ই-কমার্স
টানা তৃতীয় বারের মতো দেশের সর্বপ্রিয় ই-কমার্স ব্র্যান্ড খেতাব জিতল দারাজ
এক জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে টানা তৃতীয়বারের মত বাংলাদেশের এক নম্বর ই-কমার্স ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি পেল দেশের সর্ববৃহৎ অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ।
এর পাশাপাশি গত বছর সর্বোপরি দ্বাদশ জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হলেও, এ বছর প্রতিষ্ঠানটি সকল ব্র্যান্ডের মাঝে সপ্তম সর্বপ্রিয় ব্র্যান্ড হিসেবে পুরস্কৃত হয়।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাওয়ে অনুষ্ঠিত ‘বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড’-এর ১৫ তম আসরে দারাজ এই স্বীকৃতি পায়।
২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম দেশের ব্র্যান্ডগুলোকে বাজারে তাদের অবদানের জন্য স্বীকৃতি দিয়ে আসছে। এ বছর সারাদেশের ১০ হাজার ভোক্তাদের উপর চালানো এক জরিপ অনুসারে দেশের ১৫টি সেরা ব্র্যান্ডকে তাদের উল্লেখযোগ্য প্রভাব ও অবদানের জন্য স্বীকৃতি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: স্থানীয় ব্যবসা ও কমিউনিটিকে সংযুক্ত করে ই-কমার্সকে সবার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে দারাজ ১১.১১ সেল
সব গ্রাহক ও অংশীদারদের তাদের অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, ‘গত ৯ বছর ধরে দারাজ অবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে এমন একটি সেক্টরে যেখানে বিশ্বাস নিয়ে প্রতিনিয়ত প্রশ্ন উঠে। এর মাঝেই আমরা বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজের জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছি যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ক্রেতা, বিক্রেতা এবং অন্যান্য অংশীদারদের জন্য সর্বোত্তম গুনমান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমাদের দৃঢ় মনোভাব। সেরাদের সেরার পুরস্কার পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই স্বীকৃতি আমাদের আরও অনুপ্রাণিত করবে যুগান্তকারী উদ্ভাবন এবং মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি কোণার ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে সংযোগ স্থাপন করতে।’
এ ব্যাপারে দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) তালাত রহিম বলেন, ‘এ ধরনের স্বীকৃতি আমাদের অনুপ্রাণিত করে কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে সকলের জন্য বিনোদনমূলক করার লক্ষ্যে আরও নিবেদিতভাবে কাজ করে যেতে। এছাড়াও আগামীর দিনে ই-কমার্স শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতেও উদ্বুদ্ধ করে।’
২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে এবং ২০১৮ সাল থেকে সম্পূর্ণরূপে আলিবাবার মালিকানাধীনে, দারাজ গত নয় বছরে অসাধারণ ক্রয়াদেশ বৃদ্ধি অর্জন করেছে।
প্লাটফর্মটিতে বর্তমানে ১ দশমিক ৫ কোটিরও বেশি পণ্য রয়েছে যার মাঝ থেকে গ্রাহক তার পছন্দের জিনিসটি বেছে নিতে পারে। এছাড়াও তিন হাজারেরও বেশী রাইডার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ৬৪টি জেলায় ২ কোটির অধিক গ্রাহকের কাছে সময়মত ডেলিভারি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে।
আরও পড়ুন: স্যুট অ্যাওয়ার্ডের বর্ষসেরার সম্মাননা পেলেন দারাজের সিসিএও-সিওও
দারাজের ১১.১১ সেল উৎসবে মেতে ছিলেন বাংলাদেশের ২৯ লক্ষাধিক ক্রেতা
১০ মাস আগে
সেলার ও উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নে দারাজ সেলার সামিট-২০২৩
দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ ১৮০০ টিরও বেশি ই-কমার্স বিক্রেতা ও ব্র্যান্ড পার্টনারদের নিয়ে সম্প্রতি আয়োজন করেছে দারাজ সেলার সামিট ২০২৩।
বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানে নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় বৃহত্তম এই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের 'গ্র্যান্ড ভিশন'।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
অনুষ্ঠানে তিনি ই-কমার্স খাতের ব্যাপক সম্ভাবনার ওপর গুরুত্ব আরোপ করার পাশাপাশি দারাজের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: বছরের সবচেয়ে বড় সেল ১১.১১ নিয়ে আসছে দারাজ
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- সৈয়দ মোস্তাহিদল হক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দারাজ বাংলাদেশ; লু ইয়াও, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার, দারাজ গ্রুপ; এ এইচ এম হাসিনুল কুদ্দুস রুশো, চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার, খন্দকার তাসফিন আলম, চিফ অপারেটিং অফিসার; তালাত রহিম, চিফ মার্কেটিং অফিসার; ফারহানা রফিকুজ্জামান, চিফ কাস্টমার অফিসার; আব্দুর রউফ, চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার; কামরুল হাসান, কমার্শিয়াল ডিরেক্টর এবং দারাজ বাংলাদেশের অন্যান্য প্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠানে প্রাণবন্ত আলোচনার সঙ্গে বহুল প্রতীক্ষিত বছরের সবচেয়ে বড় সেল ১১.১১ এবং প্ল্যাটফর্মের বিক্রয় বাড়ানোর বিস্তৃত উপায় সহ আরও প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এছাড়াও, দারাজ সেলারদের স্বীকৃত এবং অনুপ্রাণিত করতে ৭টি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: দারাজ এর ‘৯-এর উল্লাস’ ক্যাম্পেইন শুরু
৯-এর উল্লাসে দারাজ বাংলাদেশ
১ বছর আগে
বছরের সবচেয়ে বড় সেল ১১.১১ নিয়ে আসছে দারাজ
দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ টানা ষষ্ঠবারের মতো নিয়ে আসছে এর বহুল প্রতীক্ষিত ১১.১১ ক্যাম্পেইন। আগামী ১১ নভেম্বর শুরু হয়ে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত এ ক্যাম্পেইন চলবে।
রবিবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল-এ ১১.১১ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বছরের সবচেয়ে বড় সেল ১১.১১ ২০২৩ নিয়ে দারাজের পক্ষ থেকে ক্যাম্পেইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
‘কিনে নাও সবই’- স্লোগানে সঞ্চয় ও উৎসবের আমেজ নিয়ে দারাজ এবারের ১১.১১-এর প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেছে।
প্রতি বছরের মত এবারও ক্রেতাদের কেনাকাটায় ভিন্নমাত্রা যোগ করতে দারাজ নিয়ে এসেছে চমৎকার সব অফার, যার মধ্যে থাকছে ২০ লাখ ডিল, সর্বমোট ৫০ কোটি টাকা মূল্যের বিশাল ডিসকাউন্ট, ফ্রি শিপিং, ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট, এক্সক্লুসিভ ভাউচার, ফ্ল্যাশ সেলসসহ আরও অনেক চমৎকার ডিলস ও ছাড়।
এ বছর ১১.১১ এর ফোকাস ক্যাটাগরির মধ্যে থাকছে ইলেকট্রনিক্স-হোম অ্যাপ্লায়েন্স, ফ্যাশন আইটেমস, হোম ডেকর, ডেইলি অ্যান্ড মান্থলি এসেনশিয়ালস, রেগুলার গ্রসারিজ, মাদার অ্যান্ড বেবি আইটেমস ও বিউটি প্রোডাক্টস।
এ বছর ১১.১১ উপলক্ষে গ্রাহকদের একটি অসাধারণ অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতা উপহার দিতে যেসব বিক্রেতা নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে, শুধুমাত্র তাদের বাছাই করার পাশাপাশি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন বিধি-বিধান সম্পর্কে সতর্কও করেছে এই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি।
এছাড়াও, বিদ্যমান নীতি মেনে নির্ধারণকৃত আকর্ষণীয় সব অফারের মধ্যে কোন অসাধু বিক্রেতা যেন অবাস্তব অফার না দিতে পারে, সেক্ষেত্রেও বিশেষ নজর দিয়েছে দারাজ।
আরও পড়ুন: দারাজ এর ‘৯-এর উল্লাস’ ক্যাম্পেইন শুরু
১১.১১ নিয়ে গ্রাহকদের প্রত্যাশা পূরণে প্রোডাক্ট অথেন্টিসিটি নিশ্চিত করতে বেশ কিছু কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। যেমন- দারাজ মলে আছে গ্যারান্টিসহ অথেন্টিক প্রোডাক্টের অফার, যাতে নকল প্রোডাক্ট ডেলিভারি পেলে থাকছে দ্বিগুণ অর্থ ফেরতের সুযোগ।
তাছাড়াও, বিক্রেতাদের প্রতিনিয়ত মনিটর করা, তাদের ডেভেলপমেন্ট ও প্রয়োজনে প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে ফেলার দিকেও জোর দেওয়া হচ্ছে। সময় মত ডেলিভারি দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে অনেক নতুন রাইডার নিয়োগ এবং তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে দারাজ বাংলাদেশের চিফ মাকেটিং অফিসার তালাত রহিম বলেন, ‘দারাজের ১১.১১ গ্রাহকদের জন্য শুধুমাত্র সঞ্চয় করার সুযোগ তৈরি করে না, বরং একটি উৎসবের আমেজও তৈরি করে। প্রতি বছরের মত আমাদের গ্রাহকদের প্রত্যাশা পূরণ করে আরও একটি সফল ১১.১১ উপহার দিতে আমাদের টিম অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। আশা করছি গ্রাহকরা তাদের পছন্দের পণ্যের তালিকা নিয়ে প্রস্তুত আছেন বছরের সবচেয়ে বড় বিক্রয় উৎসবে আমাদের সঙ্গে সামিল হওয়ার জন্য।’
দারাজ বাংলাদেশের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এ এইচ এম হাসিনুল কুদ্দুস রুশো বলেন, ‘দারাজ এর ১১.১১ ক্যাম্পেইন বিক্রেতাদের ও ক্রেতাদের প্রত্যাশা পূরণের একটি উল্লেখযোগ্য মাধ্যম। এই বছর, আমরা আরও বেশি ডিল, ভাউচার ও অফার নিয়ে প্রস্তুত ক্রেতাদের কেনাকাটার সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা দিতে। বছরের এই বৃহত্তম শপিং কার্নিভ্যাল উপলক্ষে আমরা দ্বিগুণ রাইডার নিয়োগ দেওয়াসহ আমাদের সক্ষমতা ২০০ শতাংশ বৃদ্ধি, গ্রাহকদের উপস্থিতি আট গুণ বৃদ্ধি নিশ্চিত করে কেনাকাটার আকর্ষণের মাত্রাকে বৃদ্ধির মাধ্যমে আমাদের সেলার কমিউনিটির জন্য এক অসাধারণ ব্যবসায়িক সুযোগ তৈরি করেছি। এছাড়াও, বছরের সবচেয়ে বড় শপিং কার্নিভ্যাল উপলক্ষে এবার আমরা বিক্রেতা নির্বাচন, পণ্যের অথেন্টিসিটি ও সময়মতো ডেলিভারি প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিয়েছি।’
বছরের সবচেয়ে বড় এই সেলে ডায়মন্ড স্পন্সর হিসেবে ইউনিলিভার বাংলাদেশ, প্যারাসুট অ্যাডভান্সড - ম্যারিকো বাংলাদেশ, ডেটল - রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ ও মোশন ভিউ - এর মতো ব্র্যান্ডের পাশাপাশি গোল্ড স্পন্সর হিসেবে হোমেল, ইউগ্রিন, লুইসউইল, স্কেমেই, হারপিক-রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ ও গোদরেজ হাউজহোল্ড প্রোডাক্টস বাংলাদেশ এবং সিলভার স্পন্সর হিসেবে উইরেস্টো, সিঙ্গার বাংলাদেশ, ওজেরিও, ওয়াও স্কিন সায়েন্স, স্কিন ক্যাফে লিমিটেড, রিবানা, বিয়ারডো-ম্যারিকো বাংলাদেশ ও ভিট-রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ যোগ দিয়েছে।
এছাড়া, গ্রাহকদের একটি সহজ ক্যাশলেস কেনাকাটার অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে বিকাশ ও নগদ ছাড়াও ব্যাংক পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয়েছে ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, দারাজ ইবিএল কো-ব্র্যান্ড, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, এইচএসবিসি, লংকা বাংলা ফাইন্যান্স, এনসিসি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক।
আরও পড়ুন: ৯-এর উল্লাসে দারাজ বাংলাদেশ
দক্ষিণ এশিয়ার গ্রাহকদের সেরা অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে এলো ‘আস্ক দারাজ’
১ বছর আগে
শিগগিরই এসক্রো বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে চালু করা এসক্রো সার্ভিস নামের বিশেষ সেবা বাস্তবায়নে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এই এসক্রো বাস্তবায়ন কমিটিতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইক্যাব) এবং ই-কমার্স খাতের ব্যবসায়ীদের অন্তর্ভুক্ত করার কথাও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সোমবার (২ অক্টোবর) এফবিসিসিআই ও ইক্যাবের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সৌজন্য সাক্ষাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মো. নাছের। এসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডি গ্রেড নিয়ে বৈশ্বিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের অবস্থানের অবনতি
এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি ও ইক্যাবের সভাপতি শমী কায়সারের নেতৃত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ইক্যাবের পরিচালক ও অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম ‘দারাজ’ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাসফিন আলম, ই-ক্যাব পরিচালক মো. ইলমুল হক সজীব, অনন্য রায়হান প্রমুখ।
বৈঠকে শমী কায়সার বলেন, নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশের ই-কমার্স খাত সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। এই খাতে নারীদের অংশগ্রহণ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
এসময় ই-কমার্স খাতের সহযোগিতায় সব সময় পাশে থাকার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি ধন্যবাদ দেন তিনি।
শমী কায়সার আরও বলেন, বৈশ্বিক মার্কেটে বাণিজ্য সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশের ই-কমার্স খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে পলিসি লেভেলে কিছু কাজ করতে চাই আমরা। এক্ষেত্রে ক্রস বর্ডার ই-কমার্স মডিফিকেশন অত্যন্ত জরুরি।
ই-কমার্স খাতে এখনও কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে উল্লেখ করে তিনি জানান, এই প্রতিবন্ধকতা দূর করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে পলিসি সামিট করবে এফবিসিসিআই।
এসময় ক্রেডিট কার্ডের ক্যাপ বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ক্রেডিট কার্ডের ক্যাপ বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা ও প্রয়োজনে পরে বাড়ানো হবে বলে বাংলাদেশে ব্যাংকের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়। এসময় এ সংক্রান্ত কিছু দিক নির্দেশনাও দেওয়া হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: ডলারের বিনিময় হার না বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও আবারও বেড়েছে
সৌজন্য সাক্ষাতে বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এসক্রো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরলে এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রাহকদের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে কেনাকাটার উৎসাহিত করতে এবং প্রতারণা এড়াতে ‘মার্চেন্ট অ্যাকোয়ারিং ও এসক্রো সেবা নীতিমালা ২০২৩’ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। এই উদ্যোগকে আরও সংশোধিত ও এর বাস্তবায়নে একটি কমিটি গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সেই কমিটিতে এফবিসিসিআই, ইক্যাবসহ ই-কমার্স খাতের ব্যবসায়ী ও অন্যান্য অংশীজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মো. নাছের বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ই-কমার্স খাত এখনও নতুন। সম্ভাবনাময় এই খাতে এখনও অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে।
সব বাধা অতিক্রম করে শিগগিরই ই-কমার্স খাতকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ ১ বছরের জন্য ডলার বুকিং নীতি চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
১ বছর আগে
অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল-২০২৩ জাতীয় সংসদে উত্থাপন
অত্যাবশ্যক পরিষেবা (রক্ষণাবেক্ষণ) বিল-১৯৫২ এবং অত্যাবশ্যক পরিষেবা (দ্বিতীয়) অধ্যাদেশ-১৯৫৮ কে আরও সময়োপযোগী করার জন্য বৃহস্পতিবার সংসদে অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল-২০২৩ উপস্থাপন করা হয়েছে।
ই-কমার্স, ইন্টারনেট ও ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্রে অত্যাবশ্যক পরিষেবাগুলোর পুরনো দুটি আইনকে একীভূত করে ইংরেজি থেকে বাংলায় লেখা হয়েছে বিলটি।
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বিলটি উত্থাপন করলে তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সংসদে বিলটি পাস হওয়ার পরে সরকার প্রয়োজনীয় যে কোনো পরিষেবাকে অপরিহার্য ঘোষণা করতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন: সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত খসড়া আইনে অত্যাবশ্যক পরিষেবাগুলোকে প্রভাবিত করতে পারে এমন 'অবৈধ' ধর্মঘটকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
জনসাধারণের ক্ষতি করতে পারে এমন পরিষেবাগুলোকে প্রভাবিত করে এমন কোনো কারখানা বা অন্যান্য স্থাপনা 'অবৈধভাবে' ছাঁটাই করার অনুমতি ব্যবস্থাপনাকে দেওয়া হবে না।
অত্যাবশ্যক পরিষেবার মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ সংক্রান্ত কার্যক্রম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, রেলপথ, নৌ, সড়ক ও আকাশপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন।
সরকার সর্বোচ্চ ছয় মাসের জন্য যেকোনো সেবার অপরিহার্য অবস্থা ঘোষণা করতে পারবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই ঘোষণার পর ধর্মঘট বা বন্ধের ঘোষণা এবং চাকরিতে ছাঁটাইয়ের ঘোষণা অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে।
বিলে আইন অমান্য করলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
শ্রম আইনের সঙ্গে কোনো বৈপরীত্যের ক্ষেত্রে এই আইনটি প্রাধান্য পাবে।
আরও পড়ুন: একাদশ জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনের ৫ সদস্যের সভাপতিমণ্ডলী মনোনীত
১ বছর আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার রাস্তায় রোবোট্যাক্সির সফল পরীক্ষা চালাল অ্যামাজনের জুক্স
