ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)
সাম্য হত্যা: আসামিদের ধরলেও রহস্য উদঘাটন হবে কবে
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হওয়ার দুই সপ্তাহ পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে ২৭ মে বিকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে এ মামলায় আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানানো হয়। এমনকি তাদের মধ্যে দুজন নাকি ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন।
তবে হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কারণ সুস্পষ্ট করে এখনও জানাতে পারেনি ডিএমপি। আবার আদালতে দেওয়া আসামিদের জবানবন্দির সঙ্গে পুলিশের বক্তব্যের মিল নেই বলে দাবি করেছে সাম্যর পরিবার। তাদের দাবি, সাম্যকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
ছাত্রদলও ডিএমপির বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে। সব মিলিয়ে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে।
মামলার বর্তমান অবস্থা
সংবাদ সম্মেলনে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কর্মকর্তা নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার দিন একটি মোটরসাইকেলে করে সাম্য ও তার দুই বন্ধু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যান। এ সময় তারা মেহেদীর গ্রুপের রাব্বির হাতে একটি টিজার গান (যেটিতে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়) দেখতে পান। টিজার গানটি দেখে সেটি কী— তা জানতে চান সাম্য। এ নিয়ে একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এরপর ওই মাদক ব্যবসায়ীর সহযোগীরা ঘটনাস্থলে আসেন এবং তাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। সাম্যকে ছুরিকাঘাত করেন রাব্বি ওরফে কবুতর রাব্বি।’
হত্যাকাণ্ডের মোটিভ বা নেপথ্যের কারণ সম্পর্কে সে সময় সাংবাদিকরা জানতে চাইলে নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের তদন্ত কার্যক্রম এখন চলমান। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। আমাদের তদন্ত এ পর্যন্ত আছে। এর নেপথ্যে আর কোনো ঘটনা আছে কি না, সেটিও আমরা নিবিড়ভাবে দেখছি।’
গ্রেপ্তার হওয়া মেহেদীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সুইচগিয়ারটি উদ্যানের মাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান এই ডিবি পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: সাম্য হত্যায় বড় ষড়যন্ত্র থাকলেও খতিয়ে দেখা হচ্ছে না: ঢাবি ছাত্রদল
পরিবারের সদস্যের বক্তব্য
তবে পুলিশের দাবির ওপর প্রশ্ন তুলেছেন সাম্যর বড় ভাই আমিরুল ইসলাম সাগর। এক আসামির আদালতের দেওয়া জবানবন্দি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এই নিউজটায় বলে হয়েছে আসামি নাকি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিয়েছে। এই খবর যদি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে তো সাম্য হত্যা একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কারণ আকস্মাৎ মারামারির হলে তো দুটো দল প্রস্তুত থাকে না।’
পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়টি আমি পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সেটি বিস্তর তদন্ত করে আমাদের জানাবেন বলেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি পুলিশের কাছে আসামির জবানবন্দির কপি চেয়েছিলাম, কিন্তু পাইনি। পুলিশ জানিয়েছে সেটি আদালত থেকে তুলতে হবে।’
দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ওই সংবাদে বলা হয়েছে, সাম্যকে সুইচগিয়ার দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। দুই গ্রুপের পরিকল্পনায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। হত্যার পর আসামিরা পালিয়ে কক্সবাজারে চলে যান। সোমবার (২৬ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালতে আসামি মো. রিপন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব তথ্য জানান।
জবানবন্দিতে রিপন বলেন, সাম্যকে হত্যার পর মূল আসামিকে তিনি মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মন্দিরের গেটে নিয়ে যান। সেখান থেকে আরেকটিকে গ্রুপ তাকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। এরপর তারা সবাই কক্সবাজারে পালিয়ে যান।’
তার ‘জবানবন্দি’ অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছে দুটি গ্রুপ। ৫ থেকে ৭ জন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন। এর মধ্যে দুজন সাম্যকে আঘাত করেন, বাকিরা আশপাশে নজর রাখেন। হত্যাকারীরা সবাই মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত।
আরও পড়ুন: সাম্য হত্যার রহস্য উদঘাটনের দাবি ডিএমপির
সহপাঠীদের বক্তব্য ও পরবর্তী কর্মসূচি
এদিকে, ঘটনাস্থলে থাকা ভুক্তভোগী ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল বায়েজিদ ডিবি কর্মকর্তা নাসিরুল ইসলামের বর্ণনাকে সমর্থন করেছেন। তার দাবি, রাব্বি নামের ছেলেটার হাতেই টিজার গান ছিল।
এর আগে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বায়েজিদ বলেছিলেন, ‘মুক্ত মঞ্চের পাশে (হত্যাকাণ্ডের স্থানের পাশে) দুটি অল্পবয়সী শিশু ছিল। মন্দিরের গেট দিয়ে বের হওয়ার উদ্দেশ্যে গাড়ি নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের একজন আমাদের লক্ষ্য করে টিজার গান সদৃশ কিছু একটা মারে। শিশুদের হাতে এগুলো থাকা নিরাপদ না ভেবে সাম্য গাড়ি ঘোরায়। এ সময় আমরা বাচ্চাটিকে ধরতে গেলে সে পালানোর চেষ্টা করে।’
ঘটনার আকস্মিকতায় অন্য একটি পক্ষের মোটরসাইকেল ধাক্কা লাগে তাদের। আর এ নিয়েই শুরু হয় কথা কাটাকাটি, যা একপর্যায়ে প্রাণঘাতী মারামারিতে রূপ নেয়।
শিশু নাকি তরুণের হাতে টিজার গান ছিল জানতে চাইলে ঢাবির এ শিক্ষার্থী বলেন, ‘তার বয়স খুব একটা বেশি না, ১৮ বা এর কাছাকাছি হবে। তার কাছ থেকেই গানটি কাড়তে গিয়েই ঘটনার সূত্রপাত হয়।’
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৩ মে) দিবাগত রাতে সাম্যর সঙ্গেই ছিলেন তার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু আশরাফুল আলম রাফি ও আব্দুল্লাহ আল বায়েজিদ। ওই সময় খাবার খাওয়ার উদ্দেশ্যে মোটারসাইকেলে চড়ে রমনা কালী মন্দির গেট দিয়ে উদ্যানে প্রবেশ করেন তারা।
হত্যাকাণ্ড নিয়ে তাদের বর্তমান অবস্থান জানতে চাইলে সাম্যর সহপাঠী এ শিক্ষার্থী বলেন, ‘পুলিশ এখনও হত্যার মোটিভ বা হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারো হাত আছে কিনা, সেটি বের করতে পারেনি। আমরা আমাদের জায়গা থেকে এটি বের করার জন্য পুলিশকে চাপ প্রয়োগে তৎপর রয়েছি।’
ছাত্রদলের অবস্থান
সেদিন সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ডিবির একাধিক দল গত কয়েক দিনে কক্সবাজার, মুন্সীগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে মেহেদী হাসান, রাব্বি ওরফে ‘কবুতর রাব্বি’, নাহিদ হাসান পাপেল, সোহাগ, হৃদয় ইসলাম, রবিন, সুজন সরকার ও রিপন— মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
তবে ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
গত বুধবার (২৮ মে) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাঝে তিনি সাম্য হত্যা নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেন।
রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের মেধাবী ছাত্র ও ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্যকে হত্যা করা হয়েছে। সাম্য হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে বলে ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্যকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমরা আমাদের ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাম্যর পরিবারও ডিএমপির বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমরাও সেই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করলাম। সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে ছাত্রদলের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
উদ্যানে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য দমেনি
সাম্য হত্যাকাণ্ড দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দিলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিরাপত্তা জোরদারে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: সাম্য হত্যা নিয়ে ধোঁয়াশা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার না হলেও পুরস্কৃত পুলিশ
তবে নিরাপত্তা পরিস্থিতি জোরালো হলেও এর মধ্যেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে চলেছে। গত রবিবার (২৫ মে) ছিনতাইয়ের শিকার হন বলে দাবি করেছেন সেখানে ঘুরতে যাওয়া বাপ্পি (১৯) ও তার বন্ধুরা।
তারা ইউএনবিকে জানান, চারটি মোটরসাইকেলে করে ৭-৮ জন তাদের কাছ থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। শুধু তা-ই নয়, ছিনতাইকারীদের মোটরসাইকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগোও লাগানো ছিল বলে দাবি তাদের।
এ ঘটনায় উদ্যানের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য হালিমকে (৩০) প্রধান আসামি করে শাহবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগে বলে হয়েছে, বন্ধুদের সঙ্গে আমি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেড়াতে গেলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রমনা কালী মন্দিরের পেছনে রাস্তার ওপর আনসার সদস্যের নির্দেশে অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জন বাইকে করে এসে আমাদের জোর করে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। তারা আমাদের পিস্তল দেখিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে আমাদের গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরও করা হয়।
