বরাদ্দ
স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে গণসচেতনতা তৈরি করতে হবে: উপদেষ্টা
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে গণসচেতনতা তৈরি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে স্বাস্থ্যনীতি আছে। কিন্তু স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ অনেক কম। তাই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী মানুষ দেশের বড় সম্পদ।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) গণস্বাস্থ্য নগর কেন্দ্র হাসপাতালের সভাকক্ষে ‘ক্যান্সার চিকিৎসায় মানসিক স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনীয়তা ও করণীয়: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ বিষয়ক’ সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোই একমাত্র সমাধান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ডা. বিধান রঞ্জন বলেন, ক্যান্সার চিকিৎসার খরচ কষ্টদায়ক। ক্যান্সারের ক্ষেত্রে মানসিক প্রশান্তি একটি বড় বিষয়। ক্যান্সার চিকিৎসায় মানসিক স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।
তিনি আরও বলেন, হেলথ সার্ভিস ডেভেলপমেন্টের জন্য হেলথ ইন্সুরেন্স চালু করা প্রয়োজন।
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস-২০২৪ উদযাপনের অংশ হিসেবে সেন্টার ফর ক্যান্সার কেয়ার ফাউন্ডেশন (সিসিসিএফ) এ সেমিনারের আয়োজন করে।
সিসিসিএফের সভাপতি রোকশানা আফরোজ সভাপতিত্বে আরও ছিলেন অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, ডাক্তার হালিদা খানুম আক্তার, অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন, ডা. মাহমুদুর রহমান, ডা. ফরহাদ, ডা. সেলিনা বিনতে শহীদ, ডা. সাইদুজ্জামান অপু, ডা. মো. ফয়সাল, মেডিকেল শিক্ষার্থী ইন্তেখাব আহমেদ সাকিব, সিসিসিএফয়ের সাধারণ সম্পাদক জাহান-ই-গুলশান শাপলা ও সদস্য সিফাত আরেফিন প্রতীক।
আরও পড়ুন: ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং টেকসই পণ্য উৎপাদনে দায়িত্বশীল উদ্যোগ নিতে আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার
৩ সপ্তাহ আগে
বাজেট ২০২৪-২৫: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ ৫ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ২১৭ কোটি টাকা বেশি।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জনপ্রশাসনে স্বচ্ছতা, সুশাসন ও গণতন্ত্র নিশ্চিত করার সরকারের নির্বাচনি অঙ্গীকারের সঙ্গে এই বরাদ্দ সামঞ্জস্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: বিমানের নামে ভুয়া ফেসবুক পেইজ, ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
মন্ত্রী আরও বলেন, 'আমরা দারিদ্র্য ও বৈষম্য হ্রাসে সরকারি সেবা সহজলভ্য করতে এবং উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে কাজ করছি।’
সরকার নিয়ন্ত্রক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ আমাদের সুশাসন অর্জনের কাজকে সহজ করে দিয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রাসঙ্গিক থাকতে চলমান সংস্কার ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ অব্যাহত রেখে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ ফ্রেমওয়ার্ক বাস্তবায়ন করলে আমরা সুশাসনের কাঙ্ক্ষিত মাত্রা অর্জন করতে পারব।’
মন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মচারীদের বস্তুনিষ্ঠ কর্মসম্পাদন মূল্যায়নের সুবিধার্থে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ১৯ ধারা অনুযায়ী 'কর্ম মূল্যায়ন বিধিমালা ২০২৪'-এর খসড়া প্রণয়ন করছে।
এছাড়া 'সরকারি চাকরি (সংশোধন) আইন ২০২৩' এবং 'বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) গঠন ও ক্যাডার আদেশ ২০২৪'সহ বেশকিছু আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারী পরিচালনা ব্যবস্থা (জিইএমএস) কর্মসূচি বাস্তবায়নের কাজও শুরু করেছে মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: আমরা সিরডাপের ম্যান্ডেট ও সাংগঠনিক দর্শনের উপর জোর দিতে চাই: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
যান্ত্রিকীকরণের কারণে খুব কম সময়ে সারা দেশের ধানকাটা সম্ভব হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
৪ মাস আগে
বাজেট ২০২৪-২৫: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বাড়ল
বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় ১ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা বাড়িয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের জন্য ৩১ হাজার ১৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে সরকার।
এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ২৯ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: ব্যাংক ডিপোজিটের ওপর আবগারি শুল্কে পরিবর্তন ও অফশোর ডিপোজিট শুল্কমুক্ত করার প্রস্তাব
বৃহস্পতিবার(৬ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ বরাদ্দের প্রস্তাব করেন।
মোট বরাদ্দের মধ্যে জননিরাপত্তা বিভাগের বিভিন্ন অধিদপ্তরকে ২৬ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ পুলিশ ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের অন্যান্য বিভাগকে বাকি ৪ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে।
মোট বরাদ্দের মধ্যে রয়েছে পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের মতো জরুরি সেবাদানকারী গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় সংস্থা।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল না করলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হবে
যুব ও ক্রীড়া উন্নয়নে ২০ প্রকল্পের প্রস্তাব অর্থমন্ত্রীর
৪ মাস আগে
বরাদ্দ কমছে যোগাযোগ খাতে
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সড়ক, সেতু, রেলপথ, সমুদ্রপথ, আকাশপথসহ যোগাযোগ খাতে ৮০ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে সরকার। এবারের বরাদ্দ আগের অর্থবছরের চেয়ে ৪ হাজার ৬৯৩ কোটি টাকা কম।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৮৫ হাজার ১৯১ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার(৬ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ বরাদ্দের প্রস্তাব করেন।
আরও পড়ুন: বাজেট ২৪-২৫: আরও সাশ্রয়ী হবে কিডনি ডায়ালাইসিস
বাজেট উপস্থাপনের সময় মন্ত্রী বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার অংশ হিসেবে বিভিন্ন মহাসড়কে ১ হাজার ৪৩৯টি সেতু নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে। এর ফলে আজ সারা দেশে ২২ হাজার ৪৭৬ কিলোমিটার বিস্তৃত উন্নত মহাসড়ক অবকাঠামো পণ্য ও যাত্রীদের নির্বিঘ্ন ও নিরবচ্ছিন্ন পরিবহন নিশ্চিত করেছে। বিভিন্ন সমাপ্ত ও চলমান প্রকল্পের আওতায় ৮৫১ দশমিক ৬২ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা হয়েছে।
এছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে ১২টি এক্সপ্রেসওয়ে এবং আরও ১০টি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানানা তিনি।
পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে ঢাকা-জয়দেবপুর-দেবগ্রাম-ভুলতা-মদনপুর এক্সেস কন্ট্রোলড মহাসড়কের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বালিয়াপুর থেকে নিমতলীকেরানীগঞ্জ-ফতুল্লা-বন্দর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবান্দা পর্যন্ত ৩৯ দশমিক ২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘রেলওয়ে খাতকে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের জন্য সাশ্রয়ী ও নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা কাজ করছি।’
এছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ে মাস্টার প্ল্যান, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক ও দ্বিতীয় পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনি ইশতেহার অনুসরণ করে বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট: তামাকপণ্যের দাম বাড়লেও সামর্থ্যের মধ্যে থাকবে
১৪ বছরে ১৭৬ দেশে ৯৭ লাখ ৭০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী গেছেন
৪ মাস আগে
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেড়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বরাদ্দ
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ৩৮ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে সরকার। যা গত অর্থবছরে ছিল ৩৫ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে এ বরাদ্দের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
আরও পড়ুন: চোরাই পথে গরু প্রবেশ ঠেকাতে মনিটরিং করা হচ্ছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার জেলেদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। বেকারত্বকালীন জেলেদের খাদ্য সহায়তা দেয় সরকার।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সামুদ্রিক অর্থনৈতিক অঞ্চলে মাছের যথাযথ প্রজনন ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত (মোট ৬৫ দিন) সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০২৩ সালে নিষেধাজ্ঞাকালীন ১৪টি জেলার ৬৮টি উপজেলায় ২ লাখ ৯৯ হাজার ১৩৫টি জেলে পরিবারকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অধীনে মাসিক ৪০ কেজি হারে মোট ২৬ হাজার ৮৩ দশমিক ৪২ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়। আগামী অর্থবছরেও এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
মৎস্য চাষের পাশাপাশি টেকসই জাতগুলোর উন্নয়ন এবং গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির রোগ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে স্মার্ট প্রাণিসম্পদ খাত তৈরির কর্মসূচি রয়েছে।
এ সময় সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ধন্যবাদ জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা নির্ধারিত ন্যূনতম প্রাণিজ আমিষ চাহিদা পূরণে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
অর্থমন্ত্রী আরও জানান, প্রাণিজ স্বাস্থ্য রক্ষায় সরকার টিকার উৎপাদন ও প্রয়োগ বাড়িয়েছে। 'শেখ হাসিনার উপহার, প্রাণীর পাশেই ডাক্তার' নীতিমালার আওতায় ভেটেরিনারি সেবা কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ৩৬০টি উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে।
পাশাপাশি, মাথাপিছু প্রোটিনের দৈনিক প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য প্রজননের উন্নতি এবং গবাদি পশুর জন্য টিকা দেওয়ার মতো কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রাণিসম্পদ সেবাকে জরুরি সেবা হিসেবে ঘোষণার উদ্যোগ নেওয়া হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ভবনের ভিত্তি প্রস্তর ও নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
৪ মাস আগে
স্বাস্থ্য খাতে প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ বাড়ছে
ধুঁকতে থাকা স্বাস্থ্য খাতের জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সামান্য বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরে স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণের অগ্রগতি বজায় রাখতে ৪১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।’
২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দ ৩৮ হাজার ৫১ কোটি টাকা ছিল বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ৪১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা
নতুন বরাদ্দে মোট বাজেটের ৫ দশমিক ২ শতাংশ পেয়েছে স্বাস্থ্য খাত এবং তা জিডিপির শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করা আমাদের সরকারের অন্যতম মূলনীতি। আমরা এই নীতি বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি। বিশেষ করে, আমরা জনসাধারণকে সাশ্রয়ী মূল্যের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবারকল্যাণ পরিষেবা প্রদানের মাধ্যমে একটি সুস্থ, শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত জনসংখ্যা গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করছি।’
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবারকল্যাণ খাতের উন্নয়নে প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে সরকার।
‘সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছে। এর মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়ে, আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) এবং ২০৪১ সালের মধ্যে পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনার লক্ষ্য অর্জন এবং স্মার্ট স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছি।’
গত দেড় দশকে স্বাস্থ্য খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘২০০৭ সালে লাখপ্রতি মাতৃমৃত্যুর হার ছিল ৩৫১ জন, যা বর্তমানে ১৩৬ জনে নেমে এসেছে।’
তিনি বলেন, ২০০৭ সালে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার ছিল প্রতি হাজারে ৬০ জন, যা বর্তমানে ৩৩ জনে নেমে এসেছে। ওই বছর নবজাতক মৃত্যুর হার ছিল প্রতি হাজারে ২৯টি, যা বর্তমানে কমে ২০-এ দাঁড়িয়েছে। ২০০৭ সালে দেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৬৬ দশমিক ৬ বছর, যা এখন ৭২ দশমিক ৩ বছরে উন্নীত হয়েছে।