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের মালিকানাধীন স্ব-চালিত যানবাহন কোম্পানি জুক্স তাদের ‘রোবোট্যাক্সি’-এর যাত্রী নিয়ে রাস্তায় সফলভাবে পরীক্ষা চালিয়েছে। এতে, কোম্পানিটি জনগণের দোরগোড়ায় স্ব-চালিত ট্যাক্সি সেবা পৌঁছে দিতে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।
কোম্পানিটি সোমবার জানিয়েছে, রোবোট্যাক্সিটিতে চারজন কর্মী নিয়ে শনিবার প্রথমবারের মতো চালিয়ে দেখা হয়েছে।
গাড়িটিতে না আছে স্টিয়ারিং, না আছে কোনো প্যাডেল। ক্যালিফোর্নিয়ার ফস্টার সিটিতে কোম্পানিটির সদর দপ্তরের দুই ভবনের মাঝের প্রায় এক মাইল রাস্তা পাড়ি দিয়েছে গাড়িটি। বাহনটির ভেতরে মুখোমুখি বসতে পারে এরকম দু’টি বেঞ্চ রাখা হয়েছে। ১২ ফুট দৈর্ঘ্যের এই রোবোট্যাক্সি ঘণ্টায় ৩৫ মাইল গতিবেগে চলতে সক্ষম।
আরও পড়ুন: অ্যামেকা: বিশ্বের সর্বাধুনিক মানবিক রোবট
২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত জুক্সকে ছয় বছর পর কিনে নেয় অ্যামাজন। এরপর কোম্পানিটির পক্ষে বলা হয় যে তাদের তৈরি স্ব-চালিত গাড়ি সংঘর্ষ এড়িয়ে চলতে পারে।
শনিবারের পরীক্ষা চালানোর আগে তারা ব্যক্তিগতভাবে চালিয়ে দেখেছে এবং ক্যালিফোর্নিয়ার মোটর যান বিভাগের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন পেয়েছে।
সফলভাবে পরীক্ষা চালানোর পর জুক্স তাদের কর্মীদের জন্য আপাতত ট্যাক্সি সেবা চালু করার ঘোষণা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: টেসলার রোবট ‘অপটিমাস’ দেখালেন ইলন মাস্ক
১ বছর আগে
ই-অরেঞ্জের অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে বিএফআইইউ
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান এবং ভাই পুলিশ পরিদর্শক (বরখাস্ত) শেখ সোহেল রানার অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
পাশাপাশি সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, ভাই শেখ সোহেল রানা ও চাচা মোহাম্মদ জায়েদুল ফিরোজ কর্তৃক নগদে উত্তোলন ও ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর এবং নিজ নামে স্থায়ী সম্পদ ক্রয় করার জন্য মোট ১৮ দশমিক ৫৬ কোটি টাকা ই-অরেঞ্জ এর হিসাব থেকে স্থানান্তর/উত্তোলন করেন।
গ্রাহকদের অগ্রীম মূল্য পরিশোধিত অর্ডারের কাঙ্ক্ষিত পণ্য সরবরাহ না করে সন্দেহভাজনরা উল্লিখিত অর্থ তাদের ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর, নগদে উত্তোলন ও ব্যক্তিগত স্থায়ী সম্পদ ক্রয় করেছেন মর্মে পরিলক্ষিত হয়েছে যা প্রতারণার শামিল।
বুধবার (২ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে বিএফআইইউ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,প্রাথমিক পর্যায়ে ই-অরেঞ্জ.শপ ও অরেঞ্জ বাংলাদেশ এর মালিকানায় সোনিয়া মেহজাবিন থাকলেও পরে তা পরিবর্তন করে পুলিশ কর্মকর্তা (বরখাস্ত) শেখ সোহেল রানার (সোনিয়া মেহজাবিনের ভাই) স্ত্রী নাজনীন নাহার বিথির নামে হস্তান্তর করা হয়।
সন্দেহভাজন প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে অল্প সময়ের ব্যবধানে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মোট ১৩টি হিসাব খুলে লেনদেন পরিচালনা করা হয়েছে।
১৩টি হিসাবের মাধ্যমে জানু ২০১৯ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত সময়ে ১ হাজার ১১১.৪৫ কোটি টাকা জমা ও ১ হাজার ১০৯.৯৭ কোটি টাকা উত্তোলনের মাধ্যমে মোট ২ হাজার ২২১.৪২ কোটি টাকার লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে।
হিসাবগুলোতে জানুয়ারি ২০২০ থেকে জুলাই ২০২১ পর্যন্ত সময়ে অধিকাংশ লেনদেন হয়েছে।
এছাড়া সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মো. মাসুকুর রহমানের নামে সর্বমোট ২৪টি হিসাব পরিচালনা করে লেনদেন সম্পন্ন করা হয়েছে মর্মে পরিলক্ষিত হয়েছে। ওই ২৪টি হিসাবের মাধ্যমে সময়ে সময়ে সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তি প্রায় ১২০ কোটি টাকার লেনদেন সম্পন্ন করেছেন।
হিসাব খোলার ফরমের তথ্য অনুযায়ী ই-অরেঞ্জ শপ ও অরেঞ্জ বাংলাদেশ এর ব্যাংক হিসাবের নমিনি ও হিসাব খোলার আবেদনে হিসাবটির পরিচয়দানকারী ছিলেন মোহাম্মদ জায়েদুল ফিরোজ।
একইভাবে, রেড অরেঞ্জ ইন্টারন্যাশনাল এর হিসাব খোলার আবেদন ফরমে পরিচয়দানকারী ছিলেন সোনিয়া মেহজাবিন। আলোচ্য সন্দেহভাজন প্রতিষ্ঠান ৩টির ব্যবসায়িক ঠিকানা একই মর্মে ব্যাংক হিসাবের দলিলাদিতে উল্লেখ রয়েছে।
তাছাড়া প্রতিষ্ঠান তিনটির ব্যাংক হিসাবে নিয়মিতভাবে ফান্ড ট্রান্সফার, আরটিজিএস এর মাধ্যমে লেনদেন সংঘটিত হয়েছে মর্মে লেনদেন বিশ্লেষণে পরিলক্ষিত হয়েছে।
প্রতিবেদনের সার্বিক পর্যালোচনা অংশে বলা হয়েছে, ই-অরেঞ্জ শপ, অরেঞ্জ বাংলাদেশ ও রেড অরেঞ্জ ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক কমমূল্যে গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহের বিভিন্ন লোভনীয় অফারে প্রলুব্ধ করে বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের কাছ থেকে অর্ডারের মূল্য বাবদ প্রাপ্ত অর্থ ব্যাংক হিসাবে জমা করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে। পরে জমা করা অর্থ থেকে বিভিন্ন মার্চেন্টকে পরিশোধ করার পাশাপাশি সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, ভাই শেখ সোহেল রানা ও চাচা মোহাম্মদ জায়েদুল ফিরোজ কর্তৃক নগদে উত্তোলন ও ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর এবং নিজ নামে স্থায়ী সম্পদ ক্রয় করার জন্য মোট ১৮.৫৬ কোটি টাকা ই-অরেঞ্জ এর হিসাব থেকে স্থানান্তর/উত্তোলন করেন। গ্রাহকদের অগ্রীম মূল্য পরিশোধিত অর্ডারের কাঙ্ক্ষিত পণ্য সরবরাহ না করে সন্দেহভাজনরা উল্লিখিত অর্থ তাদের ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর, নগদে উত্তোলন ও ব্যক্তিগত স্থায়ী সম্পদ ক্রয় করেছেন মর্মে পরিলক্ষিত হয়েছে যা প্রতারণার শামিল।
উল্লেখ্য, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ২(শ)(৫) ধারা অনুসারে প্রতারণা সম্পৃক্ত অপরাধ হিসেবে সংজ্ঞায়িত। কাজেই বর্ণিত অপরাধলব্ধ আয় আলোচ্য ব্যাংক হিসাবগুলোতে জমা, উত্তোলন, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে সন্দেহভাজন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মানিলন্ডারিং অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে।
বিএফআইইউ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে বলা হয়েছে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত ই-অরেঞ্জ.শপ ও এর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সব হিসাবের সব তথ্য তদন্তের স্বার্থে ২৩/০৬/২০২১ তারিখে সিআইডিতে সরবরাহ করা হয়েছে। ই-অরেঞ্জ.শপ ও এর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত সব হিসাবে প্রতারণা থেকে উদ্ভূত অর্থ জমা হয়ে থাকতে পারে মর্মে সন্দেহ করে সিআইডির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে হিসাবগুলোর লেনদেন মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ২৩(১)(গ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গত ২৫/০৮/২০২১ তারিখে স্থগিত করা হয়। পরে ওই স্থগিতাদেশ ৩য় দফায় বর্ধিত করা হয়। বর্তমানে ই-অরেঞ্জ.শপ ও এর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত মোট আটটি হিসাব আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।
ব্যাংক হিসাবে অর্থ জমা সংক্রান্ত প্রতিবেদনের অংশে বলা হয়েছে, ই-অরেঞ্জ.শপ ও অরেঞ্জ বাংলাদেশ এর হিসাবে সম্পন্ন হওয়া লেনদেন পর্যালোচনায় পেমেন্ট গেটওয়ে সফটওয়্যার শপ লি.(এসএসএল কমার্স) কর্তৃক মোট তিন লাখ চার হাজার ৫২৫টি অর্ডার আইডির বিপরীতে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা ই-অরেঞ্জ শপকে পরিশোধ করা হয়েছে এবং ৬৬১টি অর্ডার আইডির মোট ৬৫.৯৯ লাখ টাকা গ্রাহককে রিফান্ড করা হয়েছে মর্মে পরিলক্ষিত হয়েছে।
ই-অরেঞ্জ থেকে ৭৭ কোটি টাকার পণ্য কিনে প্রতারণার শিকার ৫৪৭ জন গ্রাহকের পক্ষে মো. আফজাল হোসেন, মো. আরাফাত আলী, মো. তরিকুল আলম, সাকিবুল ইসলাম, রানা খান ও মো. হাবিবুল্লাহ জাহিদ নামের ছয়জন গ্রাহক গত মার্চে হাইকোর্টে রিট করেন। রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে চলতি বছরের ৭ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)এর কাছে প্রতিবেদন চান। রুলে গ্রাহকদের নিরাপত্তা, সুরক্ষায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের সঙ্গে সম্পৃক্ত বনানী থানার সাময়িক বরখাস্ত পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা, সত্ত্বাধিকারী সোনিয়া মেহজাবিন ও বিথি আক্তারসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে গ্রাহক ঠকানো, অর্থপাচারের অভিযোগে আইনি ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিস্ক্রীয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন।
একইসঙ্গে সোহেল রানা, সত্ত্বাধিকারী সোনিয়া মেহজাবিন ও বিথি আক্তারসহ অন্যান্যদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করে ক্ষতি অনুপাতে আবেদনকারীসহ অন্যান্য প্রতারিত গ্রাহকদের মাঝে সে টাকা বন্টন বা বিতরণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয় রুলে। ওই আদেশ অনুসারে বিএফআইইউ প্রতিবেদন দাখিল করে। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহসানুল করিম ও আব্দুল কাইয়ুম লিটন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অভিযুক্ত ই–অরেঞ্জের সঙ্গে সম্পৃক্ত সোহেল রানাকে গত বছর ৩ সেপ্টেম্বর সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করা হয়।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা অনুপ্রবেশের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত থেকে তাকে আটক করে। পরে ৫ সেপ্টেম্বর তাকে সাময়িক বরখাস্তের কথা জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ।
২ বছর আগে
২০২২ ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ জার্সি অনলাইনে কোথায় পাবেন
গ্যালারিতে অথবা টিভি স্ক্রিনের সামনে বসে খেলা দেখার আনন্দটা যেন বহুগুণে বেড়ে যায়, যদি গায়ে থাকে প্রিয় দলের জার্সি। ফুটবল খেলা দেখার সঙ্গে জার্সি পড়াটা যেন রীতিমত প্রথা হয়ে দাড়িয়েছে। এবারের বিশ্বকাপ জ্বরে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২-এর জার্সি অনলাইনে কেনা যাবে। খেলা মাঠে গড়াবার আগেই তাই চলছে প্রিয় দলের জার্সি সংগ্রহের তোড়জোড়। চলুন, দেখে নেয়া যাক অনলাইনে কোথায় কোথায় বিক্রি হচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপ জার্সি।
অনলাইনে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২-এর জার্সি কেনার ১০টি সাইট
দারাজ
দেশের স্বনামধন্য এই ই-কমার্স সাইটটি এবারের বিশ্বকাপের প্রতিটি দলের জন্য অফিসিয়াল বিশ্বকাপ জার্সি বিক্রি করছে। সফ্ট প্রথম শ্রেণীর ফ্যাব্রিকগুলো থেকে শর্ট, মিডিয়াম, লার্জ, এক্সেল এবং ডাবল এক্সেলের যে কোনটি বাছাই করে নেয়ার সুযোগ তো আছেই। সেই সঙ্গে আছে পছন্দের জার্সিটি বাছাইয়ের মুহুর্তে ওয়েবসাইট থেকে ছবি ও বিস্তারিত যাচাই করার স্বাধীনতা। উচ্চ চাহিদার কারণে স্বভাবতই দ্রুত স্টক ফুরিয়ে যাওয়ার বিষয় রয়েছে। দেশব্যপি কার্যক্রম থাকার কারণে দূরত্বের ভিত্তিতে পণ্য পেতে বিলম্ব হওয়ার ঝামেলা নেই। ডিলার ও আকারের উপর ভিত্তি করে জার্সির মূল্য মানে উল্লেখযোগ্য তারতম্য বিদ্যমান। ক্রেতাদেরকে ১০০০ থেকে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত পরিশোধের পরিকল্পনা রাখতে হবে।
ফেব্রিলাইফ
একজন ভক্ত হিসেবে প্রিয় দলটির সর্বোচ্চ মানের জার্সিটি পাওয়ার ক্ষেত্রে নির্দ্বিধায় নির্ভর করা যায় ফেব্রিলাইফের ওপর। এরা রীতিমত পুরো ফুটবল কম্বো সরবরাহের ব্যবস্থা রেখেছে, যেখানে জার্সির সঙ্গে থাকছে বিভিন্ন কিট। তাই বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে ফুটবল ইভেন্টটিকে দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় ধরে রাখতে চাইছেন যারা, তারা অনায়াসেই এই কিটগুলোর মালিকানা নিতে পারেন। বিশ্বকাপের পরের বছরেও কোন এক ভোরে বা সন্ধ্যায় এই জার্সি ও কিটগুলো শারীরিক অনুশীলনের সঙ্গী হতে পারবে। কাপড়ের গুণাগুণ নিয়ে কোন আপস নেই। শীত-গ্রীষ্ম সব ঋতুতেই অন্যান্য কস্টিউমের মধ্যে এই জার্সিকেই সবার উপরে রাখা যায়। অর্থাৎ এ কথা অকুন্ঠচিত্তে স্বীকার করা যায় যে, ১২৯০ থেকে ১৩৯০ টাকার পণ্যগুলো বেশ ন্যায়সঙ্গত হবে।
