টার্মিনাল
টার্মিনাল বাদে অন্য কোথাও টোল নেয়া যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, টার্মিনাল বাদে অন্য কোথাও টোল নেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, বাস কিংবা ট্রাকের মালিক ও শ্রমিক সমিতি একটা টোল নিয়ে থাকেন, তারাই সেটা নির্ধারণ করেন। সেটা টার্মিনাল ছাড়া কোনো জায়গা থেকে নেয়া যাবে না। এ বিষয়ে সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির ১১১ দফা সুপারিশমালা বাস্তবায়নের জন্য টাস্কফোর্সের সভা হয়। এ সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক, পুলিশ ও আমাদের মতো বিত্তবানরাও মাদক সাপ্লাই করেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে পৌর ও সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন হবে। প্রজ্ঞাপন দেয়ার পর টোল আদায়ের বিধি না মানলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি চাঁদাবাজির মামলাও করা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ড্রাইভার ও শ্রমিকদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এছাড়া বিআরটিএ’র জনবল বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারণ অবৈধ ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুল গুলোকে বিআরটিএ’র আওতায় আনা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হেলমেটের মান নির্ধারণের জন্য বিআরটিএ ও বিএসটিআইয়ের সমন্বয়ে নির্ধারিত হেলমেটের বাইরে কেউ অন্য হেলমেট পরতে পারবে না।
আরও পড়ুন: বাস মালিকদের ধর্মঘট কেন তা আমাদের জানার বিষয় নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সমাবেশে বিএনপির কর্মীরা লাঠি নিয়ে আসছে, এটা আইনসিদ্ধ নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পায়রা সমুদ্রবন্দরে সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে প্রকল্পের মোড়ক উন্মোচন প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রা সমুদ্রবন্দরের সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য উন্নত সুযোগ-সুবিধা তৈরির লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার একটি মূল চ্যানেলের ক্যাপিটাল ড্রেজিংসহ বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
কর্মসূচির আওতায় তিনি আটটি জাহাজ চালু, প্রথম টার্মিনাল ও ছয় লেনের সংযোগ সড়ক ও একটি সেতু নির্মাণ উদ্বোধন করেন।
প্রকল্প অনুযায়ী, সমুদ্রবন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ, ১০০ থেকে ১২৫ মিটার প্রশস্ত এবং ১০ দশমিক ৫ মিটার গভীর চ্যানেল তৈরি করা হবে।
একবার চালু হলে মোট ৪০ হাজার টন কার্গো বা তিন হাজারটি কন্টেইনার বোঝাই জাহাজ বন্দরে ভিড়তে পারবে। চ্যানেলটি আনুমানিক পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বেলজিয়ামের ড্রেজিং কোম্পানি জান ডি নুল নির্মান করছে।
আরও পড়ুন: পায়রা বন্দরে কন্টেইনার ইর্য়াড নির্মাণের উদ্যোগ
আটটি জাহাজের মধ্যে দুটি পাইলট ভেসেল, দুটি হেভি ডিউটি স্পিডবোট, একটি বয় লেইং ভেসেল, একটি সার্ভে বোট এবং দুটি টাগবোট।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় অনুযায়ী, এই জাহাজগুলো বন্দর কর্তৃপক্ষকে বিদেশী জাহাজের আগমন ও প্রস্থান পর্যবেক্ষণ এবং চ্যানেল বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
প্রথম টার্মিনাল, ছয় লেনের মহাসড়ক ও সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলে পায়রা সমুদ্রবন্দরে কন্টেইনার বা বাল্ক কার্গো বহনকারী মোট তিনটি বিদেশী জাহাজ একসঙ্গে ভিড়তে পারবে। টার্মিনালটির ব্যয় হবে চার হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং এটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে চালু হবে।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের পায়রা বন্দর পরিদর্শন
ছয় দশমিক ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ছয় লেনের সংযোগ সড়কটি সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ (আরএইচডি) তৈরি করছে। ৬৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডকে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সড়কটি যান চলাচলের জন্যও খুলে দেয়া হবে।
