মেঘনা
মেঘনায় অভিযানের সময় মৎস্য কর্মকর্তার ওপর দৃর্বৃত্তের হামলা
ভোলার মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনার সময় দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছেন সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাসহ পাঁচজন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে ভোলা সদর উপজেলার মেঘনা নদীর কাঠির মাথা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হলেন- মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম মাহামুদুল হাসান, মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী রফিকুল ইসলাম, জামাল, তানজিলা ও জাফর।
আহতদের মধ্যে তানজিলা, জাফর, রফিকুলকে ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তানজিলা, জাফর ও রফিকুল জানান, মঙ্গলবার সকালে ভোলা সদর উপজেলার মেঘনা নদীর কাঠির মাথা এলাকায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালায়। এ সময় তারা মশারি জাল উদ্ধার করতে গেলে ছকেট জামালের ভাগ্নে প্রভাবশালী মৎস্য ব্যবসায়ী শাহিনের নেতৃত্বে জেলে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: ভারতে বাংলাদেশ মিশনে হামলা: গ্রেপ্তার ৭, বরখাস্ত ৩ পুলিশ সদস্য
এ হামলায় সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাসহ পাঁচজন আহত হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয়দের সহায়তায় অভিযান পরিচালনাকরী মৎস্য বিভাগের সদস্যরা প্রাণে রক্ষা পান।
তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মৎস্য ব্যবসায়ী শাহিনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, মৎস্য বিভাগের একটি দল নিয়মিত অভিযানে যায়। এ সময় অবৈধ একটি জাল তাদের নজরে আসলে জেলেদের সঙ্গে কথা বলার সময় একটি চক্র হামলা চালায়।
এছাড়া সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি ও হামলার ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান বিশ্বজিৎ কুমার দেব।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাত মো. হাসনাইন পারভেজ জানান, এ ব্যাপারে মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হবে।
তবে এখন পর্যন্ত অভিযোগ হাতে পাননি বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলার নিন্দা ইসলামী ছাত্রশিবিরের
২ সপ্তাহ আগে
পদ্মা-মেঘনায় মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
শরীয়তপুরের জাজিরা-নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ ও চরজানপুর পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনার অভয়াশ্রয় এলাকায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়ে রবিবার (৩ নভেম্বর) পর্যন্ত নদীতে মাছ ধরা, বিক্রি ও পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে।
অভিযান সফল করতে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
আরও পড়ুন: ২২ দিনের শিকার নিষেধাজ্ঞায় চাঁদপুরে রেকর্ড দামে ইলিশ বিক্রি, হতাশ হয়ে ফিরছেন ক্রেতারা
মা ইলিশ নিরাপদে ডিম ছাড়ার সুযোগ পেলে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়বে জানিয়ে ভেদরগঞ্জ সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ইলিশের ডিম পরিপক্কতা ও প্রাপ্যতায় মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার। এখন মা ইলিশ ডিম ছাড়ার জন্য সাগর থেকে উপকূলীয় অঞ্চল পদ্মা-মেঘনা অভয়াশ্রমের আওতাধীন নদীগুলোতে আসে। আশ্বিনের অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় মা ইলিশ প্রচুর ডিম পাড়ে। তাই মা ইলিশ অবাধে ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতে নদীতে জাল ফেলা ও মাছ শিকার বন্ধ থাকবে।
জেলা মৎস্য অফিসার মো. হাদিউজ্জামান বলেন, নদীতে মা ইলিশ রক্ষা ও অভয়াশ্রম বাস্তবায়ন করতে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, মৎস্য বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স প্রস্তুত রয়েছে। জেলে ও মৎস্যজীবীদের সচেতন করতে জল ও স্থলপথে প্রচারণা চলছে।
