বেবিচক
বিমান চলাচলে সুইজারল্যান্ড- ইইউয়ের সঙ্গে বেবিচকের চুক্তি সই
সুইজারল্যান্ড ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বিমান চলাচল বিষয়ে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
গত মঙ্গলবার (৪ জুন) সুইজারল্যান্ডের বার্নে বাংলাদেশ সরকার ও সু্ইস ফেডারেল কাউন্সিলের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল চুক্তি সই হয়েছে।
এই চুক্তি সইয়ের ফলে ইউরোপের আরও একটি নতুন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি বিমান চলাচলের দ্বার উম্মোচিত হলো।
চুক্তির অধীনে দুই দেশের মনোনীত বিমানসংস্থাগুলো সপ্তাহে সাতটি যাত্রী ও সাতটি কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে।
এছাড়া চুক্তিতে মনোনীত দুই দেশের বিমানসংস্থাগুলো যাতে নিজেদের ও তৃতীয় কোনো দেশের বিমানসংস্থার সঙ্গে কোড শেয়ারের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারে সে সুযোগ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের মধ্যেই পবিত্র হজ শুরু
সুইজারল্যান্ডের পক্ষে সুইস এয়ার ইন্টারন্যাশনাল ও এডেলউইস এয়ার এজি এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউ এস বাংলা এয়ার ও নভেএয়ার কে দুই দেশের মধ্যে পরিসেবা প্রদানের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান এবং সুইস ফেডারেল অফিস অব সিভিল এভিয়েশনের (এফওসিএ) ডাইরেক্টর জেনারেল ক্রিশ্চিয়ান হেগনার এ চুক্তিতে সই করেন।
এছাড়া, ৭ জুন বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে বাংলাদেশ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল চুক্তি সই হয়।
এর আগে ২০০৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তারিখে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথম চুক্তিটি অনুস্বাক্ষরিত হয়েছিল। এরপর দুই পক্ষের নিজেদের মধ্যকার প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে চুক্তিটি চূড়ান্তভাবে স্বাক্ষরিত হলো।
এ ধরনের চুক্তি ইইউ হরাইজন্টাল চুক্তি নামে বহুল পরিচিত।
চুক্তিটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ইইউভূক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বিমান চলাচল পরিচালনার ক্ষেত্রে একই ধরনের বিধি-বিধান প্রতিপালন নিশ্চিত করা।
ইইউ ও বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন ইউরোপিয়ান কমিশনের ডারেক্টরেট জেনারেল ফর মবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টের ডাইরেক্টর ফিলিপ কর্নেলিস এবং বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।
চুক্তি দুটি সইয়ের জন্য বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ২ জুন সুইজারল্যান্ড ও ৬ জুন বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে যান।
চুক্তি সই অনুষ্ঠান দুটিতে সুইজারল্যান্ডস্থ বাংলাদেশ মিশনের ডিপুটি পার্মানেন্ট রিপ্রেজেনটেটিভ অ্যান্ড চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স মিস সঞ্চিতা হক ও বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাংলাদেশ মিশনের রাষ্ট্রদূত ও হেড অব দি মিশন মাহবুব হাসান সালেহ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রোকসিন্দা ফারহানা, সিএএবির স্পেশাল ইন্সপেক্টর এস এম গোলাম রাব্বানী এবং জেনেভা ও ব্রাসেলস এ অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক এখন বিশ্বে দৃষ্টান্ত: ভোরের কাগজ গোলটেবিল বৈঠকে শাহরিয়ার আলম
শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গতিশীল করবে: গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা
৬ মাস আগে
ইসরায়েল থেকে ঢাকায় বিমান প্রসঙ্গে বেবিচকের ব্যাখ্যা
সম্প্রতি ‘ইসরায়েল থেকে বিমান এলো ঢাকায়’ শিরোনামে বিভিন্ন পত্রপত্রিকার অনলাইন সংস্করণে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদের কারণে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
বেবিচক জানায়, বাংলাদেশ ও ইসরায়েলের মধ্যে কোনো বিমান চলাচল চুক্তি নেই এবং ইসরায়েলের কোনো বিমান বাংলাদেশে অবতরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বেবিচক এই কথা জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইসরায়েল থেকে বিমান এলো ঢাকায়- শিরোনামে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভিন্নভাবে প্রকাশের ফলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে একটি বিমান তেল আবিব থেকে গত ৭ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করে। কার্গো নিয়ে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা ত্যাগ করে বিমানটি।
আরও পড়ুন: আজ আমাদের অত্যন্ত খুশির দিন: বেবিচক
এরপর গত ১১ এপ্রিল রাত ৭টা ৫৫ মিনিটে অন্য আরেকটি বিমান ঢাকায় অবতরণ করে। কার্গো নিয়ে মধ্য রাত ১২টা ২৯ মিনিটে ঢাকা ত্যাগ করে।
বেবিচক জানায়, দুটি বিমানই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত ও ওই দেশের বিমান সংস্থা ন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের।
বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল চুক্তি অনুযায়ী কার্গো ফ্লাইট দুটি ঢাকায় আসে। ঢাকা থেকে তৈরি পোশাক নিয়ে ফ্লাইট দুটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ এবং ইউরোপে যায়।
বেবিচক মনে করে, ইসরায়েল থেকে বিমান এলো ঢাকায়- শিরোনামে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভিন্নভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বিবেচ্য বলে জানিয়ে এ ধরনের সংবাদ পরিবেশনা থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছে বেবিচক।
আরও পড়ুন: যাত্রীদের সুবিধার্থে ঈদে বিমানের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট বৃদ্ধি
৮ মাস আগে
৭ অক্টোবর হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিং: বেবিচক চেয়ারম্যান
আগামী ৭ অক্টোবর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিং করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুরে নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান।
তিনি বলেন, আগামী ৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সফট ওপেনিং করবেন ।
তিনি বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আমাদের জানানো হয়েছে ৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী সফট ওপেনিং করবেন। সফট উদ্বোধনের আগে প্রকল্পের ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, ৭ অক্টোবর আংশিক উদ্বোধন হলেও যাত্রীরা টার্মিনাল ব্যবহার করতে পারবেন ২০২৪ সালের শেষের দিকে।
আরও পড়ুন: অক্টোবরে ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে চালু হবে ১২ বোর্ডিং ব্রিজ: বেবিচক
ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ করবে জাপান: বেবিচক চেয়ারম্যান
বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের ৭৭.৫% কাজ শেষ, আগামী বছর চালু: বেবিচক চেয়ারম্যান
১ বছর আগে
অক্টোবরে ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে চালু হবে ১২ বোর্ডিং ব্রিজ: বেবিচক
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালটি চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে আংশিকভাবে চালু করা হবে।
রবিবার (৬ আগস্ট) বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মুহাম্মদ মফিদুর রহমান ইউএনবিকে এসব জানান।
তিনি বলেন, টার্মিনালের নির্মাণ কাজ বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ৮৫ শতাংশেরও বেশি কাজ শেষ হয়েছে।
ঢাকা বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালটির আয়োতন ৫ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটার। এটি পুরোপুরি চালু হলে বছরে ১ কোটিরও বেশি যাত্রীসেবাসহ অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাও দিতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে থাকায় তৃতীয় টার্মিনাল ভবনের দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য এখন দৃশ্যমান। বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা এবং বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ চলছে।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে ৩০টিরও বেশি এয়ারলাইনসের ১২০ থেকে ১৩০টি উড়োজাহাজ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-১ ও টার্মিনাল-২ থেকে উড্ডয়ন ও অবতরণ করে।
প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার যাত্রী বিমানবন্দরের দু’টি টার্মিনাল ব্যবহার করেন। সে হিসেবে ঢাকা বিমানবন্দর বছরে প্রায় ৮০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেয়। তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে অতিরিক্ত ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন টার্মিনালে একটি পার্কিং অ্যাপ্রোন থাকবে যা ৩৭টি উড়োজাহাজ ধারণ করতে সক্ষম হবে। এতে ২৬টি বোর্ডিং ব্রিজের ব্যবস্থাও থাকবে। এর মধ্যে আগামী অক্টোবরে ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ চালু করা হবে।
দ্রুত, আরও ভালো সেবা
যাত্রীদের দ্রুত ও উন্নত সেবা প্রদানের জন্য পাঁচটি স্বয়ংক্রিয় কাউন্টারসহ মোট ৫৯টি কাউন্টার থাকবে। এ ছাড়া তৃতীয় টার্মিনালে ১৬টি ব্যাগেজ বেল্ট এবং অতিরিক্ত ওজনের ব্যাগেজের জন্য চারটি আলাদা বেল্ট স্থাপন করা হবে।
টার্মিনালে ১৫টি সেলফ-সার্ভিস কাউন্টারসহ ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার এবং ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টারসহ ৬৬টি প্রস্থান ইমিগ্রেশন কাউন্টার থাকবে।
সিএএবি সূত্র জানায়, বিশ্বমানের টার্মিনালে ১ হাজার ৪৪টি গাড়ি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন বহুতল গাড়ির পার্কিংও নির্মাণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ করবে জাপান: বেবিচক চেয়ারম্যান
১ বছর আগে
আন্তর্জাতিক বিমান ভ্রমণের ওপর কোভিড-১৯ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বেবিচক
বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ(বেবিচক) অবিলম্বে কার্যকর আন্তর্জাতিক বিমান ভ্রমণের জন্য কোভিড-১৯ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
বেবিচক’র একটি সার্কুলার অনুসারে, বাংলাদেশের বাইরে থেকে আগত যাত্রীদের একটি অনলাইন স্বাস্থ্য ঘোষণা ফর্ম (এইচডিএফ) পূরণ করতে হবে না এবং আরটি-পিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট বা একটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্ড/প্রশংসাপত্র প্রদান করতে হবে না।
আরও পড়ুন: দেশের ৩ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পিসিআর পরীক্ষা হবে
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণকারী যাত্রীদের গন্তব্য দেশগুলোর নির্ধারিত শর্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এছাড়াও, মাস্ক পরা সম্পর্কিত বিধিনিষেধ, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং কোভিড-১৯ এর বিস্তার সম্পর্কিত অন্যান্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলোও শিথিল করার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
তবে, উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থান/জোনে (যেমন হাসপাতাল, ক্লিনিক ইত্যাদি) কর্মরত ভ্রমণকারীরা এবং কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসহ অত্যন্ত সংবেদনশীল ভ্রমণকারীদের সতর্কতা হিসাবে মাস্ক পরতে হবে।
এটি আরও বলেছে, হজ যাত্রীদের অবশ্যই সৌদি আরবের নির্ধারিত শর্তগুলো মেনে চলতে হবে এবং মার্স ভাইরাসের বিস্তার রোধ করতে উট থেকে নিজেদের দূরে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে মঙ্গলবার থেকে আরটি-পিসিআর টেস্ট শুরু
১ বছর আগে
তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সেবা উন্নত করতে আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানকে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ দেয়া হবে।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এর চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে ইউএনবিকে বলেছেন, সংস্থাটি দেশিয় বা যেকোনো বিদেশি কোম্পানি হতে পারে, তবে এর মান অবশ্যই আন্তর্জাতিক হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান বলতে শুধু বিদেশি কোম্পানিকে বুঝানো হচ্ছে না। আন্তর্জাতিক মানের দেশিও হতে পারে বা বিদেশিও হতে পারে।
বেবিচক সূত্রে জানা যায়, মূলত গ্রাউন্ড ও কার্গো হ্যান্ডলিং নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নানা অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা আর যাত্রী ভোগান্তির কারণে তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড ও কার্গো হ্যান্ডলিং কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানকে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে করা হবে।
যাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নতুন তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড এবং কার্গো হ্যান্ডলিং কার্যক্রম একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানের কাছে আউটসোর্স করা হবে।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে অনেকবার যথেষ্ট কঠোরভাবে বলা হয়েছে একটি লাগেজও যাতে নষ্ট না হয়। লাগেজটাকে যেন মানুষের মতো ফিল (অনুভব) করা হয় কিন্তু তারা শুনছে না। এটা খুবই দুঃখজনক।
পড়ুন: ঢাকার নদী দূষণে মূল দায়ী ওয়াসা: এনআরসিসি চেয়ারম্যান