এরপর তাদের কাছে থাকা ১ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যমানের দুটি ক্যানন ৬ডি ক্যামেরা, ১ লাখ ২৪ হাজার টাকা মূল্যমানের একটি ক্যানন ৬ডি মার্ক-২ ক্যামেরা, ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা মূল্যের তিনটি ক্যামেরার লেন্স, মোট ৫৫ হাজার টাকা মূল্যের তিনটি স্মার্টফোন এবং নগদ সাড়ে ১৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ছিনতাইয়ের পর তাদের প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর এ বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে তারা কাজ করছেন।
সাম্য হত্যাকাণ্ডের দুই সপ্তাহ না যেতেই আবারও ছিনতাইয়ের ঘটনা উদ্যানের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
এর আগে, গত ১৭ মে তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাম্য হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার আটজনের প্রত্যেককে ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা। এরপর ২৩ মে তাদের ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে ছয়জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন— তামিম হাওলাদার (৩০), পলাশ সরদার (৩০), সম্রাট মল্লিক (২৮), সোহাগ, হৃদয় ও রবিন।
১৮৭ দিন আগে
তিন মাস পর ক্লাসে ফিরলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চলমান অস্থিরতায় তিন মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ক্লাস শুরু হয়েছে।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে কলা ভবন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, মধুর ক্যান্টিন, টিএসসিসহ ক্যাম্পাসের সব জায়গায় শিক্ষার্থীদের সমাগমে চিরচেনা রূপে ফিরে এসেছে ঢাবি।
দীর্ঘ বিরতির পর ক্লাসে ফিরে স্বস্তি ও আনন্দ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তবে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
গত ২ জুন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি শুরু হয়। ঈদের ছুটি শেষে ১ জুলাই থেকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ
কিন্তু 'বৈষম্যমূলক' পেনশন ব্যবস্থা থেকে বাদ দেওয়ার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। যার ফলে গত ১ জুলাই থেকে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা বেড়ে গেলে গত ১৬ জুলাই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।
এরপর গত ১৯ সেপ্টেম্বর পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: গণপিটুনির প্রতিবাদে ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল
৪৩৮ দিন আগে
ঢাবিতে নিরাপত্তা জোরদারে ই-সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স চালু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস এলাকায় বুধবার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে ই-সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স চালু করা হয়েছে।
আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুম থেকে ই-সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স অ্যান্ড মনিটরিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আসিফ হোসেন খান, প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমানসহ অন্যান্য সহকারী প্রক্টর ও অনুষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ক্রীড়া কোটায় ঢাবিতে ৬০ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে
ক্যাম্পাস এলাকার নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং নিশ্চিত করতে মোট ৫৮টি ক্যামেরা চালু রয়েছে।
যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ন্ত্রণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করে উপাচার্য বলেন, ‘এই ই-সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স সিস্টেমের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আশে পাশের বেশিরভাগ সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো এখন সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে এ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কোণে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে নিরাপত্তার আওতায় আনা হবে।’
আরও পড়ুন: ভারী বর্ষণ: ঢাবি ছাত্রাবাসে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
রবীন্দ্র সরোবরে রেস্তোরাঁকর্মীদের সঙ্গে ঢাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১৬
৭৯২ দিন আগে
ঢাবি’র ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৯১৩ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ বুধবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৯১৩ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছে।