সরকার প্রণোদনা হিসেবে তালিকাভুক্ত প্রত্যেক জেলেকে ৪০ কেজি করে চাল দিয়েছে বলে জানান তিনি।
হাদিউজ্জামান আরও জানান, অভিযান সফলভাবে বাস্তবায়নে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অভিযান চলাকালে নদীতে কোস্টগার্ড, সেনাবাহিনী, নৌপুলিশ মোতায়েন থাকবে। ২৪ ঘণ্টা পাহারা দিতে এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি স্পিডবোট আনা হয়েছে।
নিষিদ্ধ সময়ে কেউ মাছ কেনাবেচা করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে সতর্ক করেন তিনি।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা বাড়ল আরও ১৫ দিন
২ মাস আগে
মেঘনা নদী থেকে ২ জেলের লাশ উদ্ধার
ভোলার মনপুরায় মেঘনা নদী থেকে মো. বেলাল হোসেনের (২৫) ও আলাউদ্দিনের (৩০) নামে দুই জেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার সকাল ৮টায় উপজেলার উত্তর সাকুচিয় ইউনিয়নের মাস্টার হাট পশ্চিম পাশের মেঘনা নদী থেকে একটি লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে মহাসড়কের পাশ থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
পরে রবিবার দুপুর ১২টায় ১ নম্বর মনপুরা ইউনিয়নের কাউয়ার টেকের পূর্ব পাশের মেঘনা নদী থেকে আরও একটি লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত জেলেরা হলেন- তজুমুদ্দিন উপজেলার ২ নম্বর ওয়ার্ডের দেওয়ানপুর গ্রামের মো. বেলাল হোসেন এবং মনপুরার হাজীর হাট ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সোনার চর গ্রামের আলাউদ্দিন।
আরও পড়ুন: তিস্তায় হাত বাঁধা অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয়রা লাশ দুইটি নদীতে ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দিলে মনপুরা থানা পুলিশ লাশ দুইটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে। পরে আত্মীয়স্বজনরা মনপুরা থানায় এসে লাশ দুইটি শনাক্ত করে নিয়ে যায়।
লাশ দুইটি গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে ডুবে যাওয়া মাছধরা ট্রলারে থাকা জেলেদের বলে জানিয়েছে তাদের পরিবার।
আরও পড়ুন: পাবনায় ধানখেত থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির গলাকাটা লাশ উদ্ধার
মনপুরা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, লাশ দুইটি তাদের পরিবারের লোকজন শনাক্ত করেছে। কোনো প্রকার আপত্তি না থাকায় লাশগুলো তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মনপুরা থানায় দুইটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
৩ মাস আগে
মেঘনার মোহনায় নৌকাডুবি,নববধূসহ নিখোঁজ ২
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মোহনায় প্রবল ঘূর্ণি স্রোতের মাঝে পড়ে নৌকা ডুবে নববধূসহ ২ জন নিখোঁজ হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নৌকার মাঝিসহ ৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
নিখোঁজরা হলেন- জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার পৌর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চরমুকন্দির বাসিন্দা নববধূ উম্মে হানিয়া ফাহিমা (২১) ও চাঁদপুর শহরের নাজির পাড়ার বাসিন্দা সেতু (৩২)।
আরও পড়ুন: পাবনায় নিখোঁজ রাজমিস্ত্রির গলাকাটা লাশ উদ্ধার
উদ্ধার হওয়া চারজন হলেন- নববধূর স্বামী নাঈম খান (৩৫), তার বন্ধু মো. মাজহারুল (৩৩), আত্মীয়া মুনিয়া (২৬) ও নৌকার মাঝি। তাদের চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নাঈমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম খান ইউএনবিকে বলেন, ‘দুই মাস আগে আমার ছেলে প্রবাস থেকে ফিরে বিয়ে করে। তারা নৌকা ভাড়া করে ঘুরতে বেরিয়েছিল। এরইমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। আমাদের সাজানো সংসার শেষ হয়ে গেল।
কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
চাঁদপুর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান মনির ইউএনবিকে বলেন, ‘ওই নৌকায় মাঝিসহ ৬ জন ছিলেন। এর মধ্যে ২ জন নিখোঁজ ও ৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে চাঁদপুর কোস্টগার্ডের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
