
দ্বিতীয় সংশোধন অনুমোদন হয় ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি। প্রকল্প ব্যয় ৮ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে তখন ১ হাজার ৩৬২ কোটি ৬২ লাখ টাকা হয়। সে সময় ২০২৬ সালে জুন মাস পর্যন্ত প্রকল্প শেষ হওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়।
পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, নতুন সংযোজন থাকা সত্ত্বেও ব্যয় কমানো সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে খনন যন্ত্রপাতি রাখার জন্য মেইনটেন্যান্স ইয়ার্ড এবং দুর্ঘটনা এড়াতে সাড়ে ৫ হাজার মিটার ওয়াকওয়ের পাশে রেলিং স্থাপন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ব্যর্থতার মূল্য: মেগা প্রকল্পের পরও জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ
সংশোধিত নকশায় খালের দুই পাশের সড়কগুলোতে টেকসই রিইনফোর্সড সিমেন্ট কংক্রিট (আরসিসি) ব্যবহার করা হবে, যাতে এক্সকাভেটর ও ডাম্প ট্রাকের মতো ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারে।
২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৮৫ শতাংশ এবং ভৌত অগ্রগতি ৯৩ দশমিক ১৪ শতাংশ।
প্রকল্পটি শেষ হলে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে এবং নগরবাসীর জীবনমান উন্নত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
১০১ দিন আগে
ড্যাপ ও ইমারত বিধিমালা সংশোধনে গোষ্ঠীস্বার্থ উপেক্ষা করতে হবে: বিআইপি সভাপতি
ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর স্বার্থে অনৈতিক চাহিদা পূরণ করতে ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালার বিদ্যমান ত্রুটিপূর্ণ সংশোধন প্রক্রিয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান। পাশাপাশি গোষ্ঠীস্বার্থ উপেক্ষা করে জনস্বার্থ মাথায় রেখে পরিকল্পনা করতে হবে বলে অভিমত দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হল অনুষ্ঠিত ‘গোষ্ঠীস্বার্থে বারবার ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালার পরিবর্তন: জনস্বার্থ ও বাসযোগ্যতার বিপন্নতা এবং নাগরিকের করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বিআইপির সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসানের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান।
প্রবন্ধে বলা হয়েছে, নাগরিকদের উপেক্ষা করে ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর স্বার্থে ড্যাপ ও ইমারত বিধিমালা সংশোধন করলে এর দায়ভার নিতে হবে সরকারকে।
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের সংবিধানসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সংস্কার হলেও সমগ্র দেশের টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের নগরায়ন, নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন, ইমারত, নির্মাণ ও পরিবেশ সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিমালার যৌক্তিক কোন সংস্কার হয়নি,’ যোগ করেন তিনি।
বিপরীতে ড্যাপ নিয়ে স্বার্থান্বেষী মহল সবসময়ই অপপ্রচার চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা প্রণয়নের সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহলের বাধার কারণে তা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হতে পারছে না বলে অভিমত দেন তিনি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের বাস্তবসম্মত সমাধানে নীতিনির্ধারকদের অবশ্যই ভাবতে হবে: বিআইপিএসএস সভাপতি
