অস্ত্র মামলা
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবরসহ ৬ জন খালাস
চাঞ্চল্যকর ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ছয় আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরীন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে এ মামলায় ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) প্রধান পরেশ বড়ুয়ার সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক আবদুর রহিমকেও মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: সিলেটে চার মামলায় জামিন পেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর
চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) জেটিতে ১০ ট্রাক অস্ত্র জব্দ করার পর ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।
এ ঘটনায় পরদিন কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইনে ৫০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। আর বিশেষ ক্ষমতা আইনের আরেকটি মামলায় ৫২ জন আসামি করা হয়।
২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মজিবুর রহমান বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। অস্ত্র মামলায় দুই ধারায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায়ে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উলফা প্রধান পরেশ বড়ুয়া, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী ও এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক আবদুর রহিমসহ ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালান সংক্রান্ত অভিযোগগুলো আনা হয়েছিল।
এদের মধ্যে ২০১৬ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধে মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর হয়।
আরও পড়ুন ৮ বছরের সাজা থেকে খালাস পেলেন বাবর
৪ দিন আগে
আরাভ খানের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
অস্ত্র আইনের মামলায় দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ঢাকার ৬ষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মদের আদালতে সর্বশেষ সাক্ষ্য দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক শেখ হাসান মুহাম্মদ মোস্তফা সারোয়ার।
অন্যদিকে, আরাভ খান পলাতক থাকায় তার পক্ষে জেরা করা হয়নি।
আরও পড়ুন: আরাভ খান এখনও গ্রেপ্তার হননি: শাহরিয়ার আলম
এরপর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করে আগামী ১৩ এপ্রিল আসামির আত্মপক্ষ সমর্থন শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আরাভ খান পলাতক থাকায় আসামির আত্মপক্ষ শুনানির বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ কে এম সালাউদ্দিন বলেন, এটা একটা প্রক্রিয়া। শেষ সময়ে এসেও যদি আসামি আত্মসমর্পণ করেন সেজন্য সুযোগ রাখতে হয়।
আমরাও আশা করছি, রবিউলও আত্মসমর্পণ করবেন।
এজন্য ১৩ এপ্রিল আসামির ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন সমর্থনে বক্তব্য দানের জন্য দিন রাখা হয়েছে।
এ মামলায় ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবীর আশা করছেন, আরাভ খানের সর্বোচ্চ সাজা ১৪ বছরের কারাদণ্ড হবে।
জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আরাভ খান তার শ্বশুর সেকেন্দার আলীকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতে মগবাজারের বাসায় যান। একটি গুলি ভর্তি রিভলবারসহ শ্বশুরের বাসার সামনে থেকে তিনি গ্রেপ্তার হন।
এ ঘটনায় ওইদিনই আরাভের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন গোয়েন্দা পশ্চিমের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিমের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক সুজন কুমার কুণ্ডু।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৫ সালের ১ মার্চ আরাভ খানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শেখ হাসান মুহাম্মদ মোস্তফা সারোয়ার।
একই বছরের ১০ মে আরাভের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
এই মামলায় ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ জামিন পান তিনি।
এরপর জামিনে গিয়ে পলাতক থাকায় ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর আরাভের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
আরও পড়ুন: আরাভ খানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলে আবেদন করা হয়েছে: আইজিপি
১ বছর আগে
নাটোরে অস্ত্র মামলায় একজনের ১০ বছরের কারাদণ্ড
নাটোরের বড়াইগ্রামে অস্ত্র মামলার রায়ে এক ব্যক্তির ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোরের জেলা ও দায়রা জজ মো. শরীফ উদ্দীন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হচ্ছেন আলতাফ হোসেন ভোলন (৩৫)।
জজ কোর্টের পিপি সিরাজুল ইসলাম জানান,গত বছরের ২৫ জুন বড়াইগ্রাম উপজেলার কয়েন বাজার এলাকা থেকে পিস্তলসহ ভোলনকে আটক করেছিল র্যাব। এ ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে মামলা করলে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক ওই দণ্ডাদেশ দেন। অভিযুক্ত ভোলন চিহ্নিত সন্ত্রাসী বলেও জানিয়েছিল র্যাব।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে শিশুকে হত্যার অভিযোগ আরেক শিশুর বিরুদ্ধে
ফারদিন হত্যা: রিমান্ড শেষ, বুশরা জেলে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পিটিয়ে হত্যা, আটক ২
