বৈষম্য
গবেষণা খাতে বৈষম্য দূর করার আহ্বান দেশের গবেষক সমাজের
গবেষণা খাতে বৈষম্য এখন সচরাচর চোখে পড়ছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান একের পর এক গবেষণায় বরাদ্দ পায়। কেউ কাজ করে, আবার কেউ কাজ করে না। তারপরও বৈষম্যমূলক এমন প্রকল্প বরাদ্দ বন্ধ হয়নি। এমনটাই অভিযোগ দেশের গবেষক সমাজের।
তাদের দাবি, প্রতিটি প্রকল্পের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ঠিক করার ক্ষেত্রে পূর্ব অভিজ্ঞতা, কাজের ধরন এবং অভিজ্ঞ জনবলের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
গত শনিবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর নীলক্ষেতে জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমিতে (এনএপিডি) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্ট আয়োজিত ৯ম সম্মেলনে দেশবরেণ্য গবেষকরা এসব কথা জানান।
আরও পড়ুন: এডিবি-ইডিসিএফের অর্থায়নে একসঙ্গে কৃষি গবেষণা করবে ইউজিসি ও বাকৃবি
বিআইএসআর ট্রাস্ট প্রতিবছর তার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মাসে বাংলাদেশের সামাজিক গবেষণার ওপর এই জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করে আসছে। এবারের ৯ম পর্বে জেন্ডার, অর্থনীতি, পরিবেশ ও জলবায়ু এবং জনস্বাস্থ্য, এই চারটি থিমের ওপর ওপর নতুন ২৮টি গবেষণা পেপার উপস্থাপন করছেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গবেষকরা।
সম্মেলনে সামাজিক গবেষণার গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করেন আলোচিত ‘পঞ্চব্রীহি’ ধানের উদ্ভাবক ও দেশবরেণ্য বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী।
একবার রোপণে একই শস্য থেকে বছরের ভিন্ন মৌসুমে মোট ৫ বার ফলনের কারণে ধানের নাম হয়েছে ‘পঞ্চব্রীহি’।
ড. আবেদ বলেন, ‘বিজ্ঞানটা আমাদের চেতনায় তিরোহিত, আমাদের চেতনায় একদম বিজ্ঞান নাই। আমাদের ডক্টর কুদরত-ই-খুদা, অধ্যাপক সালাম ফিজিক্সের কিছুটা পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন।’
বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ও গবেষক এবং বিআইএসআর ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম বলেন, গবেষণায় কিছু প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ পাচ্ছে, আর কিছু প্রতিষ্ঠান একদমই পাচ্ছে না। এমন না যে, তাদের যোগ্যতার অভাব আছে।
এক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার দাবি জানান তিনি।
ড. খুরশিদ আরও বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির দাবি গবেষণায় বরাদ্দ কম বা তারা পাচ্ছেন না। এই দাবিটিও যেমন সত্য, তেমন এটাও সত্য যে অনেক উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ অলস পড়ে আছে। গবেষকরা গবেষণায় কম আগ্রহী। তাদের আগ্রহী করে তোলার জন্যও গবেষণায় বরাদ্দের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণ কাজে আসবে বলে মনে করি।
এছাড়াও রাষ্ট্রীয় দর্শনের ক্ষেত্রে ড. খুরশিদ আলম বলেন, ওয়ান বাংলাদেশ থেকে নাম্বার ওয়ান বাংলাদেশ তৈরি করতে হবে।
দেশসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পরিচালনায় চারটি থিমের সেশনে নতুন প্রজন্মের গবেষকরা তাদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন।
৩০টিরও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের অংশগ্রহণে এই সম্মেলনে মোট ২৮টি গবেষণাপত্র উপস্থাপিত হয়।
আরও পড়ুন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা-গবেষণা নিশ্চিত করা হবে: ভিসি নসরুল্লাহ
১ মাস আগে
কর্মক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপায়
যেকোনো কর্মক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যেক কর্মীর সক্রিয় অংশগ্রহণ। আর এই অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে কর্মের সহায়ক পরিবেশ। সর্বাঙ্গীনভাবে ব্যক্তি মর্যাদা ও নিরাপত্তার সমন্বয়ে গড়ে ওঠে কাজের উপযোগী পরিবেশ। কিন্তু শিক্ষা ও সভ্যতার মেলবন্ধনে গঠিত কর্মযজ্ঞে বারবার আশঙ্কার সম্মুখীন হয়েছে নারীর নিরাপত্তা। অথচ নারীরা তাদের যোগ্যতা ও শ্রম দিয়ে যেকোনো গঠনমূলক কাজে অবদান রাখতে পারে। কিন্তু সেজন্য প্রয়োজন আত্মমর্যাদা নিয়ে দক্ষতা প্রয়োগের সহায়ক পরিবেশ থাকা। এই পরিপ্রেক্ষিতে চলুন, নারীদের নিরাপদ কর্মক্ষেত্র গড়ে তোলার উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
যে ১০টি উপায়ে নারীদের জন্য নিরাপদ কর্মক্ষেত্র গড়ে তোলা যায়
হয়রানি ও বৈষম্যবিরোধী নীতি প্রয়োগ
বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬-এর ৩৩২ ধারা অনুযায়ী যেকোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত নারীর সঙ্গে তার সম্মানের পরিপন্থী, অশালীন বা অশ্লীল হিসেবে গণ্য হতে পারে এমন আচরণ করা যাবে না।
এই আইনের রূপরেখায় নারীদের প্রতি হয়রানি ও বৈষম্য প্রতিরোধের জন্য কোম্পানি নীতিমালায় সুস্পষ্ট নীতি ও নির্দেশিকা অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। এখানে নারীর আত্মমর্যাদা হানিকর প্রতিটি অনুপযুক্ত আচরণের স্বচ্ছ বিবৃতি থাকবে। একই সঙ্গে বিধি লঙ্ঘনের পরিণতিগুলোও বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে। অতঃপর নির্ধারিত বিধিমালা স্তর ও পদ নির্বিশেষে সব কর্মচারীদের জানানো এবং সঠিকভাবে প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করবেন যেভাবে
পৃথক নারী নিরাপত্তা সেল গঠন
নারী কর্মচারীদের সুরক্ষায় হুমকিজনক বিষয়গুলো বহুমুখী হয়। তাই তার তদারক প্রক্রিয়া এবং নিরসন পদ্ধতিও ভিন্ন পরিস্থিতিতে ভিন্ন হওয়াটাই স্বাভাবিক। এই পরিপ্রেক্ষিতে সর্বোত্তম হচ্ছে একটি নিবেদিত নারী সুরক্ষা সেল তৈরি করা। এই পরিষদের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রোটোকল থাকা উচিত। এর আওতায় নানা ধরনের অভিযোগ নিষ্পত্তি, আইনি পরামর্শ, তদন্ত ও শাস্তি প্রদান এবং মানসিক সহায়তা বা কাউন্সিলিং অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এর ফলে নারী কর্মচারীরা নিঃসঙ্কোচে, সহজভাবে এবং নির্ভরতার সঙ্গে অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।
মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্ম-সংস্কৃতি বাস্তবায়ন
একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে প্রতিটি পরিষদে নারী ও পুরুষের সংখ্যার মধ্যে সমতা বিধান করা জরুরি। বিশেষ করে উচ্চপদস্থ জায়গাগুলোতে নারীদের উপস্থিতি নারী চাকরিপ্রার্থীদের মাঝে আত্মবিশ্বাস এবং স্বীকৃতিপ্রাপ্তির অনুভূতি সৃষ্টি করবে। একই সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো প্রভাবশালী পদে থাকায় নারী কর্মকর্তা পুরো প্রতিষ্ঠানের নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চয়তায় প্রধান ভূমিকা রাখতে পারেন। এই বিষয় কর্মক্ষেত্রে আচরণবিধি প্রতিষ্ঠার জন্যও জরুরি। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত কর্মসংস্কৃতির দৌলতে প্রতিটি নবনিযুক্ত কর্মচারী বুঝতে পারে যে, তাদের কাছ থেকে কী আচরণ প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে তারা এও বুঝে যায় যে, কোন আচরণের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে।
পূর্ব প্রতিষ্ঠিত আচরণবিধি পরবর্তীতে বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে। তবে এখানে স্বতঃস্ফূর্ততা আনতে ঊর্ধ্বতন দায়িত্বশীলদের উন্মুক্ত এবং উদার হওয়া অপরিহার্য। নিয়োগকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে স্বচ্ছ যোগাযোগ ব্যবস্থা কাজের স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায়ে সহায়ক হয়।
আরও পড়ুন: নারীদের চেয়ে পুরুষদের আত্মহত্যার হার বেশি যে কারণে
বেনামী অভিযোগের ব্যবস্থা গ্রহণ
প্রায় ক্ষেত্রে নারী কর্মচারীরা সহকর্মী বা বসদের অসংযত আচরণে লজ্জা ও আরও বেশি সম্মান হানির আশঙ্কায় আত্মপ্রকাশে অনীহা পোষণ করে। এমনকি ভুক্তভোগীদের চাকরি হারানোর ভয় থাকায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এগুলো অগোচরেই থেকে যায়। তাই এমন একটি সিস্টেম তৈরি করা উচিত যেখানে পরিচয় গোপন রেখেই অভিযোগের সুযোগ থাকবে। প্রথমেই জনসমক্ষে না এনে গোপনে চালিয়ে যেতে হবে প্রাথমিক তদন্ত। এতে নারী কর্মীরা অকপটে নিজেদের প্রকাশ করতে পারবে। অধিকন্তু, এ বিষয়ে স্বয়ং নারী কর্মচারীরা কী ভাবছে তা বোঝার জন্য একটা সমীক্ষা চালানো যেতে পারে। এর মধ্য দিয়েও বেরিয়ে আসতে পারে নানা ধরনের প্রতিকূলতা।
নিরাপত্তা লঙ্ঘনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতকরণ
এ ধরনের হয়রানিগুলোর জন্য কোনো বিচারই পাওয়া যাবে না; এরকম চিন্তা থেকেও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো আর প্রকাশ করা হয় না। এছাড়া দীর্ঘ প্রোটোকলের কারণে অনর্থক সময়ক্ষেপণের ফলে আস্থা হারিয়ে ফেলে ভুক্তভোগীরা। অন্যদিকে অপরাধী ব্যক্তি তার বিকৃত মানসিকতা অব্যাহত রাখতে সাহস ও প্রশ্রয় পেয়ে যায়।
তাই কালক্ষেপণ না করে নিয়োগকর্তাদের অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে দ্রুততার সঙ্গে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অবশ্যই অভিযুক্তের নিকট স্বচ্ছ হতে হবে। নিছক কোনো ক্ষতিপূরণ দিয়ে দায় এড়ানো অথবা প্রতিষ্ঠানে সুনামের কথা ভেবে ভিন্ন দিকে পরিচালিত করা অন্যায়েরই নামান্তর। বরং দুষ্কৃতিকারীকে প্রতিষ্ঠানের আভ্যন্তরীণ আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ফোন হ্যাকিং প্রতিরোধে করণীয়
এতে একদিকে যেমন প্রতিষ্ঠানের প্রতি নারী কর্মীদের নির্ভরতা বাড়বে, অন্যদিকে শাস্তি দেখে অন্যান্যরাও সাবধান হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, ন্যায়সঙ্গতভাবে প্রকাশ্য শাস্তির বিধান ভবিষ্যতে একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
নিরাপদ পরিবহন বিকল্প
৯টা থেকে ৫টার অফিস প্রথায় স্বাভাবিকভাবে কাজ শেষে বের হতে হতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে কাজের প্রয়োজনে অতিরিক্ত সময় অফিসে থাকতে হয়। তাই নিদেনপক্ষে অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে নারী কর্মচারীদের জন্য কোম্পানির নিজস্ব পরিবহন দেওয়া উচিত। প্রতিদিন কাজ শেষে ভয় নিয়ে বাসায় ফেরাটা মানসিক অসুস্থতার দিকে পরিচালিত করে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে পরের দিন কাজের ওপর। তাই প্রতিষ্ঠানের স্বার্থেই নারী কর্মীদের যাতায়াতের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া আবশ্যক।
এখানে একদম সুস্থভাবে বাসায় ফেরাটা নিশ্চিত করা উচিত। গণপরিবহন নির্দিষ্ট স্থানে নামিয়ে দেওয়ার পর সেখান থেকে বাসায় ফেরার রাস্তাটি অনেক ক্ষেত্রে নিরাপদ থাকে না। তাছাড়া মহাসড়কগুলো জনাকীর্ণ এবং প্রচুর আলোকিত থাকলেও আবাসিক এলাকার গলিগুলো কখনো কখনো অন্ধকার থাকে। কর্মচারীদের জন্য কমন পরিবহন দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর এই বিষয়ও বিবেচনায় রাখতে হবে।
আরো পড়ুন: ইসরো চন্দ্রযান-৩: ভারতের চন্দ্র বিজয়ে নারী বিজ্ঞানীদের সাফল্য
শক্তিশালী নিরাপত্তামূলক অবকাঠামো গঠন
নিয়োগকর্তাদের সিসিটিভি ক্যামেরা, অ্যাক্সেস কন্ট্রোল সিস্টেম এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগের দিকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এই অবকাঠামো নির্জন সময়গুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি অপরাধ তদন্তের জন্যও প্রয়োজন। তাছাড়া এই সতর্কতার মাধ্যমে বাইরের সহিংসতা থেকেও প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সুরক্ষিত করা যায়।
নারী কর্মচারীদের জন্য পৃথক ওয়াশরুম ও কমন রুমের ব্যবস্থা
দিনের একটা বিরাট সময় অতিবাহিত করা হয় অফিসে। এই দীর্ঘ সময়ে প্রাইভেসি রক্ষার্থে অফিসে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের জন্যও পৃথক কমন রুম ও ওয়াশরুম থাকা দরকার। এই স্বাচ্ছন্দ্যটুকু না থাকলে কর্মক্ষেত্রটি অনায়াসে অস্বস্তির জায়গায় পরিণত হয়। তবে এটি শুধু নারীর স্বাচ্ছন্দ্যের দিকটিই পরিপূর্ণ করে না, বরং এটি তাকে সম্মানিত করার শামিল। এর ফলে তারা পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় নিজের বাড়ির কাজ করার অনুভূতি পায়। অন্যদিকে, এই সুবিধা না থাকা নিতান্ত লিঙ্গ-বৈষম্যের নামান্তর।
সতর্কতা ও নিয়ম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান
মানবসম্পদ বিভাগ বা প্রশাসনিক কর্মকর্তারা প্রধান দায়িত্বে থাকলেও নারী কর্মীদের সুরক্ষার দিকে সার্বক্ষণিক নজর রাখা তাদের পক্ষে বেশ জটিল। এখানে দরকার দায়িত্বের বিকেন্দ্রিকরণ। এর মাধ্যমে মুখ্য দায়িত্বশীলদের পাশাপাশি অন্যান্য কর্মচারীরাও নিরাপত্তা তদারকের ব্যাপারে সতর্ক হয়। এই কৌশল অবলম্বনের সর্বোত্তম পন্থা হলো কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া। তাছাড়া বিভিন্ন সময়ে কাজের ফাঁকে পৃথক সেশনের মাধ্যমেও গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম-নীতি প্রণয়নের বিষয়গুলো কর্মীদের জানিয়ে দেওয়া যায়।
আরও পড়ুন: লবিং-রেফারেন্স ছাড়াই চাকরি পেতে প্রয়োজনীয় কিছু দক্ষতা
এভাবে প্রতিটি নারী কর্মী পরস্পরের দিকে খেয়াল রাখতে পারবেন। এছাড়া পুরুষ কর্মীরাও কাজের পরিবেশ বজায় রাখাতে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে পারবেন। এভাবে বিধিমালার ব্যাপারে সতর্ক কর্মচারীদের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে রাখার প্রয়োজন পড়ে না। পরবর্তীতে তারাই নবনিযুক্তদের কোম্পানি সংস্কৃতি ও নিয়ম-নীতি শিখিয়ে দিতে পারেন।
পিয়ার সাপোর্ট এবং বাডি সিস্টেম
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে সময়োপযোগী কর্মসংস্কৃতি হচ্ছে এই বাডি সিস্টেম বা পিয়ার সাপোর্ট। এই গ্রুপভিত্তিক কাজের পদ্ধতিটি সবার জন্য প্রযোজ্য হলেও নারীদের জন্য এটি বেশ উপযোগী। এর মাধ্যমে অফিস অ্যাডমিনের পক্ষ থেকেই নির্দিষ্ট প্রোজেক্টের জন্য একাধিক কর্মচারীকে নিয়ে একটি গ্রুপ করে দেওয়া হয়। প্রোজেক্টটির কাজগুলো তারা নিজেদের যোগ্যতাগুলো পরিপূরকভাবে শেয়ার করার মাধ্যমে সম্পন্ন করে।
এই পদ্ধতিটি প্রয়োগ করা যেতে পারে নারী কর্মচারীদের নিরাপত্তা রক্ষায়। ওভার-টাইম এবং কাজের সূত্রে দূরবর্তী কোনো স্থানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কয়েকজনের একটি গ্রুপ করে দেওয়া যেতে পারে। তারা শুধু কাজের ক্ষেত্রেই নয়, নিরাপত্তাগত দিক থেকেও পরস্পরের প্রতি খেয়াল রাখবে। এই ব্যবস্থা কেবল তাৎক্ষণিক নিরাপত্তাই প্রদান করে না, বরং সহকর্মীদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও বিশ্বাসের অনুভূতিও তৈরি করে। ফলশ্রুতিতে, যেকোনো বিপদে তারা একত্রিত থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারে।
আরো পড়ুন: কীভাবে আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করবেন?
পরিশিষ্ট
সর্বসাকূল্যে, কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জিরো টলারেন্স নীতি প্রণয়ন করা জরুরি। এই লক্ষ্যে নির্ভয়ে এবং নিঃসঙ্কোচে অভিযোগ করার সুযোগের পাশাপাশি যুগপৎভাবে পৃথক নিরাপত্তা সেল গঠন করা অপরিহার্য। এগুলোর সঙ্গে শক্তিশালী অবকাঠামো কর্মক্ষেত্রের অভ্যন্তরীণ পরিবেশকে নিরাপদ করে তুলতে পারে। অপরদিকে, পরিবহন সুবিধা, পিয়ার ও বাডি সিস্টেম সহায়ক হতে পারে কর্মক্ষেত্রের বাইরে নারীর অবাধ বিচরণে। উপরন্তু, প্রাসঙ্গিক প্রশিক্ষণ সর্বাত্মকভাবে এই ব্যবস্থাকে পরিণত করতে পারে নিয়মিত চর্চায়।
আরো পড়ুন: নারীর নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মোবাইল অ্যাপ
৪ মাস আগে
বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন সর্বদা: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন সর্বদা। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
বুধবার সকালে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় শ্রমিক লীগ নওগাঁ জেলা শাখা আয়োজিত মহান মে দিবসের আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম) শীর্ষ সম্মেলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ভাষণে মেহনতি মানুষেরই জয়গান গেয়েছেন।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিকভাবে মুক্তির মাধ্যমে নারীদের স্বাবলম্বী হতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি বলেছিলেন, ‘বিশ্ব আজ দুভাগে বিভক্ত, একদিকে শোষক, আর অন্যদিকে শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে।’
এই ভাষণ বিশ্বের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান দিয়েছিলো বঙ্গবন্ধুকে। বঙ্গবন্ধু জানতেন শোষিত নিপীড়িত মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হলে সমাজে সাম্যতা আসবে না।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমার বাংলার মাটি যদি থাকে, মানুষ যদি থাকে, একদিন এই বিধ্বস্ত বাংলাকেই আমি সুজলা, সফলা, শস্য-শ্যামল বাংলায় রূপান্তরিত করব।’
বাংলাদেশ এখন খাদ্য শষ্য উৎপাদনে স্বয়সম্পূর্ণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, শ্রমিকরাই জাতীয় অর্থনীতির চাকা সচল রাখে। তাই শ্রমিকদের জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। উন্নত কর্মপরিবেশ শ্রমিকের কর্মদক্ষতা ও প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বৃদ্ধি করে। তাই শোভন কর্মপরিবেশ তৈরিতে বিনিয়োগ করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ উন্নয়ন হয়েছে, হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। শ্রমিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের কল্যাণে মালিকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মজুরি বৃদ্ধি করেছেন। দেশের ভেতরে ও বাইরে কর্মরত শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রমে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অচিরেই স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: আম রপ্তানি বাড়াতে এফএও’র সহায়তা চান খাদ্যমন্ত্রী
৭ মাস আগে
দেশে গণতন্ত্র না থাকায় ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য ক্রমশ বাড়ছে: নজরুল ইসলাম
দেশে গণতন্ত্র না থাকায় ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য ক্রমান্বয়ে বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতা নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘সবার উন্নয়নের কথা চিন্তা করলে গণতন্ত্র ছাড়া উপায় নেই। গণতন্ত্র না থাকায় দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ এখন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে পিষ্ট। আর মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ কোটি কোটি টাকার বাড়ি কিনছে।’
দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে বিএনপি নেতা আরও অভিযোগ করে বলেন, মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ দুর্নীতি ও লুটপাটে লিপ্ত হয়ে দেশের বিপুল পরিমাণ সম্পদ ও অর্থ আত্মসাৎ করছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সমর্থনের প্রয়োজন নেই বলেই ৫ শতাংশ মানুষকে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ সংগ্রহের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ‘ফলে তারা ভোটে বিশ্বাস করে না।’
আরও পড়ুন: জনসমর্থন নেই বলেই সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা হবে: মঈন খান
তিনি আরও বলেন, 'যদি ভোটের প্রয়োজন হতো (সরকার গঠনের জন্য), তাহলে তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারত, ৭ জানুয়ারির মতো একতরফা নির্বাচন করত না।’
দেশের এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে বিরোধী দলগুলোর চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন সফল করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করে দেশের মানুষ জীবন ও রক্ত দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। ‘সেই গণতন্ত্র এখন বাংলাদেশে নেই। তা ধ্বংস হয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকার ‘তাসের ঘরের মতো’ ভেঙে পড়বে: মঈন খান
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপি।
অনুষ্ঠান শেষে কোকোর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
এর আগে সকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা কোকোর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করেন।
