হত্যার অভিযোগ
ভৈরবে যুবকের ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ছুরিকাঘাতে হারুন-উর রশিদ নামে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) রাত ৯টায় ভৈরবের সন্তুপুর রেলক্রসিং সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হারুন-উর রশিদ (৩৫) উপজেলার সন্তুপুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিন মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: পাবনায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত, আটক ৩
প্রত্যক্ষদর্শী ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাত ৯টায় ব্যবসায়ী হারুন সন্তুপুর রেল ক্রসিংয়ের কাছের একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন। এ সময় তার এলাকার কফিল উদ্দিনের ছেলে জসীম উদ্দিন তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তার সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক শুরু করেন। একপর্যায়ে পকেট থেকে ছুরি বের করে হারুনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। জসীম উদ্দিন মাদকাসক্ত ছিলেন বলে জানান স্থানীয়রা।
হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেদী হাসান জানান, নিহতের বুকে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। ধারণা করা হচ্ছে গুরুতর আঘাত ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন মিয়া জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ থানায় নিয়ে আসে। পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ছাত্রদল নেতার ছুরিকাঘাতে আহত ১৩
৩ দিন আগে
যশোরে আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
যশোরের চৌগাছায় সিংহঝুলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনিছুর রহমানকে (৫৬) কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রাজনৈতিক কোন্দলের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে স্বজনদের ধারণা।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের উত্তরপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আনিছুর রহমান ওই গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে। এর আগে ২০০২ সালে তার বড় ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন আশাও খুন হয়েছিলেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে আনিছুর রহমান জগন্নাথপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের দোকান থেকে চা পান করে বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় উত্তরপাড়ায় পৌঁছালে একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়ে আনিছুরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে।
পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (৩০ অক্টোবর) ভোরে তিনি মারা যান।
হাসপাতালের অর্থো-সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, নিহত আনিছুরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। হাত-পায়ের বিভিন্ন স্থানের হাড় ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
নিহতের ভাই শাহনুর আলম উজ্জল জানান, আনিছুরের হত্যাকারীরা ২০০২ সালে তার বড় ভাই চৌগাছার সিংহঝুলি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেনকেও হত্যা করেছিল।
চৌগাছা থানার সেকেন্ড অফিসার মেহেদী হাসান জানান, আনিছুর রহমান হত্যার সঙ্গে জড়িতদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
৩ সপ্তাহ আগে
কুমিল্লায় নেটওয়ার্ক টাওয়ারের নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যার অভিযোগ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে রবি অজিয়াটা (রবি) মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক টাওয়ারে হামলা চালিয়ে নিরাপত্তাকর্মী আবুল হাসেমকে (৬৫) হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) ভোরে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড মধ্যম ফাল্গুন করা রবি টাওয়ারে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আবুল হাসেম ময়মনসিং জেলার গৌরীপুর থানার করোটি চকবাড়ি গ্রামের মৃত আকবর আলী ছেলে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী ও ভাসুর আটক
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিহত আবুল হাসেম রবি টাওয়ারে গত ২০ বছর থেকে নিরাপত্তাকর্মীর চাকরি করেন। দীর্ঘ বছর থেকে থাকার সুবাদে পৌরসভার ফাল্গুন করা এলাকায় ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকতারুজ্জামান জানান, নিহতের মুখ, হাত, পা গামছা দিয়ে বাঁধা, নাক থেতলানো, পুরো মাথা গামছা দিয়ে বাঁধা অবস্থায় দেখা যায়। ঘটনাস্থলে রবি টাওয়ার কোম্পানির ব্যাটারির স্তুপ দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে চুরি করার উদ্দেশ্যে চোরচক্রের হামলায় এই ঘটনা ঘটেছে।
