ব্যাটারি
সেকেন্ডহ্যান্ড মোটরসাইকেল কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি
অন্যান্য যানবাহনের তুলনায় আকারে বেশ ছোট হওয়ায় যানজটের শহরে মোটরসাইকেলের জুড়ি মেলা ভার। ইঞ্জিনচালিত এই দ্বিচক্রযানে নেই প্যাডেল ঘুরানোর ক্লান্তি, সেইসঙ্গে দীর্ঘ যাত্রায় থাকে রোমাঞ্চের আনন্দ। এছাড়া নিত্যনৈমিত্তিক প্রয়োজনে বেরনোর সময় মুক্তি দেয় গাড়ি খোঁজার ঝামেলা থেকে।
এতসব সুবিধা একটু কম খরচে পেতে অনেকেই ঝুঁকে পড়েন পুরাতন মোটরবাইক কেনার দিকে। ব্র্যান্ডের নতুন মোটরবাইকে হাত দেওয়ার আগে এই যানগুলো ড্রাইভিংয়ে পরিপক্ক হওয়ার উপযুক্ত উপায়। তাই চলুন, সেকেন্ড হ্যান্ড মোটরসাইকেল কেনার সময় কোন বিষয়গুলোর প্রতি নজর রাখতে হবে তা জেনে নেওয়া যাক।
পুরাতন মোটরসাইকেল কেনার সময় যে ১০টি বিষয় যাচাই করা উচিৎ
বর্তমান বাজার মূল্য
বাজেট অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত বাইকটি পেতে প্রথমেই বাজারে তার বর্তমান অবস্থার ব্যাপারে খোঁজ-খবর করে নেওয়া জরুরি। এর ফলে কত দিন ব্যবহার করা হয়েছে এবং কোনো কিছু মেরামতো বা পরিবর্তন করা হয়েছে কি না- তা বিবেচনা করে দামদর করতে সুবিধা হবে। এজন্যে সহায়ক তথ্যের জন্য বাইক সংক্রান্ত নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইটগুলো সহায়ক হতে পারে।
সরেজমিনে দেখার জন্য সরাসরি দোকানে চলে যাওয়াটা উত্তম। মূল্যের পরিধির ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণা নিয়ে তবেই বিক্রেতার সঙ্গে দেখা করা উচিৎ।
আরও পড়ুন: রয়্যাল এনফিল্ড-৩৫০: বাংলাদেশের প্রথম ৩৫০ সিসি মোটরবাইক
এক নজরে বাহ্যিক দর্শন
বিক্রেতার সঙ্গে দেখা করার সময় প্রথম দর্শনে বাইকের যতটুকু দৃষ্টিগোচর হচ্ছে তার সবটুকুই সুক্ষ্মভাবে খুঁটিয়ে দেখতে হবে। খেয়াল করতে হবে ফ্রেমে কোনো দাগ বা মরিচা পড়েছে কি না, সামনের ও পেছনের লাইটগুলো সঠিকভাবে জ্বলছে কি না এবং বসার সিট কভারে কোনো ছেঁড়া আছে কি না। বাইক স্টার্ট দেওয়ার চাবি কী হোলের ভেতর নির্বিঘ্নে ঢুকছে কি না এবং তা কোনো জ্যাম ছাড়াই ঘুরছে কি না- তা খতিয়ে দেখা জরুরি। চাকার কভার, হর্নের শব্দ এমনকি আয়নার মতো ছোট ছোট ব্যাপারও এ সময় এড়ানো যাবে না।
ইঞ্জিন, ট্রান্সমিশন ও ব্যাটারি
আসল যাচাইকরণ শুরু হবে ইঞ্জিন থেকে, যা বাইক স্টার্ট দেওয়ার সময়ই টের পাওয়া যাবে। ঠকঠক বা অস্বাভাবিক শব্দ হলে বোঝা যাবে বিয়ারিং বা ভালভে সমস্যা আছে। এর মাধ্যমে গিয়ারগুলো ঠিকমতো কাজ করছে কি না তথা ট্রান্সমিশনটাও যাচাই হয়ে যাবে।
ইঞ্জিন চালু করার সঙ্গে সঙ্গেই ইগ্নিশন লাইট জ্বলে উঠে কয়েক সেকেন্ড পর বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু লাইট জ্বলে থাকলে বুঝতে হবে ইঞ্জিনের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থায় সমস্যা আছে। কোথাও কোনো রকম সংযোগ বিচ্ছিন্নতা কোনোভাবেই উপেক্ষা করা যাবে না। হেডলাইটের ক্ষীণ বা নিভু নিভু আলো মানেই দুর্বল ব্যাটারি। ব্যাটারির টার্মিনালগুলো পরীক্ষার জন্য সঙ্গে মাল্টিমিটার রাখার প্রয়োজন হবে। একটি সম্পূর্ণ চার্জযুক্ত ব্যাটারির হাইড্রোমিটার রিডিং ১২ দশমিক ৬ ভোল্ট হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: বাজাজ পালসার এন-২৫০: বাংলাদেশের প্রথম ২৫০ সিসি বাইক
ক্লাচ, ব্রেক ও সাস্পেনশন
