মো. তাজুল ইসলাম
আমরা সিরডাপের ম্যান্ডেট ও সাংগঠনিক দর্শনের উপর জোর দিতে চাই: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী ও উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমরা সিরডাপের ম্যান্ডেট ও সাংগঠনিক দর্শনের উপর জোর দিতে চাই। যাতে করে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে একটি মনোমুগ্ধকর পরিবেশে সিরডাপের যাত্রা শুরু হয়েছিল। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এটি সমন্বিত পল্লী উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ, গবেষণা এবং নীতি নির্ধারণে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত সিরডাপের গভর্নিং কাউন্সিলের ২৪তম সভায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: যুগোপযোগী-দক্ষ যুব সমাজ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের অন্যতম পূর্বশর্ত: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
এসময় সমবায়মন্ত্রীকে দুই বছরের জন্য সভাপতি পদে নির্বাচিত করা হয়।
তিনি সিরডাপের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের জানতে হবে কেন এই অঞ্চলের লাখ লাখ গ্রামীণ দরিদ্রের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সিরডাপ ব্যর্থ হচ্ছে। আন্তর্জাতিক পরিসরে নেতৃত্বদানকারী জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার সংস্থার (এফএও) সমর্থন এবং সহযোগিতার ওপর জোর দিতে হবে। সংগঠনটিকে আরও ফলপ্রসূ এবং যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে হবে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ক্ষুদ্রঋণ, দারিদ্র্য বিমোচন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাথমিক শিক্ষা, টিকাদান এবং সংক্রামক রোগ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। যেহেতু গ্রামীণ উন্নয়ন আমাদের দেশের একটি অগ্রাধিকার এজেন্ডা সেহেতু আমরা চাই, সিরডাপভুক্ত সদস্য রাষ্ট্র এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সংস্থার সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে।
১৩ বছর পর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন কেন্দ্রের (সিআইআরডিএপি বা সিরডাপ) গভর্নিং কাউন্সিলের সভাপতি নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ। ৪ থেকে ৬ জুন ব্যাংককে সিরডাপের গভর্নিং কাউন্সিলের তিনদিনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলো কেন্দ্রের কার্যক্ষমতা সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়। সমাপনী দিনে বাংলাদেশকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত আগামী দুই বছরের জন্য গভর্নিং কাউন্সিলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। গভর্নিং কাউন্সিলের সভায় সভাপতিত্ব করেন সিরডাপের নবনির্বাচিত সভাপতি স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, গভর্নিং কাউন্সিলের সভার আগে গত ৪ ও ৫ জুন সিরডাপের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোসা. শাহানারা খাতুন বাংলাদেশের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও সিরডাপের সদস্যরাষ্ট্র ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ফিজি, ইরানের প্রতিনিধিরা এই গভর্নিং কাউন্সিলের সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকার নাগরিক সমস্যা সমাধানে ধাপে ধাপে কাজ করতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দৃঢ় প্রত্যয় স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
৬ মাস আগে
সুপেয় পানি সরবরাহই হবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় অন্যতম চ্যালেঞ্জ: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
ভবিষ্যতের বাংলাদেশে সুপেয় পানির সরবরাহ ঠিক রাখাই হবে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বিকালে ঢাকায় ইউনিসেফ আয়োজিত বিশ্ব পানি দিবস-২০২৪ উপলক্ষে ‘শান্তির জন্য পানি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত পৃথিবীর শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে একটি। পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে, সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, লবণাক্ত পানির কারণে জীববৈচিত্র্য এবং কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং সুপেয় পানির উৎসস্থল সংকুচিত হচ্ছে। ভবিষ্যতের বাংলাদেশ সুপেয় পানির সরবরাহ ঠিক রাখাই হবে আমাদের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ভূগর্ভস্থ পানের স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে তাই ভবিষ্যতে পান করার জন্য পানি সরবরাহ একটি চ্যালেঞ্জ হবে। সেজন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির পানি অর্থাৎ ভূউপরিভাগের পানি সংগ্রহ করে কাজে লাগানোর জন্য উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- সুইডেনের এম্বাসেডর আলেক্সান্ডরা বার্গ ভন লিনডে, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এমা ব্রিগহাম, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার টিম লিড ড. রাজেন্দ্র বোহরা এবং সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহীম।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ।
