সয়াবিন তেল
এলএনজি-সার, সয়াবিন তেল, চিনি ও ছোলা আমদানির অনুমোদন
স্থানীয় চাহিদা মেটাতে এলএনজি, সার, সয়াবিন তেল, চিনি ও ছোলা আমদানির কয়েকটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আম্মেদের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির (এসিসিজিপি) সভায় এ সংক্রান্ত কয়েকটি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো ঘাটতি হতে দেবে না অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
তিনি বলেন, 'বাজারে যাতে কোনো ঘাটতি না থাকে সেজন্য আমরা চারটি পণ্য আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছি।’
আরও পড়ুন: ভারত থেকে আরও ২৩২০০০ ডিম আমদানি
তিনি বলেন, আগামী রমজানকে সামনে রেখে ছোলা আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ‘শিগগিরই আমরা একই কারণে আমদানির দিকে যাব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আর্থিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমরা চেষ্টা করব এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে, যাতে মানুষের ভোগান্তি না হয়।’
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের পৃথক দুটি প্রস্তাব অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা লিমিটেড টেন্ডারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে দুটি কার্গো এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি করবে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক্সিলারেট এনার্জি এলপি ৬৮৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৩ লাখ ৬৬ হাজার এমএমবিটিইউ (মিলিয়ন ব্রিটিশ থারমাল ইউনিট) সমন্বিত একটি এলএনজি কার্গো সরবরাহ করবে।
একই কোম্পানি ৬৬৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে একই পরিমাণের আরেকটি কার্গো সরবরাহ করবে, প্রতিটি এমএমবিটিই ‘র মূল্য ১৪ টাকা ৬৫ পয়সা পড়বে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তিনটি পৃথক প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ১০১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০ হাজার মেট্রিক টন ছোলা আমদানি করবে। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার ডিএসএল প্যাসিফিক প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ৪ হাজার মেট্রিক টন এবং অস্ট-গ্রান্ট পিটিওয়াই লিমিটেড ৬ হাজার মেট্রিক টন ছোলা সরবরাহ করবে।
টিসিবি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) স্থানীয় বসুন্ধরা মাল্টি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড থেকে ৫৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩২ লাখ ৬০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল কিনবে।
টিসিবি স্থানীয় সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কাছ থেকে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৬০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি কিনবে। এতে প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ১২০ টাকা ৯২ পয়সা।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃথক দুটি প্রস্তাবেও অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি।
এর মধ্যে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কাতারের মুনতাজার থেকে ১৩১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক দানাদার ইউরিয়া সার আমদানি করবে। এতে প্রতি টনের মূল্য পড়বে ৩৬৬ মার্কিন ডলার।
বিআইসিআই সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ১৩৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে আরও ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক দানাদার ইউরিয়া আমদানি করবে। এতে প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৩৮২ দশমিক ৬৭ মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বন্যা: চালের আমদানি শুল্ক মওকুফের সুপারিশ
৩ সপ্তাহ আগে
রমজানকে সামনে রেখে সয়াবিন তেলের দাম কমানোর ঘোষণা
ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে সরকার আগামী ১ মার্চ থেকে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। মঙ্গলবার (২০) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে 'দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স'-এর সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এ কথা জানান।