স্টার্ট থেকে শুরু করে গিয়ার ধরতে পারছে কি না তা যাচাইয়ের জন্য ধীরে ধীরে ক্লাচে চাপ বাড়িয়ে আবার একই ভাবে আস্তে করে ছেড়ে দিতে হবে। এই পুরো প্রক্রিয়ায় কোথাও জ্যাম অনুভূত হলে বা বাইকের বডি কেঁপে উঠলে ক্লাচে সমস্যা আছে। ভালো ক্লাচের ক্ষেত্রে বাইক চালু করার পর প্রথম গিয়ারে থাকাকালীন হাল্কা কম্পন দিয়ে ধীর গতিতে সামনে এগোনোর কথা।
এ অবস্থায় আলতো করে ব্রেক চেপে দেখে নেওয়া যেতে পারে তা কতটা মসৃণভাবে কাজ করছে এবং কোনো শব্দ না করে বাইক থেমে যাচ্ছে কি না। ভালো ব্রেকিং সিস্টেমে ব্রেক ছেড়ে দিলে বাইক মসৃণভাবে আগের গতিতে ফিরে যায়।
ব্রেক টানার সময় সাস্পেনশনটারও পরীক্ষা হয়ে যাবে। শক অ্যাবজরভার ভালো থাকলে খুব বেশি ঝাকুনি অনুভূত হবে না। এছাড়া থেমে থাকা অবস্থাতেও সিটে বসে হাল্কা বাউন্স করে দেখা যেতে পারে। এ সময় সিট সমেত বাহকের শরীর স্প্রিং না করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।
আরও পড়ুন: বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স যেভাবে করবেন
চাকা ও টায়ার
যত্ন নেওয়া মোটরবাইকগুলোর চাকা ও টায়ারগুলো বেশ নতুনের মতো থাকে। টায়ার রাবারের পুরুত্ব কমপক্ষে ১/১৬ ইঞ্চি হয়ে থাকে। এগুলো অনেক বছর হয়ে গেলে বা অযত্নে ব্যবহার হলে ছিড়ে যায়। অধিকাংশ মোটরসাইকেলের টায়ার প্রায় ৬ বছর পরে বদলে নিতে হয়। তাই টায়ার বদলের সময় কাছাকাছি হলে বিষয়টিকে বাইকের দরদামের সময় উত্থাপন করা যেতে পারে।
ছোট ছোট গর্ত বা কার্ব থাকা চাকা নেওয়া যাবে না। সামনের ও পেছনের চাকাগুলোর অ্যালাইনমেন্ট ঠিক আছে কি না তা যাচাই করতে হবে। ঘোরার সময় কোনো বাধা ছাড়াই চাকাগুলো ঘুরতে পারছে কি না সেদিকটাও দেখা দরকার।
রাস্তাঘাটে মোড় নেওয়ার জন্য বাইকের স্টিয়ারিং ডানে-বামে নিরবচ্ছিন্নভাবে ঘোরাতে পাড়াটা জরুরি। এটি পরীক্ষা করতে বাইককে কেন্দ্রীয় স্ট্যান্ডের উপর রাখলে সামনের অংশ মাটি থেকে কিছুটা উপরে উঠে যাবে। এতে বোঝা যাবে সামনের চাকা এবং হ্যান্ডেলবারগুলো মুক্তভাবে এদিক-ওদিক ঘোরানো যাচ্ছে কনা।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ বিলাসবহুল গাড়ি
জ্বালানি ট্যাংক
অনেক পুরনো হয়ে গেলে জ্বালানি ট্যাংকের ভেতরটা অন্ধকার হয়ে যায়। ব্যবহারযোগ্য ট্যাংকে জ্বালানি থাকলে তা উজ্জ্বল দেখায়। এই রঙ বোঝার জন্য ট্যাংকের ক্যাপ খুলে টর্চ লাইটের সাহায্যে ভেতরে একদম নীচ পর্যন্ত ভালোভাবে দেখে নিতে হবে।
ফ্রেম
প্রথম দর্শনে এক নজরে দেখার সময়ই চোখে পড়বে বডির দাগ বা মরিচাগুলো। পরবর্তীতে বাইকের সামনে হ্যান্ডেলবার এবং ফর্কগুলোর অ্যালাইনমেন্ট যথাযথভাবে যাচাই করে নিতে হবে। এছাড়া বাইকের হেড টিউব বাইকের সিট বা আসন টিউবের প্রেক্ষিতে কিভাবে বেঁকে আছে- তা দেখতে হবে। কেননা এখানেও অ্যালাইনমেন্ট থাকা আবশ্যক। এছাড়া বিচ্ছিন্নতা বা ফাটল খুঁজে বের করার জন্য স্টিয়ারিং হেড বিয়ারিংও পরীক্ষা করে নেওয়া প্রয়োজন।
সার্ভিস রেকর্ড
মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ নিরীক্ষণ শেষে এবার কাগজপত্র দেখার পালা। বাইকের পূর্বের অবস্থা যেমন- দুর্ঘটনা, নেমপ্লেট পরিবর্তন, ও কোনো অংশ মেরামতো হয়েছে কি না- সে ব্যাপারে সম্যক ধারণ দিতে পারে সার্ভিস রেকর্ড। পাশাপাশি বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলার সময় কিছু প্রশ্ন উত্থাপন করা যেতে পারে যেমন, বাইকটি বিক্রি করা হচ্ছে কেন, শেষ কবে বাইকটি চালানো হয়েছিল এবং কোন পার্টস মডিফাই বা পরিবর্তন করা হয়েছে কি না ইত্যাদি। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে- বাইকের মালিকানা এ পর্যন্ত কতবার পরিবর্তন হয়েছে।