এর আগে সকালে আগারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে দুটি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি জাইকা, এডিবি ও এএফডি নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (আইইউজিআইপি) ও দক্ষিণ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রকল্প (এসসিআরডিপি) নামক প্রকল্প দুটির অর্থায়ন করে।
জুন ২০২৮ সাল নাগাদ নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (আইইউজিআইপি) সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে যেখানে মোট ৬০২ মিলিয়ন ইউএস ডলার খরচ হবে এবং ডিসেম্বর ২০২৮ সালে শেষ হবে দক্ষিণ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রকল্প (এসসিআরডিপি) যেখানে মোট প্রায় ৩ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
প্রকল্প দুটির উদ্দেশ্য হচ্ছে পরিকল্পনা অনুযায়ী টেকসই নগরায়ন, নগর পরিচালন ব্যবস্থার উন্নয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা করা, দক্ষিণ চট্টগ্রামের জীবন মানের উন্নয়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন- স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. শের আলী, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং, এএফডি বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর সিসিলিয়া কট্রিস, জাইকার বাংলাদেশ প্রধান ইচিগুচি তোমোহিডে। এছাড়াও প্রকল্প দুটি বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন পৌরসভার মেয়রগণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
৮ মাস আগে
দেশের সমাজ ব্যবস্থায় নানা ধরনের দুর্নীতি রয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের সমাজ ব্যবস্থায় নানা ধরনের দুর্নীতি রয়েছে।
তিনি বলেন, সাধারণত দুর্নীতি বলতে আমরা আর্থিক দুর্নীতিকেই বেশি বুঝে থাকি। কিন্তু নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করাও অনেক বড় দুর্নীতি।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) তেজগাঁওস্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মান সম্ভব’ শীর্ষক এক পাবলিক পার্লামেন্ট বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে নতুন ধারণা খুঁজতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করতে গেলে স্মার্ট জনপ্রতিনিধি ও স্মার্ট জনগণ দুটোই লাগবে। জনপ্রতিনিধি ও জনগণ তাদের নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলেই দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করা সম্ভব।
তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশের যে পথ-নকশা তৈরি করেছেন, সেই লক্ষ্য অর্জনে শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা অপরিহার্য।
তিনি বলেন, শক্তিশালী স্থানীয় সরকার বলতে শুধুমাত্র বাজেট বা টাকা-পয়সা দিয়ে সহায়তা বুঝায় না, রাজস্ব আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে স্থানীয় নানা ধরনের সমস্যার সমাধান করাও বুঝায়। সক্ষমতা বৃদ্ধি করে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে সে ধরনের অবস্থানে নিয়ে যাওয়াই সরকারের লক্ষ্য।
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহিতা ও তাদের কাজের মূল্যায়নের উপরও জোর দেওয়ার কথা জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠক
তিনি বলেন, ঢালাওভাবে জনপ্রতিনিধিদের খারাপ বলা উচিত নয়। কারণ, অনেক জনপ্রতিনিধি নানা ধরনের ভালো কাজ করছেন, তাদের সেই ভালো কাজের মূল্যায়নও সমাজে প্রয়োজন।
মন্ত্রী এ সময় শিক্ষিত তরুণ সমাজের রাজনীতিতে আসার প্রয়োজনের কথা বলেন। তা না হলে অযোগ্য লোক সমাজকে নেতৃত্ব দেবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
উন্নত বিশ্বের উদাহরণ দিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ও স্থানীয় সরকার- কেউ কারও প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। আইন দ্বারা এই দুই ব্যবস্থার কাজের পরিধি সুনির্দিষ্টভাবে ভাগ করা রয়েছে।
তবে প্রশ্ন হচ্ছে- স্থানীয় সরকার তাদের নিজেদের কাজ সঠিকভাবে করছে কিনা, তাদের রাজস্ব আয়ের নানা ধরনের উপায় সৃষ্টি করতে পারছে কিনা এবং স্থানীয় মানুষকে তাদের সমস্যার অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাধানের দিকে নিয়ে যেতে পারছে কিনা।
আরও পড়ুন: পানির সঙ্গে সহাবস্থান নিশ্চিত করেই আমাদের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা সাজাতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
১০ মাস আগে