পায়রা সমুদ্রবন্দরের পণ্য পরিবহনের জন্য আন্ধারমানিক নদীর ওপর একটি এক হাজার ১৮০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। সেতুটিতে ব্যয় হবে ৭৮০ কোটি টাকা এবং আড়াই বছরের মধ্যে এটি নির্মাণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী ২০১৩ সালের ১৯ নভেমবর পায়রা সমুদ্রবন্দর উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: মোংলা ও পায়রা বন্দর ব্যবহার করতে পারবে নেপাল: প্রধানমন্ত্রী
দুটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে: মেয়র তাপস
দুটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
তিনি বলেন, ‘আমরা দুটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একটি কাঁচপুরে, অন্যটি কেরানীগঞ্জের কাছাকাছি।’
বুধবার সকালে সায়েদাবাদে অবস্থিত ডিএসসিসি কেন্দ্রীয় মোটর গ্যারেজ এবং সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের চলমান সংস্কার ও উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র তাপস এ কথা জানান।
এবিষয়ে তিনি আরও বলেন,‘এর মধ্যে একটি জমির অধিগ্রহণ হয়েছে, আমরা হস্তান্তর চেয়েছি। আরেকটি জমির অধিগ্রহণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এগুলো নির্মাণ হতে আরও ৩-৪ বছর লেগে যাবে। এর মধ্যে বাসগুলো যেন সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে, সেজন্যই আমরা বাস টার্মিনাল সংস্কারের কাজ হাতে নিয়েছি।’
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ তাপস বলেন, ‘কিছু পথ টার্মিনালের কাছে এসে সংকীর্ণ হয়ে গেছে। তাই আমরা নিচের রাস্তা সংস্কার ও প্রশস্ত করার কাজ হাতে নিয়েছি। টার্মিনালের ভেতর দিয়ে উড়াল সেতুতে প্রবেশের পথ রয়েছে, কিন্তু সেগুলো কার্যকর নয়। সেজন্য আমরা নতুন করে এটা কার্যকর করতে পরিকল্পনা করেছি।’
আরও পড়ুন: ঢাকার দুই মেয়রকে দেয়া হলো মন্ত্রীর পদমর্যাদা
চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ অঞ্চলের নৌপথ খনন ও টার্মিনাল নির্মাণে চুক্তি
অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ অঞ্চলের নৌ-করিডোরের সক্ষমতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন এবং একে টেকসই খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌপথ খনন এবং টার্মিনালসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ সংক্রান্ত চুক্তিপত্র স্বাক্ষর হয়েছে।
শনিবার রাজধানীর হোটেল রেডিসনে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর উপস্থিতিতে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন প্রকল্প পরিচালক বিআইডব্লিউটিএ’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আইউব আলী, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গালফ কবলা-কর্ণফুলী যৌথ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রশিদ, অপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ধারতি-বঙ্গ যৌথ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বঙ্গ ড্রেজার্স লিমিটেডের পরিচালক মো. আইনুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে নৌপথের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ কমাতে দেশের নৌপথের সক্ষমতা নিয়ে কাজ করছে বর্তমান সরকার।
আরও পড়ুন: জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া লঞ্চের টিকিট পাওয়া যাবে না: নৌপ্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের উন্নয়নকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে থমকে দেয়া হয়েছিল। পঁচাত্তর পরবর্তী সরকার দেশের নৌপথসহ কোনো পথেই উন্নয়ন করেনি, এরপর শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দেশের নৌপথ পুনরায় উদ্ধার ও উন্নয়নে হাত দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজ যেই দুটি চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে তার কাজ সম্পন্ন হলে বাংলাদেশের নৌপথের যে অগ্রগতি হবে তাতে দেশের নৌপথ ব্যবহারকারী পণ্যবাহী যান ও যাত্রীরা আরও স্বাচ্ছন্দ্যে নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন।
চুক্তিপত্র অনুযায়ী ১৩টি নৌরুটের উন্নয়ন ও সংরক্ষণ খনন কাজ করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গালফ কবলা-কর্ণফুলী যৌথ প্রতিষ্ঠান এবং ধারতি-বঙ্গ যৌথ প্রতিষ্ঠান। এজন্য ব্যয় হবে ৪৩০ কোটি টাকা।
