ভারী বৃষ্টিপাত
ডিআর কঙ্গোতে ভারী বৃষ্টিপাতে প্রাণহানি বেড়ে ৩৩
আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ডিআর কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসায় ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) ভোরে দেশটির কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র ও নিরাপত্তামন্ত্রী জ্যাকুয়েমেন শাবানি বলেছেন, শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত রাতভর প্রবল বর্ষণে রাজধানীর বেশ কয়েকটি জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে বেশকিছু মানুষ আহত হয়েছেন। ধ্বংস হয়েছে অসংখ্য বাড়িঘর।
দুর্গতদের উদ্ধার ও সহায়তার জন্য সরকার সশস্ত্র বাহিনী, বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় এবং কিনশাসা প্রাদেশিক সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে একটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইউনিট গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে লোকজনকে সরিয়ে নিতে জরুরি উদ্ধারকারী দল মোতায়েনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বন্যায় শহরের বেশিরভাগ অবকাঠামো অচল হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে প্রধান সড়কগুলো। শহরজুড়ে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বলিভিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতে মৃত্যু বেড়ে ২৮
বন্যার কারণে নাজিলি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আসা-যাওয়ার রুটে মারাত্মক ব্যাঘাতের কথা জানিয়েছে দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়। আটকে পড়া যাত্রীদের সহায়তার জন্য জরুরি ফেরি পরিষেবা মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলেও পূর্বাভাসে বলেছেন আবহাওয়াবিদরা। এতে ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষের শহরটিতে আরও ধ্বংসের আশঙ্কা রয়েছে।
ডিআরসিতে বর্ষাকাল সাধারণত নভেম্বর থেকে মে পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
২৮ দিন আগে
বলিভিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতে মৃত্যু বেড়ে ২৮
বলিভিয়ায় গত বছরের নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া তীব্র বৃষ্টিপাতের কারণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দেশটির উপবেসামরিক প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুয়ান কার্লোস কালভিমন্তেস এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বৃষ্টিতে দেশের ৯টি বিভাগের মধ্যে আটটিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে ওই কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা ক্ষতিগ্রস্ত ৮৩টি পৌরসভার কথা বলছি এবং আমি নিশ্চিত যে, এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের অনেকেই নিজেরা দুর্যোগের সম্মুখীন থাকার কথা বলবেন।’
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ৭
এখন পর্যন্ত ২৭টি পৌরসভা নিজেদের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে ২২টি লা পাজের এলাকার। জলবায়ুর কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই বিভাগটি।
দেশটির সরকার জানিয়েছে, চুকুইসাকা (দক্ষিণ), লা পাজ (পশ্চিম), তারিজা (দক্ষিণ), কোচাবাম্বা (কেন্দ্র), সান্তা ক্রুজ (পূর্ব) এবং পোটোসি (দক্ষিণ-পশ্চিম) বিভাগে বন্যায় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
সরকারের তথ্যানুযায়ী এখনো চারজন নিখোঁজ রয়েছেন।নিখোঁজদের তিনজন লা পাজের উত্তরে এবং একজন চুকুইসাকা বিভাগের।
ন্যাশনাল মেটিওরোলজি অ্যান্ড হাইড্রোলজি সার্ভিস পূর্বাভাস দিয়েছে যে, আগামী সপ্তাহগুলোতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। এমনকি বৃষ্টিপাত মার্চ ও এপ্রিল পর্যন্তও অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে বন্যায় নিহত ৩, নিখোঁজ ২
৭৯ দিন আগে
একাধিক মাস্টারপ্ল্যান, ৭৫০ কোটি টাকা ব্যয়ের পরও ডুবছে ঢাকা
দুই থেকে তিন ঘণ্টা ভারী বৃষ্টি হলেই ঢাকার সড়কগুলো যেন পরিণত হয় জলাশয়ে। দীর্ঘ সময়ের জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় নগরবাসীকে। কোথাও হাঁটুপানি-কোথাও বা কোমর পানি মাড়িয়ে দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে হয়। রাজধানীর বাসিন্দা হলেও অনেকের ঘর-বাড়িতে ঢুকে যায় বৃষ্টির পানি।
প্রায় চারদিকেই নদীবেষ্টিত ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন গত ৪-৫ বছরে জলাবদ্ধতা নিরসনে হাতে নিয়েছে একাধিক মহাপরিকল্পনা। খাল ও ড্রেনেজ সিস্টেম সংস্কারে ব্যয় করেছে ৭৫০ কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু যার কোনো ইতিবাচক ফল দেখা যায়নি। বরং জলাবদ্ধতার মাত্রা বাড়ছে দিনকে দিন।
