পিএসজি
ইন্টারকে বিধ্বস্ত করে অবশেষে ইউরোপ সেরার মুকুট পরল পিএসজি
কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে একের পর এক মহাতারকা দলে ভিড়িয়ে কত চেষ্টাই না করে এসেছে প্যারিস সেন্ত জার্মেই (পিএসজি)। কিন্তু কেউই ক্লাবটির স্বপ্নপূরণের সারথী হতে পারেননি। তবে অবশেষে হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালার মতো এক জাদুকরী কোচের অধীনে অধরা ট্রফিটি উঁচিয়ে ধরার সুযোগ হলো পিএসজির।
শনিবার রাত জেগে যারা খেলা দেখেছেন, তার নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন, কী বলা হচ্ছে। হ্যাঁ, অবশেষে ক্লাব প্রতিষ্ঠার প্রায় ৫৫ বছর পর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছে প্যারিসের দলটি।
আনহেল দি মারিয়া, এদিনসন কাভানি, নেইমার, এমবাপ্পে, মেসি—কেউই দলটিকে যা এনে দিতে পারেননি, তারুণ্যনির্ভর এক দল গড়ে অসাধারণ কৌশল আর দলীয় পারফরম্যান্সে সেই বাজিমাত করলেন কোচ লুইস এনরিকে। আর এমনভাবেই জিতেছেন, যা ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে।
শনিবার (৩১ মে) রাতে মিউনিখের আলিয়ান্স আরেনা স্টেডিয়ামে সিমিওনে ইনজাগির ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে এনরিকের পিএসজি।
এত বড় ব্যবধানের জয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে কেউ কখনও পায়নি। এর আগে চার গোলের ব্যবধানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল জেতার রেকর্ড আছে চারটি। ১৯৬০ সালে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদ ৭-৩ গোলে, ১৯৭৪ সালে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে বায়ার্ন মিউনিখ ৪-০ গোলে, ১৯৮৯ সালে এফসিএসবির বিপক্ষে এসি মিলান ৪-০ গোলে এবং ১৯৯৪ সালে বার্সেলোনার বিপক্ষে আবারও এসি মিলান ৪-০ গোলে জিতেছিল। তবে সেসব টপকে রেকর্ডটি এবার নিজেদের করে নিয়েছে পিএসজি।
বেশ কিছুটা নিষ্প্রভ ইন্টার মিলানকে এদিন ম্যাচের শুরুর ২০ মিনিটেই দুই গোল দিয়ে এগিয়ে যায় পিএসজি। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ৬৩, ৭৩ ও ৮৬তম মিনিটে বাকি তিনটি গোল হলে উৎসবে মাতে প্যারিস আর বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা দলটির সমর্থকরা।
স্বপ্নের ফাইনাল জয়ের রাতে গোল না পেলেও দুটি অ্যাসিস্ট করেছেন চলতি মৌসুমে পিএসজির জার্সিতে আলো ছড়ানো উসমান দেম্বেলে। আর দুই গোল ও একটি অ্যাসিস্টসহ মোট তিনটি গোলে অবদান রেখে ম্যাচসেরার পুরস্কার নিয়েছেন প্যারিসের দলটির ১৯ বছর বয়সী উইঙ্গার দেজিরে দুয়ে। এ ছাড়াও আশরাফ হাকিমি, কিভিচা কেভারাস্টখেলিয়া ও শেষ দিকে নামা আরেক তরুণ সেনি মায়ুলু করেছেন একটি করে গোল।
১৮৭ দিন আগে
আবারও হেরে আর্সেনালের বিদায়, ইন্টার-পিএসজি ফাইনাল
ঘরের মাঠে ১-০ গোলে হারের পর পিএসজির মাঠে খেলতে গিয়েছিল আর্সেনাল। এই ম্যাচে তাই শুধু জিতলেই হতো না, অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে জিততে হতো মিকেল আর্তেতার শিষ্যদের। তবে জেতা তো দূর, উল্টো আরও একবার হেরে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে গানারদের। আর দুই লেগের সেমিফাইনালের দুটিই জিতে ফাইনালে উঠেছে পিএসজি।
বুধবার রাতে প্যারিসের পার্ক দে প্রান্সে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে পিএসজি। এর ফলে সামগ্রিক লড়াইয়ে ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-১ এ।
প্রথম লেগে একমাত্র গোলটি করা উসমান দেম্বেলেকে বেঞ্চে রেখে এদিন একাদশ সাজান পিএসজি বস লুইস এনরিকে। অন্যদিকে প্রতিপক্ষের মাঠে তাদের সমর্থকদের সামনেও স্বাগতিকদের ওপর ছড়ি ঘোরাতে থাকে আর্সেনাল। কিন্তু ২৭তম মিনিটে ডি-বক্সের সামান্য বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শটে পিএসজিকে এগিয়ে নেন দলটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ফাবিয়ান রুইস।
