বরাদ্দ
চান্দিনায় আশ্রয়ণের এক তৃতীয়াংশ ঘরে নেই ভূমিহীন, বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ
ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের আবাসন নিশ্চিত করতে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় কুমিল্লার চান্দিনায় নিমার্ণ করা অনেক ঘরের বরাদ্দ নিয়ে কেউ থাকছেন না। অভিযোগ আছে, বরাদ্দের সময় বিভিন্ন মহলের তদবিরে কিছু সংখ্যক মানুষ ঘর বাগিয়ে নিয়েছেন। ফলে বঞ্চিত হয়েছেন প্রকৃত ভূমিহীনরা।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের পরিত্যক্ত ওইসব ঘরে এখন মানুষের পরিবর্তে কোথাও লাকড়ির স্তুপ আবার কোথাও রয়েছে হাঁস-মুরগী! কেউ আবার ঘরের বৈদ্যুতিক তারসহ গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম নিয়ে হয়েছন উধাও। বরাদ্দকৃত ঘরের এক তৃতীয়াংশই এখন ফাঁকা পড়ে আছে। এমতাবস্থায় তাদের বরাদ্দ বাতিল করে প্রকৃত গৃহহীনদের নামে বরাদ্দ দিতে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: ড্যাপ ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় সংশোধন চান আবাসন খাতের ব্যবসায়ীরা
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পতিত আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৮ সালে টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ হাতে নেয়। ওই কর্মসূচির আওতায় সরকারি খাস জমিতে নির্মাণ করা হয় দৃষ্টিনন্দন পাকা ঘর। এসব ঘরে সংযুক্ত শৌচাগাড় সুবিধা এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হয়। জমির বন্দোবস্তসহ আশ্রয় দেওয়া হয় গৃহহীনদের।
ওই কর্মসূচির আওতায় কুমিল্লার চান্দিনায় পাঁচ ধাপে উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের ভোমরকান্দি, কেরণখাল ইউনিয়নের ছয়ঘড়িয়া, বাড়েরা ইউনিয়নের বাড়েরা, মহিচাইল ইউনিয়নের অম্বরপুর গ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে ২১৬টি গৃহ নির্মাণের মধ্য দিয়ে প্রতিটি ঘরে গৃহহীনদের আবাসন নিশ্চিত করা হয়। কিন্ত পরবর্তীতে ওই ঘরগুলোর অকেগুলোতে থাকছেন না অনেক পরিবার। ঘর বরাদ্দপ্রাপ্ত সুবিধাভোগীরা কেউবা কর্মের তাগিদে পরিবার নিয়ে শহরে থাকেন, আবার কেউবা ঘর বরাদ্দ নিয়ে পূর্বের ঠিকানায় ফিরে গেছেন। এর আগে বরাদ্দ পেতে রাজনৈতিক বিবেচনায় তদবির, উপজেলা প্রশাসনের দপ্তরের চাকুরির সুবাদে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সুপারিশ, আবার কেউ কেউ টাকার বিনিময়ে বরাদ্দ নেন ওইসব ঘরের।
উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের ভোমরকান্দি গ্রামের খাস জমিতে একত্রে ৪০টি ঘর নির্মাণ করে সেখানে ৪০টি পরিবারকে আশ্রয় দেওয়া হয়। গত শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে সরজমিনে দেখা যায়, সেখানকার ৫, ৭, ১১, ১৪, ২৪, ২৯, ৩০, ৩৫, ৩৬ ও ৪০নম্বর ঘরগুলোর কোনোটিতে তালা ঝুলছে, আবার কোনটির দরজা খোলা ফেলেই চলে গেছে বরাদ্দপ্রাপ্তরা। তালাবদ্ধ ঘরগুলোর কোনটির সামনে রয়েছে পাশের ঘরের বাসিন্দাদের লাকড়ি ও পাতার স্তুপ। আর দরজা খোলা রেখে ফেলে যাওয়া ঘরগুলোর ভিতরে রয়েছে পাশের ঘরের বাসিন্দাদের লাকড়ি, খড়কুটো। আবার কোনোটিতে হাঁস মুরগি পালন করা হচ্ছে। সেখানকার ৪০ নম্বর ঘরটি যার নামে বরাদ্দ ওই ব্যক্তি ঘর বরাদ্দ পাওয়ার কয়েকদিন পর ঘরের বৈদ্যুতিক তারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খুলে নিয়ে গেছে। কোনো কোনো ঘরে দুই বছরেও কোন মানুষ বসবাস না করায় বকেয়া বিলের দায়ে বৈদ্যুতিক লাইন বিচ্ছিন্ন করেছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। আবার কোনো ঘরে একদিনও বৈদ্যুতিক আলো না জ্বলায় দুই বছরে মিটার রিডিং শুন্যের কোঠায়!
রবিবার (৯ মার্চ) উপজেলার কেরণখাল ইউনিয়নের ছয়ঘড়িয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে এক সঙ্গে ৩০টি গৃহ নির্মাণ করে সেগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়। বর্তমানে সেখানে ১৬টি পরিবার স্থায়ীভাবে বসবাস করলেও ১০টি পরিবারের কোনো খোঁজ নেই। ৪টি ঘরে প্রকৃত বরাদ্দপ্রাপ্তর না থাকলেও বাস করছেন অন্যরা।
আরও পড়ুন: সংশোধিত ড্যাপ বাতিলের দাবি আবাসন ব্যবসায়ীদের, আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে মনে করছেন পরিকল্পনাবিদরা
অভিযোগ রয়েছে উপজেলা প্রশাসনে অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকুরি করার সুবাদে লাইলি বেগম ঘর বরাদ্দ নিয়ে এ পর্যন্ত ওই ঘরে বসবাস করেননি। সুবিধাভোগী রিকশাচালক সুজন ঘর বরাদ্দ নিয়ে একদিনও থাকেনি।
লাইলি বেগম জানান, আমি মাঝে মধ্যে ওই ঘরে যাই। আর আমার মামার বাড়ি চান্দিনা উপজেলা সদরের মহারং গ্রামে, বেশির ভাগ সময় সেখানেই থাকি।
একই দিন শুহিলপুর ইউনিয়নের শুহিলপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় ৮টি ঘরের মধ্যে ১টিতে বাসিন্দা নেই। ঘর বরাদ্দ পাওয়া বিমল শুরু থেকেই থাকছেন ওই ঘরে। অম্বরপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ২৫ ঘরের মধ্যে ৯টি ফাঁকা পড়ে আছে।
ভোমরকান্দি আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা ওসমান গণি জানান, সে সময়ে ঘরগুলো এলোমেলোভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এক গ্রামের বা এক ইউনিয়নের বাসিন্দাকে অন্য গ্রামে অন্য ইউনিয়নে ঘর দেয়। যে কারণে অনেকেরই কোনো কাজ কর্ম নেই। এখানে অনেকে কর্ম না পেয়ে বাধ্য হয়ে অন্যত্র চলে গেছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের একাধিক বাসিন্দা জানান, সে সময়ে (যখন ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়) চেয়ারম্যান মেম্বারসহ রাজনৈতিক নেতাদের সুপারিশে অনেক ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। যাদের বাড়িতে জায়গা আছে, বা যারা চান্দিনাতে থাকেন না—এমন লোকদেরকেও ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওইসময়ে প্রকৃত ভূমিহীন অনেকেই ঘর বরাদ্দ পায়নি। বর্তমানে সবগুলো ঘর যাচাই-বাছাই করে যারা ঘরে থাকছে না বা যাদের নিজস্ব জায়গা থাকার পরেও ঘর বরাদ্দ নিয়েছেন— তাদের বরাদ্দ বাতিল করে প্রকৃত ভূমিহীনদের তালিকা করে ঘরগুলো বরাদ্দ দেওয়ার অনুরোধ জানান তারা।
আরও পড়ুন: গণভবনে জাদুঘরের পাশাপাশি শহীদদের পরিবারের আবাসনের প্রস্তাব পার্থর
৬ দিন আগে
শীতার্তদের জন্য কম্বল কিনতে ১৫ কোটি ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ
চলমান শীত মোকাবিলায় শীতার্ত ও দুঃস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য কম্বল কিনতে দেশের ৪৯৫টি উপজেলায় ৩ লাখ টাকা করে মোট ১৫ কোটি ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. এনায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন
বিজ্ঞপিএত বলা হয়েছে, বর্ণিত কম্বল কেনার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব আর্থিক বিধি-বিধান যথাযথভাবে মেনে জেলা প্রশাসকরা তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের দায়িত্ব দেবেন। পাশাপাশি জরুরি ভিত্তিতে কম্বল কিনে তা দুঃস্থদের মাঝে বিতরণের বিষয়টি তদারকি করতে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
৯২ দিন আগে
'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' উন্নয়ন প্রকল্প কাটছাঁট, বরাদ্দে বড় ধরনের সংকোচন
২০২৪-২৫ অর্থবছরে আগের সরকারের অনুমোদন করা উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বরাদ্দে বড় ধরনের সংকোচন দেখা দিতে পারে। কারণ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই প্রকল্পগুলোর অনেকগুলোকে 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' হিসেবে চিহ্নিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জনগণের অর্থের অপচয় রোধে এসব 'অপ্রয়োজনীয়' প্রকল্প বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের পর চলতি বছরের ৮ আগস্ট ক্ষমতায় আসা ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে নেওয়া বেশ কয়েকটি প্রকল্প ব্যয়ের তুলনায় সন্তোষজনক ফলাফল দেয়নি।
সম্প্রতি একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিগত বছরগুলোর তুলনায় উন্নয়ন বরাদ্দ কমানো হবে।’
চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে উন্নয়ন বরাদ্দ বাস্তবায়নের হার ব্যতিক্রম হিসেবে ৮ শতাংশ কম হয়েছে। আর এটি বৈদেশিক অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্পের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
