খুচরা বিক্রেতা
ফরিদপুরের বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম
সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদনকারী জেলা ফরিদপুরে নতুন ফসল আসার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে।ফরিদপুর শহর ও আশপাশের বিভিন্ন বাজার ঘুরে ইউএনবির প্রতিবেদক জানান, নতুন পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, যা পুরনো ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, নতুন পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং পুরাতন পেঁয়াজের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। কয়েকদিন আগে নতুন পেঁয়াজ ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও পুরনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে।
আরও পড়ুন: নতুন পেঁয়াজ অস্থিতিশীল বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে: কৃষি মন্ত্রণালয়
সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাব ও সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে প্রাথমিকভাবে পেঁয়াজ কাটা বিলম্বিত হয়। তবে পানি কমে যাওয়ায় কৃষকরা আংশিক ফসল তুলতে শুরু করেছেন।
প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর অসাধু ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম নিয়ে কারসাজি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, ফরিদপুরে প্রাথমিকভাবে তিনটি জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। শীতকালীন মুড়িকাটা এবং গ্রীষ্মকালীন হালি ও ডানা।
তিনি আরও জানান, চলতি মৌসুমে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে এক লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ মজুদকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি ডিবি প্রধানের
১ বছর আগে
খুচরা বিক্রেতারা চালের দাম বাড়িয়ে আঙ্গুল তুলে মিল মালিকদের দিকে: খাদ্যমন্ত্রী
সরকার ও মিল মালিকেরা পরিপূরক, প্রতিপক্ষ নয় বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেছেন, মিল মালিকেরা কখন, কোথায় এবং কতটুকু চাল বিক্রি করেন তারা (মিল মালিক) ছাড়া কেউ জানেনা। খুচরা বিক্রেতারা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়ে সোজা আঙ্গুল তুলে মিল মালিকদের দিকে। তখন মিল মালিকরা চুপ করে থাকেন, কোন প্রতিবাদ করেন না। এর ফলে সবার মধ্যে ধারণা কাজ করে যে মিল মালিকরা দাম বাড়াচ্ছে।
শনিবার দুপুরে ঢাকার একটি স্থানীয় হোটেলে বাংলাদেশ অটো মেজর এ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ওএমএস কর্মসূচি চালু হওয়ায় বাজারে চালের দাম কমবে: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ওয়েবসাইটে মিলগেটে বিক্রিত চালের দাম দেয়া থাকলে খুচরা বিক্রেতা মিথ্যা অজুহাত দিয়ে চালের দাম বেশি নিতে পারবে না।
এসময় তেলের দাম বৃদ্ধির দোহাই দিয়ে কেজি প্রতি ৫/৬ টাকা চালের দাম বৃদ্ধির সমালোচনা করেন।
চুক্তি করেও যারা সরকারি গুদামে চাল সরবারহ করতে পারেনি তারা যদি যৌক্তিক কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেন তাহলে বিবেচনা করা হবে।
তবে চাল প্রকিউরমেন্টে সরকারকে সহায়তাকারী আর অসহায়তাকারী মিল মালিককে সমানভাবে পরিমাপ করা হবে না বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
সরকারি ধান চাল সংগ্রহে কম মূল্য দেয়া হয় এমন এক বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ১১ টি মন্ত্রণালয়সহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে দাম নির্ধারণ হয় এবং সেটা যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে করা হয়।
বোরো সংগ্রহে ধান চালের দাম সঠিক ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সে কারণে কৃষক নায্যমূল্য পেয়েছে প্রকিউরমেন্ট ও শতভাগের বেশি হয়েছে। আমন সংগ্রহ সময়ে ডিজেল, সার ও বিদ্যুতের দাম বিবেচনা করে মূল্য নির্ধারণ করা হবে।
সংগঠনের সভাপতি মো. আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন ও খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন।
আরও পড়ুন: দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় রাখবে: খাদ্যমন্ত্রী
যতদিন প্রয়োজন ততদিন ওএমএসে চাল-আটা বিক্রি: খাদ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
কারওয়ান বাজারে খুচরা বিক্রেতারা বসতে পারবেন না
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে রাজধানীর বৃহত্তম কাঁচাবাজার কারওয়ান বাজারে বসতে পারবেন না খুচরা বিক্রেতারা।
৪ বছর আগে