দ্বিতীয়ার্ধে ৬৯তম মিনিটে একটি পেনাল্টি পেয়েছিল দলটি, তবে ভিতিনিয়ার দুর্বল শট ঠেকিয়ে দলকে লড়াইয়ে ধরে রাখেন আর্সেনাল গোলরক্ষক দাভিদ রায়া। এর তিন মিনিট পরই অবশ্য ব্যবধান আরও বাড়ান আচরাফ হাকিমি।
৭৬তম মিনিটে চকিতে আক্রমণে উঠে একটি গোল পরিশোধ করেন আর্সেনালের বুকায়ো সাকা। তার কিছুক্ষণ পর আরও একটি গোল করে দলকে সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন তিনি। এরপর আর কোনোপাশেই গোল হয়নি।
আরও পড়ুন: সাত গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনাকে হারিয়ে ফাইনালে ইন্টার
ফলে সামগ্রিক লড়াইয়ে ৩-১ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে এনরিকের শিষ্যরা। এর মাধ্যমে পাঁচ বছর পর ফের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠল লে পারিসিয়েনরা। ২০২০ সালে ইতিহাসে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলে পিএসজি। সেবার বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে হৃদয় ভাঙে তাদের।
পিএসজির এবারের প্রতিপক্ষ আগের রাতে বার্সেলোনাকে বিদায় করা ইন্টার মিলান। এবারের আসরের ফাইনালের ভেন্যু আবার আলিয়ান্স আরেনা। বায়ার্নের মাঠ থেকে প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতে পিএসজি তাদের দুঃখ ঘোচাতে পারবে কি না, তা সময় বলে দেবে।
আগামী ৩১ মে ইউরোপ-সেরার এই লড়াইয়ের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে গতবারের ইতালি ও ফ্রান্স চ্যাম্পিয়নরা।
২১১ দিন আগে
হ্যাটট্রিক করেও হতাশ গিরাসি, হেরেও সেমিফাইনালে বার্সেলোনা
হান্সি ফ্লিকের অধীনে বদলে যাওয়া বার্সেলোনার আক্রমণের যে ধার, তার বিন্দুমাত্রও দেখা মিলল না পুরো ম্যাচজুড়ে। ঘর সামলাতেই পার হয়ে গেল নিজেদের খুঁজে ফেরা দলটির সময়। মাঝে তিনটি গোল হজম করে হেরেও গেল, তবুও অগ্রগামিতায় এগিয়ে থাকায় সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে কাতালান জায়ান্টরা।
জার্মানির জিগনাল ইডুনা স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচটি ৩-১ গোলে জিতেছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। তবে প্রথম লেগে বার্সেলোনার মাঠে ৪-০ গোলে হেরে থাকায় সেমিফাইনালে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত হয়নি দ্বিতীয় লেগের এই জয়। দুই লেগ মিলিয়ে অগ্রগামিতায় ৫-৩ গোলে পিছিয়ে থাকায় শেষ আট থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে নিকো কোভাকের শিষ্যদের।
এই ম্যাচে সবচেয়ে বেশি হতাশ হয়েছেন অবশ্য ডর্টমুন্ডের গিনিয়ান স্ট্রাইকার সেরহু গিরাসি। দলের তিনটি গোলের সবগুলো এসেছে তার পা থেকে। হ্যাটট্রিকের রাতে হয়েছেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়, হয়েছেন এখন পর্যন্ত টুর্মামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতাও; দলকে জেতানোর রাতে তবুও থেমেছে তার যাত্রা।
বার্সেলোনা এদিন নিজেদের পা থেকে কোনো গোলই করতে পারেনি। একটি গোল যে পেয়েছে, তাও ডর্টমুন্ডের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া আত্মঘাতী গোল।
তারা যে কতটা নিষ্প্রভ ছিল, পরিসংখ্যানের দিকে তাকালেই তার আভাস পাওয়া যায়। ম্যাচজুড়ে ৫৪ শতাংশ সময় পজেশন ধরে রাখলেও মাত্র দুটি শট লক্ষ্যে রাখতে পারেন লেভানডোভস্কি, রাফিনিয়ারা। অপরদিকে, মোট ১৮টি শটের ১১টি লক্ষ্যে রাখে ডর্টমুন্ড।
আরও পড়ুন: লামিন, রাফিনিয়ার রেকর্ডের রাতে সবার আগে কোয়ার্টারে বার্সেলোনা