এন্টিগ্রেটেড সিকিউরিটি সার্ভিসের সুপারভাইজার আনোয়ার হোসেন জানান, নিহত আবুল হাসান ছাড়াও হাফেজ সফি উল্লা সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে ফাল্গুনকরা রবি টাওয়ারে দায়িত্ব পালন করে। অপর সুপারভাইজার সফিউল্লাহ ঘটনার দিন ছুটি ছাড়াই অনুপস্থিত ছিলেন বলে জানান তিনি।
ঘটনাস্থলে সরেজমিন তদন্ত করছেন এসপি সার্কেল নিশাদ তাবাসসুম, ওসি মো. আকতারুজ্জামানসহ, পিবিআই কুমিল্লার ফরেনসিক টিম।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে জমির বিরোধে বোন ও ভাইয়ের স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ
১ মাস আগে
লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী ও ভাসুর আটক
লক্ষ্মীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে ফাতেমা বেগম নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী রাজু ও ভাসুর বাবলুর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) ভোরে সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদনগর গ্রামের একটি পুকুরে ফাতেমার লাশ ভাসতে দেখা যায়।
ফাতেমা মোহাম্মদনগর গ্রামের মৃত সাইফুল্লাহ মওলানার মেয়ে। তাদের সংসারে রুবি নামে চার বছরের এক মেয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে চোরাই চিনির ট্রাক ছিনতাইকালে বিএনপির দুই নেতা আটক
অভিযুক্ত রাজু ও বাবলু একই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজের বাড়ির মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে। রাজু পেশায় সিএনজি অটোরিকশা চালক। তার আরও এক স্ত্রী রয়েছে। ফাতেমা তার প্রথম স্ত্রী।
স্বজনদের অভিযোগ, ৫ বছর আগে ফাতেমার সঙ্গে রাজুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করত। এতে পরিবারের পক্ষ থেকে জমি বিক্রি করে রাজুকে বিদেশে পাঠানো হয়। তবে এক মাসের মাথায় দেশে ফিরে এসে রাজু আবার নির্যাতন শুরু করে। কয়েক মাস আগে রাজু অন্য জায়গায় বিয়ে করায় অশান্তি আরও বেড়ে যায়।
যৌতুকের জন্য নির্যাতন করেই ফাতেমাকে হত্যা করা হয়ছে বলে স্বজনরা অভিযোগ করেন।
তারা আরও জানান, সোমবার ভোরে ঘরের পাশের একটি পুকুরে ফাতেমার লাশ পাওয়া যায়। তার স্বামীই হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেয়। ফাতেমার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তার স্বামী রাজুকে ও ভাসুর বাবলুকে বেঁধে রাখে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসে পুলিশ।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার হামিদ বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কসবা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় সাবেক স্পিকারের যুগ্ম সচিব আটক
১ মাস আগে
হাত-পা বেঁধে ছাদ থেকে ফেলে কলেজছাত্রকে হত্যার অভিযোগ
কুষ্টিয়ায় হাত-পা বেঁধে চারতলা বাড়ির ছাদ থেকে ফেলে রুবেল হোসেন নামে এক কলেজছাত্রকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের কোর্টপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রশি দিয়ে হাত-পা ও কাপড় দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে রুবেলের মৃত্যু হয়।
নিহত কলেজছাত্র রুবেল হোসেন (২২) কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।
রুবেল কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাওয়ার ডিপার্টমেন্টের ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র। শহরের কোর্টপাড়া এলাকায় একটি চারতলা ভবনের তৃতীয় তলায় ছাত্রাবাসে থাকতেন তিনি।
ওই ছাত্রাবাসের ছাত্র আনিসুর রহমান জানান, ‘রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে চিৎকারের শব্দ শুনে নিচে নেমে এসে দেখি হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় রুবেল পড়ে আছে। তখন স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। অবস্থার অবনতি হলে তাকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।’
আনিসুর আরও বলেন, ‘বিকাল থেকে রুবেলকে চিন্তিত থাকতে দেখেছি। সন্ধ্যার পরে একসঙ্গে ছাত্রাবাসের খরচের হিসাব করেছি। তবে এই ঘটনা কীভাবে কেন ঘটলো তা জানি না।’
প্রত্যক্ষদর্শী কামরুল হাসান শুভ জানান, হাত-পা ও মুখ বেঁধে মারধর করে রুবেলকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার দুই হাত, দুই পা সাদা রশি ও মুখ লাল কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। ঘটনার পর পুলিশের সঙ্গে ভবনের তিনতলায় গেলে ওই রুমের বারান্দায় একই রঙের রশি টানানো দেখা যায়।
এটি হত্যাকাণ্ড দাবি করেন শুভ। তবে কে বা কারা হত্যা করেছে তা জানেন না তিনি।
মাহিম নামের স্থানীয় এক যুবক জানান, ছাত্রাবাসের ছাত্ররা এ বিষয়ে কিছু জানে না বলে জানায়। ভবনটির ছাদ বন্ধ থাকে। বাড়ির মালিক ছাড়া ছাদের চাবি ছাত্রাবাসের এক ছেলের কাছে থাকে। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কিছু জানতে পারবে।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই ছাত্রাবাসে গিয়ে পুলিশকে রুবেলের সঙ্গে একই রুমে থাকা হৃদয় ও রাইসুলসহ অন্যান্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যায়।
বিষয়টি তদন্ত করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, ‘আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাত ১১টার দিকে রুবেলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
১ মাস আগে
কিশোরগঞ্জে হত্যার অভিযোগে হাসিনা, কাদেরসহ ৮৮ জনের নামে মামলা
কিশোরগঞ্জে আগুনে পুড়িয়ে দুজনকে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, হাসান মাহমুদ, নাজমুল হাসান পাপন ও জেলার চার সাংসদসহ ৮৮ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জেলার চার সংসদ সদস্যের মধ্যে রয়েছেন- রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, আফজাল হোসেন, সোহরাব উদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন বিএনপি কর্মী মতিউর রহমান।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৫৫ জনের বিরুদ্ধে ৩ হত্যা মামলা
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিএনপির একটি বিক্ষোভ মিছিল জেলা শহরের পুরান থানা থেকে গৌরাঙ্গ বাজার হয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের উপর হামলা চালায়।
হামলায় প্রাণ বাঁচাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা নিকটবর্তী খরমপট্রি এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর বাসভবনে আশ্রয় নেন। সেটা দেখতে পেয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীরা তাদের আবদ্ধ করে আগুন লাগিয়ে দিলে জুলকার হোসেন (৩৮) ও অঞ্জনা (২৮) নামে দুই বিএনপি কর্মীর মৃত্যু হয়।
থানায় এজাহার দাখিলের সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানের নামে হত্যা মামলা
তিন হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
২ মাস আগে
কুমিল্লায় মায়ের বিরুদ্ধে মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
কুমিল্লায় মায়ের বিরুদ্ধে মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২৪ জুন) জেলার বরুড়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের নলুয়া চাঁদপুর পশ্চিম পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় অভিযুক্ত ওই নারীকে আটক করেছে বরুড়া থানা পুলিশ।
নিহত খাদিজা আক্তার (১৩) নলুয়া চাঁদপুরের পশ্চিমপাড়ার হাওলাদার বাড়ির জুলহাস মিয়া ও অভিযুক্ত খুরশিদা বেগম দম্পতির মেয়ে। সে নলুয়া চাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সৈয়দ আহমেদ বাবলু বলেন, ‘যতটুকু জেনেছি, খুরশিদা মানসিক ভারসাম্যহীন। সকালে তার বাড়িতে তিনি ও তার মেয়ে খাদিজা ছাড়া কেউ ছিল না। হঠাৎ মেয়ের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা গিয়ে দেখে বাড়িতেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে মেয়েটি। তার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুড়ালের কোপের চিহ্ন রয়েছে, কুড়ালও পড়ে আছে পাশে।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার পর থেকে জ্ঞান হারিয়ে ঘরেই পড়ে আছে তার মা খুরশিদা বেগম। তাই সবাই ধারণা করছে, হয়তো উনিই ঘটনা ঘটিয়েছেন। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। তদন্ত করলে বিস্তারিত জানা যাবে।’
ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাশেম বলেন, ‘ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনিই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তবে এটা আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়।’
বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাকে আটক করেছে। তদন্ত করে বিস্তারিত জানানো হবে।’
৪ মাস আগে
বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় দোকান মালিককে হত্যার অভিযোগ
পিরোজপুরে বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় ফারুক ভূইয়া নামে এক দোকানের মালিককে লোহার রড় দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দোকান মালিক বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