তিনি বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক মানের সেবা, যেখানে যাত্রীর কোনো অভিযোগ থাকবে না। দ্রুত সেবা দেয়া যাবে। যাতে কোনো যাত্রী ভোগান্তি না হয় এবং সরকারের আয়ও বাড়বে।’
তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ইউএনবিকে বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করার কথা ভাবছি। তখন সমস্ত নিয়ম ও শর্ত পরিপালন করে যারা যোগ্য বিবেচিত হবেন তারাই এই টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ পাবেন। আমাদের লক্ষ্য যাত্রীদের উন্নত সেবা প্রদান করা, তার জন্য করণীয় সকল কাজ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের কাজের মান নিয়ে কোন ধরনের আপোষ করা হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। দরপত্রে উল্লেখিত মানের পণ্যই এই প্রকল্পের কাজে সরবরাহ নেয়া হবে, অন্য কোন কিছু গ্রহণ করা হবে না। রাষ্ট্রের বা জনগণের এক পয়সা ক্ষতি হয় এরকম কোন কিছু এখানে প্রশ্রয় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান উন্নত দেশে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং করছে এমন প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করা হবে। বিমানবন্দরের সেবার মান নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো আপস করব না।
মাহবুব আলী বলেন, বিমানবন্দরে যাত্রীরা যাতে কোন হয়রানির শিকার না হন এবং পৃথিবীর বিভিন্ন এয়ারপোর্টে যে সেবা দেয়া হয়, সেই ধরনের আন্তর্জাতিক সেবা যাতে দেয়া হয়, সেটা আমরা নিশ্চিত করবো।
পড়ুন: তীব্র খরায় বাগেরহাটে আমন উৎপাদন ব্যাহত
কফি, একাকীত্ব বা সুখ: বিশ্বের ‘উদ্ভট’ যত মন্ত্রণালয়
২ বছর আগে
অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে যাত্রী সেবার মান বাড়াতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: বেবিচক
দেশের সকল অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধিসহ আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের সাতটি বিমানবন্দরে অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি যাত্রী সেবার মান বাড়ানোর জন্য এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়াও কক্সবাজার, রাজশাহী, সৈয়দপুর, নীলফামারী এবং বরিশালে অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর রয়েছে।
আরও পড়ুন: অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা জোরদারে গুরুত্বারোপ: সরকারি নথি
পর্যায়ক্রমে সব অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে আধুনিকায়ণের পদক্ষেপ
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিজুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের সাতটি বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলোতে যাত্রী সেবার মান বাড়ানোর কাজ চলছে।
তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে যাত্রী সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ টার্মিনালের কাজ শুরু হয়েছে, যা দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্প্রসারণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। এছাড়া বাকি সবগুলোতেই দ্রুত সময়ে কাজ শুরু হবে।
চেয়ারম্যান বলেন, শাহজালালের অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরগুলোর অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল ভবনগুলো একইভাবে সম্প্রসারণ করা হবে এ জন্য একটি বাজেট ধরা হয়েছে। ইতোমধ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নেয়া হয়েছে।
এছাড়াও কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রূপান্তরের কাজ চলছে। ওই কাজের অংশ হিসেবে সেখানে অভ্যন্তরীণ টার্মিনালকে আরও আধুনিকায়ন করা হবে।
বেবিচক জানায়, অভ্যন্তরীণ যাত্রীদের চাপ সামাল দেয়ার পাশাপাশি সেবার মান বাড়ানোর জন্য এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শাহজালালের অভ্যন্তরীণ পুরনো টার্মিনাল ভবনের দ্বিতীয় তলায় ৮ হাজার বর্গফুটের একটি ফ্লোর তৈরি করা হচ্ছে। ওই ফ্লোরের অর্ধেক অংশ জুড়ে থাকবে দুটি আন্তর্জাতিক মানের লাউঞ্জ। আর বাকি অর্ধেক জায়গায় থাকবে যাত্রীদের বসার ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সুবিধা। থাকবে লিফটসহ শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা।
তিনি আরও জানান, শাহাজালাল বিমানবন্দরে অভ্যন্তরীন টার্মানালে আধুনিক স্ক্যানিং মেশিন নিরাপত্তা সরঞ্জাম, আন্তর্জাতিক মানের দুটি লাউঞ্জ, ৩০০ অধিক যাত্রী বসার ব্যবস্থা, স্মোকিং রুম, ডায়াপার চেঞ্জিং স্টেশন, মাদার্স কর্নার স্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ৩০ স্বর্ণের বার জব্দ, বিমানের নিরাপত্তা কর্মীসহ আটক ২
অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে চাপ বাড়ছে
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমানচলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ইউএনবিকে বলেন, বহির্বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিমানবন্দরে যাত্রী সেবার মান বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সকল অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলো আরও আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের বিদ্যমান যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থার মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য হারে যাত্রী প্রতিনিয়তই বাড়ছে। দেশের মানুষ এখন অর্থনৈতিকভাবে অনেক উন্নত হয়েছে। বিদেশি, ব্যবসায়ী, পর্যটক সময় বাঁচাতে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে বেশি যাতায়ত করছে ফলে যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেজন্যই আমরা সকল অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরের কাজগুলোতে গুরুত্ব দিয়ে প্রকল্প হাতে নিয়েছি।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে যাত্রী সংখ্যা প্রচুর হওয়ায় ঢাকায় অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে যাত্রীদের অপেক্ষমাণ সময় আরও স্বাচ্ছন্দবোধসহ সকল সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের সকল অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলোকে ঢেলে সাজানো হবে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দেরের সকল সুবিধা অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দেরে কীভাবে করা যায় আমরা সে উদ্যোগ নিয়েছি।
বেবিচক জানায়, অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আপডেট করা হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে অপরাধ ঠেকাতে নিরাপত্তা সরঞ্জাম স্থাপন করা হবে। সব রুটে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে।
পড়ুন: বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
বিমানবন্দর এবং এয়ারলাইন্স উভয় ক্ষেত্রেই সেবার মান উন্নত করা দরকার
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ও নভোএয়ার অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা করছে। তবে সবচেয়ে বেশি বিমান পরিচালনা করছে ইউএস বাংলা-এয়ারলাইন্স।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স-এর মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ৭-৮ বছরে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে প্রায় ৩০০ শতাংশ যাত্রী বেড়েছে। সে অনুযায়ী যাত্রীদের সুবিধা বাড়েনি। যাত্রী সেবার মান আগের অবস্থায় রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, এয়ারলাইন্সগুলো শুধু যাত্রী সেবার মান বাড়ালে হবে না। সাথে এয়ারপোর্টও সেবার মান থাকতে হবে। মোট কথা যাত্রী সেবার মান এয়ারপোর্ট ও এয়ারলাইন্স দুটো মিলিয়েই থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ঢাকা, কক্সবাজার ও রাজশাহীতে যাত্রী লাউঞ্জ স্থাপন করা হয়েছ। তেমনি বাকি সবগুলো অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে যাত্রী লাউঞ্জসহ সকল সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
২ বছর আগে
ভারতসহ ৮ দেশ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতসহ আটটি দেশ থেকে যাত্রীদের বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
সোমবার সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে বেবিচক এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, গ্রুপ এ এর আওতায় ভারত, নেপাল, দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা, মঙ্গোলিয়া, নামিবিয়া, পানামা এবং তিউনিসিয়াসহ আটটি দেশ থেকে যাত্রীদের বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে কোটি টাকার স্বর্ণসহ যাত্রী গ্রেপ্তার
এই নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে কোনো বাংলাদেশি এই আটটি দেশে অবস্থান করলে দেশে ফেরার অনুমতি পাবেন।
বাংলাদেশি মেরিনার দেশে ফেরার আগের ১৫ দিনের মধ্যে এই আটটি দেশে থাকলে, তাদের পেশা সম্পর্কে তথ্য ও বৈধ কাগজপত্র দেখিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন।
আরও পড়ুন: শুধু ট্রানজিট যাত্রী নিয়ে তিন রুটে যাবে বিমান
এক্ষেত্রে দেশে আসার পর নিজ খরচে সরকার-মনোনীত হোটেলে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গ্রুপ বি এর আওতায় আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, জর্জিয়া, কুয়েত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য এবং উরুগুয়েসহ ১২টি দেশের যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি পাবে।
আরও পড়ুন: অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট বাড়াল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স
এসব দেশ থেকে আগত যাত্রীদের টিকা দেয়া থাকলে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। আর টিকা নেয়া না হলে নিজ খরচে সরকার মনোনীত হোটেলে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
৩ বছর আগে
টিকে থাকতে মন্ত্রণালয় ও বেবিচকের সহযোগিতা চায় বেসরকারি এয়ারলাইন্স
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সীমিত পরিসরে চলছে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট। সব মিলিয়ে বেসরকারি এভিয়েশন খাতের ভঙ্গুর অবস্থা। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে ও টিকে থাকতে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো।
শনিবার (৮ মে) ‘মহামারিতে বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টর : চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এ কথা বলেন বক্তারা।
ওয়েবিনারটির আয়োজন করে এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম (এটিজেএফ)।
বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রথম থেকেই চেয়েছিলেন এই সেক্টরটি ঘুরে দাঁড়াক। প্রাইভেট এয়ারলাইন্সগুলো যাতে তাদের সেবা চালু রাখতে পারে সেজন্য তাদের যে ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন তাই দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: বাণিজ্যিক বিমান পরিসেবা চালু করেছে সরকার
ওয়েবিনারে এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এওএবি) মহাসচিব ও নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে আটটি বেসরকারি এয়ারলাইন্স ব্যবসা শুরু করেছিল। এরই মধ্যে ৫টি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে গেছে। টিকে থাকা তিনটির মধ্যে রিজেন্ট এয়ারলাইন্স ফ্লাইট স্থগিত করেছে, দুটি চলছে। যেসব কারণে এয়ারলাইন্সগুলো বন্ধ হয়েছে সেই কারণগুলো এখনো বিরাজমান।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে সিভিল এভিয়েশনের চার্জ অনেক বেশি। আমরা এ কথাগুলো বার বার অনেক জায়গায় বলেছি। তবে কোনো কাজ হয়নি। আমাদের এভিয়েশন ফাইন্যান্স ইন্টারেস্ট আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড থেকে বেশি। প্লেনের কোনো যন্ত্রাংশ নষ্ট হলে সেগুলো অর্ডার দেওয়ার পর দেশে আসতে সময় বেশি লাগে। অনেক ক্ষেত্রে তিন মাস লেগে যায়। এই সমস্যাগুলো দীর্ঘদিন ধরে চলছে। ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়েছে করোনাভাইরাস। করোনার প্রথম ঢেউয়ে আমরা মন্ত্রণালয় এবং বেবিচক থেকে অনেক সাহায্য পেয়েছি। আশা করছি, এবারের সংকটে তারা প্রতিটি স্টেক হোল্ডারের সঙ্গে ‘ওয়ান টু ওয়ান’ বসে কার কী দরকার সে বিষয়ে আলোচনা করবে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে এভিয়েশন খাতকে বাঁচিয়ে রাখার বিকল্প নেই। আমরা ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৭টি নতুন এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট আনি। ৮টি আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালু করি। এরপরই হানা দেয় করোনা। আমরা এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত, এর মাঝে আমাদের জেট ফুয়েলের দাম অভ্যন্তরীণে ৪৬টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০ এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ৩৬ থেকে ৫০ টাকা করা হয়েছে। ডিলে ইনভয়েজের চার্জ, অ্যারোনটিক্যাল, নন-অ্যারোনটিক্যাল চার্জ সবই বেশি। অথচ ভারতে ৮০ সিটের নিচে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের কোনো অ্যারোনেটিকাল চার্জ লাগে না। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এবং বিমান ৬ হাজার কোটি টাকা ফরেন রেমিটেন্স রিটেইন করেছে। বাংলাদেশের আকাশপথের মার্কেট শেয়ারের ৭০ ভাগ বিদেশি ও ৩০ ভাগ দেশি এয়ারলাইন্সের কাছে। অথচ আমাদের মার্কেট শেয়ার ৭০ ভাগ হওয়ার কথা ছিল।
তিনি বলেন, এগুলো আমরা গত ৭ বছর ধরেই বলে যাচ্ছি। অথচ করোনাপরবর্তী সময় বাংলাদেশ থেকে শুধুমাত্র ডোমেস্টিকে ৫০ লাখ টাকার প্রণোদনা পেয়েছি। যদিও আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তবে আমি মনে করি আমাদের প্রতিমন্ত্রী ও চেয়ারম্যান তাদের সর্বোচ্চটা দিয়েছেন। আমাদের টিকিয়ে রাখতে হলে তাদের আরও সহযোগিতা দরকার।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের পর্ষদের চেয়ারম্যান ও এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, আমরা করোনার প্রথম ধাক্কা সামলে নিয়েছিলাম। তবে আরেকটি ঢেউ এভিয়েশন খাতকে আঘাত করেছে। সারা পৃথিবীর এয়ারলাইন্সগুলো যখন বিপর্যস্ত, তখন বাংলাদেশের ৩টি এয়ারলাইন্স আমাদের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো যদি বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর বন্ধ হওয়ার কারণ বিশ্লেষণ করে তাহলে আগামীর সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। আর যদি সেসব সমস্যা ফিগারআউড না করা হয় সেক্ষেত্রে বর্তমানে ফ্লাইট চালানো এয়ারলাইন্সগুলোকে টিকিয়ে রাখা দুঃসাধ্য হবে।
এ সময় বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, আমরা করোনার প্রথম ঢেউকে আকস্মিকভাবে দেখিনি। আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় আমরা প্রথমে ফ্লাইট গুটিয়ে নিলেও পরে আবার ধাপে ধাপে খুলে দিয়েছিলাম। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী, এয়ারলাইন্স এবং মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম। এয়ারলাইন্সগুলোকে বাড়াতে আমরা প্রণোদনা দিয়েছি, নানা চার্জ মওকুফ করেছি, বসে থাকা যাত্রীবাহী ফ্লাইটে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিয়েছি। পাশাপাশি বাংলাদেশি এয়ারলাইন্সকে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা অনেক চার্জ মওকুফ করেছি, তবে সিভিল এভিয়েশনকে চালাতেও অর্থের প্রয়োজন। সিভিল এভিয়েশনকে চালাতে ১৬০০ কোটি টাকা দরকার, অথচ করোনাকালে আমাদের রাজস্ব ৮০০ কোটিতে চলে এসেছে। সারচার্জ কমানোসহ অন্যান্য চার্জ মওকুফ করার বিষয়টি দেশের অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত। এগুলো বিষয়ে আমরা সবার সঙ্গে বসে আলোচনা করব।
অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এমডি আবু সালেহ মোস্তফা কামাল, ট্রাভেল এজেন্সি মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) সভাপতি মনছুর আহামেদ কালাম, ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান, এটিজেএফবির সভাপতি নাদিরা কিরণ ও সাধারণ সম্পাদক তানজিম আনোয়ার যুক্ত ছিলেন।
৩ বছর আগে
বাণিজ্যিক বিমান পরিসেবা চালু করেছে সরকার
বাংলাদেশের সাথে ৩৮টি দেশের বাণিজ্যিক বিমানে যাত্রী পরিবহন সেবা পুনরায় চালু করেছে সরকার।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) রাতে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এক বিবৃতিতে জানায়, শনিবার (১ মে) থেকে বিভিন্ন রুটে বিমান চলাচল শুরু হবে। তবে অতিরিক্ত করোনা ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো সাথে বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে।
বেবিচকের বিবৃতিতে বলা হয়, ৩৮টি দেশের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো থেকে আগত যাত্রীদের সরকার নির্ধারিত হোটেলে নিজ খরছে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
তবে কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো হতে আগত যাত্রীদের ১৪ দিন বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: ‘কে-নাইন’: ঢাকা বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় অন্যন্য এক বাহিনী
কিন্তু অধিক ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় থাকা কাতার, বাহরাইন এবং কুয়েত থেকে আসা যাত্রীদের জন্য তিনদিন প্রাতিষ্ঠানিক এবং ১১দিন হোম কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম করা হয়েছে।
এদিকে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত ভারতের সাথে বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে বেবিচকের বিবৃতিতে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে সরকার গত ১৪ এপ্রিল সারাদেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণার পাশাপাশি সকল বৈদেশিক বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
৩ বছর আগে