গত দুটি বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনাতে সরকার প্রভাবশালী মহলের কাছে সামগ্রিক জনস্বার্থ, শহরের বাসযোগ্যতাকে ছাড় দিয়েছে বলেও জানান এই নগর-পরিকল্পনাবিদ। তিনি বলেন, ‘একইভাবে বেসরকারি আবাসিক প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন বিধিমালা ২০০৪ এর সংশোধন করা হয় ২০১৫ সালে, যাতে আবাসন ব্যবসায়ীদের চাপে জনস্বার্থ উপেক্ষা করে নাগরিক সুবিধাদির মানদণ্ড অনেক কমিয়ে ফেলা হয়েছে, ফলে কমেছে পার্ক, খেলার মাঠ, বিদ্যালয় প্রভৃতি নাগরিক সুবিধাদি।’
শহরের পরিবেশ-প্রতিবেশ ও বাসযোগ্যতা বিপন্ন করতে এ ধরনের ষড়যন্ত্র এখনও চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বায়ুমন্ডল অধ্যায়ন কেন্দ্র এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘জলাবদ্ধতা, যানজট ও বর্জ্য অব্যবস্থাপনার কারণে ঢাকা অমানবিক শহরে পরিণত হয়েছে। শুধু ব্যবসায়িক চিন্তা-ভাবনার জন্য ঢাকা বর্তমানে এমন একটি অবস্থায় এসেছে দাঁড়িয়ে যে, সম্প্রতি একটি জরিপে দেখা গিয়েছে যে বিশ্বের ১৪৭টি বসবাসযোগ্য নগরীর ভিতরে ঢাকার অবস্থান ১৪৩! যা মূলত ঢাকার অবসবাসযোগ্যতাকেই চিহ্নিত করে।’
বাংলাদেশে যেকোন প্রকল্প বা স্থাপনা বাস্তবায়নের সময় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করা হয় না বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় গাছ ও বনভূমি ধবংস বন্ধ করাসহ পুরো ঢাকা শহরের যথাযথ পরিকল্পনার জন্যে সরকারেকে আহবান জানান তিনি।
২৬১ দিন আগে
পাঠ্যপুস্তক সংশোধনে গঠিত কমিটি ভেঙে দিল সরকার
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা ও সংশোধনের জন্য গঠিত ১০ সদস্যের সমন্বয় কমিটি বিলুপ্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী এডিবি
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত সচিব ড. কে এম কবিরুল ইসলামের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: রমজানে ২৫ মার্চ পর্যন্ত খোলা থাকবে স্কুল: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৃত্তি কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করা হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী
৪৩২ দিন আগে
বাজেট এখনও পাস হয়নি, অনেক কিছু সংশোধন হতে পারে: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, জাতীয় সংসদে প্রস্তাব পাসের আগে সরকার বাজেট নিয়ে সব ধরনের বাস্তবসম্মত সমালোচনা ও পরামর্শ বিবেচনা করছে।
তিনি বলেন, জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পেশের পর বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিক্রিয়া আসছে।
তিনি উল্লেখ করেন, 'আমরা সব মতামত বিবেচনায় নিচ্ছি। বাজেটে যেগুলো বাস্তবসম্মত ও সমাধানযোগ্য সেগুলো পুনর্বিবেচনা করতে হবে। কারণ বাজেট এখনো পাস হয়নি।’
বৃহস্পতিবার(২০ জুন) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে 'বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতি: প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি, খাদ্য ও পুষ্টি' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাজেট পেশের পর বিভিন্ন মহল বিবৃতি দিয়েছে এবং মন্তব্য করেছে। তিনি বলেন, 'আমি তাদের বলব, আমাদের অর্থনীতি ও বাজেট নিয়ে বিশ্বব্যাংক কী বলছে তা দেখুন।’
তিনি বলেন, 'বাজেট নিয়ে আরও কিছু বলার আছে, বিশ্বব্যাংক বলেছে এটা ভালো। আমার টাকা দরকার, বিশ্বব্যাংকের কথা শুনতে হবে। তা না হলে আপনারা (সমালোচকরা) আমাকে টাকা দিন।’
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেটে ১৫টি প্রস্তাবের সবগুলোই উপেক্ষা করায় ক্ষুব্ধ বাজুস নেতারা
অর্থমন্ত্রী সমালোচকদের উদ্দেশে বলেন, কেউ কেউ বলেন সরকার দেউলিয়া, কিন্তু দেউলিয়া মানে কী? ‘আমরা দেউলিয়া নই। বিশ্বব্যাংক কিছু বোঝে না, আপনারা সব বোঝেন?'
তিনি আরও বলেন, ‘এটা দেখুন এবং এটি বোঝার চেষ্টা করুন। এই বাজেট জনবান্ধব বাজেট। কোনো বিষয়ে সমস্যা হলে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে।’
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি ড. জিয়াওকুন শি, সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, কৃষি বিপণন বিশেষজ্ঞ ড. মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, সাজ্জাদুল হাসান এমপি প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বাজেটে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের দিক-নির্দেশনা নেই: নাগরিক প্ল্যাটফর্ম
৫৩২ দিন আগে
ড্যাপ ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় সংশোধন চান আবাসন খাতের ব্যবসায়ীরা
সবার জন্য বাসস্থান নিশ্চিতকরণ এবং আবাসন শিল্পের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) এবং ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধন চান রিয়েল এস্টেট ও হাউজিং খাতের ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (১৩ মে) সকালে এফবিসিসিআইর মতিঝিল কার্যালয়ে রিয়েল এস্টেট এবং হাউজিং বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি এই আহ্বান জানান ব্যবসায়ীরা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইর রিয়েল এস্টেট ও হাউজিং বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু। কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআইর পরিচালক ও আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবের সাবেক সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন এফবিসিসিআইর সভাপতি মাহবুবুল আলম।
আরও পড়ুন: মৎস্য খাতের উন্নয়নে পৃথক দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল চান ব্যবসায়ীরা
সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আবাসন খাতের চাহিদা বাড়ছে। নিবন্ধন ফি সহনীয় করা হলে ফ্ল্যাটের বিক্রি বাড়বে। এতে একদিকে যেমন মানুষের বাসস্থান সংকট দূর হবে, অন্যদিকে এই খাতও বিকশিত হবে।
ফ্ল্যাটের দাম সাধারণ মানুষের নাগালে রাখতে নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
এফবিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, রিহ্যাবের সদস্য নয় এমন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি আবাসন ব্যবসায় জড়িত। কিছু নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার জন্য এই খাতের ব্যবসায়ীদের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন মাহবুবুল আলম।
পাশাপাশি আবাসন খাতের কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে রিহ্যাবকে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিষয়ে কঠোর হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
আবাসন খাতের টেকসই উন্নয়নে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী।
তিনি বলেন, রিহ্যাবকে তথ্য-উপাত্তভিত্তিক কৌশলপত্র তৈরি করতে হবে। উন্নয়ন ও গবেষণা সেল গঠন এবং অভিজ্ঞ পরামর্শক নিয়োগ দিয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা নিয়ে অগ্রসর হতে হবে।
কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল বলেন, বর্তমানে দেশের আবাসন ব্যবসায়ীদের জন্য ড্যাপ এবং ইমারত নির্মাণ বিধিমালা সবচেয়ে বড় ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবাসন ব্যবসায়ীরা ড্যাপ কিংবা ইমারত নির্মাণ বিধিমালার বিরুদ্ধে নয়।
সাংঘর্ষিক ইস্যুগুলো সংশোধনের মাধ্যমে আবাসন খাতবান্ধব বিধিমালা প্রণয়নে রাজউক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
আবাসন খাতের সংকট নিরসনে কমিটির সদস্যদের কাছে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ আহ্বান করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু।
যৌক্তিক পরামর্শগুলো বিশ্লেষণ করে শিগগিরই নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের তুলে ধরা হবে বলে জানান তিনি।
এ সময়, ফ্ল্যাট ও জমির নিবন্ধন ব্যয় সহনশীল রাখা, প্রকল্পের অনুমোদনসংক্রান্ত জটিলতা দূরীকরণ, এলাকাভিত্তিক ফ্লোর এরিয়া রেশিও (এফএআর) নির্ধারণের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণ, ভবন বা ইমারত নির্মাণের ক্ষেত্রে উচ্চতা সীমার বিধিনিষেধ শিথিল করা, আবাসন খাতের জন্য ব্যাংক ঋণ নিশ্চিত করাসহ আবাসন খাতের অন্যান্য সমস্যাগুলো তুলে ধরেন বক্তারা।
সভায় আরও ছিলেন- এফবিসিসিআইর সহসভাপতি ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন-অর-রশিদ, মো. রাকিবুল আলম দিপু, রিহ্যাবের সিনিয়র সহসভাপতি এবং স্ট্যান্ডিং কমিটির উপদেষ্টা লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, এফবিসিসিআইর মহাসচিব মো. আলমগীর, কমিটির কো-চেয়ারম্যান, অন্যান্য সদস্য ও ব্যবসায়ী নেতারা।