তিনি জানান, বিভিন্ন গুরুতর ছোঁয়াচে রোগ থেকে নারী ও শিশুদের রক্ষায় সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) অব্যাহত রেখেছে সরকার।
এছাড়া স্বাস্থ্য খাতে ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘জাতীয় পর্যায়ের স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল থেকে শুরু করে কমিউনিটি ক্লিনিক ও গ্রামীণ স্বাস্থ্যকর্মীদের ইন্টারনেট সংযোগসহ কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট সরবরাহ করা হয়েছে। সব নাগরিককে অভিন্ন স্বাস্থ্য পরিচয়পত্রসহ স্বাস্থ্যকার্ড দেওয়ার মাধ্যমে একটি ইলেকট্রনিক স্বাস্থ্য ডাটাবেস তৈরি করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ৪১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা
স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের জন্য আধুনিক ও মানসম্মত স্বাস্থ্য শিক্ষা অপরিহার্য উল্লেখ করে মাহমুদ আলী বলেন, ‘মেডিকেল ও নার্সিং শিক্ষা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো উন্নত ও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।’
‘মেডিকেলের সমস্ত স্নাতকোত্তর ডিগ্রিকে এক প্ল্যাটফর্মের অধীনে আনার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষা পদ্ধতির আধুনিকীকরণ করা এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো পরিকল্পনাগুলো উল্লেখযোগ্য।’
গত ১৫ বছরে মেডিকেল ইনস্টিটিউটের সংখ্যা এবং আসন উভয়ই উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০০৮ সালে দেশে মাত্র ৫৯টি মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, যা এখন বেড়ে ১১১টি হয়েছে। এছাড়া ১৩টি ডেন্টাল কলেজ ও ইউনিট থেকে বেড়ে ৩৫টি হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, “ওষুধের মৌলিক ও ফলিত গবেষণার অবকাঠামো তৈরি, গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা, স্বাস্থ্য খাতে উদ্ভাবনের সক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদির জন্য ‘সমন্বিত স্বাস্থ্যবিজ্ঞান গবেষণা ও উন্নয়ন তহবিলে’ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বাজেটে আমি এই খাতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি। ভবিষ্যতের চাহিদা মেটাতে স্বাস্থ্যসেবা খাতে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষায়িত ও দক্ষ জনশক্তি (মেডিকেল টেকনিশিয়ান, বিশেষজ্ঞ ইত্যাদি) তৈরির লক্ষ্যে বিশেষ প্রশিক্ষণ সামগ্রী প্রস্তুত করা হয়েছে, যারা বিশেষ প্রযুক্তি বা ডিভাইস, অপারেশন ও অন্যান্য দরকারি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিযুক্ত থাকবেন।’
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ছে
৪ মাস আগে
বাজেট ২০২৪-২৫: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ছে
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে ৩৮ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ বরাদ্দের প্রস্তাব করেন।
গত বছর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ খাতে ৩৪ হাজার ৭২২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার।
বাজেট উপস্থাপনের সময় মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার প্রাথমিক স্তরে শিশুর জ্ঞানের ভিত্তি তৈরি হয়। তাই জাতীয় উন্নয়নে প্রাথমিক শিক্ষার প্রভাব তাৎপর্যপূর্ণ এবং এটি টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার অন্যতম প্রধান পদক্ষেপ।’
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা
এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে চলমান কার্যক্রম গতিশীল করার পাশাপাশি এ খাতের উন্নয়নে নতুন নতুন কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫৭৯ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং ২৬ হাজার ৩৬৬টি নতুন সহকারী শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।
ফলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত যেখানে ২০০৬ সালে প্রতি ৫২ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ১ জন শিক্ষক ছিল, ২০২২ সালে এসে তা প্রতি ৩৩ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১ জনে উন্নীত হয়েছে।
এছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ৫টি কোর ও ৩টি নন-কোর বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া ইংরেজি ও গণিত এবং অন্যান্য ২৭টি বিষয়ে ৫ লাখ ৩৭ হাজার শিক্ষককে বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য ৬৭টি পিটিআইতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আইসিটি ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, 'দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিড' শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ১০৪টি উপজেলার ১৫ হাজার ৪৭০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৭ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর জন্য চলমান স্কুল ফিডিং কর্মসূচি সম্প্রতি সম্পন্ন হয়েছে।’
এরই ধারাবাহিকতায় দেশের ১৫০টি উপজেলা থেকে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে 'স্কুল ফিডিং কর্মসূচি' চালুর লক্ষ্য নিয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সুচিন্তিত সরকারি নীতির ফলে প্রাথমিক শিক্ষায় নিট ভর্তির হার ২০০৯ সালের ৯০ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২২ সালে ৯৭ দশমিক ৫৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
একই সময়ে ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়ার হার ছিল ৪৫ দশমিক ১ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
পাশাপাশি জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা কাঠামো আধুনিকায়ন ও এর মূল্যায়ন ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ লক্ষাধিক ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ইন্টারনেটসহ সাউন্ড সিস্টেম বিতরণ এবং মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী
জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ অর্থবছর: জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৬.৭৫ শতাংশ
৪ মাস আগে
বাজেট ২০২৪-২৫: স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ৪১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা
২০২৪-২৫ অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতে ৪১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বলেন, '২০২৪-২৫ অর্থবছরে স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণের অগ্রগতি বজায় রাখতে ৪১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ৩৮ হাজার ৫১ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: দেশের সর্বোচ্চ বাজেট উপস্থাপন করতে পেরে গর্বিত অর্থমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত বছরগুলোর মতো এবারও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, সে অনুযায়ী বেশ কিছু পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’
ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী ও স্বাস্থ্যসেবা পণ্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানিতে বিদ্যমান রেয়াতি সুবিধা চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' রূপকল্প তুলে ধরেছেন অর্থমন্ত্রী
জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ অর্থবছর: জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৬.৭৫ শতাংশ
৪ মাস আগে
ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাবিতে নিয়মিত ২০ আসন বরাদ্দ
ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য স্নাতক ও স্নাতক পর্যায়ে ২০টি আসন বরাদ্দ দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
শনিবার (৪ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদানের এক বৈঠকের পর এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী ভর্তির বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এ এস এম মাকসুদ কামাল ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী বিশেষ করে ছাত্রীদের ভর্তির অনুমতি, বৃত্তি প্রদান ও আবাসনের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: চলমান তাপপ্রবাহে অনলাইন ক্লাসে যাচ্ছে ঢাবি
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেন।
তিনি আরও বলেন, তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন দিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