২ বছর আগে
ঝিনাইদহ: অস্ত্র মামলায় জামায়াত নেতার ১৭ বছরের কারাদণ্ড
অস্ত্র মামলায় ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুয়াবিয়া হুসাইনকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলার সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল জজ আদালতের বিচারক মো. নাজিমুদ্দৌলা এই দণ্ডাদেশ দেন।
মামলার রায় সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে মুয়াবিয়া হুসাইনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পৌরসভার সলেমানপুর গ্রাম থেকে একটি পাইপগান ও ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কোটচাঁদপুর থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৫ মে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত মঙ্গলবার দুপুরে ওই মামলার দুটি ধারায় ১০ ও ৭ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেন।
রায়ের পর রাষ্টপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইসমাইল হোসেন বাদশা বলেন, মামলায় দুইটি ধারায় সাজা হয়েছে। সাজা যুগপৎ ভাবে চলবে।
পড়ুন: জিয়ার শাসনামলে সামরিক বাহিনীর ৮৮ জনের দণ্ড কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
৩৭০০ কোটি টাকা লুটপাট: দায়ীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
২ বছর আগে
অস্ত্র মামলায় জিকে শামীমসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
অস্ত্র মামলার যুবলীগের কথিত নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমসহ আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বাকি সাতজন আসামি হলেন জি কে শামীমের দেহরক্ষী মো. জাহিদুল ইসালাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মুরাদ হোসেন।
রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম এ রায় দেন।
এর আগে সকালে তাদের কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় ৮ বছর পর পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
প্রসঙ্গত, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতনে শামীমের বাড়ি ও অফিসে র্যাব অভিযান চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর এবং নগদ প্রায় এক কোটি ৮১ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং মদ জব্দ করে।
র্যাব জি কে শামীমের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মাদক, মানি লন্ডারিং এবং অস্ত্র আইনে তিনটি মামলা করে।
অস্ত্র মামলায় র্যাব ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি একই আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠন করেন।
আদালত খালাসের আবেদন খারিজ করে আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর ২৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।
আরও পড়ুন: দুই কিশোরীকে ধর্ষণ: তিনজনের যাবজ্জীবন
পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
২ বছর আগে
অস্ত্র মামলায় নূর হোসেনের যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেনকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার একটি অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিনের আদালত এই রায় প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. সালাহউদ্দিন সুইট জানান, ২০১৪ সালের ১৫ মে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় নূর হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি রিভলবার, আট রাউন্ড গুলি ও আটটি সর্টগানের গুলি উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় নূর হোসেনকে আসামি করে অস্ত্র আইনে আলাদা অভিযোগে মামলা দায়ের করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ।
সেই মামলায় পুলিশ তদন্ত শেষে তিন মাস পর অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদলত বিচার প্রক্রিয়ায় চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। পরে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আসামি নূর হোসেনকে দুটি ধারায় আলাদাভাবে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
এদিকে, আদলত একই সাথে মাদক ও চাঁদাবাজির অভিযোগে নূর হোসেনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত আরও দুটি মামলায় চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। অস্ত্র মামলায় সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপারসহ দুই পুলিশ সদস্যের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এ ছাড়া মাদক মামলায় সাক্ষ্য প্রদান করেন একজন পুলিশ সদস্য।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আসামি নূর হোসেনকে গাজীপুরের কাসিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে হাজির করা হয়।
পড়ুন: টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি-সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: গ্রেপ্তার ১
ঢাবি শিক্ষিকা সামিয়া রহমানের পদাবনতির সিদ্ধান্ত অবৈধ: হাইকোর্ট
২ বছর আগে
নাটোরে মাদক ও অস্ত্র মামলায় ২ জনের কারাদণ্ড
নাটোরের বড়াইগ্রামে মাদক মামলার একজনকে যাবজ্জীবন ও অস্ত্র মামলার একজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. শরীফ উদ্দীন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার মহিশালবাড়ি গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে কলিমুদ্দিন (২৫) ও মশিউর রহমান (৩৭)। এদের মধ্যে কলিমুদ্দিনকে যাবজ্জীবন এবং মশিউরকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া রায়ের সময় মশিউর আদালতে উপস্থিত থাকলেও কলিমুদ্দিন পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ইয়াবা পাচার মামলায় যুবকের ১০ বছর কারাদণ্ড