ডেলিভারি হবে
মানসম্পন্ন জার্সি বিক্রির তালিকায় অল্প সময়েই নিজের জায়গা করে নিয়েছে এই ইকমার্স সাইটটি। নকশার আসল-নকল নিয়ে চিন্তার কোন অবকাশ নেই। এদের সফ্ট পলিয়েস্টার ফ্যাব্রিকে এয়ার-কুলিং-এর হিট এ্যান্ড ড্রাই প্রযুক্তির স্পষ্ট প্রতিফলন পাওয়া যায়।
পছন্দ মত ডাবল এক্সেল থেকে শুরু করে শর্ট পর্যন্ত আকারগুলো ত্বকের ভিন্নতা উপেক্ষা করে ঠান্ডা ও আরামদায়ক অনুভূতির পরশ দিবে। ২৭ ইঞ্চি উচ্চতা এবং ১৮ ইঞ্চি প্রস্থ থেকে শুরু হওয়া ১০০ ভাগ পলিয়েস্টারে ১০০০ থেকে ১৪৫০ টাকা পর্যন্ত এর দামগুলো ন্যায্যতা পেয়েছে। তবে এখানে জার্সিগুলো কেবল ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানি, পর্তুগাল এবং ফ্রান্সের মত শীর্ষস্থানীয় দলগুলোতে সীমাবদ্ধ থাকছে।
নেইম্যাট
কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রিক কার্যক্রম শুরু করা এই শোরুমটি অনলাইনেও তাদের বিশাল এক গ্রাহক গ্রুপ তৈরি করে ফেলেছে। এবারের ফিফা কিটে এদের মিডিয়াম-থ্রি-এক্সেল বেশ ভালোই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পলিয়েস্টারের জার্সিগুলো অর্ডার করতে তাদের ফেসবুক বিজনেস পেজের ইনবক্স পর্যন্ত যাওয়াটাই যথেষ্ট। বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতকৃত দেশগুলোর ভিন্ন ভিন্ন নকশা এমব্রয়ডারির মাধ্যমে সুচারুরূপে বসানো আছে জার্সিতে। ঘরে বসেই ট্রায়াল দেয়ার অনুভূতি পেতে ১০০০ থেকে ১৩০০ টাকার জার্সির ভিডিও রিভিউগুলো সেরা হতে পারে। সেখানে পণ্যের আকারগুলো কাপড়েরর গুণাগুণ ও ব্যবহার সহ খুব পরিণত ভাবে পরিবেশন করা হয়েছে। অন্যান্য জায়ান্ট ই-কমার্স সাইটগুলোর অভিজাত সারিতে শামিল হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে বেশ আয়োজন করে এগিয়ে যাচ্ছে নেইম্যাট।
জার্সি.নেট.বিডি
হাজারো পণ্যের ভেতর থেকে পছন্দের জার্সি খুঁজে নেয়ার ঝামেলা এড়াতে হলে আসতে হবে জার্সি.নেট.বিডির কাছে। শুধুমাত্র জার্সিকে কেন্দ্র করেই পুরো এক নিবেদিত অনলাইন শপিং সাইট হিসেবে এটিকে তৈরি করা হয়েছে। আমদানিকৃত মালামালের অরিজিনালিটি স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে এগুলোর ১০০ ভাগ পলিয়েস্টারের কাজ দেখে। শর্ট, মিডিয়াম, লার্জ, এক্সেল এবং ডাবল এক্সেলের এর মত বাহারি আকারের জার্সি তো থাকছেই। পাশাপাশি এগুলোর উজ্জ্বলতা ক্রেতাদেরকে এদের নিপুণ কারুকাজের কথা জানান দেয়। ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকার জার্সিগুলোকে মসৃণ ভাবে পরিষ্কারের জন্য ওয়াশিং মেশিনে ধোয়ার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। অধিকাংশ জার্সিতেই শার্টের মত হাতা, কিন্তু এগুলোর কোনটিতেই মসৃণতা ঘাটতি নেই।
জার্সি শপ বিডি
ফুটবল ভক্তরা খেলোয়ারদের জার্সি পড়ার অনুভূতি উপভোগ করতে জার্সি শপ বিডির উপর ভরসা করতে পারেন। বাংলাদেশে থেকে যে জার্সিগুলো রপ্তানি করা হয়, এরা সেই প্লেয়ার সংস্করণগুলো এদের সাইটে তুলেছে। এই খাঁটি প্রিমিয়াম নেট ফ্যাব্রিক জার্সি পরিহিত অবস্থায় একজন খেলোয়ার হিসেবে অনুভূতি পাওয়াটা একদমি কৃত্রিম নয়। কেননা এই জার্সিটি পরেই কোন এক মিড ফিল্ডার মাঠে নামবে বিশ্বকাপের মঞ্চে। ৯৫০ থেকে ১০৯০ টাকার মধ্যে এই অনুভূতি পাওয়াটা একটি সেরা উপভোগ্য বিষয়। মিডিয়াম, লার্জ, এক্সেল, এবং ডাবল এক্সেলের প্রতিটিতে রয়েছে সূচিকর্মের লোগো। গায়ে ঠিকমত ফিট হচ্ছে কিনা অথবা হাতে পলিয়েস্টারের পরশ পেতে চাইলে চলে যেতে হবে এদের মোহাম্মদপুরের একমাত্র শোরুমটিতে। আর অনলাইনে অর্ডারের জন্য আছে এদের ফেসবুক পেজ।
শপ্জ্
দাম নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হলে শপ্জ্-এর চাইনিজ জার্সিগুলো সেরা হতে পারে। কেননা এরাই একমাত্র জার্সি দিচ্ছে মাত্র ৫০ থেকে ৭৫০ টাকায়। এরা স্লিম-ফিট জার্সিগুলোকে কেন্দ্র করেই সাজিয়েছে এদের শপিং সাইটটি। হালকা ওজনের ও খাঁটি পণ্যগুলো সঠিক ভাবে যাচাই করে নিতে সরাসরি যোগাযোগ করে নেয়াটা উত্তম। এতে জার্সির আকারটি শরীরের জন্য উপযুক্ত হচ্ছে কিনা তা বোঝার একটা সুযোগ পাওয়া যাবে। চূড়ান্ত অর্ডার অথবা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার জন্য সব সময়ের জন্য প্রস্তুত রয়েছে তাদের ফেসবুক পেজ।
দিয়ামু
এখানকার বেশিরভাগ জার্সি রেগুলার ফিট, রিবড ক্রুনেক এবং ১০০ ভাগ ডাবল নিট পলিয়েস্টারের। ছোট, মাঝারি, বড়, এক্সেল, এবং ডাবল এক্সেল আকার থাকায় জার্সি বাছাই নিয়ে কোন ঝামেলা নেই। সাইটটি তেমন জনপ্রিয় নয়, তবে এর ৭৯০ টাকার খাঁটি জার্সি একটিবারের জন্য হলেও ভক্তদেরকে এই ই-কমার্স সাইটের দিকে ভ্রূক্ষেপ দিতে বাধ্য করবে। এর ২৭/১৬ ইঞ্চি অথবা ১৮/১৯ ইঞ্চি ক্যাটাগরিকে দেহের সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধান করে সাবলিল ভাবেই জার্সি বাছাই করা যাবে। এর জন্য সরাসরি তাদের ওয়েবসাইটেই পাওয়া যাবে বিভিন্ন আকারের তালিকা। প্রায় সবগুলো দেশের জার্সিই আছে দিয়ামুতে, তাই প্রিয় জার্সিটি না পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই।
অ্যাটায়ার গুরু
পলিয়েস্টারের জার্সি নিয়ে ফেসবুক ভিত্তিক আরো একটি জনপ্রিয় শপিং সাইট এই অ্যাটায়ার গুরু। বিশ্বকাপ মৌসুমকে ঘিরে তাদের কৌশল হলো একটি নির্দিষ্ট দাম পরিবেশন করে অগ্রসর হওয়া। তাদের ১০৯০ টাকার প্রিমিয়াম জার্সির গুণগত মান ফেসবুকের বর্তমান মার্কেটপ্লেসের যে কোন জার্সিকেই টেক্কা দেয়ার সক্ষমতা রাখে। বাংলাদেশে এফ-কমার্স বা ফেসবুক ভিত্তিক ব্যবসার ব্যাপক প্রসারের দরুণ হাজার হাজার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সারিতে নিজেদেরও শামিল করে নিয়েছে অ্যাটায়ার গুরু। মিডিয়াম, লার্জ, এক্সেল কিংবা ডাবল এক্সেল; যে কোনটিরই আসল ছবি দেখে অর্ডার করতে সরাসরি তাদের ফেসবুক পেজের ইনবক্সে ম্যাসেজ দেয়া যেতে পারে।