আরও পড়ুন: হালাল খাদ্যের বাজার ধরতে কমপ্লায়েন্স ইকো-সিস্টেম গড়ে তোলার আহ্বান ব্যবসায়ীদের
অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগে ২ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
৫৭০ দিন আগে
শ্রম আইন সংশোধনে ৪১টি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধনে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
রবিবার (১২ মে) দুপুর ১২টায় আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এই বৈঠক শুরু হয়ে আড়াই ঘণ্টা পর্যন্ত চলে।
আরও পড়ুন: আইনগত সহায়তা পাওয়া করুণা নয় অধিকার: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধনে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা চলছে শ্রম আইন সংশোধনে ৪১টি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা চলছে। সেগুলোর মধ্যে আজ প্রায় আড়াই ঘণ্টায় ১৭টি পয়েন্ট নিয়ে কথা হয়েছে। আরও ২৪টি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা বাকি আছে। সেগুলো নিয়ে সোমবার আলোচনা করা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আজকের বৈঠকে বাংলাদেশ শ্রম আইনের সংশোধন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কিছু পরামর্শ আছে। সেগুলো কতটা আমাদের দেশের স্বার্থে যৌক্তিক, সেটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আমরা কোনটা গ্রহণ করতে পারব, কোনটা গ্রহণ করতে পারব না, সেক্ষেত্রে কিছুটা বিস্তারিত আলোচনা হচ্ছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে আবার এ বিষয়ে আলোচনা শুরু হবে।
আলোচনা কতটা সন্তোষজনক জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু জায়গায় নিশ্চয়ই সন্তোষজনক। বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
ঢাকায় নিযুক্ত আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো পোটিআইনেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেন।
এতে আইন ও বিচার বিভাগ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ছাড়া বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: আইন প্রণয়ণের ক্ষেত্রে সবসময় দেশের জনগণের কথা চিন্তা করতে হবে: আইনমন্ত্রী
শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘনের জরিমানার অংক বাড়ানো হয়েছে: আইনমন্ত্রী
৫৭১ দিন আগে
শ্রম আইন সংশোধনে আরও আলোচনার পরামর্শ দিয়েছে আইএলও: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে তাড়াহুড়ো না করে আলোচনা করে করলে ভালো হয় বলে পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইএলও-এর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা শ্রম আইনের যে সংশোধন, সেটার বিষয়ে বসেছিলাম। এর আগে সংশোধনীর কথা হয়েছিল, সেখানে কিছু নতুন সংশোধনী আনার ব্যাপারে শ্রম মন্ত্রণালয় আমাকে জানিয়েছিল। সে বিষয়ে আইএলও কিছু বক্তব্য দেওয়ার জন্য তারা অনুরোধ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: মিথ্যা মামলা দিয়ে ড. ইউনূসকে হয়রানি করছে না সরকার: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, জেনেভা থেকে আইএলও- এর চারজনের একটি টিমও আজকে বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন। বৈঠকে শ্রম আইনের প্রায় প্রত্যেকটা ধারা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছিলাম, শ্রম আইনটা পার্লামেন্টের চলতি অধিবেশনে পাস করার জন্য। কিন্তু আইএলও প্রতিনিধিদল বলেছেন, তারাহুড়ো না করে, আলোচনা করে আরও কিছু করতে পারলে ভালো হবে।
আনিসুল হক বলেন, আমি তাদের পরিষ্কারভাবে একটা কথা জিজ্ঞেস করেছি যে, আইএলও’তে আমাদের বিরুদ্ধে গত তিন বছর ধরে একটা অভিযোগ ঝুলে আছে। প্রত্যেকবারই বলেন যে, এটা মার্চ মাসে সিদ্ধান্ত হবে না, নভেম্বরে যাবে। আবার নভেম্বরে হবে না মার্চে যাবে। আমি সেজন্য বলেছি মার্চ মাসের গভর্নর বডির মিটিংয়ে যদি বলেন, এটা আবার নভেম্বরে যাবে। সেটা তো আমরা নিতে রাজি না।
তখন তারা বলেছে, কমপ্রিহেন্সিভ লেবার অ্যাক্ট (সমন্বিত শ্রম আইন) তাদের পরামর্শ মিলিয়ে যদি করতে পারি তাহলে সেটা এই মার্চ মাসে আমাদের অভিযোগ নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে প্রতিবন্ধকতা হবে না, বরং আমরা যে আলোচনাগুলো করছি সেটার একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আইনমন্ত্রী বলেন, এটার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন নীতিনির্ধারকরা। এই আইনের কিছু কিছু বিষয় আছে, তা নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গেও আলাপ করতে হবে। তাই আমরা দুইটি সিদ্ধান্তে এসেছি।