সরকারি কৌসুলি সিরাজুল ইসলাম জানান,২০১৫ সালের ২০ আক্টোবর বড়াইগ্রাম উপজেলার আগ্রান এলাকায় রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে ১০০ গ্রাম হেরোইনসহ কলিমুদ্দিনকে আটক করেছিল পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বাড়িওয়ালাকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এদিকে ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি একই উপজেলার লক্ষ্মীকোল এলাকার মশিউর রহমানের বাড়ি থেকে গুলিসহ সুটারগান উদ্ধারের পর পুলিশ পরে তাকে আটক করা হয়।
২ বছর আগে
মাদক মামলায়ও জামিন পেলেন সম্রাট
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন মামলায় বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে সোমবার স্থায়ী জামিন দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজীর জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার ৭ নম্বর অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার এ আদেশ দেন।
এর আগে রবিবার একটি অস্ত্র মামলা ও মানি লন্ডারিং মামলায় জামিন পান সম্রাট।
তবে সম্রাটের আইনজীবী বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি মামলায় জামিন না পাওয়ায় সম্রাট জেল থেকে বের হতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: দুই মামলায় জামিন পেলেন সম্রাট
গত বছরের ২৪ নভেম্বর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সম্রাট।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর কাকরাইলে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া জব্দ করা হয়।
চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। ওই দিনই রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে নেয়া হয়।
৭ অক্টোবর র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় দুটি মামলা করেন। এর মধ্যে অস্ত্র মামলায় সম্রাটকে একমাত্র আসামি করা হয়। মাদক মামলায় সম্রাট ও আরমানকে আসামি করা হয়। এরপর সম্রাটের বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও দুদক মামলা করে।
২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর অস্ত্র মামলায় সম্রাটকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপপরিদর্শক (এসআই) শেখর চন্দ্র মল্লিক।
২০২০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের এসআই রাশেদুর রহমান।
আরও পড়ুন: সম্রাট কেন জেলে? পাঁচ তারা জেল চাই!
২ বছর আগে
নড়াইলে অস্ত্র মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
নড়াইলে অস্ত্র মামলায় আক্তারুজ্জামান বাবুল ওরফে কোবরা বাবুল নামে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ আদেশ দেন।
এ মামলায় অপর দুই আসামি মাসুম ওরফে গ্রিল মাসুম ও খন্দকার নাসিম বিলল্লাহকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদক মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ইমদাদুল ইসলাম এমদাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল ইসলাম জানতে পারে ভওয়াখালীর একটি বাড়িতে অস্ত্র কেনা-বেচা চলছে। এসময় পুলিশ ওই বাড়িতে হানা দিয়ে আক্তারুজ্জামান বাবুল ওরফে কোবরা বাবুল, মাসুম ওরফে গ্রিল মাসুম ও খন্দকার নাসিম বিল্লাহকে গ্রেপ্তার করে। তাদের তল্লাশি করে বাবুলের কাছ থেকে ৬ রাউন্ডগুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করে। এছাড়া ঘরের মধ্য থেকে ১১ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: নড়াইলে মাদক কারবারির যাবজ্জীবন
এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ।
২ বছর আগে
খুলনায় অস্ত্র মামলায় একজনের ১৭ বছর কারাদণ্ড
খুলনায় অস্ত্র আইনের মামলায় এক আসামিকে ১৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) খুলনা ৫ নং বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক চৌধুরী মো. মাহবুবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আলামিন মোল্লা ফুলতলা উপজেলার বেজেরডাঙ্গার রাড়ীপাড়া এলাকার আ. হালিম মোল্লার ছেলে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো.নজরুল ইসলাম এ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে আলোচিত পুতুল হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ১৬ এপ্রিল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ জানতে পারে রাতে ফুলতলা উপজেলার বেজেরডাঙ্গা রেলষ্টেশনের পশ্চিম পাশে ইমানের বাগানে গাঁজার একটি বড় চালান বিকিকিনি হবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশের (উপপরিদর্শক) এসআই মুক্ত রায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই বাগানে অভিযান চালায়। এসময় আলামিনের কাছ থেকে গাঁজা, বন্দুক ও গুলি জব্দ করা হয়।
অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মুক্ত রায় চৌধুরী ওই দিন রাতে ফুলতলা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন। একই বছরের ১৯ মে গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মোল্লা লুৎফর রহমান আলামিনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২ বছর আগে