বিবর্তন
চট্রগ্রামের বিবর্তন তাদের নামের মতই উন্নতি করছে টি-শার্ট বিপণনে। এবার তাদের ফিফা জার্সি নিয়ে অগ্রসর হওয়ার পালা। চট্রগ্রামের ভেতরে ৭০০ থেকে ১২০০ টাকার জার্সিগুলো পৌছে দিতে তারা কোন ফি নিচ্ছে না। তবে চট্রগ্রামের বাইরে হলে ১০০ টাকার বিনিময়ে পন্য সরবরাহের নিশ্চয়তা দিচ্ছে তারা। তাদের বিশেষত্ব হলো তাদের আমদানিকৃত আসল থাই প্রিমিয়াম জার্সি। প্রয়োজন মত আকার ও অন্যান্য বিবরণ সহ পছন্দ মত জার্সি অর্ডার করতে সরাসরি যোগাযোগ করতে হবে তাদের ফেসবুক পেজে।
আরো পড়ুন: ফিফা কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২ এর চোখ ধাঁধানো ৮টি স্টেডিয়াম
শেষাংশ
এই সাইটগুলোর মাধ্যমে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২-এর জার্সি অনলাইনে অর্ডার দিয়ে ঘরে বসেই সংগ্রহ করা যাচ্ছে। পাশাপাশি এই ফুটবল মৌসুমে দারুণ সুযোগের সৃষ্টি হয়েছে ডিজিটাল ব্যবসায়ীদের বিক্রি বৃদ্ধির। বড় বড় শপিং মলে ভীড়ের মধ্যে যেয়ে কেনাকাটা করার বিড়ম্বনা থাকছে না। অন্যদিকে সাশ্রয়ী মূল্যে সরবরাহের কারণে বিক্রির সংখ্যার আকাশ ছোঁয়ার দশা। সর্বসাকূল্যে, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স সবকিছু ছাড়িয়ে এই বিশ্বমানের বিনোদনটি যেন খেলোয়ার আর দর্শকদের এক জার্সির বন্ধনে বাধতে চলেছে।
২ বছর আগে
ই-কমার্সের মাধ্যমে কত টাকা পাচার ও পাচারকারীদের তথ্য জানতে চান হাইকোর্ট
ই-কমার্সের মাধ্যমে কী পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে, তা নিরূপণ করতে এবং পাচার হয়ে থাকলে কে বা কারা জড়িত তা চিহ্নিত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কার বা কাদের অবহেলায় ই-কমার্স গ্রাহকরা গুরুতর লোকসান ও ক্ষতির মুখে পড়েছেন, তাদের চিহ্নিত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে করা তিনটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব, মোহাম্মদ শিশির মনির ও আনোয়ারুল ইসলাম বাধন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আদেশের বিষয়ে ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব সাংবাদিকদের বলেন, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে খুঁজে বের করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে কী পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে, তা নিরূপন করতে দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য কিনেতে আসা গ্রাহক বা ক্ষতিগ্রস্তদের টাকার পরিমাণ নির্ধারণ করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আর্থিক কেলেঙ্কারির দায়বদ্ধতা নির্ধারণে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, কম্পেটিশন কমিশন, ভোক্তা অধিকার- এ তিন প্রতিষ্ঠানের নিষ্ক্রিয়তার কারণে আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে। তাই তাদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না সেটি চ্যালেঞ্জ করে আদালতের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করেছিলাম। ওই রিটের শুনানি নিয়ে তাদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তাদের অর্থ কেন ফিরিয়ে দেওয়া হবে না, রুলে তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: এনামুল বাছিরের সাজা কেন বাড়ানো হবে না, জানতে হাইকোর্টের রুল
এর আগে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ই-কমার্স গ্রাহকদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ম্যান্ডেট অনুসারে একটি স্বাধীন ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম এ রিট দায়ের করেন।
পরে গত ২২ সেপ্টেম্বর মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন এবং ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের দুজন গ্রাহকের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব একটি রিট করেন। এই রিটে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসারপ্রাপ্ত বিচারপতির সমন্বয়ে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে যাদের গাফিলতির কারণে ইভ্যালি, আলেশা মার্ট, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা, দারাজ, কিউকম, আলাদিনের প্রদীপ ও দালাল প্লাসের মতো পরিচিত ই-কমার্স কোম্পানি থেকে প্রতারিত হয়ে লাখ লাখ গ্রাহক সর্বসান্ত হয়েছেন তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, এ পর্যন্ত এসব ই-কমার্স কোম্পানি থেকে পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ নিরূপণ করে দুদকের মাধ্যমে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা, বাংলাদেশ ব্যাংককে এ পর্যন্ত ইভ্যালি, ধামাকা, আলেশা মার্ট, কিউকেম, দালাল, ইঅরেঞ্জ, আলাদিনের প্রদীপ, দারাজ ইত্যাদিতে মোট কত টাকা লেনদেন হয়েছে এবং গ্রাহকরা মোট কত টাকা দিয়েছে তা চিহ্নিত করা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ পর্যন্ত কতগুলো প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিয়েছে এবং তারা কি কি পদক্ষেপ এ পর্যন্ত নিয়েছে, বাংলাদেশে প্রতিযোগিতা কমিশনকে প্রতিযোগিতা আইন, ২০১২ অনুযায়ী, ই -কমার্স ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণ দায়িত্ব নেয়াসহ ই-কমার্স ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নজরদারী, অসম প্রতিযোগিতা রোধ, জনসচেতনতা তৈরি ইত্যাদি পদক্ষেপ নেয়া, জাতীয় ডিজিটাল বাণিজ্য নীতি, ২০১৮ অনুযায়ী দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে হেল্প ডেস্ক অবিলম্বে চালু করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
