অন্তঃসত্ত্বা
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, পলাতক স্বামীসহ পরিবারের সদস্য
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর গ্রামে সাহানাজ বেগম নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনার পর থেকে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: এমপি আনার হত্যা মামলার তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে: ডিবিপ্রধান
শুক্রবার (৩১ মে) ভোর রাতে সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাহানাজ বেগম ওই গ্রামের বিশাল রহমানের স্ত্রী। তিনি ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
রহিমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান হান্নু বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে তাদের ঝগড়া চলছিল। বৃহস্পতিবার রাতেও তারা ঝগড়া করেছেন। অনুমান করা হচ্ছে সাহানাজকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে বাড়ির থেকে সবাই পালিয়ে গেছে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিথুন সরকার বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করেছি। বাসার সবাই পালিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যা। তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া কেন জিয়া হত্যার বিচার করেননি: প্রশ্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
আনার হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বাংলাদেশকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছে ভারত: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র
৫ মাস আগে
হাতীবান্ধায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা নারীর আত্মহত্যা!
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আমেনা খাতুন (২৩) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী আত্মহত্যা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে বুড়িমারী উপজেলার বড়খাতা মাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আমেনা খাতুন উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের জুম্মাপাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের মেয়ে এবং একই উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের ডাকালী বান্দা এলাকার রোকন উদ্দিনের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: নাটোরে বোনকে বাঁচাতে পানিতে ঝাঁপ দিল ভাই, পরে লাশ উদ্ধার
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা পার্বতীপুরগামী একটি ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তার সামনে ঝাঁপিয়ে পড়েন আমেনা। খবর পেয়ে হাতীবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল তার লাশ উদ্ধার করে।
হাতীবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মনির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশ উদ্ধারের পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে তথ্য সম্প্রচার বিভাগের অফিস সহকারীর আত্মহত্যা
খিলগাঁওয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে ৭০ বছরের বৃদ্ধের আত্মহত্যা
১১ মাস আগে
যশোরে অন্তঃসত্ত্বা নারীর ঝুলান্ত লাশ উদ্ধার
যশোরে মমতাজ খাতুন (২৪) নামে অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মণিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
মমতাজ খাতুন তেঁতুলিয়া গ্রামের শিমুল হোসেনের স্ত্রী। স্থানীয় বাজারে শিমুলের চায়ের দোকান রয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বাকে হত্যার দায়ে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
এলাকাবাসী জানান, ৮ বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন মমতাজ ও শিমুল। তাদের চার বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। গ্রামে অন্য নারীর প্রতি আগ্রহের বিষয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এদিকে, মমতাজ ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
শিমুল হোসেন বলেন, ‘আমি বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরে রাতের খাবার শেষে মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। রাতে আমার মোবাইল ফোন ঘাটাঘাটি করেন মমতাজ খাতুন। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে মেয়েটি ঘুম থেকে জেগে মাকে আড়ার সঙ্গে ঝুলতে দেখে আমাকে ডেকে তোলে। পরে ওড়না দিয়ে গলা পেঁচানো অবস্থায় স্ত্রীর লাশ নিচে নামাই।’
ঝাঁপা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) সঞ্জিত কুমার বলেন, ‘স্বজনদের দাবি- স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী আত্মহত্যা করতে পারেন না। তাই ময়নাতদন্তের জন্য আমরা লাশ মর্গে পাঠিয়েছি।’
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু
১১ মাস আগে
হবিগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বাকে হত্যার দায়ে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
