ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধা
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে আজ (বৃহস্পতিবার) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ।
সকাল ১০টা ৫ মিনিটে বারডেম হাসপাতালের হিমঘর থেকে তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয় এবং দুপুর ১টা পর্যন্ত সেখানে রাখা হয়।
ডা. জাফরুল্লাহকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাষ্ট্রের পক্ষে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
দুপুর আড়াইটার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
আগামীকাল সকাল ১০টায় তার মরদেহ সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হবে। বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ৮১ বছর বয়সে মঙ্গলবার রাতে মারা যান।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার রাখা হবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
৯৮৬ দিন আগে
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার রাখা হবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ
সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলতাফুন নেছা মায়া।
বুধবার (১২ এপ্রিল) ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ওইদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে। এরপর সেখানে রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার জানানোর জন্য রাখা হবে।
বর্তমানে ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মরদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমাগারে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আলতাফুন নেছা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রথম জানাজা রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, শ্রদ্ধা জানানো জন্য ১৪ এপ্রিল (শুক্রবার) সকাল ১০টায় সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ রাখা হবে। পরে জুমার নামাজের পর দ্বিতীয় জানাজা হবে গণবিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।
আরও পড়ুন: ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
৯৮৭ দিন আগে
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধকালীন ফিল্ড হাসপাতাল এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সরকারি কাজে যুক্তরাষ্ট্রে সফররত ড. মোমেন এক শোকবার্তায় মরহুম জাফরুল্লাহ চৌধুরীর রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মুক্তিযুদ্ধের পর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মহৎ প্রচেষ্টার সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা স্মরণ করে শোকবার্তায় ড. মোমেন বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা সেবা সহজলভ্য করতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সারাজীবন কাজ করে গেছেন।
মুক্তিযুদ্ধে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অবদানও তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
আরও পড়ুন: ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর নেই
৯৮৭ দিন আগে
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
বুধবার এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, ওষুধ শিল্প ও জনস্বাস্থ্য খাতে ড. জাফরুল্লাহর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর নেই
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
৯৮৭ দিন আগে
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে মঙ্গলবার গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
এক বার্তায় মন্ত্রী তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ৮১ বছর বয়সে মঙ্গলবার রাতে মারা যান।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু জানান, রাত ১১টার দিকে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এর আগে সোমবার সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রবীণ এই চিকিৎসককে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জনিত জটিলতায় ভুগছিলেন।
আরও পড়ুন: ডা. জাফরুল্লাহ লাইফ সাপোর্টে
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর নেই
৯৮৭ দিন আগে
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর নেই
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
মঙ্গলবার ডা. জাফরুল্লাহ গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু জানান।
এর আগে সোমবার সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রবীণ এই চিকিৎসককে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. মামুন মুস্তাফিকে প্রধান করে রবিবার একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
ডা. জাফরুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জনিত জটিলতায় ভুগছিলেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় জাফরুল্লাহ চৌধুরী মেডিসিনে স্নাতকোত্তর পড়াশোনার জন্য যুক্তরাজ্যে ছিলেন। মাত্র ৩০ বছর বয়সে তিনি ক্যাপ্টেন আখতার আহমেদের সহযোগিতায় মুক্তিযোদ্ধা ও শরণার্থীদের জন্য ৪৮০ শয্যার বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।
হাসপাতালটি তখন বাংলাদেশি চিকিৎসক, মেডিকেল শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবক এবং স্বাস্থ্যসেবায় পূর্বে কোনো প্রশিক্ষণ নেই এমন নারীদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। তবে, তাদেরকে রোগীদের সহায়তা করার জন্য কয়েক দিনের মধ্যেই প্রশিক্ষিত করা হয়েছিল। এই ঘটনাটি অনন্য। স্বাধীনতার পর যখন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্ম হয়, তখন এই বৈপ্লবিক প্রস্তাবের পেছনের ধারণাটি জনস্বাস্থ্য সরবরাহের দর্শনে বিকশিত হয়।
আরও পড়ুন: ডা. জাফরুল্লাহ লাইফ সাপোর্টে
তিনি ১৯৮২ সালে গৃহীত দেশের প্রথম জাতীয় ওষুধ নীতির স্থপতিও ছিলেন। যা এখনও জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে দেশের সাফল্যের একটি কেন্দ্রীয় হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হয়, নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জনসংখ্যার আকারের বিচারে এটি অবিস্মরণীয় কঠিন কাজ।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব কেটেছে কলকাতায় এবং পরে তার পরিবার বাংলাদেশে বসতি স্থাপন করে। তিনি ১৯৭২ সালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। 'বেসিক হেলথ কেয়ার ইন রুরাল বাংলাদেশ' (গ্রামীণ বাংলাদেশে মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা) শীর্ষক একটি ধারণাপত্রে এই প্রস্তাব প্রথম উপস্থাপন করা হয়।
জাফরুল্লাহ ছিলেন তার মা-বাবার ১০ম সন্তান। বকশীবাজারের নবকুমার স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে তিনি ঢাকা কলেজে ভর্তি হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি কমিউনিস্ট রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে পরিচিত হন।
তিনি ১৯৬৪ সালে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন এবং জেনারেল অ্যান্ড ভাস্কুলার সার্জারিতে স্নাতকোত্তর অধ্যয়নের জন্য যুক্তরাজ্যে যান। তবে যুদ্ধে ফিরে এসে তার অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।।
১৯৮৫ সালে তিনি ওষুধ নীতি ১৯৮২ এর ওপর তার কাজের জন্য কমিউনিটি লিডারশিপ বিভাগে র্যামন ম্যাগসেসে পুরষ্কার জিতেছিলেন।
স্বাস্থ্য ও মানব উন্নয়নে তার ব্যতিক্রমী কাজের জন্য তিনি ১৯৯২ সালে রাইট লাইভলিহুড পুরস্কার লাভ করেন।
আরও পড়ুন: রাফসান হত্যার নেপথ্যে কিছু আছে কিনা তদন্ত করতে হবে: কাজী জাফরুল্লাহ
সুযোগ সীমাবদ্ধ থাকা সত্ত্বেও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কম ব্যয়বহুল জেনেরিক ওষুধের বিকাশে অগ্রদূত ছিল। জাফরুল্লাহর নেতৃত্বে ১৯৭৩ সালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র বাংলাদেশে পল্লী স্বাস্থ্যসেবা বীমা ব্যবস্থা চালু করে।
২০১০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইউসি বার্কলে তাকে আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য হিরো হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী অত্যন্ত সরল জীবনযাপনের মাধ্যমে জনসাধারণের কাছে নিজেকে আকৃষ্ট করেছেন, তবে জনস্বার্থে নিজের বিবেকের কথা বলতে কখনও পিছপা হননি।
যদিও তিনি কখনও কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন না, তবুও তিনি অনিবার্যভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত হয়েছিলেন।
২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং শেষ দিকে আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
কিন্তু তার সামগ্রিক জীবনের কাজকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে গণ্য করা যায় না এবং এমন অনেক সময় ছিল যখন তার মতামত বিএনপির সঙ্গেও সাংঘর্ষিক ছিল।
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপের সঙ্গে 'রাষ্ট্রবিরোধী' বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিলের দাবি ডা. জাফরুল্লাহর
৯৮৭ দিন আগে
আদানি গ্রুপের সঙ্গে 'রাষ্ট্রবিরোধী' বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিলের দাবি ডা. জাফরুল্লাহর
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী রবিবার ভারতীয় আদানি গ্রুপের সঙ্গে সরকারের বিদ্যুৎ চুক্তিকে রাষ্ট্রবিরোধী বলে বর্ণনা করেছেন এবং এটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চুক্তি দেশপ্রেমিক ও বিবেকবান মানুষকে হতবাক করেছে। এই চুক্তি বাংলাদেশের স্বার্থের পরিপন্থী এবং এটি প্রত্যাহার করা উচিত।’
রবিবার রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা জাফরুল্লাহ এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা এই চুক্তিকে বিদ্যুৎ আমদানির নামে দেশের সম্পদ লুটপাট এবং ভারত সরকারকে বাংলাদেশ সরকারের দেয়া উপহার হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
জাফরুল্লাহ বলেন, ‘এই চুক্তিটি মূলত আদানির পকেট ভরার জন্য সই হয়েছিল। এটি একটি একতরফা এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল চুক্তি।’
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশে দুর্নীতি, অপশাসন, অর্থপাচার ও সীমাহীন লুণ্ঠন জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সরকারের ব্যর্থতায় মন্দিরে ভাঙচুর : ডা. জাফরুল্লাহ
শুক্রবার আহমদিয়াদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার নিন্দা করেছেন জাফরুল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘পঞ্চগড়ে তাদের ওপর হামলা প্রতিরোধে ব্যর্থতার জন্য সরকারকে আহমদিয়া সম্প্রদায়কে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সরকার প্রধানের উচিত তাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া।’
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকার বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য নয়, রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি করেছে।
জুনায়েদ সাকি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ভারত সরকারকে খুশি করার জন্য ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে আদানির সঙ্গে চুক্তি করেছিল। ভারত যদি কোনো দলকে ক্ষমতায় রাখতে চায়, তাহলে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে তাদের বন্ধুত্ব থাকবে না।
আরও পড়ুন: ডা. জাফরুল্লাহর রিট মামলা শুনতে হাইকোর্ট বেঞ্চের অপারগতা
শাল্লার হামলায় সরকারি দলের লোক জড়িত: ডা. জাফরুল্লাহ
১০২৫ দিন আগে
কুমিল্লার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি ডা. জাফরুল্লাহর
কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে প্রতিমার পায়ে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। শুক্রবার কুমিল্লার নানুয়াদিঘীর পাড়ের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করে এ দাবি জানান তিনি।
এ সময় গণসংহতি পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ও অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে তারা স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং এ ঘটনার বিস্তারিত শুনেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এ সময় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘১৫ দিনের মধ্যে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হওয়া উচিত। পূজামণ্ডপে এই ধরনের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের ঘটনা সরকারের ব্যর্থতা। সরকার এটিকে ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা করছে। তবে সকলের প্রতি আহ্বান ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা হোক।’
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘যারাই পূজামণ্ডপে কোরআন রেখেছেন তারা পরিকল্পিতভাবেই একটি সহিংসতা তৈরি করতে চাচ্ছে। আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাই এবং বিচার দাবি করি। যারা কোরআন অবমাননা করেছেন এবং প্রতিমা ভেঙ্গেছেন তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
এদিকে একই সময়ে আলাদাভাবে নানুয়াদিঘীর পাড়ের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা। এ সময় তারা স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে অন্যান্য পূজামণ্ডপও পরিদর্শন করেন। কুমিল্লার ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় অপরাধীদের খুঁজে বের করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
কুমিল্লার ঘটনায় কয়েকজনকে চিহ্ণিত করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে: ওবায়দুল কাদের
১৫৩১ দিন আগে
টিকা নিলেন জাফরুল্লাহ, প্রধানমন্ত্রীকেও নেয়ার আহ্বান
দেশব্যাপী টিকাদানের প্রথমদিনে কোভিড-১৯ টিকা নিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
১৭৮১ দিন আগে
‘শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করতে অটো পাস এক চক্রান্ত’
এইচএসসি ও অন্যান্য পরীক্ষা না নিয়ে শিক্ষার্থীদের অটো পাস দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে শনিবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, এটি দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও জাতিকে ধ্বংস করার চক্রান্তের অংশ।
১৮৮৭ দিন আগে