বন্দর
তীব্র গরমে বন্দরে পচতে শুরু করেছে ৩৭০ টন আলু
তীব্র গরমে খালাসের অপেক্ষায় থাকা ভারত থেকে আমদানি করা ৩৭০ টন আলু বেনাপোল বন্দরে পচতে শুরু করেছে।
এদিকে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এসব আলু রংপুরের একটি বেভারেজ কোম্পানিতে নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, দ্রুত খালাস না হলে এসব আলু খাওয়ার অযোগ্য হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে দুই দিনে ৪০০ টন আলু আমদানি
তবে আমদানি করা এ আলু খোলা বাজারে বিক্রি হবে না। চিপস তৈরিতে এ আলু ব্যবহার করা হবে।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, গত ২১ এপ্রিল রাতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ১৬ ট্রাকে ৩৭০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়। তবে আমদানি করা আলু ২০০ কিলোমিটার দূরে থেকে লোড করে বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে ৬ দিন লেগে যায়। বেনাপোল বন্দর থেকে ৩ দিনেও আলু খালাস না হওয়ায় তীব্র গরমে ট্রাকে থাকা আলু পচে রস পড়তে দেখা গেছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রংপুরের ইন্টিগ্রেটেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের পেপসিকো ইন্ডিয়া হোল্ডিংস।
আমদানিকারকের স্থানীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ট্রান্সমেরিন লজিস্টিক লিমিটেডের প্রতিনিধি মাসুম বিল্লা বলেন, ১৬ ট্রাকে ৩৭০ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয় ভারত থেকে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে না পাওয়ায় এখনও বন্দর থেকে খালাস নিতে পারেনি। কাগজপত্র এলেই খালাস করা হবে আমদানি এ আলু। বর্তমানে ভারতীয় ট্রাক থেকে এ আলু বাংলাদেশি ট্রাকে লোড করে রাখা হয়েছে।
আলুবাহী ট্রাক চালক শাহাদৎ হোসেন জানান, তারা ভারতীয় ট্রাক থেকে আলু খালাস করে রংপুরে নিয়ে যাবেন। কিন্তু খালাস না হওয়ায় গরমে বন্দরেই ট্রাকে আলু পচতে শুরু করেছে। দ্রুত খালাস না হলে এগুলো আরও নষ্ট হবে।
এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১৬টি ট্রাকে ৩৭০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। আলুর চালানটি এখনও বন্দরে রয়েছে। দ্রুত ছাড়করণের জন্য আমদানিকারকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে ৪ চালানে ১০০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি
উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের আলু চাষের আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ থেকে পড়ে ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে জাহাজ থেকে পড়ে ক্রুনাল কুমার গজানন্দ নামে এক ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ট্রেনের ধাক্কায় রেল কর্মচারীর মৃত্যু
ক্রুনাল কুমার গজানন্দ ভারতের গুজরাটের বাসিন্দা এবং ট্রাইস্টার ডুগন নামে জাহাজে কর্মরত ছিলেন।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, পতেঙ্গা থানার আলফা বহির্নোঙর এলাকায় জাহাজটি নোঙর করা ছিল। জাহাজে কাজ করার সময় ক্রুনাল কুমার অসাবধানতাবশত পড়ে যান। জাহাজের উপর থেকে ডেকে পড়ে মাথায় আঘাত পান তিনি। পরে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে শনিবার সন্ধ্যার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নূরে আলম আশেক বলেন, ওই ভারতীয় নাগরিকের লাশ চমেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে পানিতে ডুবে বোন-ভাইয়ের মৃত্যু
মণিরামপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইউপি সদস্যের মৃত্যু
চট্টগ্রাম বন্দরে ওয়াচ টাওয়ার ভেঙে পড়ে আনসার সদস্য আহত
চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ (ওয়াচ টাওয়ার) ধসে পড়ে এক আনসার সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) ১২টার দিকে বন্দরের ৫ নম্বর গেটে শিল্প প্রতিষ্ঠান কেডিএস গ্রুপের একটি ট্রেইলারের ধাক্কায় ওয়াচটাওয়ারটি ভেঙ্গে পড়ে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়।
আহত আনসার সদস্যের নাম মো. রাজিব। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, দুপুরে এনসিটি গেট এলাকায় একটি ওয়াচ টাওয়ার ভেঙে পড়ে। সেখানে থাকা এক নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কেডিএসের একটি ট্রেইলার পেছানোর সময় ওয়াচটাওয়ারে ধাক্কা লাগে। এতে টাওয়ারটি ধসে পড়লে আনসার সদস্য ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়েন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে।’
আরও পড়ুন: হিলি চেকপোস্টে আনসার সদস্যকে লাথি মারার অভিযোগ
নাটোরে আনসার সদস্যের লাশ উদ্ধার, ভাবি আটক
৬ দিন পর খালাস হলো বেনাপোল বন্দরে আটকে থাকা টিসিবির পেঁয়াজ
বেনাপোল বন্দরে ৬ দিন আটকে থাকার পর সোমবার রাতে খালাস করা হয়েছে টিসিবির ৯০ টন পেঁয়াজ। খালাস করার পর দেখো গেছে অধিকাংশ পেঁয়াজে পচন ধরেছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবিন্দ্র সিংহ জানান, গত ৫ ডিসেম্বর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতীয় ৩টি ট্রাকে করে ৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি করে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি)। কিন্ত গত পাঁচ দিনেও খালাস না করায় পেঁয়াজের চালানে পচন ধরতে শুরু করে। এ সংক্রান্ত রিপোর্ট বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ায় আজ বিকেলে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস কাস্টমস হাউসে সাবমিট করে। পেঁয়াজের রাজস্ব পরিশোধ করে সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন শেষে বন্দর কর্তৃপক্ষ আজ রাতে পেঁয়াজের চালানটি খালাস করে।
আরও পড়ুন: সিলেটে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ
বেনাপোলের কোয়ারেন্টাইন উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, ভারত থেকে টিসিবির আমদানি করা পেঁয়াজের ট্রাকগুলো বেনাপোল স্থলবন্দরে ছয় দিন আটকে থাকার পর আজ রাতে ৯০ টন পেঁয়াজ খালাস করে দেওয়া হয়।
পেঁয়াজ নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার সন্তোস মণ্ডল জানান, পেঁয়াজের ট্রাক নিয়ে গত পাঁচ দিন বেনাপোল বন্দরে আটকে থাকার পর আজ রাতে ভারতীয় ৩টি ট্রাক থেকে পেঁয়াজগুলো আনলোড করা হয়েছে।
বাংলাদেশি ৬টি ট্রাকে করে পেঁয়াজ খালাস করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বলে জানান পেঁয়াজ খালাসের দায়িত্বে নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কনফিডেন্স এন্টারপ্রাইজের মালিক হাবিবর রহমান হাবু।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, গত ৬ দিন ধরে বন্দরে টিসিবির ৯০ টন পেঁয়াজ আটকে ছিল। আজ সোমবার রাতে পেঁয়াজের চালানটি খালাস করা হয়েছে। পেঁয়াজের চালান যথাসময়ে খালাস না করায় পচন ধরতে শুরু করেছে ।
আরও পড়ুন: সার কারখানা স্থাপন করে ভোলার গ্যাস ব্যবহার করা যায় কি না মূল্যায়ন করুন: প্রধানমন্ত্রী
বিটিআরসির চেয়ারম্যান হলেন মহিউদ্দিন আহমেদ
বেনাপোল বন্দরে চারমাসে ভারতের সঙ্গে রাজস্ব ঘাটতি ৩১৩ কোটি
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি বাণিজ্য অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে রাজস্ব আদায়েও ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউসে ব্যাপক কড়াকড়ির কারণে পচনশীল ও বাণিজ্যিক আমদানিকারকরা এই বন্দর দিয়ে ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন। উচ্চ শুল্ককরের পণ্য এ বন্দর দিয়ে আমদানি কমে গেছে।
মোটরপার্টস, ফেব্রিকস, আয়রন, স্টিল, আপেল ও মোটর গাড়ির যন্ত্রাংশ আমদানিকারকেরা বেনাপোল দিয়ে আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক
আমদানি কমে যাওয়ায় এসব পণ্য থেকে প্রায় ২০১ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় কম হয়েছে বলে কাস্টমস সূত্রে জানা যায়।
চলতি অর্থ বছরে রাজস্ব আদায়ের মোট লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। গত চার মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। তার বিপরীতে আদায় হয়েছে মাত্র এক হাজার ৭৫১ কোটি টাকা।
সেই হিসাবে ২৪০ কোটি টাকার রাজস্ব কম আদায় হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩১৩ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে বলে কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ বলেন, মূল কারণ হচ্ছে ব্যাংক থেকে এলসি ওপেন করা যাচ্ছে না। ডলার সংকটের কারণেই আমদানি বাণিজ্যে এ ধরনের ধস নমেছে। ফলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কমে যাওয়ায় রাজস্ব ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
আমদানিকারক আমিনুল ইসলাম আনু বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম ১১০টাকা ৪২ পয়সা। এলসির সব টাকা ব্যাংকে পরিশোধ করলেও ব্যাংক এলসি দিচ্ছে না। এলসি করতে গেলে পিআই অনুমোদনের জন্য ব্যাংকের উচ্চ মহলে ধর্না দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত সপ্তাহে এলসি করতে ডলারের বিপরীতে টাকার দাম ছিল ১১২ টাকা। চলতি সপ্তাহে তা বেড়ে ১৩০ টাকা হয়েছে। বাণিজ্যিক পণ্যের এলসি না হওয়ায় আমদানি বাণিজ্য কম গেছে এবং রাজস্ব ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ব্যবসায়ীদের বৈধ সুবিধা নিশ্চিত হলে আশা করছি বেনাপোল বন্দরে বাণিজ্যে আবারও গতি ফিরবে।’
আরও পড়ুন: বেনাপোল বাঁশ-কাঠের গুঁড়ি দিয়ে রাজস্ব ভবন রক্ষার চেষ্টা
সি অ্যান্ড এফের ব্যবসায়ী জুয়েল রানা জানান, ভারতের নাসিক থেকে আসা আপেলসহ অন্যান্য উচ্চ পচনশীল পণ্যের চালান আসতে প্রায় তিনদিন সময় লাগে। ফলে পচে যায় অধিকাংশ কার্টুনের ফল। পচা মালের রাজস্ব আদায় করায় অধিকাংশ আমদানিকারক বেনাপোল বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
বেনাপোল সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশসেন সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে দেশে ডলার সংকট চলছে। ডলার সংকট দেখিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এলসি দিতে চাচ্ছে না। আর এলসি দিলেও ডলারের রেট অনেক বেশি। ডলার বাইরে থেকে কেনার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। এলসি না হওয়ার কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি অনেক কমে গেছে।’
বেনাপোলের সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, বেনাপোল কাস্টমস হাউসে রাজস্ব আদায়ে ধস নামার কারণ আমদানি বাণিজ্য কমে যাওয়া। এলসি করতে ব্যাংক ম্যানেজার ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করার কারণে এলসি কমে গেছে। এলসি করতে ব্যাংকে অতিরিক্ত খরচ হওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা আমদানি করতে নিরুৎসাহী হচ্ছেন।’
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার শাফায়েত হোসেন বলেন, ‘জেনেছি ডলার সংকটে এলসি না হওয়ার আমদানি কম হচ্ছে। আগের তুলনায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি বাণিজ্য অনেক কমে গেছে। বিশেষ করে মোটরগাড়ি ও মোটরপার্টস থেকে ২০১ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় কম হয়েছে। আপেলসহ অন্যান্য ফলে আমদানিতে ২৪ কোটি ও ফেব্রিকস আমদানিতে ২১ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় কম হয়েছে। সর্বমোট ৩১৩ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি আছে।’
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ‘আতা ফলের’ ঘোষণায় এলো ‘পার্সিমন’!