যৌতুকের দাবি করে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে হত্যার দায়ে একই পরিবারের ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাহিদুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- চুনারুঘাট উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের রাসেল মিয়া (২৫) তার বড় ভাই কাওছার মিয়া (৩২) মাতা তাহেরা বেগম (৫০), ছোট বোন হোছনা বেগম (২০) বড় রোজী বেগম (২৭)। রায় ঘোষণাকালে কাওছার মিয়া পলাতক ছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা থেকে ৩টার মধ্যে রাসেল মিয়া তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী তাহেরা খাতুন ওরফে আয়েশার নিকট এক লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। এক পর্যায়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ছেলেকে হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
উল্লেখ্য, ঘটনার ৮ মাস পূর্বে ভুক্তভোগীর বিয়ে হয়।
পরদিন ভুক্তভোগীর বাবা একই উপজেলার পঞ্চাশ গ্রামের আব্দুস ছত্তার দণ্ডপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে চুনারুঘাট থানায় এজাহার দায়ের করেন। এ মামলায় রাষ্ট্র পক্ষে ১২ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
বিশেষ পিপি (২) আইনজীবী আবুল মনসুর চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
১ বছর আগে
বাগেরহাটে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বাগেরহাটের চিতলমারীতে সুখী বেগম নামের এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) উপজেলার বারাশিয়া গ্রামের একটি মাছের ঘের থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের একদিন পর গড়াই নদ থেকে শিক্ষকের লাশ উদ্ধার
নিহতের পরিবারের দাবি, যৌতুকের জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করেছে। নিহত সুখী বেগম (২৫) বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার বারাশিয়া গ্রামের ওবায়দুল শেখের স্ত্রী।
নিহতের চাচা জাকির শেখ বলেন, বিয়ের পর থেকেই ওবাইদুল্লাহ ও তার পরিবার সুখীকে যৌতুকের জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। এ নিয়ে কয়েকবার মারধর ও নির্যাতনও করা হয়েছে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য সুখীকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে। সুখী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল।
বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের পরিদর্শক সৈয়দ বাবুল আখতার জানান, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নিহতের পরিবারের দাবি, সুখীকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: নাটোরের লালপুরে বৃদ্ধার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ফটিকছড়িতে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু
ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৬ জুলাই) রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহত রুমা বিশ্বাস (২৫) রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার পারুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, তিনি বলেন, রুমা বিশ্বাস নামে নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মেডিকেলে ভর্তি হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব নাজিয়া সুলতানার মৃত্যু
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ৫৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে ২২৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১২৪ জন।
তিনি আরও জানান, এ ছাড়া জেনারেল হাসপাতালে ১৮ জন, বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৫ জন, মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৪ জন, নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮জন, ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২জন, চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সিভিল সার্জন জানান, এ পযন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে ৮৭১ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৬৪৪ জন এবং ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দুই নারী।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জরিমানা করেই দায় সারছে দুই সিটি করপোরেশন
ঢাকায় ১১ এলাকায় ডেঙ্গু রোগী বেশি: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
১ বছর আগে
ভোলায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
ভোলায় পাঁচ সন্তানের জননী এক অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৫ মে) সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের সাজিকান্দি গ্রামের বসত ঘর থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
নিহত বিবি কুলসুম (৪০) ওই গ্রামের মো. তছির মাঝির স্ত্রী এবং ভোলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের আলী মাঝির মেয়ে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় যুবকের লাশ উদ্ধার
নিহতের স্বজনেরা জানায়, প্রতিপক্ষের সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত মামলার ভয়ে তার স্বামী বেশ কয়েকদিন ধরে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাই কুলসুম তার সন্তানদের নিয়ে রাতে নিজের বসত ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। রাতে কে বা কারা কুলসুমকে হত্যা করেছে তা কেউ টের পায়নি।
জানা যায়, নিহতের স্বামী তছির রবিবার দিবাগত রাতে কুলসুমের ফোনে একাধিকবার কল দেয়। কল রিসিভ না করায় তছির তার বড় ছেলে হানিফকে সোমবার সকালে ফোন করে বাড়িতে যেতে বলে। বড় ছেলে বিয়ে করে একই গ্রামে থাকেন। বড় ছেলে বাড়িতে গিয়ে এ হত্যাকণ্ড দেখতে পান।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির জানান, লাশের ময়নাতদন্ত শেষে নিহত নারীর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে শুনেছেন।