আরও পড়ুন: আপনি কি মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন?
অনেক বার হাতবদল হয়ে থাকলে সাধারণত বাইকের পূর্বাবস্থার সম্পূর্ণ বিবরণ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এর সঙ্গে মোটরসাইকেলের মেরামতের রেকর্ডও সম্পর্কিত। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ রেকর্ড মানে পূর্ববর্তী মালিকরা সময়মতো বাইকের সঠিক যত্ন নিয়েছিলেন।
কাগজপত্রের বৈধতা
একটি ঝামেলাহীন মোটরসাইকেল বেছে নেওয়ার জন্য এর কাগজপত্রের বৈধতা যাচাইকরণ অত্যাবশ্যক। এক্ষেত্রে প্রথমেই দেখতে হবে নিবন্ধন কার্ড এবং হালনাগাদকৃত ট্যাক্স টোকেন। বাইকের ইঞ্জিন এবং চেসিস নাম্বার নিবন্ধনপত্র বা কার্ড ও ট্যাক্স টোকেনের সঙ্গে মিলিয়ে নেয়া যেতে পারে। মেয়াদ উত্তীর্ণ নিবন্ধন বা ট্যাক্স টোকেন কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
সেই সঙ্গে যাচাই করতে হবে এই কাগজগুলোর সঙ্গে কোনো আইন সংক্রান্ত জটিলতা আছে কি না। মোটরবাইকটি কোনো মামলার সঙ্গে জড়িত আছে কি না, থাকলে তা নিষ্পন্ন হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে। এক্ষেত্রে একটু অসাবধানতায় সমূহ বিড়ম্বনার শিকার হতে পারেন বাইকের নতুন মালিক।
আরও পড়ুন: নারীর একাকী ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ১০ শহর
টেস্ট ড্রাইভ
যাবতীয় যন্ত্রাংশ খুটিয়ে দেখার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌছার আগে নিজে একবার মোটরসাইকেলটি চালিয়ে নেয়া উত্তম। এই টেস্ট ড্রাইভের জন্য অবশ্য বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা আবশ্যক।
এই ব্যবহারিক নিরিক্ষণে ইঞ্জিন থেকে শুরু করে ব্রেক, ট্রান্সমিশন, সাস্পেনশন সবকিছুর কার্যকলাপ পরিষ্কারভাবে বোঝা যাবে। কিছুটা সময় নিয়ে চালানোর সুযোগ থাকলে মাইলেজের ব্যাপারেও একটা প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যাবে। সর্বতভাবে এই অভিজ্ঞতার আলোকেই ক্রেতা ঠিক করতে পারবেন যে, আসলেই বাইকটি তার কেনা উচিৎ কি না।
পরিশিষ্ট
পুরাতন মোটরসাইকেল কেনার সময় এই ১০টি বিষয় সামগ্রিকভাবে সঠিক যানবাহনটি বেছে নিতে সাহায্য করবে। এখানে ক্লাচ, ব্রেক, সাস্পেন্শন, চাকা ও বৈধ কাগজপত্র নিশ্চিত করবে সার্বিক নিরাপত্তার দিকটা। ব্যবহৃত যানটি আর কতদিন চালানো যাবে তা ঠিক হবে ইঞ্জিন, ব্যাটারি ও জ্বালানি ট্যাংকের মানের নিরিখে।
অবশ্য একটি মোটরযানের ন্যূনতম যোগ্যতার প্রত্যেকটি পূরণ করলেও পূর্ব ব্যবহারের ভিত্তিতে যান্ত্রিক ত্রুটির কমবেশি হয়ে থাকে। উপরন্তু, শতভাগ ত্রুটিহীনতার সম্ভাবনা থাকে না মেনে নিয়েই সকলে কিনে থাকেন সেকেন্ড হ্যান্ড মোটরসাইকেল।
আরও পড়ুন: ঢাকায় গাড়ি চালানো শেখার জন্য কয়েকটি নির্ভরযোগ্য ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার
৯ মাস আগে
ঘুমের মধ্যে ব্যাটারির অ্যাসিড পুশ করে স্বামীকে হত্যা
পরকীয়ার জেরে ঝগড়ার পর স্বামীকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ান স্ত্রী। এরপর স্বামী ঘুমিয়ে গেলে সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনের ব্যাটারি থেকে নিসৃত অ্যাসিড সিরিঞ্জের মাধ্যমে শিরায় পুশ করেন। আর এতেই তার মৃত্যু হয়।
