ক্রিকেট
আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: বাংলাদেশ দলের সোয়াট (SWOT) বিশ্লেষণ
দামামা বাজছে আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২-এর। আগামী ১৬ অক্টোবর এ ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে প্রত্যাশিত উৎসবটির উদ্বোধনের অপেক্ষায় এখন গোটা পৃথিবী। যাদেরকে ঘিরে এই অনুষ্ঠানের এতো আবেগ-উৎকন্ঠা, সেই ১৬টি দলের মধ্যেও পুরোদমে চলছে প্রস্তুতির তোড়জোড়। সুপার ১২ পর্বের আটটি দলের তালিকায় ইতোমধ্যে নিজের নামটি উঠিয়ে নিয়েছে গর্বিত বাংলাদেশ। পুরো সুপার ১২ জুড়ে বাংলাদেশের একে একে খেলা হবে দক্ষিণ আফ্রিকা, প্রথম রাউন্ডের গ্রুপ বি বিজয়ী, ভারত এবং পাকিস্তানের সঙ্গে। কিন্তু এই ক্রিকেট লড়াইয়ে বাংলাদেশের অবস্থানটা ঠিক কোথায়? চলুন, বাংলাদেশ দলের সোয়াট (SWOT) বিশ্লেষণের মাধ্যমে তা জেনে নেয়া যাক।
আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২-এ বাংলাদেশ স্কোয়াড
বাংলা টাইগারদের টি-২০ বিশ্বকাপের এই অষ্টম আসরে যাত্রা শুরু হবে আগামী ২৪ অক্টোবর প্রথম রাউন্ডে গ্রুপের রানার্স-আপ দলের বিপক্ষে হোবার্টের ব্যালেরিভ ওভালে নামার মধ্য দিয়ে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি ) কর্তৃক নির্ধারিত বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য ১৫ সদস্য বিশিষ্ট স্কোয়াডে থাকছে তিন জন ব্যাট্সম্যান, দুজন উইকেট কিপার, পাঁচ জন অল রাউন্ডার এবং পাঁচ জন বোলার। অভিজাত এই অভিযানে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য থাকছেন বিশ্বমানের অল রাউন্ডার শাকিব আল হাসান। সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন নুরুল হাসান সোহান। ১৫ সদস্যের বাইরে অপেক্ষমান হিসেবে দলের সফর সঙ্গী হবেন সৌম্য সরকার, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন এবং মেহেদি হাসান।
মূল বিশ্লেষণে যাবার আগে চলুন এক নজরে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের এবারের স্কোয়াডটি দেখে নেয়া যাক।
সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ, সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, নাজমুল হোসেন শান্ত, আফিফ হোসেন, লিটন দাস, মোসাদ্দেক হোসেন, ইয়াসির আলী, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, নুরুল হাসান, হাসান মাহমুদ, এবাদত হোসেন এবং নাসুম আহমেদ।
আরও পড়ুন: ত্রিদেশীয় সিরিজ: ৮ উইকেটের বড় হার বাংলাদেশের
২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সোয়াট (SWOT) বিশ্লেষণ
শক্তি (Strength)
অস্ট্রেলিয়ায় পেস বোলিং পিচের জন্য মুস্তাফিজ, তাসকিন, সাইফুদ্দিন, এবাদত এবং হাসানের বোলিং অর্ডারটা বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ। আর সিডনি, ব্রিসবেন, অ্যাডিলেডের মত পিচের জন্য রীতিমত বুদ্ধিদ্বীপ্ত নির্বাচন বলা যেতে পারে। সুপার ১২ পর্বের দক্ষিণ আফ্রিকানদের জন্য ব্যাপারটি খুব আশ্চর্যজনক না হলেও, এ কথা অনস্বীকার্য যে বাংলাদেশ দ্রুত গতি বোলিংয়ে দক্ষ হয়েছে।
অন্যদিকে, স্পিনারদের সংখ্যা লঘিষ্ঠতাটি পূরণ করে দিতে পারে অলরাউন্ডাররা। নাসুম, মিরাজ এবং শাকিবের সমর্থনে, আফিফ এবং মোসাদ্দেক বেশ ভালো স্পিন বুহ্য তৈরি করতে পারে।
এশিয়া কাপ স্কোয়াডের অন্যতম স্পিনার ছিলেন হলেন মাহেদী হাসান। কিন্তু এবার ১৫ তে তিনি জায়গা করে নিতে পারেননি। এশিয়া কাপে বাংলাদেশের কোচ শ্রীরামের মতে নাসুম এবং মেহদির মাঝে অনায়াসেই অদল-বদল করা যায়। এবারো সে সুযোগ থাকায় নিদেনপক্ষে অফ-স্পিন নিয়ে বাংলাদেশকে তেমন মাথা ঘামাতে হবে না।
তাছাড়া বিশাল সাপোর্ট হিসেবে সাকিব তো থাকছেই। এবারে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তি সাকিব আর মুস্তাফিজু। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে উল্লেখযোগ্য চড়াই-উৎড়াই থাকলেও, দলে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ অল-রাউন্ডার থাকা মানে এক বিরাট নির্ভরতা। যে কোন সময় ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিতে পারেন ব্যাট ও বল উভয় হাতেই ম্যাচজয়ী এই ক্রিকেটার। অধিনায়কত্বের চাপ সামলিয়ে নিজের সেরাটা উপহার দিতে পারলে তিনি একাই যথেষ্ট সেমিফাইনাল পর্যন্ত দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
সাকিবের মতো মুস্তাফিজও বল হাতে ম্যাচজয়ী। তার মাঝারি পেস বোলিংয়ের নৈপুণ্যে তাবড় তাবড় ব্যাটসম্যানদের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যেতে দেখতে অভ্যস্ত তার ভক্তরা। এছাড়া তার কম ডেলিভারি দেয়া দ্রুত গতির বলগুলোও বেশ বিধ্বংসী হয়ে থাকে। অস্ট্রেলিয়ায় পিচে বল হাতে মুস্তাফিজের ঝলসে ওটা শুধু দর্শকদের জন্যই নয়; দলের জন্যও দারুণ চমক হতে পারে। সম্প্রতি কয়েকটি ম্যাচে তার যথেষ্ট প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। এর সঙ্গে ক্রিকেটপ্রেমিরা এও বুঝে গেছে যে যেকোন পরিস্থিতিতে দল তার ওপর পূর্ণ আস্থা রাখতে পারে।
সাইফুদ্দিন, মেহেদি ও আফিফরা ফুল ফর্মে থাকায় শাকিবের নেতৃত্বে চমৎকার কোয়াড্রুপলেট তৈরি হতে পারে ব্যাটিং ও বোলিং দুই ইনিংসেই। পাওয়ার প্লেতে তাদের সাম্প্রতিক বোলিং ও ব্যাটিং আক্রমণগুলো বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ ছিল।
আরও পড়ুন: ২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ: ভেন্যু ও প্রাইজ মানি
দুর্বলতা (Weakness)
মেধা বা অভিজ্ঞতা; বাংলাদেশের এর কোনটার কমতি আছে বলা হলে ভুল হবে। সাব্বির, মিরাজ, আফিফ, মোসাদ্দেক, লিটন দাস, তাসকিন আর এবাদতকে অনেক বছর ধরেই বাংলাদেশ একাদশে দেখা যাচ্ছে। তাই বেশ তরুণ হলেও তাদের কেউই অনভিজ্ঞ নন। তবে সমস্যা হলো এ দীর্ঘ সময়ে তাদের পারফরম্যান্স এখনো নির্দিষ্ট মাত্রায় এসে দাঁড়ায়নি। দুঃখজনক হলেও সত্য যে এই অসংলগ্নতা বাংলাদেশ ক্রিকেটের চিরায়ত সঙ্গী।
প্রতিবারই দুর্দান্ত সূচনাকারি খেলোয়াররা নানা ধরনের আন্তর্জাতিক ইভেন্টগুলোতে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছে। সৃষ্টি হয়েছে ফুলেল সম্ভাবনার। অথচ এই সম্ভাবনাগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ পারফরম্যান্সে রূপান্তর হয়নি। আগে বলা হয়েছিল তাদের অভিজ্ঞতার অভাব ছিল। কিন্তু সেই অজুহাত এখন দেয়া যাবে না, কারণ তারা বহু বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে। দুর্ভাগ্যবশত প্রত্যেকেরই নামের পাশে দুয়েকটি সেরা ম্যাচ থাকছে, কিন্তু সেগুলোকে ছাপিয়ে সামনের খেলাগুলোতে তারা অধিক ভালো করা তো দূরে থাক; বিগত পারফরমেন্সটিই ধরে রাখতে পারছে না। ফলে ম্যাচ জিততে এখনও নির্ভর করতে হচ্ছে শুধু শাকিব ও মুস্তাফিজের ওপর।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা তাদের ব্যাটিং অর্ডার। মুলত দলের প্রয়োজনের সময় টিকে থাকতে না পারলে পাহাড়সম স্ট্রাইক রেট কোনো কাজে আসে না। পাশাপাশি টাইগারদের স্পিনার ভীতি আছে। তাই তারা অস্ট্রেলিয়ার মতো জায়গায় বড় বাউন্ডারির সুবিধা নিতে পারবে না।
