দর্শনা
দর্শনা রেলবন্দরে ২০ দিন ধরে আসেনি ভারতীয় মালবাহী ট্রেন
গত ২০ দিন ধরে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা রেলবন্দরে প্রবেশ করেনি ভারতীয় কোনো মালবাহী ট্রেন। ফলে বেকার ও অলস সময় পার করছেন বন্দরের শ্রমিক, সিএন্ডএফ কর্মচারী, ট্রাক চালক ও চালকের সহকারীরা।
এদিকে, সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবুসহ সংশ্লিষ্টরা জানান, এ অবস্থা ধারাবাহিকভাবে চললে দুই দেশের রাজস্ব হ্রাস পেতে পারে।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে দর্শনা থেকে ঢাকায় চলবে জোড়া ট্রেন
দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল স্টেশনের ম্যানেজার মির্জা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘২০ দিন অতিবাহিত হলেও দর্শনা বন্দরে কোনো ভারতীয় মালবাহী ট্রেন আসেনি। আমরা আমদানিকারকদের মাধ্যমে তাগাদা দিলেও তারা (ভারত থেকে) ট্রেন পাঠাচ্ছেন না। কী কারণে পাঠানো হচ্ছে না তা অবশ্য তারা জানাননি।’
তিনি বলেন, ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরে ট্রেনভাড়া বাবদ রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১১৬ কোটি ৮৩ লাখ ৭৯ হাজার ৩৬৪ টাকা, সেখানে ২৬ কোটি ৯৫ লাখ ১৫ হাজার ৬২৩ টাকা আদায় হয়েছে। এখানেও লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অনেক গুণ কম রাজস্ব আদায় হয়েছে।’
দর্শনা কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা বাবু সুশান্ত চৌধুরী বলেন, ‘২০২৩-২৪ অর্থ বছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭৮ কোটি টাকা, সেখানে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩৪ কোটি ৪ লাখ টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অনেকগুণ কম।’
দর্শনা সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু বলেন, ‘দুই দেশের রাজস্ব আদায়ের স্বার্থেই অতি দ্রুত দর্শনা বন্দরে ভারতীয় মালবাহী ট্রেন প্রবেশ দরকার। তাহলে বন্দরের শ্রমিক-চালকসহ সবাই কাজে ফিরতে পারবেন।’
দর্শনা রেলবন্দর সুত্রে জানা যায়, দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে এবং ভারতীয় রেল পরিচালক ও আমদানিকৃত মালামালের নিরাপত্তাসহ অন্যান্য বিষয়ে চিন্তা করে গত ২৪ জুলাই দর্শনা রেলপথের মাধ্যমে ভারত থেকে সব ধরনের আমদানি করা মালামাল আসা বন্ধ করা হয়।
আরও পড়ুন: ঈদের দিন পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার ও জাদুঘর দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ থাকবে
৩ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গায় ১১টি স্বর্ণের বার জব্দ, নারী আটক
চুয়াডাঙ্গা দর্শনা থানার ছয়ঘড়িয়া থেকে স্বর্ণ পাচারের অভিযোগে তাছলিমা খাতুন (২৫) নামে একজন নারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি। এ সময় তার কাছ থেকে ১১টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজিবি।
রবিবার (৩ মার্চ) দুপুরে বিজিবির চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ১০টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ৩
আটক তাছলিমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন কামাড়পাড়া এলাকার রেজাউল করিমের মেয়ে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছয়ঘড়িয়া গ্রামের মধ্য দিয়ে সীমান্তে যাওয়ার পথে তাছলিমা খাতুন নামে এক চোরাকারবারিকে আটক করে বিজিবি।
তিনি বেলা ১১টার দিকে ব্যাটারিচালিত একটি ইজিবাইকে করে সীমান্তে যাচ্ছিলেন। পরে ওই ইজিবাইক তল্লাশি করে ১ কেজি ৩২০ গ্রাম (১১৩.১৬ ভরি) ওজনের ১১টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।
এসব স্বর্ণের আনুমানিক দাম ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আটক নারীকে দর্শনা থানায় হস্তান্তরসহ বিজিবির পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। এছাড়া জব্দ করা স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। আটক নারীকে দর্শনা থানায় হস্তান্তরসহ বিজিবির পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পেট্রাপোল সীমান্তে ১০টি স্বর্ণের বার জব্দ, ৩ বাংলাদেশিকে আটক
শাহ আমানত বিমানবন্দে ওমান ফেরত উড়োজাহাজ থেকে ৬৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার
৮ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গায় ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় পাঁচ বছরের মেয়েশিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে তানভীর হোসেন নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার সকালে ঝিনাইদহ বাস টার্মিনাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ মামুন বলেন, উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামে পাঁচ বছরের শিশুকে বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুর ১২টার দিকে তানভীর নিজ বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটি বাড়ি ফিরলে পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর শিশুটির বাবা বাদী হয়ে তানভীরকে আসামি করে দর্শনা থানায় মামলা করেন।
পুলিশ সুপার বলেন, আজ (শনিবার) সকালে দর্শনা থানা পুলিশ ঝিনাইদহ বাস টার্মিনাল থেকে তানভীরকে গ্রেপ্তার করে।
সংশ্লিষ্ট মামলায় তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ফল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
চুয়াডাঙ্গায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
১ বছর আগে
চুয়াডাঙ্গায় ২২টি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ১
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে বুধবার চার কেজি ৪০০ গ্রাম ওজনের ২২টি স্বর্ণের বার জব্দের দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার সাইদ খান (৪২) দর্শনার মোবারক পাড়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাক মন্ডলের ছেলে।
জব্দ স্বর্ণের বাজার মূল্য তিন কোটি ৭৫ লাখ টাকা বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিজিবি।
৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাসুদ পারভেজ রানা জানান, দর্শনা সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ পাচার হচ্ছে এমন খবর পেয়ে জীবননগর উপজেলার উথলী এলাকায় বিজিবির একটি টহল দল অবস্থান নেয়। পরে মোটরসাইকেলসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় বিজিবি বাদী হয়ে দর্শনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
এদিকে জব্দ স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শার্শা সীমান্তে ১১ কোটি টাকার স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ৩
গাজীপুরে বিদেশি পিস্তল ও মাদক জব্দ, যুবক গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
দর্শনায় ২৫ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার, আটক ১
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার দর্শনা সীমান্তে ২৫ ভরি দুই রতি ওজনের পাঁচটি স্বর্ণের টুকরো উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে স্বর্ণ উদ্ধারের সময় হৃদয় হোসেন (১৯) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক হৃদয় দর্শনার নাস্তিপুর গ্রামের নওশাদ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: শাহ আমানতে গাড়ির চাকার ভেতর থেকে সাড়ে ৫ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদ পেয়ে ডিবি পুলিশ ও দর্শনা থানা পুলিশের সদস্যরা দর্শনার মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় দর্শনা থেকে সীমান্তের দিকে যাওয়া একটি মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে পুলিশ সদস্যরা।
পুলিশ দেখে মোটরসাইকেল চালক পকেটে থাকা কাগজে মোড়ানো স্বর্ণের বারগুলো পাশের নর্দমায় ফেলে দেয়। পরে তাকে আটক করে ওই নর্দমা থেকে কাগজে মোড়ানো প্যাকেটটি উদ্ধার করে তার ভেতর থেকে পাঁচটি স্বর্ণের টুকরো বের করা হয়। যার ওজন ২৫ ভরি দুই রতি। যার আনুমানিক বাজার মুল্য ২২ লাখ টাকা।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, গোপন সংবাদ পেয়ে এ অভিযান চালানো হয়। চোরাকারবারীকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে ১৫ কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার, আটক ২
ঝিনাইদহে সাড়ে ১২ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার, আটক ১
১ বছর আগে