অভিযুক্ত শেফালি বেগম (২৬) মঙ্গলবার দুপুরে এভাবেই স্বামীকে হত্যার মিশন চালান বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে স্বামীকে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্ত্রী গ্রেপ্তার
শেফালি যশোর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আয়া হিসেবে কাজ করেন। শেফালি বেগমের স্বামী নিহত জহির হাসান (৩৮) যশোর শহরের হুশতলার মৃত হোসেন আলীর ছেলে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, শেফালির সঙ্গে শহরের শংকরপুর এলাকার রবিউল সরদার নামের এক যুবকের পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে।
এ নিয়ে গত সোমবার (৮ মে) শেফালির সঙ্গে জহিরের কথা কাটাকাটি হয়। এরপরই মঙ্গলবার মৃত্যু হয় জহিরের। এ ঘটনায় শেফালি বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
কিন্তু রাতে শেফালি জহির হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে পরিবারের কাছে জানান।
ওসি আরও জানান, পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে জহিরের স্ত্রীর পরকীয়া ও এ নিয়ে দাম্পত্য কলহের কথা জেনে শেফালিকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন এবং ঘটনার বর্ণনা দেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী গ্রেপ্তার
চাঁদপুরে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন
১ বছর আগে
জাপানি স্ট্যান্ডার্ডে ব্যাটারি উৎপাদন করছে ওয়ালটন
নিজস্ব প্রোডাকশন প্ল্যান্টে জাপানি স্ট্যান্ডার্ডের ব্যাটারি উৎপাদন করছে মাল্টিন্যাশনাল বাংলাদেশি ব্র্যান্ড ওয়ালটন। পণ্য নিয়ে নিয়মিত গবেষণা করছে ওয়ালটন। বর্তমানে মোটরসাইকেলের ব্যাটারি, রিচার্জেবল ফ্যান, অনলাইন ইউপিএস ও এমার্জেন্সি লাইটসহ বিভিন্ন ডিভাইসের স্মল ব্যাটারি উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন।
এছাড়া খুব শিগগিরই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অনলাইন ইউপিএস ব্যাটারি এবং সিএনজি, প্রাইভেট কার, বাস ও ট্রাকের জন্য অটোমোটিভ ব্যাটারিসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যাটারি ধীরে ধীরে ওয়ালটনের প্রোডাকশন লাইনে যুক্ত হবে। ওয়ালটনের অন্যান্য পণ্যের মতো স্বল্পমূল্যে বাজারজাত করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ব্যাটারি।
রবিবার যশোরের শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে অনুষ্ঠিত ‘ওয়ালটন ব্যাটারি মিট দ্য টেকনিশিয়ান কনফারেন্স ২০২২’-এ দেয়া শুভেচ্ছা বক্তব্যে এসব কথা বলেন ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) নিশাত তাসনিম শুচি।
আরও পড়ুন: ওয়ালটনের নতুন অল-ইন-ওয়ান পিসি বাজারে
তিনি টেকনিশিয়ানদের ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান এবং ওয়ালটনের পক্ষ থেকে টেকনিশিয়ানদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় দিনব্যাপী ওই কনফারেন্স।
‘এক সাথে, একই স্বপ্নে’ এই গানকে সামনে রেখে ওয়ালটনের স্টেকহোল্ডার ও পার্টনারদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় ও মজবুতের প্রত্যয়ে শেষ হয় কনফারেন্স। অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হন সিইও নিশাত তাসনিম শুচি।
সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (সিএমও) ফিরোজ আলম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কামাল হোসাইন, কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সের সিবিও মাহফুজুর রহমান, ওয়ালটন ব্যাটারির বিজনেস কো-অর্ডিনেটর রেজাউল ইসলাম মিনার, ন্যাশনাল সেলস ম্যানেজার বাবর আলী আপন ও এসএম সেলিমুর রহমান এবং ওয়ালটন ব্যাটারির ব্র্যান্ডিং বিভাগের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর অনিক আহমেদ প্রমুখ।
২ বছর আগে
পুরনো স্মার্টফোনের আয়ু বাড়ানোর ৫টি টিপস
প্রযুক্তির ক্রমাগত অগ্রগতিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উত্তরোত্তর উন্নয়নে দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে স্মার্টফোন। একটি দিন স্মার্টফোন ছাড়া চলার কথা এখন কল্পনাও করা যায় না। তাই নিত্য ব্যবহার্য এই বস্তুটি কোন কারণে নষ্ট হয়ে গেলে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। যতদিন বিকল হয়ে যাওয়া ফোনটি ঠিক না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে কর্মজীবনের প্রতিটি কর্মকান্ড প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে। তাই চলুন, জেনে নেয়া যাক বেশ পুরনো স্মার্টফোনটি অকেজো হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে এর আয়ু বাড়ানোর উপায়।
পুরনো স্মার্টফোনের আয়ু বাড়ানোর ৫টি টিপস
১। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ এবং ফাইল মুছে ফেলা
স্মার্টফোনটির স্টোরেজ এবং র্যাম ক্ষমতার সর্বাধিক ব্যবহারের ফলে প্রত্যেকেই স্মার্টফোন ব্যবহার করতে যেয়ে রীতিমত হতাশার ভেতর পড়ে যান। কারণ এর ফলে ফোনটির কার্যকারিতা প্রথমে ধীর গতি হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। অ্যাপের আধিক্যের কারণে প্রায়শই আপগ্রেড সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার অবিরাম নোটিফিকেশন ফোনটির সার্বিক প্রতিক্রিয়ার স্বাভাবিক গতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপসহ অন্যান্য অদরকারি ফাইলগুলো মুছে ফেলতে হবে।
ফোনের স্টোরেজ এবং মেমরির কথা মাথায় রেখে অ্যাপের সংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। এখানে অ্যাপের প্রয়োজনীয়তার চেয়ে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে স্মার্টফোনের কারিগরি দিককে। অদরকারি ফাইলগুলো নিয়মিতই স্মার্টফোনকে জমা হতে থাকে, তাই নিয়মিত; কমপক্ষে তিন দিনে একবার করে হলেও সেগুলো মুছে ফেলার নিয়মটি অনুসরণ করা যেতে পারে। এতে ফোনের স্টোরেজ সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকা কাজের পরিমাণ কমে যাবে। ফলশ্রুতিতে ফোনটির কার্যকারিতায় গতি আসবে এবং ফোনের আয়ুও বাড়বে।
পড়ুন: ভ্যালেন্টাইন ডে ২০২২: কয়েকটি সেরা ডিজিটাল উপহার
২। অতিরিক্ত কাজ করে ফোনের ব্যাটারি গরম করা এড়িয়ে চলা
স্মার্টফোনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো ব্যাটারি। সারাদিনে ফোন ব্যবহারের সাথে ওটা-নামা করে এই ব্যাটারির কার্যকারিতা। প্রথমেই যে ব্যাপারটি আসে সেটি হচ্ছে যে কোন অবস্থাতেই ব্যাটারিটিকে দ্রুত চার্জ দেয়া। এই কাজটি ব্যাটারির কোন ক্ষতি করে না কিন্তু ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করতে হলে ফোনটিকে একদম শূন্যে নামিয়ে তারপর চার্জ দেয়া উচিত।
দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে গরমের দিনে ফোনকে উন্মুক্ত স্থানে যেখানে সরাসরি সূর্যের আলো পড়ে সেখানে রাখা ব্যাটারির আয়ু কমিয়ে দিতে পারে। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো ছাড়া অতিরিক্ত কাজগুলো যেমন গেম খেলা, শুধু সময় অতিবাহিত করার জন্য ফোন ব্রাউজিং বাদ দেয়া যেতে পারে। প্রচন্ড গরম হলে অবশ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ফোনটি বন্ধ হয়ে যায়, তাই কোন ভয়ের কারণ না থাকলেও এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি সামগ্রিক ভাবে ব্যাটারির আয়ু কমাতে পারে।
পড়ুন: অনলাইনে গ্যাস বিল পরিশোধ করার নিয়ম
৩। অ্যাপগুলো আপডেটেড রাখা
স্মার্টফোনের ইন্টারফেসটিকে যতটা সম্ভব দ্রুত এবং সমস্যামুক্ত রাখার জন্য অপারেটিং সিস্টেম এবং থার্ড পার্টি অ্যাপগুলো রিলিজের সাথে সাথেই আপডেট করা উচিত। এর সুবিধাগুলোও অনেক উপকারি। যেমন- পূর্বের ভার্সনে থাকা সমস্যাগুলো সমাধান করা এবং আরো শক্তিশালী সুরক্ষা নিশ্চিত থেকে শুরু করে নতুন কিছু বৈশিষ্ট্য নিয়ে আসে, যা ফোনের সামগ্রিক কর্মক্ষমতা উন্নত করে।
এক্ষেত্রে কোন আপডেট মুলতুবি আছে কি না তা নিয়মিত চেক করতে হবে। গুগল প্রতি মাসের প্রথম দিকে অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা আপডেট প্রকাশ করে, তাই ফোনের কোন আপডেট আছে কিনা তা দেখতে মাসের মাঝামাঝি সময় চেক করা ভালো।
আইফোনের ক্ষেত্রে আপডেট ডিফল্ট থাকলেও যেকোনো নতুন আপডেট রিলিজ হওয়ার সাথে সাথেই ফোন ডাউনলোড এবং ইনস্টল করবে না। বরঞ্চ ফোনটির সিস্টেম বা সফ্টওয়্যারটির ভার্সন আউটডেট হওয়ার এক বা দুই দিন পরে নতুন আপডেটটি ডাউনলোড করবে এবং তারপরে এটি রাতারাতি চার্জ হওয়ার পরের বার ইনস্টলেশনের সময় নির্ধারণ করবে।
পড়ুন: অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার নিয়ম
৪। নির্দিষ্ট নিয়মানুসারে ফোনের পাওয়ার ডাউন রাখা
এটি পুরনো ফোনের ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর। কিছুদিন পরপর স্মার্টফোনটিকে কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখা যেতে পারে। আসলে এটি ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপ কম্পিউটারের মতই একটি বস্তু, যেটির বিশ্রাম প্রয়োজন হয়। সপ্তাহে অন্তত একবার ফোনকে কয়েক মিনিটের জন্য পাওয়ার ডাউন করার নিয়মটি পরবর্তীতে আরও দক্ষতার সাথে ফোনটিকে ব্যবহার করা যাবে। এমনকি, স্মার্টফোনের আয়ু বাড়াতেও এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে।
পড়ুন: কান পেতে রই: দেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেলপলাইন
৫। টেম্পারড গ্লাস স্ক্রীন প্রোটেক্টর ব্যবহার করা
একটি ভাঙা স্ক্রীন যে কোন স্মার্টফোন ব্যবহারের জন্য একটা বিরাট বাধা। শুধু তাই নয়; ভাঙা স্ক্রীনে ফোন ব্যবহার করলে এটিকে আরও ক্ষতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই স্ক্রীন বদলে নেয়ার কোন বিকল্প নেই। একটি স্ক্রীন প্রোটেক্টর শুধু স্মার্টফোনকে সুরক্ষাই দেয় না, ফোনের টাচ কার্যকারিতাটিকেও সমুন্নত রাখে। অনেকে পুরনো ফোনটির স্ক্রীন ক্ষতিগ্রস্ত হলে পুরো ফোনটিই বদলে ফেলতে যান। কিন্তু শুধুমাত্র টেম্পারড গ্লাস স্ক্রিন প্রোটেক্টর-এ বিনিয়োগ করা নতুন ফোন কেনা থেকে অপেক্ষাকৃত ভালো। কেননা, স্টোরেজ ও র্যামের ক্ষমতা থেকে যথেষ্ট কম অ্যাপ ও ফাইল স্মার্টফোনে থাকলে আর অতিরিক্ত কাজ করে ফোনটিকে গরম না করলে ফোনটি আরো বহুদিন কাজ করবে। শুধু একটি টেম্পারড গ্লাস স্ক্রিন প্রোটেক্টর লাগিয়ে নিলেই চলবে। সুতরাং একজন সঠিক ব্যবহারকারির নতুন ফোন কেনার পরিবর্তে মেরামতের দিকে নজর দেয়া উচিত৷