এশিয়া কাপ মিস করায় অস্ট্রেলিয়ায় টুর্নামেন্টের জন্য নাজমুল হোসেন শান্তকে ১৫ জনের দলে নিয়েছে বাংলাদেশ। ওপেনিং অর্ডারে তার দুর্দান্ত রেকর্ড নেই। আর সর্বসাকূল্যে ৯টি টি-২০ তে তার সংগৃহীত রানের গড় ১৮ দশমিক পাঁচ, যেখানে একটিও ৫০শের বেশি স্কোর নেই।
নুরুল হাসান এবং ইয়াসির আলী মিডল-অর্ডারে যোগ হয়েছেন। ফলে বাংলাদেশের কাছে ওপেনিং অর্ডারে বিকল্পের অভাব পড়ছে। নাজমুল অথবা এশিয়া কাপের সময়ের ন্যায় মিরাজ লিটন দাসের সঙ্গে ওপেন করতে পারে। কিন্তু তাতে নির্ভরযোগ্য কোনো ইনিংসের সূচনা হবে কিনা তা দেখার বিষয়।
নাজমুল বেশ ভালো বিকল্প, কিন্তু এশিয়া কাপে বাদ পড়ার কারণে বাংলাদেশের শীর্ষ একাদশে তার অবস্থানটা একটু নড়বড়ে হতে পারে। আর মূল স্কোয়াডের বাইরে থাকায় ওপেনার সৌম্য সরকারের কথা ভাবার কোনো অবকাশই নেয়।
আরও পড়ুন: আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
সম্ভাবনা (Opportunity)
সাম্প্রতিক মাসের ম্যাচগুলোর কথা ধরা হলে দল হিসেবে বাংলাদেশ খুবই হতাশাজনক। তাদের জিম্বাবুয়ে সফরের অনাকাঙ্ক্ষিত ফলাফল এবং আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে এশিয়া কাপ থেকে ফিরে আসাটা খুব ভালো ব্যাকগ্রাউন্ড রাখেনি। সেই হিসেবে অবশ্য এবারে বিশ ওভারের বিশ্বকাপে সুপার ১২ স্টেজে তালিকাভুক্ত হওয়া বাংলাদেশের জন্য বিরাট পাওয়া।
কিন্তু দর্শকদের আকস্মিক চমকে দেয়াটা বাংলাদেশের জন্য নতুন নয়। বরঞ্চ বাংলাদেশের বর্তমান দলটি সেই চমক দেয়ার জন্য পুরোদস্তুর ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে। খেলার ফরম্যাট যখন ২০-২০, তখন আকাশচুম্বী স্ট্রাইক রেট আর বলের ভেল্কিতে ব্যাট্সম্যানকে ধরাশায়ী করাটাই আসল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জার্সি অনলাইনে বিক্রির পরিকল্পনা বিসিবির
হুমকি (Threat)
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ যে পারফরম্যান্স ধস হয়েছে তার একটি প্রধান কারণ হলো আত্মবিশ্বাসের অভাব। মাঠে নামাকালীন তাদের বিভ্রান্তিকর চেহারা শুধু তাদের ভক্তদেরই কষ্ট বাড়ায় না, অপর পক্ষের সমর্থকদেরও বুঝিয়ে দেয় যে তারা হয়ত চমকপ্রদ কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে যাচ্ছে না। এছাড়া সমসাময়িক খেলাগুলোতে অধিনায়কত্ব নিয়ে বাড়তে থাকা জটিলতা এই সমস্যাগুলোকে আরও বেগবান করেছে।
বর্তমান সময়কার তাদের স্পিন বোলিংয়ের রেকর্ডগুলো ক্রমেই অবদমিত হচ্ছে। অন্যদিকে, প্রতিপক্ষের আক্রমণাত্মক মানসিকতায় বাংলাদেশিদের নিজের জায়গায় শক্ত হয়ে দাঁড়ানোর অবস্থা নেই। এ অবস্থায় বিশাল রানের টার্গেট তাদের ব্যাটিং অর্ডার সুসজ্জিত থাকলেও নিমেষেই ভেঙে গুড়িয়ে যেতে পারে।
আশা করা হচ্ছে যে তাসকিন, মুস্তাফিজ এবং সাইফুদ্দিন শীর্ষ একাদশে থাকবেন আর এই থাকাটা অবশ্যই তারা নিজের সেরাটা দিয়ে আরও মজবুত করবেন। কিন্তু তাদের কাছাকাছি সময়ের আন্তর্জাতিক ২০ ওভারের ইনিংসগুলো তেমন ভালো আশা দেখায় না।
আর বাংলাদেশি পেসারদের অস্ট্রেলিয়ার পিচ থেকে অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হওয়া উচিত। তবে পৃথিবী কাঁপানো কিছু পাওয়ার হিটারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য তাদের ভালোভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: আমাদের উন্নতি করতে হবে: সাকিব
পরিশিষ্ট