রাষ্ট্রদূতের প্রস্তাবের ভিত্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রতিবছর কমপক্ষে ২০ জন ফিলিস্তিনি মেধাবী শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং তাদের জন্য বৃত্তি ও আবাসন সুবিধা প্রদানের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপাচার্য বলেন, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সব ধরনের সহযোগিতা করবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলের বর্বর হামলা ও হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানান।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এ এস এম মাকসুদ কামাল ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদানের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনি ছাত্র ভর্তির আগ্রহ প্রকাশ করায় তাকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. জিল্লুর রহমান, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিসের পরিচালক অধ্যাপক ড. শামসাদ মর্তুজা ও জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মাহমুদ আলম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাবির সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
৬ মাস আগে
বাংলাদেশে প্রবীণদের জন্য আরও বেশি বরাদ্দ দিতে জোর দিয়েছে এডিবি
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলেছে, বয়স্ক ভাতা বাংলাদেশের দরিদ্রতম জনগোষ্ঠীর চাহিদা যথাযথভাবে পূরণ করছে না এবং তাদের জন্য আরও বরাদ্দ প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (২ মে) জর্জিয়ায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায় এডিবি।
এডিবির জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ আইকো কিক্কাওয়া ইউএনবির এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমরা খুব সম্প্রতি বাংলাদেশে একটি জরিপ করেছি। বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বয়স্ক ভাতা দরিদ্রতম জনগোষ্ঠীর চাহিদা পূরণ করছে না। দরিদ্রভাতা প্রাপ্তদের সংখ্যা এখনও ৫০ শতাংশের নিচে।’
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ সঠিক পথেই রয়েছে বলে স্বীকার করে বৃহস্পতিবার এডিবির ৫৭তম বার্ষিক সভায় প্রকাশিত 'এজিং ওয়েল ইন এশিয়া: এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট পলিসি রিপোর্ট' শীর্ষক প্রতিবেদনের লেখক বলেন, বাংলাদেশ সরকার এই অবস্থার উন্নয়নে আরও কিছু করতে পারে। ‘আমি মনে করি, তারা ঠিক এটাই করছে।’
এডিবির এই অর্থনীতিবিদ বলেন, বাংলাদেশ সরকারকে দরিদ্রদের চিহ্নিত করতে আরও ভালো উপায় খুঁজে বের করতে হবে, যাতে তারা এই তহবিল বিতরণ করতে সক্ষম হয়।
তিনি বলেন, 'আমরা এটাও চিহ্নিত করেছি, প্রবীণদের চাহিদা মেটানোর জন্য যে বরাদ্দ রয়েছে তা যথেষ্ট নয়। তাই এ বিষয়ে বরাদ্দ দিতে হবে।’
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, বিভিন্ন সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে।
এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ অ্যালবার্ট পার্ক বলেন, 'বিভিন্ন পরিস্থিতি বোঝার জন্য এসব প্রশ্ন বিশ্লেষণ করতে আমাদের যথেষ্ট তথ্য প্রয়োজন।’
এডিবি বলেছে, উন্নয়নশীল এশিয়া তার সাফল্যের দ্রুত প্রতিফলন ঘটাচ্ছে, তবে এই অঞ্চল বয়স্ক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত নয়।
বয়স্ক এশীয়দের জন্য চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে রোগাক্রান্ত হয়ে ক্রমবর্ধমান বোঝায় পরিণত হওয়া, উপযুক্ত কাজের অভাব, স্বাস্থ্য ও দীর্ঘমেয়াদি যত্নের মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলো যথেষ্ট না পাওয়া, কম অবসরকালীন ভাতা সুবিধা এবং বিচ্ছিন্নতা ও একাকীত্বের হার বৃদ্ধি।
বার্ধক্যের ক্ষেত্রে লিঙ্গভিত্তিক সংখ্যার দিকে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। নীতিগুলোর মাধ্যমে অবশ্যই বয়স্ক নারীদের ক্রমবর্ধমান দুর্বলতার সমাধান করতে হবে। একই সঙ্গে সব নারীর অপূর্ণ চাহিদাগুলো পূরণ করতে হবে।
এডিবি বলছে, সমন্বিত বার্ধক্য নীতিমালা নিজের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দক্ষতা, অবসরের জন্য আর্থিক প্রস্তুতি এবং পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধনে আজীবন বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে পারে, যা প্রবীণদের সুস্থ ও উৎপাদনশীল গোষ্ঠীকে উৎসাহিত করবে এবং অর্থনীতি ও সমাজে তাদের অবদান সবচেয়ে বেশি হবে।
