ঐক্যবদ্ধ
গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য ঐক্যবদ্ধ হোন: খালেদা জিয়া
বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা তাদের চক্রান্তে সক্রিয় রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির বর্ধিত সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নেতাকর্মীদের সতর্ক বার্তা দিয়ে স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সংগ্রাম এখনও শেষ হয়নি। গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া শক্তিগুলো এখনো ষড়যন্ত্র করছে। সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন অনেক ভালো: ডা. জাহিদ
স্থানীয় নির্বাচনের ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি: তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অভিযোগ করে বলেছেন, স্থানীয় কোনো নির্বাচনের ফাঁদে অংশ নেবে না বিএনপি।
লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি একই বৈঠকে যোগ দিয়ে তারেক রহমান বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনকে প্রাধান্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন দল স্থানীয় নির্বাচনকে রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এটা শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসিত করার প্রক্রিয়ার অংশ। কিন্তু বিএনপি এই ফাঁদে পা দেবে না।’
জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বানও জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় লন্ডন ক্লিনিক থেকে ছাড়পত্র পাচ্ছেন খালেদা জিয়া
তিনি বলেন, কতিপয় উপদেষ্টার কিছু বিভ্রান্তিকর বক্তব্য স্বাধীনতাকামী মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। এদিকে দেশে সহিংসতা চলছে এবং সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধিও তারা রোধ করতে পারছে না।’
১৭ দিন আগে
জুলাই অভ্যত্থানের পর ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের
জুলিই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের 'নিষ্ঠুর শাসনামলের' পতনের মাধ্যমে খুন ও গুমের অবসানের পর জাতিকে 'ঐক্যবদ্ধ' হয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবার ও আহতদের মাঝে সহযোগিতার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে সংঘাত কাটিয়ে ওঠার আমাদের ক্ষমতার উপর। ‘আমাদের একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজে বের করতে হবে।’
তিনি আরও ঘোষণা করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া শুরু করবে।
প্রধান উপদেষ্টা সরাসরি অভ্যুত্থানের সময় শহীদ ও সাতজন আহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ করেন।
তিনি বাংলাদেশের গুম ও খুনের শিকার পরিবার ও নাগরিকদের আশ্বস্ত করে বলেন, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমস্ত হত্যাকাণ্ড ও গুমের তদন্ত করা হবে এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
ড. ইউনূস সহিংসতা বা রক্তপাত ঘটানোর যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে পরিবারগুলোকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধি দল
তিনি বলেন, ‘বিচার তাৎক্ষণিকভাবে করতে গেলে অবিচার হয়ে যায়। বিচারের মূল জিনিসটা হলো এটা সুবিচার হতে হবে...অবিচার যেন না হয়। আমরা অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলাম বলেই এই সংগ্রাম হয়েছে, এই আত্মত্যাগ হয়েছে। আমরা যদি অবিচারে নামি, তাহলে তাদের আর আমাদের মধ্যে তফাতটা থাকল কোথায়? আমরা অবিচারে নামবো না।’
তিনি আরও বলেন, যারা অপরাধী তাদের আমরা পুলিশের হাতে, আইনের হাতে সোপর্দ করব।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যেসকল মানুষ অপরাধী নয়, তাদের মানুষ বানাবো। তাদের বলব, ‘ভাই, এ দেশটি আমরা একসঙ্গে গড়ি, এই দেশ আমরা একসঙ্গে গড়ার স্বপ্ন দেখছি, তোমরাও সে স্বপ্ন দেখ। এদেশ আমার একার না, তোমারও এ দেশ। তুমি এদেশের সন্তান। আমিও এ দেশের সন্তান। তুমি আমাকে বহু কষ্ট দিয়েছে। আমি তোমারে কষ্ট দেব না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একযোগে যত তাড়াতাড়ি পারি এটাকে একটা সুন্দর দেশ বানাবো। যারা অপরাধী তাদের অবশ্যই বিচার করতে হবে। যারা অপরাধী নয়, তাদের সৎ পথে নিয়ে আসতে হবে।’
৩৪ দিন আগে
মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে স্বৈরাচারের কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না: তারেক রহমান
পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা দেশের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে থেকে নানা ষড়যন্ত্র করলেও মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে তা সফল হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার এ দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও তাদের প্রেতাত্মারা দেশের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে আছে। তারা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করছে। মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে তাদের কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না।’
২০১৩ সালে র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানীর পরিবারকে নর্ব-নির্মিত ঘরের চাবি হস্তান্তর উপলক্ষে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) আমরা বিএনপি পরিবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভাচুর্য়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, হাসিনা সরকার পালিয়ে যাওয়ার এক সপ্তাহ আগেও প্রায় ২ হাজার মানুষকে হত্যা ও ৩০ হাজারের মতো মানুষকে জখম করেছে। তারা বিভিন্নভাবে বহু মানুষকে নির্যাতনও করেছে বলে জানান তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, নীলফামারীর এই গোলাম রব্বানী মানুষের অধিকারের কথা বলেছিল বলেই স্বৈরাচারেরা তাকে হত্যা করছে।
তিনি আরও বলেন, গোলাম রব্বানীর মতো বহু মানুষকে তাদের মতের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে স্বৈরাচার হাসিনা সরকার হত্যা করেছে।
এছাড়া যারা ক্ষতিগ্রস্ত ও নির্যাতিত হয়েছে এবং যারা পঙ্গুত্ব বরণ করেছে তাদের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে বলেও জানান তিনি।
তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচারেরা দেশকে ধ্বংস করে গিয়েছে। তাই তাদের পতন হয়েছে। তাদের জন্য বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের এখনও নানা ধরণের সমস্যা রয়েছে। এই সব সমস্যাগুলো দূর করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সমস্যার সমাধান করতে হলে কাউকে থাকতে হবে। যারা আপনাদের সমস্যার কথাগুলো তুলে ধরতে পারবেন। এছাড়া সমস্যার কথাগুলো যেখানে পৌঁছার দরকার ঠিক সে পযর্ন্ত পৌঁছাতে পারে এই ব্যবস্থাটাই নিশ্চিত করতে চাওয়ায় স্বৈরাচারীরা তাদের হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, আমরা এমন একটা বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই- যেখানে কৃষক, মজুর থেকে শুরু করে সব শ্রেণির মানুষ কথা বলতে পারে। যাদের হত্যা করা হয়েছে তারা সেটাই করতে চেয়েছিল। তাদের কথা বলতে দেওয়া হয়নি। তাদের কথা শুনতে চায়নি। এই কারণে তারা হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছে। আজ সময় এসেছে। পরিবর্তিত হয়েছে অবস্থা।
তারেক বলেন, বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন মতামত রয়েছে। আমরা সেই মতামতগুলো আলোচনা করব। দিন শেষে যে মতামতের ওপর সবচেয়ে বেশি সমর্থন থাকবে সেই মতামতের ভিক্তিতে আমরা দেশকে গড়ে তুলব।
তিনি আরও বলেন, আমরা সকলে এসঙ্গে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। আমাদের বিভিন্ন দলের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্ত আমাদের সজাগ থাকতে হবে, সেই মতপার্থক্য যাতে এমন পর্যায় না পৌঁছায় যেখানে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
দেশ সামনে এগিয়ে যাওয়া বাধাগ্রস্ত হবে এমন কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব যাতে না হয় এ ব্যাপারে আমাদের সর্তক থাকতে হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সুযোগ পেলে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবে বিএনপি: তারেক
তিনি বলেন বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সরকার একটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। সেই প্রক্রিয়াটি হলো গণতান্তিক উপায় নির্বাচন প্রক্রিয়া। বাংলাদেশকে যদি এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় তাহলে অবশ্যই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে ফিরিয়ে আনতে হবে। এতে করে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি হবে। প্রকৃত অর্থে জনগণের ভোটে যারা বেরিয়ে আসবে, সেই মানুষগুলো কাজ করবে।
বিএনপি নেতা বলেন, এখন সময় হচ্ছে দেশ গড়ার। দেশকে যদি গড়তে হয়, দলমত নির্বিশেষে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি তাহলে দেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।
এ সময় বক্তব্য দেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দীন বকুল, জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার, সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম প্রমুখ।
৭৬ দিন আগে
এখন সময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ গড়ার: তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ গড়ে তোলার সময় এসেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকালে লালমনিরহাট জেলা বিএনপি আয়োজিত শহীদ আবুল কাশেম কলেজ মাঠে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে দেশ গড়তে দেশের প্রত্যেকের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমাদের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ অন্যান্য পেশার মেধাবী মানুষজন আছেন।’
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির মামলা থেকে তারেকসহ ৮ জনকে অব্যাহতি
তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের একজন সন্তান হিসেবে মনে করি, আমাদের শুধু মেধাবী ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার হলে চলবে না, আগামী দিনে অবশ্যই পেশাদার খেলোয়াড় ও সাংস্কৃতিককর্মী তৈরি করতে হবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভেতর থেকে। যাতে আমরা বিদেশের মাটিতে খেলায় অংশ নিয়ে দেশের সম্মান বয়ে আনতে পারি।’
বিএনপির রংপুর নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর্জা আব্বাস, বিএপির যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন এ্যানি, বাফুফে সহসভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী বক্তব্য দেন।
এ সময় রংপুর বিভাগের ৮ জেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচিত সংসদ ও সরকারের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ: তারেক
১০৮ দিন আগে
‘বাংলাদেশসহ জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অর্থ পাওয়ার চেয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি’
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, কপ সম্মেলনে আমাদের নিগোসিয়েটরদের ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি। কে কত টাকা পেল বা পেল না, এমনটি হলে আমাদের ঐক্য দুর্বল হবে। আর যদি ঐক্য ভেঙে যায় তাহলে আমাদের জন্য সেটি হবে ক্ষতিকর।
আজারবাইজানের রাজধানী বাকুর কপ-২৯ সেন্টারে ইউএনবিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
ঐক্যটা কি ধরনের জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের অংশগ্রহণকারীদের যে মিটিং হয় সেই প্রক্রিয়া যেন অব্যাহত থাকে। তাহলে এটি একটি অর্জন হবে। বাংলাদেশসহ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো- আমরা যারা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি, তাদের ঐক্য থাকলে তা এই কপ-২৯ এর বড় একটি অর্জন হবে।
আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এবারের কপ বেশ হতাশা এবং উদ্বেগের।’
আরও পড়ুন: কপ-২৯ সম্মেলনের আগে জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে যুববন্ধন
জলবায়ু পরিবর্তজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে কত টাকা পাওয়া যাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অর্থ যদি বলেন, একটা পরিমাণ, যে পরিমাণ পাওয়ার কথা সেই পরিমাণ পাওয়া যাবে না এটা মোটামুটি নিশ্চিত। অর্থের পরিমাণ থেকে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে অর্থের মানটাতে। অর্থটা কি ঋণ হিসেবে আসবে, না কার্বন ক্রেডিট হিসেবে আসবে, অর্থটা সরাসরি সাহায্য হিসেবে জাতিসংঘের গ্যারান্টি চাই। আমরা যদি অর্থের মানটাতে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারি, তাহলে একটা জয় হিসেবে ধরে নিতে পারব।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, আশা আপনার একরকম, আমার একরকম, আপনি হয়তো ভাবছেন ১.৩ বিলিয়ন টাকা নিয়ে গেলে আমরা ভাল হয়ে যাব। আমি ভাবছি এই মুহূর্তে যদি টাকার অঙ্ককে কেন্দ্র করে আমাদের ঐক্যটা ভেঙে যায়- তাহলে এটা অনেক বড় একটা ক্ষতি হবে। আর যদি ঐক্যটা ধরে রাখতে পারি সেটা আমার ও আমাদের আশার জায়গা। অর্থের মানের ব্যবস্থার সিদ্ধান্তে আসতে পারি এবং সেটি পাবলিকস ফান্ডিং হতে হবে।
তিনি বলেন, অর্থের মানের দিকে জয়ী হতে পারলে বিশাল জয় হবে। বাংলাদেশের নাগরিক যারা ফেনীতে ,কুমিল্লায়, শেরপুর বা সিলেটে বন্যা আক্রান্ত শিশু প্রতি জনের ৯০ ডলার ঋণের বোঝা মাথায় আছে। মানে হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন সময় প্রকল্প নেওয়া হয়েছে সেই প্রকল্প ঋণের বোঝা মাথায় রয়েছে। তাই অর্থের মানটাই লাভ করতে পারলে বড় জয় হবে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, কত টাকা পেলাম বা পেলাম না এটা জরুরি না। কারণ কত টাকা পেলাম তা বড় কথা নয়। বরং এক তৃতীয়াংশ ভূমি যদি পানির নিচে চলে যায়, তার জন্য কত টাকা প্রয়োজন সেটি বড় বিষয়। মিটিগেশন করে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে কার্বন নি:স্বরণ কমাতে আমাদের জোর দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যত টাকা আমাদের তার ৫০ ভাগ বন্যা আক্রান্ত মানুষগুলোর ঋণ খাপ খাইয়ে সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এই জায়গায় জয়ী হতে পারলে একটা ফল আসবে। আরেকটা আশার জায়গায় এই প্রক্রিয়াকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তাহরে বছরে একবার না দুইবার কিভাবে টাকা আসবে সেটা করা যাবে। কিন্তু প্রক্রিয়াটাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: কপ২৯: বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
তিনি জোর দিয়ে বলেন, আমি আগেও বলেছি আবারও বলছি আমাদের অবস্থান স্পষ্ট হওয়া উচিত। অনেক টাকা চাইনা, এর চেয়ে বরং যে সমস্যাটা আছে তার সমাধান চাই। বাংলাদেশর মতো দেশগুলো যারা ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা আছে, তাদের অবস্থান এমন হওয়া উচিত। যেসব দেশ জীবাশ্ম জ্বালানি কেন্দ্রিক যে উন্নয়ন করছে তা পরিবর্তন করতে হবে।
রিজওয়ানা বলেন, সরকার বর্তমানে জ্বালানি নীতিমালা পর্যালোচনা করছে এবং জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক উৎপাদন থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে অগ্রসর হওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। উচ্চ আমদানি শুল্ক পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে এবং বাংলাদেশে সৌরশক্তি প্রকল্পে বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করা হচ্ছে। বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সৃষ্ট বায়ু দূষণ আমাদের বড় পরিবেশগত সমস্যা। তাই এখনই নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগের সঠিক সময়।
তিনি বলেন, আর্টিকেল-৬ নিয়ে অনেক বিবাদ আছে। কার্বন আমাদের আর্টিকেল-৬ একটি অস্ত্র। উন্নত বিশ্ব যদি মনে করে যার যার দেশে কার্বন নিঃস্বরণ করবে তাহলে অনেক ক্ষতি হবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশের জলবায়ু বাস্তবতা এক রকম। তাই জলবায়ুর যে ভংগুরতা আছে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তা কমাতে পারি কি না সেটিও দেখতে হবে। কোন জায়গায় কমাতে হবে। এটার অগ্রাধিকার দিতে হবে। আমরা এডাপটেশনে বেশি, নাকি মেডিকেশনে বেশি, না লস এন্ড ড্যামেজের কাজ বেশি করতে হবে। কাজ করার কী কী ক্ষেত্র আছে। -এসব দেখতে হবে।
তিনি বলেন, এটির প্রথম দুইটি মিটিং হয়েছে এবং দ্বিতীয় মিটিংটি বাংলাদেশে হবে জানুয়ারিতে।
উপদেষ্টা বলেন, মিটিগেশন নিয়ে জোরালো আলোচনা হচ্ছে। একটি হচ্ছে টেকনোলজিগুলোর কথা বলি আমরা। আমাদের দেশে দুর্যোগের সময় আমাদের যে পূর্ব সতর্কতা দরকার, তা যেন আমরা আগেই জানতে পারি। সেজন্য টেকনোলজির সহায়তা লাগবে। যে টেকনোলজি আমাদের দরকার, সেটির জন্য আমাদের সাহায্য প্রয়োজন আছে।
আরও পড়ুন: কপ২৯: বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা, যা দেশের মোট গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের প্রায় ১০ শতাংশ (২১.০৪ মিলিয়ন টন সিও২-সমমান) এর জন্য দায়ী। শুধু ঢাকাতেই প্রতিদিন ৬ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়, যার ৭৩ শতাংশ অপরিশোধিত অবস্থায় ল্যান্ডফিলে জমা হয়, ফলে মিথেন গ্যাস নিঃসরণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য পুনঃউৎস আহরণ কেন্দ্র, ওয়েস্ট-টু-এনার্জি প্ল্যান্ট এবং স্যানিটারি ল্যান্ডফিল স্থাপনে জাপানের সহায়তা চাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে মোট জ্বালানি ব্যবহারের ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে সরবরাহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। তবে, এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রয়োজন। চীনকে বাংলাদেশে সোলার ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট স্থানান্তরের অনুরোধ জানানো হয়েছে, যা আমদানি নির্ভরতা কমাবে। এছাড়া, সোলার প্যানেলের উপর কর কমানোসহ সংশ্লিষ্ট নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আপডেটেড এনডিসি বাস্তবায়নে ২০৩০ সালের মধ্যে ১৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন, যার মধ্যে ৩২ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ নিজস্ব উদ্যোগে অর্জন করবে। তবে, বাকি অংশ আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।বাংলাদেশ আগামী বছর এনডিসি ৩ দশমিক শূণ্য জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
এদিকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক( জলবায়ু পরিপর্তন ও আন্তর্জাতিক কনভেমশন) মির্জা শওকত আলী আজ ইউএনবিকে জানিয়েছেন, গত ১১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া কপ২৯ সম্মেলন আজ ২২ নভেম্বর শেষ হওয়া কথা থাকলেও বলা যাচ্ছে না। কারণ শুরু থেকে এবং পরে মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনা নিয়ে ফাইনাল টেক্সট এখনো বের হয়নি।
আরও পড়ুন: কপ২৯: স্বল্পোন্নত-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে ২০০ মিলিয়ন বরাদ্দ দিতে ইইউ’র সমর্থন চাইল বাংলাদেশ
১১৪ দিন আগে
আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে: মান্না
তিনি বলেন, পালানোর পর থেকে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। কোনোভাবেই স্বাধীনতা নস্যাৎ করতে দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মান্না
শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে বগুড়া শহরের সাতমাথায় নাগরিক ঐক্য আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার অনেক ভালো কাজ করছে। কিন্তু বেশিদিন ক্ষমতা ধরে রাখা যাবে না। অবিলম্বে নির্বাচন দিয়ে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
মান্না আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষিত নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ক্ষমতায় থেকে তারা লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।
তিনি বলেন, মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা আয়নাঘর বানিয়ে মানুষের ওপর অমানবিক নির্যাতন করেছে। আমরা শেখ হাসিনার মতো আর কোনো স্বৈরাচার সরকার চাই না। সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
স্থানীয় নেতা মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, সদস্য আব্দুর রাজ্জাক শাফি, পিয়ার হোসেন, সাইদুর রহমান, মোহাম্মাদ আলী, আবুল কালাম আজাদ, মামুন, সাত্তার, পপি, শামীম, রফিকুল প্রমুখ।
আরও পড়ুন: রোজিনা ইসলাম ও মান্নার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা হবে: আইন উপদেষ্টা
১৩৪ দিন আগে
তরুণরা আগামীতে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে: ভিপি নূর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর বলেছেন, গত ৫৩ বছরে এই দেশের মানুষ অনেক স্বৈরাচারী ভোট ডাকাত সরকার দেখেছে। তাই এই দেশের তরুণরা আগামীতে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ, নতুন রাজনীতি প্রতিষ্ঠা ও নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পাওয়ার পরেই প্রথম দলীয় সফরে নিজ জেলা পটুয়াখালীতে এসে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘রাব্বানী ডাকসু থেকে পদত্যাগ না করলে আমরা পদক্ষেপ নেব’: ভিপি নূর
ভিপি নূর আরও বলেন, বিএনপি যদি মনে করে যারা আন্দোলন করেছে তাদের নিয়ে জাতীয় সরকার করবে, তবেই বিএনপির সঙ্গে জোট হবে এবং রাজনৈতিক সমঝোতাও হবে। নইলে বিএনপিকে বর্জন করা হবে এবং বিকল্প শক্তি নিয়ে এককভাবে নির্বাচন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এই দেশে তরুণরা কারো লাঠিয়াল হওয়ার জন্য আন্দোলনে রক্ত ও জীবন দেবে না।
এসময় আরও বক্তব্য দেন- গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: সাবেক ডাকসু ভিপি নূরের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলা খারিজ
ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরের বিরুদ্ধে সিলেটে মামলা
১৯১ দিন আগে
হিমালয়সহ পাহাড়-পর্বত রক্ষায় বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
হিমালয়সহ পাহাড়-পর্বত রক্ষায় বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘পাহাড় সুস্থ থাকলে পৃথিবী সুস্থ থাকবে, তাই পাহাড়-পর্বতকে ভালো রাখতে বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
বুধবার (২২ মে) নেপালের কাঠমান্ডুর চন্দ্রগিরি হিল রিসোর্টে আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল এক্সপার্ট ডায়লগ অন মাউন্টেইন, পিপল অ্যান্ড ক্লাইমেটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী আরও বলেন, ‘হিন্দুকুশ হিমালয় পর্বতমালা জলবায়ু পরিবর্তনের গ্রাউন্ড জিরো। যদি বুঝতে চান যে পৃথিবীতে কী ঘটতে চলেছে, দেখতে হবে আজ হিমালয়ে কী ঘটছে। এটি কেবল পাহাড় নয়, সুপেয় পানির উৎস। হিমালয়ের সমস্ত হিমবাহ গলে গেলে আমরা কী করব? সুপেয় পানি না থাকলে বাংলাদেশের মানুষ বাঁচবে কী করে? তাই পাহাড় রক্ষায় বৈশ্বিক নেতৃত্বকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন: নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরিবেশমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক
অভিযোজন ও স্থিতিস্থাপকতার সীমা রয়েছে উল্লেখ করে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, কার্বন নিঃসরণ বন্ধ না করলে, অভিযোজন ও প্রশমন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে কোনো চেষ্টাই সফল হবে না। বাংলাদেশ ও নেপালের মতো দেশ আগামীকাল নেটজিরো অর্জন করলেও বৈশ্বিক নির্গমনে কোনো পার্থক্য করবে না কারণ জি-২০ দেশগুলো বিশ্বব্যাপী নির্গমনের ৮১ শতাংশের জন্য দায়ী।
মন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে বাংলাদেশ প্রচুর ব্যয় করছে। উন্নত দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে বছরে সাত ট্রিলিয়ন ডলার ভর্তুকি দিতে পারে, কিন্তু জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনাগুলোতে অর্থায়ন করে না। এই দ্বৈত নীতি বন্ধ করতে হবে। আমাদের এখন দ্রুত পদক্ষেপ দরকার, এটা পৃথিবীর সমস্যা। বিশ্ব নেতাদের সদিচ্ছা প্রকাশ করতে হবে।’
সাবের চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমূদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে গেলে বাংলাদেশে লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত হবে। লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ আমাদের উৎপাদনশীলতাকে প্রভাবিত করছে। বাংলাদেশের উত্তরে হিমবাহ গলছে এবং দক্ষিণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। আমরা খরা, বন্যাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের সব নেতিবাচক প্রভাব অনুভব করছে।
অনুষ্ঠানে নেপালের বন ও পরিবেশমন্ত্রী নওল কিশোর সাহ সুরির সভাপতিত্বে উদ্বোধনী ভাষণ দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল প্রচন্ড।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নেপাল সরকারের মুখ্য সচিব ড. বৈকুণ্ঠ আরিয়াল।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- ভুটানের মন্ত্রী, ইউএনএফসিসিসি সাবসিডিয়ারি বডির চেয়ারম্যান; নেপালে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী; কিরগিজস্তানের রাষ্ট্রপতির বিশেষ প্রতিনিধি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় সবুজায়ন জোরদার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
২৯৮ দিন আগে
পুলিশ ও সাংবাদিক ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে অপরাধ-অন্যায় নির্মূল সম্ভব: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে পুলিশ ও সাংবাদিক যদি ঐক্যবদ্ধভাবে একসঙ্গে কাজ করে তাহলে দেশ থেকে অপরাধ, অন্যায়-অবিচার নির্মূল করা সম্ভব হবে।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্র্যাব) কার্যালয়ে মিজান মালিকের কবিতার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে একটি সুন্দর দেশ ও সমাজ গড়তে সক্ষম হবো আমরা, যা কবি মিজান মালিক তার বইয়ে বলেছেন।’
আরও পড়ুন: তদন্তে জানা যাবে কারওয়ান বাজার বস্তির অগ্নিকাণ্ড নাশকতা কি না: ডিএমপি কমিশনার
তিনি আরও বলেন, অনেকে অভিযোগ করেন, সাংবাদিকরা পুলিশের বিরুদ্ধে লেখেন। ‘তবে পুলিশের বিরুদ্ধে যাওয়া অনেক রিপোর্টকে আমি স্বাগত জানাই, কারণ আমি তাদের লেখার মাধ্যমে অনেক তথ্য পেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ব্যস্ত সময়সূচির কারণে আমরা অনেক কিছুই ভুলে যাই। তবে সেই তথ্য আমরা সাংবাদিকদের কাছ থেকে মনে রাখতে পারি। আমাদের গোয়েন্দা দলও তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। অনেক সময় পত্রিকার মাধ্যমে সংবাদ পর্যালোচনা করে আমরা অনেক গোয়েন্দা তথ্য পাই। সেগুলোও আমাদের কাজে লাগে।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা যেমন কাজ করেন, সাংবাদিকরা তেমনি সরকারি যন্ত্রের পরিপূরক হিসেবে কাজ করতে পারেন। আর তা সঠিকভাবে করতে পারলে দেশ ও সমাজের জন্য কল্যাণকর হবে বলে মনে করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন, ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্র্যাব) সভাপতি মো. কামারুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বকুল আহমেদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে যানবাহন চলাচলে ডিএমপি'র নিষেধাজ্ঞা
ইজতেমা উপলক্ষে সড়ক ও পার্কিং নির্ধারণ করল ডিএমপি-জিএমপি
৩৯৬ দিন আগে
জাতীয় পার্টির নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান রওশন এরশাদের
জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ দলের সব নেতা-কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে বেগম এরশাদ এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা নানাভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত জাতীয় পার্টি: রওশন
তিনি বলেন, দলের প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদের অনেক অনুসারীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, যা দলকে দুর্বল করেছিল।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে যেভাবে মানুষকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলো তা খুবই দুঃখজনক।
তিনি অবিলম্বে বহিষ্কৃত নেতাদের পুনর্বহালের জন্য পার্টির চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের সঙ্গে নির্বাচনী জোট না করতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ রওশনের
গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রওশনের সাক্ষাৎ
৪১৯ দিন আগে