২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৪৫ বছর বয়সে মারা যান কোকো।
২৭ জানুয়ারি তার লাশ দেশে আনা হয় এবং বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: রিজভী
১০ মাস আগে
নারী ও পুরুষের বৈষম্য দূর করতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, একটি সুন্দর পৃথিবী গড়তে নারী ও পুরুষের সমান ভূমিকা রয়েছে। এজন্য নারী ও পুরুষের বৈষম্য দূর করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারী-পুরুষের সকল বৈষম্য দূর করতে চেয়েছিলেন।
এছাড়া নারীকে তার যোগ্যতায় নিজের জায়গা করে নিতে হবে।
তিনি বলেন, তিনি আমৃত্যু শোষণ-বঞ্চনাহীন একটি বাংলাদেশ তৈরি করতে চেয়েছিলেন। বর্তমানে বাংলাদেশের সকল অগ্রগতি-অগ্রযাত্রায় নারীরা অনন্য ভূমিকা রাখছে।
আরও পড়ুন: সমাজের কাছে ইমামদের কথা গুরুত্ব বহন করে: শিক্ষামন্ত্রী
শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে চাঁদপুরে উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে রোটারি ভবনে উদ্যোক্তাদের মেলা পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে এমন কিছু নেই যা নারী ছাড়া হয়। নারীদের জড়তার জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নারীদের হাত ধরে এগিয়ে দিয়েছেন। এখন আমাদের কাজটা করে যেতে হবে। নারীদের প্রযুক্তি শিখতে হবে। নারীকে তার যোগ্যতায় নিজের জায়গা করে নিতে হবে।
ডা. দীপু মনি আরও বলেন, চাঁদপুরের মেয়েরা বহুকাল আগে থেকেই শিক্ষা-সাহিত্য-সস্কৃতিতে এগিয়ে আছে। এখনও দেশে-বিদেশে চাঁদপুরের মেয়েরা তাদের কর্মদীপ্ত আলো ছড়াচ্ছে। গত কয়েক বছরে চাঁদপুরে অসংখ্য নারী উদ্যোগতা সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া চাঁদপুর উইমেন চেম্বারের আয়োজনে উদ্যোক্তা মেলার আয়োজন করেছে। এটি নারীদের প্রেরণা দিতে একটি মহৎ উদ্যোগ।
আমি এ মেলার আয়োজক এবং অংশগ্রহণকারী সবাইকে অভিনন্দন জানাই।
আরও পড়ুন: আ.লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যে কোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করবে: শিক্ষামন্ত্রী
৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রধান হাতিয়ার শিক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
১ বছর আগে
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে ক্ষমতাবাজী বন্ধ এবং বৈষম্যের অবসান করতে হবে: ইনু
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, সারাদেশে দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক-অযৌক্তিক ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে বাজার সিন্ডিকেট দমন, দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের দমন, দলবাজী ও ক্ষমতাবাজী বন্ধ এবং বৈষম্যের অবসান করতে হবে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) এর ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ফেনীর গ্র্যান্ড সুলতান কনভেনশন হলে আয়োজিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, দেশের রাজনীতির বর্তমান অস্থিরতা, সংঘাত ও সংঘর্ষ নতুন নয়, এটা ৫২, ৭১ ও ৭৫-এর পুরাতন বিরোধের বহিঃপ্রকাশ। ৫২ ও ৭১-এ মীমাংসিত বিষয়গুলোকে অমীমাংসিত করা ও ঐতিহাসিক সত্যকে অস্বীকার করার রাজনীতিই এই বিরোধের মূল কারণ।
এছাড়া ১৯৭৫ সাল থেকে মুশতাক-জিয়া এই ৫২ ও ৭১ বিরোধী, বাংলা-বাঙালি-বাংলাদেশ-স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী পাকিস্তানপন্থার রাজনীতি রাষ্ট্র-রাজনীতি-সমাজে চাপিয়ে দিয়ে জাতিকে বিভক্ত করে বিরোধের রাজনীতিকে স্থায়ী রূপ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিটি নির্বাচনটা ভোট যুদ্ধ নয়, বিএনপি-জামায়াত বর্জনের যুদ্ধ: ইনু
জাসদ সভাপতি বলেন, বিএনপি-জামাতসহ ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক, জঙ্গীবাদী, উগ্রবাদী শক্তিগুলো এই বিরোধের রাজনীতির ধারক ও বাহক। এরা বাঙালির আত্মপরিচয়, ভাষা, সংস্কৃতি, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংবিধান মানে না। এরা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহনীর গণহত্যার পক্ষে, রাজাকার-আলবদর-যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পক্ষে সাফাই গায়। এরা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক ধারাকে নিশ্চিহ্ন করতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, কর্নেল তাহেরকে হত্যা করেছে ও শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাঙালি-বাংলা-বাংলাদেশ-মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি যতদিন রাজনীতির মাঠে থাকবে, ততদিন দেশের রাজনীতির অস্থিরতা-সংঘর্ষ-সংঘাত-অশান্তির অবসান হবে না।
ইনু বলেন, বাংলা-বাঙালি-বাংলাদেশ-মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতার বিপক্ষের অপশক্তি ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের চিরশত্রুদের রাজনৈতিকভাবে পরাজিত-দমন-ধ্বংস করেই রাজনীতি ও সমাজে স্থায়ী শান্তি অর্জন করতে হবে।
সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হয়েই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের চিরশত্রু পাকিস্তানপন্থার রাজনীতির ধারক-বাহক বিএনপি-জামাতসহ ধর্মান্ধ-সাম্প্রদায়িক-জঙ্গীবাদী-উগ্রবাদী শক্তিকে বর্জন ও ধ্বংস করার দায়িত্ব নিতে হবে।
এছাড়া সমগ্র জাতিকেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বাংলাদেশ আফিগানিস্তান-পাকিস্তানের মত তালেবানি পথে যাবে, নাকি ধর্মের নামে সংঘাত-সংঘর্ষ-অশান্তি-খুনাখুনি-রক্তারক্তির পথে যাবে, নাকি শান্তি-স্থিতিশীলতা-উন্নয়নের পথে যাবে?
ফেনী জেলা জাসদের সভাপতি নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে এবং জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ প্রতিনিধি সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাসদ স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ হোসেন, মীর হোসাইন আখতার, সহ-সভাপতি নুরুল আকতার, শফি উদ্দিন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদের চৌধুরী, আব্দুল্লাহিল কাইয়ুম, মো. মোহসীন, ওবায়দুর রহমান চুন্নু, মীর্জা মো. আনোয়ারুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলীম স্বপন, মো. নুরুন্নবী, জসিম উদ্দিন বাবুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জিয়াউল হক মুক্তা, কোষাধ্যক্ষ মো. মনির হোসেন, দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, সহ-দপ্তর ইঞ্জিনিয়ার হারুন অর রশীদ সুমন, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. সেলিম, সমাজসেবা সম্পাদক কাজী সিদ্দিকুর রহমান, সদস্য তৈয়বুর রহমান, কক্সবাজার জেলা জাসদের সভাপতি নইমুল হক চৌধুরী টুটুল ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, চট্টগ্রাম মহানগর জাসদের সহ-সভাপতি মফিজর রহমান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জাসদের সভাপতি বেলায়েত হোসেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন, বান্দরবন জেলা জাসদের সভাপতি সুযশময় চৌধুরী, নোয়াখালী জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজিজুল হক বকশী, লক্ষীপুর জেলা জাসদের মাহবুবুল আলম, কুমিল্লা জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইমুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আখতার হোসেন সাঈদ, চাঁদপুর জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশ এর সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সাইফুজ্জামান বাদশা, জাতীয় যুব জোটের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপন।
আরও পড়ুন: বিএনপি একটি সাম্প্রদায়িক তালেবানী চক্র: ইনু
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার হুমকিদাতারা চিহ্নিত রাজনৈতিক মোল্লা: ইনু
২ বছর আগে
অনিয়মিত বিদেশফেরতদের প্রতি বৈষম্য কমাতে অপবাদ-বিরোধী প্রচারণা শুরু
ইউরোপ থেকে জোরপূর্বক বা স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত আসা অনিয়মিত বাংলাদেশি অভিবাসীদের প্রতি নানা ধরনের অপবাদ বা কলঙ্ক কমানো এবং সমাজে তাদের সফল পুনঃএকত্রীকরণের লক্ষ্যে একটি নতুন অপবাদ-বিরোধী প্রচারণা শুরু হয়েছে।
‘দ্য মাইগ্র্যান্ট প্রোজেক্ট’-নামে একটি প্রকল্প বিদেশ ফেরত অভিবাসী ও জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজের মাধ্যমে প্রচারণাটি এগিয়ে নেবে।
একটি আন্তর্জাতিক সামাজিক উদ্যোগ ‘সিফার’পাঁচ মাসব্যাপী এই প্রকল্পটি বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করছে।
এটি অভিবাসীদের জেনে-বুঝে বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন করে।
এই প্রচারণার লক্ষ্য, ইউরোপ ফেরত বাংলাদেশি অভিবাসীদের মনো-সামাজিক সহায়তা (সাইকোসোশ্যাল সাপোর্ট) এবং সমাজে তাদের সফল পুনর্মিলনে জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করা।
এরই অংশ হিসেবে, ২০০ জন বিদেশ ফেরত অভিবাসী মাইগ্র্যান্ট প্রোজেক্টের অভিজ্ঞ ও পেশাদার কাউন্সেলিং দল থেকে বিনামূল্যে ও গোপনীয় কাউন্সেলিং সেবা পাবেন।
আরও পড়ুন: বিদেশফেরত ৮৭ শতাংশের আয়ের কোনো উৎস নেই: ব্র্যাক
অনলাইনে একটি ফর্ম পূরণ-
(ফর্মের লিংক: https://malto-crm.org/bn/forms/181) করে অথবা সরাসরি কাউন্সেলরদের ফোন করে (+৮৮০ ১৫৩৭-৩১৫৭৭০, +৮৮০ ১৯৬৯-৮৩৫৫০৫) অভিবাসীরা এই কাউন্সেলিং সেবা পেতে পারেন।
বিদেশ ফেরতরা যে ধরনের সীমাবদ্ধতার মুখোমুখি হয় সেগুলো আরও ভালোভাবে বোঝা এবং দেশে ফেরার পরে সামাজিকভাবে যেসব অপবাদের মুখোমুখি হয় তা কমাতে প্রচারণাটি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করবে।
‘সিফার’র গবেষণা বলছে, ইউরোপ থেকে ব্যর্থ হয়ে দেশে ফিরে বাংলাদেশি অনিয়মিত অভিবাসীরা প্রায়ই নানা ধরনের অপবাদ বা কলঙ্কের মুখোমুখি হন। প্রায় অর্ধেক অভিবাসী নানা ধরনের অপবাদ বা কলঙ্কের সঙ্গে সঙ্গে পরিবার ও এলাকার মানুষের কাছ থেকে বেশ খারাপ আচরণের সম্মুখীন হয়ে থাকে।
প্রতিষ্ঠানটির ২০২১ সালের একটি গবেষণা আরও বলছে, ইউরোপে যাওয়ার জন্য পরিবার থেকে মোটা অংকের অর্থ ব্যয় করা হয়, তাই অভিবাসীরা যখন খালি হাতে ফিরে আসে তখন বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখা হয় না।
আরও পড়ুন: বিদেশফেরত ৭০ শতাংশ বাংলাদেশি জীবিকা সংকটে: আইওএম
এর মধ্যে, অনেককেই বিদেশে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন, শোষণ, কঠিন কাজ ও নানান বাজে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সব মিলিয়ে একজন অভিবাসী অত্যন্ত মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও হতাশায় ভুগতে থাকেন।
