বেসরকারি
বেসরকারি ২ হজ প্যাকেজ ঘোষণা, সরকারি ব্যবস্থাপনার চেয়ে খরচ বেশি
আগামী বছর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে দুইটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন এজেন্সি মালিকরা। ঘোষিত প্যাকেজে সরকারি ব্যবস্থাপনার চেয়ে খরচ বেশি ধরা হয়েছে।
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) বাতিল হওয়া কমিটি মূলত এ হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ প্যাকেজ ঘোষণা করেন হাবের সদ্য সাবেক কমিটির সভাপতি ফারুক আহমেদ সরদার।
খাবার খরচসহ সাধারণ হজ প্যাকেজের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার এবং বিশেষ হজ প্যাকেজ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশনে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বহাল
গত ৩০ অক্টোবর সরকারি হজ প্যাকেজ ঘোষণার সময় ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, বেসরকারি মাধ্যমের সাধারণ হজ প্যাকেজ মূল্য ৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৬ টাকা। সাধারণ হজ প্যাকেজ গ্রহণ করে এজেন্সি একটি অতিরিক্ত বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে।
ফারুক আহমেদ সরদার বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য দুটি হজ প্যাকেজ করা হয়েছে। সাধারণ হজ প্যাকেজ ও বিশেষ হজ প্যাকেজ। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য কোরবানি ছাড়া সাধারণ হজ প্যাকেজের মূল্য মোট ৫ লাখ ২৩ হাজার টাকা এবং বিশেষ হজ প্যাকেজের মূল্য ৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
হাবের সাবেক মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা করা বেসরকারি হজ প্যাকেজ প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ নেই। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে লাইসেন্স নিয়ে আমরা কাজ করি। সরকারের প্যাকেজ গ্রহণ করে এজেন্সি মালিকদের পক্ষ থেকে আরেকটি প্যাকেজ নীতিগত ও আইনগতভাবে দেওয়ার সুযোগ আছে। সেটিই আমরা উপস্থাপন করেছি। আমরা খাবার খরচ যুক্ত করে আমাদের প্যাকেজ ঘোষণা করেছি। খাবার খরচ ছাড়া পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ হয় না।
আগামী বছর হজে যেতে সরকারিভাবে দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত সাশ্রয়ী সাধারণ প্যাকেজ-১ অনুযায়ী খরচ ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রায় প্রত্যেক হজযাত্রীর চলতি বছরের প্যাকেজ-১ এর চেয়ে ১ লাখ ৯ হাজার ১৪৫ টাকা কম খরচ হবে। অন্য প্যাকেজে (প্যাকেজ-২) খরচ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। এ বছর সরকারিভাবে হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৩৮৭ টাকা খরচ হয়েছিল। বিশেষ হজ প্যাকেজের মূল্য ছিল ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। চলতি বছর বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে সাধারণ প্যাকেজে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ হয় ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা। বিশেষ প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হয়েছিল ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩০০ টাকা।
আরও পড়ুন: সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের ২টি প্যাকেজ ঘোষণা
ফারুক আহমেদ সরদার বলেন, হাবের পক্ষ থেকে বারবার বিমানভাড়ার যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণের জন্য আবেদন করা হয়। আমরা প্রত্যাশা করছি ধর্ম উপদেষ্টা হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া কমানোর বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। বিমান ভাড়া কমানো হলে হজ প্যাকেজের মূল্যও কমানো হবে। তাছাড়া হজ সংক্রান্ত সব সভায় হাব বিমান ভাড়া কমানোর দাবি জোড়ালোভাবে উত্থাপন করে। হাবের জোড়ালো দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ও যৌক্তিক কারণে ২০২৫ সালের হজে বিমান ভাড়া এক লাখ ৬৭ হাজার ৮২০ টাকা নির্ধারণ হলেও আমরা এটি যৌক্তিক মনে করি না।
এ বছর শতভাগ হজযাত্রীদের (সিলেট ও চট্টগ্রাম বাদে) সৌদি অংশের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশেই সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে সাবেক হাব সভাপতি বলেন, মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের আওতায় হজযাত্রীদের কল্যাণে প্রি-এরাইভাল ইমিগ্রেশন বাংলাদেশেই সম্পন্নের জন্য ডেডিকেটেড (শুধুমাত্র হজযাত্রী পরিবহন) হজ ফ্লাইট হওয়া বাধ্যতামূলক। হজযাত্রী পরিবহনে ডেডিকেটেড ফেরি ফ্লাইটের হিসাব করেই সর্বোচ্চ মূল্যে বিমান ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে ডেডিকেটেড ফেরি ফ্লাইটের ভাড়া নিলেও এয়ারলাইন্সগুলো শিডিউল ফ্লাইটেও হজযাত্রী পরিবহন করেছে।
কিন্তু হজযাত্রীদের প্রি-এরাইভাল ইমিগ্রেশন ঢাকায় সম্পন্ন করতে হলে অবশ্যই সকল হজ ফ্লাইট ডেডিকেটেড হতে হবে। প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশনের জন্য ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট থাকা বাধ্যতামূলক। তাই সব হজ ফ্লাইট ডেডিকেটেড হতে হবে।
কোনোভাবেই কোনো শিডিউল ফ্লাইটে হজযাত্রী পরিবহন না করার দাবি জানান হজ এজেন্সি মালিকরা।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
চলতি বছরের মতো আগামী বছরও বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন।
এর মধ্যে ১০ হাজার সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বাকি হজযাত্রীরা যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: সাশ্রয়ী ও উন্নত সেবার নতুন হজ প্যাকেজ দেবে সরকার
২ সপ্তাহ আগে
বেসরকারি ব্যাংকের তারল্য সংকট নিরসনের আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর: আব্দুল আউয়াল মিন্টু
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর চলমান তারল্য সংকট স্বল্প সময়ের মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতে নানা সমস্যা রয়েছে। এসব বিষয়ে আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং সহযোগিতা চেয়েছি। ব্যাংকগুলো যাতে সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে সেজন্য গভর্নর আমাদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।’
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্যাংকিং খাতের বর্তমান সংকট নিয়ে কথা বলেন মিন্টু।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি ও ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের (এনবিএল) চেয়ারম্যান মিন্টু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তারল্য সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকিং আইনি কাঠামোর মধ্যে থেকে যতটা সম্ভব তারল্য সহায়তা প্রয়োজন। বাংলাদেশ ব্যাংক এই সহায়তা দিলে ডিসেম্বরের মধ্যে আমাদের তারল্য সমস্যার সমাধান হওয়ার কথা।’
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি হবে ১০.১ শতাংশ: এডিবির পূর্বাভাস
ব্যাংকগুলোর সামনে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে জানতে চাইলে মিন্টু স্বীকার করেন, এনবিএলসহ অনেক প্রতিষ্ঠান খেলাপি ঋণ ও নগদ প্রবাহ সমস্যায় হিমশিম খাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘অন্যান্য ব্যাংকও যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, এনবিএলেরও একই সমস্যা রয়েছে।’
মিন্টু আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে খেলাপি ঋণ আদায়ে এনবিএলের কৌশল তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘এনবিএলের খেলাপি ঋণ আদায়ে আদালতে যাওয়াসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’
সুদ মওকুফের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মিন্টু বলেন, বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদ মওকুফ করেছে, কিন্তু আমরা সম্ভাব্য এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের কথাও বলেছি। ব্যাংকিং প্রবিধান মেনেই যে কোনো রেজোলিউশন করা হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির আব্দুল আউয়াল মিন্টুর হাইকোর্টে আগাম জামিন
১ মাস আগে
খালেদা জিয়া স্বেচ্ছায় বেসরকারি হাসপাতালে গেছেন, এর দায় সরকারের নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপিনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বেচ্ছায় বেসরকারি হাসপাতালে গেছেন, সেখানে চিকিৎসা সেবার বিষয়ে দায় সরকারের নয়।
'সম্প্রতি এভারকেয়ার হাসপাতালে বেগম জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর সরকারের ওপর বিষোদগার' বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনার্য প্রকাশনী প্রকাশিত ড. সুবল রোজারিও প্রণীত গবেষণাগ্রন্থ 'হায়ার এডুকেশন ইন বাংলাদেশ' এবং নাট্যব্যক্তিত্ব জুয়েল কবির রচিত 'আমি প্রীতিলতা' নাট্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: জ্বালানি-তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে সুইডেনকে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
প্রকাশক সফিক রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।
'বেগম জিয়ার অসুস্থতায় রিজভীও ফখরুলের মতো কেঁদেছেন কি না' প্রশ্ন রেখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এভারকেয়ার হাসপাতাল সরকারি নয়, বেসরকারি। সেখানে চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের কোনো দায় নেই। তারা যদি অ্যাম্বুলেন্স, ইনজেকশন না দিয়ে থাকে সে বিষয়ে তারাই বলতে পারবে।
এ সময় বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা-কলকাতা, খুলনা-কলকাতা রেল যোগাযোগ তো রয়েছেই। শুধু ভারত নয়, নেপাল, ভুটানসহ আঞ্চলিক 'কানেক্টিভিটি'র জন্য কাজ চলছে। আর আমাদের সঙ্গে ভারতের নানা অঞ্চলের যোগাযোগ বহুদিন ধরে। ১৯৬৫ সালের পরে অনেক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সেগুলো আবার চালু করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই ভারতের সঙ্গে সমঝোতা সই-নবায়ন করা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সময় ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল ও ভুটানে চলাচল সম্ভব হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইতিবাচক সাড়া দিয়ে বলেন, ভারতের ওপর দিয়ে আমরা ইতোমধ্যেই নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি করেছি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সদ্যসমাপ্ত ভারত সফরে সে দেশের ওপর দিয়ে নেপাল ও ভুটানে মালামাল পরিবহন বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য নিয়ে প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমাদের বন্দি বিনিময় চুক্তি নেই, সেটি একটি প্রতিবন্ধকতা। কিন্তু সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের সময় দেশে উচ্চশিক্ষা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিশেষত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও যাচাই-বাছাই প্রয়োজন। দেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান তিনি।
এ সময় 'আমি প্রীতিলতা' নাট্যগ্রন্থ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে প্রথম নারী আত্মোৎসর্গকারী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার দেশমাতৃকার জন্য আত্মত্যাগের চিরোজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। গ্রন্থ দুটি প্রকাশের জন্য প্রকাশককে ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: এমপি আনার হত্যা: দুই আসামি ৬ দিনের রিমান্ডে
৪ মাস আগে
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কাউন্টার!
কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কাউন্টার বসানো হয়েছে এমন অভিযোগ করেছেন হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজনরা।
এদিকে হাসপাতালের মধ্যে নবনির্মিত গ্যারেজের মধ্যেই চেয়ার-টেবিল বসিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কাউন্টার। পাশে ঝোলানো হয়েছে খুলনা জেলা অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতি লিমিটেড পরিচালিত, অ্যাম্বুলেন্স কাউন্টার।
এছাড়া হাসপাতালের মধ্যে ও বাইরে রাস্তা দখল করে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো। দূর থেকে দেখে মনে হবে এটা কোনো সরকারি হাসপাতাল না, যেন বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স স্ট্যান্ড।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের সামনে সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে অ্যাম্বুলেন্স। রোগী পরিবহনে চাহিদা যতটা, তার চেয়ে অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা বেশি। কিন্তু রোগী পেলেই ভাড়া হাঁকা হয় অনেক বেশি।
আরও পড়ুন: সরকারি বিএল কলেজে আবাসন-পরিবহন সংকট চরমে
হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্স না নিয়ে অন্য কোথাও থেকে কম টাকায় ভাড়া করার সুযোগ নেই। হাসপাতালের মধ্যে নবনির্মিত গ্যারজের জায়গা দখল করে তোলা হয়েছে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কাউন্টার।
কাউন্টারের সামনে ১০ থেকে ১২টা অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি বিভাগের সামনে রয়েছে ৪ থেকে ৫টা, হাসপাতালের আউটডোর পেছনে রয়েছে ৭ থেকে ৮টা অ্যাম্বুলেন্সের সারিবদ্ধ লাইন।
এর বাইরে লাশ ঘরে যেতে যে রাস্তা সেখানেও রয়েছে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স। এছাড়া হাসপাতালের দেয়াল ঘেঁষে বাইরে রয়েছে আরও ১০ থেকে ১২টা অ্যাম্বুলেন্সের লাইন। দূর থেকে যে কেউ মনে করবেন, এটা কোনো সরকারি হাসপাতাল নয়, অ্যাম্বুলেন্সের স্ট্যান্ড।
রোগীও স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালকেন্দ্রিক ‘অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট’ রোগীকে বাইরের অ্যাম্বুলেন্সে তুলতেই দেয় না। হাসপাতালকে কেন্দ্র করে অ্যাম্বুলেন্সের মতো একটি জরুরি পরিবহন সেবাকে ঘিরে এ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি চলছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স এক চালক জানান, বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো নীতিমালা নেই। তাছাড়া অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা বেশি হয়ে যাওয়ায় ট্রিপ কমে গেছে। এ কারণে খরচ পোষাতে কিছুটা বাড়তি ভাড়া নিতে হয়। অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়ার কোনো তালিকা নেই। নেই সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালাও। যে যেভাবে পারছেন রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স নামাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগী পাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে হাসপাতালগুলোর কর্মচারীদের (ওয়ার্ডবয় ও আয়া) উপর। এজন্য তাদের ভাড়ার একটা অংশ কমিশন দিতে হয়। এ কমিশন বাণিজ্য না থাকলে ভাড়া অনেকটাই কমে যেত।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
এ ব্যাপারে খুমেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মো. হুসাইন শাফায়াত বলেন, বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কয়েকজন চালকরা আমার কাছে এসে বলেন, তাদের নিজস্ব জায়গায় কাউন্টার কাজ বসানোর কাজ চলছে। ২ থেকে ১ দিনের মধ্যে তাদের কাজ শেষ হয়ে যাবে। এই অনুরোধের কারণে তাদের বলেছিলাম কয়েকদিনের জন্য হাসপাতালের ভেতরে কাউন্টার রাখার জন্য। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ শোনার পরে জানতে পারলাম এদের একটু মানবিক দিক সুযোগ দেওয়ায় পুরো হাসপাতালটাই দখল করে নিয়ে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে মধ্যে কোনো বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স থাকতে পারবে না, রোগীদের প্রয়োজন হলে বাইরে থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভাড়া আনতে পারবেন। এর বাইরে হাসপাতালের জায়গা দখল করে অ্যাম্বুলেন্স রাখার সুযোগ নেই।
খুলনায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার মেহেদী নেওয়াজ জানান, মেডিকেল কলেজের নিজস্ব অ্যামবুলেন্স যার মাধ্যমে রোগীকে সেবা দেওয়া হয়। তারপরও বেসরকারি অ্যামবুলেন্স চালু হয়েছি বলে শুনেছি। কোনো রোগীকে যাতে হয়রানি না করা হয় সে জন্য প্রোয়জনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মনজুর মোরশেদ বলেন, এ ব্যবসা অনেকদিন যাবত চলছে। খুমেক হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আইনি সহযোগিতায় তাদের উঠিয়ে দিলে কিছুদিন পর আবার তারা বসতে শুরু করে।
তিনি আরও বলেন, খুমেক হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেই ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
৯ মাস আগে
সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মে ছাড় দেবে না ইউজিসি
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর উচ্চশিক্ষা নিয়ন্ত্রকের মানের প্রতি দায়বদ্ধতার উপর জোর দিয়ে জানিয়েছেন, বেসরকারি বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. আলমগীর কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ ছাড়াই মানসম্মত শিক্ষার উপর অবিচল দৃষ্টি নিবদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: প্রেস কাউন্সিলের সদস্য মনোনীত হলেন ইউজিসি সচিব ফেরদৌস জামান
তিনি বলেন, ‘যারা শিক্ষাকে মূল্য দেয় না তারা বিকল্প পথ খুঁজতে পারে। যখন একটি বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে, কেউ কেউ বুঝতে পারে না যে এটি অলাভজনক। তাদের বিভিন্ন উদ্দেশ্য থাকতে পারে, সম্ভবত ব্যবসা সম্পর্কিত। এ ধরনের ক্ষেত্রে আমরা কঠোরতা বজায় রাখি। ফলস্বরূপ, আমরা প্রায়ই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হই। তবে আগের তুলনায় পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, যে কোনো শিক্ষাগত অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অবহিত করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চশিক্ষায় মানসম্পন্ন শিক্ষকের অভাবের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের দেশে শিক্ষক তৈরির কোনো গুণগত ব্যবস্থা নেই। অনেক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় ডক্টরেট ডিগ্রিও দেয় না।
ব্রেইন ড্রেন ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করে আলমগীর বলেন, ‘বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা আর ফিরে আসে না। এতে পাবলিক ও প্রাইভেট উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট দেখা দেয়।’
তিনি এই প্রবণতার জন্য বাংলাদেশের শিক্ষকদের অপর্যাপ্ত বেতন কাঠামোকে দায়ী করেছেন। যা প্রতিবেশী দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে শিক্ষকদের বেতন কাঠামো অপ্রতুল। দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পারিশ্রমিক খুবই কম। এসব বিষয় নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি মানসম্মত শিক্ষা দিতে চাই, তাহলে আমাদের সম্পদের প্রয়োজন। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক সম্পদ শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী। মানসম্মত শিক্ষা পেতে হলে মানসম্পন্ন শিক্ষকের বিকল্প নেই।’
ব্রেইন ড্রেন ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করে আলমগীর বলেন, বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা দেশে ফিরছে না, যার ফলে সরকারি ও বেসরকারি উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সংকট দেখা দিয়েছে।
এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক সম্পদ হিসাবে চিহ্নিত করে সম্পদের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার উৎকর্ষ অর্জনের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষক অপরিহার্য।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি মানসম্মত শিক্ষা দিতে চাই, তাহলে আমাদের সম্পদের প্রয়োজন। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে, প্রাথমিক সম্পদ শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী। মানসম্মত শিক্ষা পেতে হলে মানসম্পন্ন শিক্ষকের বিকল্প নেই।
মানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগে ইউজিসির প্রচেষ্টা সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যাপক আলমগীর মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে অসুবিধার কথা স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জিং। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দাবি করতে পারে, অপর্যাপ্ত বিজ্ঞাপন বা বাজেটের সীমাবদ্ধতার কারণে তারা যোগ্য শিক্ষকদের আকৃষ্ট করছে না। তারা উচ্চতর বেতন দিতে তাদের অক্ষমতা প্রকাশ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের প্রোগ্রাম বন্ধের অনুরোধ করতে পারে।
ইউজিসি চেয়ারম্যান দেশে মানসম্মত শিক্ষার মানদণ্ডের অভাবের বিষয়েও আলোকপাত করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পূরণের জন্য কোনও নির্দিষ্ট মানদণ্ড নেই।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষার কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের
তিনি বলেন, ‘আমাদের মানের মানদণ্ডের অভাব রয়েছে। এমন কোনও নির্দিষ্ট মানদণ্ড নেই যা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অবশ্যই পূরণ করতে হবে। যদি একটি বিশ্ববিদ্যালয় ভাল কাজ করে তবে ইতিবাচক ফলাফল আসবে; অন্যথায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের দেশে এ ধরনের মানদণ্ড নেই।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ২০২৪ সালের শুরুতে একটি প্রশিক্ষণ একাডেমি চালু করা হবে। প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই উদ্যোগের লক্ষ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং নতুন শিক্ষাবিদদের জন্য চার মাসের প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম প্রদান করা।
তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়েছে এবং কাজ শুরু করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি জিইও জারি করা হবে। আমরা আশা করছি আগামী সপ্তাহে জিও ইস্যু করা হবে।’
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে অধ্যাপক আলমগীর ইউজিসিকে একটি নিয়ন্ত্রক কাঠামোর আওতায় আনার প্রচেষ্টার বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ সংশোধনে সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রতিটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি বিধিমালার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন। যা অবশ্যই সার্বজনীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে অধ্যাপক আলমগীর আইন মেনে চলা নিশ্চিত করতে গৃহীত ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, ইউজিসি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একটি নিয়ন্ত্রক কাঠামোর আওতায় আনতে কাজ করছে এবং সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর সংশোধনী শুরু করছে।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্ভিস রুলস থাকতে হবে এবং এই নিয়মগুলো সার্বজনীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। বর্তমানে, আমরা ক্ষমতার বাইরে নতুন বিভাগ অনুমোদন করছি না। নতুন বিভাগের অনুমোদন দেওয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে অবশ্যই সম্পদ, স্থান এবং পরীক্ষাগারের ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা প্রদর্শন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যার উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করি। বিজ্ঞান, প্রকৌশল এবং প্রযুক্তি প্রোগ্রামগুলির জন্য, সর্বাধিক ৪০ জন শিক্ষার্থী, এবং সামাজিক বিজ্ঞান প্রোগ্রামের জন্য, এটি ৫০ থেকে ৬০ শিক্ষার্থীর মধ্যে সীমাবদ্ধ। এটি সর্বাধিক; এটি কম হতে পারে তবে বেশি ও হতে পারে না।’
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরে বিলম্বের কথা উল্লেখ করে আলমগীর ইউজিসির অনীহা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্থায়ী ক্যাম্পাসে রূপান্তরের বিষয়ে আমরা কিছুটা দ্বিধায় রয়েছি, কারণ বর্তমান আইন অনুযায়ী ১২ বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সরিয়ে নিতে হবে। যদি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় তা মানতে ব্যর্থ হয়, তবে তাদের নতুন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে, আসন সংখ্যা বাড়াতে বা স্টার রেটিং পাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।’
আরও পড়ুন: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে বিডিরেনের সেবা গ্রহণের আহ্বান ইউজিসির
১১ মাস আগে
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে বিডিরেনের সেবা গ্রহণের আহ্বান ইউজিসির
শিক্ষা ও গবেষণায় কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন নেটওয়ার্কের (বিডিরেন) সেবা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ইউজিসির জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইউজিসি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘বিডিরেনের সেবা গ্রহণের মাধ্যমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন’- শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিডিরেনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তৌরিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, বিডিরেন বিশ্বমানের নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল সেবা দিচ্ছে। এসব সেবাদানে বিডিরেন পেশাদারিত্ব বজায় রাখছে এবং ইউজিসির কার্যক্রম আরও গতিশীল করার জন্য সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করছে।
শিক্ষা ও গবেষণা এগিয়ে নিতে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ বিডিরেনের সেবা গ্রহণের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: প্রেস কাউন্সিলের সদস্য মনোনীত হলেন ইউজিসি সচিব ফেরদৌস জামান
তিনি করোনাকালীন জুম প্লাটফর্মের মাধ্যমে অনলাইন ক্লাসের জন্য বিডিরেনের সেবার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ইউজিসি পরিচালক ওমর ফারুখ বিডিরেনের গুণগত সেবা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে সিইও বিডিরেনকে আহ্বান জানান।
এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকরা উপকৃত হবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বিডিরেনের সেবা গ্রহণ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে অনলাইনে পাঠদান করে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারেন বলে তিনি মনে করেন।
বিডিরেনের সিইও মোহাম্মদ তৌরিত বলেন, ‘রিসার্চ হ্যাভেন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বিডিরেন এগিয়ে চলছে। বর্তমানে ১৯৫টি প্রতিষ্ঠানকে তারা নেটওয়ার্ক, ডেটা, হোস্টিং আইডেনটিটিসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা দিচ্ছে।
ইউজিসির সহযোগিতায় বিডিরেনের কার্যক্রম আরও গতিশীল করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, বিডিরেনের নেটওয়ার্কে নিজস্ব অর্থায়নে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সম্প্রসারণ করতে বিডিরেন কাজ করছে।
কর্মশালায় বিডিরেনের সিটিও এখলাস উদ্দিন আহমেদ বিডিরেন ট্রাস্টের কার্যক্রম নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তুলে ধরেন।
ঢাকার ৩২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, আইটি পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কর্মশালায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: র্যাংকিংয়ে স্থান পেতে গবেষণায় যথার্থ পরিকল্পনা প্রয়োজন: ইউজিসি
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরামর্শ ইউজিসির
১ বছর আগে
চলতি মাসে আরও ২০০ মেগাওয়াট ডিজেলচালিত বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করবে সরকার
চলতি মাসে আরও ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ডিজেলচালিত ব্যয়বহুল বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করবে সরকার। এর মধ্যদিয়ে এই বছরে মোট ১ হাজার মেগাওয়াট ডিজেলচালিত বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা হবে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, বন্ধ করার জন্য চলতি বছর চারটি বেসরকারি কোম্পানির ছয়টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের নাম তালিকা করা হয়েছে।
সেগুলো হলো- বাংলা ট্র্যাকের ৩০০ মেগাওয়াট (যশোর ১০০ মেগাওয়াট ও দাউদকান্দি ২০০ মেগাওয়াট), এগ্রেকোর ২০০ মেগাওয়াট (আওড়াহাটি ১০০ মেগাওয়াট ও ব্রাহ্মণগাঁও ১০০ মেগাওয়াট), এপিআর এনার্জির পানগাঁও ৩০০ মেগাওয়াট এবং প্যারামাউন্টের বাঘাবাড়ির ২০০ মেগাওয়াট।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ইতোমধ্যেই চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বেসরকারি কেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে এবং বাকি ২০০ মেগাওয়াট আগস্টে বন্ধ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, এসব প্ল্যান্ট বন্ধ হলে বছরে সরকারের প্রায় ২ হাজার ২৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
আরও পড়ুন: চলতি বছর দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩০ হাজার মেগাওয়াট অতিক্রম করবে
বিপিডিবির বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২১-২২ অনুযায়ী, দেশের জাতীয় গ্রিডে যুক্ত মোট উৎপাদন সক্ষমতা ২২ হাজার ৪৮২ মেগাওয়াট। যার মধ্যে ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট সক্ষমতা ১ হাজার ২৯০ মেগাওয়াট, যা মোট সক্ষমতার ৫ দশমিক ৭ শতাংশ।
বিপিডিবি’র পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার ৯১১ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে।
২০২১-২২ অর্থবছরে ডিজেলের মাধ্যমে প্রতি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ ছিল ১৫৪ দশমিক ১১ টাকা। যেখানে গ্যাসচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর খরচ ছিল ৩ দশমিক ৪৬ টাকা। অন্যদিকে, কয়লাচালিত প্ল্যান্টের জন্য এটি ছিল ৯ দশমিক ১৭ টাকা এবং ফার্নেস অয়েল ভিত্তিক প্ল্যান্টের জন্য খরচ ছিল ১১ দশমিক ১০ টাকা।
বিপিডিবির আরেক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মার্কিন ডলার ও ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায়, উৎপাদন খরচও অনেক বেড়ে গেছে।’
তিনি জানান, সব বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) মার্কিন ডলারের দামের ভিত্তিতে স্বাক্ষরিত হয় এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে একটি চুক্তির অধীনে ডলারে অর্থ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আশা করা হচ্ছে: চীনা কর্মকর্তা
বিপিডিবি’র ওই কর্মকর্তা বলেছেন, তাই যদি মার্কিন ডলারের বর্তমান দাম এবং ডিজেলের বর্তমান দাম তুলনা করা হয়, তবে ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন খরচ ২০২১-২২ সালের তুলনায় ২০২৩-২৪ সালে অনেক বেশি হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ডিজেলচালিত প্ল্যান্টের ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের শুল্ক ১৭২ দশমিক ৫ টাকার বেশি। কারণ বর্তমান ডলারের দাম ১০৯ টাকা। অথচ চুক্তি স্বাক্ষরের সময় তা ছিল ৮৫ টাকা।
তিনি আরও বলেন, একইভাবে লিটারপ্রতি ডিজেলের দাম ছিল ৬৫ টাকা, ২০২১ সালের নভেম্বরে তা হয় ৮০ টাকা এবং গত বছরের আগস্টে তা বেড়ে হয় ১১৪ টাকা।
সরকারি সূত্রে জানা যায়, গত ৫ বছরে ব্যয়বহুল এই ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মালিকদের ১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার বা ১১ হাজার ২৮১ দশমিক ৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বিশিষ্ট জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. এম তামিম বলেছেন, ব্যয়বহুল এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ করার সিদ্ধান্তটি খুবই ইতিবাচক।
তিনি ইউএনবিকে বলেছেন, ‘ব্যয়বহুল ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে চালু রাখা অর্থহীন... সরকারের উচিত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাকি সব ডিজেলচালিত প্ল্যান্ট বন্ধ করে দেওয়া।’
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চালু হলে বাংলাদেশসহ এতদঞ্চলের ৩ বিলিয়ন মানুষ উপকৃত হবে
১ বছর আগে
হজ প্যাকেজের খরচ কমল ১১,৭২৫ টাকা
সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনার অধীনে হজ প্যাকেজের খরচ ১১ হাজার ৭২৫ টাকা হ্রাস করা হয়েছে। কারণ, সৌদি আরব বিশ্বব্যাপী ইচ্ছুক হজযাত্রীদের জন্য এই পরিষেবা চার্জ কমিয়েছে।
এ বছর ১১ হাজার ৭২৫ টাকা বাদ দিয়ে হজ পালনের জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের প্রত্যেককে ছয় লাখ ৭১ হাজার ২৯০ টাকা দিতে হবে।
এছাড়া যারা প্রাইভেট ব্যবস্থাপনায় যাবেন, তাদের প্রত্যেককে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৮৯৩ টাকা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: হজের খরচ কমানোর বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি: ধর্ম মন্ত্রণালয়
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যারা ইতোমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে নিবন্ধন করেছেন তারা খাবারের দাম ফেরত দিলে ঢাকায় হজ অফিস থেকে ৪৬ হাজার ৭২৫ টাকা ফেরত পাবেন।
বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলো আগে নিবন্ধন করা প্রত্যেক হজযাত্রীকে ১১ হাজার ৭২৫ টাকা ফেরত দেবে।
এদিকে, সরকার হজ নিবন্ধনের সময়সীমা ২৭ মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
এছাড়া রেজিস্ট্রেশনের কোটা পূরণ হলে হজ নিবন্ধনের সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক হজ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ব্যাংকগুলোকে ২৭ মার্চ তাদের শাখা খোলা রাখতে বলেছে।
১ ফেব্রুয়ারি সরকার প্রতিটি হজযাত্রীর জন্য ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করে যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার টাকা বেশি ছিল।
এছাড়া প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় হজের বর্ধিত ব্যয় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে।
এর মধ্যে প্রতিটি যাত্রীর জন্য বিমান ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা।
১৪ মার্চ হাইকোর্ট প্রশ্ন তোলেন সরকার নির্ধারিত প্যাকেজের খরচে সাধারণ মানুষ কীভাবে হজ করবে।
এতে প্রশ্ন করা হয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো সরকার কেন হজের জন্য বাজেট বরাদ্দ করে না?
চলতি বছরের হজ প্যাকেজ সংশোধন নিয়ে এক রিট আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
গত ১৫ মার্চ রিট আবেদনের শুনানি শেষে হজের খরচ কমানোর উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
এরপর ১৭ মার্চ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিমানের ভাড়া যৌক্তিকভাবে কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়।
এদিকে গত ১৯ মার্চ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম বলেন, এ বছর হজ ফ্লাইটের ভাড়া কমানোর কোনো সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: এবছর আর হজ ফ্লাইটের ভাড়া কমানোর সুযোগ নেই: বিমানের এমডি
হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া কমানোর নির্দেশ সরকারের
১ বছর আগে
ডেঙ্গু পরীক্ষা সরকারিতে ১০০, বেসরকারিতে ৩০০ টাকা
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, সরকারি হাসপাতালে এখন থেকে ডেঙ্গু পরীক্ষায় ১০০ টাকা এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৩০০ টাকা নেয়া হবে।
রবিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের সভাকক্ষে 'কমিউনিটি পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে পর্যালোচনা' শীর্ষক সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঘর পরিষ্কার রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের জন্য এনএস-১ অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় সরকারি হাসপাতালে ১০০ টাকা ফি নেয়ার বিষয়ে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। একইসঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালে ৩০০ টাকা নিতে বলা হয়েছে। এটিই এখন থেকে বলবৎ থাকবে।
এর আগে ২০১৯ সালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি অনেকটা ভয়াবহ আকার ধারণ করলে সে সময় বিনা মূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা সেবা চালু করা হয়। তবে, এখন থেকে এনএস-১ পরীক্ষার জন্য ১০০ টাকা, সিবিসি পরীক্ষায় ২৫০ টাকা এবং আইজিএমের জন্য ২৫০ টাকা করে নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: নভেম্বরের পাঁচদিনে ২৯ জনের মৃত্যু
ডিএনসিসির কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে: মেয়র আতিক
২ বছর আগে
বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা ফি নির্ধারণ করবে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সরকার দেশের বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসার ফি নির্ধারণ করবে এবং চিকিৎসার মানের ভিত্তিতে সেগুলোকে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বেসরকারি হাসপাতালের ফি নির্ধারণ সংক্রান্ত এক সভায় তিনি বলেন, এসব বেসরকারি হাসপাতালকে তাদের সেবার মানের ওপর ভিত্তি করে এ,বি ও সি ক্যাটাগরি হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, বেসরকারি খাতের পাঁচ তারকা হাসপাতালকেও এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালগুলোকে তাদের ক্যাটাগরির বাইরে গিয়ে জনবল ও সরঞ্জামের ক্ষমতার ভিত্তিতে চিকিৎসা দেয়ার অনুমতি থাকবে না।
তিনি বলেন, ‘সরকার প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ওপর জোর দিচ্ছে। তবে প্রাথমিক চিকিৎসার নামে গ্রামে গ্রামে অপরিকল্পিতভাবে ক্লিনিক ও হাসপাতাল স্থাপন ঠেকাতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতালের সেবার মান বাড়াতে হবে। কেবলমাত্র সে হাসপাতালগুলোই অস্ত্রোপচার করবে, যেগুলোর সক্ষমতা ও পর্যাপ্ত সরঞ্জাম রয়েছে।’
আরও পড়ুন: দেশেই স্থানীয়ভাবে করোনা টিকা তৈরির প্রচেষ্টার অগ্রগতি হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত হলে মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবে না। বহু মানুষ বিদেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে বাংলাদেশ হারাচ্ছে বিলিয়ন ডলার।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এছাড়া অনিবন্ধিত ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের ব্যাপারেও সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে।
তিনি বলেন, পল্লী চিকিৎসকদের যাদের কোনো অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট নেই, তারা সেবা চালিয়ে যেতে পারেন না। গ্রামাঞ্চলের অনেক চিকিৎসক সবক্ষেত্রেই অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন: প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করলে লাইসেন্স বাতিল: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে সদস্য দেশগুলোকে তাগিদ দিয়েছে জাতিসংঘ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে