পিটিয়ে হত্যা
মোবাইল চুরির অপবাদে অটোরিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩
বগুড়া সদরে মোবাইল ফোন চুরির অপবাদে সাওয়াল নামে এক অটোরিকশাচালককে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত অটোরিকশা চালক সাওয়াল সদর উপজেলার ছোট কুমিড়া পশ্চিমপাড়ার আজিজুল হকের ছেলে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি
এ ঘটনায় এক দম্পতিকে তাদের মেয়েসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন, নিহতের প্রতিবেশী রেজাউল করিম, তার স্ত্রী সানু বেগম ও মেয়ে আশা খাতুন।
বৃহস্পতিবার রাতেই নিহতের বাবা আজিজুল হক গ্রেপ্তার তিনজনসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বগুড়া সদর থানার উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন জানান, সাওয়ালের প্রতিবেশী রেজাউল নামে এক ব্যক্তি মোবাইল ফোন চুরির অপবাদে অটোরিকশাচালক সাওয়ালকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর রাতেই রেজাউলকে তার স্ত্রী ও মেয়েসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে ১৪০০ টন ছোলা আমদানি হয়েছে
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এই প্রথম ভারত থেকে নারিকেল আমদানি
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইমন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নের জনতা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হোসেন স্থানীয় লোধপাড়া গ্রামের মো. হারুনুর রশিদের ছেলে। তিনি এলাকার একটি ফার্নিচার কারখানায় কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে কলেজ শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার রাজারগাঁও ইউনিয়নে ওয়াজ মাহফিলে যুবকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরে ইমনকে একদল যুবক ব্যাপক মারধর করে চলে গেছে। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ইউএনবিকে জানান, ইমন ও তার সহপাঠী সৈকতের সঙ্গে অন্য যুবকদের কথা কাটাকাটি হয়। সেই সূত্র ধরে সাকচিপাড়া, নওহাটা ও রাজারগাঁও গ্রামের কিছু বিক্ষুব্ধ লোকজন বাজার এসে ইমনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুর রশিদ ইউএনবিকে জানান, সন্ধ্যায় জনতা বাজারে মারামারির ঘটনায় ওই যুবক নিহত হয়েছে। এই মুহুর্তে প্রকৃত ঘটনা বলতে পারছি না। ঘটনাটি আমরা তদন্ত করে দেখছি। লাশটি এখনো চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে আছে।
আরও পড়ুন: ধূমপান নিয়ে প্রতিবাদ করায় কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
যশোরে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী আটক
ধূমপান নিয়ে প্রতিবাদ করায় কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ধূমপান নিয়ে প্রতিবাদ করায় সালমান নামে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার দুপুরে ফতুল্লার কুতুবপুর ক্যানেলপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সালমান (১৭) খুলনার শাহারাবাদ থানার জিনারতলা এলাকার ভ্যানচালক মোফাজ্জল মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
নিহতের মা খুকু বেগম বলেন, ক্যানেলপাড় এলাকায় সাদ্দাম মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে সালমান দাঁড়িয়ে ছিল। তখন জাহিদ নামে এক ছেলে সিগারেট ধরায়। এতে সালমান তাকে দূরে গিয়ে সিগারেট খেতে বলে। এজন্য দলবল নিয়ে এসে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে সালমানকে এলোপাতাড়ি মারধর করে জাহিদ।
এরপর সালমান সেখান থেকে আহত অবস্থায় কোনোমতে বাসায় এসে পড়ে যায়। রাতে অবস্থা খারাপ হওয়ায় দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পথে সালমান মারা যায়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা হবে।
আরও পড়ুন: বিএসএফের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে লালমনিরহাটে মিছিল ও সমাবেশ
জুয়ায় হারের ক্ষতি পোষাতে বিকাশ এজেন্টকে হত্যা: আসামিকে গ্রেপ্তার
নেত্রকোণায় ধর্ষণ মামলার বাদীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
নেত্রকোণার আটপাড়ায় ধর্ষণ মামলার বাদীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার আসামি দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪।
শনিবার দিবাগত রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর থানার জৈনা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া দুইজন হলেন- আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়নের পালগাও গ্রামের শাহজাহানের দুই ছেলে মো. অসীম ও মো. রাজু মিয়া।
আরও পড়ুন: রংপুরে রেস্টুরেন্টের আড়ালে মাদকের ব্যবসা, গ্রেপ্তার ৫
র্যাব-১৪ এর সদর ব্যাটালিয়নের অপারেশনস্ অফিসার উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, সেলিনা আক্তার ও তার স্বামীর সঙ্গে আসামিদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মামলা মোকদ্দমা চলছিল।
তিনি জানান, ঘটনার কিছুদিন আগে সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন তাদের বিরুদ্ধে। তবে আসামিদের দাবি এটি মিথ্যা মামলা। আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি রাতে ঘর থেকে বের করে বাড়ির উঠানে সেলিনা আক্তারকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন।