গত ৫ অক্টোবর এই বিশ্বনন্দিত স্পোর্টস ইভেন্টটির জন্য বাংলাদেশ দলের স্কোয়াডও ঠিক হয়ে গেলো। এবার শুধু মাঠে নামার পালা। ২০-২০ ওভারের দুই ইনিংসে অনেক কিছুই ঘটে যেতে পারে। পাশাপাশি এও ঠিক যে সারা পৃথিবীর কোটি জোড়া চোখ তাকিয়ে এই ২২ গজের মঞ্চে। তাই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে বহুজাতির বিশ্বকাপ চলছে, সে চাপটিকেও সুনিপুনভাবে সামলানোর গুরুদায়িত্বটা পালন করতে হবে টাইগারদের। ২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সোয়াট (SWOT) বিশ্লেষণের নির্যাসে যে কথাটি উঠে আসে তা হচ্ছে পুরোনো অভিজ্ঞতাকে ছাপিয়ে যেতে হলে দলের প্রতিটি সদস্যের সম্মিলিত ভূমিকা অবধারিত।
২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ: ভেন্যু ও প্রাইজ মানি
সময় ঘনিয়ে এসেছে আইসিসি ২০ ওভারের ক্রিকেট বিশ্বকাপের। নয়নাভিরাম দ্বীপদেশ অস্ট্রেলিয়ায় বসতে যাচ্ছে বিশ্বনন্দিত এই স্পোর্টস ইভেন্টের অষ্টম আসর। ২০২১ এর ১৫ নভেম্বর আইসিসি থেকে ২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ ভেন্যু নিশ্চিত করা হয়। আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ান অস্ট্রেলিয়াই এবার আয়োজন করবে পুরো ইভেন্টটি। ১৬ অক্টোবর, ২০২২ থেকে শুরু হয়ে ১৩ নভেম্বর, ২০২২ পর্যন্ত চলবে এই ক্রিকেট উৎসব। আজকের নিবন্ধটিতে এই ভেন্যুগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জানার সাথে সাথে আইসিসি পুরুষ টি-২০ ২০২২ বিশ্বকাপের প্রাইজ মানি সম্বন্ধেও আলোচনা করা হবে।
২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপের ৭টি ভেন্যু
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড, মেলবোর্ন
ধারণ ক্ষমতা: ১,০০,০২৪
১৮৫৩ সালে নির্মিত এমসিজি বা মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড দক্ষিণ গোলার্ধের বৃহত্তম এবং গোটা বিশ্বে ১০তম বৃহত্তম স্টেডিয়াম। এটি একটি ইতিহাস সমৃদ্ধ স্টেডিয়াম, যা অস্ট্রেলিয়ান খেলাধুলার সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্তগুলোর সাক্ষী হয়ে আছে। এমসিজি-তে প্রথম ক্রিকেট ম্যাচটি খেলা হয় ১৮৫৪ সালের সেপ্টেম্বরে। ১৮৫৬ সালের মার্চ মাসে প্রথম আন্তঃ-ঔপনিবেশিক ম্যাচে মুখোমুখি হয় ভিক্টোরিয়া ও এনএসডব্লিউ (নিউ সাউথ ওয়েলস)।
এমসিজি টেস্ট ক্রিকেট (১৮৭৭) এবং একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের (১৯৭১) জন্মস্থান। এছাড়া এএফএল গ্র্যান্ড ফাইনালের জন্য সব সময় এই ভেন্যুটি নির্ধারিত থাকে। ১৯৫৬ সালের অলিম্পিক গেমস এবং ২০০৬ এর কমনওয়েলথ গেমস সহ বিভিন্ন বড় আন্তর্জাতিক স্পোর্ট্স ইভেন্ট ও কনসার্টের আয়োজন করেছে এমসিজি।
আরও পড়ুন: আইসিসি ওয়ানডে বর্ষসেরা দলে ৩ বাংলাদেশি ক্রিকেটার
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৬ রানে হারাল ভারত
গুয়াহাটিতে রবিবার রাতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৬ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিক ভারত।
টস হেরে ভারত তিন উইকেটে ২৩৭ রান করে। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা শুরুতে ৪৭ রানে তিন উইকেট হারালেও ডেভিড মিলারের ৪৭ বলে অপরাজিত ১০৬ রানের উপর ভর করে ২২১ রান করে।
চতুর্থ উইকেটে মিলার ও কুইন্টন ডি ককের (অপরাজিত ৬৯) অবিছিন্ন জুটি ৮২ বলে ১৭৪ রান করে।
এর আগে সুরাইয়া কুমার যাদবের ২২ বলে ৬১ এবং কে এল রাহুলের ২৮ বলে ৫৭ রানের সুবাদে বড় বড় স্কোর করে ভারত।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে বল করছে দ. আফ্রিকা
নারী ক্রিকেট নিয়ে ব্যর্থতা স্বীকার করল পাপন
টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে বল করছে দ. আফ্রিকা
গুয়াহাটিতে রবিবার ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