এর ফলে টানা ২৪ ম্যাচের অপরাজেয় যাত্রা থামল ফ্লিকের শিষ্যদের। নতুন বছরে এটিই তাদের প্রথম হার। অবসর ভেঙে ফেরা পোলিশ গোলরক্ষক ভয়চিয়েখ স্টান্সনিরও বার্সার জার্সিতে হয়েছে প্রথম হারের অভিজ্ঞতা। নিজের ২৩তম ম্যাচে এসে হারলেন তিনি।
২৩৩ দিন আগে
টাইব্রেকারে হেরে লিভারপুলের বিদায়, শেষ আটে পিএসজি
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম পর্বে দাপুটে পারফরম্যান্স দিলেও নকআউটে এসে নিজেদের হারিয়ে ফেলল লিভারপুল। প্রথম লেগে কোনোমতে জিতলেও ফিরতি লেগে আর পারল না। এরপর টাইব্রেকারেও হেরে বিদায় নিতে হলো আর্নে স্লটের দলকে।
অ্যানফিল্ডে মঙ্গলবার রাতে ইউরোপের এলিটদের প্রতিযোগিতার শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে পিএসজির কাছে ১-০ গোলে হারে লিভারপুল। এরপর ১-১ অগ্রগামিতায় ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ালেও ব্যবধান গড়তে ব্যর্থ হয় উভয় দল। পরে টাইব্রেকারে ৪-১ গোলে লুইস এনরিকের দলের কাছে হেরেছে মার্সিসাইড কাউন্টির দলটি।
এর ফলে প্রথম পর্বের শুরুর দিকে তিনটি ম্যাচে হেরে এবং একটিতে ড্র করে যেখানে শেষ ষোলো খেলার সম্ভাবনাই ফিকে হয়ে গিয়েছিল পিএসজির। নতুন বছরে ঘুরে দাঁড়িয়ে তারাই টুর্নামেন্টের সেরা দলকে বিদায় করে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিল।
অপরদিকে, টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত মাত্র একটি ম্যাচ হেরেই বিদায় নিতে হলো লিভারপুলের।
প্রথম লেগে ১-০ গোলে হারের পর জিততে মরিয়া হয়ে ফিরতি লেগে মাঠে নামে পিএসজি। শুরু থেকেই স্বাগতিকদের চেপে ধরে তারা। এর ধারাবাহিকতায় ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটে গোল করে অগ্রগামিতায় দলকে সমতায় ফেরান উসমান দেম্বেলে।
আরও পড়ুন: ২৭ শট নিয়েও ব্যর্থ পিএসজি, লিভারপুলের বাজিমাত
এরপর দুই দলই চেষ্টা করেছে বেশ কয়েকবার, বারবার ভীতি ছড়িয়েছে প্রতিপক্ষের রক্ষণে, কিন্তু জয়সূচক গোলের দেখা আর পাওয়া হয়ে ওঠেনি। পরে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ালেও অব্যাহত থাকে একই ধারা। শেষে টাইব্রেকারের দারস্থ হতে হয়।
টাইব্রেকারে প্রথম শটে উভয় দলই সফল হলেও লিভারপুলের পরের দুটি শট ঠেকিয়ে দেন জানলুইজি দোন্নারুম্মা। আর পিএসজি তাদের প্রথম চারটি শটের সবগুলো গোলে পরিণত করলে ৪-১ ব্যবধানে তাদের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।
এখন আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে চলা ক্লাব ব্রুজ ও অ্যাস্টন ভিলার মধ্যকার ম্যাচটির দিকে তাকিয়ে থাকবে এনরিকের শিষ্যরা। যদিও প্রথম লেগে ৩-১ গোলে এগিয়ে থাকায় ভালো অবস্থানে রয়েছে উনাই এমেরির অ্যাস্টন ভিলা, তারপরও দুই লেগ মিলিয়ে বিজয়ী দলটির সঙ্গে আগামী ৮ বা ৯ এপ্রিল কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে মাঠে নামবে প্যারিসের দলটি।
দিনের অপর ম্যাচে বেনফিকাকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ৪-১ অগ্রগামিতায় শেষ আট নিশ্চিত করেছে বার্সেলোনা। এছাড়া ২-০ গোলে জিতে অগ্রগামিতায় ৫-০ ব্যবধানে লেভারকুজেনকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে বায়ার্ন মিউনিখ।
আরও পড়ুন: লামিন, রাফিনিয়ার রেকর্ডের রাতে সবার আগে কোয়ার্টারে বার্সেলোনা
শেষ আট নিশ্চিত করেছে ইন্টার মিলানও। ডাচ ক্লাব ফেয়েনুর্ডে বিপক্ষে ফিরতি লেগে ২-১ গোলে জিতেছে সিমোনে ইনজাগির দল। এর ফলে ৪-১ অগ্রগামিতায় পরের ধাপে পৌঁছেছে মিলানের দলটি। ৮ বা ৯ এপ্রিল সেমিফাইনালের লড়াইয়ে তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে বায়ার্ন মিউনিখকে।
২৬৮ দিন আগে
