মেঘনা
চাঁদপুরে মেঘনায় জাটকা ধরায় ১০ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরায় ১২ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এরমধ্যে ১০ জেলেকে এক মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বাকি দুই জেলের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় (অপ্রাপ্ত বয়স্ক) তাদের পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরায় ২৩ জেলেকে কারাদণ্ড
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন- জাহাঙ্গীর বেপারী (৩০), মো. আলমগীর (২৫), মাইনুদ্দীন (৩৬), মনসুর (২৯), আবুল সরদার (৫০), আক্কাছ আলী প্রধানিয়া (৩৫), সুমন পাটওয়ারী (২৩), আবুল হোসেন (২৩), মো. সালমান (৩০) ও জাহাঙ্গীর (৪৫)।
রবিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে এসব তথ্য জানান, চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।
এর আগে শনিবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত মেঘনা মোহনা এলাকায় এ অভিযান চালায় টাস্কফোর্স।
অভিযান শেষে কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন হাজীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান মানিক।
সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, অভিযানের সময় ৪০ হাজার মিটার কারেন্টজাল ও তিনটি মাছ ধরার নৌকা জব্দ করা হয়। রাতেই জব্দকৃত কারেন্টজাল কোস্টগার্ড স্টেশন এলাকায় আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
আর নৌকা তিনটি মামলার আলামত হিসেবে কোস্টগার্ড হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মেঘনায় জাটকা ধরায় ২৫ জেলে আটক, ১৯ জনকে কারাদণ্ড
মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অভিযোগে ২৩ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুরে মেঘনায় জাটকা ধরায় ২৫ জেলে আটক, ১৯ জনকে কারাদণ্ড
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার অভয়াশ্রম এলাকায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অপরাধে ২৫ জেলেকে আটক করেছে টাস্কফোর্স টীম। এ সময় ১৯ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং কিশোর ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক ৬ জেলেকে শাসন করে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সোয়া ১১টা পর্যন্ত মেঘনা নদীর সদর উপজেলার দাসাদী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জাটকা ধরা অবস্থায় হাতেনাতে তাদেরকে আটক করা হয়।
অভিযানকালে সাতটি মাছ ধরার নৌকা, এক লাখ ২০ হাজার মিটার কারেন্টজাল, চারটি বেহুন্দি জাল ও ২০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় অভিযানে অংশগ্রহণকারী চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
অভিযান শেষে কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেদায়েত উল্লাহ।
আরও পড়ুন: মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অভিযোগে ২৩ জেলের কারাদণ্ড
কারাদণ্ড প্রাপ্ত জেলেদের মধ্যে এক বছর কারাদণ্ড প্রাপ্ত জেলে হলেন-মো. সোহেল (২০)। এক মাস করে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন- লক্ষণ চন্দ্র বর্মন (৩০), রতন চন্দ্র বর্মন (৩৫), নুরুল হক দেওয়ান (৬৫), বাসুদেব চন্দ্র বর্মন (৪০), স্বপন চন্দ্র বর্মন (৪৮), ইকবাল হোসেন বেপারী (৩৫), বিশ্বজিৎ চন্দ্র বর্মন (৩৫), আরিফ হোসেন (১৪), বিল্লাল হোসেন (৩০), মো. সেলিম হোসেন (২৪), সাইফুল ইসলাম (২২), শিপন (২০), সুকান্ত চন্দ্র বর্মন (২০), বাদল চন্দ্র বর্মন (২২), মো. আল-আমিন হোসেন (২০), অপু চন্দ্র বর্মন (২০), হৃদয় চন্দ্র বর্মন, (২২) ও মো. মেহেদী হাসান (২৫)। এরা সবাই শরিয়তপুর ও চাঁদপুর সদরের নদীর পাড় এলাকার বাসিন্দা।
কিশোর ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক জেলেরা হলেন-নিত্য চন্দ্র বর্মন (১৪), মো. সাকিল (১৫), রাজন (১৪), মো. সিয়াম (১৪), মো. ইয়াছিন (১৭) ও রাব্বি (১২)।
সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, জব্দকৃত কারেন্ট ও বেহুন্দি জাল আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে। জব্দকৃত মাছ ধরার নৌকা কোস্টগার্ড হেফাজতে এবং জাটকাগুলো স্থানীয় গরীব ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন কোস্টগার্ড জেটি অফিসার মনিরুজ্জামান ও সঙ্গীয় ফোর্স, চাঁদপুর নৌ থানার এএসআই মো. শামীম ও সঙ্গীয় ফোর্স ও জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. তছলিম বেপারী।