ফ্রান্সফেরত একজন পুরুষ অভিবাসী বলেন, আমি জানতাম মানুষকে বোঝানো খুব কঠিন হবে। আমি ইউরোপে যেতে প্রায় ১৫ লাখ টাকা খরচ করেছি। সবাই এখন এই ব্যর্থতা এবং অর্থ অপচয়ের জন্য আমাকে দায়ী করে। আমাকে বিদেশ পাঠাতে আমার বাবা-মা তাদের জমি-জমা বিক্রি করে টাকা দিয়েছিলেন।
যেসব দেশ থেকে অভিবাসীরা অনিয়মিতভাবে সবচেয়ে বেশি ইউরোপে যায়, বাংলাদেশ তাদের মধ্যে অন্যতম।
‘সিফার’র গবেষণা বলছে, ২০২১ সালে প্রায় ৯ হাজার বাংলাদেশি অনিয়মিতভাবে ইউরোপে প্রবেশ করেছে। এছাড়াও কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে অসংখ্য অভিবাসীকে ইউরোপ থেকে জোরপূর্বক দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন’র (আইওএম) একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ৯৬ শতাংশ বিদেশফেরত বাংলাদেশি অভিবাসী চাকরির সুযোগের অভাব, অপর্যাপ্ত আয় ও আর্থিক সমস্যায় ভুগছেন।
আরেক বিদেশফেরত যিনি অনিয়মিতভাবে ইউরোপে গিয়েছিলেন তিনি বলেন, আপনি যদি ফিরে আসেন, তাহলে এর মানে আপনি একজন ব্যর্থ। মানুষ আপনাকে করুণা করে, বন্ধুরা আপনাকে নিয়ে হাসে।
পরিবারের সদস্যরা কখনই বুঝতে পারে না, আপনি কীভাবে এত বছর ইউরোপে বেঁচে ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিদেশফেরত শ্রমিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা
২ বছর আগে
করোনার টিকাকরণ ও অর্থনৈতিক বৈষম্য বৃদ্ধির মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে: জাতিসংঘ
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচীর (ইউএনডিপি) তথ্য অনুসারে, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জনসংখ্যার একটা ক্ষুদ্র অংশ করোনা টিকাকরণের আওতায় এসেছে। যার ফলে এই দেশগুলোর ঘুরে দাঁড়াতে অধিক সময় লাগায় এবং সরকারি সহায়তার অভাবে; ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক ব্যবধান করোনা-পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে বেড়েছে।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২২ সালের মাঝামাঝি বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশকে টিকার আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছিল। ছয়মাস পার হয়ে গেলেও এখনও বিশ্ব সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর ধারেকাছেও পৌঁছাতে পারেনি।
সেসময়ে নিম্ন-আয়ের দেশগুলোতে মাত্র তিন শতাংশের কাছাকাছি মানুষকে এক ডোজ দিয়ে টিকা দেয়া হয়েছিল। ধনী দেশগুলোর তুলনায় যা ৬০ দশমিক ১৮ শতাংশ কম।
ভ্যাকসিন বিতরণের অসমতা এক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয়। বিশ্বব্যাপী দেয়া ১০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডোজ করোনা টিকার মধ্যে মাত্র এক শতাংশ নিম্ন-আয়ের দেশগুলোতে দেয়া হয়েছে।এর মানে সারা বিশ্বের দুই দশমিক ৮ বিলিয়ন মানুষ এখনও তাদের প্রথম ডোজ নেয়ার অপেক্ষা করছে।
ভ্যাকসিনেশনের এই বৈষম্য সকলের নিরাপত্তাকেই বিপন্ন করে। এই পরিস্থিতি কেবল মহামারিকে দীর্ঘায়িত করার ঝুঁকিই রাখে না, সমগ্র বিশ্বের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, বিশ্বব্যাপী শ্রমবাজার, সরকারী ঋণ পরিশোধ এবং অন্যান্য খাতের বিনিয়োগও ব্যাহত করে।
আরও পড়ুন: দেশে বৈষম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে: পরিকল্পনামন্ত্রী
করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার দুই বছর পর দরিদ্র দেশগুলোর অর্থনৈতিকভাবে পুনরুদ্ধার করা আগের চেয়ে কঠিনতর হয়ে উঠছে। এসব দেশের শ্রমবাজার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, জনসাধারণের ওপর ঋণের হার বেড়েছে এবং এসব দেশের সরকারের কাছে জনকল্যাণমূলক খাতগুলোতে বিনিয়োগ করার মতো পর্যাপ্ত সঞ্চয় নেই।
ইউএনডিপির একটি নতুন বিশ্লেষণে জানা যায়, বুরুন্ডি, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো ও চাদসহ সাব-সাহারান আফ্রিকার দরিদ্র দেশগুলোর জনসংখ্যার এক শতাংশেরও কম টিকার পূর্ণডোজ পেয়েছেন। আফ্রিকার বাইরে, হাইতি এবং ইয়েমেনেও এখনও দুই শতাংশ মানুষ পূর্ণ ডোজ টিকা পেয়েছে।
চলতি মাসে প্রকাশিত এই সমীক্ষাতে জানা যায়, নিম্ন-আয়ের দেশগুলো যদি গত বছরের সেপ্টেম্বরে উচ্চ-আয়ের দেশগুলোর মতো একই হারে টিকা দিতে পারতো, তবে ২০২১ সালে তাদের জিডিপি ১৬ দশমিক ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৃদ্ধি পেত।
ভ্যাকসিন বৈষম্যের কারণে মহামারি চলাকালীন সর্বাধিক সম্ভাব্য আয় হারানো দেশগুলো হলো- ইথিওপিয়া, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ও উগান্ডা।
এই দেশগুলো হারানো আয় দিয়ে নিজেদের উন্নয়নে ব্যবহার করতে পারতো। উদাহরণস্বরূপ দক্ষিণ সুদানে করোনার টিকাদানের সঙ্গে সম্পর্কিত খরচ দিয়ে দেশটির সামাজিক সহায়তা প্রোগ্রাম এবং শিক্ষা ব্যয় মেটাতে পারতো।
