পরিদর্শন
রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঈদুল ফিতরের দিন রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ সময়ে সঙ্গে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
সোমবার (৩১ মার্চ) বেলা ১১ টায় তারা রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স পরিদর্শন করেন। এ সময় ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলীসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজারবাগ পুলিশ স্মৃতিসৌধে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন
তারা পুলিশ সদস্যদের মেস পরিদর্শন করেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন। নিজেদের ঈদ আনন্দ বিসর্জন দিয়ে জনগণের ঈদ আনন্দ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দায়িত্ব পালনরত পুলিশ সদস্যদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
৩৫ দিন আগে
মার্চেই রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাচ্ছেন জাতিসংঘ মহাসচিব ও ড. ইউনূস
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ সফরকালে বার্ষিক রমজান সংহতি সফরের অংশ হিসেবে আগামী ১৪ মার্চ জাতিসংঘ মহাসচিবের এই পরিদর্শনের কথা রয়েছে।
পরিদর্শনকালে গুতেরেস স্থানীয় বাংলাদেশি জনগোষ্ঠী ও মিয়ানমারে নিপীড়ন ও সহিংসতা থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে ইফতার করবেন। যা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার বাংলাদেশের উদারতার স্বীকৃতি।
প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ইউএনবিকে জানান, প্রধান উপদেষ্টা ১৪ মার্চ সকালে কক্সবাজারের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন এবং একই দিন সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন।
আরও পড়ুন: চুরির কোটি কোটি টাকা উদ্ধারে দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান ড. ইউনূসের
রমজানের প্রতি সংহতি সফরের অংশ হিসেবে অ্যান্তোনিও গুতেরেস ১৩ থেকে ১৬ মার্চ ঢাকা সফর করবেন। এসময় তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানিয়েছেন গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।
বাংলাদেশ সফরকালে তিনি ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূসের পাশাপাশি সুশীল সমাজের তরুণ প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করবেন।
জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার হিসেবে এক দশকের দীর্ঘ মেয়াদে জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বাস্তুচ্যুত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে নিয়মিত রমজান পালন করার জন্য সংহতি সফরকে একটি বার্ষিক ঐতিহ্যে পরিণত করেছেন গুতেরস।
গুতেরেস এক বার্তায় বলেন, 'প্রতি রমজানে আমি বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংহতি সফর করি এবং রোজা রাখি। এই মিশন বিশ্বকে ইসলামের আসল চেহারা মনে করিয়ে দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘রমজান করুণা, সহানুভূতি এবং উদারতার মূল্যবোধকে তুলে ধরে। এটি পরিবার এবং সম্প্রদায়ের সঙ্গে পুনর্মিলনের একটি সুযোগ...। আমি সবসময় এই মৌসুমে অসাধারণ শান্তির অনুভূতিতে আরও অনুপ্রাণিত হই।
জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস সম্প্রতি ড. ইউনূসকে লেখা এক চিঠিতে আশা প্রকাশ করেন যে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন বৈশ্বিক অগ্রাধিকারকে নবায়ন করবে এবং তাদের দুর্দশার বৃহত্তর সমাধানকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে।
গুতেরেস বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একত্রিত করতে তার তৎপরতা অব্যাহত রাখবে।
তিনি লিখেছেন, 'রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় রাখাইনে ফিরে যাওয়ার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিসহ মিয়ানমারের সংকটের রাজনৈতিক সমাধানে আমি আমার সদিচ্ছা অব্যাহত রাখব। সেই লক্ষে আঞ্চলিক পক্ষ, অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব রাখাইনের জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা ও জীবিকার সহায়তা কীভাবে সর্বোচ্চ করা যায়—সে বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে জাতিসংঘের কান্ট্রি টিমগুলোকে দিকনির্দেশনা দিতে তার জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপকদের অনুরোধ করেছেন।
জাতিসংঘ মিয়ানমারের সমন্বয়কারী এবং আবাসিক ও মানবিক সমন্বয়কারীর সম্পৃক্ততাকে অগ্রাধিখার দেবে। যার মাধ্যমে রাখাইন এবং পুরো মিয়ানমারে অভাবী লোকদের জন্য জরুরি ত্রাণ, নিরাপদ, দ্রুত, টেকসই এবং অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা যায়।
আরও পড়ুন: শিগগিরই চীন, থাইল্যান্ড ও জাপান সফরে যাবেন ড. ইউনূস
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ ব্যবস্থা কীভাবে প্রক্রিয়াটিকে সর্বোত্তমভাবে সমর্থন করতে পারে—তা বোঝার জন্য আমরা সদস্য রাষ্ট্রের পরামর্শের পরে সম্মেলনের সম্মত ফলাফল এবং পরিকল্পনার জন্য অপেক্ষা করছি।’
তিনি চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি ড. ইউনূসকে তার চিঠির জন্য ধন্যবাদ জানান। যেটি ৭ ফেব্রুয়ারি রোহিঙ্গা সংকট ও অগ্রাধিকার বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান তার কাছে পৌঁছে দেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের দৃঢ় সংহতি এবং ড. ইউনূসের নেতৃত্বে এই সংস্কার প্রক্রিয়ায় তাদের সমর্থনের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও এই অঞ্চলে রোহিঙ্গা সংকটের প্রভাব এবং রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতির বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন তিনি।
৫৫ দিন আগে
কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী রাজধানীর চারটি থানা পরিদর্শন করেছেন। সোমবার (১০ মার্চ) ভোরে তেজগাঁও, ধানমন্ডি, শাহবাগ ও নিউমার্কেট পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের বলেন, যারা অপরাধ করবে, তাদের কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
থানাগুলো পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা থানার অভ্যর্থনা কক্ষ, হাজতখানাসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনা ঘুরে দেখেন। তিনি ডিউটি অফিসারসহ কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এসময় তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালনে আরো তৎপর, সজাগ ও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন।
পথিমধ্যে তিনি রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে স্থাপিত কয়েকটি চেকপোস্ট/তল্লাশিচৌকি পরিদর্শন করেন এবং দায়িত্বরতদের সঙ্গে কথা বলেন। তাছাড়া তিনি যৌথ বাহিনীর কয়েকটি টহল দলের কার্যক্রম মনিটরিং করেন।
এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, রমজানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে প্রায় শতাধিক তল্লাশিচৌকি/চেকপোস্ট বসানো হয়েছে ও অপরাধপ্রবণ এলাকায় টহল সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এসব চেকপোস্ট এবং টহল দলের রাত্রিকালীন কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকে নিয়মিত দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ধর্ষকদের কোনো স্থান হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, যারা সংঘবদ্ধভাবে মব পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে; যারা চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি করছে; যারা ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে, তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে এবং বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। কাউকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। তিনি এসময় বিভিন্ন অপরাধ ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী কার্যক্রম রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, রমজানে থানাসমূহ সঠিকভাবে ফাংশন করছে কিনা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক ও সজাগ রয়েছে কিনা এবং তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে কিনা- তা দেখতেই এ পরিদর্শন।
৫৬ দিন আগে
পুলিশের টহল কার্যক্রম পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঢাকা মহানগর এলাকায় জননিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে চলমান পুলিশের টহল কার্যক্রম আকস্মিক পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও মোড়ে স্থাপিত পুলিশসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বিত চেকপোস্ট/তল্লাশিচৌকির কার্যক্রম ও কয়েকটি থানা ঘুরে দেখেন তিনি।
এদিন উপদেষ্টা তার বারিধারাস্থ ডিওএইচএস’র বাসা থেকে বের হয়ে বনানী মোড়, বিজয় সরণি (নভোথিয়েটার), মানিক মিয়া এভিনিউ, কলাবাগান, ইডেন কলেজ হয়ে নিউমার্কেট থানা পরিদর্শন করেন। পরে নিউমার্কেট থানা থেকে শাহবাগ মোড়, মৎস্য ভবন, মগবাজার, হাতিরঝিল, পুলিশ প্লাজা হয়ে গুলশান থানা ঘুরে দেখেন।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের গাফিলতি পেলে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পরিদর্শন শেষে গুলশান থানা থেকে ইউনাইটেড হাসপাতাল হয়ে বারিধারার বাসায় ফেরত আসেন তিনি। পথিমধ্যে তিনি আশপাশের কিছু অলিগলিও ঘুরে দেখেন উপদেষ্টা।
পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা থানা ও চেকপোস্টে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ও তাদেরকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।
তিনি রাজধানীসহ সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকারও নির্দেশনা দেন।
৬৮ দিন আগে
নতুন এয়ারফোর্স ওয়ান পেতে দেরি, বোয়িং বিমান পরিদর্শন করলেন ট্রাম্প
নতুন এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমান সরবরাহে বিলম্বের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে একটি বোয়িং বিমান পরিদর্শন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউস এমন খবর দিয়েছে।
পাম বিচ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পার্ক করে রাখা তেরো-বছর-পুরোনো একটি ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ পরিদর্শন করেন ট্রাম্প। কাতারের রাজপরিবারের সাবেক এই বিমানটি বর্তমানে আইলস অব ম্যান নামের একটি কোম্পানি পরিচালনা করছে।
প্রেসিডেন্ট হেসেবে নিজের প্রথম মেয়াদে ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে একজোড়া ৭৪৭-৮ বিমানের জন্য বোয়িংয়ের সঙ্গে আলোচনা করেন ট্রাম্প। কিন্তু এই বিমান পেতে এখনো কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হবে মার্কিন প্রশাসনকে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের চলমান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নেই: ট্রাম্প
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবর বলছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর নাগাদ বিমান দুটো সরবরাহের জন্য তাগিদ দেওয়া হলেও অন্তত ২০২৭ সালের আগে পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে বোয়িং।
হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক স্টিভেন চুয়াং বলেন, ‘নতুন কলকব্জা ও প্রযুক্তি যাচাই করে দেখতে একটি নতুন বোয়িং বিমানে ভ্রমণ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। প্রতিশ্রুতি অনুসারে নতুন একটি এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমান সরবরাহ করতে ব্যর্থতার বিষয়টিই এখানে ফুটে উঠেছে।’
শত শত কোটি মার্কিন ডলার লোকসানের কথা বলে নতুন এয়ার ফোর্স ওয়ান দিচ্ছে না বোয়িং। মার্কিন বিমান বাহিনী জানিয়েছে, ২০২৪ সালে নতুন একটি এয়ার ফোর্স ওয়ান সরবরাহের কথা থাকলেও ২০২৭ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আর দ্বিতীয় আরেকটি সরবরাহের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৮ সাল।
এই প্রকল্পের খরচ ও সরবরাহে সময়ক্ষেপণ নিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করতে দেখা গেছে ট্রাম্পকে। ২০২০ সালে সামাজিকমাধ্যম এক্সে এক অনলাইন আলাপে টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ককে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম মেয়াদে এই প্রকল্প থেকে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার কাটছাঁট করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে একমত ট্রাম্প-পুতিন, বসবেন সৌদিতে
গেল মাসে বোয়িংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেলি অর্টবার্গ বলেন, এয়ার ফোর্স ওয়ান সরবরাহ ত্বরান্বিত করতে তাদের সহায়তা করছেন ইলন মাস্ক।
এছাড়া এয়ার ফোর্স ওয়ানের রঙ পরিবর্তন করে হালকা নীল থেকে গাঢ় নীল করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। এরআগে ট্রাম্পের এই ধারণা নাকচ করে দেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কারণ এতে নতুন করে পরীক্ষা দরকার পড়ায় এয়ার ফোর্স ওয়ান সরবরাহে আরও বিলম্ব হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
৭৭ দিন আগে
‘ভয়ংকর ও অবিশ্বাস্য’, আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে ড. ইউনূস
আয়নাঘর নামে পরিচিত গোপন বন্দিশালাগুলোর মধ্যে তিনটি পরিদর্শনের পর এগুলোকে ‘ভয়াবহ ও অবিশ্বাস্য’ বলে বর্ণনা করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘বর্ণনা করতে চাইলে বলা যায়, সে এক ভয়াবহ দৃশ্য! সেখানে যা ঘটেছে সবই ছিল ভয়াবহ। আমি যা শুনেছি তা অবিশ্বাস্য! ভাবছি এটাই কি আমাদের পৃথিবী? আমাদের সমাজ?’
ঢাকায় আগে ‘নির্যাতন কেন্দ্র (টর্চার সেল) ও গোপন কারাগার’ হিসেবে ব্যবহৃত তিনটি স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকর্মী ও কয়েকজন উপদেষ্টাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ‘আয়না ঘর’ পরিদর্শন করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তারা কিভাবে আল-জাহিলিয়াহ (অজ্ঞতার যুগ) প্রতিষ্ঠা করেছিল— এটি তার নমুনা এটি।
তিনি বলেন, ‘যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের কথা শুনেছি। এর কোনো ব্যাখ্যা হয় না। তাদের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গাড়িতে বিস্ফোরক রাখা হয় এবং জঙ্গি, সন্ত্রাসী সাব্যস্ত করা হয়। এখন জানতে পেরেছি সারা দেশে আরও অনেক টর্চার সেল রয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, শেখ হাসিনার আমলে আট থেকে নয় বছরে নিরাপত্তা বাহিনী আয়না ঘর ও গোপন বন্দিশালায় হাজার হাজার ব্যক্তিকে গুম করে আটকে রেখেছিল।
আরও পড়ুন: আয়নাঘর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা
শফিকুল আলম বলেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, শেখ হাসিনা নিজেই গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, আদিলুর রহমান খান, আসিফ মাহমুদ, মাহফুজ আলম ও নাহিদ ইসলাম প্রমুখ।
ঢাকার আগারগাঁও, কচুক্ষেত ও উত্তরা এলাকায় অবস্থিত আয়না ঘর ও টর্চার সেল পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সদস্য, ভুক্তভোগী, দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের সদস্যরা।
প্রধান উপদেষ্টাকে আগারগাঁওয়ের একটি টর্চার সেলে ব্যবহৃত 'ইলেকট্রিক চেয়ার' দেখানো হয়।
টর্চার সেল ও গোপন কারাগার পরিদর্শনের সময় গুমের শিকার ব্যক্তিদের সঙ্গে কথাও বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
৮২ দিন আগে