প্রসঙ্গত, জাতীয় সম্পদ ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা রক্ষায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস দেশের পাঁচটি অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকাসহ সব ধরণের মাছ আহরণ, বেচা-কেনা, মওজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় মাছ শিকারে দায়ে ১৩ জেলে আটক
মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অভিযোগে ২৩ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অভিযোগে ২৯ জেলেকে আটক করা হয়েছে। আটক জেলেদের মধ্যে ২৩ জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড এবং ছয়জন শিশু হওয়ায় এক হাজার টাকা করে জরিমানা করে ছেড়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় তাদের কাছ থেকে এক লাখ ৯৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল এবং ৫০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরায় ১৭ জেলের বিরুদ্ধে মামলা
সোমবার বিকালে এসব তথ্য জানান অভিযানে অংশগ্রহনকারী হাইমচর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুব রশীদ।
তিনি বলেন, ৯ এপ্রিল দিনগত রাত ৮ থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও কোস্টগার্ড সম্মিলিত অভিযান পরিচালনা করে ২৯ জেলেকে আটক করে। এ সময় কয়েকজন জেলে অভিযানে থাকা নৌকার মাঝির ওপর আক্রমণ চালায়। তবে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা হয়নি।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন হাইমচর উপজেরা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চাই থোয়াইহলা চৌধুরী।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরায় ২৩ জেলেকে কারাদণ্ড
চাঁদপুরে সেমাই কারখানাসহ ৪ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
মেঘনায় মাছ শিকারে দায়ে ১৩ জেলে আটক
লক্ষ্মীপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে নামায় ১৩ জেলেকে আটক করা হয়েছে।
রবিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিরাজুস সালেহীন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটক ১০ জেলে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এছাড়া অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তিন জেলেকে মুচলেকে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ইলিশ রক্ষা অভিযানে ৭২ জেলে আটক
এসময় তাদের কাছ থেকে দুই লাখ ২০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, ৪০ কেজি জাটকা ও তিনটি নৌকা জব্দ করা হয়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলা মৎস্য বিভাগ ও নৌ-পুলিশ মেঘনা নদীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন।
রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তিনটি নৌকাসহ ১৩ জেলেকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪০ কেজি জাটকা ও প্রায় লাখ টাকা মূল্যের দুই লাখ ২০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে।
জাটকাগুলো মেঘনাপাড় এলাকার অসহায় ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১০ জেলে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দকৃত জাল মজুচৌধুরীরহাট মাছ ঘাট এলাকায় প্রকাশ্যে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় মেঘনা নদীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। মার্চ-এপ্রিল দুই মাস নিষেধাজ্ঞাকালীন নদীতে মাছ শিকার করলে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড এবং উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরায় ৩৩ জেলে আটক
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় মাছ শিকার, ৪ জেলে আটক
চাঁদপুরে মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরায় ২৩ জেলেকে কারাদণ্ড
চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরা অবস্থায় ২৮ জেলেকে আটক করা হয়েছে।
আটক জেলেদের মধ্যে ২৩ জনকে পৃথক মেয়াদে কারাদণ্ড এবং পাঁচজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় জরিমানা করে ছেড়ে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার (৮ এপ্রিল) রাতে এসব তথ্য জানান অভিযানে অংশগ্রহনকারী হাইমচর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুব রশীদ।
তিনি বলেন, জাটকা রক্ষা সপ্তাহের শেষ দিনে (৭ এপ্রিল) জাটকা রক্ষায় সমন্বিত বিশেষ অভিযানে স্থানীয় প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তর ও কোস্টগার্ড সন্ধ্যা ৭টা হতে রাত দেড়টা পর্যন্ত উপজেলার মেঘনা নদীর কাটাখালি, আখনের হাট, মনিপুর, সাহেবগঞ্জ, বারতহবিল, চরভৈরবী এলাকায় মোবাইল কোর্ট-এর আওতায় অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ সময়ে কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা আহরণ অবস্থায় ২৮ জেলেকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ২৪ জেলেকে কারাদণ্ড-জরিমানা
তিনি আরও বলেন যে এর মধ্যে ২১ জেলেকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, দুই জেলেকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং বয়স বিবেচনায় অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় পাঁচ জেলের জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও অভিযানে জব্দ এক লাখ ৫০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট এবং ২৫ কেজি জাটকা স্থানীয় গরীব ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
সমন্বিত বিশেষ অভিযানে নেতৃত্ব দেন হাজীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান মানিক।
অভিযানে অংশগ্রহণ করেন হাইমচর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুব রশীদ, শাহরাস্তি উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ফারুক আহম্মেদ, কোস্ট গার্ড হাইমচর নয়ানি আউটপোস্ট কন্টিনজেন্ট কমান্ডার ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৪ জেলেকে কারাদণ্ড
মেঘনায় বালুবাহী বলগেট ডুবে ১ শ্রমিকের মৃত্যু
ভোলার মেঘনা নদীতে বালুবাহী শারমিন নামে একটি বলগেট ডুবে গেছে। এতে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। তবে তিন শ্রমিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ মার্চ) বিকালে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়ন সংলগ্ন মেঘনা নদীর গাজীপুর চর এলাকায় এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় ইটখোলায় আগুন, ঘুমন্ত নারী শ্রমিকের মৃত্যু
নিহত শ্রমিকের নাম মো. হাফেজ (১৮)। তিনি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের জোটখালী গ্রামের মো. নুর আলমের ছেলে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই এলাকায় চার জন শ্রমিক নিয়ে বালুবাহী বলগেটটি হঠাৎ তলা ফেটে ডুবে যায়। তখন ডুবে যাওয়া বলগেট থেকে তিন জন শ্রমিক অন্য বলগেটের সহয়াতের তীরে উঠে আসে। কিন্তু বলগেটের একটি কক্ষে রান্নার কাজে থাকা মো. হাফেজ ভিতরে আটকের পরে নিখোঁজ হয়। পরে খবর পেয়ে নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা ডুবুরি দিয়ে প্রায় ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় ডুবে যাওয়া বলগেটের ভেতর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
ভোলার ইলিশা নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকতার হোসেন জানান, বিকালে ডুবে যাওয়া বলগেট থেকে হাফেজের লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে ডুবে যাওয়া বলগেটটি এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও জানান, লাশ উদ্ধার করে নৌ-থানায় আনা হয়েছে। লাশ পরিবারে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে ড্রেজার থেকে নদীতে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
পবিপ্রবিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ৪
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় মাছ শিকার, ৪ জেলে আটক
ভোলার তজুমদ্দিনের মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অভয়াশ্রমে ইলিশ মাছ ধরার অপরাধে চার জেলেকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে মৎস্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
এসময় জব্দ করা হয় একটি বেহুন্দি, পাঁচটি জালসহ দুই হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল। আটককৃত জেলেরা পাশ্ববর্তী উপজেলা বোরহান উদ্দিনের হাসান নগর ইউনিয়ের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: হাওরে পানি আটকে মাছ শিকার, সুনামগঞ্জে বোরো আবাদে শঙ্কা
আটককৃত জেলেদের উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মরিয়ম বেগমের কার্যালয়ে হাজির করলে তিনি দুই জেলেকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন এবং অপ্রাপ্ত দুইজনকে তাদের অভিভাকের মুছলেকায় ছেড়ে দেয়া হয়।
এছাড়া জব্দকৃত মালামাল শশীগঞ্জ সুইজঘাটে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং নৌকাগুলো মৎস অফিসের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
তজুমদ্দিন উপজেলা ফিশারিজ কর্মকর্তা আল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় জানান, বৃহস্পতিবার রাতভর মেঘনায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে জেলেদের আটক, অবৈধ জাল ও নৌকা জব্দ করা হয়।
এছাড়া নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে আমরা সচেষ্ট রয়েছি।
আরও পড়ুন: হালদা নদীতে বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার, ১ জনের কারাদণ্ড
চলন বিলে অবাধে মা বোয়াল মাছ শিকার, ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় জাটকা শিকার, ২৯ জেলে গ্রেপ্তার
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীতে মাছ ধরায় বুধবার ২৯ জেলেকে গ্রেপ্তার করেছে নৌপুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে নদীতে পেতে রাখা প্রায় ২৮ লাখ ৫৬ হাজার ৯শ’ মিটার কারেন্টজাল, পাঁচটি মাছ ধরার নৌকা ও ১৮৮ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার জেলেরা নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর ও চাঁদপুরের মতলব উত্তরের বাসিন্দা।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, জাটকা রক্ষায় বুধবার (৮ মার্চ) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। জাটকা ধরার সময় ২৯ জেলেকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আটক জেলেদের মধ্যে ৮জনকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১৮ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মৎস্য আইনে নিয়মিত মামলা করা হয়। এছাড়া তিন শিশু-কিশোর জেলেকে সতর্ক করে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
ওসি বলেন, জব্দকৃত কারেন্টজাল আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে। মাছ ধরার পাঁচ নৌকা মামলার আলামত হিসেবে জব্দ রয়েছে। আর জব্দকৃত ১৮৮ কেজি জাটকা স্থানীয় গরীব মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে মেঘনায় মার্চ-এপ্রিল সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ
মেঘনায় নিখোঁজের ৫ দিন পর জেলের লাশ উদ্ধার
মেঘনায় ডুবে যাওয়া তেলবাহী জাহাজের উদ্ধার কাজ শুরু
আপাতত দেশের বাইরে যেতে পারবে না জাপানি ২ শিশু
জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে বিদেশে নিয়ে যেতে জাপানি মায়ের আবেদনে সাড়া দেননি আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে দুই শিশুর হেফাজত ও অভিভাবকত্ব চেয়ে বাবা ইমরান শরীফের মামলা খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে করা আপিল তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে যে যেখানে যেভাবে আছে সেভাবেই (স্ট্যাটাসকো) থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
এ আদেশের ফলে দুই শিশুকে নিয়ে জাপানি মা নাকানো এরিকো আপাতত বিদেশে যেতে পারবেন না। আদালতে জাপানি মায়ের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কেসি। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ ব্যারিস্টার আখতার ইমাম ও ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম।
পরে আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, আপিল বিভাগের অনুমতি ছাড়া দুই সন্তানকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া যাবে না, এই আদেশের বিরুদ্ধে একটি সিভিল রিভিউ পিটিশন ও একটি এক্সপাঞ্জ চেয়ে আবেদন করেছিলেন জাপানি মা। আপিল বিভাগের আগে একটি আদেশ ছিল আপিল বিভাগের অনুমতি ছাড়া দুই সন্তানকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া যাবে না। এটা যেন আদেশ থেকে বাদ দিয়ে দেয়া হয় তার জন্য আবেদন করেছিলেন জাপানি মা।
বাবা ইমরান শরীফ শিশুদের মা নাকানো এরিকোর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেছিলেন। কারণ জাপানি মা দুইবার চেষ্টা করেছেন শিশুদের দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার। মা নাকানো এরিকোও একটা আদালত অবমাননার আবেদন করেছিলেন। কারণ বাবা ইমরান একটি শিশুকে তার কাছে নিয়ে এসেছিলেন। এ কারণে তিনি এ আবেদন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: জাপানি মায়ের জিম্মায় দুই সন্তান, রায়ের বিরুদ্ধে বাবার আপিল
এই চারটি আবেদনের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ আদেশে বলেছেন, মা নাকানো এরিকো যেন শিশুদের দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা না করে। একইসঙ্গে জেলা জজ আদেশ দিলেন শিশুদের জিম্মায় রাখা সংক্রান্ত আপিল তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার।
এছাড়া আরেকটি নির্দেশনা দিয়েছেন, সেটি হলো স্থিতিবস্থা মেনে চলার। যার অর্থ এখন যে অবস্থায় আছে, সেই অবস্থাটা মেনে চলতে হবে যতদিন পর্যন্ত জেলা জজ আদালতে থাকা আপিল নিষ্পত্তি না হয়। এর অর্থ দুই শিশুকে দেশের বাইরেও নেয়া যাবে না। তারা যে যার কাছে আছে, সেখানেই থাকবে।
এর আগে বাবা ইমরানের করা মামলাটি গত ২৯ জানুয়ারি খারিজ করে রায় দেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান। দুই মেয়েকে মায়ের জিম্মায় রাখার নির্দেশ দেন। ছোট মেয়ে শুরু থেকে বাবার কাছেই রয়েছে। তাকে উদ্ধারে মা গুলশান থানায় জিডি করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। গত ২ ফেব্রুয়ারি তাকে আদালতে হাজির করা হয়। ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদের আদালত খাস কামরায় ছোট মেয়ে লায়লা লিনার বক্তব্য শোনেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একদিন বাবার কাছে এবং আরেকদিন মায়ের কাছে থাকার আদেশ দেন আদালত। এরই মধ্যে পারিবারিক আদালতের রায় চ্যালেঞ্জ করে ঢাকার জেলা জজ আদালতে আপিল করেন বাবা ইমরান শরিফ। পরে জেলা জজ আদালত আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এই আপিলটিই আজ সর্বোচ্চ আদারত তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছেন।
জাপান থেকে আসা দুই শিশুর হেফাজত ও অভিভাবকত্ব চেয়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার পারিবারিক আদালতে মামলা করেন বাবা ইমরান শরীফ। মামলায় বাদীপক্ষের তিনজন আদালতে সাক্ষ্য দেন। বিবাদীপক্ষে সাক্ষ্য দেন জাপানি মা এরিকো। জাপানের নাগরিক এরিকো ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইমরানের ২০০৮ সালের ১১ জুলাই বিয়ে হয়। তাদের তিনটি মেয়েসন্তান আছে। ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি এরিকোর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন ইমরান। একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়েকে (বড় ও মেজ) নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন তিনি। ছোট মেয়ে জাপানে আছে। ইমরানের কাছ থেকে দুই মেয়েকে ফিরে পেতে ঢাকায় এসে ২০২১ সালের আগস্টে হাইকোর্টে রিট করেন এরিকো। অন্যদিকে ছোট মেয়েকে ফিরে পেতে পৃথক একটি রিট করেন ইমরান। পৃথক রিটের ওপর শুনানি নিয়ে দুই শিশু তাদের বাবা ইমরানের হেফাজতে থাকবে বলে একই বছরের ২১ নভেম্বর হাইকোর্ট আদেশ দেন। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন এরিকো, যা চেম্বার আদালত হয়ে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। পরবর্তীতে এরিকোর করা আবেদন (লিভ টু আপিল) নিষ্পত্তি করে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
আদেশে বলা হয়, ঢাকার পারিবারিক আদালতে থাকা মামলাটি (২০২১ সালে শিশুদের বাবার করা) নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাপান থেকে আসা দুই শিশু তাদের মায়ের হেফাজতে থাকবে। শিশুদের বাবা তাদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন। মামলার পারিপার্শ্বিক বিষয় ও শিশুদের স্বার্থ বিবেচনায় তাদের এ আদালতের এখতিয়ারের বাইরে (দেশের বাইরে) নেয়া যাবে না। আপিল বিভাগের আদেশের অনুলিপি পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পারিবারিক আদালতকে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেয়া হয়।
পরিবারিক আদালতে বাবার মামলা খারিজ যে কারণে-
মামলার কাগজপত্রের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, জাপানি নারী নাকানো এরিকো ও ইমরান শরীফ দম্পতির বিয়ে, জাপানে তাঁদের তিন কন্যাসন্তানের জন্ম, তাঁদের কর্মজীবন, সংসারজীবনের নানা তথ্য উঠে এসেছে এই মামলায়। রায়ে আদালত বলেছেন, জাপান থেকে আসা দুই শিশুর মা-বাবা দুজনই বলেছেন, জাপানে থাকার সময় দুই নাবালিকা শিশু পড়াশোনায় খুব মেধাবী ছিল। তাদের ফল খুব ভালো ছিল। তাদের বাবা দাবি করেন, এ দেশে আনার পর দুই শিশুকে একটা প্রি-ক্যাডেট স্কুলে ভর্তি করান। একই সঙ্গে তারা অনলাইনে আমেরিকার একটি স্কুলে পড়াশোনা করছিল। আদালত বলেন, জাপানে পড়াশোনা করা দুই মেধাবী শিশুকে বাবার একান্ত চিন্তাভাবনা অনুযায়ী নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষাপ্রক্রিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত সমীচীন নয়।
আরও পড়ুন: বাবার মামলা খারিজ, দুই সন্তান থাকবে জাপানি মায়ের কাছে
আদালত রায়ে আরও বলেছেন, জাপানের টোকিও পারিবারিক আদালতে একই বিষয়ে মামলা চলা অবস্থায় মায়ের সম্মতি ছাড়া বাবা দুই শিশুকে এ দেশে নিয়ে আসেন। একই বিষয়ে জাপানে বিচারাধীন মামলার তথ্য লুকিয়ে একই বিষয়ে মামলা করার সাধারণ যৌক্তিক চিন্তা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আর বিষয়টি নাবালিকা কন্যাদের মানসিক বিকাশের স্বার্থে নিঃসন্দেহে মারাত্মক ও অনুসরণ অযোগ্য কাজ বলে প্রতীয়মান হয়।