টানা কিছু সময় বৃষ্টি হলে শহরের বুকে জলাবদ্ধতার সঙ্গে যুক্ত হয় অপরিকল্পিত সড়ক ব্যবস্থার বিপর্যয়। যানবাহনের অভাব, জলাবদ্ধ রাস্তায় গাড়ি বন্ধ হয়ে যাওয়া, বৃষ্টি ও পানির অজুহাতে ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়াসহ নানা দুর্ভোগে নাজেহাল হতে হয় ঢাকাবাসীকে।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিপাতে ঢাকায় জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকা শহরে জলাবদ্ধতার মূল সমস্যা মনিটরিং ও রক্ষণাবেক্ষণ না করা। বিশেষ করে যথাযথভাবে ড্রেনেজ, খাল ও বক্স কালভার্ট পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়া। পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য পরিষ্কার না করায় এসব আটকে নালা ও ড্রেনেজ সিস্টেমে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যায়। যে কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে নগর পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে, সেগুলোও সুপরিকল্পিতভাবে হয়নি। আর বিভিন্ন কার্যক্রমে সিটি করপোরেশন ও সরকারের অন্য সংস্থার মধ্যে তেমন সমন্বয়ও থাকে না। ফলে জলাবদ্ধতার জন্য একে অন্যকে দায়ী করেই বছরের পর বছর পার করছে সংস্থাগুলো।’
তিনি আরও বলেন, ‘খাল সংস্কার, ড্রেনেজ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন কাজ করার পর তা মনিটরিং ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়। কিন্তু সিটি করপোরেশন কাজ শেষ হওয়ার পর তা আর রক্ষণাবেক্ষণ না করার কারণে খাল ও ড্রেনের মুখ আবার ভরাট হয়ে যায়। তাই কাজ বাস্তবায়নের পর রক্ষণাবেক্ষণ ও জবাবদিহি থাকা দরকার।’
আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘আমরা নিজেরা নদী ও খালগুলো গলা টিপে হত্যা করেছি। প্রাকৃতিকভাবে আমাদের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ছিল খালগুলো। তা আমরা ভরাট করেছি বক্স কালভার্ট বানিয়ে। এখন আবার খাল উদ্ধার নামে নতুন নতুন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। শুধু প্রকল্পের মাধ্যমে টাকার অংক বাড়ালেই জলাবদ্ধতা নিরসন হবে না।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) জানায়, বিভিন্ন সময় খাল ও ড্রেনেজ সংস্কার বাবদ প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি বাজেটে ড্রেনেজ সংস্কার ও ময়লা পরিস্কারে আরও অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হলেও সমাধান হয়নি জলাবদ্ধতার। সর্বোচ্চ ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তা দ্রুত সময়ে নিষ্কাশন করার সক্ষমতা রয়েছে কিন্তু এর বেশি বৃষ্টি হলে নিরুপায় সিটি করপোরেশন।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএনসিসির ৫ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ১০ কিউআরটি
পানি নিরসনে একাধিক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, তারপরও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা খরচ করেছে। খরচের মধ্যে খাল সংস্কার, ড্রেনেজ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্পে এ অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। কিন্তু জলাবদ্ধতা দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মেলেনি নগরবাসীর।
ডিএসসিসি কর্মকর্তারা জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। ঢাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এমন ১৩৬টি পয়েন্টের মধ্যে ১০৪টি পয়েন্টের কাজ শেষ হয়েছে।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির খালগুলো সংস্কারের মাধ্যমে পানি প্রবাহ সৃষ্টি করা গেলে ঢাকার জলাবদ্ধতা পুরোপুরি নিরসন করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে বর্ষা মৌসুমের আগেই ড্রেনেজ পরিষ্কার করা হয়। তারপরও বেশি সময় ধরে বৃষ্টি হলে জলাববদ্ধতা তৈরি হয়। এর মধ্যে অনেক স্থানে ড্রেনের ময়লা পরিষ্কার করেই জলাবদ্ধতা নিরসন করা হয়েছে। এছাড়াও জলাবদ্ধতা নিরসনে বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে এটা একটি চলমান প্রক্রিয়া। এক পয়েন্টের কাজ শেষ হলে আবার নতুন পয়েন্ট যুক্ত হয়। তাই ঢাকার খালগুলো সচল না হলে জলাবদ্ধতা পুরোপুরি নিরসন করা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে নির্দিষ্ট কোনো প্রকল্প নেই। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নের খাল ও ড্রেনেজ সংস্কার করে জলাবদ্ধতা নিরসন করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১৫০ থেকে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে কিছু খরচ হয়েছে আরও কিছু বাকি আছে।
২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন চারটি খালের সৌন্দর্যবর্ধনে ‘খাল পুনরুদ্ধার, সংস্কার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন পায়। ৮৯৮ কোটি টাকার এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২৭ সালের জুনে। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ঢাকা দক্ষিণের জলাবদ্ধতা অনেকটাই নিরসন হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: স্পঞ্জ সিটি: ঢাকা ও অন্যান্য শহরে বন্যা-জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান
২২৭ দিন আগে
মরক্কোতে ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮
মরক্কোর দক্ষিণাঞ্চলে প্রবল বর্ষণে অন্তত ১৮ জন নিহত ও চারজন নিখোঁজ হয়েছে।
সোমবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, টাটা, ইরাচিদিয়া, তিজনিত, তিঙ্গির ও তারুদান্ত প্রদেশে এ হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
এদের মধ্যে বিদেশি তিন জন ছিলেন যারা স্পেন, কানাডা ও পেরুর নাগরিক।
নিখোঁজদের সন্ধানে এখনও তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