পরে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ই-অরেঞ্জের কাছে আটকে থাকা টাকা উদ্ধারে ৩৩ জন গ্রাহক একটি রিট করেন। এই রিটে ই-অরেঞ্জসহ অন্যান্য অরক্ষিত ও ঝুঁকিপূর্ণ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানসমূহে রিসিভার নিয়োগের, অরক্ষিত ও ঝুঁকিপূর্ণ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানসমূহের দায়িত্বশীল ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রদান এবং গ্রাহক ও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণ ও সুষ্ঠু পরিচালনার নিমিত্তে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেয়ার জন্য অর্থনীতিবিদ, তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ী ও স্বার্থ-সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের আর্জি জানানো হয়।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর এই তিনটি রিটের ওপর একসঙ্গে শুনানি হয়। ওইদিন ই-ভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ সব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হাজার হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল, কীভাবে এসব টাকা হস্তান্তর হয়েছে, এক্ষেত্রে যে অর্থ পাচার হয়েছে- সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট থেকে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চান। একই সঙ্গে ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায়িক লেনদেনের বিপরীতে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ে কী পলিসি নেয়া হয়েছে, আদৌ কোনো পলিসি আছে কিনা কিংবা ভ্যাট-ট্যাক্স আদায় করা হয় কিনা-সে ব্যাপারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআরকে) জানাতে বলা হয়।
পাশাপাশি ই-কমার্স খাতের স্বার্থে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের করা ১৬ সদস্যের কমিটির কার্যপরিধি কী তাও জানতে চান আদালত। সে অনুযায়ী গত বছরের নভেম্বরে একটি আংশিক প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। সর্বশেষ বিএফআইইউ গত ২১ এপ্রিল একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। এতে বলা হয় মিডিয়া এবং রিটের তথ্য অনুযায়ী ৫০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিএফআইইউ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৭টির ব্যাপারে তদন্ত শেষ করেছে। প্রতিবেদনে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য থাকলেও টাকা কোথায় গেল, পাচার হয়েছে কিনা-সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছুই ছিল না। এছাড়া বাকিগুলোর ব্যাপারে তদন্ত সম্পন্ন করতে আরও সময় প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়। সোমবার এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হয়।
আরও পড়ুন: সেই তরুণীকে কানাডা সরকারের হাতে তুলে দিলেন হাইকোর্ট
ডিআইজি মিজানের দণ্ড বাড়াতে হাইকোর্টের রুল, আপিলে জামিন বহাল
২ বছর আগে
ই-কমার্স খাতে ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে সিঙ্গাপুর: পলক
বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের উন্নয়ন এবং এই খাতে ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে সিঙ্গাপুর। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বে সিঙ্গাপুর ট্রেড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের আলোচনা সভায় এই আশ্বাস দিয়েছে দেশটির বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে ই-কমার্স খাতের উন্নয়ন ও সহযোগিতার বিষয়ে সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উভয় দেশের পাস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে ই-কমার্স খাতে ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা এবং এ খাতে সার্বিক উন্নয়ন ও বিকাশে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এছাড়া ই-কমার্স খাতে পারস্পরিক লেনদেন, ব্যবসায় পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায়, ব্যবাসায়িক তথ্যের নিরাপত্তা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর বিশ্বস্ত ডিজিটাল প্লাটফর্ম, ক্রসবর্ডার পেমেন্ট সিস্টেম এবং ডাটার সর্বোচ্চ নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জন্য ডিজিটাল কৌশলপত্র প্রণয়ন করছে ইউএনডিপি: পলক
প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের সর্বশেষ অগ্রগতি সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধি দলের কাছে তুলে ধরেন।
তিনি অনলাইন ব্যাংকিং, ইলেক্ট্রনিক মানি ট্রান্সফার ও এটিএম কার্ড ব্যবহারে দেশে ই-কমার্সেরও ব্যাপক প্রসার ঘটাচ্ছে উল্লেখ করে বলেন ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত ই-কমার্সের আকার ছিল আট হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যা করোনা মহামারিতে দ্বিগুণ হয়েছে। আগামী ২০২৩ সাল নাগাদ দেশীয় ই-কমার্সের বাজার ২৫ হাজার কোটিতে পৌঁছাতে পারে বলে তিনি জানান।
এসময় সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ম্যাগডালিন লো, সহকারী পরিচালক ভেরোনিক ব্যান, বিশ্লেষক ইউ জিন ই, সিঙ্গাপুর কাস্টমস এর নেটওয়ার্ক ট্রেড প্ল্যাটফর্ম (এনটিপি) অফিসের সিনিয়র অফিসার, আমালিনা বিনতে কোমারিসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স গ্লোবাল অ্যাডভাইজার সৌম্য বসু, প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা, ডিরেক্টর শেখ লিমাসহ ই-কমার্সেলের অন্যান্য সদস্যরা।
উল্লেখ্য, প্রতিমন্ত্রী ১৯-২২ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য ৪ দিনের ‘অ্যাপাক ডিজিটাল ইনোভেশন সম্মেলন-২০২২’ এ যোগদান করতে গতকাল রাতে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ ও ত্রিপুরা বিনির্মাণে দুই দেশ একসাথে কাজ করতে পলকের আহ্বান
দেশে ভার্চুয়াল বিজনেস প্রেজেন্স প্ল্যাটফর্ম প্রবর্তন করা হচ্ছে: পলক
২ বছর আগে