রায়ে এই দম্পতির দুই মেয়ের মতামত তুলে ধরেছেন আদালত। বড় মেয়ে স্পষ্ট বলেছে, তার জন্ম বেড়ে ওঠা জাপানে। বাবার বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই। তবে আমেরিকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাদের নিয়ে আসা হয় বাংলাদেশে। তার স্কুলের সব বন্ধু জাপানে থাকে। সে জাপানে যেতে চায়। রায়ে আদালত বলেছেন, জাপান ছেড়ে আসার আগপর্যন্ত তিন বোন একসঙ্গে ছিল। তারা এখনো বিচ্ছিন্ন হতে চায় না। সে ক্ষেত্রে অভ্যাসগত বসবাসের জায়গা থেকেও তিন বোনকে বিচ্ছিন্ন করা তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে মঙ্গলজনক হবে না বলে প্রতীয়মান হয়।
এ প্রসঙ্গে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত তুলে ধরে আদালত বলেন,নাবালক-নাবালিকার হেফাজত ঠিক করার ক্ষেত্রে তাদের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল বা কল্যাণের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এই দম্পতির সব ধরনের তথ্য পর্যালোচনা করে রায়ে আদালত বলেছেন, সাধারণ অন্য দশটা মায়ের মতো জাপানি মা তাঁর সন্তানদের দেখভাল করেন। বাবা বাসায় থাকা সাপেক্ষে স্ত্রীকে সহযোগিতা করতেন। তবে নাবালিকা কন্যাদের প্রাথমিক যত্নকারী হিসেবে জাপানি মায়ের তুলনায় বাবার কাছে তাদের হেফাজত অধিকতর কল্যাণকর, তা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন বাদী।
জাপানের নাগরিক এরিকো ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইমরানের ২০০৮ সালের ১১ জুলাই বিয়ে হয়। তাঁদের তিনটি কন্যাসন্তান আছে। ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি এরিকোর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন ইমরান। এরপর ওই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়েকে (বড় ও মেজ) নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন তিনি। ছোট মেয়ে জাপানে আছে।
ইমরানের কাছ থেকে দুই মেয়েকে ফিরে পেতে ঢাকায় এসে ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট হাইকোর্টে একটি রিট করেন নাকানো এরিকো। অন্যদিকে ছোট মেয়েকে ফিরে পেতে পৃথক একটি রিট আবেদন করেন ইমরান। পৃথক রিটের ওপর শুনানি নিয়ে দুই শিশু তাদের বাবা ইমরানের হেফাজতে থাকবে বলে ওই বছরের ২১ নভেম্বর হাইকোর্ট আদেশ দেন। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন এরিকো; যা চেম্বার আদালত হয়ে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে।
এরিকোর করা আবেদন (লিভ টু আপিল) নিষ্পত্তি করে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আদেশে বলা হয়, ঢাকার পারিবারিক আদালতে থাকা মামলাটি (২০২১ সালে শিশুদের বাবার করা) নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাপান থেকে আসা দুই শিশু তাদের মায়ের হেফাজতে থাকবে। শিশুদের বাবা তাদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন।
আদেশে আরও বলা হয়, মামলার পারিপার্শ্বিক বিষয় ও শিশুদের স্বার্থ বিবেচনায় তাদের এই আদালতের এখতিয়ারের বাইরে (দেশের বাইরে) নেওয়া যাবে না। আপিল বিভাগের আদেশের অনুলিপি পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পারিবারিক আদালতকে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ২ মেয়েসহ জাপানি নারীকে দেশত্যাগে বাধা
লক্ষ্মীপুরে মেঘনায় মার্চ-এপ্রিল সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ
জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশের উৎপাদনের লক্ষ্যে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস মেঘনা নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর জেলায় প্রায় ৬৫ হাজার জেলে রয়েছে। এসব জেলে মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে শিশু নিহত: ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এছাড়া, জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস নদীতে সকল ধরনের জাল ফেলা ও মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ ১০০ কিলোমিটার মেঘনা নদী এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এসময় সব রকমের ইলিশ সংরক্ষণ, আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও মজুতকরণ নিষিদ্ধ রয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন জানান, ইলিশের উৎপাদন ও জাটকা সংরক্ষণের লক্ষ্য ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাস নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করার জন্য নদীতে মৎস্য বিভাগ, উপজেলা-জেলা প্রশাসন, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করা হবে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২ গ্রুপের সংঘর্ষে শিশু নিহত, আহত ১০
লক্ষ্মীপুরে পরকীয়া সন্দেহে যুবককে হত্যা: আটক ২