শিগগিরই আয়নাঘর পরিদর্শনে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা
যত দ্রুত সম্ভব দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম সঙ্গে নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
উপদেষ্টা পরিষদের সভায় রমজানে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার বিষয়েও আলোচনা হয়। টিসিবির মাধ্যমে পণ্য পরিবহন, ব্যাপকহারে আমদানি ও সুষ্ঠু সরবরাহ নিশ্চিত করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এছাড়া, আসন্ন রমজানে লোডশেডিং না রাখা এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
৮৭ দিন আগে
জগন্নাথ হলে সরস্বতী পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে দুই উপদেষ্টা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে সরস্বতী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা। তারা হলেন- তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন তারা।
সরস্বতী পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে দুই উপদেষ্টা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তারা পূজার সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন।
আরও পড়ুন: আজ সরস্বতী পূজা
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পূজা উদ্যাপন কমিটির সদস্যরা। এবার জগন্নাথ হলের মূল পূজামণ্ডপের বাইরে ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের আরও ৭২টি পূজামণ্ডপ স্থাপন করা হয়।
৯১ দিন আগে
শিগগিরই ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করবেন প্রধান উপদেষ্টা
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গঠিত জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল যা ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত, শিগগিরই সেসব সেল পরিদর্শনের কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন দ্য কমিশন অব এনকোয়ারি অন এনফোর্সড ডিসাপিয়ারেন্সের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি এ কথা জানান।
বিকাল সাড়ে ৫টায় অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে গুমের ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানিয়ে জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলগুলো পরিদর্শনের অনুরোধ জানান কমিশনের সদস্যরা।
তারা জানান, প্রধান উপদেষ্টা ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করলে গুমের শিকার ব্যক্তিরা আশ্বস্ত বোধ করবেন এবং অভয় পাবেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে কয়েকটি গুমের ঘটনার নৃশংস বর্ণনা শোনান তদন্ত কমিশনের সদস্যরা। ছয় বছরের শিশুকেও গুম করা হয়েছে বলে কমিশনের তদন্তে উঠে এসেছে বলে জানান তারা।
কমিশনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘আপনাদের তদন্তে যে ঘটনাগুলো উঠে এসেছে তা গা শিউরে ওঠার মতো। আমি শিগগিরই আয়নাঘর পরিদর্শনে যাব।’
১০৫ দিন আগে
আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শনে খুলনা জেলা প্রশাসক
মহেশ্বরপাশা আধুনিক কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন গমের স্টিল সাইলো কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
শনিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে মানিকতলা খাদ্য গুদামের ভেতরে ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন তিনি।
এদিকে নির্মাণাধীন প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স গ্রপের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জেলা প্রশাসককে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: খুলনায় পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষেও গতি নেই কাজের
এসময় জেলা প্রশাসক ম্যাক্স গ্রপের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ও কাজের খোঁজখবর নেন।
৩৫০ কোটি ৯১ লাখ ৭ হাজার ৩৮৯ টাকা ব্যয়ে আধুনিক স্টিল সাইলোর নির্মাণ কাজ ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
এরমধ্যে প্রকল্পের ৮২ দশমিক ২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ ২ খেকে ১ মাসের মধ্যে শেষ হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে খাদ্যশস্যের গুণগতমান বজায় রেখে ৩ বছর পর্যন্ত গম সংরক্ষণ করা যাবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, খাদ্য সংরক্ষণাগারের আওতায় গমের স্টিল সাইলো নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের ১২ জানুয়ারি। বাংলাদেশি কোম্পানি ম্যাক্স গ্রুপ এবং তুর্কি কোম্পানি আল তুনতাস যৌথভাবে এই কাজ করছে। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংক যৌথভাবে এ প্রকল্পের অর্থায়ন করছে।
স্টিল সাইলোটি নির্মিত হলে ৭৬ হাজার ২০০ মেট্রিক টন গম সংরক্ষণ করা যাবে। কোনো হাতের স্পর্শ ছাড়াই সম্পূর্ণ প্রযুক্তি নির্ভর মেশিন দ্বারা স্টিল সাইলোর ৬টি ঢোল, চুল্লি বা বিনে গম সংরক্ষণ করা যাবে।
প্রতিটি ঢোল, চুল্লি বা বিনের ধারণ ক্ষমতা ১২ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন।
আরও পড়ুন: একনেকে অনুমোদন পেল ডিএসসিসির ৮ লেনের সড়ক নির্মাণ প্রকল্প
২১০ দিন আগে