কারারক্ষী
চট্টগ্রাম কারাগারে কয়েদির আত্মহত্যা, ৩ কারারক্ষী বরখাস্ত
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ইব্রাহিম নেওয়াজ (৩০) নামে এক কয়েদির আত্মহত্যার ঘটনায় ৩ কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া অপর ৩ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সাময়িক বরখাস্ত কারারক্ষীরা হলেন- এরশাদ উল্লাহ, হাবিবুর রহমান ও আল আমিন। এছাড়া প্রধান কারারক্ষী মো. জসিম, সহকারী প্রধান কারারক্ষী আবদুল লতিফ এবং কারারক্ষী মাসুদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করে কারাকর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
এর আগে সোমবার রাতে ইব্রাহিম নেওয়াজ নামে ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এই কয়েদি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে গলায় ফাঁস দেয়। উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত ইব্রাহিম নেওয়াজ রাঙামাটি সদর উপজেলার আলম ডক এলাকার আলী নেওয়াজের ছেলে। চট্টগ্রামের রাউজান থানার এক অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়ে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে কারাবন্দি ছিলেন তিনি।
কারা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় কারাগারের ভেতরে বন্দি গণনার সময় একজন কম পাওয়া যায়। তাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর খাদ্য গুদামের সামনে চৌবাচ্চার টিনশেডের রডের সঙ্গে প্লাস্টিকের বস্তা ও কম্বলের বর্ডারের অংশ দিয়ে ঝুলে থাকতে দেখা যায়। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
নিহত ইব্রাহিম নেওয়াজের মামাতো ভাই নাইমুর রহমান তুর্য বলেন, ‘আমার ভাইকে অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এর মধ্যে জেল সুপার হঠাৎ ফোন করে জানান আমার ভাই মারা গেছেন। এরপর সকালে আমরা কারাগারে যাই। আমরা এর সঠিক তদন্ত চাই।’
চট্টগ্রাম কারা বিভাগের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) টিপু সুলতান বলেন, ‘কারাগারের ভেতরে এক কয়েদি আত্মহত্যা করেছে। ওই বন্দির আত্মহত্যার চেষ্টা ও পরে মৃত্যুর কারণ উদঘাটনের জন্য ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে কারো বিরুদ্ধে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কারা হাসপাতালের সহকারী সার্জন ডা. রেজা মো. সরোয়ার আকবর বলেন, ‘বন্দির গলায় ফাঁসের দাগ রয়েছে। আমাদের কাছে আনার সঙ্গে সঙ্গে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
কিশোরগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে কারারক্ষীর ফাঁসি
কিশোরগঞ্জে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার দায়ে কারারক্ষীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন।
স্ত্রী রুমা আক্তারকে হত্যার দায়ে কারারক্ষী স্বামী খাইরুল ইসলামকে এই সাজা দিয়েছেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন বিচারক।
দণ্ডপ্রাপ্ত খাইরুল ইসলাম টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানার বাচাইল এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে। তিনি কিশোরগঞ্জ কারাগারে কারারক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওসি প্রদীপের সম্পদের খোঁজে ৭ দেশে দুদকের চিঠি
রাষ্ট্রপক্ষে আদালতের পিপি এমএ আফজাল রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ২০১৮ সালে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার আব্দুল মান্নানের কন্যা রুমা আক্তারের সঙ্গে কারারক্ষী খাইরুল ইসলামের বিয়ে হয়। খাইরুল ইসলাম তার স্ত্রী রুমাকে নিয়ে কারাগারের কোয়ার্টারেই থাকতেন। বিয়ের তিন মাস পর স্বামী যৌতুক দাবি করলে রুমার বাবা আব্দুল মজিদ মেয়ের সুখের কথা বিবেচনায় নিয়ে তিন লাখ টাকা দেন। এর কিছুদিন পরেই মোটরসাইকেল কেনার জন্য খাইরুল ইসলাম আবারও ২ লাখ ৮ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন। কিন্তু রুমার বাবা টাকা দিতে অপারগ হওয়ায় রুমাকে নিয়মিত শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির আত্মহত্যাচেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু
এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর আবারও যৌতুকের জন্য স্ত্রী রোমা আক্তারকে কারাগারের স্টাফ কোয়র্টারে নির্মমভাবে নির্যাতন করে গুরুতর আহত করেন। খবর পেয়ে পরদিন রুমার মা ছিনু বেগম এসে তাকে প্রথমে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ও পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে ভালপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ২৯ ডিসেম্বর রুমার অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় মারা যান।
এ ঘটনায় রুমার মা ছিনু বেগম বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৩১ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট তৌহিদুল আলম মামলাটি পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বাবাকে হত্যার দায়ে ৩ ছেলের মৃত্যুদণ্ড
শজিমেক হাসপাতালের প্রিজন সেলের কারারক্ষী ছুরিকাঘাতে আহত
বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল (শজিমেক) হাসপাতালের প্রিজন সেলের এক কারারক্ষীকে ছুরিকাঘাতে আহত করেছেন অজ্ঞাত তিন ব্যক্তি।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে হাসপাতালের ১ নম্বর গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ছুরিকাহত কারারক্ষী আব্দুস সালাম (৪৪) বগুড়া কারাগারের কারারক্ষী, তিনি শজিমেক হাসপাতালের প্রিজন সেলে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আরও পড়ুন: রংপুরে ২ বাসের সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ১০
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রকিবুল হাসান।
তিনি জানান, সালাম বগুড়া কারাগারে কর্মরত আছেন। শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কারাবন্দীদের জন্য থাকা প্রিজন সেলের দায়িত্বে আছেন তিনি। সোমবার সন্ধ্যার দিকে সালাম ফ্লেক্সিলোড দেয়ার জন্য হাসপাতালের ১ নম্বর গেটে এক মুদি দোকানে যান। এ সময় অজ্ঞাত তিন ব্যক্তি একটি মোটরসাইকেলে এসে কারারক্ষীকে মারধর শুরু করেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে একজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে সালামের শরীরের পেছন অংশে আঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে সালাম চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তিনি শঙ্কামুক্ত। তবে এ ঘটনার কারণ ও জড়িতদের শনাক্ত করা যায়নি বলেও জানান রকিবুল হাসান।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের ফের সংঘর্ষ, সহকারী প্রক্টরসহ আহত ৯
মেরিন ড্রাইভ সড়কে পর্যটকবাহী জিপ উল্টে নিহত ১, চালকসহ আহত ৭
৮৮ কারারক্ষী নিয়োগে জালিয়াতি: দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
সারাদেশের কারারক্ষী পদে ৮৮ জনের নিয়োগে জালিয়াতির ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, এক মাসের মধ্যে তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (৯ নভেম্বর) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আইজি প্রিজন্সকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে সিলেট কারাগারে অন্য একজনের নাম পরিচয় ব্যবহার করে ১৮ বছর ধরে কারারক্ষীর চাকরি করা জহিরুলকে সরিয়ে প্রকৃত জহিরুলকে কেন নিয়োগ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। সঙ্গে ছিলেন মো. আবুল কালাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
চলতি বছরের ৩১ জুলাই ‘চাকরি ফিরে পেতে চান কুলাউড়ার জহিরুল: জালিয়াতি করে কারারক্ষী পদে চাকরির ১৮ বছর পর তদন্তে প্রমাণিত!
শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে রিটটি করেন ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলাম এশু।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কুকুর লেলিয়ে হিমাদ্রী হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড হাইকোর্টে বহাল
প্রতিবেদনে বলা হয়, কারারক্ষী পদে চাকরির জন্য ২০০৩ সালে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়েছিলেন কুলাউড়ার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম এশু। নিয়োগে উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুলিশ ভেরিফিকেশনও হয়েছিল। কিন্তু পরে আর যোগদানপত্র না পাওয়ায় চাকরির আশা ছেড়ে শহরে ব্যবসা শুরু করেন।
কিন্তু দীর্ঘ ১৮ বছর পর জানতে পারেন প্রতারণার মাধ্যমে তার নাম-পরিচয় ব্যবহার করে ওই পদে চাকরি করছেন আরেকজন।
এরইমধ্যে জালিয়াতির বিষয়টির তদন্তেও সত্যতা পাওয়া গেছে।
সিলেটের কারা উপমহাপরিদর্শক কামাল হোসেনের নেতৃত্বে খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের জেলার এজি মাহমুদ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল সুপার ইকবাল হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে।
এর মধ্যে এশু চাকরি ফিরে পেতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সিলেটের কারা উপমহাপরিদর্শক বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু আবেদনে সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।
রিটে কারারক্ষী পদে আবেদনকারীর যোগদানপত্র গ্রহণে এবং আবেদনকারীর পদে চাকরি করা অন্য জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে কেন পাঁচ বিবাদীকে নির্দেশনা দেয়া হবে না, মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
রিটে বিবাদী হিসেবে রয়েছেন স্বরাষ্ট্র সচিব, কারা মহাপরিদর্শক, কারা উপমহাপরিদর্শক, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার, কারারক্ষী হিসেবে চাকরিরত জহিরুল ইসলাম।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুইশ জন কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের জাল-জালিয়াতি বা একজনের স্থলে আরেকজন শারীরিকভাবে কাজ করছেন বলে গণমাধ্যমে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন আসে।
এ বিষয়টি যখন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে তখন ওনারা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন এবং এ বিষয়গুলো তদন্ত করেছেন। সেই তদন্তে ২০০ জনের মধ্যে ৮৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তিন জন পাওয়া গেছে, তারা প্রকৃত ব্যক্তির পরিবর্তে কর্মরত।
আবার অনেকে রয়েছেন তারা ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন, যেটা ওনার প্রকৃত ঠিকানা নয়। আবার অনেকে বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্রে জাল-জালিয়াতি করেছেন। এগুলো ধরা পড়ার পরে এরইমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে ধরনের জালিয়াতি ফৌজদারি অপরাধ।
আরও পড়ুন: ৪ জেলায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ
হাতিরঝিলের বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদে হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি
বগুড়ায় কাভার্ডভ্যান চাপায় কারারক্ষী নিহত
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় কাভার্ডভ্যানের চাপায় এক কারারক্ষী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর যমুনাপাড়া নামক স্থানে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রাশেদুল ইসলাম (৩৮) উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের মহিপুর বিডিআর পাড়া গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে কমর্রত ছিলেন।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বানিউল আনাম জানান, রাশেদুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের কর্মস্থল থেকে একদিনের ছুটিতে শেরপুরে নিজ বাড়িতে আসেন। মঙ্গলবার সকালে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন। পথিমধ্যে উপজেলার কৃষ্ণপুর যমুনাপাড়া পৌঁছালে ঢাকাগামী একটি কাভার্ডভ্যান পেছন থেকে মোটরসাইকেলসহ রাশেদুলকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। এছাড়া দুর্ঘটনার পরপরই চালক-হেলপার পালিয়ে যাওয়ায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে।
পড়ুন: মানিকগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩
রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু
গাজীপুরে ইয়াবাসহ কারারক্ষী আটক
গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের ইয়াবাসহ এক কারারক্ষীকে আটক করে করেছে পুলিশ।
আটক হওয়া পিন্টু মিয়া বগুড়া জেলার সোনাতলা থানার পূর্ব টেকয়ানী এলাকার আব্দুল ওয়াহিদের ছেলে। তার কারা নং ১৪০৯০।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ‘আনসার আল ইসলামের’ ৩ সদস্য আটক
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক জানান, কারারক্ষী পিন্টু মিয়া বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাহির থেকে কারাগারের ভেতরে প্রবেশের সময় চেকপোস্টের কারারক্ষী আতিকুর রহমানের সন্দেহ হলে তাকে তল্লাশি করে। এ সময় পিন্টু মিয়ার প্যান্টের ডান পাশের পকেটে রাখা ৩২৮ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। পরে পিন্টু মিয়াকে কারা হেফাজতে আটক রাখে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পুলিশ গিয়ে ইয়াবা জব্দ করে আটক পিন্টু মিয়াকে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই কারারক্ষী নিহত
পঞ্চগড় সদর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় জেলা কারাগারের দুই কারারক্ষী নিহত হয়েছেন।
মাদক পাচার: লালমনিরহাটে ১৪ কারারক্ষীকে বদলি
লালমনিরহাটে মাদক পাচারের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলা কারাগার হতে ১৪ জন কারারক্ষীকে তাৎক্ষণিকভাবে (স্ট্যান্ড রিলিজ) বদলি করা হয়েছে।
পুলিশ, কারারক্ষীসহ বগুড়ায় নতুন ১৭ জন করোনা আক্রান্ত
গত ২৪ ঘণ্টায় বগুড়ায় পুলিশ সদস্য, কারারক্ষীসহ ১৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আরও ৯ কারারক্ষী করোনা আক্রান্ত
ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোড়ে পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারে দায়িত্বরত আরও নয়জন কারারক্ষী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট ১০ কারারক্ষীদের দেহে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে।