বিষাক্ত
কুমারখালীতে বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে ২ জনের মৃত্যু!
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বিষাক্ত অ্যালকোহল পান করে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে আরও একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুরুল ইসলাম (৫০) নামের এক মোটর শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এর আগের দিন শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে মারা যান কাশেম আলী (৪০)।
নুরুল ইসলাম উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘরমধুয়া গ্রামের মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে এবং কাশেম আলী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার দুর্বাচারা গ্রামের নুর ইসলাম পটলের ছেলে।
এ ছাড়াও, মো. গঞ্জের আলী নামে একজন অসুস্থ হয়ে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি দুর্বাচারা গ্রামের মৃত আনছার আলীর ছেলে।
জানা গেছে, গত শনিবার সন্ধ্যায় নুরুল ইসলাম ও মো. কাশেম আলী অ্যালকোহল পান করেন। এরপর গঞ্জের আলীসহ তিনজনে পুনরায় ওই অ্যালকোহল পান করেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী-শাশুড়ি কারাগারে
আনুমানিক রাত সাড়ে ৮টায় তারা অসুস্থ হয়ে পড়ায় স্বজনেরা তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই রাতেই চিকিৎসাধীন কাশেম মারা যান। পরের দিন রবিবার রাত ৮টায় নুরুল ইসলাম মারা যান। গঞ্জের আলী এখনও ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও তাপস কুমার সরকার জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজন মারা গেছেন। এঘটনায় এখনও একজন চিকিৎসাধীন।
তিনি বলেন, মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করায় এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম জানান, বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। তাই এখন পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ট্রাকের ধাক্কায় নারী নিহত, আহত ৩
কুষ্টিয়ায় চুরির অপবাদে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
১১ মাস আগে
সিদ্ধিরগঞ্জে জমে থাকা বিষাক্ত গ্যাসে যুবকের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ট্যাংকলরির ট্যাংক থেকে ফার্নেস অয়েল সংগ্রহ করতে গিয়ে জমে থাকা বিষাক্ত গ্যাসে আবু সাঈদ (২২) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকালে উপজেলার আদমজী এসও রোড এলাকার মেঘনা ডিপোতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: যশোরে লাঠির আঘাতে নারীর মৃত্যু, প্রেমিক আটক
আবু সাঈদ ওই এলাকার নাজির হোসেনের ছেলে এবং এসও রোড এলাকায় ইসমাঈলের তেলের গাড়ির ড্রাইভার।
আহতরা হলেন- নিহতের ছোট ভাই ফাহিম (১২) এবং তার বাবা নাজির হোসেন (৪৫)।
নিহতের পরিবারসূত্রে জানা যায়, ওই ট্যাংকলরির মালিক জাহাঙ্গীর তাদের ট্যাংকলরির ট্যাংক থেকে অবশিষ্ট তেল সংগ্রহ করে গাড়িটি পরিষ্কার করে দিতে বলে। তার কথায় প্রথমে ফাহিম গাড়িটির ভেতর নামলে সে বের না হওয়ায় তাকে উদ্ধার করতে তার বাবা নাজির ট্যাংকলরির ভেতরে নামে।
পরবর্তীতে তাদের দুজনেরই কোনো হদিস না মিললে নাজিরের বড় ছেলে আবু সাঈদও ট্যাংকলরির ভেতরে নামে। তখন এলাকাবাসী আহত অবস্থায় তাদের তিনজনকে উদ্ধার করে সুফিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এসময় সাঈদের অবস্থা খারাপ দেখা গেলে তাকে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সিদ্ধিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, নিহতের বাবা নাজির সুস্থ রয়েছেন। ফাহিমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় ইমাম নিহত
সিলেটে ট্রাকচাপায় অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু
১১ মাস আগে
বিষাক্ত সেপটিক ট্যাংক: খুলনায় ২ শ্রমিকের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১
খুলনায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাঙ্কে বিষাক্ত গ্যাসে দুই শ্রমিকের মৃত্যু ও একজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার বিকালে খালিশপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের নাম নাজির (২৮) ও সাদ্দাম (৩০)। নিহত ও আহতদের সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল গিয়াস জানান, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শিশুপার্ক এলাকার ১৯ নম্বর সড়কের নির্মাণাধীন ভবনে সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করার জন্য দুজনে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সেফটিক ট্যাংক থেকে ২ শিশুর লাশ উদ্ধার
দীর্ঘক্ষণ কোনো সাড়া না পেয়ে সহকর্মীরা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।
ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং ট্যাঙ্ক থেকে আরেকজনকে উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, আহত ব্যক্তি খুলনা মেডিকেল কলেজ (কেএমসিএইচ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য লাশও সেখানে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: সেফটিক ট্যাংক পরিষ্কার করার সময় বিস্ফোরণে নওগাঁয় শ্রমিক নিহত
১ বছর আগে
কুষ্টিয়ায় বিষাক্ত রাসেল ভাইপার সাপ উদ্ধার
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পদ্মা নদী থেকে একটি বিষাক্ত রাসেল ভাইপার সাপ উদ্ধার করে গড়াই নদীতে অবমুক্ত করা হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের সৈয়দ মাসুদ রুমী সেতুর নীচে গড়াই নদীতে সাপটি অবমুক্ত করেন উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা বনবিভাগের কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম।
তিনি বলেন,‘পদ্মা নদীতে মাছ ধরা দুয়ার (মাছ ধরার যন্ত্র) জালে বিষাক্ত রাসেল ভাইপার আটকা পড়ে। সকালে খবর পেয়ে বিলপ্তপ্রায় এই সাপটি উদ্ধার করা হয় এবং গড়াই ব্রিজ হিসেবে পরিচিত সৈয়দ মাসুদ রুমী সেতুর নীচে অবমুক্ত করা হয়েছে।'
এদিকে গড়াই নদীতে বিষাক্ত রাসেল ভাইপার সাপটি অবমুক্ত করায় আতঙ্কে রয়েছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।
তারা বলেন, ‘নদীর পাড়ে হাজার হাজার মানুষের বসবাস। এখানকার মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে নদী ব্যবহার করেন। কিন্তু এখানে এত ভয়ংকর সাপটি ছেড়ে দেওয়া ঠিক হয়নি।’
আরও পড়ুন: শহরে ভয়ংকর রাসেল ভাইপার সাপ, আতঙ্কে চাঁদপুরবাসী
জানা গেছে, উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের জেলে মো. শামিম হোসেন প্রতিদিনই পদ্মায় দুয়ার জালের ফাঁদ পেতে মাছ শিকার করেন। মঙ্গলবার সকালে জাল থেকে মাছ বের করতে যান। জালে মাছের পরিবর্তে সাপ দেখতে পান। প্রথমে তিনি অজগর সাপ মনে করে স্থানীয়দের খবর দেন। পরে বন বিভাগের লোকজন এসে তাকে জানায় এটা বিষাক্ত রাসেল ভাইপার। পরে সাপটিকে বনবিভাগের লোকজন নিয়ে যান।
এ বিষয়ে জেলা বনবিভাগের বনকর্মকর্তা জি এম মোহাম্মদ কবির বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে সাপটি ভারত থেকে পদ্মা নদী হয়ে এসেছে। উদ্ধার করার পর গড়াই নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে। এতে আতঙ্কের কিছু নেই। নদী বেয়ে অন্যত্র চলে যাবে।'
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘এখানে আমাদের কিছু করার নেই। বিষয়টি বনবিভাগের। তারাই ভাল বলতে পারবেন।'
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ে বউ-শাশুড়ির মৃত্যু
সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু
২ বছর আগে
চাঁদপুরে ১ হাজার কেজি বিষাক্ত জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ
চাঁদপুর সদর উপজেলার হরিণা ও আলু বাজারে বিআইডব্লিউটিসি পরিচালিত ফেরিঘাট থেকে প্রায় এক হাজার কেজি (২৫ মণ) বিষাক্ত জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড।
শুক্রবার দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি গনমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কোস্ট গার্ড চাঁদপুর স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট বিএম তানজিমুল ইসলামের নেতৃত্বে হরিণা ও আলুবাজার ফেরিঘাট এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: যশোরে ২ মেট্রিক টন সিলিকন জেলযুক্ত চিংড়ি উদ্ধার
অভিযান চলাকালে খুলনা থেকে চাঁদপুর হয়ে চট্টগ্রামগামী একটি বাস তল্লাশি করে আনুমানিক ২৫ মণ (এক কেজি) বিষাক্ত জেলি পুশ করা চিংড়ি জব্দ করা হয়। এ সময় বাসে জেলিযুক্ত চিংড়ির প্রকৃত মালিক খুঁজে না পাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান এবং স্টেশন কমান্ডার চাঁদপুর লেফটেন্যান্ট বি এম তানজিমুল ইসলামের উপস্থিতিতে জব্দ করা বিষাক্ত জেলিযুক্ত চিংড়ি মাটিতে পুঁতে বিনিষ্ট করা হয়।
আরও পড়ুন: ভেনামি চিংড়ির পাইলট প্রকল্প বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদনের সম্ভাবনা
২ বছর আগে
গোবিন্দগঞ্জে বিষাক্ত মদপানে ২ জনের মৃত্যু, অসুস্থ ৫
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার চক গোবিন্দ পাঠান পাড়ায় এই ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ আরও পাঁচজনকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
নিহত দুজন হলেন মেহেদী হাসান সোহাগ (৩২) ও তৈফিকুজ্জামান সৈকত।
এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের চক গোবিন্দ পাঠান পাড়ার মেহেদী হাসান সোহাগ, চক গোবিন্দ ঝিল পাড়ার তৌফিকুজ্জামান সৈকত ,চক পশ্চিম চৌমাথা এলাকার রানা, সাজু মিয়ার ছেলে রানা , বাধন সরকার,বাপ্পি ও অভিসহ আরও কয়েকজন যুবক এক সঙ্গে বসে মদপান করেন।
আরও পড়ুনঃ রাজধানীতে অতিরিক্ত মদ্যপানে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
মদপানের ২ ঘন্টা পর তারা অসুস্থ হয়ে পরেন । এর মধ্যে প্রথমে তৌহিদুজ্জামানকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেয়া হলে সেখানে রাত ১০ দিকে তিনি মারা যান । এর পর শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে বগুড়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মেহেদী হাসান সোহাগ। বাকি অসুস্থদের বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে ।
আরও পড়ুনঃ বিষাক্ত মদ্যপানে বগুড়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০
গোবিন্দগঞ্জ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক ডা. শরিফুল ইসলাম জানান, সোহাগ, সৈকত ও রানা নামে তিন যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। অ্যালকহল জাতীয় কিছু পান করার ফলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এখানে অবস্থার অবনতি হলে তাদের রংপুর ও বগুড়ায় স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুনঃ গাজীপুরে রিসোর্টে মদ্যপানে মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার ১
এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, দুই জন মারা যাওয়ার পেছনে কারণ জানতে পুলিশ মাঠে নেমেছে।
৩ বছর আগে