এডিবির অর্থনীতিবিদরা বলেন, সিলভার ডিভিডেন্টকে কাজে লাগাতে এশিয়ার জন্য প্রাথমিক বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ।
নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উন্নয়নশীল এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ১২০ কোটিতে দাঁড়াবে। যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ। এটি অবসরকালীন ভাতা ও কল্যাণ কর্মসূচির পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তুলবে।
আরও পড়ুন: দেশের বেসরকারি সৌর প্রকল্পে ১২১.৫৫ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন এডিবির
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) আরও বলেছে, একই সময়ে, প্রবীণদের কাছ থেকে অতিরিক্ত উৎপাদনশীলতার আকারে একটি ‘সিলভার ডিভিডেন্ট’ অর্জনের সুযোগ রয়েছে অর্থনীতির। যা এই অঞ্চলে মোট দেশজ উৎপাদনকে গড়ে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ বাড়িয়ে তুলতে পারে।
এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ অ্যালবার্ট পার্ক বলেন, 'এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্রুত উন্নয়ন একটি সাফল্যের গল্প, তবে এটি বিশাল জনমিতিক পরিবর্তনকেও ইন্ধন দিচ্ছে এবং চাপ বাড়ছে।’
তিনি বলেন, 'সরকারগুলোকে এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে, যাতে তারা এই অঞ্চলের কোটি কোটি মানুষকে ভালোভাবে সহায়তা করতে পারে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দক্ষতা ও অবসর গ্রহণের জন্য আর্থিক প্রস্তুতিতে আজীবন বিনিয়োগকে সমর্থন করা উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘বয়স্ক ব্যক্তিদের সুস্থ ও উৎপাদনশীল জনগোষ্ঠীকে উৎসাহিত করতে এবং সমাজে তাদের অবদান সর্বাধিক করার জন্য পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধনও গুরুত্বপূর্ণ।’
বহুপক্ষীয় এ উন্নয়ন ব্যাংকের মতে, উন্নয়নশীল এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল তার দ্রুত বর্ধনশীল বয়স্ক জনসংখ্যার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত নয়। কারণ এই অঞ্চলে বয়স্ক মানুষের ক্রমবর্ধমান অংশ কম অবসরকালীন সুবিধা, স্বাস্থ্য সমস্যা, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলোতে সীমিত সুযোগের মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী ২ বছর উন্নয়নশীল এশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৪.৯ শতাংশ থাকার আশা এডিবি প্রেসিডেন্টের
'এজিং ওয়েল ইন এশিয়া: এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট পলিসি রিপোর্ট' অনুসারে, দীর্ঘ আয়ু এই অঞ্চলের উন্নয়ন সাফল্যকে প্রতিফলিত করে, তবে প্রবীণদের কল্যাণে সহায়তা করার জন্য ব্যাপক নীতি সংস্কার জরুরি প্রয়োজন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৬০ বছরের বেশি বয়সী ৪০ শতাংশ নারী যেকোনো ধরনের অবসরকালীন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। কারণ তাদের অধিকাংশই অবৈতনিক ঘরোয়া কাজ করে।
ফলে এ অঞ্চলের অনেক বয়স্ক মানুষের বেঁচে থাকার তাগিদে অবসরের বয়সসীমা পেরিয়েও ভালোভাবে কাজ করা ছাড়া উপায় থাকে না। যারা এখনও ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সে কাজ করছেন তাদের মধ্যে ৯৪ শতাংশ অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করে। যেখানে সাধারণত মৌলিক শ্রম সুরক্ষা বা অবসরকালীন সুবিধা দেয় না। এদিকে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের চ্যালেঞ্জগুলোও বেড়ে যায়।
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রায় ৬০ শতাংশ বয়স্ক মানুষ নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশ নেন না বা গ্রহণ করেন না। অন্যদিকে ৩১ শতাংশ অসুস্থতা, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতার কারণে হতাশার লক্ষণগুলো তুলে ধরে।
এই অঞ্চলে বয়স্ক পুরুষদের তুলনায় বয়স্ক নারীদের হতাশা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপে ভোগার আশঙ্কাও বেশি।
প্রতিবেদনে স্বাস্থ্যকর এবং অর্থনৈতিকভাবে সুরক্ষিত বার্ধক্যকে সমর্থন করার জন্য বিস্তৃত নীতিগত পদক্ষেপের সুপারিশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এডিবির বার্ষিক সভা: এডিবি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বৈঠক
৬ মাস আগে