গবেষণার জন্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা বা মোট বাজেটের ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য খাতে মাত্র ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বেতন-ভাতা ও পেনশন বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৭২৪ কোটি ১২ লাখ টাকা বা ৬৮ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং পণ্য ও সেবার জন্য রাখা হয়েছে ২০৮ কোটি ৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকা।
বুধবার বিকাল ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে এ বাজেট ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান।
আরও পড়ুন: ঢাবির ব্যবসায় ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বাজেট বক্তৃতার মাধ্যমে অধিবেশনের উদ্বোধন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাকসুদ কামাল, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী, সিনেট সদস্য, শিক্ষক প্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধি, দীপঙ্কর তালুকদার (সংসদ সদস্য), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ৭ কলেজের অধ্যক্ষরা সেশনে উপস্থিত ছিলেন।
প্রস্তাবিত বাজেটের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) দেবে ৭৬৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আসবে ৮৫ কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, ২০২০-২৪ অর্থবছরে ঘাটতি হবে ৬০ কোটি ৯ লাখ টাকা বা ৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ঢাবির ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফর রহমানের ছাত্র ডরমেটরির গেস্টরুমে নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে যে বক্তৃতা দিয়েছেন তা বাদ দেওয়ায় বিএনপি সমর্থিত শিক্ষকরা আলোচনাসভা থেকে ওয়াকআউট করেন।
অধ্যাপক লুৎফর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত শিক্ষক সমিতির সাদা প্যানেলের আহ্বায়ক।
ওয়াকআউটের পর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘ঢাবি ভিসি প্রধান অভিভাবক হলেও তিনি তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন না। তিনি একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন। তিনি তার সব শিক্ষার্থীর সঙ্গে সমান আচরণ করেন না।’
আরও পড়ুন: ঢাবির কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
৮৯৭ দিন আগে
ঢাবির ব্যবসায় ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় ইউনিটের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান।
শিক্ষার্থীরা admission.eis.du.ac.bd এই ওয়েব ঠিকানায় তাদের ফল দেখতে পারবেন। তাছাড়া সংক্ষিপ্ত বার্তার পরিষেবার (এসএমএস) মাধ্যমেও ফল দেখা যাবে।
এসএমএস-এর মাধ্যমে ফল দেখতে ইংরেজিতে ‘ডিইউ’ লিখে একটি স্পেস দিয়ে ‘বিইউএস’ লিখতে হবে, এরপর আবারও সেপ্স দিয়ে পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর দিতে হবে এবং তা ১৬৩২১ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি বার্তায় ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
এক হাজার ৫০টি আসনের বিপরীতে ৩৮ হাজার ২৩৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮ হাজার ৫২৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
এ বছর সমন্বিত পরিবেশে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়, যেখানে প্রতিটি ইউনিটে (বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও কলা) সকল ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
ব্যবসায় অনুষদে মোট ১ হাজার ৫০টি আসনের মধ্যে ব্যবসায় বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ৯৩০টি, কলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ২৫টি এবং বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ৯৫টি আসন বরাদ্দ করা হয়।
সকল উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীকে ১৮ জুন থেকে ৬ জুলাইয়ের মধ্যে বিষয় পছন্দের ফরম পূরণ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
ঢাবির ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
৯১০ দিন আগে
ঢাবি ছাত্রলীগের নেতার বিরুদ্ধে দম্পতির শ্লীলতাহানির অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্য সেন হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা ফাহিম তাজওয়ার জয়ের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এক নারী ও তার স্বামীকে শ্লীলতাহানি ও টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ফাহিমসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মাস্টারদা সূর্য সেন হলের মুখ্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল মোতালেব বাদী হয়ে ফাহিমের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। আব্দুল মোতালেব হচ্ছেন ভুক্তভোগী নারীর মামা।