পড়ুন: দৌড়ের সময় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি: কারণ এবং ঝুঁকি কমাতে করণীয়
পরিশেষে
কারিগরি দিক থেকে প্রতিটি ইলেক্ট্রনিক বস্তুর একটি নির্দিষ্ট আয়ুষ্কাল থাকলেও সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে সেগুলোর আয়ু বাড়ানো যায়। উপরোল্লিখিত উপায় শুধু পুরনো নয়, নতুন কেনা স্মার্টফোনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। পুরনো স্মার্টফোনটির আয়ু বাড়ানোর উপায়গুলো আকস্মিক ভাবে অর্থ ও সময় অপচয়ের সম্মুখীন হওয়া থেকে স্মার্টফোন ব্যবহারকারিদের মুক্তি দিতে পারে।
২ বছর আগে
রিয়েলমি নিয়ে এল দ্রুত ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জিং সল্যুশন 'ম্যাগডার্ট’
সম্প্রতি স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি বাজারে এনেছে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের মধ্যে সর্বপ্রথম ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জিং সল্যুশন ‘ম্যাগডার্ট’। ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জিং, ইকোসিস্টেমে নেতৃত্ব দিতে ৩রা আগস্ট ম্যাগনেটিক ইনোভেশন ইভেন্টের মাধ্যমে বৈশ্বিক বাজারে সল্যুশনটি উন্মোচন করে রিয়েলমি। বিস্তারিত জানতে ক্লিকঃ https://cutt.ly/realme_MagDart_Launch
আরও পড়ুনঃ এখন বাংলাদেশেই তৈরি হচ্ছে রিয়েলমি সি২১
এ সল্যুশনে রয়েছে বিশ্বের দ্রুততম ৫০ ওয়াট ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জার, ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্টেড প্রথম অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন রিয়েলমি ফ্ল্যাশ ও অন্যান্য বেশ কিছু ম্যাগনেটিক চার্জিং পণ্য। ম্যাগডার্ট সল্যুশনটি ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জিংকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
রিয়েলমির প্রথম কনসেপ্ট ফোন ‘রিয়েলমি ফ্ল্যাশ’ এ রয়েছে ৪৫০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ার ক্ষমতার ব্যাটারি। ম্যাগডার্ট ওয়্যারলেস চার্জিং এর ৫০ ওয়াট এর সাহায্যে এই ব্যাটারি মাত্র ৫ মিনিটে ০ থেকে ২০ শতাংশ এবং মাত্র ৫৪ মিনিটে সম্পূর্ণ চার্জ দেওয়া সম্ভব।
আরও পড়ুনঃ রিয়েলমির ‘৫জি একাডেমি’ চালু
৫০ ওয়াট ম্যাগডার্ট চার্জারে একটি সক্রিয় এয়ার কুলিং সিস্টেম রয়েছে, যা চার্জ দেওয়ার সময় তাপমাত্রা অনুকূলে রাখে এবং দীর্ঘ সময় উচ্চ স্তরে চার্জিং পাওয়ার বজায় রাখে। অন্যদিকে, ১৫ ওয়াট ম্যাগডার্ট চার্জারটি মাত্র ৩.৯ মিলিমিটার পুরু যা বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা ওয়্যারলেস ম্যাগনেটিক চার্জার; এটি তাপ উৎপাদন কমাতে ও দীর্ঘ হাই-পাওয়ার চার্জিং সময় প্রদানে সক্ষম।
রিয়েলমির এই ইনোভেশন ইভেন্টে ম্যাগডার্ট পাওয়ার ব্যাংক ও একটি বিশেষ চার্জিং বেসও উন্মোচন করা হয়েছে। একসঙ্গে এই দুটি স্মার্ট সল্যুশন ভার্টিক্যাল চার্জিং স্টেশন হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। চলতি পথে চার্জ দিতে চাইলে রিয়েলমির ম্যাগডার্ট পাওয়ার ব্যাংক স্মার্টফোনের সঙ্গে সংযুক্ত করে চার্জ দেয়া যাবে।
আরও পড়ুনঃ বাজারে এলো সাশ্রয়ী ৫জি স্মার্টফোন রিয়েলমি ৮ ৫জি