একটা হচ্ছে এই মিটিং আবারও অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে আইএলও-এর উদ্যোগে একটা অংশীজনদের ফ্যাসিলিটি মিটিং হবে। সেখানে যেসব ইস্যু নিয়ে আমাদের সঙ্গে তাদের মতপার্থক্য আছে- সেগুলো আলোচনা হবে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান: আইনমন্ত্রী
আজ তারা কী পরামর্শ দিয়েছে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী উদাহরণ দিয়ে বলেন, তারা বলছেন, ‘সি ম্যান’ এর নাম বদলিয়ে ‘সি ফেয়ারার’ নাম করা। ম্যানেজার ও সুপারভাইজারদের ওয়ার্কার বলা।
তিনি বলেন, একটা কথা আসছিল ইউনিভার্সিটি টিচারদের ওয়ার্কার বলতে হবে, আমি সেটা নাকচ করে দিয়েছি।
আমি বলেছি, ইউনিভার্সিটি টিচারদের আমরা ওয়ার্কার বলতে পারব না। তার কারণ হচ্ছে, ইউনিভার্সিটি টিচাররাও চান না যে, তাদের ওয়ার্কার বলতে এবং ওয়ার্কারের সংজ্ঞায় আনতে, আমরাও চাই না।
ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ নিয়ে কোন আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ১০ শতাংশ নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি।
তিনি বলেন, আগে ছিল ১৫ শতাংশ হবে শুধু তিন হাজার বা তার ঊর্ধ্বে যেসব কারখানা শ্রমিক আছে তাদের। এখন আমরা সেটাও তুলে দিচ্ছি। সকল শ্রমিকদের ব্যাপারে ১৫ শতাংশ কাজ করবে।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যার বিচার হারিয়ে যাবে না: আইনমন্ত্রী
৬৬৭ দিন আগে
পাঠ্যবইয়ে ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে বিভ্রান্তি থাকলে সংশোধন হবে
পাঠ্যবইয়ে ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি থাকলে তা সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
তিনি বলেন, পাঠ্যবইয়ে আলোচিত শরীফার গল্প নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে, কোনো বিভ্রান্তি থাকলে পরিবর্তন করা হবে।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শুরুতেই স্নাতক কোর্স পরিচালনা না করার পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর
তিনি বলেন, শরীফার গল্পটি নিয়ে গতবারও বিতর্ক উঠেছিল, এবার শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, সেটা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) যারা সহকর্মী আছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করব।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, যদি একটি গল্প নিয়ে প্রতিক্রিয়া হয়, কেন হচ্ছে সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে। আমাদের দেশে একটি গোষ্ঠীর ধর্ম ব্যবহার করে অরাজকতা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রবণতা আছে। গত বছরও সেটা ছিল। একটি সংগঠন থেকে কিছুদিন আগে আমার কাছে কিছু সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল, কওমি মাদরাসার কিছু শিক্ষক এসেছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সেখানে তারা দাবি করেছেন যে এখানে ট্রান্সজেন্ডার শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে। বিভ্রান্তি সৃষ্টির বিষয়টি তারা আমাদের নজরে এনেছিলেন। আমরা যখন আলোচনা করেছি তখন দেখেছি শব্দটা ট্রান্সজেন্ডার নয়, থার্ড জেন্ডার।
তিনি বলেন, সেটা তো আইনত স্বীকৃত যে তৃতীয় লিঙ্গ যাদের সমাজে হিজড়া নামে পরিচিত। তারা দেশের নাগরিক। তাদের নাগরিক অধিকার রয়েছে। তবে গল্প উপস্থাপনার ক্ষেত্রে যদি এমনভাবে উপস্থাপন হয় যেখানে এ ধরনের বিভ্রান্তি এবং বিতর্ক সৃষ্টির প্রয়াস থাকে তাহলে এ গল্পের উপস্থাপন পরিবর্তন করা যায় কি না বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করব।
আরও পড়ুন: প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হবে: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, তাদের প্রতি সম্মান রেখে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে যদি ভিন্ন কোনো সুযোগ থাকে তাহলে সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা মতামত দেবেন। এটা যেহেতু বিশেষায়িত বিষয়। আমরা পলিসি লেভেল সেটি মন্তব্য করতে চাই না।
ব্র্যাকের বিতর্ক প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা করব। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমে ঘটনাটি জেনে তারপর আলোচনা করব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা একটি ভিডিও দেখেছি।
আরও পড়ুন: নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শুরুতেই আন্ডার গ্রাজুয়েট কোর্স চালু না করার পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর
৬৮১ দিন আগে
সংসদে বাণিজ্য সংগঠন (সংশোধন) বিল, ২০২৩ উত্থাপন
২০২২ সালের বিদ্যমান আইনে কিছু পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে বাণিজ্য সংগঠন (সংশোধনী) বিল, ২০২৩ উত্থাপন করা হয়েছে।
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির অনুপস্থিতিতে বিলটি জাতীয় সংসদে উত্থাপন করলে তা পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট স্ক্রুটিনি কমিটিতে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: মামলাজট কমাতে সংসদে অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব (সংশোধন) বিল পাস
কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হলে যে কোনো ব্যবসায়ী সংগঠনের বিদ্যমান কমিটি তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর খসড়া আইন অনুযায়ী এক বছর কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে।
তবে এখন বিদ্যমান আইন অনুযায়ী কমিটি মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ছয় মাস কার্যক্রম চালাতে পারবে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আনা সংশোধনে সাংবাদিকরা খুশি হবেন: আইনমন্ত্রী
একতরফাভাবে আগামী নির্বাচন করতে আরপিও সংশোধন করেছে সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ
৮২১ দিন আগে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আনা সংশোধনে সাংবাদিকরা খুশি হবেন: আইনমন্ত্রী
সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে সংশোধন আনছে, তাতে সাংবাদিকরা খুশি হবেন বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোরের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কী ধরনের সংশোধনী আনা হচ্ছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এটার জন্য আপনারদের একটু অপেক্ষা করতে হবে। আমি মনে করি, আপনাদের পরামর্শ সরকারের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি এটুকু বলতে পারি, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের যে সংশোধন হচ্ছে তাতে আপনারা সকলে খুশি হবেন।’
তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ। তার সফরে এই সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। নতুন আঙ্গিকে আমাদের এই অংশীদারত্ব কাজে লাগাব ও শক্ত করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আলাপ হয়েছে। তাকে বলেছি- আমরা এই আইন সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী সেপ্টেম্বরে এই সংশোধনী পার্লামেন্টে তোলা হবে এবং পাস করা হবে বলে আশা রাখি।’
আরও পড়ুন: লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা গভীর মনস্তাত্ত্বিক ক্ষত সৃষ্টি করে: আইনমন্ত্রী
বৈঠকে উপাত্ত সুরক্ষা আইন নিয়েও কথা হয়েছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, সেখানে বলেছি- এটি নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে একবার বৈঠক করার পরে আবার একটা খসড়া তৈরি করা হয়েছে। সেটি নিয়েও অংশীজনদের সঙ্গে বসা হবে বলে আমি আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর কাছ থেকে শুনেছি। ইমন গিলমোরকেও সে কথা বলেছি।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রম আইন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বলেছি, বাংলাদেশে শ্রমিকদের অধিকার জোরদার হয়েছে। এটি নিয়ে অনেক কাজ করেছি এবং করে যাচ্ছি। যে সব সমস্যা আছে, সেগুলো দূর হবে বলে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে আশা ব্যক্ত করেছি। সেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা চেয়েছি।’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, ‘তাদের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে বিশেষ কোনো আলাপ হয়নি। নির্বাচন নিয়ে তাকে কেবল বলেছি, প্রধান নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন কমিশন নিয়োগে যে আইনটি আমরা করেছি, এটি এই উপমহাদেশে প্রথম। গেল অর্ধশত বছরে এমন আর কোনো আইন হয়নি। আমরা আইন করেছি অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য।’
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অনেক বিদেশি প্রতিনিধি আসছেন, এ নিয়ে সরকার কোনো চাপ অনুভব করছে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীটা এখন বিশ্বগ্রাম। এখানে বিভিন্ন দেশ পারস্পরিক সম্পর্ক ধরে রাখতে বিভিন্ন আলোচনায় যুক্ত হয়। আমি সে আলোকেই দেখছি। আমরা একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ।’
তিনি বলেন, আমাদের যেসব বন্ধুদেশ আছে, তারা আমাদের অবশ্যই অনেক কিছু জিজ্ঞেস করতে পারেন। আবার অনেক কথা তাদেরকে জিজ্ঞেস করতে পারি। কোথাও ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকলে এই আলোচনার মাধ্যমে তা দূর হয়। অনেক ক্ষেত্রে সেগুলো দূর হচ্ছে বলে মনে করি।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার: আইনমন্ত্রী
সংবিধান না মানলে দেশের নাগরিক বলা ঠিক না: আইনমন্ত্রী
৮৬৩ দিন আগে