২৭ শট নিয়েও ব্যর্থ পিএসজি, লিভারপুলের বাজিমাত
ম্যাচজুড়ে ২৭টি শট নিয়ে তার দশটি লক্ষ্যে রেখেও গোল আদায় করতে পারল না প্যারিস সেন্ত জার্মেই (পিএসজি), অন্যদিকে মাত্র দুটি শটের একটি লক্ষ্যে রেখেই বাজিমাত করে এগিয়ে গেল লিভারপুল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের হাইভোল্টেজ ম্যাচটির সারাংশ অনেকটা এমনই।
প্যারিসে বুধবার নিজেদের মাঠে লিভারপুলের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে লুইস এনরিকের দল।
ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে গোল করে উল্লাসে ফেটে পড়েন হার্ভি এলিয়ট। বদলি নামার ৪৭ সেকেন্ড পরই গোল করে আর্নে স্লটের তুরুপের তাস বনে যান ২১ বছর বয়সী এই ইংলিশ স্ট্রাইকার।
প্রিমিয়ার লিগে চলতি মৌসুমে আট ম্যাচ খেলে একটিও গোল করতে না পারা এলিয়ট চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৫ ম্যাচ মাঠে নেমেই তিনটি গোল করে ফেললেন।
আরও পড়ুন: ফেয়েনুর্ডকে হারিয়ে শেষ আটে এক পা ইন্টারের
এছাড়া চলতি মৌসুমে আগুনঝরা ফুটবল উপহার দিয়ে চলা মোহাম্মদ সালাহ এদিন ছিলেন একেবারে নিষ্প্রভ। ছয় সপ্তাহ পর তিনি প্রথমবার কোনো ম্যাচে গোল বা অ্যাসিস্ট—কোনোটিই করতে ব্যর্থ হলেন।
তবে ৫-৬টি দুর্দান্ত সেভের পাশাপাশি মোট ৯টি সেভ করে লিভারপুরের জয়ে বড় অবদান রাখেন গোলরক্ষক আলিসন বেকার।
এই জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইংলিশ ক্লাবটির অজেয় যাত্রা অব্যাহত রইল। এ পর্যন্ত ৯ ম্যাচ খেলে তার মাত্র একটি ড্র করে বাকি আট ম্যাচই জিতে নিয়েছে লিভারপুল।
অন্যদিকে, সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ২০ ম্যাচ (১৮ জয়, ২ ড্র) অপরাজিত থাকার পর অবশেষে হারের তেতো স্বাদ পেল পিএসজি।
অবশ্য ম্যাচের ২০তম মিনিটে একটি গোল পেয়েছিল পিএসজি, কিন্তু অফসাইডের কারণে খিচা কেভারাত্সখেলিয়ার (কেভারা) সেই গোলটি বাতিল করে দেয় ভিএআর। পরে শত চেষ্টা করেও আর ভাগ্য বদলাতে পারেনি তারা।
নাটকীয় এই ম্যাচ শেষে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে কিছুটা এগিয়ে রইল লিভারপুল। আগামী মঙ্গলবার অ্যানফিল্ডে হবে ফিরতি লেগ।
আরও পড়ুন: অসীম ধৈর্য্য ও স্টান্সনির কৃতিত্বে জিতে ফিরল দশজনের বার্সেলোনা
দিনের অপর ম্যাচে শুরুর দিকে দশজনের দলে পরিণত হয়েও বেনফিকার মাঠ থেকে ১-০ গোলে জিতে ঘরে ফিরেছে বার্সেলোনা।
এছাড়া, লিগ প্রতিদ্বন্দ্বী বায়ের লেভারকুজেনকে পাত্তাই দেয়নি বায়ার্ন মিউনিখ, ম্যাচটি তারা জিতেছে ৩-০ গোলে। এর ফলে টানা ছয় ম্যাচ ব্যর্থ হওয়ার পর শাবি আলোনসোর দলকে অবশেষে হারাতে সক্ষম হয়েছে ভিনসেন্ট কোম্পানির শিষ্যরা।
এর আগে, দিনের প্রথম ম্যাচে ফেয়েনুর্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টারের পথ পরিষ্কার করেছে ইন্টার মিলান।
২৭৪ দিন আগে
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নকআউট ড্র: মুখোমুখি দুই মাদ্রিদ, বার্সেলোনার স্বস্তি
প্লে-অফ থেকে ১৬টি দল চূড়ান্ত হওয়ার পর এবার হয়ে গেল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ড্র। নতুন নিয়মের এই ড্রয়ে বেশ কয়েকটি বড় দল তুলনামূলক দূর্বল প্রতিপক্ষ পেলেও সেয়ানে সেয়ানে লড়াইও দেখা যাবে কয়েকটি।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টায় সুইজারল্যান্ডের নিয়নে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শুধু শেষ ষোলো নয়, ফাইনাল পর্যন্ত যেতে কোন দলের কী সমীকরণ, সে পথও স্পষ্ট করা হয়েছে।