দীর্ঘস্থায়ী লকডাউনের ফলে বিশ্বব্যাপী শ্রমিকেরা ক্ষতিগ্রস্থ হলেও, উন্নয়নশীল দেশগুলোর শ্রমিকেরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারণ ধনী দেশগুলো সরকারি-বেসরকারি উভয় কর্মীদের অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়ে মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করেছে। কিন্তু উন্নয়নশীল ও নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে সরকারি সহায়তা অনেক হ্রাস পেয়েছে। ফলে এক্ষেত্রেও অর্থনৈতিক বৈষম্য বেড়েছে।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও বেড়েছে ধনী-দরিদ্র বৈষম্য
বৈষম্য দূর করতে সবার সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
২ বছর আগে
কেবল আইন প্রয়োগের মাধ্যমে বৈষম্য নিরসন সম্ভব নয়: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে লিঙ্গ সমতা ভিত্তিক অনেক আইন প্রণয়ন করা হলেও আমরা সমস্যার জায়গায় এখনও দাঁড়িয়ে আছি। তিনি বলেন, কেবল আইন প্রয়োগের মাধ্যমে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য নিরসন করা সম্ভব নয়। বৈষম্য নিরসনে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি নারী-পুরুষ উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গি বা মানসিকতা পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নারী দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে নারী ও শিশুর প্রতি ধর্ষণ প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ক ন্যাশনাল ইনকোয়ারী খসড়া প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়।মন্ত্রী বলেন, যত কথাই বলা হোক না কেন, যত আইনই করা হোক না কেন, যতক্ষণ পর্যন্ত নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। তবে এই বৈষম্য রাতারাতি দূর করা সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জেন্ডার বা লিঙ্গ ভিত্তিক অসমতাকে সমতায় আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। ফলে আস্তে আস্তে বৈষম্য দূর হচ্ছে এবং এখন সম্পদের সমান বন্টনের দাবি উঠছে।
আরও পড়ুন: সহিংসতার সম্মুখীন নারীদের সহায়তা খুবই জরুরি: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ইসলাম ধর্মই প্রথম নারীর অধিকার স্বীকার করেছিল। তাই বৈষম্য দূরীকরণে ইসলাম ধর্ম বা অন্য কোন ধর্ম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না বলে তিনি মনে করেন।বৈষম্য নিরসনে নারী-পুরুষ উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য সচেতনতা প্রয়োজন। এ সচেতনতা সৃষ্টির জন্য গ্রামে যেতে হবে। কারণ গ্রামে প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ বসবাস করে এবং সেখানেই বৈষম্য বেশি হয়, প্রকট নারী নির্যাতন হয়। বাংলাদেশে প্রচলিত আইনগুলো প্রয়োগের পাশাপাশি গ্রামের মানুষকে সচেতন করতে পারলে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে আইনমন্ত্রী যোগ করনে।জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, ইউএনডিপি'র আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী, কমিশনের সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ ও জেসমিন আরা বেগমসহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: মামলাজট কমাতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ওপর জোর দিতে হবে: আইনমন্ত্রী
কোন ষড়যন্ত্রই দেশের উন্নয়নের গতি থামাতে পারবে না: আইনমন্ত্রী
২ বছর আগে
দেশে বৈষম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে: পরিকল্পনামন্ত্রী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সভায় পরিকল্পনা মন্ত্রী মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বাংলাদেশে দিনে দিনে বৈষম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী চিন্তিত। প্রধানমন্ত্রী এখন আমাদের শেষ ভরসা।’
রবিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে আন্তর্জাতিক জন-ইতিহাস ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এন্ড হিজ লিগ্যাসি’- শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্নদ্রষ্টা। সেকারণেই এখন কোন পূজা মন্ডপে কিংবা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক হামলা হতে দেখলে আমাদের কষ্ট লাগে।’
আরও পড়ুন: নেতিবাচক রাজনীতি থেকে বিএনপিকে বেরিয়ে আসার আহ্বান পরিকল্পনামন্ত্রীর
এর আগে বেলা ১২ টায় কনফারেন্সের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।
উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ মানুষের নেতা ছিলেন। মাটির সঙ্গে যাদের সম্পর্ক তিনি সবসময় তাদের কথা বলতেন। বঙ্গবন্ধুকে জানতে হলে তাঁর চিন্তা ও কর্মকে সাধারণের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যত বেশি পাঠ করা হবে ততই বাঙালি ভেতর থেকে পরিবর্তিত হবে, মানুষ হবে।’
এছাড়াও এসময় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. পবিত্র সরকার।
আরও পড়ুন: আ. লীগ একটি রাজনৈতিক দল নয়, রাজনৈতিক আন্দোলন: পরিকল্পনামন্ত্রী
শেখ হাসিনা একজন স্ট্রং ক্লাইমেট ফাইটার: পরিকল্পনামন্ত্রী
৩ বছর আগে