চাঁদপুর কোস্টগার্ডের পেটি অফিসার এম শফিকুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ‘খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আমাদের ডুবুরি দল মেঘনার মোহনায় উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত নববধূসহ এখনও ২ জন নিখোঁজ রয়েছে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে খালের পানিতে ডুবে নিখোঁজ দুই শিশুর একজনের লাশ উদ্ধার
পা পিছলে গড়াই নদীতে পড়ে স্কুলছাত্র নিখোঁজ
৪ মাস আগে
মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ সংকট, বিপাকে জেলেরা
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর পাঁচ সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না।
জেলেরা হতাশ হয়ে ফিরছেন নদী থেকে। তাদের অধিকাংশই ঋণ পরিশোধ নিয়ে উদ্বিগ্ন।
জেলেরা জানান, ইলিশের আশায় তারা নদীতে গেলেও তাদের খরচের টাকা উঠছে না। উপরন্তু বাড়ছে এনজিও ও মহাজনের ঋণের বোঝা। এছাড়া এ পেশা ছেড়ে দেওয়ার কথাও বলছেন কেউ কেউ।
আরও পড়ুন: ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মৎস্য অধিদপ্তর বলছে, নদীর পানি আরেকটু বাড়লে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যাবে।
স্থানীয়রা জানান, ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদী থেকে দেশের প্রায় ৩০ শতাংশ ইলিশ আহরণ করা হলেও এবার ভরা বর্ষায় জেলেদের জালে পর্যাপ্ত ইলিশ নেই। যে পরিমাণ মাছ ধরা পড়ছে তা দিয়ে ট্রলারের ইঞ্জিনের তেলের দামসহ অন্যন্য খরচও উঠে না।
ভোলার মেঘনা নদীর ইলিশা ও তুলাতুলি মাছঘাটে গিয়ে দেখা যায়, আড়তদারদের মাছের বাক্সগুলো খাঁ খাঁ করছে। জেলার প্রায় অর্ধশতাধিক ছোট বড় ঘাটের এখন এমন অবস্থা। জেলেদের পাশপাশি আড়তদাররাও রয়েছেন বিপাকে।
মাছের আড়তদাররা জানান, জেলেসহ তারাও বিপাকে দিন কাটাচ্ছেন। নদীতে ইলিশের সংকট থাকায় তারাও দেনায় জড়িয়ে পড়ছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে কমেছে ইলিশের দাম
৫ মাস আগে
মেঘনায় ড্রেজার ডুবির ঘটনায় ২ জনের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ৩
ভোলার মেঘনায় ডুবে যাওয়া ড্রেজার থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও তিনজন নিখোঁজ রয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে তাদের লাশগুলো উদ্ধার করে বিআইডব্লিউটির ডুবুরি দল।
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের বাঘারহাট গ্রামের বাসিন্দা নুরে আলম (৫০) ও মো. সিয়াম (২৩)।
নিখোঁজ তিন জন হলেন- একই ইউনিয়নের আরিফুল ইসলাম (২১), হারুন অর রশিদ (৪০) ও মো. তানজিল (২১)।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ডুবে যাওয়ার ২ দিন পর কিশোরের লাশ উদ্ধার
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত শনিবার রাতের কোনো এক সময় ভোলার কাচিয়া ইউনিয়ন সংলগ্ন মেঘনা নদীতে আফসানা নামের বালুকাটা ড্রেজারটি ডুবে যায়। ধারণা করা হচ্ছে রাতে মালবাহী কোনো লাইটার জাহাজের ধাক্কায় ড্রেজারটি ডুবে যেতে পারে। ওই সময় চালকসহ পাঁচজন বের হতে পারেননি।
ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড সোমবার দিনব্যাপী সন্ধানের পর বিকালের দিকে ডুবে যাওয়া ড্রেজারটি খুঁজে পায়। বরিশাল থেকে আসা বিআইডব্লিউটির ডুবুরি দল মঙ্গলবার সকালে দুজনের লাশ উদ্ধার করে। নিখোঁজ তিনজনকে উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে ডুবে যাওয়া ড্রেজারটি এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
ভোলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের আর্থিক সহায়তার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।
ভোলা ইলিশা নৌ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিদ্যুৎ বড়ুয়া জানান, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিখোঁজদের উদ্ধার তৎপরতা চলছে। এছাড়া ড্রেজারটিও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় গোসলে নেমে স্ত্রীর সামনে ডুবে গেলেন স্বামী