নতুন ফরমেটে অনুষ্ঠিত এবারের টুর্নামেন্টে নতুন নিয়মেই হয়েছে ড্র। এতে দুটি ‘লিগ ক্লাসিক’ লড়াই দেখার সুযোগ মিলবে দর্শকদের। তার মধ্যে একটি হচ্ছে বায়ার্ন মিউনিখ ও বায়ের লেভারেকুজেন। শাবি আলোনসোর হাতের ছোঁয়ায় গত মৌসুম থেকে জ্বলে ওঠা লেভারকুজেনই বর্তমানে বুন্দেসলিগায় বায়ার্ন মিউনিখের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
এছাড়া রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ড্র হয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদের। ফলে লা লিগা, কোপা দেল রের পর এ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও দুই নগর প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যাবে।
তবে বার্সেলোনার সামনে পিএসজির মতো সম্প্রতি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা দল পড়ার সম্ভাবনা থাকলে এ যাত্রায় সেই বিপদ কেটেছে দলটি। অপর সম্ভাব্য দল বেনফিকাই পড়েছে তাদের সামনে। ফলে ফাইনালের আগে আর বার্সেলোনার সঙ্গে তাদের দেখা হওয়ার সুযোগ নেই।
আর এতে করে চলতি মৌসুমে অপ্রতিরোধ্য লিভারপুলের সঙ্গী হয়েছে লুইস এনরিকের শিষ্যরা। তাই চরম হাইভোল্টেজ এই ম্যাচের দিকে বিশেষ নজর থাকবে ফুটবলপ্রেমীদের।
এ ছাড়াও অনেক বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোতে জায়গা করে নেওয়া অ্যাস্টন ভিলার প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে এসেছে ক্লাব ব্রুজের নাম। আর আর্সেনাল, ইন্টার মিলান ও ডর্টমুন্ড পেয়েছে তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ।
এক নজরে শেষ ষোলোর ড্র
• ক্লাব ব্রুজ-অ্যাস্টন ভিলা • লিল-বরুশিয়া ডর্টমুন্ড • রিয়াল মাদ্রিদ-আতলেতিকো মাদ্রিদ • বায়ার্ন মিউনিখ-বায়ের লেভারকুজেন • পিএসভি আইন্ডহোভেন-আর্সেনাল • ফেয়েনুর্ড-ইন্টার মিলান • পিএসজি-লিভারপুল • বেনফিকা-বার্সেলোনা
(পরের দলটি ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগ খেলার সুবিধা পাবে।)
২৮৬ দিন আগে
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: নকআউটে গেল কারা, কে হচ্ছে কার প্রতিপক্ষ, ড্র কবে
নতুন ফরমেটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম আট দল নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। গত দুদিন প্লে-অফের দ্বিতীয় লেগ শেষে চূড়ান্ত হয়েছে বাকি আট দলও।
দুটি অঘটনের জন্ম দিয়ে শেষ হয়েছে প্লে-অফ পর্ব। ওই দুই ম্যাচে দুই ডাচ ক্লাব ফেয়েনুর্ড ও পিএসভি আইন্ডহোভেনের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে ইতালির দুই ক্লাব এসি মিলান ও ইউভেন্তুস।
এছাড়া, ক্লাব ব্রুজের কাছে হেরে আতালান্তা, বেনফিকার কাছে হেরে মোনাকো, বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে হেরে স্পোর্তিং এবং রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটির মতো বড় বড় ক্লাবগুলোর।
আরও পড়ুন: প্লে-অফে ফের অঘটন, এবার ইউভেন্তুসের বিদায়
যাইহোক, যোগ্যতার লড়াইয়ে নকআউট পর্বের শেষ আট দল চূড়ান্ত হয়েছে। সেগুলো হলো— ফেয়েনুর্ড, ক্লাব ব্রুজ, বায়ার্ন মিউনিখ, বেনফিকা, ডর্টমুন্ড, আইন্ডহোভেন, পিএসজি ও রিয়াল মাদ্রিদ।
আগামীকাল শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের নিয়নে শেষ ষোলোর ড্র অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই জানা যাবে শীর্ষ আট দলের কার প্রতিপক্ষ হচ্ছে কোন দল।
তবে উয়েফার নতুন নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি দলেরই সম্ভাব্য দুই প্রতিপক্ষের নাম আগেই নিশ্চিত হয়েছে। এই দুই দলের ভেতর থেকেই এক দল নির্দিষ্ট দলের বিপক্ষে খেলবে।
শেষ ষোলোতে কে কার প্রতিপক্ষ
লিভারপুল: পিএসজি/বেনফিকা
বার্সেলোনা: বেনফিকা/পিএসজি
আর্সেনাল: পিএসভি/ফেয়েনুর্ড
ইন্টার মিলান: ফেয়েনুর্ড/পিএসভি
আতলেতিকো মাদ্রিদ: বায়ার্ন মিউনিখ/রিয়াল মাদ্রিদ