এখন পর্যন্ত বোতলজাত সয়াবিন তেলের খুচরা মূল্য দাঁড়িয়েছে লিটার প্রতি ১৭৩ টাকা। আসন্ন সমন্বয়ের ফলে দাম কমে দাঁড়াবে ১৬৩ টাকায়। এছাড়া খোলা (ঢিলেঢালা) সয়াবিন তেলের দাম কমে ১৪৯ টাকা এবং ৫ লিটারের বোতল ৮০০ টাকায় পাওয়া যাবে।
তবে আপাতত পাম তেলের দাম স্থিতিশীল থাকবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ওএমএস কর্মসূচির জন্য সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল আমদানি করবে টিসিবি
ব্যবসা খাত থেকে সরকারের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরে টিটু বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, বড় আকারের শিল্প ও ব্যবসায়ীরা তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা রক্ষা করবেন। সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং তারা ভোজ্যতেলের দাম লিটার প্রতি ১০ টাকা কমাতে সম্মত হয়েছে।’
গত ৮ ফেব্রুয়ারি কর কমানোর জন্য পরিপত্র জারি করে সরকার। এই পরিপত্র অনুসরণ করেই সয়াবিন তেলের মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের আমদানি প্রক্রিয়া ও প্রাপ্যতা সহজতর করতেই দাম সমন্বয় করা হয়েছে।
টিটু বলেন, 'সাধারণত একটি আমদানি চালান আসতে প্রায় এক মাস এবং গ্রাহক পর্যায়ে ছাড়পত্র ও বিতরণের জন্য আরও দুই মাস সময় লাগে।’
লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ এবং রমজান পর্যন্ত কঠোর সময়সীমা থাকা সত্ত্বেও, ব্যবসায়ীরা সরকারের বিশেষ অনুরোধে সাড়া দিয়ে ১ মার্চ থেকে নতুন দাম বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সরকারের গৃহীত সক্রিয় পদক্ষেপ এবং ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সহযোগিতামূলক অবস্থান ভোক্তাদের উপর আর্থিক চাপ হ্রাস করবে বলে আশা করা হচ্ছে, বিশেষত পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমলো
৯ মাস আগে
ওএমএস কর্মসূচির জন্য সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল আমদানি করবে টিসিবি
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তাদের উন্মুক্ত বাজারে বিক্রি (ওএমএস) কর্মসূচির জন্য বিপুল পরিমাণ সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল আমদানি করবে। একই সঙ্গে স্থানীয় চাহিদা মেটাতে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সার আমদানি করবে বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)।
রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোবাংলা আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি করবে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ২০ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব
বুধবার (৮ নভেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু প্রস্তাবসহ এ সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, টিসিবি ইন্টারন্যাশনাল ডাইরেক্ট পারচেজ মেথডের (ডিপিএম) আওতায় গ্রিন নেশন বিল্ডার্স অ্যান্ড ডেভেলপারস, ইন্ডিয়া (লোকাল এজেন্ট: এনএস কনস্ট্রাকশন, ঢাকা) থেকে ১৪০ দশমিক ৯৯ টাকা দরে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার পরিশোধিত সয়াবিন তেল আমদানি করবে। এতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম পড়বে ১৬৯ টাকা।
ভারতের উমাএক্সপো প্রাইভেট লিমিটেড (লোকাল এজেন্ট: স্পিড মার্কেটিং করপোরেশন, ঢাকা) থেকে ৯৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০ হাজার টন মসুর ডাল আমদানি করা হবে এবং বিঅ্যান্ডসি ইনকরপোরেশন ও সেনা কল্যাণ সংস্থা থেকে ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও ১৫ হাজার টন মসুর ডাল আমদানি করা হবে। এগুলোর প্রতি কেজির দাম পড়বে ১০০ টাকা
শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, বিসিআইসি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে ১২৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া সার এবং কাতারের মুনতাজাত থেকে ১২৭ কোটি ৪০ লাখ টাকায় ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া আমদানি করা হবে।
পেট্রোবাংলা ৭১৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সুইজারল্যান্ডের টোটালএনার্জিজ গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ ধারণ ক্ষমতার একটি কার্গো লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করবে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমলো
ওএমএস-এর জন্য ২.২০ কোটি লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহ করবে টিসিবি