ঢাকার নাগরিক সমস্যা সমাধানে ধাপে ধাপে কাজ করতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম পর্যায়ক্রমে ঢাকার নাগরিক সমস্যা সমাধানের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, ঢাকা পৃথিবীর জনবহুল শহরগুলোর অন্যতম এবং প্রতিবর্গ কিলোমিটারে সবচেয়ে বেশি মানুষ বসবাস করে।
তিনি বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে এ শহরে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা দিন দিন নানা চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ঢাকাকে আধুনিক শহরে পরিণত করতে ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। এরই ফলশ্রুতিতে আজ আমরা ঢাকায় মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ের মতো দ্রুতগতি সম্পন্ন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ঢাকার যানজট: মেট্রোরেল ও এক্সপ্রেস ওয়ের প্রভাব’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকার সব সমস্যা রাতারাতি সমাধান সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধীরে ধীরে সব সমস্যা সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করা হবে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির কথা উল্লেখ করে বলেন, মানুষের সামর্থ্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মন্ত্রী দখলমুক্ত ফুটপাতের উপর জোর দিয়ে বলেন, হাঁটার পরিবেশ পেলে নাগরিকরা স্বল্প দূরত্বে হেঁটে গেলে তা পরিবেশের জন্য এবং নাগরিকদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে সেক্ষেত্রে হকারদের পুনর্বাসন অথবা তাদের একটি নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুযোগ দেওয়ার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
আরও পড়ুন: আমাদের এখন লক্ষ্য ডালে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া: কৃষিমন্ত্রী
যানজটের সমস্যা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, একই পরিবারের একাধিক গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের বিষয়ে আমাদের চিন্তা করার সময় এসেছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও জবাবদিহির উপর জোর দিয়ে ঢাকা শহরে পার্কিং ব্যবস্থা ও শৃঙ্খলা আনা জরুরি হয়ে পড়েছে।
খেলাধূলার উপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, খেলাধূলা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং এ কারণে উন্নত বিশ্বে খেলাধূলার উপর অনেক গুরুত্বারোপ করা হয়।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ সময় খেলাধুলা মানুষের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক চেতনা তৈরি করে উল্লেখ করে বলেন, এ বোধ যে মানুষের মধ্যে কাজ করে তারা দেশ ও সমাজকে উন্নত করতে বেশি সক্রিয় থাকে। তাই খেলাধুলার গুরুত্ব আমাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও জাতীয় জীবনে অপরিহার্য।
আরও পড়ুন: জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দৃঢ় প্রত্যয় স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
খেলাধুলা শুধু স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তাই নয়, খেলাধুলার ফলে মানুষের মধ্যে সৃজনশীলতার বিকাশ হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
১০ মাস আগে
সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে নতুন ধারণা খুঁজতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম পল্লী উন্নয়ন একাডেমিসমূহকে শক্তিশালী করার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, গ্রামের মানুষকে সংগঠিত করে তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানে নতুন নতুন ধারণা খুঁজে বের করতে হবে।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে পল্লী উন্নয়ন একাডেমিসমূহের সাথে এক মত বিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম।
আরও পড়ুন: নিজেরা সচেতন হলে ডেঙ্গু ও এডিস মশা প্রতিরোধ কার্যকর করা সম্ভব: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সময় গ্রামের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চেষ্টা করেছেন। গ্রামের ৬১ শতাংশ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে পল্লী উন্নয়ন একাডেমিগুলো গবেষণার মাধ্যমে নীতি ও তা বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। তাছাড়াও তিনি গবেষণার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর রাজস্ব বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করেন।
মন্ত্রী বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বিভিন্ন যৌক্তিক দাবি পূরণে সরকার সচেষ্ট রয়েছে তবে তা যতটুকু বাস্তবায়ন সম্ভব তা বিবেচনায় নেওয়া হবে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ সময় বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়ন যেন সঠিক কাজে লাগে তা তদারকি করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্প গুলোর কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, প্রকল্পগুলো যেন মানুষের জীবনে অর্থ-সামাজিক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: অবকাঠামো উন্নত হওয়ায় শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছানো সহজ হয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকলে আইনের ব্যত্যয় ঘটবে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
১০ মাস আগে
জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দৃঢ় প্রত্যয় স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, মন্ত্রণালয়ের অধীন সব অধিদপ্তরের দক্ষতা মূল্যায়ন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।
একই সঙ্গে দপ্তরগুলোর সমস্যা চিহ্নিত করে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পুনরায় দায়িত্ব পাওয়ার পর রবিবার কারওয়ান বাজারের ওয়াসা ভবনে প্রতিষ্ঠানটির সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বসবাসযোগ্য ঢাকার জন্য নাগরিকদের সচেতনতা জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
সমবায়মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যে অবস্থানে নিতে চান সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, পুনরায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর আস্থা রাখতে সব সময় সচেষ্ট থাকবেন।
তিনি ঢাকা ওয়াসার দক্ষতায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকা শহরের জন্য সুপেয় পানি সরবরাহের দায়িত্বটি ঢাকা ওয়াসা ঠিকভাবে করতে পেরেছে। এছাড়াও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা আধুনিক করতে ঢাকা ওয়াসার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন চলমান।
ভর্তুকির টাকায় ধনীদের পানি সরবরাহ করা যৌক্তিক কি না সে প্রশ্ন রেখে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ঢাকা ওয়াসার এক হাজার লিটার পানি উৎপাদনে খরচ হয় ২৬ থেকে ৩০ টাকা। ৩০ টাকা যদি উৎপাদন খরচ হয়, আর আমি যদি তা ১৫ টাকায় বিক্রি করি তাহলে বাকি ১৫ টাকা ভর্তুকি কে দেবে? সরকারি টাকা দিয়ে কী আমি এখানে ক্ষতিপূরণ দেব?
আরও পড়ুন: জনপ্রতিনিধিরা চেষ্টা করলে জনগণের ভাগ্য আমূল পরিবর্তন করা সম্ভব: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তিনি বলেন, এটা কি যৌক্তিক বিষয় কি না প্রশ্ন আমার। ধনাঢ্য এলাকার পানির মূল্য আর মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত অধ্যুষিত এলাকার পানির মূল্য এক হওয়া উচিত নয় বলে মত দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে গেলে আইন ও বিধিগুলো সঠিকভাবে জানা প্রয়োজন। এতে কর্মকর্তাদের উৎসাহ ও দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। আশা করি সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা পাঁচ দিনব্যাপী এই কর্মশালার মাধ্যমে নাগরিক সেবা আরও সহজে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন।
এদিকে, আজ সকালে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত ‘সিটি কর্পোরেশন সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ’ ও ‘সম্পদ আহরণ এবং বাজেট ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম এবং সভাপতিত্ব করেন জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মনোজ কুমার রায়।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম এবং সভাপতিত্ব করেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। এছাড়াও ঢাকা ওয়াসার চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সুজিত কুমার বালা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
১১ মাস আগে
সমবায় শক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে দেশের আমূল পরিবর্তন সম্ভব: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমবায়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ব্যক্তি মানুষের ছোট ছোট পুঁজিগুলো একত্রিত করে সমাজের অনেক কিছুরই পরিবর্তন করা সম্ভব।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমবায়ের মাধ্যমে গ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনে গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন। তিনি জানতেন একজন মানুষের পক্ষে যা করা সম্ভব নয়, তা সমবায়ের মাধ্যমে ১০ জন মানুষ একত্রিত হয়ে অনায়াসে সম্ভব করতে পারে।
আরও পড়ুন: জনপ্রতিনিধিরা সমাজে আদর্শ হলে ইতিবাচক পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
শনিবার (৪ নভেম্বর) আগারগাঁও এ সমবায় অধিদপ্তরে ৫২তম জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৩ এবং জাতীয় সমবায় পুরস্কার ২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, কুমিল্লার বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) মাধ্যমে পল্লী উন্নয়নে সমবায়ের বাস্তব প্রয়োগ আমাদের দেশ সফল হয়েছে। বার্ডের অনুসরণে দক্ষিণ কোরিয়াতেও সমবায়ের মাধ্যমে গ্রামীণ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সফলতা পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, সমবায়কে শক্তিশালী করণের মাধ্যমে আমরাও সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারি। তাহলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর দর্শন ছিল কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সমবায়ের মাধ্যমে উৎপাদন, বণ্টন ও বিপণন করে সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা।
তাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদে বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার ছিল ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ। একটানা ৩ মেয়াদে সরকার পরিচালনার ফলশ্রুতিতে গত সাড়ে ১৪ বছরে এ হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন অভিযাত্রায় শহর ও গ্রামের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সমান অংশগ্রহণ থাকবে। কাউকে পেছনে ফেলে রাখা চলবে না। সমবায় অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে বর্তমানে প্রায় ১ লাখ ৮৯ হাজার সমবায় সমিতি রয়েছে। সমবায়ীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য হ্রাসে এ সমবায় সমিতিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি সদস্য সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ২২ লাখ।
মন্ত্রী এসময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই বিজয় বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার বাংলাদেশের জন্য সবসময় সম্মান এবং মর্যাদা বয়ে এনেছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপর আরও জোর দিতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
সরকার গ্রাম আদালতকে শক্তিশালী করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
১ বছর আগে
ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপর আরও জোর দিতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপর আরও জোর দিতে হবে।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের মূল কারণ দুটি। এর একটি হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে থেমে থেমে বৃষ্টির সঙ্গে উষ্ণ আবহাওয়া, যা এডিস মশা জন্মানোর জন্য উপযুক্ত। আর অন্যটি হচ্ছে নিজ বসতবাড়ি ও এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। তবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে আমরা সচেতন হলেই এডিস মশার জন্মানোর উৎস ধ্বংস করতে পারি।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে দেশব্যাপী ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘নিজ আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখি, সবাই মিলে সুস্থ থাকি’- এই স্লোগানে উজ্জীবিত হয়ে মারাত্মক ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার বংশবিস্তার রোধে এর প্রজনন স্থান নষ্ট করতে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু রোগটি এখন আর শুধু শহরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ৭৬ শতাংশ ডেঙ্গু রোগী ঢাকার বাইরের। ফলে এডিস মশা এবং ডেঙ্গু রোগ দুটি সারাদেশে সমানভাবে ছড়িয়েছে। সেজন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে সারাদেশের ৬৪ জেলায় ১৮ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী একযোগে সপ্তাহব্যাপী এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: বসবাসযোগ্য ঢাকার জন্য নাগরিকদের সচেতনতা জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ সময় পৃথিবীর যেসব দেশ ডেঙ্গু রোগে বেশি আক্রান্ত হয় সেসব দেশের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থেকে কার্যকর কোনো উপায় এখন পর্যন্ত কেউ বলতে পারেনি। তাই এ বিষয়ে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে, জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে এবং মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ-২০২১ সালেই 'ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে জাতীয় নির্দেশিকা' প্রণয়ন করে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশব্যাপী 'ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ' উদযাপন ও প্রচার অভিযান পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
ইউনিসেফের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. শের আলী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এমা ব্রিগহাম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ড. এন্থনি এসহোফনি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডেঙ্গু সিনড্রোমের ক্লিনিক্যাল ব্যবস্থাপনার উপর জাতীয় নির্দেশিকা প্রস্তুতকারী অধ্যাপক ড. কাজী তরিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: তামাক ব্যাবহারের নিয়ন্ত্রণ জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
ডেঙ্গু মোকাবিলায় আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
১ বছর আগে
সরকার গ্রাম আদালতকে শক্তিশালী করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, মামলা-মোকদ্দমা হ্রাসে সহায়তা করতে এবং গ্রাম আদালত ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় ন্যায়বিচার পৌঁছে দিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় সম্পদের বিকেন্দ্রীকরণ এবং জনমুখী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যেও কাজ করছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জনপ্রতিনিধিরা চেষ্টা করলে জনগণের ভাগ্য আমূল পরিবর্তন করা সম্ভব: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিইডি), ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইইউ’র রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, ইউএনডিপি বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি স্টেফান লিলার।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব এবং প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মাদ নুরে আলম সিদ্দিকী।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে আইনি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাম আদালত ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিক আদালত ব্যবস্থায় মামলার জট কমিয়ে আনতে গ্রাম আদালত একটি চমৎকার বিকল্পপন্থা।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় মানুষের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিবাদ-বিরোধ নিরসনে গ্রাম আদালত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, যা দেশের উন্নতিকে ত্বরান্বিত করবে।
উল্লেখ্য, প্রথম দুই ধাপের সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে ‘বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (তৃতীয় পর্যায়)’- প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে।
প্রকল্পটি গ্রহণের সময় পুরো বাংলাদেশে গ্রাম আদালত পরিষেবার ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথাও বিবেচনা করা হয়েছে। প্রকল্পের তৃতীয় ধাপের লক্ষ্য হচ্ছে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় অংশীজনদের ভূমিকা বিবেচনায় রেখে টেকসই গ্রাম আদালত ব্যবস্থা তৈরি করা।
আরও পড়ুন: বসবাসযোগ্য ঢাকার জন্য নাগরিকদের সচেতনতা জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
সকল শ্রেণির মানুষের জন্য ঢাকাকে বাসযোগ্য ও টেকসই করতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
১ বছর আগে
নীতি নির্ধারণের জন্য সঠিক জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন তথ্য অতি গুরুত্বপূর্ণ: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
তিনি বলেন, যেকোনো জাতির সঠিক জনসংখ্যা নির্ধারণ অতি গুরুত্বপূর্ণ। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবার মাধ্যমেই আমরা সেই তথ্যটা জানতে পারি। শুধু মোট জনসংখ্যা জানাই যথেষ্ট নয়, বিভিন্ন বয়সের শ্রেণি বিভাগ ও তথ্য উপাত্ত জানা জরুরি।
তিনি বলেন, যেকোনো নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোন ধরনের মানুষের জন্য সেই নীতি নেওয়া হচ্ছে, কোন বয়সের মানুষের জন্য এবং কত সংখ্যক মানুষের জন্য নেওয়া হচ্ছে সেই তথ্য অতি গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি শুক্রবার (৬ অক্টোবর) ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন জরুরি, কারণ বয়স্ক মানুষের চাহিদা আর যুবকদের চাহিদা এক নয়। আবার যুবকদের চাহিদা আর শিশু-কিশোরদের চাহিদা এক নয়। নানা বয়স, ধর্ম-বর্ণের মানুষের চাহিদা শনাক্তকরণ এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন তথ্যই সরকারের প্রয়োজন হয়।
আরও পড়ুন: বসবাসযোগ্য ঢাকার জন্য নাগরিকদের সচেতনতা জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এসময় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা স্বীকার করে জানান, সমস্যাগুলো চিহ্নিত হয়েছে। এখন দ্রুত এই সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে কাজ শুরু করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, অনেক পথেই আমাদের যাত্রার অভিজ্ঞতা নতুন, তাই হয়তো জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে প্রত্যাশিত সেবায় ত্রুটি বিচ্যুতি রয়েছে। কিন্তু সেই সমস্যাগুলো সমাধান করে আমাদের নাগরিক সেবায় ভোগান্তি দূর করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. রাশেদুল হাসান, ইউনিসেফ এর চিফ অব চাইল্ড প্রটেকশন মিস নাটালি ম্যাককলি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম।
আরও পড়ুন: জনপ্রতিনিধিরা চেষ্টা করলে জনগণের ভাগ্য আমূল পরিবর্তন করা সম্ভব: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
জাতির স্বার্থে কাজ করার আহ্বান স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
১ বছর আগে