চুয়াডাঙ্গায় শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যা, জামাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে জামাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় আরও চারজনের সাত বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ মে) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতের বিচারক জিয়া হায়দার এ রায় ঘোষণা করেন। পরে সন্ধ্যার দিকে তাদেরকে জেলা কারাগারে নেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- যশোরের চৌগাছা থানার গুয়াতলী গ্রামের মৃত শের আলী মণ্ডলের ছেলে আতিয়ার রহমান। তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া একই গ্রামের মৃত জহর আলী মণ্ডলের আব্দুল লতিফ, লিয়াকত আলীর ছেলে মোমিন, মৃত হুজুর আলী মণ্ডলের ছেলে আব্দুল গনি ও একই উপজেলার বাদেখানপুর মাঝপাড়ার মৃত ইসমাইল বিশ্বাসের ছেলে আনোয়ার হোসেন আনু। এই চারজনকে সাত বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পৌর এলাকার আজিমপুর স্কুলপাড়ার আব্দুল কাদেরের মেয়ে জোসনা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় চৌগাছার আতিয়ার রহমানের। এরপর তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। বিচ্ছেদের জের ধরে ২০১৪ সালের ২৬ জুন আতিয়ারসহ পাঁচ আসামি জোসনা খাতুনের বাড়িতে হানা দেয়। এসময় সাবেক স্ত্রী জোসনাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় জোসনার মা তাহমিনা খাতুন বাধা দিলে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে সেখানে মারা যান তহমিনা খাতুন। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করে পরদিন দামুড়হুদা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তহমিনা খাতুনের স্বামী আব্দুল কাদের। মামলাটির তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দর্শনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন এসআই মিজানুর রহমান। এরপর ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দীর্ঘ আট বছর পর এ মামলায় রায় ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি বেলাল হোসেন।
আরও পড়ুন: গুরুদাসপুরে ভ্যান চালক হত্যার অভিযোগে ভাড়াটে খুনিসহ গ্রেপ্তার ৩
চট্টগ্রামে দুই ভাই হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
২ বছর আগে
থমকে আছে দর্শনা-দৌলতগঞ্জ স্থলবন্দর প্রকল্প
বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও চুয়াডাঙ্গা জেলার দুটি শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দরে উন্নীত করার পরও বছরের পর বছর ধরে অবহেলায় পড়ে রয়েছে।
দর্শনা স্থলবন্দর ও দৌলতগঞ্জ স্থলবন্দর দেশের পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙার দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলায় অবস্থিত।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের মতে, প্রতিবেশি দেশ ভারতের সঙ্গে আমদানি ও রপ্তানি সহজতর করার জন্য দর্শনা এবং দৌলতগঞ্জ স্থল শুল্ক স্টেশনগুলোকে যথাক্রমে ২০০২ সালের ১২ জানুয়ারি এবং ২০১৩ সালের ৩১ জুলাই স্থলবন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাবে বেশ কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও এ দুটি স্থলবন্দর চালু হয়নি।
বর্তমানে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আংশিকভাবে রেলপথে দর্শনা শুল্ক স্টেশন দিয়ে করা হয়। তবে স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহন এখনো অনেক দূরের কথা।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এ দুটি স্থলবন্দর চালু হলে ঢাকা থেকে কলকাতার দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার কমে যাবে। বেনাপোল স্থলবন্দরের তুলনায় এ দুটি স্থলবন্দর রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যাতায়াতের সময়ও ২-৩ ঘণ্টা কমিয়ে দেবে।
দূরত্ব ও সময় কমলে এ দুই বন্দর দিয়ে সহজে, দ্রুত এবং অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে পণ্য আমদানি করতে পারবে। ফলে দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরের তুলনায় সরকার বেশি রাজস্ব আয় করতে পারবে।
দর্শনা ও দৌলতগঞ্জ পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হলে সেখান দিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০০টি ট্রাকের পণ্য খালাস করা সম্ভব হবে, এতে বেনাপোল স্থলবন্দরের ওপর থেকে যেমন চাপ কমবে, ঠিক তেমনি আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্টদের আর্থিক ক্ষতি অনেকটাই কমে আসবে।
চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ইয়াকুব হোসেন মালিক বলেন, বন্দর দুটি চালু হলে জেলার ব্যবসায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
তিনি বলেন, ‘বন্দর চালু হলে ব্যবসার ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা জাগ্রত হবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা ছুটে আসবেন এখান দিয়ে পণ্য আমদানির জন্য। পাল্টে যাবে চুয়াডাঙ্গা জেলার অর্থনৈতিক দৃশ্যপট।’
দর্শনা স্থলবন্দর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগর মহকুমার অন্তর্গত গেঁদে সীমান্ত বন্দরের বিপরীতে দর্শনা সীমান্তে অবস্থিত। এই বন্দরের রুট হল দর্শনা-গেঁদে রেল সংযোগ ও সড়ক।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ঝুঁকিতে বোরো ফসল, আতঙ্কে কৃষক
ঢাকা থেকে দর্শনা স্থলবন্দরের দূরত্ব প্রায় ২৫৮ কিলোমিটার। এই স্থলবন্দরটি সড়ক ও রেলপথে ঢাকা এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত। তাই বন্দরটি চালু হলে এ বন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহন সহজ হবে।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো.আলমগীর চলতি বছরের ২২ মার্চ দর্শনা স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন।
বন্দর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে দর্শনা বন্দর পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে। বন্দরের ভূমি অধিগ্রহণ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে তার সংস্থা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, ‘যখনই আমরা এখানে আসি, আমরা ভারতীয় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলি। তারা জানতে চায় বন্দর চালু করতে আমরা কতটা অগ্রগতি করেছি। আমরা ২০০৪ সালে এই বন্দরের অনুমোদনের চিঠি পেয়েছি। তারপর থেকে আমরা ভারত ও বাংলাদেশের উভয় পক্ষের মতামত নেয়ার জন্য নিবিড়ভাবে কাজ করছি।’
২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর দর্শনা- গেঁদে বন্দর এলাকা পরিদর্শন করেন ভারতের ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির চেয়ারম্যান ও বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সেক্রেটারি এন এন সিনহা। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানও সেসময় বন্দর কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
পরে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য জাকিয়া সুলতানার নেতৃত্বে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রতিনিধি দল স্থলবন্দরের জন্য ৪৫০ বিঘা জমি অধিগ্রহণের সম্ভাব্যতা যাচাই করে। এ জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হলে হলে ট্রাক টার্মিনাল, রেলইয়ার্ড শেড, ওয়ার হাউজ, আবাসিক এলাকাসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
২ বছর আগে
চুয়াডাঙ্গায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে কৃষক নিহত
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনার নাস্তিপুর গ্রামে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
নিহত হযরত আলী ওই গ্রামের রইস উদ্দিনের ছেলে।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবীর জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় দুর্বৃত্তরা কৃষক আলীকে বাড়ির জানালা দিয়ে মাথায় গুলি করে।
গুলির শব্দে পরিবারের সদস্যদের ঘুম ভাঙলে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবার জানিয়েছে, আলী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সোর্স হিসেবে কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে কৃষক নিহত
ঝিনাইদহে দু’পক্ষের সংঘর্ষে কৃষক নিহত
২ বছর আগে
চুয়াডাঙ্গায় আড়াই কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণের বার উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় চার কেজি ওজনের চারটি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার দর্শনা রামনগর ঈদগাহ মাঠ এলাকা থেকে এই স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারের আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই কোটি ৫৭ লাখ বিশ হাজার টাকা।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দর্শনা সীমান্তের মেইন পিলার ৭৮ থেকে আনুমানিক দেড় কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অভিযান চালায়। এসময় রামনগর ঈদগাহ মাঠ নামক স্থান থেকে মালিকবিহীন অবস্থায় চার কেজি (৩৪২.৯৪ ভরি) ওজনের উন্নত মানের চারটি বড় স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।
উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বার চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে পৌনে ২ কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার
১ বছর আগে অপহৃত রোহিঙ্গা মাঝির লাশ উদ্ধার, আটক ৩
২ বছর আগে
১৬০০ টন পেঁয়াজ আমদানি করলেন যশোরের এক ব্যবসায়ী
এবার বেশ আগেভাগেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসতে শুরু করায় নিত্যপণ্যটির সংকট নাও হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
৪ বছর আগে