ওসি আরও বলেন, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে এখনো কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: কীর্তনখোলা নদী থেকে ভাসমান লাশ উদ্ধার
খুলনায় ডোবা থেকে ১৯ মাসের শিশুর লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
নাটোরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার শলোইপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত রিপা খাতুন(২৭) ওই গ্রামের কবীর উদ্দিনের স্ত্রী।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, বাগাতিপাড়া উপজেলার শলোইপাড়া গ্রামের কবীর উদ্দিনের পরকীয়ায় বাধা দিয়ে আসছিল রিপা খাতুন। এ নিয়ে বিরোধে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অন্তঃসত্ত্বা রিপাকে পিটিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় কবীর। প্রতিবেশিরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের এমডির গাড়িচালক হত্যা: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেয়।
এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম।
এদিকে এ হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে নিহতের পরিবার।
রিপার সংসারে ১১ ও পাঁচ বছরের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে বলে জানায় তার পরিবার।
আরও পড়ুন: খুলনা আ. লীগ নেতা হত্যা: ৩১ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার ৩
১ বছর আগে
ধর্ষণের শিকার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা, যুবক গ্রেপ্তার
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় ধর্ষণের শিকার এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে ওই ছাত্রীর বোন বাদী হয়ে মামলা করলে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আল আমিন (২৫) দক্ষিণ সুরমা উপজেলার শৈষ্যউরা গ্রামের মৃত আয়না মিয়ার ছেলে।
দক্ষিণ সুরমা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন কুমার চৌধুরী বলেন, ‘বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণের অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলা হয়। মামলার পর রাতেই অভিযুক্ত আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নাটোরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলা প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই ছাত্রীরা পাঁচ ভাই-বোন। মা-বাবা ও ধষর্ণের শিকার স্কুলছাত্রীসহ পরিবারের ছয় জন প্রতিবন্ধী। তার এক বোনের (মামলার বাদী) আয়ে তাদের সংসার চলে। ভুক্তভোগী স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী এবং অভিযুক্ত ওই বিদ্যালয়ের অস্থায়ী দপ্তরির দায়িত্বে আছেন। প্রায় সাত মাস আগে বিদ্যালয় ছুটির পর ওই যুবক একদিন বিকালে ভয় দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এরপর এভাবে আরও আট দিন ধর্ষণ করেন এবং কাউকে না বলার জন্য মেয়েটিকে হুমকি ও ভয় দেখান বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
এজাহারে আরও বলা হয়, গত ৬ জুলাই চলাফেরা ও শারীরিক অবস্থা দেখে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। এরপর তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে গত ১৫ জুলাই মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন স্বজনরা।
২ বছর আগে
নালিতাবাড়ীতে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সমেলা খাতুন (১৯) নামে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার গোল্লারপাড় গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে ওই গৃহবধুকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে তার স্বজনদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বামী সুজাত আলীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, গৃহবধু সমেলার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সমেলার পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বামী সুজাতকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ, স্থানীয় ও পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে নালিতাবাড়ীর গোল্লারপাড় গ্রামের কাসু মিয়ার ছেলে সুজাত আলীর সঙ্গে সমেলার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে বিভিন্ন সময় ঝগড়া হতো। সোমবার দিবাগত রাতেও উভয়ের মাঝে কলহ বাঁধে। একপর্যায়ে মধ্যরাতে সমেলার স্বামী তাকে আশংকাজনক অবস্থায় প্রথমে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে শেরপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। জেলা হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক সমেলাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
আটক সুজাত আলী পুলিশকে জানিয়েছেন, তাদের উভয়ের ঝগড়ার পর স্ত্রী সমেলা নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে সে টের পেয়ে নিজেই স্ত্রীকে নামিয়ে হাসপাতালে নেয়।
তবে সমেলার পারিবারের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জেরে সুজাত আলী সমেলাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: হাওরে নিখোঁজ পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার
সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে