অনলাইন ক্লাস
সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়: ৪০ শতাংশ অনলাইনে, ৬০ শতাংশ ক্লাস হবে সশরীরে
ঢাকা মহানগরীর সরকারি সাত কলেজের জন্য প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০ শতাংশ ক্লাস হবে অনলাইনে, আর বাকি ৬০ শতাংশ ক্লাস সশরীরে অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (৪ আগস্ট) সচিবালয়ে ঢাকা মহানগরীর সরকারি ৭ কলেজের জন্য প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন সংক্রান্ত কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের রুটিন দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিব মজিবর রহমান এ তথ্য জানান।
নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশিষ্ট্য ও পরিচালনাপদ্ধতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা হবে ইন্টারডিসিপ্লিনারি ও হাইব্রিড ধরনের, যেখানে ৪০ শতাংশ অনলাইন, ৬০ শতাংশ অফলাইন (সশরীরে) ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। সব ধরনের পরীক্ষা সশরীরে অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সব শিক্ষার্থী প্রথম চারটি সেমিস্টারে নন-মেজর কোর্স অধ্যয়ন করবে। পরবর্তী চার সেমিস্টারে ডিসিপ্লিন অনুযায়ী মেজর কোর্স অধ্যয়ন করবে। তবে পঞ্চম সেমিস্টারে শর্তপূরণ সাপেক্ষে শিক্ষার্থী ইচ্ছানুযায়ী ডিসিপ্লিন পরিবর্তন করতে পারবে। তবে ক্যাম্পাস পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে না।’
কার্যক্রম হবে চারটি স্কুল ভিত্তিক
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনকার মতো একেকটি কলেজে সব বিষয় পড়াশোনা হবে না। এক বা একাধিক কলেজে স্কুলভিত্তিক ক্লাস হবে। সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এর মধ্যে স্কুল অব সায়েন্সের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ক্যাম্পাস। স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিসের জন্য সরকারি তিতুমীর কলেজ, স্কুল অব বিজনেসের জন্য সরকারি তিতুমীর কলেজ, স্কুল অব ল অ্যান্ড জাস্টিসের জন্য কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ক্যাম্পাস নির্ধারণ করা হয়েছে।
সবার জন্য সুবিধাজনক স্থানে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস নির্ধারণ করা হবে বলে জানানো হয়। কলেজগুলোর বিদ্যমান উচ্চমাধ্যমিক অক্ষুণ্ণ থাকবে। শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারাও কলেজগুলোতে থাকবেন। তবে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের জন্য শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।
এ বছরের মধ্যেই নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অধ্যাদেশ জারি হবে। তবে এবারের ভর্তি কার্যক্রম বিদ্যমান নিয়মেই হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রজ্ঞাপন না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি সাত কলেজের
নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও যা থাকবে
একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাঠামো সম্পর্কে মজিবর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম পরিচালিত হবে একাডেমিক কাউন্সিল, সিনেট ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন প্রক্টর থাকবেন। এছাড়া প্রতিটি কলেজে একজন পুরুষ ও একজন নারী ডেপুটি প্রক্টর থাকবেন। অর্থাৎ ৭ কলেজে সর্বমোট ১৪ জন ডেপুটি প্রক্টর থাকবেন।
সাত কলেজের পাঁচটিতে আগের মতো উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় চালু থাকবে বলে ভারপ্রাপ্ত সচিব জানান। স্নাতক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা টাইম, স্পেস ও রিসোর্স শেয়ারিং পদ্ধতিতে একই ক্যাম্পাস ব্যবহার করবে। কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে। প্রতি ডিসিপ্লিনে যৌক্তিকভাবে ছাত্রসংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।
প্রতিটি শিক্ষার্থীকে প্রথম বর্ষেই ল্যাপটপ ও আনুষঙ্গিক সামগ্রী দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট সেবা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সব প্রশাসনিক কার্যক্রম (ভর্তি, রেজিস্ট্রেশন, আবেদন ইত্যাদি) আইটি বেসড/ডিজিটাল সিস্টেমে সম্পাদিত হবে। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা যেকোনো ধরণের অনুসন্ধান আইটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে করতে পারবে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়োগ দেওয়া হবে। কলেজগুলোর প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়োগকর্তাদের বণ্টন করা হবে।
বাজেট গ্রহণ ও ব্যবস্থাপনা হবে কেন্দ্রীয়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে। প্রতিটি কলেজে আধুনিক মানসম্পন্ন লাইব্রেরি, ক্যাফেটেরিয়া, মেডিকেল সেন্টার ও পরিবহন ব্যবস্থা থাকবে।
বিভিন্ন পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা আগের বিদ্যমান একাডেমিক কাঠামো অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করবেন। অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সময়মতো পরীক্ষা নেওয়া, রেজাল্ট দ্রুত প্রকাশ করা ও সেশনজট কমাতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সচিব।
সাত কলেজের বর্তমান শিক্ষকদের কি হবে?
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক তানজীম উদ্দীন খান বলেন, ‘কলেজের যে মৌলিক বৈশিষ্ট্য, সেখানে আমরা কোনো পরিবর্তন আনছি না। কলেজ কলেজের জায়গায়ই থাকবে। কলেজের শিক্ষকরা কলেজেই থাকবেন। বিদ্যমান কাঠামোয় কলেজের শিক্ষকরাই পাঠদান করবেন। যখন বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো কলেজের কাঠামোর সঙ্গে একীভূত থাকবে না। তখন নিয়োগ হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যে যোগ্যতা বলে নিয়োগ দেওয়া হয় সেই অনুযায়ী। কেউ যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় আসতে চান, যারা যোগ্য আছেন তারা সাধারণ যে প্রক্রিয়া আছে, সে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন।’
ঢাকা মহানগরীর ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ এবং সরকারি বাঙলা কলেজ দেশের সব সরকারি ডিগ্রি কলেজের সঙ্গে ১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি পায়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজগুলোতে একাডেমিক ও প্রশাসনিক নানা জটিল সংকটের সৃষ্টি হলে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও বিদ্যমান সংকট নিরসনে ২০১৭ সালে সাতটি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্তির পর সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে সংকট আরও ঘনীভূত হওয়ায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে একটি নতুন স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে কলেজগুলোকে পরিচালনার দাবি জানায়।
আরও পড়ুন: সাত কলেজ নিয়ে যৌক্তিক সমাধান আসবে: ইউজিসি চেয়ারম্যান
শিক্ষার্থীদের দাবির পরপরই গত বছরের ২৪ অক্টোবর ‘সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি পর্যালোচনা ও সুপারের সংক্রান্ত কমিটি’ গঠন করা হয়। উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে সাত কলেজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকক্ষ একটি স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর রূপরেখা প্রস্তাব সম্বলিত প্রতিবেদন প্রণয়ন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।
সংবাদ সম্মেলনে ইউজিসি চেয়ারম্যান এস এম এ ফায়েজ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক তানজীম উদ্দীন খান, সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসক ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস এবং কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১২২ দিন আগে
তীব্র তাপপ্রবাহে অনলাইন ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জবির
তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এই সময়ে কোনো পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলামের সই করা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থী হত্যা: ৭ জনের যাবজ্জীবন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনায় ভার্চুয়ালি সব ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে চলমান তাপপ্রবাহে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে শিক্ষার্থীদের বিধি মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।
এর আগে গত ২১ এপ্রিল জরুরি সভায় এক সপ্তাহের জন্য সব ক্লাস অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জবি শিক্ষক শাহেদ ইমনকে বরখাস্ত ও চেয়ারম্যান জুনায়েদ হালিমকে অব্যাহতি
৫৮৮ দিন আগে
মহামারিকালীন অনলাইনে ক্লাস নেয়ায় প্রাইভেটের চেয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে কোভিড -১৯ মহামারি চলাকালীন সরকার যখন অনলাইনে ক্লাস চালুর চেষ্টা করেছিল, সেসময় বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভার্চুয়াল বা অনলাইন ক্লাস চালুতে পিছিয়ে ছিল।
তিনি বলেন, ‘আমাকে দুঃখজনক কিছু কথা শেয়ার করতে দিন। আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মহামারি চলাকালীন শিক্ষায় ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারে কিছুটা ধীরগতির ছিল। তারা অনেক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায়)পিছিয়ে ছিল।’
সোমবার ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২২-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা: বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী, প্রয়োজন ২৩০ বিলিয়ন ডলার
আইসিটি বিভাগ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘অ্যাডভান্সড টেকনোলজি ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শেখ হাসিনা বলেন, মহামারির সময়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইন ক্লাসে যেতে অনীহা প্রকাশ করেছিল।
তিনি বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দ্রুত তা (অনলাইন ক্লাস) শুরু করেছে। কিন্তু আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যাল তা পারেনি। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও (তাৎক্ষণিকভাবে শুরু হয়নি)।’
তিনি বলেন, বারবার অনুরোধের পর দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইন ক্লাস চালু করেছে।
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ‘যখন একটি ব্যবস্থা আমাদের জন্য উপকারী,আমরা কেন তা গ্রহণ করব না?’
তিনি জানান যে তিনি শুধু ভাবছিলেন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ না থাকলে কোভিড-১৯ মহামারির সময় কী হতো! ‘সবকিছু স্থবির হয়ে যেত।’
আরও পড়ুন: অভিযোজন গ্লোবাল হাব উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
১০৮৮ দিন আগে
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে শাবিপ্রবিতে সপ্তাহে ১ দিন অনলাইন ক্লাস
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের কথা বিবেচনা করে সপ্তাহের একদিন অনলাইনে ক্লাস নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ডিন ও বিভাগীয় প্রধানদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সপ্তাহের বৃহস্পতিবার অনলাইনে এবং অন্য চারদিন সরাসরি ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এছাড়া ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুরোপুরি বন্ধ থাকবে এবং অন্যান্য দিনেও কিছু পরিবহন সেবা কিছুটা হ্রাস করা হবে।
সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সমস্যার কারণে সৃষ্ট জাতীয় এ সমস্যায় আমরা দেশবাসীর পাশে থাকতে চাই। আমাদেরকে দেশপ্রেমের সঙ্গে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয় করোনা মহামারিতে ক্যাম্পাসে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দেশের মানুষের পাশে ছিল। এবারও ২০ শতাংশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে তাদের পাশে থাকবো।’
তবে কোনকিছুতেই যাতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি না হয় সে ব্যাপারে সজাগ থাকার জন্য বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকদের প্রতি তিনি অনুরোধ করেন তিনি।
সভায় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলামসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঈদে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশাসনের প্রীতিভোজ আয়োজন
ঈদের ছুটির পর শাবিপ্রবিতে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত
১২১১ দিন আগে
‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওমিক্রন ছড়ালে অনলাইন ক্লাস হবে’
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়লে অনলাইন ক্লাস হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। সে কারণে এখনই শিক্ষার্থীদের সশরীরে পাঠদান বন্ধ করা হচ্ছে না ।’
মঙ্গলবার ডিসি সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন ।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়লে বন্ধ করে দেয়া হবে । সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা বাসায় বসে অনলাইনে ক্লাস করবে । এর আগ পর্যন্ত সরাসরি পাঠদান বন্ধ করে দেয়ার কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীরা পরিচয়পত্র ব্যবহার করেই টিকা নিতে পারবে: শিক্ষামন্ত্রী
কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে আইসোলেশনে আছে। তারা কেউ গুরুতর অসুস্থ না জানিয়ে দীপু মনি বলেন, ‘ আমরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের সঙ্গে বৈঠক করেছি, তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।’
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘১২-১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রমকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। গতকাল পর্যন্ত ৮৬ লাখ শিক্ষার্থীর টিকার আওতায় এসেছে। আমরা নিয়মিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মনিটর করছি। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আগামী দু-একদিনের মধ্যে জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে বৈঠক করা হবে।’
আরও পড়ুন: প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
১৪১৬ দিন আগে
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল
মহামারি করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (কওমি ছাড়া) চলমান ছুটি আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
১৭৮৪ দিন আগে
শাহবাগে মেডিকেল ও ডেন্টাল শিক্ষার্থীদের অবরোধ
সেশনজটহীন শিক্ষাবর্ষসহ চার দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের শত শত শিক্ষার্থী।
১৮৫২ দিন আগে
পরীক্ষা না নিয়েই পরের সেমিস্টারের ক্লাস শুরু করবে ঢাবি
করোনা মহামারিতে শিক্ষার্থীদের সেশনজটে পড়ার ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে পরীক্ষা না নিয়েই অনলাইনে পরবর্তী সেমিস্টারের ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।
১৮৮৭ দিন আগে
অনলাইন ক্লাসের জন্য বাজারে এলো স্বল্প বাজেটের ল্যাপটপ
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাস করার জন্য মাত্র ২৬ হাজার ৮০০ টাকায় ল্যাপটপ বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে সিস্টেমআই টেকনোলজিস লিমিটেড।
১৯১৯ দিন আগে
শাবি শিক্ষার্থীদের ১৫ জিবি করে ইন্টারনেট দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসের আওতায় আনতে ২ হাজার ২১৬ জন শিক্ষার্থীকে ১৫ গিগাবাইট (জিবি) ডাটা প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
১৯৩৬ দিন আগে