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম ফের চালু
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাব কেটে যাওয়ার পর শুক্রবার রাত থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম ফের চালু হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নাময়ে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলায় কর্মচাঞ্চল্য ফেরে বন্দরে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) মধ্যরাত পর্যন্ত বন্দর জেটিতে ৫টি জাহাজ ভিড়েছে এবং এসব জাহাজ থেকে মালামাল আনলোড চলছিল।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় মাইকিং
চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) হাবিবুর রহমান জানান, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্তকতা জারির পর বন্দরে শিপ ও কনটেইনার হ্যান্ডলিং, ডেলিভারি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে তা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া কনটেইনার জাহাজগুলো শনিবার (১৮ নভেম্বর) প্রথম জোয়ারে আবার জেটিতে নিয়ে আসা হবে। এ লক্ষ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার দুপুরে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলির’ সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচাতে চট্টগ্রাম বন্দরে দ্বিতীয় সবোর্চ্চ সতর্কবস্থা অ্যালার্ট ৩ জারি করা হয়। একইসঙ্গে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব ধরনের পণ্য উঠা-নামা।
বন্দরে অবস্থানরত সব বিদেশি জাহাজের শ্রমিক-কর্মচারীদেরও নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়। সম্ভব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বন্দরের জেটিতে অবস্থানরত ২২টি জাহাজকে গভীর সমুদ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রামে ৬০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রাম বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক আছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব জন্মাষ্টমীর ছুটির কারণে বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: এই বছরের জুলাই-আগস্টে আরএমজি রপ্তানি ১২.৪৬% বেড়েছে: রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো
এদিকে, উভয় দেশের এই বন্দর এলাকায় পচনশীল পণ্যসহ কয়েক হাজার পণ্যবোঝাই ট্রাক বেনাপোল অতিক্রমের অপেক্ষায় আছে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্বাভাবিক নিয়মে এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান তিনি।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবিন্দ্র সিংহ বলেন, শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
আগস্টে রপ্তানি আয় বেড়ে হয়েছে ৪.৭৮ বিলিয়ন ডলার
বেনাপোল বন্দরে শ্রমিকদের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩
যশোরের বেনাপোল বন্দরে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শ্রমিকদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় শ্রমিকদের একটি অংশ বন্দরে মালামাল লোড-আনলোড ও পণ্য খালাস বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
আহত শ্রমিকরা হলেন- বেনাপোল বন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রাজু আহম্মেদ (৪৫), শ্রমিক নেতা হাসেম (৩৩) ও গোলম মোস্তফা (৩৪)।
জানা যায়, সোমবার সকালে হঠাৎ করে শ্রমিকদের দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসময় দুই শ্রমিক নেতাসহ আরও কয়েকজন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বন্দরের মধ্য থেকে শ্রমিকদের বের করে দেয়।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন বলেন, সকালে শ্রমিকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৩
ভোলায় আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
৫দিন পর সিলেটের সব বন্দর দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি শুরু
পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর সোমবার (২১ আগস্ট) থেকে সিলেটের সব স্থলবন্দর দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি শুরু হয়েছে।
এর আগে রবিবার (২০ আগস্ট) বিকালে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে সিলেটের আমদানিকারকদের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে ফের আমদানি শুরুর সিদ্ধান্ত হয়।
জানা যায়, পাথর ও চুনাপাথর আমদানিতে অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু দুই ডলার বাড়ানোর প্রতিবাদে গত বুধবার (১৬ আগস্ট) থেকে সিলেট বিভাগের সব স্থলবন্দর ও শুল্কস্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ করে দেন আমদানিকারকরা।
সিলেটের বন্দর ও শুল্ক স্টেশনগুলো দিয়ে মূলত বড় পাথর (বোল্ডার) ও চুনাপাথর আমদানি হয়। কয়েকটি শুল্কস্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানি হয়। ফলে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ করে দেওয়ায় অচল হয়ে পড়ে স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশনগুলো। আমদানি বন্ধে বিপাকে পড়েন শ্রমিকেরা। আর সরকারও হারায় রাজস্ব।
আরও পড়ুন: আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিবাদে সিলেট সীমান্ত দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ
এ অবস্থায় রবিবার সিলেটে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আমদানিকারকরা। বৈঠকে অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু দুই ডলারের পরিবর্তে ৭৫ সেন্ট বাড়ানোর ব্যাপারে সম্মত হন কাস্টমস কর্তকর্তা। এরপর আমদানি শুরুর সিদ্ধান্ত নেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার সকাল থেকে যথারীতি আমাদানি শুরু হয়।
সোমবার দুপুরে তামাবিল স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, বন্দরে ফিরে এসেছে আগের কর্মচাঞ্চল্য। বন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে পাথরবাহী ট্রাক। পাঁচদিন পর কাজে ফিরতে পেরে খুশি শ্রমিকরাও।
তামাবিল চুনাপাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি সহসভাপতি সানোয়া হোসেন ছেনু বলেন, ‘কাস্টমসের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে চুনাপাথরের ডিউটি (ইম্পোর্ট অ্যাসেসম্যান্ট রেট) সাড়ে ১১ ডলার থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ১৩ ডলার এবং বড় পাথরের (বোল্ডার) রেট ১১ ডলার বাড়িয়ে ১৩ ডলার করার কথা জানানো হয়েছে। এ কারণে ট্রাকপ্রতি ব্যয় ১২ থেকে ১৩শ’ টাকা বেড়ে যাবে। তাই আমরা আমদানি বন্ধ করেছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘আমদানি বন্ধ হওয়ার পর রবিবার কাস্টমস কর্মকর্তারা আমাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু ৭৫ সেন্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। এরপর আমরা আমদানি শুরুর সিদ্ধান্ত নেই। আজকে (সোমবার) থেকে যথারীতি আমদানি শুরু হয়েছে।’
তামাবিল চুনাপাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি লিয়াকত আলী বলেন, যে কোনো সিদ্ধান্তই আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া ভালো। হঠাৎ করে কিছু চাপিয়ে দিলে সকলেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এমনিতেই ব্যবসার অবস্থা খারাপ। তার ওপর টনপ্রতি দুই ডলার করে ডিউটি বাড়িয়ে দেওয়া একেবারে অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত।
তিনি আরও বলেন, তবে শেষ পর্যন্ত কাস্টমস কর্মকর্তারা এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় আমরা খুশি। দেশের স্বার্থে আমরাও কিছু ছাড় দিয়েছি।
এ ব্যাপারে কাস্টমসের সিলেট অঞ্চলের ডেপুটি কমিশনার সোলাইমান হোসেন বলেন, অ্যাসেসমেনট ভ্যালু বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে নেওয়া হয়েছিল। তবে ব্যবসায়ীদের আপত্তির মুখে এটা পুনর্বিবেচনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগের ৮৪ টাকার পরিবর্তে এখন ডলারের মূল্য ১০৯ টাকা। ডলারের মূল্যস্ফীতির কারণেই শুল্ক বেড়েছে।