ভারী বৃষ্টিপাত এবং বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ১১০টি রাস্তার মধ্যে ৮৪টি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: গুজরাটে বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫
এছাড়াও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ও টেলিযোগাযোগ পরিষেবা পুনরায় চালু করা সম্ভব হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে এখনও কাজ করছে কারিগরি দল।
দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে নাগরিকদের সহায়তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক পোস্টে মরক্কোর আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, 'অস্থিতিশীল গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বায়ুপ্রবাহের' কারণে এই প্রাণঘাতী বৃষ্টিপাত ও বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ সুদানে ৭ লাখ মানুষ বন্যায় বিপর্যস্ত
২৩৭ দিন আগে
ভারী বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএনসিসির ৫ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ১০ কিউআরটি
শুক্রবার সকাল থেকে ভারী বর্ষণের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এটি নিরসনে কাজ করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৫ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ১০টি কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি)।
ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসেনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দ্রুত পানি নিষ্কাশন নিশ্চিত করতে ১০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত ১০টি কিউআরটি ১০টি ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় কাজ করছে।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিপাতে ঢাকায় জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যান চলাচলের সুবিধার্থে দ্রুত পানি সরাতে কল্যাণপুরে পাঁচটি পাম্প সকাল থেকে একযোগে কাজ করছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি রাস্তায় জমে যাওয়া পানি সরানো সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সকাল ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ঢাকায় ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
জলাবদ্ধতা দেখা দিলে ডিএনসিসির হটলাইন ১৬১০৬ নম্বরে ডায়াল করে জানাতে বাসিন্দাদের অনুরোধ করা হয়েছে যাতে কিউআরটি তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দিতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের নির্দেশে সকাল থেকে প্রকৌশল ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিভাগ সচল রাখা হয়েছে।
জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি ক্রমাগত পর্যবেক্ষণে রেখে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: টানা ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট যানজট নিয়ে ডিএমপির সতর্কতা
২৯৭ দিন আগে
ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩
ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রিও ডি জেনিরো ও এসপিরিতো সান্তোর মধ্যবর্তী স্থানে চলতি সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
রবিবার (২৪ মার্চ) এসপিরিতো সান্তোসের রাজ্য সরকার জানিয়েছে, শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ১৫ জন মারা গেছে এবং প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে গেছে। শনিবার রিও কর্তৃপক্ষ আরও ৮ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে।
আরও পড়ুন: হাইতির ৪০ লাখ মানুষ 'তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার' শিকার : জাতিসংঘ খাদ্য সংস্থা
রাজ্যের রাজধানী ভিটোরিয়া থেকে ৭৪ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত গ্রামাঞ্চলীয় শহর মিমোসো দো সুলে এসপিরিতো সান্তোতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নতুন করে ভূমিধসের ঝুঁকির কারণে উভয় রাজ্যে উদ্ধারকারী দলকে শুক্রবার রাতে তাদের কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। পরে শনিবার বিকাল থেকে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়।
ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মেয়র ও গভর্নররা বৃহস্পতিবার থেকে সপ্তাহান্তে সম্ভাব্য সমস্যার বিষয়ে বাসিন্দাদের সতর্ক করে দিয়েছে। এসপিরিতো সান্তো রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য সরকারের সতর্কতা স্থানীয় সময় মধ্যরাত পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে ভারী বর্ষণে ৭ জনের মৃত্যু, ১৬ ঘণ্টা পর কাদা থেকে ৪ বছরের শিশু জীবিত উদ্ধার
৪০৬ দিন আগে
কঙ্গোর মধ্যাঞ্চলে বন্যায় একই পরিবারের ১০ জনসহ নিহত ২২
কঙ্গোর মধ্যাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যায় একই পরিবারের ১০ জনসহ কমপক্ষে ২২ জন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রদেশের গভর্নর জন কাবেয়া বলেন, কাসাই মধ্য প্রদেশের কানাঙ্গা জেলায় ঘণ্টাব্যাপী বৃষ্টিতে অনেক বাড়িঘর ও স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে। জীবিতদের সন্ধানে উদ্ধার প্রচেষ্টা জোরদার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১৭ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি মঙ্গলবার আরও ৫ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