৫ মাস আগে
মেঘনায় গোসলে নেমে স্ত্রীর সামনে ডুবে গেলেন স্বামী
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে স্বামী-স্ত্রী এক সঙ্গে গোসলে নেমে স্ত্রী মনিরা বেগমের চোখের সামনে তীব্র স্রোতে ভেসে গেলেন স্বামী জহিরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে চাঁদপুর শহরের টিলাবাড়ি লঞ্চঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ জহিরুল (৩৫) বরিশালের মৃত মনসুর বেপারীর ছেলে। এই দম্পতি দুই সন্তান নিয়ে লঞ্চঘাটের পাশে টিলাবাড়ি মেঘনাপাড়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। জহিরুল ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতেন আবার কখনো কখনো লঞ্চঘাটে হকারিও করতেন।
আরও পড়ুন: বন্যার কারণে সিলেট বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
এদিকে খবর পেয়ে বিআইডাব্লিউটিএ-র লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ডুবুরিদল নিখোঁজ জহিরুলের সন্ধানে অভিযান শুরু করে। কিন্তু তার কোনো সন্ধান মেলেনি।
নিখোঁজ জহিরের ভাই নজরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে তার স্ত্রী মনিরা বেগমসহ গোসল করতে নেমে আর উঠেনি। আমরা ধারণা করছি, নদীর তীব্র স্রোতের কারণে সে ডুবে গেছে।
চাঁদপুর নৌ ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের ইনচার্জ মোসলেম মিয়াজি ইউএনবিকে জানান, দুপুর পর্যন্ত জহিরের সন্ধান করেও পাওয়া যায়নি। তবুও উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। কিন্তু নদীর তীব্র স্রোতে তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
চাঁদপুর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান ইউএনবিকে জানান, ঘটনা জানতে পেরে নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে নৌ-পুলিশও কাজ করছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা বেড়ে সোয়া ৮ লাখ
৬ মাস আগে
মেঘনায় ডুবে যাওয়ার ২ দিন পর কিশোরের লাশ উদ্ধার
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বন্ধুদের সঙ্গে মেঘনায় গোসল করতে নেমে দুই দিন ধরে নিখোঁজ আলিফের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের ভবানিপুর খেয়া ঘাটসংলগ্ন মেঘনায় লাশটি ভেসে উঠলে পুলিশ এসে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: বাড্ডা থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
নিখোঁজ আলিফ গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের লক্ষীপুরা গ্রামের মো. ফয়সাল প্রধানের একমাত্র ছেলে। সে ভবেরচর ল্যান্ডভারী স্কুল থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা অংশ নেয়।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খাঁন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আলিফ
উল্লেখ্য, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা সেতুর নিচে নদীতে সাত থেকে আটজন বন্ধু মিলে গোসল করতে নামে। আলিফ সাঁতার না জানায় তলিয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে সবাই মিলে তাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তার পরিবার এবং ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ডোবা থেকে লাশ উদ্ধার
বগুড়ায় এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
৭ মাস আগে
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় জাটকা ধরায় ৩৩ জেলে আটক
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের আধাঁরে চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে জাটকা ধরায় ৩৩ জেলেকে আটক করেছে টাস্কফোর্স।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন।
তাদের মধ্যে ১৮ জনকে ১০ দিন করে কারাদণ্ড ৬ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় ৯ জনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আরও পড়ুন: পাবনায় র্যাবের অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের ৮ সদস্য আটক
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন- মো. নুরু সরকার, খোরশেদ বন্দুকশী, মো. রাসেল ঢালী, মো. হোসেন, মো. আরিফ আব্দুল করিম, আব্দুল শাহজাহান, আব্দুল কাশেম, রবিউল গাজী, বিল্লাল হোসেন, রুবেল বেপারী, রাজিব শুক্কুর দেওয়ান, আব্দুর রহিম, খাজা বেপারী, ইব্রাহীম খলিল তালুকদার, জাকির রাঢ়ি, হাকিম খান এবং আরও দুইজন।
নিয়মিত মামলার আসামিরা হলেন- মিন্টুন খান, শরীফ মিজি, আল-আমিন হোসেন, আমিন খাঁ, সোহাগ ও মো. নোমান।
এরা সবাই চাঁদপুর ও শরিয়তপুরসহ আশপাশের এলাকার।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, অভয়াশ্রম এলাকায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) একরামুল ছিদ্দিকের নেতৃত্বে মৎস্য দপ্তর, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের যৌথ অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
এ সময় জেলেদের সঙ্গে থাকা তিনটি বেহুন্দিজাল, ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, পাঁচটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও পাঁচ হাজার মিটার সুতার জাল জব্দ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় এবং জব্দকৃত নৌকা মামলার আলামত হিসেবে কোস্ট গার্ড হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে সীমান্ত থেকে অস্ত্র ও গাঁজা জব্দ; আটক ১
রূপগঞ্জে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ যুবক আটক
৮ মাস আগে
মেঘনায় ট্রলারডুবি: স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ এখনও নিখোঁজ কনস্টেবল, পরিবারে চলছে আহাজারি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ হয়েছেন স্ত্রী ও ২ সন্তানসহ ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা। এ নিয়ে তার পরিবারের চলছে আহাজারি।
শুক্রবার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে এই ঘটনা ঘটে। শনিবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা উদ্ধার অভিযান শুরু করলেও স্বপরিবারে নিখোঁজ রয়েছেন পুলিশ কনস্টেবল।
আরও পড়ুন: পুরান ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকাণ্ড, পুড়েছে রাসায়নিক গুদাম
সোহেলের বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামে এবং তিনি ফতেহাবাদ গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে। সোহেল ২০১১ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পান।
দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের ১নং ইউনিয়ন সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল সোহেলের বাবা, মা ও পরিবারের সদস্যরা ভৈরবে ছুটে যান। ছেলে ও তার পরিবারের সদস্যদের না পেয়ে তারা বার বার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকালে ভৈরব সেতু এলাকায় মেঘনা নদীর পাড় থেকে একটি ট্রলার নিয়ে ১৬ জন যাত্রী আশুগঞ্জ সোনারামপুর চরে ঘুরতে যায়। সেখান থেকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভৈরবে ফেরার পথে মাঝ নদীতে নৌকাটিকে একটি বাল্কহেড ধাক্কা দেয়। এতে ট্রলারটি ডুবে যায়। সময় স্থানীয় লোকজন ও নৌ পুলিশ ৯-১০ জনকে উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলার ডুবে নিহত ১, পুলিশ সদস্যসহ ৮ জন নিখোঁজ
গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে এক নারীকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তোফাজ্জল হক নামের এক যুবককে আহত অবস্থায় ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। এসময় রুবা নামের এক ছাত্রী ও পুলিশ কনস্টেবলের ভাগনেসহ কয়েকজন সাঁতরে পারে উঠলেও বাকিরা নিখোঁজ রয়েছেন।
ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজু মিয়া জানান, ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ নদীতে ট্রলারটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে। কিন্ত অন্ধকার থাকায় উদ্ধার কাজ ব্যাহত হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর ছাত্রলীগ নেতার হামলা, গ্রেপ্তার ১
৮ মাস আগে