প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৯০০ কিলোমিটার নৌপথ খনন, ছয়টি স্থানে নৌযানসমূহের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, তিনটি ফেরি ক্রসিং এলাকায় সংরক্ষণ ড্রেজিং, চারটি প্যাসেঞ্জার ও দুটি কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ ও উন্নয়ন, ১৫টি ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণ এবং দুটি মাল্টিপারপাস ভেসেল সংগ্রহ করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডোরের আশুগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও বরিশালে মূল নদী ও শাখাসমূহ (প্রায় ৯০০ কিলোমিটার নৌপথ) পারফরম্যান্স বেইজড কন্ট্রাক্ট ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ এবং নাব্যতা সংরক্ষণ করা হবে। এ নৌ-করিডোর মধ্যে ছয়টি স্থানে নৌযানসমূহের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ।
প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত স্থানসমূহ হচ্ছে- ষাটনল, চরভৈরবী, চাঁদপুর, মেহেন্দীগঞ্জ, সন্দ্বীপ এবং নলচিরা; উক্ত নৌরুটের তিনটি ফেরি ক্রসিং (চাঁদপুর-শরিয়তপুর, লক্ষীপুর-ভোলা এবং ভেদুরিয়া-লাহারহাট) এলাকায় সংরক্ষণ ড্রেজিং; চারটি প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণ ও উন্নয়ন (ঢাকা শ্মশানঘাট, নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর এবং বরিশাল) এবং দুটি কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ ও উন্নয়ন (পানগাঁও ও আশুগঞ্জ); নৌকরিডোরটির বিভিন্ন স্থানে (ভৈরব বাজার, আলু বাজার, হরিণা, হিজলা, মজুচৌধুরী, ইলিশা (ভোলা), ভেদুরিয়া, লাহারহাট, বদ্দারহাট, দৌলতখাঁ, চেয়ারম্যানঘাট (চর বাটা), সন্দ্বীপ, তজুমদ্দিন, মনপুরা এবং তমুরুদ্দিন) ১৫টি ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণ এবং দুটি মাল্টিপারপাস ভেসেল সংগ্রহ করা হবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: লঞ্চে ধূমপান না করতে সতর্কীকরণ পদক্ষেপ নেয়া হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
এই সরকারের সময়ে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না: নৌপ্রতিমন্ত্রী
শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন হতে পারে ২০২৩ সালে
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এম মাহবুব আলী বলেছেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে উদ্বোধন হতে পারে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে টার্মিনালের ৩৪ দশমিক ৬ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে যা প্রত্যাশিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এক দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মতে, চলতি বছরের ৮ এপ্রিলের মধ্যে ৩২ দশমিক ৭ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করার কথা ছিল।
সোমবার তৃতীয় টার্মিনালের চলমান কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শাহজালাল বিমানবন্দরে দুই বিমানের মধ্যে সংঘর্ষ
মাহবুব বলেন, টার্মিনালটি যাত্রীদের জন্য খুলে দেয়া হলে যাত্রীসেবায় অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, তৃতীয় টার্মিনালে প্রবেশের জন্য একটি টানেল নির্মাণ ও একটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের সমন্বয় প্রয়োজন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানেলটি আশকোনা হজ ক্যাম্প পর্যন্ত সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছেন।
কয়েকদিনের মধ্যে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
প্রকল্পের ব্যয় বাড়তে পারে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুব বলেন, আমরা বিষয়টি দেখব এবং প্রকল্পের জন্য কী প্রযোজ্য তা বিবেচনা করা হবে।
মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে বিমান ভাড়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এর আগে এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসেছিলাম এবং ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। আমি আশা করি এক মাসের মধ্যে এটি হ্রাস পাবে।’
আরও পড়ুন: ‘বেগমপাড়ার’ যাত্রীদের জন্য বিমানের ফ্লাইট চালু: মির্জা ফখরুল
হজযাত্রীদের নিয়ে প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মাহবুব বলেন, বিমানের ভাড়া সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
এদিকে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বিমানবন্দরের দুটি অতিরিক্ত হাইস্পিড ট্যাক্সিওয়ের নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিএএবি) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান।
বরিশালে বাস টার্মিনালের দখল নিয়ে হামলা ভাংচুর
বরিশাল নগরীর রূপাতলী বাস টার্মিনালের কর্তৃত্ব নিয়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম অনুসারী শ্রমিক নেতাকর্মীর ওপর হামলা ও অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ অনুসারীদের বিরুদ্ধে। তবে মেয়র অনুসারীরা বলছেন, হামলা তারা নয়, তাদের ওপর একাধিকবার হামলা চালানো হয়েছে। উভয় পক্ষের অভিযোগ মতে এই ঘটনায় আহত হয়েছে ছয়জন।
আহতরা হলেন- পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী অনুসারী বরিশাল জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সুলতান মাহামুদ, তার অনুসারী শ্রমিক মানিক, শামীম, নাসির এবং পাল্টা কমিটি বরিশাল জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী পরিমল চন্দ্র দাসের সমর্থক কালাম ও দিপু সিকদার।
শনিবার দুপুর ১টার দিকে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারীরা মোটরসাইকেল বহর নিয়ে রুপাতলী বাস টার্মিনাল সংলগ্ন সুলতান মাহামুদের অফিসে ভাঙচুর করে এবং তার ওপর হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীদের সঙ্গে আগ্নেয় ও ধারালো অস্ত্র ছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
আহত সুলতান মাহামুদ বলেন, আমি আমার ব্যক্তিগত অফিসে বসা ছিলাম। হঠাৎ করে শ্রমিক নেতা দাবীদার রইজ আহম্মেদ মান্না, জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সাজ্জাদ, মুনিম, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিবসহ দুই শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী শর্টগান ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর হামলা করে। এতে আমিসহ আমার সঙ্গে থাকা কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়। এরা সব মেয়র সাদিকের কথায় আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। সাদিক রুপাতলী বাস টার্মিনাল কন্ট্রোলে নিতে পারছে না আমার কারণে, সে জন্য আমার ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। আমার অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সিনেমা দেখেছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে বাস টার্মিনালের দখল নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
সুলতান বলেন, আমি এবং আমার অনুসারীরা কেউ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার সাহস পাচ্ছি না, নিজ বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছি। হাসপাতালে ভর্তি হলে আমাদের ওপর আবার হামলা করা হবে।
অপরদিকে সিটি মেয়র অনুসারী বরিশাল জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাস জানান, আমরা কারও ওপর হামলা করিনি। যাদের নাম বলছে তারা তো টার্মিনালেই আসেনি। বরং সুলতান মাহামুদ আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে আমাদের দুই শ্রমিককে আহত করেছে। তাদের চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার বাবু বলেন, আমরা সকাল থেকে টার্মিনালে ছিলাম। কিন্তু কোথাও কোনো ঝামেলার খবর শুনিনি। উল্টো আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। যেখানে আমাদের শ্রমিক পাচ্ছে সেখানেই মারধর করা হচ্ছে।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী সুলতান মাহামুদের অফিস সংলগ্ন অগ্রণী ব্যাংকের ম্যানেজার জিয়াউর রহমান বলেন, গন্ডগোল দেখে আমি ব্যাংকের গেট আটকে দেই। কারা ভাঙচুর করছে সেটা বলতে পারবো না।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার সহকারি কমিশনার শারমিন সুলতানা রাখি বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এনামুল হক বলেন, এখানে এসে একটি অফিস ভাঙচুর অবস্থায় দেখতে পেয়েছি। বিচ্ছিন্নভাবে এসে এই ঘটনা ঘটনো হয়েছে। যারাই এই অপরাধ করেছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজগুলো পর্যালোচনা করে দেখবো আমরা। পুলিশের সামনে এই ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ ছিল তবে ঘটনাস্থলে নয়, তাছাড়া পুলিশের কোনো গাফলতি নেই।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ কয়েকদিন ধরেই রুপাতলী মিনিবাস টার্মিনাল দখল নিয়ে প্রতিমন্ত্রী ও মেয়র সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ চলে আসছিল। শুক্রবার দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
আরও পড়ুন: বরিশালে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা-ভাঙচুর, গ্রেপ্তার ৭
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারি
বরিশালে বাস টার্মিনালের দখল নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
বরিশাল নগরীর রূপাতলী মিনি বাস টার্মিনালের কর্তৃত্ব নিয়ে সদরের সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম এবং সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী শ্রমিকদের মধ্যে আবারও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। দুই গ্রুপে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।
শনিবার দিনভর টার্মিনালে দুই পক্ষের শ্রমিকরা দফায় দফায় টার্মিনাল এলাকায় মহড়া দেয়। এসময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল টার্মিনালে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, টার্মিনাল দখল নিয়ে দুপুর ২টার দিকে দুই গ্রুপে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে টার্মিনাল এলাকায় মুহুর্তের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে।
আরও পড়ুন: বরিশালে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা-ভাঙচুর, গ্রেপ্তার ৭
সিটি মেয়র অনুসারী বরিশাল জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি পরিমল চন্দ্র দাস জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে শ্রমিকদের নিয়ে একটি মিছিল করা হলে তাতে একটি মহলের কিছু লোক হামলা চালায়। এ ঘটনায় আইনের আশ্রয় নেয়া হবে।
তবে এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীর অনুসারী পাল্টা কমিটি জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সুলতান মাহমুদ বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আমি বাসায় আছি।
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক বিপ্লব মিস্ত্রি জানান, কিছুদিন যাবৎ টার্মিনালের কর্তৃত্ব নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে টার্মিনালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারি
বরিশালে বাস-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
রাজধানীর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল স্থানান্তরে ধীরগতি
রাজধানীর প্রবেশপথে যানজট নিরসনের জন্য সরকার ঢাকার চারটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালকে স্থানান্তরের পরিকল্পনার গ্রহণ করার প্রায় এক দশক হয়েছে। কিন্তু এখনও এ ব্যাপারে তেমন কোনও অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শহরের কেন্দ্র থেকে দূরে টার্মিনালগুলি স্থানান্তরিত করার বিশাল সুবিধা রয়েছে। নির্মাণাধীন মেট্রোরেল ব্যবস্থার কাছাকাছি হওয়ায়, মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটি থাকার কারণে যাতায়াত দ্রুততর হবে এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
আরও পড়ুনঃ বছরে ১২ কোটি টাকায় গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনাল ইজারা
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদ এবং ফুলবাড়িয়ায় চারটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের স্থানান্তর কাজের তদারকি করবে বলে জানা যায়।
ডিটিসিএ সূত্র জানায়, সরকার ২০১০ সালে পরিকল্পনাটি গ্রহণ করলেও, অজানা কারণে কাজটি এখনও শুরু হয়নি।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গাবতলী টার্মিনাল সাভারে, মহাখালী টার্মিনাল গাজীপুরের টঙ্গী, সায়েদাবাদ টার্মিনাল কাঁচপুর এবং ফুলবাড়িয়া এবং বাবুবাজারের টার্মিনাল কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল হিসাবে ৪টি স্থান নির্বাচন করা হয়েছে: মেয়র তাপস
চারটি বাস টার্মিনাল স্থানান্তরের পর, গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদ, ফুলবাড়িয়া, মিরপুর-১২, মোহাম্মদপুরের বাসিলা এবং সদরঘাটে ঢাকার রাস্তায় চলাচলকারী বাসের জন্য নতুন বাস টার্মিনাল স্থাপন করা হবে।
ডিটিসিএর অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, বাস রুট রেশনালাইজেশন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে নতুন টার্মিনাল এবং বাস ডিপো নির্মাণের জন্য কমপক্ষে ১০ টি সাইট প্রস্তাব করেছে ডিটিসিএর টেকনিক্যাল কমিটি।
রবিউল ইসলাম বলেন, আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের স্থানান্তরের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা রিপোর্ট (এফএসআর) প্রায় চূড়ান্ত এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেটি যাচাই-বাছাই করছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এফএসআর চূড়ান্ত করতে আরো ২-৩ মাস লাগতে পারে। এফএসআর শেষ হওয়ার পর, বাস টার্মিনালগুলির স্থানান্তর একটি বিনিয়োগ প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে।
শিমুলিয়া ঘাটে গণপরিবহন ও নৌযানে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত
মুন্সীগঞ্জ, ০১ আগস্ট (ইউএনবি)- গার্মেন্টসহ বিভিন্ন কলকারখানার শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার সুবিধার্থে সোমবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে লঞ্চ চলাচলের ঘোষণার পরও শিমুলিয়া ঘাটে মানুষের ভিড় অব্যাহত রয়েছে। তবে করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে লঞ্চ চলাচল করার কথা থাকলেও তা কেউ মানছেন না। বাসে অর্ধেক আসনের জায়গায় পূর্ণ সংখ্যক আসনেই যাত্রী নেয়া হচ্ছে। ফলে বাসে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই যাত্রীরা চলাচল করছেন।
অন্যদিকে, শিমুলিয়া লঞ্চ টার্মিনাল লোকারণ্য, সেখানে স্বাস্থ্যবিধির বালাই ছিল না। একজন আরেকজনের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছেন লঞ্চে ওঠার অপেক্ষায় আছেন। লঞ্চগুলোও মানছে না নিয়ম। শতভাগ আসনে যাত্রী নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন তারা। কোনো কোনো লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী উঠাচ্ছে। ৮৭টি লঞ্চের মধ্যে মাত্র ২৬টি চালু রয়েছে।
লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও কমসংখ্যক লঞ্চ চলাচলের কারণ হিসেবে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের লঞ্চ মালিক সেমি সিনিয়র সহসভাপতি ইকবাল হোসেন খান জানান, সরকারের হঠাৎ লঞ্চ চলাচলের ঘোষণায় চালকেরা আসতে পারেননি। তিনি আরও জানান, রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত চালিয়ে তাদের পোষাবে না। তাই অনেক লঞ্চমালিক এত অল্প সময়ের জন্য লঞ্চ চালাতে সম্মত হননি। তবে পরে সময় বাড়ানোর পর আরও কিছু লঞ্চ চালু হয়।
আরও পড়ুন: যাত্রী নিয়ে নাটোর ছাড়ছে ঢাকাগামী বাস
রবিবার সকাল ৭টায় শিমুলিয়া ঘাটের প্রবেশমুখে দেখা যায়, চন্দ্রেরবাড়ি থেকে শিমুলিয়া ঘাট পর্যন্ত ২ কিলোমিটার জুড়ে যাত্রীবাহী ও ব্যক্তিগত গাড়ির জটলা। কিছুতেই গাড়ি নড়ছিল না।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ জানান, এ নৌরুটের বহরে থাকা ১৮টি ফেরির মধ্যে ৮টি চালু রয়েছে। লঞ্চ চালু থাকায় ফেরিতে যাত্রী চাপ কিছুটা কমলেও হাজার হাজার যাত্রী গাদাগাদি করেই ফেরিতে চেপে পদ্মা পার হচ্ছে।
অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের কারণে চার লঞ্চকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার হামিদ জানান, লঞ্চগুলোর ৫০ শতাংশ যাত্রী বহনের কথা থাকলেও কয়েক গুণ বেশি যাত্রী বহন করায় এই জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে জরিমানা: নৌ প্রতিমন্ত্রী
ভোলায় ফেরিঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ভিড়
যশোরের টার্মিনালগুলোতে মানবেতর অবস্থায় ২০০ পরিবহন শ্রমিক
করোনাভাইরাসের কারণে চলছে না যাত্রীবাহী গাড়ি। কর্মহীন হয়ে আছেন পরিবহন শ্রমিকরা। এমনই প্রায় ২০০ শ্রমিক আটকা পড়ে আছেন যশোরের বিভিন্ন বাস টার্মিনালে। নানা সরকারি-বেসরকারি সংস্থা থেকে দেয়া সহায়তাও তারা ঠিকমতো পাচ্ছেন না। তাদের দিন কাটছে মানবেতর অবস্থায়।