এর আগে গত শুক্রবার (৩১ মে) রাতে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের চড়কগাছিয়া আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেট কারাগারে কয়েদির আত্মহত্যা
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ফারুক পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের চড়কগাছিয়া আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকার মৃত নুরু ভূইয়ার ছেলে।
নিহতের স্ত্রী রিজিয়া বেগম বলেন, দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় তার স্বামী ফারুকের কাছে বাকিতে সিগারেট নিতে চায় স্থানীয় শাওন হাওলাদার, শাহিন ও সুমন। এ সময় তার স্বামী তাদের কাছে আগের পাওনা ১ হাজার ৪০০ টাকা চায় ও বাকিতে সিগারেট দিতে না চাইলে এতে ক্ষিপ্ত হন শাওন, শাহিন ও সুমন। এরপর তার স্বামীর উপর লোহার রড় দিয়ে হামলা চালায়। এতে তার স্বামী আহত হলে স্থানীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথম মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে ফারুক ভূইয়া মারা যান।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এ হামলার পরে ৪ জুন ফারুক ভূইয়ার স্ত্রী রিজিয়া বেগম তিনজনকে আসামি করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ বলে জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ধামইরহাট থেকে হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
মাকে হত্যার দায়ে ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
৫ মাস আগে
পাবনায় স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ, স্বামী আটক
পাবনার ঈশ্বরদীতে স্ত্রীকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্বামীকে আটক করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।
রবিবার (২ জুন) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ঈশ্বরদী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রিনা বেগম রাজশাহীর বাঘা থানার আড়ানি চকসিংগীপাড়া গ্রামের আকবর আলীর মেয়ে এবং ইপিজেডের রেনেসাঁসা বারিন্দ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। আটক স্বামী মিলন চাঁপাইনবাবগঞ্জের চর কিদিন্দাপাড়ার আকবর আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে প্রবাসীর স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, ছেলের বউকে ছুরিকাঘাত
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, স্বামী মাদকাসক্ত হওয়ায় তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল। এর জেরে রবিবার সকালে কাজে যাওয়ার পথে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মিলনকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বড় ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ছোট ভাই নিহত
৫ মাস আগে
শ্রীমঙ্গলে শিশুকে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগে বাবা-মা গ্রেপ্তার
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানার রাজপাড়া গ্রামে ২ বছরের প্রতিবন্ধী সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগে বাবা ও মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২২মে) গভীর রাতে হবিগঞ্জের সদর থানার দক্ষিণ চাতুল গ্রামে অভিযান চালিয়ে শিশুর বাবা রাশেদ মিয়া এবং মা শাপলা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ জানায়, শ্রীমঙ্গলের ভূনবীর ইউনিয়নের রাজপাড়া গ্রামের দুই বছরের শিশু ফারিয়া জান্নাত মিলি জন্মগতভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী। সে চলাফেরা করতে পারত না। তার বাবা রাশেদ মিয়া ও মা শাপলা বেগম তাকে দেখাশোনা করতে গিয়ে এক সময় অধৈর্য হয়ে পড়ে। শুক্রবার বিকালে শিশু ফারিয়ার মুখে বিষ ঢেলে দেওয়া হয়। পরে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে শিশুটি মারা যায়। ঘটনার পর শিশুর বাবা-মা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে শিশুর নানা ওয়াসির মিয়া বাদী হয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, থানায় অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ মৃত শিশুর মা-বাবাকে গ্রেপ্তারে কাজ শুরু করে। গোপন সোর্স এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার রাতে হবিগঞ্জ সদর থানার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার বাবা-মা তাদের প্রতিবন্ধী শিশুকে বিষ খাইয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে আটক ১
৫ মাস আগে