পরিকল্পনা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রকল্প বাস্তবায়নে নিজস্ব তহবিল ব্যবহার করা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে এ হার ১২ থেকে ১৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচির গতি ধীর রয়েছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন বাস্তবায়নের হার রেকর্ড করা হয়েছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই থেকে অক্টোবর) এডিপি বাস্তবায়নের হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ৮ শতাংশ, যা বিগত বছরগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন।
সংস্থাটির তথ্য বলছে, গত বছরের একই সময়ে বাস্তবায়নের হার ছিল ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
আইএমইডি’র তথ্যমতে, বিশেষ করে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ২১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছে সরকার।
ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম একনেক সভায় উন্নয়ন বরাদ্দ কমানোর সিদ্ধান্ত হয়।
ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, আগের অনেক প্রকল্প রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ব্যয়ের অনুপাতে ইতিবাচক ফল বয়ে আনার সম্ভাবনা কম।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করিনি যে এগুলো কোনো উল্লেখযোগ্য ফলাফল আনবে, তাই আমরা সেগুলো কাটছাঁট করেছি। সাধারণত সংশোধিত উন্নয়ন বরাদ্দ কমানো হয়, তবে এবার কমানোটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ হবে।’
অনেক প্রকল্প পরিচালক পালিয়ে যাওয়াকে প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির আংশিক কারণ হিসেবে উল্লেখ করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র।
সূত্র বলছে, তাদের পালিয়ে যাওয়ার ফলে প্রকল্পগুলো অব্যাহত রাখতে সরকারের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুরোনো ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রকল্প থেকে সরে এসে উদ্ভাবনী ও নতুন ধরনের প্রকল্পকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: জাপানের কাছে বাজেট সহায়তা চাইলেন অর্থ উপদেষ্টা, উন্নয়ন সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান
সূত্র জানায়, পরিকল্পনা উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সতর্কতার সঙ্গে প্রকল্প প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তারা তাদের ব্যয়ের তুলনায় একাধিক ইতিবাচক ফল দিতে পারে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন করেছে।
এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাত, ৭০ হাজার ৬৮৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা (বরাদ্দের ২৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ)।
এছাড়া স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের ১৩ হাজার ২৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকার এডিপি অনুমোদন দিয়েছে এনইসি।
নতুন এডিপিতে ১ হাজার ১৩৩টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ২১টি সমীক্ষা প্রকল্প, কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ৮৭টি এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও করপোরেশনের ৮০টি প্রকল্পসহ মোট প্রকল্পের সংখ্যা ১ হাজার ৩২১টি।
স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের ১৩ হাজার ২৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকার এডিপিসহ ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে এডিপির মোট আকার দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: অসঙ্গতি দূর করতে জেন্ডার বাজেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: উপদেষ্টা
১০৫ দিন আগে
কপ২৯: স্বল্পোন্নত-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে ২০০ মিলিয়ন বরাদ্দ দিতে ইইউ’র সমর্থন চাইল বাংলাদেশ
জলবায়ু সংকটের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দের প্রস্তাবে সমর্থন জানাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বাকুতে কপ২৯-এর চূড়ান্ত ফলাফলের বিষয়ে এলডিসি এবং ইইউ মন্ত্রীদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ আহ্বান জানানো হয়।
বৈঠকে অবশিষ্ট সমস্যাগুলোর সমাধানে উভয় পক্ষের সহযোগিতায় একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও সমতাভিত্তিক চুক্তি অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি বলেন, ‘অনেক সমস্যা এখনও অমীমাংসিত রয়েছে।’
আরও পড়ুন: কপ২৯: আজারবাইজান পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস
এছাড়া উভয় পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে কপ২৯ -এ একটি অর্থবহ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক চুক্তি নিশ্চিত করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
বৈঠকে এলডিসি মন্ত্রীরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আর্থিক ও কারিগরি সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং তাদের মূল অবস্থান তুলে ধরেন। এছাড়া ইইউ মন্ত্রীরা এলডিসি দেশগুলোর উদ্বেগের বিষয়গুলো স্বীকার করেন এবং জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবিলা ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে জলবায়ু অর্থায়ন, অভিযোজন, নির্গমন হ্রাস এবং গ্লোবাল স্টকটেক প্রক্রিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এ বৈঠক, কপ২৯-এর চূড়ান্ত আলোচনায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর কণ্ঠস্বরকে গুরুত্ব দিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: কপ২৯: বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
১১৭ দিন আগে
মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বরাদ্দ আরও বাড়াতে হবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বরাদ্দ আরও বাড়ানো দরকার বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
তিনি বলেন, মানসিকভাবে সুস্থ জাতি গঠনে মনোবিজ্ঞানের গুরুত্ব সমাজে ছড়িয়ে দিতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, সাইকোলজি যদি সাইন্স হয় তাহলে সাইকোমেট্রিক্স হলো টেকনোলজি। তাই সাইকোমেট্রিক্সের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে সাইকোমেট্রিক্স বিষয়টি সমাজে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
আরও পড়ুন: পুলিশ বাহিনীর নিজেদের প্রমাণ করার এখনই সময়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
শনিবার (১৬ নভেম্বর) টিএসসিতে ‘সেকেন্ড ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সাইকোমেটরিক্স’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. বিধান বলেন, সাইকোমেট্রিক্স’র প্রয়োজনীয়তা রয়েছে- এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। টেস্টগুলো যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য হওয়া প্রয়োজন। তাহলে মানুষ মনে করবে এটা প্রয়োজন, অ্যাপলিকেবল করা যায়।
উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা মানুষকে নিয়ে ডিল করি, সাইকোলজি নিয়ে আলোচনা করি, গবেষণা করি। কোনো কিছু করতে মেজারমেন্ট করতে হয়, থিসিস হিসেবে ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন গবেষণা, বিভিন্ন থিসিসে ভেরিয়েশন হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আইকিউ টেস্টের প্রয়োজন হয়। আমাদের নিজস্ব আইকিউ টেস্ট নেই। তাহলে নির্ভরযোগ্য ডাটা পাব কীভাবে? আমাদের দেশের উপযোগী আইকিউ টেস্ট করার চেষ্টা করেছিলাম। ফান্ডের অভাবে সেটি হয়ে ওঠেনি।
উপদেষ্টা বলেন, বিভিন্ন রিক্রুটমেন্টের ক্ষেত্রে আইকিউ টেস্ট খুবই প্রয়োজন। কারণ তার ক্যাপাবিলিটি রয়েছে কিনা সেটির জন্য সাইকোলজিস্ট টেস্ট খুবই প্রয়োজন। দেশের উপযোগী করে আইকিউ টেস্ট তৈরি করতে হবে। সরকারিভাবে অন্যান্য ক্ষেত্রে যাতে ইনপুট করা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আহমদ বশিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএসএমএমইউ'র ইন্টারনাল মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানভীর ইসলাম, আইইউবিএটি'র প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি ডিপার্টমেন্টের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম শাহিনুর রহমান, ডা. মো. কামাল উদ্দিন।
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো রাজনৈতিক দলগুলোর কর্তব্য: উপদেষ্টা নাহিদ
১২৩ দিন আগে
স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে গণসচেতনতা তৈরি করতে হবে: উপদেষ্টা
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে গণসচেতনতা তৈরি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে স্বাস্থ্যনীতি আছে। কিন্তু স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ অনেক কম। তাই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী মানুষ দেশের বড় সম্পদ।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) গণস্বাস্থ্য নগর কেন্দ্র হাসপাতালের সভাকক্ষে ‘ক্যান্সার চিকিৎসায় মানসিক স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনীয়তা ও করণীয়: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ বিষয়ক’ সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোই একমাত্র সমাধান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ডা. বিধান রঞ্জন বলেন, ক্যান্সার চিকিৎসার খরচ কষ্টদায়ক। ক্যান্সারের ক্ষেত্রে মানসিক প্রশান্তি একটি বড় বিষয়। ক্যান্সার চিকিৎসায় মানসিক স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।
তিনি আরও বলেন, হেলথ সার্ভিস ডেভেলপমেন্টের জন্য হেলথ ইন্সুরেন্স চালু করা প্রয়োজন।