প্রসঙ্গত, সিলেট বিভাগে তামাবিল স্থলবন্দর ছাড়া আরও ১২টি শুল্কস্টেশন রয়েছে। সেগুলো হলো- কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ, সুনামগঞ্জের বাগলি, বড়ছড়া ও চারাগাও এবং ছাতকের ইছামতি ও চেলা স্টেশন।
এগুলো দিয়ে মূলত চুনাপাথর ও বোল্ডার আমদানি হয়।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন, আটক ২: নৌপুলিশ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৩ দিনে এলো ১২৩ টন কাঁচা মরিচ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে গত তিন দিনে এলো ১২৩ টন আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ। মঙ্গলবার (০৪ জুলাই) বিকালে পাঁচটি ট্রাকে ৩৩ টন কাঁচা মরিচ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।
এর আগে বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত রবিবার ৪৫ টন এবং সোমবার ৪৫ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়।
ঢাকা ও খুলনার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানরা এসব কাঁচা মরিচ আমদানি করে নিয়ে আসে। কাঁচা মরিচের চালানগুলো দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে চলে যাচ্ছে।
বেনাপোল স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, আজ ভারত থেকে ৫টি ট্রাকে ৩৩ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ বেনাপোল বন্দরে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ৬টি ট্রাকে এল কাঁচা মরিচ
তিনি জানান, এগুলো দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সীমান্তের ওপারে আরও কয়েক ট্রাক কাঁচা মরিচ এপারে ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
তিনি আরও জানান, গত তিনদিনে এ বন্দর দিয়ে ১২৩ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে।
এ বন্দর দিয়ে বেনাপোলের মেসার্স ঊষা ট্রেডিং ঢাকার এন এস এন্টারপ্রাইজ ও খুলনার এস এম করপোরেশনসহ আরও কয়েকটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কাঁচা মরিচ আমদানি করছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের রাজস্ব কর্মকর্তা কলিমুল্লাহ্ জানান, জরুরি ও পচনশীল পণ্য হওয়ায় কাঁচা মরিচের চালানগুলো ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত খালাসের জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও জানান, প্রতিকেজি কাঁচা মরিচের আমদানি মূল্য দশমিক ২১৫ মার্কিন ডলার (২২ সেন্ট)। টাকার অঙ্কে ২৩ টাকা ৯৩ পয়সা। আর প্রতিকেজির বিপরীতে কাস্টম শুল্ক দিতে হয়েছে দশমিক ৫ মার্কিন ডলার (৫০ সেন্ট), যা টাকার অঙ্কে ৩৮ টাকা ৮২ পয়সা।
বেনাপোলের আমদানিকারক ঊষা ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম রয়েল জানান, আমদানি হওয়া কাঁচামরিচ তাদের রপ্তানিকারকরা বনগাঁসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজার থেকে সংগ্রহ করে। আমদানি মূল্য ও কাস্টম শুল্ক ছাড়াও পরিবহনসহ দুই দেশের অন্যান্য খরচ মিলিয়ে তাদের আর ও অতিরিক্ত টাকা গুণতে হয়।
তিনি আরও বলেন, সব মিলিয়ে ঢাকার পাইকারের হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত আমদানি করা ভারতীয় কাঁচা মরিচের দাম পড়ে যায় ১৫০-১৬০ টাকার মতো। এর সঙ্গে বাজারের টোল ও সামান্য লাভ যোগ করে পণ্য বিক্রি করবেন।
সীমান্তের ওপারের পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁর রপ্তানিকারক ফিরোজ বিশ্বাস জানান, মঙ্গলবার বনগাঁর স্থানীয় বাজারে কাঁচা মরিচের পাইকারি দর ছিল ১৬০ থেকে ২৮০ রুপি কেজি। আর খুচরা বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৩০০ রুপিতে।
তিনি আরও বলেন, এদিন ভারতের নাগপুরে কেজি প্রতি পাইকারি দর ছিল ৭০ রুপি।
প্রসঙ্গত, দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ভারত থেকে মরিচ আমদানি করা হচ্ছে।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ঘাটতি ও উচ্চমূল্য ঠেকাতে ভারত থেকে এ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৮৩০ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে কমেছে কাঁচা মরিচের দাম
ঊর্ধ্বমুখী দামের মধ্যে দেশে ৯৪ টন কাঁচা মরিচ আমদানি