অভিযোগপত্র অনুযায়ী, গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে রিয়া ও তার স্বামী রাসেল পার্শ্ববর্তী চকবাজার থেকে আব্দুল মোতালেবের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। শহীদ মিনারের সীমান্ত সড়ক পার হওয়ার সময় ফাহিম ও তার বন্ধুরা তাদের পথ আটকে দেয়, গালিগালাজ করে এবং লাঠি দিয়ে মারধর করে। এক পর্যায়ে তারা রাসেলকে শহীদ মিনারের পেছন দিকে নিয়ে গিয়ে তার কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা ও এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নেয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় শ্লীলতাহানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত, পুলিশে সোপর্দ
অভিযোগপত্রে মোতালেব বলেন, তারা আমার ভাগ্নিরও শ্লীলতাহানি করেছে। খবর পেয়ে আমার ছেলে মেহরাব তাদের উদ্ধার করতে গেলে ফাহিম ও তার বন্ধুরা আমাকে বেধড়ক মারধর করে।
যোগাযোগ করা হলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর বলেন, 'আমরা মামলাটি পেয়েছি এবং আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।
ফাহিম মাস্টারদা সূর্য সেন হল ছাত্রলীগের পদস্থ সদস্য এবং আবদুল্লাহ খান শৈশবের অনুসারী, যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী। তিনি ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: চলন্ত বাসে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি: গ্রেপ্তার চালকের রিমান্ড মঞ্জুর
১০৩২ দিন আগে
বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা তাদের প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে উপাচার্যের (ভিসি) বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।
আসন বরাদ্দে অনিয়ম, জরুরি সুবিধার অভাব, ক্যান্টিনে নিম্নমানের খাবার, শিক্ষার্থী হয়রানি, অপর্যাপ্ত পানির ফিল্টার ও রান্নার সুবিধার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভিসির বাসভবনের সামনে জড়ো হন তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হল প্রভোস্ট ও ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক নাজমুন নাহারের পদত্যাগ দাবি করেন। এ সময় তারা বলতে থাকেন যে তিনি শিক্ষার্থীদের পাত্তা দেন না এবং সবসময় তার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হলের এই প্রভোস্ট নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। জরুরি হলেও কোনো নথিতে হল প্রভোস্টের স্বাক্ষর পেতে আমাদের ন্যূনতম ১৫ দিন সময় লাগে। তিনি প্রতি বছর প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আসন বরাদ্দের জন্য চার হাজার টাকা নেন, যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মে এটি অনুমোদিত নয়।’
আরও পড়ুন: ঢাবি ও অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ১১৪ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সুপারিশ
একপর্যায়ে চার আন্দোলনরত শিক্ষার্থী তাদের ক্ষোভের কথা জানাতে ভিসির বাসায় যান।
ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা তাদের কষ্ট ও সমস্যা আমাদেরকে জানিয়েছে। তাদের কিছু বৈধ দাবি ও বিষয়বস্তু রয়েছে। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’
বৈঠক শেষে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে শিক্ষার্থীরা তাদের হলে ফিরে যান।
তবে প্রভোস্ট নাজমুন নাহারের সঙ্গে কথা বলার জন্য বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে হামলা: বিচারের দাবিতে ঢাবিতে মানববন্ধন
১০৪৩ দিন আগে
দেশে বর্তমানে ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশে বর্তমানে ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে। শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সেন্টার ফর এডভ্যান্স রিসোর্স ইন আর্টস অ্যান্ড সোস্যাল সাইন্স অডিটোরিয়ামে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটোর জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির ‘নবীনবরণ এবং কৃতি সংবর্ধনা ২০২২’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২০১০ সালে ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোলা জেলার চর কুকরি- মুকরিতে যখন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্বোধন করেন, তখন দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা ছিল ৫৬ লাখ। ডিজিটাল সেন্টার উদ্বোধন কালে প্রধানমন্ত্রী তরুণদের পাশাপাশি একজন তরুণীকে উদ্যোক্ত হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। বর্তমানে ৮ হাজার ৩৬৩ টি ডিজিটাল সেন্টারে ১৬ হাজারের বেশি তরুণ তরুণী উদ্যোক্ত হিসেবে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম ক্যাশ-লেস ক্যাম্পাস হবে হাজী দানেশ: পলক