কাবেয়া বলেন, ‘বিকুকুতে দেয়াল ধসে একই পরিবারের ১০ জনের সবাই নিহত হয়েছেন।’
আরও পড়ুন: কালিহাতীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
বেসরকারি সংস্থা দ্য হ্যান্ড ইন হ্যান্ড ফর ইন্টিগ্রাল ডেভেলপমেন্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর নাথালি কাম্বালা জানান, বন্যার কারণে উল্লেখযোগ্য বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা কঙ্গোর কিছু অংশে, বিশেষত প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘন ঘন ঘটে থাকে। মে মাসে পূর্ব কঙ্গোর দক্ষিণ কিভু প্রদেশে রাতভর ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়।
কাবেয়া বলেন, সর্বশেষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কাঠামোগুলির মধ্যে রয়েছে কানাঙ্গার হায়ার ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, পাশাপাশি একটি গির্জা এবং একটি প্রধান সড়ক, যা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জাতীয় সরকারের কাছ থেকে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হবে।
কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধসে অন্তত ৪ জন নিহত ও অন্তত ২০ জন নিখোঁজ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ট্রাকে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ৪
৪৯৫ দিন আগে
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বর্ষণে নিহত ২৫, আহত ১৪৫
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে শনিবার বেশ কয়েকটি বাড়ি ধসে পড়ে এবং কমপক্ষে ২৫ জন নিহত ও ১৪৫ জন আহত হয়।
জ্যেষ্ঠ উদ্ধার কর্মকর্তা খাতের আহমেদ বলেন, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বান্নু, লাক্কি মারওয়াত এবং কারাক জেলায় বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে; গাছ উপড়ে গেছে এবং বৈদ্যুতিক সঞ্চালন টাওয়ার ভেঙে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, কর্মকর্তারা আহতদের জরুরি ত্রাণ দেওয়ার জন্য কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বন্যা: ১৬ কোটি ডলারের জরুরি সহায়তার আবেদন জাতিসংঘের
গত বছর বর্ষায় বৃষ্টি ও বন্যায় পাকিস্তানে ১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়, প্রায় ৩৩ মিলিয়ন মানুষ দুর্যোগের কারণে প্রভাবিত হয় এবং প্রায় ৮ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব কমাতে সরকার শুক্রবার উপস্থাপিত জাতীয় বাজেটের খসড়ায় জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতার জন্য ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করেছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ শনিবার দুর্যোগে প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং কর্তৃপক্ষকে ত্রাণ তৎপরতার গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কারণ
পাকিস্তানে লোডশেডিং: সরকারের পক্ষে অবস্থান পাক জ্বালানি মন্ত্রীর
৬৯৪ দিন আগে
জুনের শেষে বা জুলাইয়ের ১ম সপ্তাহে উত্তরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা
জুনের শেষে বা জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উত্তরাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেটরি টিম (বিডব্লিউআইটি)।
রবিবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এবং মৌসুমী বায়ু সারাদেশে মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস, তবে রবিবার ১১টি জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
আধিদপ্তরের পূর্বাভাস তথ্য মতে, রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১০৪৪ দিন আগে
জার্মানিতে ভয়াবহ বন্যায় নিহত ১৯, নিখোঁজ অসংখ্য
জার্মানিতে ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় ভবন ধসে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত এবং অসংখ্য মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় কাউন্টির ইউসকারচেনের কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, বন্যার কারণে সেখানে আট জনের মৃত্যু হয়েছে।
ফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে বলে তারা জানিয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কোবেলঞ্জের পুলিশ জানিয়েছে, আহরওয়েলার কাউন্টিতে চারজন মারা গেছেন এবং প্রায় ৫০ জন মানুষ তাদের বাড়ির ছাদে আটকা পড়েছেন। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলেছে।
আরও পড়ুন: ভারতে বজ্রপাতে নিহত ৬০
পুলিশ জানিয়েছে, শুল্ড গ্রামে ছয়টি ঘর ভেঙে পড়েছে। অনেক লোক সেখানে নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জার্মান আবহাওয়া সংস্থা ডিডব্লিউডি পূর্বাভাসে জানিয়েছে যে, বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমবে।
এদিকে দেশটির প্রতিবেশি বেলজিয়ামেও বন্যায় দুজন মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
পড়ুন: বন্যায় তলিয়ে গেছে কুড়িগ্রাম, শেরপুর ও সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চল
বন্যার পানিতে পড়ে দেড় বছরের শিশুর মৃত্যু
১৩৯০ দিন আগে