এছাড়া, ম্যাগডার্টের সঙ্গে অন্যান্য স্মার্ট সল্যুশনও লঞ্চ করা হয়েছে। পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফির জন্য রয়েছে ম্যাগডার্ট বিউটি লাইট। সিনেমা দেখার সময় বা ভিডিও কল করার সময় ফোনকে ধরে রাখার জন্য ম্যাগডার্ট ওয়ালেটকে কিকস্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। রিয়েলমি জিটি ম্যাগডার্ট চার্জিং কেস; ম্যাগডার্ট টেকনোলজিতে রিয়েলমি জিটি-কে চার্জিং সমর্থন করবে।
প্রতিনিয়ত রিয়েলমি বিশ্বব্যাপী তরুণ ব্যবহারকারীদের জন্য লিপ-ফরওয়ার্ড প্রযুক্তি নিয়ে আসছে। তাই আগামী তিন বছরের মধ্যে তরুণ ব্যবহারকারীদের কাছে ১০ কোটি ফাইভ জি ফোন সরবরাহের লক্ষ্যে রিয়েলমি ৫জি পণ্যের এক বিস্তৃত পোর্টফলিও তৈরিতে কাজ করছে। রিয়েলমি তাদের উন্নত ‘১+৫+টি’ কৌশলের সঙ্গে এআইওটি ২.০ বিকাশের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এর ফলে সাশ্রয়ী মূল্যের ৫জি ফোন ছাড়াও রিয়েলমি আরও বেশি এআইওটি পণ্য তরুণ ক্রেতাদের জন্য বাজারে নিয়ে আসবে। ৫জি প্রযুক্তির অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে এবং সবার জন্য ৫জি নিশ্চিত করতে রিয়েলমি আগামী দিনে আরও অনেকগুলো স্মার্ট ডিভাইস বাজারে নিয়ে আসবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
৩ বছর আগে
কামরাঙ্গীরচরে আগুন: আহত দম্পতির মৃত্যু
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে একটি বাড়িতে শুক্রবারের আগ্নিকাণ্ডে গুরুতর দগ্ধ হওয়া দম্পতি মারা গেছেন। শুক্রবার রাত ও শনিবার সকালে ১১ ঘন্টার ব্যবধানে তাঁরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যান।
মৃতরা হলেন, কামরাঙ্গীরচর এলাকার আবদুল মতিন (৪০) ও তাঁর স্ত্রী ইয়াছমিন (৩৫)।
আরও পড়ুনঃ রূপগঞ্জে কারখানায় আগুন: সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৮
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ইয়াছমিন এবং শনিবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে আবদুল মারা যান।
শুক্রবার ভোরে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় তাদের দোতলা বাড়ির নিচ তলায় আগুন লাগলে আবদুল মতিনের পরিবারের পাঁচ সদস্য দগ্ধ হন।
আরও পড়ুনঃ রূপগঞ্জে আগুনে কারও গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
চার্জ দেওয়ার জন্য নিচতলায় রাখা অটোরিকশার ব্যাটারি থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ নারায়ণগঞ্জে কারখানায় আগুন: গেটে তালা থাকায় এতো প্রাণহানি
আগুনে দগ্ধ অন্যরা হলো, এই দম্পতির দুই কন্যাশিশু মাইশা (৯) ও আয়েশা (৫) এবং আবদুল মতিনের ভাগ্নে রায়হান (২৫)।
শুক্রবার ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শঙ্কর পাল বলেছেন, ‘আবদুলের শরীরের ৯২ শতাংশ, ইয়াসমিনের ৯৫ শতাংশ, রায়হান ১০ থেকে ১২ শতাংশ এবং মাইশা ও আয়েশার প্রায় ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। রায়হানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’
৩ বছর আগে
সুলভ মূল্যে ইনফিনিক্সের ফোন ‘হট ৯ প্লে’ শিগগির আসছে
বাংলাদেশের বাজারে শিগগিরই সুলভ মূল্যের নতুন স্মার্টফোন ‘হট ৯ প্লে’ নিয়ে আসতে যাচ্ছে প্রিমিয়াম স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স।
৪ বছর আগে
করোনাভাইরাসে ব্যাটারি শিল্পেও বিপর্যয়
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের বিরূপ প্রভাব কাটিয়ে উঠতে দেশের ব্যাটারি শিল্পগুলো সরকারের কাছে ২ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা চেয়েছে।
৪ বছর আগে