আনোয়ার হোসেন আরও জানান, পরে পুলিশের সহায়তায় ভুক্তভোগীকে প্রথমে আটপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেলিনা আক্তারকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক সেলিনাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, এ ঘটনায় নিহতের ননদ বেদেনা আক্তার বাদী হয়ে ৮ জানুয়ারি এজাহারনামীয় ১০ জনসহ অজ্ঞাত আরও চার থেকে পাঁচজনকে জনকে আসামি করে আটপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে আসামিরা পলাতক ছিল। আটক দুইজনকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ঘুমন্ত স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী গ্রেপ্তার
নেত্রকোণায় ধর্ষণ মামলার বাদীকে কুপিয়ে হত্যা, ২ ভাই গ্রেপ্তার
সরাইলে চুরির অপবাদে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে চুরির অপবাদে জাহিদুল ইসলাম পরশ নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত যুবক জাহিদুল ইসলাম পরশ উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের আবেদ মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, গত দুই দিন আগে পাশের বাড়ি আলমগীর মিয়ার বাড়িতে টিউবওয়েলের একটি পাম্প চুরি হয়। সেই চুরির অপবাদে জাহিদুলকে বৃহস্পতিবার সকালে সন্দেহজনকভাবে প্রতিবেশী শফিক, মঈনুদ্দিন, বাবুসহ বেশ কয়েকজন মিলে মারধর করে।
পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় মারা যান তিনি।
এ বিষয়ে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
সিরাজগঞ্জে বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
সিরাজগঞ্জে বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় ফাতেমা বেগম নামে (৬৮) এক নারীকে পিটিয়ে আহত করার পাঁচ দিন পর তার মৃত্যু হয়েছে।
পারিবারিক কলহের জের ধরে ফাতেমার ভাতিজা ও নাতিরা তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নিহত ফাতেমা বেগম উপজেলার বড়ভাটরা গ্রামের মৃত হাসমত আলীর স্ত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার দুপুরে ফাতেমার ছেলের বউ রেশমার সঙ্গে ভাতিজা নজরুল ইসলামের পুত্রবধূ মীমের ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে ফাতেমার ভাতিজা নজরুল ইসলাম, নজরুলের ছেলে আরিফ, আরেক ভাতিজা আলমাছ আলী ও আলমাছ আলীর দুই ছেলে বাদশা ও ইমন মিলে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা ও মারধর শুরু করে।
আরও পড়ুন: কেরাণীগঞ্জে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
তারা নিহতের দুই পুত্রবধূ রেশমা ও মেহেরজানকে মারধর করার পর ঘরের ভেতরে গিয়ে ফাতেমাকে মারধর করে গুরুতর আহত করেন।
তাকে ওইদিন সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা নেওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হলে বুধবার তাকে বাড়িতে আনা হয়।
আরও পড়ুন: বাঘায় স্ত্রীর ভাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
শুক্রবার সকালে তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে শনিবার সকালে ওই হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বাড়িতে প্রবেশের পথ নিয়ে বিরোধের জেরে নারীকে পিটিয়ে হত্যা, আহত ৫
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ছেলে জহির উদ্দিন বাদী হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এ মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে।
বাঘায় স্ত্রীর ভাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
রাজশাহীর বাঘায় গাছ কাটার বিরোধে মখলেসুর রহমান (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
মখলেসুর রহমান বাঘা পৌরসভার গাওপাড়া গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা মৃত হায়দার আলীর ছেলে। ভগ্নিপ্রতি কামাল হোসেন তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রীকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
স্থানীয়রা জানান, বাঘা পৌরসভার গাওপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত হায়দার আলীর মেয়েকে বিয়ে করে একই গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে কামাল হোসেন। স্ত্রীর জমির অংশ নিয়ে কামালের সঙ্গে মখলেসুর রহমানের দ্বন্দ্ব চলছিল। কামালের স্ত্রীর অংশের জমিতে দুইটি কদম গাছ ছিল। এই গাছ কাটতে যায় কামাল হোসেন।
এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্কবির্তক শুরু হয়। এক পর্যায়ে কামাল হোসেন উত্তেজিত হয়ে ইট ও গাছের ডাল দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার রাকিব আহম্মেদ তাকে মৃত ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বাড়িতে প্রবেশের পথ নিয়ে বিরোধের জেরে নারীকে পিটিয়ে হত্যা, আহত ৫
এ বিষয়ে নিহত মখলেসুর রহমানের ছেলে সাগর হোসেন বলেন, বাড়ির পাশে দুটি কদম গাছ ছিল। এরমধ্যে একটি গাছ কেটে নিতে বলা হয়। সে দুইটি গাছই কাটবে এ নিয়ে তর্কবির্তকের এক পর্যায়ে আমার বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাঘা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসায় ঢুকে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ৩
বাগেরহাটে বাড়িতে প্রবেশের পথ নিয়ে বিরোধের জেরে নারীকে পিটিয়ে হত্যা, আহত ৫
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে বাড়িতে প্রবেশের পথ নিয়ে বিরোধের জেরে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের গুয়াতলা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। আহতদের মোড়েলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত শাহিনুর বেগম (৪৫) বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার গুয়াতলা গ্রামের জাকির তালুকদারের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে স্থানীয় ‘আ. লীগের’ বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ
মোড়েলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সামসুদ্দিন বলেন, গুয়াতলা গ্রামের জাকির তালকুদারের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই ফেরদৌস তালুকদারের বাড়িতে প্রবেশের পথ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের মধ্যে প্রথমে ঝগড়া ও পড়ে কথা কাটাকাটি হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘এক পর্যায়ে লাঠি নিয়ে উভয়ের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ সময় নারীসহ উভয় পক্ষের ৬ জন কমবেশি আহত হয়। আহতের মধ্যে শাহিনুর বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
ওসি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার পর জড়িতরা পালিয়ে গেছে। জড়িতদের ধরতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় চোর সন্দেহে কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা
চট্টগ্রামে বাসায় ঢুকে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ৩
পুলিশকে পিটিয়ে হত্যার ছাত্রদল নেতার ভিডিও আছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রাজধানীতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে কর্তব্যরত এক পুলিশ সদস্যকে ছাত্রদল নেতা পিটিয়ে হত্যার ভিডিও তাদের কাছে আছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শনিবার(২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে তিনি বলেন, 'আমাদের কাছে হত্যাকাণ্ডের ফুটেজ রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সবাই দেখেছে কিভাবে তারা একজন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। পুলিশ পড়ে যাওয়ার পরও ছাত্রদলের এক নেতা তাকে পেটায় এবং মাথায় আঘাত করে। আমাদের কাছে এর ফুটেজ আছে। পুলিশ মারা গেছে। এই দৃশ্য সবার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে জড়ো হচ্ছেন আ. লীগের নেতা-কর্মীরা
তিনি বলেন, 'বিএনপির নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে যেন বৃষ্টি হচ্ছে। তারা ২০১৪ সালের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, 'বিএনপি ঘোষণা দিয়েছিল, তারা আজ সমাবেশে ১০ লাখ মানুষকে নিয়ে আসবে। তাদের (বিএনপি) সমাবেশ প্রধান বিচারপতির বাসভবন পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে বিএনপি হামলা চালালে সহিংসতা শুরু হয়। হামলার পরও তারা থেমে থাকেনি, তারা দুটি পিকআপ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে প্রবেশ করে।’
আরও পড়ুন: রবিবার সারাদেশে শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না। পুলিশ আইন অনুযায়ী তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। তারা তাদের সরিয়ে দিয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি কর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং তারা সমাবেশে লাঠি নিয়ে আসে। তারা তিনটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, পুলিশ অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আগুন দিয়েছে।
আসাদুজ্জামান বলেন, তারা অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশ স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেয়। কয়েকটি সরকারি ভবনেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তারা জজ কমপ্লেক্সেও আগুন ধরিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, যারা যানবাহনে আগুন দিয়েছে এবং গাড়ি ভাঙচুর করেছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতে দেওয়া হবে না: তথ্যমন্ত্রী
লক্ষ্মীপুরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে একজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
লক্ষ্মীপুর জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নুর নবী বকুল নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়নের মহাদেবপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বকুল একই এলাকার আলী রাজা পাটওয়ারী বাড়ির মৃত অজি উল্যা মাস্টারের ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, স্থানীয় আব্দুর রউফ গংদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল একই এলাকার নুর নবী বকুলদের। সকালে বিরোধের জমি থেকে সুপারি পাড়তে যায় প্রতিপক্ষ আব্দুর রউফ মাস্টার, আসরাফ ইসলাম বাবুল, জাফর আহমেদ পলাশ গংরা।
আরও পড়ুন: যানজট সৃষ্টির প্রতিবাদ করায় সিএনজিচালককে পিটিয়ে হত্যা
তারা আরও জানান, বকুল এতে বাধা দেওয়ায় উভয় পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বকুলকে ঘুষি দেয় ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে বলে অভিযোগ তার পরিবারের। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কমলাশীষ রায় বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। প্রাথমিকভাবে তার গায়ে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রীকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
ঝিনাইদহে চ্যানেল ২৪-এর সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত, বাড়িতে হামলা