বায়ের লেভারকুজেন: রিয়াল মাদ্রিদ/বায়ার্ন মিউনিখ
লিল: ক্লাব ব্রুজ/ডর্টমুন্ড
অ্যাস্টন ভিলা: ডর্টমুন্ড/ক্লাব ব্রুজ
রিয়াল মাদ্রিদ: লেভারকুজেন/আতলেতিকো মাদ্রিদ
পিএসজি: বার্সেলোনা/লিভারপুল
বায়ার্ন মিউনিখ: আতলেতিকো মাদ্রিদ/লেভারকুজেন
বরুশিয়া ডর্টমুন্ড: অ্যাস্টন ভিলা/লিল
বেনফিকা: বার্সেলোনা/লিভারপুল
পিএসভি: আর্সেনাল/ইন্টার মিলান
ক্লাব ব্রুজ: লিল/অ্যাস্টন ভিলা
ফেয়েনুর্ড: ইন্টার মিলান/আর্সেনাল
উল্লেখ্য, শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে ৪ ও ৫ মার্চ এবং দ্বিতীয় লেগ অনুষ্ঠিত হবে এক সপ্তাহ পর ১১ ও ১২ মার্চ।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে বিধ্বস্ত সিটি, শেষ ষোলোয় রিয়াল
শীর্ষ আট দল দ্বিতীয় লেগ ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা পাবে এবং প্লে-অফ থেকে নকআউট পর্বে ওঠা দলগুলোকে প্রথম লেগই ঘরের মাঠে খেলতে হবে।
এক নজরে শেষ ষোলোর শীর্ষ আট দল
লিভারপুল, বার্সেলোনা, আর্সেনাল, ইন্টার মিলান, আতলেতিকো মাদ্রিদ, বায়ের লেভারকুজেন, লিল ও অ্যাস্টন ভিলা।
প্লে-অফ থেকে আসা বাকি আট দল
ফেয়েনুর্ড, ক্লাব ব্রুজ, বায়ার্ন মিউনিখ, বেনফিকা, ডর্টমুন্ড, আইন্ডহোভেন, পিএসজি ও রিয়াল মাদ্রিদ।
বাদ পড়ল যারা
এসি মিলান, আতালান্তা, সেল্টিক, মোনাকো, স্পোর্তিং, ইউভেন্তুস, ব্রেস্ত ও ম্যানচেস্টার সিটি।
২৮৮ দিন আগে
বিরল রেকর্ডের রাতে ৭-০ গোলে জিতে নকআউট পর্বে পিএসজি
৩-০ গোলে এগিয়ে থাকায় পিএসজির জন্য শেষ ষোলো একপ্রকার নিশ্চিত হয়েই গিয়েছিল, তবে দ্বিতীয় লেগে ব্রেস্তকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে তারা।
প্যারিসের পার্ক দে প্রান্সে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে-অফের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে বুধবার রাতে আরেক ফরাসি ক্লাব ব্রেস্তকে ৭-০ গোলে হারিয়েছে প্যারিসের ক্লাবটি। এতে করে দুই লেগ মিলিয়ে ১০-০ গোলের অগ্রগামিতায় নকআউট নিশ্চিত করেছে লুইস এনরিকের দল।
এদিন ম্যাচের ২০তম মিনিটে ফাবিয়ান রুইসের অ্যাসিস্টে পিএসজিকে প্রথম এগিয়ে নেন ব্রাদলে বারকোলা। এরপর ৩৯ মিনিটে পিএসজির জার্সিতে প্রথম গোল করেন খিচা কেভারাত্সখেলিয়া (কেভারা)।
দুই গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করলেও বিরতি থেকে ফিরে ব্রেস্তকে আরও পাঁচটি গোল দেয় পিএসজি। ম্যাচের ৫৯, ৬৪, ৬৯, ৭৬ ও ৮৬তম মিনিটে গোলগুলো করেন যথাক্রমে ভিতিনিয়া, দেজিরে দুয়ে, নুনো মেন্দেস, গন্সালো রামোস ও সেনি মাইয়ুলু।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে বিধ্বস্ত সিটি, শেষ ষোলোয় রিয়াল
অবাক করার মতো ব্যাপার হচ্ছে, নতুন বছর পড়তেই উসমান দেম্বেলে জ্বলে উঠলেও গোল উৎসবের এই ম্যাচে তিনি কোনো গোল করতে পারেননি, এমনকি কোনো অ্যাসিস্টও আসেনি তার পা থেকে।
তবে ৭-০ গোলের এই জয়ের ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বিরল এক রেকর্ড গড়েছে পিএসজি। সাতটি গোলই দলটির পৃথক সাত খেলোয়াড়ের পা থেকে এসেছে। এর আগে ইউরোপিয়ান কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিলিয়ে কখনোই কোনো ম্যাচে ৭ জন আলাদা খেলোয়াড় গোল করতে পারেননি।
এর আগে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের যেকোনো পর্বে এক ম্যাচে সর্বাধিক ৬ খেলোয়াড় গোল করার সবশেষ ঘটনাটি ঘটে ২০২০ সালের ১৪ আগস্ট। ২০১৯-২০ মৌসুমের কোয়ার্টার ফাইনালের সেই ম্যাচে আলিয়ান্স আরেনায় বার্সেলোনাকে ৮-২ গোলে বিধ্বস্ত করে বায়ার্ন। ম্যাচটিতে রবের্ট লেভানডোভস্কি, ইভান পেরিসিচ, সের্গে গেনাব্রি, ইয়োশুয়া কিমিখের একটি করে গোলের পাশাপাশি দুটি করে গোল করেন থমাস মুলার ও বার্সা থেকে সে সময় বায়ার্নে ধারে খেলা ফিলিপে কুতিনিয়ো।
আরও পড়ুন: প্লে-অফে ফের অঘটন, এবার ইউভেন্তুসের বিদায়
দিনের প্রথম ম্যাচে স্পোর্তিংয়ের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। তবে প্রথম লেগে স্পোর্তিংয়ের মাঠে ৩-০ গোলে জয় পাওয়ায় সহজেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে নিকো কোভাকের দল।
অপর ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথম লেগে সিটির মাঠে ৩-২ গোলে জেতায় ৬-৩ গোলের অগ্রগামিতায় নকআউট পর্বে উঠেছে টুর্নামেন্টের ইতিহাসসেরা দলটি।
এছাড়া প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও ঘটেছে একটি অঘটন। প্রথম লেগে ২-১ গোলে জিতেও পিএসভি আইন্ডহোভেনের কাছে ৩-১ গোলে হেরে প্রথম পর্ব থেকে ছিটকে গেছে ইউভেন্তুস। আর ৪-৩ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে ডাচ ক্লাবটি।
এর মাধ্যমে নতুন ফরমেটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের ১৬টি দল চূড়ান্ত হয়েছে।
২৮৮ দিন আগে
দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে সিটিকে বাদ পড়ার শঙ্কায় ফেলে জিতল পিএসজি
মাঠে কিংবা ব্যক্তিজীবনে, পেপ গার্দিওলার কঠিন সময় যেন শেষ হয়েও হচ্ছে না। টানা হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে কয়েকদিন আগেই সুসময়ে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল তার দল। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে এসে ফের খেই হারিয়ে ফেলল ম্যানচেস্টার সিটি।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাতে প্যারিসের পার্ক দে প্রান্সে পিএসজির বিপক্ষে ২ গোলে এগিয়ে গিয়েও ফের নিদারুণ এক হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে সিটিকে। অপরদিকে, ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েও ৪-২ গোলের দারুণ এক জয় তুলে মাঠ ছেড়েছে লুইস এনরিকের শিষ্যরা।
ম্যাড়মেড়ে গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে জমে ওঠে ম্যাচ। সবগুলো গোল হয়েছে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেই।
অসাধারণ সব খেলোয়াড়ে সমৃদ্ধ হয়েও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি আসরের শুরু থেকে ভুগতে থাকায় লিগ পর্ব থেকেই পয়েন্ট টেবিলের নিচের দিকে রয়েছে দুই দল। ফলে বাদ পড়ার শঙ্কা এড়িয়ে প্লে-অফে খেলার সম্ভাবনা বাড়াতে এই ম্যাচটি জয়ের বিকল্প ছিল না উভয় দলেরই। তাছাড়া, দুই কোচই এক সময়কার সতীর্থ এবং নিজেদের অধীনে বার্সেলোনাকে ট্রেবল জেতানোয় পিএসজি-সিটি ম্যাচটি নিয়ে ফুটবলভক্তদের মধ্যে ছিল বাড়তি উত্তেজনা।
আরও পড়ুন: নাটকীয় বেনফিকা-বার্সা ম্যাচে হলো যেসব রেকর্ড
দুই কোচের খেলোয়াড়ি দর্শন প্রায় একই হলেও বল দখলের লড়াইয়ে এদিন সিটিকে টেক্কা দেয় পিএসজি। প্রথমার্ধে উভয় দলের খেলায় তেমন গতি না থাকলেও একটি গোল করে বসে পিএসজি, তবে অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই ভোল পাল্টে ফেলে ম্যানচেস্টার সিটি। বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারলেও যখনই বল পাচ্ছিলেন, তখনই আক্রমণে উঠে গোলের সুযোগ খুঁজছিলেন হালান্ড-ফোডেনরা।
এরই ধারাবাকিতায় ম্যাচের ৫০ ও ৫৩তম মিনিটে যথাক্রমে জ্যাক গ্রিলিশ ও আর্লিং হালান্ডের দুই গোলে চকিতে ম্যাচ জয়ের দাবিদার বনে যায় সিটি।
এরপর ঘুরে দাঁড়াতে বেশিক্ষণ লাগেনি পিএসজির। সিটির মতোই ৫৬ ও ৬০তম মিনিটে চকিতে দুই গোল করে দলকে সমতায় ফেরান উসমান দেম্বেলে ও ব্রাদলে বারকোলা।
এরপর থেকে ম্যানচেস্টারের দলটির ওপর ছড়ি ঘোরানো শুরু হয় এনরিকের শিষ্যদের। একের পর এক পরিকল্পিত আক্রমণে সিটির রক্ষণভাগ কাঁপিয়ে দেয় তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭৮তম মিনিটে প্রথমবার দলকে লিড এনে দেন পিএসজির পর্তুগিজ মিডফিল্ডার জোইয়াও নেভেস। মাঝে দেম্বেলের আরও একটি গোল অফসাইডে বাতিলে হলে যোগ করা সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে সিটির কফিনে শেষ পেরকটি ঠুকে দেন আরেক পর্তুগিজ গন্সালো রামোস।
আরও পড়ুন: বায়ার্নকে হারিয়ে ফেয়েনুর্ডের চমক
এই জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফে খেলাদের তালিকায় ঢুকে পড়েছে পিএসজি। তাদের অবস্থান এখন ২২তম। আর এই ম্যাচে কোনো পয়েন্ট না পাওয়ায় ৮ পয়েন্ট নিয়ে বাদ পড়াদের তালিকায় নেমে গেছে গেছে পেপ গার্দিওলার দল। তাদের অবস্থান এখন প্লে-অফে খেলার সর্বেশেষ অবস্থান থেকে ঠিক নিচে, টেবিলের ২৫ নম্বরে।
লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে আগামী বুধবার ২০তম স্থানে থাকা ক্লাব ব্রুজের মোকাবিলা করবে সিটি। প্লে-অফের আশা বাঁচাতে ওই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই তাদের সামনে। পিএসজির শেষ ম্যাচও একই দিন। প্লে-অফ নিশ্চিত করতে ২৪তম স্থানে থাকা স্টুটগার্টের বিপক্ষে জিততে হবে তাদেরও।
দিনের অপর ম্যাচে প্রত্যাশিত জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ, ইন্টার মিলান, এসি মিলান ও আর্সেনাল। তবে ফেয়েনুর্ডের কাছে ৩-০ গোলে হেরে গেছে বায়ার্ন মিউনিখ।
৩১৬ দিন আগে
বার্সেলোনা ছাড়ার কারণ ও ক্যারিয়ারের গল্প বললেন নেইমার
২০১৭ সালের ২ আগস্ট, বার্সেলোনাভক্তদের হৃদয়ে আজও দিনটি অমলিন হয়ে আছে। সেদিন লিওনেল মেসির উত্তসূরি হিসেবে যাকে ভাবা হচ্ছিল, সেই নেইমারই ক্লাব ছাড়ার ঘোষণা দেন। তারপর থেকে গুঞ্জন ছিল বিশ্বসেরা ফুটবলার হতেই মেসির ছায়া থেকে বের হতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে এত বছর পর সেইসব গুঞ্জনে জল ঢেলেছেন এই ব্রাজিলীয় তারকা।
সম্প্রতি ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার রোমারিওর একটি পডকাস্টে বার্সেলোনা ও পিএসজিতে থাকাকালে নিজের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন নেইমার। ওই আলাপচারিতায় উঠে আসে তার বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গটি।
২০১৭ সালে ঠিক কী হয়েছিল, মেসি তোমার (পিএসজিতে) চলে যাওয়ার বিষয়টি কীভাবে নিয়েছিল?— রোমারিওর এমন প্রশ্নের উত্তরে ব্রাজিলিয়ান প্রিন্স বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, বিশ্বসেরা ফুটবলার হওয়ার ইচ্ছায় আমি বার্সেলোনা ছাড়িনি।’
‘বার্সায় আমার শেষ সপ্তাহে মেসি নিজেই আমাকে ডেকে বলেছিল— কেন চলে যাচ্ছ? কারণটি যদি এমন হয় যে, তুমি বিশ্বের সেরা ফুটবলার হবে, তাহলে আমিই তোমাকে বিশ্বসেরা বানাব।’
‘আমি মেসিকে বলেছিলাম যে, বিষয়টি তা নয়। এটি ব্যক্তিগত এবং তোমাকে নিয়ে আমার মধ্যে এমন কোনোকিছু নেই।’
পিএসজির বিরাট অঙ্কের আর্থিক প্রস্তাব যে অনেকটাই প্রভাবিত করেছিল, তা স্বীকার করে নেইমার বলেন, ‘ওদের প্রস্তাবটি বার্সেলোনায় আমি যা উপার্জন করতাম, তার চেয়ে অনেক বড় ছিল।’
‘তাছাড়া নতুন দলে (পিএসজিতে) বেশ কয়েকজন ব্রাজিলীয় ফুটবলার ছিল। সেখানে আগে থেকেই থিয়াগো সিলভা ছিল। দানি আলভেস মাত্রই যোগ দিয়েছে তখন, আর মার্কিনিয়োস ও লুকাস (মৌরা) আমার বন্ধু। আমি ওদের সঙ্গে খেলতে চেয়েছিলাম।’
‘নিজেকে বলেছিলাম, আমার চারপাশে কিছু ব্রাজিলীয় (ফুটবলার) চাই। বার্সায় এখন আর কোনো ব্রাজিলীয় নেই।’
নেইমারের কথায়, ‘মেসিকে আমি আরও বলেছিলাম— আমি যাচ্ছি, একটা চান্স নিয়েই দেখি। তবে বিশ্বসেরা হতে আমি তাকে (মেসি) ছেড়েছি, কথাটা ঠিক নয়।’
৩২১ দিন আগে