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস-২০২৪ উদযাপনের অংশ হিসেবে সেন্টার ফর ক্যান্সার কেয়ার ফাউন্ডেশন (সিসিসিএফ) এ সেমিনারের আয়োজন করে।
সিসিসিএফের সভাপতি রোকশানা আফরোজ সভাপতিত্বে আরও ছিলেন অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, ডাক্তার হালিদা খানুম আক্তার, অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন, ডা. মাহমুদুর রহমান, ডা. ফরহাদ, ডা. সেলিনা বিনতে শহীদ, ডা. সাইদুজ্জামান অপু, ডা. মো. ফয়সাল, মেডিকেল শিক্ষার্থী ইন্তেখাব আহমেদ সাকিব, সিসিসিএফয়ের সাধারণ সম্পাদক জাহান-ই-গুলশান শাপলা ও সদস্য সিফাত আরেফিন প্রতীক।
আরও পড়ুন: ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং টেকসই পণ্য উৎপাদনে দায়িত্বশীল উদ্যোগ নিতে আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার
১৫৬ দিন আগে
বাজেট ২০২৪-২৫: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ ৫ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ২১৭ কোটি টাকা বেশি।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জনপ্রশাসনে স্বচ্ছতা, সুশাসন ও গণতন্ত্র নিশ্চিত করার সরকারের নির্বাচনি অঙ্গীকারের সঙ্গে এই বরাদ্দ সামঞ্জস্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: বিমানের নামে ভুয়া ফেসবুক পেইজ, ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
মন্ত্রী আরও বলেন, 'আমরা দারিদ্র্য ও বৈষম্য হ্রাসে সরকারি সেবা সহজলভ্য করতে এবং উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে কাজ করছি।’
সরকার নিয়ন্ত্রক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ আমাদের সুশাসন অর্জনের কাজকে সহজ করে দিয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রাসঙ্গিক থাকতে চলমান সংস্কার ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ অব্যাহত রেখে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ ফ্রেমওয়ার্ক বাস্তবায়ন করলে আমরা সুশাসনের কাঙ্ক্ষিত মাত্রা অর্জন করতে পারব।’
মন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মচারীদের বস্তুনিষ্ঠ কর্মসম্পাদন মূল্যায়নের সুবিধার্থে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ১৯ ধারা অনুযায়ী 'কর্ম মূল্যায়ন বিধিমালা ২০২৪'-এর খসড়া প্রণয়ন করছে।
এছাড়া 'সরকারি চাকরি (সংশোধন) আইন ২০২৩' এবং 'বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) গঠন ও ক্যাডার আদেশ ২০২৪'সহ বেশকিছু আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারী পরিচালনা ব্যবস্থা (জিইএমএস) কর্মসূচি বাস্তবায়নের কাজও শুরু করেছে মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: আমরা সিরডাপের ম্যান্ডেট ও সাংগঠনিক দর্শনের উপর জোর দিতে চাই: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
যান্ত্রিকীকরণের কারণে খুব কম সময়ে সারা দেশের ধানকাটা সম্ভব হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
২৮৬ দিন আগে
বাজেট ২০২৪-২৫: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বাড়ল
বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় ১ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা বাড়িয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের জন্য ৩১ হাজার ১৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে সরকার।
এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ২৯ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: ব্যাংক ডিপোজিটের ওপর আবগারি শুল্কে পরিবর্তন ও অফশোর ডিপোজিট শুল্কমুক্ত করার প্রস্তাব
বৃহস্পতিবার(৬ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ বরাদ্দের প্রস্তাব করেন।
মোট বরাদ্দের মধ্যে জননিরাপত্তা বিভাগের বিভিন্ন অধিদপ্তরকে ২৬ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ পুলিশ ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের অন্যান্য বিভাগকে বাকি ৪ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে।
মোট বরাদ্দের মধ্যে রয়েছে পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের মতো জরুরি সেবাদানকারী গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় সংস্থা।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল না করলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হবে
যুব ও ক্রীড়া উন্নয়নে ২০ প্রকল্পের প্রস্তাব অর্থমন্ত্রীর
২৮৬ দিন আগে
বরাদ্দ কমছে যোগাযোগ খাতে
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সড়ক, সেতু, রেলপথ, সমুদ্রপথ, আকাশপথসহ যোগাযোগ খাতে ৮০ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে সরকার। এবারের বরাদ্দ আগের অর্থবছরের চেয়ে ৪ হাজার ৬৯৩ কোটি টাকা কম।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৮৫ হাজার ১৯১ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার(৬ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ বরাদ্দের প্রস্তাব করেন।