পলক বলেন, ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা মানুষের দোরগোড়ায় ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। প্রতিমাসে ১ কোটি মানুষ এসব সেন্টার থেকে সেবা গ্রহণ করছে। সাড়ে ৬লাখ ফ্রিল্যান্সার ঘরে বসেই দেশ-বিদেশে ব্যবসা করছে।
প্রতিমন্ত্রী মেধা ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিজেদেরকে আগামী দিনের উপযোগী করে গড়ে তুলতে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন নাটোর ছাত্র কল্যাণ সমিতিকে প্রকৃতপক্ষে ছাত্রদের কল্যাণে জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার হবে।পরে তিনি নাটোর জেলার ৭ উপজেলার ৭ জন কৃতিশিক্ষার্থীর মাঝে বিশ্বজের হাতিয়ার ল্যাপটপ প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য,বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুস।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নাটোর জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি সাব্বির সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যোর মধ্যে বক্তব্য দেন নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নাটোর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি এড. কোহেলী কুদ্দুস, মুক্তি,ঢাকা বিশ্ববিশ্বদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম অপু সহ অন্যান্য অতিথিরা।
আরও পড়ুন: যে দেশ দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে পারবে না তারা পিছিয়ে পড়বে: পলক
বাংলাদেশে অফশোর ক্যাম্পাস স্থাপনের আহ্বান পলকের
১১৬৮ দিন আগে
১৬ তলা ভবন থেকে পড়ে ঢাবি ছাত্রীর মৃত্যু
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বুধবার নিজ বাসার ১৬ তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে ২২ বছর বয়সী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন।
অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষার্থী জাইনা হাবিব আদাবরের জাপান গার্ডেন সিটিতে বসবাস করতেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রীকে নির্যাতন করে হত্যা: স্বামী গ্রেপ্তার
মোহাম্মদপুর জোন পুলিশের সহকারী কমিশনার মুজিব আহমেদ পাটোয়ারী জানান, ছাদের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে তারা জানতে পারে জাইনা আত্মহত্যা করেছে।
জাইনা বিকাল ৫টার দিকে বৃষ্টির সময় তাদের অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের ছাদে যান এবং দরজা বন্ধ করে দেয়।
মুজিব জানান, একপর্যায়ে তিনি একটি সুইসাইড নোট রেখে ছাদ থেকে লাফ দেন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান। নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় পুলিশ ময়নাতদন্তের ছাড়াই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
১২৮২ দিন আগে
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ঢাবিতে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বৃহস্পতিবার বাংলা বছরের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়েছে।
তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়েছিল, শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রা নিশ্চিত করতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, সোয়াট ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নজরদারি করে।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রা একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: উৎসাহের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ
ভিসি বলেছেন, ‘একটি সম্প্রীতিপূর্ণ, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক সমাজ গড়তে, এই জাতীয় সাংস্কৃতিক উৎসবগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, এটি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উৎসব এই উৎসবটি একটি অসাম্প্রদায়িক মানবিক চেতনা দ্বারা উজ্জীবিত হয়। কারণ এতে সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ জড়িত থাকে। ধর্ম ব্যক্তিগত ব্যাপার হতে পারে। কিন্তু উৎসব সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
তার পক্ষ থেকে খালিদ বলেন, ‘মহামারির কারণে আমরা দুই বছর ধরে আমাদের উৎসবগুলো উদযাপন করতে পারিনি। এই পহেলা বৈশাখ সকল জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য একটি উৎসব। আমি মনে করি আমরা আমাদের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ ও অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করছি।’
আরও পড়ুন: পহেলা বৈশাখ: বাংলা নববর্ষের উৎপত্তি এবং ইতিহাস
মঙ্গল শোভাযাত্রায় অন্যদের মধ্যে উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি, শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, ভি-সি (প্রশাসন) প্রফেসর মুহাম্মদ সামাদ ও প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী অংশ নেন।
১৩৩০ দিন আগে