পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন
আবু সাঈদ হত্যা মামলা পিবিআইতে
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) স্থানান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে সোমবার মামলাটি পিবিআইয়ে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে আসতে নিরুৎসাহিত করলেন গাজী আশরাফ
রংপুর জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন বলেন, ‘পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে মামলাটি তাজহাট থানা থেকে পিবিআইয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখন মামলার তদন্ত করবে পিবিআই।’
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড় এলাকায় পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিন পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ১৭ জুলাই তাজহাট থানায় মামলা করা হয়। মামলার বাদী ওই থানার উপপরিদর্শক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ রায়।
আরও পড়ুন: আবু সাঈদ সবার হৃদয়ে রয়েছেন: অধ্যাপক ইউনূস
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ১৬ বছরের কিশোরের জামিন
৩ মাস আগে
বাবুলসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে করা ডিএসএ মামলা সাইবার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ আদালতের
পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তার, সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনসহ চারজনের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা বিচারের জন্য ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম আশেক ইমামের আদালত এ আদেশ দেন।
এদিন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অভিযোগপত্র আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
এরপর আদালত মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য ঢাকার সাইবারে ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন।
এর আগে, গত ৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. রবিউল ইসলাম বাবুল আকতার, ইলিয়াস হোসেনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মিতু হত্যা: সাবেক এসপি বাবুলসহ ৭ জনের বিচার কাজ শুরু
অভিযোগপত্রভুক্ত অপর দুই আসামি হলেন- বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া।
আসামিদের মধ্যে ইলিয়াস হোসেন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
সিএমএম আদালতে ধানমন্ডি থানার জেনারেল রেকর্ডিং অফিসার উপপরিদর্শক মাহফুজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মিতু হত্যা মামলায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সরবরাহ করা এবং তা প্রচারের অভিযোগে গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাদী বনজ কুমার মজুমদারের পক্ষে ধানমন্ডি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম।
মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সাইবার মামলায় জামিন পেলেন বাবুল আক্তারের বাবা ও ভাই
জামিন পেলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের বাবা ও ভাই
১ বছর আগে
প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের পর হত্যাই ‘সিরিয়াল কিলার’ মুন্নার নেশা
কখনো গাড়ির হেলপার, কখনো বেকারির কারিগর। প্রেমের ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নিয়ে খুন করাই তার নেশা। এক মাসের ব্যবধানে দুটি খুন করে আরও হত্যার পরিকল্পনা ছিল তার। তবে অবশেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ‘সিরিয়াল কিলার’ আব্দুল্লাহ আনসারী মুন্না (২৩)ও তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে। রবিবার (৩১ অক্টোবর)সকাল সাড়ে ৬টায় কোতোয়ালী থানাধীন সুরগাপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মুন্না কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার বারকোটা ভূঁইয়া বাড়ির মো. শহীদুল্লাহ ভূঁইয়ার ছেলে এবং দ্বীন ইসলাম দীনু (১৯) সদরের দুর্গাপুর গ্রামের মোস্তফা মিয়ার ছেলে।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বিকালে পিবিআই কুমিল্লা কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানায়।
পিবিআই জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে তারা জেলার সদর দক্ষিণ থানার বহুল আলোচিত পান্না আক্তার (২৮) ও লাইলী বেগম রিমা (২৬) হত্যার দায় স্বীকার করে একের পর এক লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে। মুন্না প্রেমিক সেজে টাকা হাতিয়ে নেয়ার আইডিয়া অন্যের কাছ থেকে পায়।কিন্তু খুন করার পরিকল্পনা তার নিজের। খুনের ধরণ একই।
আরও পড়ুন: বিরাট কোহলির মেয়েকে ধর্ষণের হুমকি, তদন্ত করছে পুলিশ
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, প্রায় দুই মাস আগে পান্না আক্তারের মোবাইল নম্বর থেকে আসামির মোবাইল নম্বরে কল এলে অভিযুক্ত ও ভিকটিমের পরিচয় হয়। অভিযুক্ত মুন্না ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রাত সোয়া ৮টার দিকে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। অভিযুক্তরা পরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে তার ভাড়া বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগীর কাছ থেকে আগের দাবি অনুযায়ী কোনো টাকা না পাওয়ায় অভিযুক্ত ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে ভিকটিমকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ চাদরে মুড়িয়ে রাখে। চাদর দিয়ে পেঁচিয়ে লাশ বস্তাবন্দি করে ভাড়া করা মাইক্রোবাসে উঠিয়ে ঘটনাস্থল সদর দক্ষিণ থানাধীন গোপিনাথপুর সার্কিনে ঢাকা-চট্টগ্রামমূখী মহাসড়কের উত্তর পাশে, সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজের বিপরীত পাশে ফেলে দেয়।
এক মাস আগে অভিযুক্ত মুন্না তার বন্ধু পারভেজ সঞ্জীবের সহযোগিতায় ভিকটিম লাইলী বেগমের সাথে প্রেম করে। এই প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে ভিকটিম গত ০২ সেপ্টেম্বর টাকা নিয়ে জাগরঝিল এলাকায় আসে। ২০ হাজার টাকা এবং দুটি মোবাইল ফোন এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। অভিযুক্ত মুন্না ও দ্বীন ইসলাম ভিকটিমকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। পরে তার লাশ ফেনী মডেল থানাধীন শর্শদী ইউপিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে জঙ্গলে ফেলে দেয়। ফেনী সদর মডেল থানা পুলিশ ১৩ সেপ্টেম্বর নিহতের গলিত লাশ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে পিবিআই কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, এই হত্যাকাণ্ড একটি ক্লুলেস হত্যা মামলা। আমাদের সদস্যদের আন্তরিকতা এবং আধুনিক পুলিশি ব্যবস্থার মাধ্যমে আসামিকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সিম উদ্ধার করা হয়েছে। এই দুই আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হলে তারা দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে কিশোর আটক
বনানীতে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার রায় ফের পেছাল
৩ বছর আগে
মিতু হত্যা: বাবুল আক্তারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
পুলিশের চাকরিচ্যূত সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে এবার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার মামলা দায়ের করেছে মিতুর পরিবার।
বুধবার দুপুরে নিহত মিতুর বাবা বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন সিএমপির পাচঁলাইশ থানায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাসেম ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, নিহত মিতুর বাবা পুলিশের সাবেক পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন মিতু হত্যার মামলা করেছেন। এতে বাবুল আক্তারসহ ৮ জনকে আসামি দেখানো হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দল বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের হেফাজতে নেয়ার কথা জানান। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের পর বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানায় পিবিআই’র একটি সূত্র।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়েছে পিবিআই
পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রামে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার বাদী ছিলেন স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার। তদন্তে তার বিরুদ্ধে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে তাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মিতু হত্যার আগের মামলার ফাইনাল রিপোর্ট আদালতে জমা দিয়েছে পিবিআই। হত্যা মামলায় স্বামী বাবুল আক্তারকে আসামি করার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার আদালতে তোলা হবে।
এদিকে থানায় মামলা করতে আসা বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, যে কারণে বাবুল আক্তার চট্টগ্রামে সেই কারণে আমিও চট্টগ্রামে। আমার মেয়ের খুনের সঙ্গে বাবুল আক্তার যে জড়িত সেটা আগেই আমি উত্থাপন করেছিলাম। এবার তার বিরুদ্ধে মামলা করতে এসেছি।
মঙ্গলবার রাতে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নেয়ার কথা জানায় পিবিআই। এর আগে দুপুরে চট্টগ্রামের মনসুরাবাদ পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমাসহ পিবিআইয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে গিয়ে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ের কাছে ওআর নিজাম রোডে নির্মমভাবে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ছুরিকাঘাত ও গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাচঁলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মিতু হত্যাকাণ্ডের পর প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, জঙ্গিরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। কারণ তার স্বামী বাবুল আক্তার চট্টগ্রামে এএসপি থাকাকালে জঙ্গি বিরোধী অপারেশনে পুলিশের প্রথম সারির কর্মকর্তাদের একজন ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে বাবুল আক্তার ও মিতুর পরকীয়ার বিষয়টিও আলোচিত হয় গণমাধ্যমে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্যও নিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
হত্যাকাণ্ডের বছরখানেক পর থেকেই মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন দাবি করে আসছিলেন, বাবুল আক্তারের পরিকল্পনায় ও নির্দেশে তার মেয়ে মিতুকে খুন করা হয়েছে।
মিতু হত্যাকাণ্ডের পর একটি মাজারের খাদেম আবু নছর ওরফে গুন্নু ও শাহজামান ওরফে রবিন নামের আরও এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পরে তারা জামিনে বেরিয়ে আসেন। হত্যকাণ্ডের ২০ দিন পর তদন্ত ভিন্নখাতে মোড় নেয়।
২০১৬ সালের ২৪ জুন মধ্যরাতে ঢাকার বনশ্রী এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবুল আক্তারকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রায় ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। পরে তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। এরপর নানা গুঞ্জন ডালপালা ছড়ায়।
এসময় পুলিশ জানায়, বাহিনী থেকে পদত্যাগ করেছেন বাবুল আক্তার।
তবে বাবুল আক্তারের দাবি ছিল, তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেননি। ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন তিনি। নানা নাটকীয়তা শেষে ৬ সেপ্টেম্বর বাবুলকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: পরকীয়ার জেরে শিশু হত্যা: মা ও তার প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
মিতু হত্যার ২১ দিন পর ২৬ জুন গ্রেপ্তার করা হয় ওয়াসিম ও আনোয়ারকে। আদালতে জবানবন্দি দেন তারা। এরপর বেরিয়ে আসে হত্যায় জড়িতদের তথ্য। জবানবন্দিতে তারা জানান মুছার নেতৃত্বে ওয়াসিম, আনোয়ার, মো. রাশেদ, নবী, মো. শাহজাহান ও মো. কালু হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামী ও সতীনের মৃত্যুদণ্ড
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে ছিলেন ওয়াসিম, মুছা ও নবী। মাহমুদাকে ছুরিকাঘাত করেন নবী। অস্ত্র সরবরাহ করেন এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা।
তবে কী কারণে, কার নির্দেশে তারা হত্যায় অংশ নিয়েছেন তা নিয়ে কোন তথ্য দেননি। একই বছরের ৪ জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের মধ্যে রাঙ্গুনিয়ায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন নবী ও রাশেদ। মুছা ও কালুকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এক পর্যায়ে মুছাকে ধরিয়ে দিতে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ।
২০১৬ সালের ২২ জুন চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে পুলিশ মুছাকে ধরে নিয়ে গেছে বলে দাবি করে আসছেন তার স্ত্রী পান্না আক্তার। এ অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে পুলিশ।
৩ বছর আগে
মিতু হত্যা: বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়েছে পিবিআই
চট্টগ্রামের আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বুধবার বাবুল আক্তারকে মিতু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে বলে পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে।
মঙ্গলবার রাতে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নেয়ার কথা জানায় পিবিআই। এর আগে দুপুরে চট্টগ্রামের মনসুরাবাদ পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামী ও সতীনের মৃত্যুদণ্ড
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমাসহ পিবিআইয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে এ বিষয়ে কঠোর গোপনীয়তা অবলম্বন করছে পিবিআই।
পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘তিনি (বাবুল) আগেও পিবিআইতে এসেছিলেন। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম পিবিআইতে গেছেন। মামলার বাদী হিসেবে উনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হাইকোর্টের রুলিং আছে, এর চেয়ে বেশি কিছু বলা যাবে না।’
তবে পিবিআইয়ের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চট্টগ্রামে হাজির হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: পরকীয়ার জেরে শিশু হত্যা: মা ও তার প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ‘উনি মামলার বাদী। আমরা যেহেতু মামলা তদন্ত করছি, উনি অগ্রগতি জানতে আমাদের কাছে এসেছিলেন।’
বাবুলকে আটক কিংবা গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সুযোগ নেই।’
তদন্তে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বাবুল আক্তারের জড়িত থাকার কোনও তথ্যপ্রমাণ বা ইঙ্গিত পাওয়া গেছে কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা বলতে পারছি না। হাইকোর্টের রুলিং আছে।’
২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে গিয়ে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ের কাছে ওআর নিজাম রোডে নির্মমভাবে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ছুরিকাঘাত ও গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাচঁলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জ কারাগারে বন্দিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
মিতু হত্যাকাণ্ডের পর প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, জঙ্গিরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। কারণ তার স্বামী বাবুল আক্তার চট্টগ্রামে এএসপি থাকাকালে জঙ্গি বিরোধী অপারেশনে পুলিশের প্রথম সারির কর্মকর্তাদের একজন ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে বাবুল আক্তার ও মিতুর পরকীয়ার বিষয়টিও আলোচিত হয় গণমাধ্যমে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্যও নিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
হত্যাকাণ্ডের বছরখানেক পর থেকেই মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন দাবি করে আসছিলেন, বাবুল আক্তারের পরিকল্পনায় ও নির্দেশে তার মেয়ে মিতুকে খুন করা হয়েছে।
মিতু হত্যাকাণ্ডের পর একটি মাজারের খাদেম আবু নছর ওরফে গুন্নু ও শাহজামান ওরফে রবিন নামের আরও এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পরে তারা জামিনে মুক্তি পান। হত্যকাণ্ডের ২০ দিন পর তদন্ত ভিন্নখাতে মোড় নেয়।
২০১৬ সালের ২৪ জুন মধ্যরাতে ঢাকার বনশ্রী এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবুল আক্তারকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রায় ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। পরে তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। এরপর নানা গুঞ্জন ডালপালা ছড়ায়।
এসময় পুলিশ জানায়, বাহিনী থেকে পদত্যাগ করেছেন বাবুল আক্তার।
তবে বাবুল আক্তারের দাবি ছিল, তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেননি। ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন তিনি। নানা নাটকীয়তা শেষে ৬ সেপ্টেম্বর বাবুলকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মিতু হত্যার ২১ দিন পর ২৬ জুন গ্রেপ্তার করা হয় ওয়াসিম ও আনোয়ারকে। আদালতে জবানবন্দি দেন তারা। এরপর বেরিয়ে আসে হত্যায় জড়িতদের তথ্য। জবানবন্দিতে তারা জানান মুছার নেতৃত্বে ওয়াসিম, আনোয়ার, মো: রাশেদ, নবী, মো: শাহজাহান ও মো: কালু হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন।
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে ছিলেন ওয়াসিম, মুছা ও নবী। মাহমুদাকে ছুরিকাঘাত করেন নবী। অস্ত্র সরবরাহ করেন এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা।
তবে কী কারণে, কার নির্দেশে তারা হত্যায় অংশ নিয়েছেন তা নিয়ে কোনও তথ্য দেয়নি। একই বছরের ৪ জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের মধ্যে রাঙ্গুনিয়ায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন নবী ও রাশেদ। মুছা ও কালুকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এক পর্যায়ে মুছাকে ধরিয়ে দিতে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ।
২০১৬ সালের ২২ জুন চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে পুলিশ মুছাকে ধরে নিয়ে গেছে বলে দাবি করে আসছেন তার স্ত্রী পান্না আক্তার। এ অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে পুলিশ।
৩ বছর আগে
সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যা মামলায় যুবলীগ কর্মী বেলাল রিমান্ডে
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত বেলাল হোসেন ওরফে পাঙ্খা বেলালকে (৩০) তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
৩ বছর আগে
তালাবদ্ধ ভাড়াটিয়ার শিশুর মৃত্যু: মামলা তদন্তে পিবিআইকে নির্দেশ
খুলনায় বাড়ি ভাড়া না পেয়ে তালাবদ্ধ করে রাখা ভাড়াটিয়ার সন্তানের বালতির পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে।
৩ বছর আগে
আল্লামা শফী ‘হত্যা’ মামলা: হাটহাজারী মাদরাসায় পিবিআই তদন্ত দল
হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলার তদন্তে হাটহাজারী মাদরাসা পরিদর্শন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কর্মকর্তারা।
৩ বছর আগে
চট্টগ্রামের স্কুলছাত্রী তাসফিয়া ‘আত্মহত্যা করেছে’
চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আমিনকে কেউ হত্যা করেনি, সে ‘আত্মহত্যা’ করেছে। আদালতে পুলিশের চুড়ান্ত প্রতিবেদনের পর এবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)’র তদন্তেও এমন তথ্য এসেছে।
৩ বছর আগে
গাজীপুরে প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তান হত্যার ‘মূল হোতা’ গ্রেপ্তার
গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রবাসীর স্ত্রী ও তাদের তিন সন্তানকে হত্যায় অভিযুক্ত হিসেবে মো. পারভেজ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৪ বছর আগে