আরও পড়ুন: বাজেট ২৪-২৫: আরও সাশ্রয়ী হবে কিডনি ডায়ালাইসিস
বাজেট উপস্থাপনের সময় মন্ত্রী বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার অংশ হিসেবে বিভিন্ন মহাসড়কে ১ হাজার ৪৩৯টি সেতু নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে। এর ফলে আজ সারা দেশে ২২ হাজার ৪৭৬ কিলোমিটার বিস্তৃত উন্নত মহাসড়ক অবকাঠামো পণ্য ও যাত্রীদের নির্বিঘ্ন ও নিরবচ্ছিন্ন পরিবহন নিশ্চিত করেছে। বিভিন্ন সমাপ্ত ও চলমান প্রকল্পের আওতায় ৮৫১ দশমিক ৬২ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা হয়েছে।
এছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে ১২টি এক্সপ্রেসওয়ে এবং আরও ১০টি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানানা তিনি।
পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে ঢাকা-জয়দেবপুর-দেবগ্রাম-ভুলতা-মদনপুর এক্সেস কন্ট্রোলড মহাসড়কের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বালিয়াপুর থেকে নিমতলীকেরানীগঞ্জ-ফতুল্লা-বন্দর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবান্দা পর্যন্ত ৩৯ দশমিক ২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘রেলওয়ে খাতকে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের জন্য সাশ্রয়ী ও নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা কাজ করছি।’
এছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ে মাস্টার প্ল্যান, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক ও দ্বিতীয় পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনি ইশতেহার অনুসরণ করে বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট: তামাকপণ্যের দাম বাড়লেও সামর্থ্যের মধ্যে থাকবে
১৪ বছরে ১৭৬ দেশে ৯৭ লাখ ৭০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী গেছেন
২৮৬ দিন আগে
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেড়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বরাদ্দ
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ৩৮ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে সরকার। যা গত অর্থবছরে ছিল ৩৫ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে এ বরাদ্দের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
আরও পড়ুন: চোরাই পথে গরু প্রবেশ ঠেকাতে মনিটরিং করা হচ্ছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার জেলেদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। বেকারত্বকালীন জেলেদের খাদ্য সহায়তা দেয় সরকার।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সামুদ্রিক অর্থনৈতিক অঞ্চলে মাছের যথাযথ প্রজনন ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত (মোট ৬৫ দিন) সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০২৩ সালে নিষেধাজ্ঞাকালীন ১৪টি জেলার ৬৮টি উপজেলায় ২ লাখ ৯৯ হাজার ১৩৫টি জেলে পরিবারকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অধীনে মাসিক ৪০ কেজি হারে মোট ২৬ হাজার ৮৩ দশমিক ৪২ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়। আগামী অর্থবছরেও এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
মৎস্য চাষের পাশাপাশি টেকসই জাতগুলোর উন্নয়ন এবং গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির রোগ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে স্মার্ট প্রাণিসম্পদ খাত তৈরির কর্মসূচি রয়েছে।
এ সময় সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ধন্যবাদ জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা নির্ধারিত ন্যূনতম প্রাণিজ আমিষ চাহিদা পূরণে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
অর্থমন্ত্রী আরও জানান, প্রাণিজ স্বাস্থ্য রক্ষায় সরকার টিকার উৎপাদন ও প্রয়োগ বাড়িয়েছে। 'শেখ হাসিনার উপহার, প্রাণীর পাশেই ডাক্তার' নীতিমালার আওতায় ভেটেরিনারি সেবা কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ৩৬০টি উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে।
পাশাপাশি, মাথাপিছু প্রোটিনের দৈনিক প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য প্রজননের উন্নতি এবং গবাদি পশুর জন্য টিকা দেওয়ার মতো কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রাণিসম্পদ সেবাকে জরুরি সেবা হিসেবে ঘোষণার উদ্যোগ নেওয়া হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ভবনের ভিত্তি প্রস্তর ও নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
২৮৬ দিন আগে