১ বছর আগে
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমলো
আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমায় বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমিয়ে ১৮৯ টাকা, খোলা তেল ১৬৭ টাকা এবং খোলা পাম তেলের দাম ২ টাকা কমিয়ে ১৩৩ টাকা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আরও এক দফা ভোজ্যতেলের দাম কমানো হবে বলেও জানান তিনি৷
রবিবার (১১ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক টাস্কফোর্সের সপ্তম সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘আজকের সভায় অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, আদা, রসুন ইত্যাদি। আজকে আলোচনা করেছি বর্তমানে আমদানি পরিস্থিতি কেমন আছে, দাম কেমন হওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: রমজানের আগে ওএমএসের ১ কোটি ৬০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে টিসিবি
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যেই দেখেছেন পেঁয়াজের দাম কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। আমদানির অনুমতি দেওয়ার পরে আজকে আমরা সয়াবিন তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিগগিরই আমদানিকারকরা দাম কমিয়ে দেবেন।’
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১০ টাকা কমিয়ে ১৮৯ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১০ টাকা কমিয়ে ১৬৭ টাকা করা হয়েছে। যা আগে ছিল যথাক্রমে ১৯৯ টাকা ও ১৭৭ টাকা। আর খোলা পাম তেল লিটারে ১৩৫ টাকা থেকে ২ টাকা কমিয়ে ১৩৩ টাকা এবং বোতলজাত সুপার পাম তেল লিটারে ১৬৭ টাকা থেকে ২ টাকা কমিয়ে ১৬৫ টাকা করা হয়েছে।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে পবিত্র রমজান মাসের চাহিদা ৩ লাখ টনের কাছাকাছি। স্থানীয় উৎপাদন হয় দুই লাখ টন, আর বাকি ১৮ লাখ টনই আমদানি করতে হয়।
আরও পড়ুন: ওএমএস-এর জন্য ২.২০ কোটি লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহ করবে টিসিবি
আবারও বাড়ল সয়াবিন তেল ও চিনির দাম
১ বছর আগে
ওএমএস-এর জন্য ২.২০ কোটি লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহ করবে টিসিবি
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিজিও) ভার্চুয়াল বৈঠকে সয়াবিন তেল সংগ্রহ ও সার আমদানির দুটিসহ ছয়টি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া একটি প্রস্তাব অনুসারে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তার খোলা বাজারে বিক্রয় (ওএমএস) কর্মসূচির জন্য স্থানীয় সরবরাহকারীদের কাছ থেকে ২২ মিলিয়ন (২ দশমিক ২০ কোটি) লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহ করবে।
তবে, তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি কোন কোম্পানিগুলো সরবরাহকারী এবং কোম্পানিগুলো সরাসরি সংগ্রহ পদ্ধতি (ডিপিসি) বা খোলা টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়েছে কিনা।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়াতে চান পরিশোধনকারীরা
সিসিজিপি সভার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ব্রিফ করা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, প্রস্তাবটি তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে টেবিলে রাখা হয়েছিল এবং এই বিষয়ে তার কাছে বিস্তারিত তথ্য নেই।
মোট ৮০ হাজার মেট্রিক টন (এমটি) সার আমদানির বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রস্তাব কমিটির অনুমোদন পেয়েছে।
এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন থেকে ৩৫৮ দশমিক ৪৮ কোটি টাকায় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় ৫০ হাজার মেট্রিকটন মিউরিয়েট অব পটাশ (এমওপি) আমদানি করবে।
প্রতি মেট্রিকটন সারের দাম হবে ৬৭৯ দশমিক ৬৫ মার্কিন ডলার, আগে প্রতি মেট্রিকটন সারের দাম ছিল ৭৭৮ দশমিক ১৭ মার্কিন ডলার।
বিএডিসি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির অধীনে ১৫০ দশমিক ৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে মরক্কোর ওসিপি, এসএ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) সার আমদানি করবে।
প্রতি মেট্রিকটন টিএসপি’র দাম হবে ৪৭৪ মার্কিন ডলার, আগে প্রতি মেট্রিকটন টিএসপি’র দাম ছিল ৬৮৭ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার।
কমিটি ঢাকা ওয়াসার স্থানীয় সরকার বিভাগের তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন করে।