বুধবার প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আট উইকেটে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে স্বাগতিকরা।
একই প্লেয়িং ইলেভেনে ফিল্ডিং বেছে নিয়ে ভারত সেই দলে কোনো পরিবর্তন করেনি।
পেসার লুঙ্গি এনগিডি রিস্ট স্পিনার তাবরেজ শামসিকে দলে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা একটি পরিবর্তন করেছে।
সিরিজটি অস্ট্রেলিয়ায় আসন্ন বিশ্বকাপের নেতৃত্বে উভয় পক্ষের জন্য চূড়ান্ত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ কার্যকরী হিসেবে চিহ্নিত করে। দক্ষিণ আফ্রিকা ভারতে কখনও দ্বিপক্ষীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারেনি।
বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে মাত্র তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি হবে। পিচ শিশির ভেজা অবস্থায় ব্যাটারদের সহজে তাড়া করতে সাহায্য করবে। উচ্চ প্রচলিত আর্দ্রতা মানে বৃষ্টি খেলা ব্যাহত করতে পারে।
আরও পড়ুন: নারী ক্রিকেট নিয়ে ব্যর্থতা স্বীকার করল পাপন
ভারত
লোকেশ রাহুল, রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, ঋষভ পান্ত, দিনেশ কার্তিক, অক্ষর প্যাটেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, হর্ষাল প্যাটেল, দীপক চাহার এবং আরশদীপ সিং।
আরও পড়ুন: নারী টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ: থাইল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ
দক্ষিণ আফ্রিকা
কুইন্টন ডি কক, টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), রিলি রোসোউ, এইডেন মার্করাম, ডেভিড মিলার, ট্রিস্টান স্টাবস, ওয়েন পার্নেল, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাদা, অ্যানরিচ নর্টজে এবং লাঙ্গি এনগিদি।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ খেলতে সিলেটে জাহানারা-জ্যোতিরা
নারী ক্রিকেট নিয়ে ব্যর্থতা স্বীকার করল পাপন
সিলেটে নারী এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল থাইল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে। এরপরই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নিজের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেছেন।
শনিবার তিনি বলেন, নারী ক্রিকেটের প্রতি প্রাপ্যনুযায়ী মনোযোগ না দেয়াটা বোর্ডের ব্যর্থতা।
এশিয়া কাপের আগে বাংলাদেশ মহিলা দল আইসিসি মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নিজেদের তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসক আমাকে ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে বলেছেন: পাপন
বিসিবি সভাপতি বলেন, নারী দল নিয়মিত ভালো খেলছে। তা সত্ত্বেও, বোর্ড মহিলা দলের প্রতি যথাযথ মনোযোগ না দেয়াটা ‘বোর্ডের ব্যর্থতা’।
সিলেটে পাপন আরও বলেন, ‘ওরা অনেক দিন ধরেই ভালো খেলছে। ‘ওরা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব জিতেছে। তারা আগের বিশ্বকাপ খেলেছে, কোয়ালিফায়ার জিতেছে। এর আগে এশিয়া কাপও জিতেছে তারা। কিন্তু আমরা তাদের প্রতি প্রাপ্য মনোযোগ দেইনি, এটা আমাদের ব্যর্থতা।’
শনিবার থাইল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তোলার অভিযান শুরু করে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ মহিলা ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ জিতেছিল।
আরও পড়ুন: সাকিবকে যখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তখনই আমরা তাকে পাই না: পাপন
আপাতত বিসিবিতে থাকবেন আকরাম, পরবর্তী সিদ্ধান্ত ২৪ ডিসেম্বর: পাপন
ক্রিকেটের প্রতি অস্ট্রেলিয়ান ও বাংলাদেশিদের ভালবাসার কথা তুলে ধরেন অস্ট্রেলিয়ান দূত
আইসিসি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০২২ খেলতে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল(পুরুষ)রওনা হওয়ার আগে বিদায় জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার। বৃহস্পতিবার নিজ বাসভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় হাইকমিশনার অস্ট্রেলিয়ান ও বাংলাদেশিদের পারস্পরিক ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসার কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর করা মামলায় আগাম জামিন পেলেন ক্রিকেটার আল-আমিন
তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের সময় বাংলাদেশ দল অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়াটা যথোপযুক্ত।
এশিয়া কাপ খেলতে সিলেটে জাহানারা-জ্যোতিরা
প্রায় চার বছর পর মাঠে গড়াচ্ছে মেয়েদের এশিয়া কাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে করে সিলেটে পৌঁছায় বাংলাদেশ দল।
এক অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করবে এশিয়ার সাতটি দেশের খেলোয়াড়রা।
স্টেডিয়ামের মিডিয়া ইনচার্জ ফরহাদ কোরেশী জানান, নিগার সুলতানা জ্যোতি ও লতা মণ্ডলদের নিয়ে যাওয়া হয় বিমানবন্দরের কাছে গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে।
আরও পড়ুন: আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
তারপর দুপুর ১২টার পর আসেন দুবাই ও মালয়েশিয়ার নারী ক্রিকেটাররা। একই দিন বিকালে সিলেটে পৌঁছায় শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও পাকিস্তান নারী ক্রিকেটাররা।
এছাড়া পুরো টুর্নামেন্টটি চলবে নয়নাভিরাম সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
তিনি আরও জানান, এশিয়া কাপকে ঘিরে সংস্কারকাজসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ। মাঠ পুরোপুরি প্রস্তুত। এই টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো দেখতে টিকিট লাগবে না, দীর্ঘদিন পর সবাই সুযোগ পাবে স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার।
ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মূল গ্রাউন্ডের পাশাপাশি প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ম্যাচ গড়াবে আউটার স্টেডিয়ামে। রাস্তা সংস্কার, উইকেট প্রস্তুত, ফ্লাড লাইটসহ ভেন্যু পরিপূর্ণ প্রস্তুত ম্যাচের জন্য।
মোট ২৪ ম্যাচের ৯টি হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ড-২ এ। বাকি ১৫টি ম্যাচ হবে মূল ভেন্যুতে।
রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে প্রতিটি দল ছয়টি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। সেখান থেকে টেবিলের শীর্ষ চারটি দল খেলবে সেমিফাইনাল।
সেমিফাইনাল হবে ১৩ অক্টোবর। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ হবে ১৫ অক্টোবর। এছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় গ্রাউন্ড-২ এ অনুশীলন করবে বাংলাদেশ দল।
প্রথম দিন থাইল্যান্ডের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচ খেলবে স্বাগতিকরা।
আরও পড়ুন: নারী টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ: বাংলাদেশের দল ঘোষণা
বিপিএল: ‘বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা’ থেকে ‘সেরা ঘরোয়া’ লিগ
বিপিএল: ‘বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা’ থেকে ‘সেরা ঘরোয়া’ লিগ
একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকর্তারা দাবি করতেন যে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগ। তাদের মতে, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ঠিক পরেই বিপিএলের অবস্থান ছিল। কিন্তু এখন তারা বলছেন, বিপিএলকে দেশের অন্যতম সেরা লিগ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছেন তারা।
বিপিএলের পরবর্তী আসরটি ২০২৩ সালের জানুয়ারির শুরু থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বিসিবি ইতোমধ্যেই সাতটি অংশগ্রহণকারী ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকদের নামের খসড়া তৈরি করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে সম্ভাব্য মালিকরা শত মিলিয়ন টাকা ব্যাংক গ্যারান্টি দেয়ার পর শিগগিরই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো চূড়ান্ত করা হবে।
বিপিএলের মতো একই সময়ে কমপক্ষে আরও দু’টি লিগ খেলার কথা রয়েছে। ফলে বিপিএলের সেরা বিদেশি খেলোয়াড়দের দৃষ্টি আকর্ষণ নাও করতে পারে। তাদের অনেকেই ইতোমধ্যে অন্য দু’টি লিগের দলের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে- একটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবং অন্যটি দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: বিপিএল ২০২২ ফাইনাল: টস জিতে ব্যাটিংয়ে কুমিল্লা
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক সোমবার বলেন, ‘বিপিএল একটি ভাল টি-টোয়েন্টি ইভেন্ট ছিল, যখন এর মতো একাধিক লিগ ছিল না।’
‘এখন অনেক লিগ আছে – সিপিএল হচ্ছে, পিএসএল এখানে, সংযুক্ত আরব আমিরাত একটি লিগ আয়োজন করতে যাচ্ছে এবং দক্ষিণ আফ্রিকাতেও একই দৃশ্য। এখন, অন্যান্য (আন্তর্জাতিক) লিগের সঙ্গে (বিপিএল) তুলনা করা কঠিন। আমরা এটাকে অন্যতম সেরা ঘরোয়া লিগ বানাতে চাই।’
২০১২ সালে প্রথমবারের মতো বিপিএল খেলা হয়েছিল। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) চার বছর পর পাকিস্তান সুপার লিগ(পিএসএল) শুরু করে। যখন বিপিএল এখনও তার ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে, তখন পিএসএল পিসিবির জন্য প্রচুর অর্থ আয় করছে।
ইসমাইল আরও বলেন, ‘বিপিএলের মতো অনুষ্ঠান আয়োজন করতে অনেক অর্থ খরচ হয়। ‘এটিকে আরও বড় করতে আমাদের প্রচুর অর্থের যোগানে একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা বিক্রি করতে হবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, আমরা এটাকে হোম-এন্ড অ্যাওয়ে ইভেন্ট হিসেবেও আয়োজন করতে পারি না। এর জন্য আমাদের পর্যাপ্ত জায়গা নেই। আমরা যা দেখতে চাই তা হল এটিকে আমাদের সেরা ঘরোয়া ইভেন্টগুলোর একটিতে পরিণত করা।’
যেহেতু বিপিএল এই মৌসুমে বিদেশি খেলোয়াড়দের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হতে পারে, তাই শর্ত শিথিল করতে যাচ্ছে বিসিবি।
ইসমাইল বলেন, একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের যেকোনো সময়ে একজন বিদেশি খেলোয়াড়কে চুক্তিবদ্ধ করতে পারবে এবং তারা যেকোনো সময়ের জন্য বিদেশি খেলোয়াড়কে চুক্তিবদ্ধ করতে পারবে।
এর মানে, যদি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি মাত্র দুই ম্যাচের জন্য একজন খেলোয়াড় পায়, তাহলে তারা সেই খেলোয়াড়কে চুক্তিবদ্ধ করতে পারবে। একই সঙ্গে ইসমাইল বলেন, একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি একটি ম্যাচে চারজনের পরিবর্তে দুইজন বিদেশি খেলোয়াড় খেলতে পারে।
ইতোমধ্যেই খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক নির্ধারণ করেছে বিসিবি। বিসিবি জানায়, ‘এ’ ক্যাটাগরির স্থানীয় খেলোয়াড়রা পাবে ৮০ লাখ টাকা এবং সর্বনিম্ন ক্যাটাগরির খেলোয়াড়রা অর্ধ মিলিয়ন টাকা পাবে।
প্রতিটি দল সরাসরি পরিকল্পনার বাইরে একজন স্থানীয় খেলোয়াড়কে চুক্তিবদ্ধ করার অনুমতি দেয়, তবে বিদেশি খেলোয়াড়কে চুক্তিবদ্ধ করার কোন সীমা নেই। পরিকল্পনার বাইরে কোনো বিদেশি ক্রিকেটারকে দলে নিতে কত টাকা দেবে তা ঠিক করবে না বিসিবি।
আরও পড়ুন: সাইফকে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো বিপিএল শিরোপা জিতলো বসুন্ধরা
বিপিএল ফুটবলের ১৪তম রাউন্ড শুরু শনিবার
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব: টানা দুই জয় বাংলাদেশের
চলমান আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে হারানোর পর স্কটল্যান্ডকেও হারিয়েছে বাংলাদেশ।
গ্রুপের শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) টস হেরে প্রথমে বোলিং করে স্কটল্যান্ডকে ১৯ ওভার ৩ বলে মাত্র ৭৭ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ।
স্কটল্যান্ডের লরনা জ্যাক সর্বোচ্চ ২২ রান সংগ্রহ করেন এবং উইকেটরক্ষক-ব্যাটার সারাহ ব্রাইস দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ রান করেন।
আরও পড়ুন: জিম করতে গিয়ে চোট পাওয়ায় মুশফিকের পায়ে ৬টি সেলাই
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আট বছর বিরতির পর সোহেলী আক্তার তার দ্বিতীয় ম্যাচ খেলে চার ওভারে সাত রান দিয়ে চার উইকেট শিকার করেন। এটি তার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স। এছাড়া নাহিদা আক্তার দু’টি উইকেট নেন।
জবাবে বাংলাদেশ দল মাত্র ১৩ ওভারেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা সর্বোচ্চ ৩৪, মুর্শিদা খাতুন ১৫ ও রুমানা আহমেদ ১১ রান করেন।
স্কটল্যান্ডের র্যাচেল স্লেটার দুটি উইকেট শিকার করেন।
আরও পড়ুন: নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব: আয়ারল্যান্ডকে ১৪ রানে হারাল বাংলাদেশ
নারী টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের দুটি ম্যাচের দুই জয়ে সেমিফাইনালের কাছাকাছি বাংলাদেশ। এই আসরের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলে বাংলাদেশ দল আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৩-এর টিকিট পাবে। আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ-২০২৩ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ
পাকিস্তানকে ১৩০ রানের টার্গেট দিল আফগানরা
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের চতুর্থ ম্যাচে পাকিস্তান দলকে ১৩০ রানের টার্গেট দিল আফগান টি টোয়েন্টি টিম। পাকিস্তানের দোদর্ন্ড বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে বিশ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে আফগান দল সংগ্রহ করে মাত্র ১২৯ রান।
বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হয়
পাকিস্তান দল (১১)
বাবর আযম (ক্যাপ্টেইন), মোহাম্মদ রিজওয়ান(উইকেট কিপার) ফখর জামান, ইফতেখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, আসিফ আলি, মোহাম্মদ নওয়াজ, নাসিম শাহ, হারিস রউফ ও শাহনেওয়াজ ধনি।
আফগানিস্তান একাদশ
হজরতউল্লাহ জাজাই, রাহমানুল্লাহ গুরবাজ(উইকেট কিপার), ইব্রাহিম জাদরান, নাজিবুল্লাহ জাদরান, করিম জানাত, মোহাম্মদ নবি(অধিনায়ক), রশিদ খান, আজমাতুল্লাহ উমারজাই, নাভিন উল হক, মুজিব-উর রহমান, ফজলহক ও ফারুকী।