আরও পড়ুন: পাম তেলের দাম লিটারে ৮ টাকা কমেছে, চিনির দাম কেজিতে বেড়েছে ৬ টাকা
সয়াবিন তেল: বাজারে দাম কমার কোন প্রভাব নেই
১ বছর আগে
আবারও বাড়ল সয়াবিন তেল ও চিনির দাম
সয়াবিন তেল ও চিনির দাম আবারও বেড়েছে। সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ১২ টাকা। এখন তা প্রতি লিটার ১৯০ টাকা। চিনির দাম বেড়েছে ১৩ টাকা; এখন তা প্রতি কেজি ১০৮ টাকা।
বৃহস্পতিবার(১৭ নভেম্বর, ২০২২) থেকে নতুন দাম থেকে কার্যকর হবে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার অ্যাসোসিয়েশন চিনির দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বলেছে, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেল: বাজারে দাম কমার কোন প্রভাব নেই
এর প্রেক্ষিতে ৩ নভেম্বর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ মূল্য সমন্বয়ের আবেদন করা হয়। পরে মূল্য সমন্বয় নিয়ে বাংলাদেশ বাণিজ্য ও ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে দুই দফা আলোচনা হয়। বাংলাদেশ বাণিজ্য ও কমিশন মূল্য সমন্বয়ের বিষয়ে সম্মত হওয়ায় আজ থেকে চিনির নতুন দাম কার্যকর হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, খোলা চিনি প্রতি কেজি ১০২ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজি ১০৮ টাকা।
এদিকে, বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনারস অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন পৃথক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভোজ্যতেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ মূল্য সমন্বয়ের আবেদন করা হয় ১ নভেম্বর।
পরে বাংলাদেশ বাণিজ্য ও ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে মূল্য সমন্বয়ের বিষয়ে আলোচনা হয়। কমিশন মূল্য সমন্বয়ের বিষয়ে একমত হয়েছে।
ভোজ্যতেলের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে। বোতলজাত সয়াবিন তেলের প্রতি লিটার ১৯০ টাকা এবং ৫ লিটারের বোতলের জন্য ৯২৫ টাকা। বোতলবিহীন প্রতি লিটার সয়াবিন তেল এখন ১৭২ টাকা ও পাম তেল ১২১ টাকা।
আরও পড়ুন: শিগগিরই চিনির দাম স্থিতিশীল হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
পাম তেলের দাম লিটারে ৮ টাকা কমেছে, চিনির দাম কেজিতে বেড়েছে ৬ টাকা
২ বছর আগে
সয়াবিন তেল: বাজারে দাম কমার কোন প্রভাব নেই
এখনও আগের দামেই লিটারপ্রতি ১৯২ টাকা দামে বাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি করা হচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন বাজারের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, আগে যে দামে কেনা হয়েছিল, মঙ্গলবার তারা সেই দামে বাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি করছেন। তাই বাজারে কম দামে সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা রূপক সাহা ইউএনবিকে বলেন, সরবরাহ চেইনের সমস্যার কারণে কম দামে সয়াবিন তেল পেতে আগামী দুই দিন সময় লাগবে।
রিফাইনাররা মঙ্গলবার (আজ) থেকে খোলা ও বোতলজাত তেলের শুল্ক কমানোর ঘোষণা দিলেও এখনও বোতলজাত তেল লিটারপ্রতি ১৯২ টাকা এবং খোলা তেল লিটারপ্রতি ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা কমল
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ডিএনসিআরপি) মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, সয়াবিন তেলের নতুন দাম নিশ্চিত করতে তাদের মনিটরিং টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন যে ইতোমধ্যেই মিল গেটে নতুন দাম কার্যকর হয়েছে এবং এটি স্বল্পতম সময়ের মধ্যে ভোক্তা পর্যায়ে কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনারস অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরবিএমএ) সোমবার থেকে সয়াবিন তেলের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।
ঘোষণা অনুযায়ী খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৫৮ টাকা, বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১৭৮ টাকা এবং ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম হবে ৮৮০ টাকা।
আরও পড়ুন: প্রতিকেজি পাম তেলের দাম ১২ টাকা ও চিনির দাম ৬ টাকা কমল
কমতে পারে ভোজ্যতেলের দাম: বাণিজ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ২০ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ২০ টাকা বাড়াতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণন কোম্পানির মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনারস অ্যান্ড ভেজিটেবল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরভিএমএ)।
গত ৩ আগস্ট বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে (বিটিটিসি) এই প্রস্তাব দেয় বিভিওআরভিএমএ।
প্রস্তাবে খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ১৮০ টাকা, বোতলজাত লিটার প্রতি ২০৫ টাকা এবং পাঁচ লিটারের বোতলের দাম ৯৬০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভ্যাট ফাঁকি রোধে ১০ হাজার ইএফডি বসাবে এনবিআর
ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সদস্য মোস্তফা আবিদ খান ইউএনবিকে বলেন, আগে যখন ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয় করা হয়েছে তখন ডলারের দাম বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। বিশ্ববাজারে দাম যতটা কমেছে দেশে সে অনুযায়ী দাম কমেনি।
তিনি বলেন, এখন প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করা যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে মানুষ চাপের মধ্যে রয়েছে।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় চাপ আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।
২ বছর আগে
৩.৩০ কোটি লিটার সয়াবিন তেল আমদানি করবে টিসিবি
কোনো টেন্ডার প্রক্রিয়া ছাড়া সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির (ডিপিএম) মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও কানাডার দুটি কোম্পানি থেকে ৩৩ মিলিয়ন (৩ দশমিক ৩০ কোটি) লিটার সয়াবিন তেল আমদানি করবে রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) সভায় এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল বৈঠকে কমিটির সদস্যরা যোগ দেন।
প্রস্তাব অনুযায়ী, ইউএই’র ফেরানি পোলাস্কা স্পিজু ফুড স্টাফ ট্রেডিং এলএলসি (স্থানীয় এজেন্ট: শান ট্রেডিং লিমিটেড, ঢাকা) থেকে ২২ মিলিয়ন লিটার এবং কানাডার কানাডা আইএনসি (স্থানীয় এজেন্ট: হক গ্রুপ, ঢাকা) থেকে ১১ মিলিয়ন লিটার ভোজ্যতেল ক্রয় করা হবে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা কমেছে
সম্পূর্ণ আমদানি খরচ হবে ৪৪৮ দশমিক ৮২ কোটি টাকা। প্রতি মার্কিন ডলার ৯৪ দশমিক ৪৫ টাকা ধরে প্রতি লিটার তেলের দাম এক দশমিক ৪৪ মার্কিন ডলার (১৩৬ টাকা)। ভোজ্যতেল বোতলজাত করে বিক্রি করবে টিসিবি। প্রতি বোতলে দুই লিটার তেল থাকবে।
এছাড়া সার আমদানির বিষয়ে দুটি পৃথক প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে সিসিজিপি।
২ বছর আগে
বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম কমলেও দেশীয় বাজারে প্রভাব সামান্য
বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম ২৬ শতাংশ কমলেও স্থানীয় বাজারে এখনো দাম কমানোর উদ্যোগ দেখা যায়নি।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা থেকে বিপুল পরিমাণ সয়াবিন তেল আমদানি করে বাংলাদেশ। গত এক মাসে দেশটি থেকে আমদানি করা অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম কমেছে।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)হিসাব অনুযায়ী, গত বুধবার আর্জেন্টিনায় অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম ছিল প্রতি টন এক হাজার ৪৬৪ মার্কিন ডলার, যা মাত্র এক মাস আগে টন প্রতি ছিল এক হাজার ৯৭০ মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়িক গ্রুপ থেকে সয়াবিন তেল, ডাল ও চিনি কিনবে টিসিবি
অর্থাৎ এক মাসে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম প্রায় ২৬ শতাংশ কমেছে।
শুধু সয়াবিন তেল নয়, বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রবণতা এখন কমতে শুরু করেছে। চাল, ভোজ্যতেল, গম, চিনি ও মসুর ডালের দাম কমছে।
তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিশ্ববাজারের সঙ্গে সয়াবিন তেলের দাম সমন্বয়ের কোনো পদক্ষেপ এখনো নেয়নি।
বিটিটিসির সাবেক সদস্য মোস্তফা আবিদ খান বলেন, বিশ্ববাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমে যাওয়া বাংলাদেশের জন্য সুখবর। তবে মার্কিন ডলারের অস্থিতিশীল বিনিময় হার পণ্য ও ভোজ্যতেলের মূল্য সমন্বয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম নির্ধারক।
এদিকে পাইকারি বাজারে কিছু পণ্যের দাম কমলেও খুচরা বাজারে এর প্রভাব দেখা যায়নি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার তেলের ক্রমবর্ধমান বাজার হয়ে উঠছে ভারত, চীন
২ বছর আগে